আপনার জিজ্ঞাসা
ইসলাম ডেস্ক
প্রশ্ন: জুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
শরিফুল ইসলাম, নেত্রকোনা
উত্তর: জুমার নামাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো খুতবা। খুতবা চলাকালে নিশ্চুপ ও মনোযোগসহকারে তা শোনা ওয়াজিব এবং যেকোনো ধরনের অনর্থক কাজে ব্যস্ত থাকা গুরুতর গুনাহ। তাই খুতবার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করা শরিয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
খুতবার গুরুত্ব ও মনোযোগের নির্দেশ
নবী করিম (সা.)-এর একাধিক হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে খুতবা চলাকালে নিশ্চুপ থাকা কতটা জরুরি। এমনকি অন্য কাউকে কথা বলতে নিষেধ করাও ইসলামে অনুচিত। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিন খুতবার সময় যদি তুমি তোমার পাশের সঙ্গীকে বলো—চুপ করো; সেটাও অনর্থক।’ (সহিহ বুখারি: ৯৩৪; সহিহ মুসলিম: ৮৫১)। এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, খুতবার সময় যেকোনো ধরনের কথাবার্তা বা মনঃসংযোগ বিঘ্নকারী কাজ করা অনুচিত।
খুতবা চলাকালে নিষিদ্ধ কাজসমূহ
খুতবার সময় শুধু কথা বলাই নয়, বরং আরও কিছু কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফিকহ শাস্ত্রের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ ‘ফাতাওয়ায়ে শামি’-তে একটি মূলনীতি উল্লেখ রয়েছে, ‘যেসব কর্ম নামাজের মধ্যে হারাম, তা খুতবা চলাকালেও হারাম। যেমন কথা বলা, পানাহার করা ইত্যাদি।’ (ফাতাওয়ায়ে শামি: ৩/৩৫)
এই মূলনীতি অনুসারে, মোবাইল ফোনে কথা বলা, মেসেজ চেক করা, গেমস খেলা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত থাকার মতো কাজগুলো সম্পূর্ণ শরিয়ত পরিপন্থী। কেননা, এসব কাজ নামাজের মনঃসংযোগ নষ্ট করার মতোই খুতবার পবিত্রতা ও গুরুত্বকে ক্ষুণ্ন করে। অনেক মসজিদে খুতবা চলাকালে দানবাক্স চালানো হয়, যা শরিয়তের দৃষ্টিতে অনুচিত ও অশোভনীয়।
উত্তর দিয়েছেন মুফতি হাসান আরিফ ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: জুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
শরিফুল ইসলাম, নেত্রকোনা
উত্তর: জুমার নামাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো খুতবা। খুতবা চলাকালে নিশ্চুপ ও মনোযোগসহকারে তা শোনা ওয়াজিব এবং যেকোনো ধরনের অনর্থক কাজে ব্যস্ত থাকা গুরুতর গুনাহ। তাই খুতবার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করা শরিয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
খুতবার গুরুত্ব ও মনোযোগের নির্দেশ
নবী করিম (সা.)-এর একাধিক হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে খুতবা চলাকালে নিশ্চুপ থাকা কতটা জরুরি। এমনকি অন্য কাউকে কথা বলতে নিষেধ করাও ইসলামে অনুচিত। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিন খুতবার সময় যদি তুমি তোমার পাশের সঙ্গীকে বলো—চুপ করো; সেটাও অনর্থক।’ (সহিহ বুখারি: ৯৩৪; সহিহ মুসলিম: ৮৫১)। এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, খুতবার সময় যেকোনো ধরনের কথাবার্তা বা মনঃসংযোগ বিঘ্নকারী কাজ করা অনুচিত।
খুতবা চলাকালে নিষিদ্ধ কাজসমূহ
খুতবার সময় শুধু কথা বলাই নয়, বরং আরও কিছু কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফিকহ শাস্ত্রের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ ‘ফাতাওয়ায়ে শামি’-তে একটি মূলনীতি উল্লেখ রয়েছে, ‘যেসব কর্ম নামাজের মধ্যে হারাম, তা খুতবা চলাকালেও হারাম। যেমন কথা বলা, পানাহার করা ইত্যাদি।’ (ফাতাওয়ায়ে শামি: ৩/৩৫)
এই মূলনীতি অনুসারে, মোবাইল ফোনে কথা বলা, মেসেজ চেক করা, গেমস খেলা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত থাকার মতো কাজগুলো সম্পূর্ণ শরিয়ত পরিপন্থী। কেননা, এসব কাজ নামাজের মনঃসংযোগ নষ্ট করার মতোই খুতবার পবিত্রতা ও গুরুত্বকে ক্ষুণ্ন করে। অনেক মসজিদে খুতবা চলাকালে দানবাক্স চালানো হয়, যা শরিয়তের দৃষ্টিতে অনুচিত ও অশোভনীয়।
উত্তর দিয়েছেন মুফতি হাসান আরিফ ইসলামবিষয়ক গবেষক
মানুষের জীবনের প্রতিটি কাজের মধ্যে মহানবী (সা.)-এর উত্তম আদর্শ বিদ্যমান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি অধ্যায় তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে সাজানো উচিত। খাবার গ্রহণ জীবনের একটি অপরিহার্য কাজ। যদি এ খাবার গ্রহণও মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী করা হয়, তাহলে ক্ষুধার নিবারণ হওয়ার পাশাপাশি এর মাধ্যমে...
৯ ঘণ্টা আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
১ দিন আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
১ দিন আগেনবীজি (সা.) সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর দয়া ও ভালোবাসা শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা পশুপাখিসহ সব প্রাণীর প্রতি প্রসারিত হয়েছিল। তবে বিড়ালের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিড়ালের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা ইসলামে প্রাণীর অধিকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
১ দিন আগে