মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ আল-লাওয়াতি আল-তাঞ্জি, সংক্ষেপে ইবনে বতুতা, ছিলেন মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুসলিম পর্যটক, বিচারক ও ভূগোলবিদ। তিনি ১৩০৪ খ্রিষ্টাব্দে (৭০৩ হিজরি) মরক্কোর তাঞ্জিয়ারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার ছিল ইসলামি শিক্ষায় সমৃদ্ধ এবং তিনি মালিকি মাজহাবে পারদর্শী ছিলেন। ছোটবেলায় ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেন এবং পরে কাজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। (ইবনে হাজর আল-আসকালানি, আদ-দুররুল কামিনা,৩ / ৪৮০)
ভ্রমণের সূচনা
১৩২৫ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ২১ বছর বয়সে ইবনে বতুতা হজ পালনের জন্য মক্কার উদ্দেশে যাত্রা করেন। তবে এই সফরই পরবর্তীতে তাঁকে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ ভ্রমণের পথে নিয়ে যায়। হজ শেষে তিনি বিভিন্ন দেশে ইসলামের বিস্তার, সমাজব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার আগ্রহে ভ্রমণ অব্যাহত রাখেন। তাঁর ভ্রমণের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল—ইসলামি জ্ঞান অর্জন, ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং মুসলিম উম্মাহর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা। (ইবনে খালদুন, মুকাদ্দিমা,১ / ২১৩)
বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ
ইবনে বতুতা প্রায় ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ ১৭ হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করেন, যা তৎকালীন বিশ্ব বিবেচনায় অভূতপূর্ব। তিনি ৪০ টির বেশি দেশ ভ্রমণ করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি—
উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকা: মিশর, সুদান, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, মরক্কো।
মধ্যপ্রাচ্য: সৌদি আরব, সিরিয়া, ইরাক, ইরান।
উপমহাদেশ: ভারত, মালদ্বীপ, বাংলা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া: চীন, ইন্দোনেশিয়া।
ইউরোপ: তুরস্ক, আন্দালুসিয়া (স্পেন)।
ভারতে বিচারকের দায়িত্বে
১৩৩৪ সালে দিল্লির সুলতান মুহাম্মদ বিন তুঘলকের আমন্ত্রণে ইবনে বতুতা ভারতে আসেন। সুলতান তাঁকে রাজধানী দিল্লির প্রধান কাজি (বিচারপতি) হিসেবে নিয়োগ দেন। প্রায় ৬ থেকে ৮ বছর তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। তবে দিল্লির রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নানা চক্রান্তের কারণে তিনি চীনে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন এবং সুলতানের দূত হিসেবে কূটনৈতিক মিশনে অংশ নেন। (ইবনে বতুতা, রিহলা,২ / ১০৫-১১০)
বাংলায় আগমন
ইবনে বতুতা ১৩৪৬ সালে বাংলায় আসেন এবং সোনারগাঁওয়ে বাংলার সুলতান ফখরুদ্দিন মোবারক শাহের আতিথ্য গ্রহণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলা ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী এবং এখানকার শাসকেরা ইসলামের প্রতি আন্তরিক ছিলেন। তিনি এ সময় বাংলার আলেম ও সুফিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সুলতানের আনুকূল্যে চীনের পথে যাত্রা করেন। (ইবনে বতুতা, রিহলা,২ / ১৫০-১৫৫)
রিহলা ইবনে বতুতা
ইবনে বতুতার বিখ্যাত ভ্রমণকাহিনী ‘রিহলা’ (পূর্ণ নাম: তুহফাতুন্নুজ্জার ফি গারায়িবিল আমসার ওয়া আজাইবিল আসফার) তাঁর ভ্রমণের অন্যতম প্রধান ফসল। এই গ্রন্থে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি, ভূগোল ও ইসলামি জীবনযাত্রার বিবরণ দিয়েছেন। এটি মধ্যযুগীয় ইসলামি ইতিহাস ও ভূগোলবিদ্যার অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। (ইবনে বতুতা, রিহলা,১ /৫-১০)
ইবনে বতুতার অবদান
ইবনে বতুতা কেবল একজন পর্যটক ছিলেন না; ছিলেন একাধারে বিচারক, পণ্ডিত, ইতিহাসবিদ ও কূটনীতিক। তাঁর অবদানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক থেকে মূল্যায়ন করা যায়—
বিশ্বসভ্যতার সংযোগ ঘটানো: তিনি মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সংস্কৃতি, রাজনীতি ও ধর্মীয় আদান-প্রদানের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন, যা ইতিহাসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইসলামি আইন ও বিচারব্যবস্থার প্রচার: তিনি বিভিন্ন দেশে বিচারক ও প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যা ইসলামি আইন ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ভূগোল ও ইতিহাসে দৃষ্টান্তমূলক অবদান: তাঁর রচনাগুলো মধ্যযুগীয় বিশ্বের ভূগোল, জনজীবন, অর্থনীতি ও শাসনব্যবস্থা বোঝার জন্য অন্যতম প্রধান উৎস।
ভ্রমণসাহিত্যে যুগান্তকারী অবদান: তাঁর ‘রিহলা’ গ্রন্থটি শুধু ভ্রমণকাহিনী নয়, বরং এটি এক ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক দলিল, যা আজও গবেষকদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইবনে বতুতা ছিলেন এক মহান ভ্রমণকারী, আলেম ও বিচারক। তাঁর ‘রিহলা’ শুধু তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাই নয়, বরং এটি তৎকালীন বিশ্বের একটি বাস্তব প্রতিচিত্র। তাঁর জীবন থেকে আমরা অধ্যাবসায়, ধৈর্য ও জ্ঞানার্জনের অনুপ্রেরণা পাই। তিনি ইসলামের প্রসার, বিচারব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সংযোগ ঘটানোর ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখেছেন। তাঁর ভ্রমণ শুধু পৃথিবীর মানচিত্রে ছিল না, বরং জ্ঞানের দিগন্তেও ছিল এক মহাপরিক্রমা।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে বতুতা, রিহলা
২. ইবনে খালদুন, মুকাদ্দিমা
৩. ইবনে হাজর আল-আসকালানি, আদ-দুররুল কামিনা
মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ আল-লাওয়াতি আল-তাঞ্জি, সংক্ষেপে ইবনে বতুতা, ছিলেন মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুসলিম পর্যটক, বিচারক ও ভূগোলবিদ। তিনি ১৩০৪ খ্রিষ্টাব্দে (৭০৩ হিজরি) মরক্কোর তাঞ্জিয়ারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার ছিল ইসলামি শিক্ষায় সমৃদ্ধ এবং তিনি মালিকি মাজহাবে পারদর্শী ছিলেন। ছোটবেলায় ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেন এবং পরে কাজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। (ইবনে হাজর আল-আসকালানি, আদ-দুররুল কামিনা,৩ / ৪৮০)
ভ্রমণের সূচনা
১৩২৫ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ২১ বছর বয়সে ইবনে বতুতা হজ পালনের জন্য মক্কার উদ্দেশে যাত্রা করেন। তবে এই সফরই পরবর্তীতে তাঁকে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ ভ্রমণের পথে নিয়ে যায়। হজ শেষে তিনি বিভিন্ন দেশে ইসলামের বিস্তার, সমাজব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার আগ্রহে ভ্রমণ অব্যাহত রাখেন। তাঁর ভ্রমণের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল—ইসলামি জ্ঞান অর্জন, ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং মুসলিম উম্মাহর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা। (ইবনে খালদুন, মুকাদ্দিমা,১ / ২১৩)
বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ
ইবনে বতুতা প্রায় ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ ১৭ হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করেন, যা তৎকালীন বিশ্ব বিবেচনায় অভূতপূর্ব। তিনি ৪০ টির বেশি দেশ ভ্রমণ করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি—
উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকা: মিশর, সুদান, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, মরক্কো।
মধ্যপ্রাচ্য: সৌদি আরব, সিরিয়া, ইরাক, ইরান।
উপমহাদেশ: ভারত, মালদ্বীপ, বাংলা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া: চীন, ইন্দোনেশিয়া।
ইউরোপ: তুরস্ক, আন্দালুসিয়া (স্পেন)।
ভারতে বিচারকের দায়িত্বে
১৩৩৪ সালে দিল্লির সুলতান মুহাম্মদ বিন তুঘলকের আমন্ত্রণে ইবনে বতুতা ভারতে আসেন। সুলতান তাঁকে রাজধানী দিল্লির প্রধান কাজি (বিচারপতি) হিসেবে নিয়োগ দেন। প্রায় ৬ থেকে ৮ বছর তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। তবে দিল্লির রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নানা চক্রান্তের কারণে তিনি চীনে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন এবং সুলতানের দূত হিসেবে কূটনৈতিক মিশনে অংশ নেন। (ইবনে বতুতা, রিহলা,২ / ১০৫-১১০)
বাংলায় আগমন
ইবনে বতুতা ১৩৪৬ সালে বাংলায় আসেন এবং সোনারগাঁওয়ে বাংলার সুলতান ফখরুদ্দিন মোবারক শাহের আতিথ্য গ্রহণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলা ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী এবং এখানকার শাসকেরা ইসলামের প্রতি আন্তরিক ছিলেন। তিনি এ সময় বাংলার আলেম ও সুফিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সুলতানের আনুকূল্যে চীনের পথে যাত্রা করেন। (ইবনে বতুতা, রিহলা,২ / ১৫০-১৫৫)
রিহলা ইবনে বতুতা
ইবনে বতুতার বিখ্যাত ভ্রমণকাহিনী ‘রিহলা’ (পূর্ণ নাম: তুহফাতুন্নুজ্জার ফি গারায়িবিল আমসার ওয়া আজাইবিল আসফার) তাঁর ভ্রমণের অন্যতম প্রধান ফসল। এই গ্রন্থে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি, ভূগোল ও ইসলামি জীবনযাত্রার বিবরণ দিয়েছেন। এটি মধ্যযুগীয় ইসলামি ইতিহাস ও ভূগোলবিদ্যার অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। (ইবনে বতুতা, রিহলা,১ /৫-১০)
ইবনে বতুতার অবদান
ইবনে বতুতা কেবল একজন পর্যটক ছিলেন না; ছিলেন একাধারে বিচারক, পণ্ডিত, ইতিহাসবিদ ও কূটনীতিক। তাঁর অবদানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক থেকে মূল্যায়ন করা যায়—
বিশ্বসভ্যতার সংযোগ ঘটানো: তিনি মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সংস্কৃতি, রাজনীতি ও ধর্মীয় আদান-প্রদানের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন, যা ইতিহাসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইসলামি আইন ও বিচারব্যবস্থার প্রচার: তিনি বিভিন্ন দেশে বিচারক ও প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যা ইসলামি আইন ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ভূগোল ও ইতিহাসে দৃষ্টান্তমূলক অবদান: তাঁর রচনাগুলো মধ্যযুগীয় বিশ্বের ভূগোল, জনজীবন, অর্থনীতি ও শাসনব্যবস্থা বোঝার জন্য অন্যতম প্রধান উৎস।
ভ্রমণসাহিত্যে যুগান্তকারী অবদান: তাঁর ‘রিহলা’ গ্রন্থটি শুধু ভ্রমণকাহিনী নয়, বরং এটি এক ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক দলিল, যা আজও গবেষকদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইবনে বতুতা ছিলেন এক মহান ভ্রমণকারী, আলেম ও বিচারক। তাঁর ‘রিহলা’ শুধু তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাই নয়, বরং এটি তৎকালীন বিশ্বের একটি বাস্তব প্রতিচিত্র। তাঁর জীবন থেকে আমরা অধ্যাবসায়, ধৈর্য ও জ্ঞানার্জনের অনুপ্রেরণা পাই। তিনি ইসলামের প্রসার, বিচারব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সংযোগ ঘটানোর ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখেছেন। তাঁর ভ্রমণ শুধু পৃথিবীর মানচিত্রে ছিল না, বরং জ্ঞানের দিগন্তেও ছিল এক মহাপরিক্রমা।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে বতুতা, রিহলা
২. ইবনে খালদুন, মুকাদ্দিমা
৩. ইবনে হাজর আল-আসকালানি, আদ-দুররুল কামিনা
সন্তান-সন্তুতি, সম্পদ বা অনুসারীর সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধতা—এসব প্রকৃত মুমিনের জন্য একপ্রকার আত্মপ্রবঞ্চনা। সত্যিকারের ইমানদার ব্যক্তি শত্রুর মোকাবিলায় বাহিনীর সংখ্যা দেখে আত্মতুষ্ট হয় না এবং সংখ্যার স্বল্পতা নিয়ে দুশ্চিন্তাও করে না।
৮ ঘণ্টা আগেরাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’
১৩ ঘণ্টা আগেরোজা হলো সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়ত করে পুরো দিন পানাহার ও যৌনাচার ত্যাগ করা। রোজা শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হলো, পুরো দিন সব ধরনের খাবার ও পানীয় গ্রহণ এবং যৌনাচার থেকে বিরত থাকা। আর নারীদের জন্য বিশেষ শর্ত হলো, ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব থেকে মুক্ত থাকা। এ ছাড়া মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া তথা পাগল
১৯ ঘণ্টা আগেইবনুল আরাবির জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর অনুরাগ এবং আধ্যাত্মিক সত্য অনুসন্ধানের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সাধনা। তাঁর রচিত অসংখ্য গ্রন্থ ও তত্ত্ব শুধু সুফি দর্শনের ভিত্তি গঠনে সহায়তা করেনি, বরং সমগ্র ইসলামি বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। তাঁর জীবন, দর্শন, শিক্ষা ও অবদান সম্পর্কে
১ দিন আগে