কাউসার লাবীব

আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম ইতিকাফ। ইতিকাফের মাধ্যমে আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। দুনিয়ার মোহ দূর হয় হৃদয় থেকে। ইতিকাফের দিনগুলিতে মুমিন বান্দা নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর ইবাদতে নিবেদিত করে। বিশেষ করে রমজানে এই ইবাদতের মাধ্যমে লাইলাতুল কদর সন্ধান করার সুযোগ হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগ থেকেই এ ধারা চলে আসছে। তাই একান্ত জরুরি কোনো ব্যস্ততা না থাকলে রমজানের শেষ দশক ইতিকাফে কাটানোই উত্তম।
ইতিকাফ কী
আরবি শব্দ ইতিকাফের অর্থ কোনো স্থানে অবস্থান করা বা নিজেকে সেখানে সীমাবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মসজিদে অবস্থান করা। দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকা।’
ইতিকাফ আগেকার নবীদের সময় থেকেই চলে আসছে। পবিত্র কোরআনে এ কথার উল্লেখ আছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে হুকুম করি, তোমরা আমার ঘরকে সেই সব লোকের জন্য পবিত্র করো, যারা (এখানে) তাওয়াফ করবে, ইতিকাফ করবে এবং রুকু ও সিজদা আদায় করবে।’ (সুরা বাকারা: ১২৫)
ইতিকাফের প্রকার ও বিধান
ইতিকাফ তিন প্রকার:
এক. সুন্নত: রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ।
দুই. নফল: যেকোনো সময়ের ইতিকাফ।
তিন. ওয়াজিব: মান্নতের ইতিকাফ।
তিন প্রকারের যেকোনো ইতিকাফ পুরুষের জন্য শুধু মসজিদে করার সুযোগ আছে। তবে নারীরা ঘরে নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইতিকাফ করবে। রমজানের শেষ দশক তথা ২০ রমজানের সূর্যাস্ত থেকে ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়া বা ৩০ রমজান পূর্ণ হয়ে ওই দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। তাই কোনো মসজিদ মহল্লায় কয়েকজন বা কোনো একজন আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে। আর কেউই ইতিকাফ না করলে সুন্নতে মুয়াক্কাদা পরিত্যাগ করার জন্য সবাই গুনাহগার হবে। তবে আদায়ের ক্ষেত্রে যিনি বা যারা আদায় করবেন, শুধু তিনি বা তারাই সওয়াব পাবেন।
মনে রাখার বিষয় হলো, ইতিকাফের জন্য নিয়ত করা আবশ্যক। নিয়ত ছাড়া ইতিকাফ শুদ্ধ হয় না। নিয়ত মনে মনে করলেই হয়ে যাবে। মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করা আবশ্যক নয়।
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ
ইতিকাফের সময় একজন ব্যক্তি সমাজের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে শুধু আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করেন। তাই এর মাধ্যমে ব্যক্তির আধ্যাত্মিক উন্নতি ঘটে, আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় হয় এবং আল্লাহর রহমত লাভের সুযোগ বৃদ্ধি পায়। এসব কারণে ইসলামে ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ খুব গুরুত্ব বহন করে।
রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফকে হজরত নবী করিম (সা.) গুরুত্বের সঙ্গে দেখতেন। সাহাবায়ে কেরামও আমলটিকে খুব গুরুত্ব দিতেন। এমনকি নবীপত্নীগণও ইতিকাফ করতে ভুলতেন না।
উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশ দিনে ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীরাও ইতিকাফ করতেন। (বুখারি: ২০২৬)
ইমাম জুহরি (রহ.) বলেন, ‘অনেক আমল তো নবীজি (সা.) কখনো করেছেন আবার কখনো ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু মদিনায় হিজরত করার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফের আমলটি তিনি কখনোই ছাড়েননি।’ (ফাতহুল বারি: ৪ / ২৮৫)
ইতিকাফের প্রস্তুতি
ইতিকাফের সময় শুধু আল্লাহর ইবাদতেই মশগুল থাকতে হবে। ইতিকাফের সময় সুস্থ থাকাও প্রয়োজন। তাই ইতিকাফের আগে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। তাছাড়া ইতিকাফের সময় প্রয়োজনীয় কোনো জিনিসের কারণে যেন ইবাদতে মনোযোগ নষ্ট না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় আসবাবগুলো আগে থেকেই সঙ্গে নিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। যেমন বিছানাপত্র, পরিধেয় কাপড়, টয়লেট টিস্যু, সাবান-শ্যাম্পু, পানি পানের পাত্র, প্লেট-বাটি, মূল্যবান জিনিস সংরক্ষণের জন্য তালা দেওয়া যায়—এমন ব্যাগ বা লাগেজ ইত্যাদি। পাশাপাশি সঙ্গে কিছু ধর্মীয় বইও রাখা যেতে পারে।
ইতিকাফের আমল
ইতিকাফ হতে হবে আমলে ভরপুর। শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের কাজেই ইতিকাফের সময়গুলো ব্যয় করা প্রয়োজন। তাই ইতিকাফের আগে ব্যক্তিগত বা সাংসারিক ব্যস্ততাগুলো শেষ করা উচিত, যেন ইতিকাফে অন্যমনষ্ক হতে না হয়। দুনিয়াবি কোনো ব্যস্ততা বা কাজ যেন ইতিকাফে না হয়, সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, হাদিস অধ্যয়ন, ধর্মীয় বই পাঠ, দোয়া-ইস্তিগফার, জিকির ও তাসবিহে কাটাতে হবে পুরোটা সময়।
সর্বোপরি দুনিয়াবি চিন্তা, কাজ-কর্ম থেকে বিরত থেকে মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও লাইলাতুল কদর পেতে ইবাদাত-বন্দেগিতে মশগুল থাকাই ইতিকাফের মূল লক্ষ্য।
রমজানের প্রকৃত সফলতা অর্জনে যেসব ইবাদতকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়—ইতিকাফ তার মধ্যে অন্যতম। আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং দুনিয়ার মোহ থেকে দূরে থাকার এক অনন্য মাধ্যম ধরা হয় ইতিকাফকে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ইতিকাফের বিষয়গুলো জেনে-বুঝে যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন।

আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম ইতিকাফ। ইতিকাফের মাধ্যমে আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। দুনিয়ার মোহ দূর হয় হৃদয় থেকে। ইতিকাফের দিনগুলিতে মুমিন বান্দা নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর ইবাদতে নিবেদিত করে। বিশেষ করে রমজানে এই ইবাদতের মাধ্যমে লাইলাতুল কদর সন্ধান করার সুযোগ হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগ থেকেই এ ধারা চলে আসছে। তাই একান্ত জরুরি কোনো ব্যস্ততা না থাকলে রমজানের শেষ দশক ইতিকাফে কাটানোই উত্তম।
ইতিকাফ কী
আরবি শব্দ ইতিকাফের অর্থ কোনো স্থানে অবস্থান করা বা নিজেকে সেখানে সীমাবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মসজিদে অবস্থান করা। দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকা।’
ইতিকাফ আগেকার নবীদের সময় থেকেই চলে আসছে। পবিত্র কোরআনে এ কথার উল্লেখ আছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে হুকুম করি, তোমরা আমার ঘরকে সেই সব লোকের জন্য পবিত্র করো, যারা (এখানে) তাওয়াফ করবে, ইতিকাফ করবে এবং রুকু ও সিজদা আদায় করবে।’ (সুরা বাকারা: ১২৫)
ইতিকাফের প্রকার ও বিধান
ইতিকাফ তিন প্রকার:
এক. সুন্নত: রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ।
দুই. নফল: যেকোনো সময়ের ইতিকাফ।
তিন. ওয়াজিব: মান্নতের ইতিকাফ।
তিন প্রকারের যেকোনো ইতিকাফ পুরুষের জন্য শুধু মসজিদে করার সুযোগ আছে। তবে নারীরা ঘরে নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইতিকাফ করবে। রমজানের শেষ দশক তথা ২০ রমজানের সূর্যাস্ত থেকে ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়া বা ৩০ রমজান পূর্ণ হয়ে ওই দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। তাই কোনো মসজিদ মহল্লায় কয়েকজন বা কোনো একজন আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে। আর কেউই ইতিকাফ না করলে সুন্নতে মুয়াক্কাদা পরিত্যাগ করার জন্য সবাই গুনাহগার হবে। তবে আদায়ের ক্ষেত্রে যিনি বা যারা আদায় করবেন, শুধু তিনি বা তারাই সওয়াব পাবেন।
মনে রাখার বিষয় হলো, ইতিকাফের জন্য নিয়ত করা আবশ্যক। নিয়ত ছাড়া ইতিকাফ শুদ্ধ হয় না। নিয়ত মনে মনে করলেই হয়ে যাবে। মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করা আবশ্যক নয়।
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ
ইতিকাফের সময় একজন ব্যক্তি সমাজের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে শুধু আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করেন। তাই এর মাধ্যমে ব্যক্তির আধ্যাত্মিক উন্নতি ঘটে, আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় হয় এবং আল্লাহর রহমত লাভের সুযোগ বৃদ্ধি পায়। এসব কারণে ইসলামে ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ খুব গুরুত্ব বহন করে।
রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফকে হজরত নবী করিম (সা.) গুরুত্বের সঙ্গে দেখতেন। সাহাবায়ে কেরামও আমলটিকে খুব গুরুত্ব দিতেন। এমনকি নবীপত্নীগণও ইতিকাফ করতে ভুলতেন না।
উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশ দিনে ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীরাও ইতিকাফ করতেন। (বুখারি: ২০২৬)
ইমাম জুহরি (রহ.) বলেন, ‘অনেক আমল তো নবীজি (সা.) কখনো করেছেন আবার কখনো ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু মদিনায় হিজরত করার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফের আমলটি তিনি কখনোই ছাড়েননি।’ (ফাতহুল বারি: ৪ / ২৮৫)
ইতিকাফের প্রস্তুতি
ইতিকাফের সময় শুধু আল্লাহর ইবাদতেই মশগুল থাকতে হবে। ইতিকাফের সময় সুস্থ থাকাও প্রয়োজন। তাই ইতিকাফের আগে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। তাছাড়া ইতিকাফের সময় প্রয়োজনীয় কোনো জিনিসের কারণে যেন ইবাদতে মনোযোগ নষ্ট না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় আসবাবগুলো আগে থেকেই সঙ্গে নিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। যেমন বিছানাপত্র, পরিধেয় কাপড়, টয়লেট টিস্যু, সাবান-শ্যাম্পু, পানি পানের পাত্র, প্লেট-বাটি, মূল্যবান জিনিস সংরক্ষণের জন্য তালা দেওয়া যায়—এমন ব্যাগ বা লাগেজ ইত্যাদি। পাশাপাশি সঙ্গে কিছু ধর্মীয় বইও রাখা যেতে পারে।
ইতিকাফের আমল
ইতিকাফ হতে হবে আমলে ভরপুর। শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের কাজেই ইতিকাফের সময়গুলো ব্যয় করা প্রয়োজন। তাই ইতিকাফের আগে ব্যক্তিগত বা সাংসারিক ব্যস্ততাগুলো শেষ করা উচিত, যেন ইতিকাফে অন্যমনষ্ক হতে না হয়। দুনিয়াবি কোনো ব্যস্ততা বা কাজ যেন ইতিকাফে না হয়, সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, হাদিস অধ্যয়ন, ধর্মীয় বই পাঠ, দোয়া-ইস্তিগফার, জিকির ও তাসবিহে কাটাতে হবে পুরোটা সময়।
সর্বোপরি দুনিয়াবি চিন্তা, কাজ-কর্ম থেকে বিরত থেকে মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও লাইলাতুল কদর পেতে ইবাদাত-বন্দেগিতে মশগুল থাকাই ইতিকাফের মূল লক্ষ্য।
রমজানের প্রকৃত সফলতা অর্জনে যেসব ইবাদতকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়—ইতিকাফ তার মধ্যে অন্যতম। আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং দুনিয়ার মোহ থেকে দূরে থাকার এক অনন্য মাধ্যম ধরা হয় ইতিকাফকে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ইতিকাফের বিষয়গুলো জেনে-বুঝে যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন।
কাউসার লাবীব

আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম ইতিকাফ। ইতিকাফের মাধ্যমে আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। দুনিয়ার মোহ দূর হয় হৃদয় থেকে। ইতিকাফের দিনগুলিতে মুমিন বান্দা নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর ইবাদতে নিবেদিত করে। বিশেষ করে রমজানে এই ইবাদতের মাধ্যমে লাইলাতুল কদর সন্ধান করার সুযোগ হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগ থেকেই এ ধারা চলে আসছে। তাই একান্ত জরুরি কোনো ব্যস্ততা না থাকলে রমজানের শেষ দশক ইতিকাফে কাটানোই উত্তম।
ইতিকাফ কী
আরবি শব্দ ইতিকাফের অর্থ কোনো স্থানে অবস্থান করা বা নিজেকে সেখানে সীমাবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মসজিদে অবস্থান করা। দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকা।’
ইতিকাফ আগেকার নবীদের সময় থেকেই চলে আসছে। পবিত্র কোরআনে এ কথার উল্লেখ আছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে হুকুম করি, তোমরা আমার ঘরকে সেই সব লোকের জন্য পবিত্র করো, যারা (এখানে) তাওয়াফ করবে, ইতিকাফ করবে এবং রুকু ও সিজদা আদায় করবে।’ (সুরা বাকারা: ১২৫)
ইতিকাফের প্রকার ও বিধান
ইতিকাফ তিন প্রকার:
এক. সুন্নত: রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ।
দুই. নফল: যেকোনো সময়ের ইতিকাফ।
তিন. ওয়াজিব: মান্নতের ইতিকাফ।
তিন প্রকারের যেকোনো ইতিকাফ পুরুষের জন্য শুধু মসজিদে করার সুযোগ আছে। তবে নারীরা ঘরে নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইতিকাফ করবে। রমজানের শেষ দশক তথা ২০ রমজানের সূর্যাস্ত থেকে ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়া বা ৩০ রমজান পূর্ণ হয়ে ওই দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। তাই কোনো মসজিদ মহল্লায় কয়েকজন বা কোনো একজন আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে। আর কেউই ইতিকাফ না করলে সুন্নতে মুয়াক্কাদা পরিত্যাগ করার জন্য সবাই গুনাহগার হবে। তবে আদায়ের ক্ষেত্রে যিনি বা যারা আদায় করবেন, শুধু তিনি বা তারাই সওয়াব পাবেন।
মনে রাখার বিষয় হলো, ইতিকাফের জন্য নিয়ত করা আবশ্যক। নিয়ত ছাড়া ইতিকাফ শুদ্ধ হয় না। নিয়ত মনে মনে করলেই হয়ে যাবে। মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করা আবশ্যক নয়।
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ
ইতিকাফের সময় একজন ব্যক্তি সমাজের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে শুধু আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করেন। তাই এর মাধ্যমে ব্যক্তির আধ্যাত্মিক উন্নতি ঘটে, আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় হয় এবং আল্লাহর রহমত লাভের সুযোগ বৃদ্ধি পায়। এসব কারণে ইসলামে ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ খুব গুরুত্ব বহন করে।
রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফকে হজরত নবী করিম (সা.) গুরুত্বের সঙ্গে দেখতেন। সাহাবায়ে কেরামও আমলটিকে খুব গুরুত্ব দিতেন। এমনকি নবীপত্নীগণও ইতিকাফ করতে ভুলতেন না।
উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশ দিনে ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীরাও ইতিকাফ করতেন। (বুখারি: ২০২৬)
ইমাম জুহরি (রহ.) বলেন, ‘অনেক আমল তো নবীজি (সা.) কখনো করেছেন আবার কখনো ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু মদিনায় হিজরত করার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফের আমলটি তিনি কখনোই ছাড়েননি।’ (ফাতহুল বারি: ৪ / ২৮৫)
ইতিকাফের প্রস্তুতি
ইতিকাফের সময় শুধু আল্লাহর ইবাদতেই মশগুল থাকতে হবে। ইতিকাফের সময় সুস্থ থাকাও প্রয়োজন। তাই ইতিকাফের আগে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। তাছাড়া ইতিকাফের সময় প্রয়োজনীয় কোনো জিনিসের কারণে যেন ইবাদতে মনোযোগ নষ্ট না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় আসবাবগুলো আগে থেকেই সঙ্গে নিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। যেমন বিছানাপত্র, পরিধেয় কাপড়, টয়লেট টিস্যু, সাবান-শ্যাম্পু, পানি পানের পাত্র, প্লেট-বাটি, মূল্যবান জিনিস সংরক্ষণের জন্য তালা দেওয়া যায়—এমন ব্যাগ বা লাগেজ ইত্যাদি। পাশাপাশি সঙ্গে কিছু ধর্মীয় বইও রাখা যেতে পারে।
ইতিকাফের আমল
ইতিকাফ হতে হবে আমলে ভরপুর। শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের কাজেই ইতিকাফের সময়গুলো ব্যয় করা প্রয়োজন। তাই ইতিকাফের আগে ব্যক্তিগত বা সাংসারিক ব্যস্ততাগুলো শেষ করা উচিত, যেন ইতিকাফে অন্যমনষ্ক হতে না হয়। দুনিয়াবি কোনো ব্যস্ততা বা কাজ যেন ইতিকাফে না হয়, সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, হাদিস অধ্যয়ন, ধর্মীয় বই পাঠ, দোয়া-ইস্তিগফার, জিকির ও তাসবিহে কাটাতে হবে পুরোটা সময়।
সর্বোপরি দুনিয়াবি চিন্তা, কাজ-কর্ম থেকে বিরত থেকে মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও লাইলাতুল কদর পেতে ইবাদাত-বন্দেগিতে মশগুল থাকাই ইতিকাফের মূল লক্ষ্য।
রমজানের প্রকৃত সফলতা অর্জনে যেসব ইবাদতকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়—ইতিকাফ তার মধ্যে অন্যতম। আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং দুনিয়ার মোহ থেকে দূরে থাকার এক অনন্য মাধ্যম ধরা হয় ইতিকাফকে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ইতিকাফের বিষয়গুলো জেনে-বুঝে যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন।

আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম ইতিকাফ। ইতিকাফের মাধ্যমে আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। দুনিয়ার মোহ দূর হয় হৃদয় থেকে। ইতিকাফের দিনগুলিতে মুমিন বান্দা নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর ইবাদতে নিবেদিত করে। বিশেষ করে রমজানে এই ইবাদতের মাধ্যমে লাইলাতুল কদর সন্ধান করার সুযোগ হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগ থেকেই এ ধারা চলে আসছে। তাই একান্ত জরুরি কোনো ব্যস্ততা না থাকলে রমজানের শেষ দশক ইতিকাফে কাটানোই উত্তম।
ইতিকাফ কী
আরবি শব্দ ইতিকাফের অর্থ কোনো স্থানে অবস্থান করা বা নিজেকে সেখানে সীমাবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মসজিদে অবস্থান করা। দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকা।’
ইতিকাফ আগেকার নবীদের সময় থেকেই চলে আসছে। পবিত্র কোরআনে এ কথার উল্লেখ আছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে হুকুম করি, তোমরা আমার ঘরকে সেই সব লোকের জন্য পবিত্র করো, যারা (এখানে) তাওয়াফ করবে, ইতিকাফ করবে এবং রুকু ও সিজদা আদায় করবে।’ (সুরা বাকারা: ১২৫)
ইতিকাফের প্রকার ও বিধান
ইতিকাফ তিন প্রকার:
এক. সুন্নত: রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ।
দুই. নফল: যেকোনো সময়ের ইতিকাফ।
তিন. ওয়াজিব: মান্নতের ইতিকাফ।
তিন প্রকারের যেকোনো ইতিকাফ পুরুষের জন্য শুধু মসজিদে করার সুযোগ আছে। তবে নারীরা ঘরে নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইতিকাফ করবে। রমজানের শেষ দশক তথা ২০ রমজানের সূর্যাস্ত থেকে ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়া বা ৩০ রমজান পূর্ণ হয়ে ওই দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। তাই কোনো মসজিদ মহল্লায় কয়েকজন বা কোনো একজন আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে। আর কেউই ইতিকাফ না করলে সুন্নতে মুয়াক্কাদা পরিত্যাগ করার জন্য সবাই গুনাহগার হবে। তবে আদায়ের ক্ষেত্রে যিনি বা যারা আদায় করবেন, শুধু তিনি বা তারাই সওয়াব পাবেন।
মনে রাখার বিষয় হলো, ইতিকাফের জন্য নিয়ত করা আবশ্যক। নিয়ত ছাড়া ইতিকাফ শুদ্ধ হয় না। নিয়ত মনে মনে করলেই হয়ে যাবে। মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করা আবশ্যক নয়।
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ
ইতিকাফের সময় একজন ব্যক্তি সমাজের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে শুধু আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করেন। তাই এর মাধ্যমে ব্যক্তির আধ্যাত্মিক উন্নতি ঘটে, আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় হয় এবং আল্লাহর রহমত লাভের সুযোগ বৃদ্ধি পায়। এসব কারণে ইসলামে ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ খুব গুরুত্ব বহন করে।
রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফকে হজরত নবী করিম (সা.) গুরুত্বের সঙ্গে দেখতেন। সাহাবায়ে কেরামও আমলটিকে খুব গুরুত্ব দিতেন। এমনকি নবীপত্নীগণও ইতিকাফ করতে ভুলতেন না।
উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশ দিনে ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীরাও ইতিকাফ করতেন। (বুখারি: ২০২৬)
ইমাম জুহরি (রহ.) বলেন, ‘অনেক আমল তো নবীজি (সা.) কখনো করেছেন আবার কখনো ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু মদিনায় হিজরত করার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফের আমলটি তিনি কখনোই ছাড়েননি।’ (ফাতহুল বারি: ৪ / ২৮৫)
ইতিকাফের প্রস্তুতি
ইতিকাফের সময় শুধু আল্লাহর ইবাদতেই মশগুল থাকতে হবে। ইতিকাফের সময় সুস্থ থাকাও প্রয়োজন। তাই ইতিকাফের আগে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। তাছাড়া ইতিকাফের সময় প্রয়োজনীয় কোনো জিনিসের কারণে যেন ইবাদতে মনোযোগ নষ্ট না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় আসবাবগুলো আগে থেকেই সঙ্গে নিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। যেমন বিছানাপত্র, পরিধেয় কাপড়, টয়লেট টিস্যু, সাবান-শ্যাম্পু, পানি পানের পাত্র, প্লেট-বাটি, মূল্যবান জিনিস সংরক্ষণের জন্য তালা দেওয়া যায়—এমন ব্যাগ বা লাগেজ ইত্যাদি। পাশাপাশি সঙ্গে কিছু ধর্মীয় বইও রাখা যেতে পারে।
ইতিকাফের আমল
ইতিকাফ হতে হবে আমলে ভরপুর। শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের কাজেই ইতিকাফের সময়গুলো ব্যয় করা প্রয়োজন। তাই ইতিকাফের আগে ব্যক্তিগত বা সাংসারিক ব্যস্ততাগুলো শেষ করা উচিত, যেন ইতিকাফে অন্যমনষ্ক হতে না হয়। দুনিয়াবি কোনো ব্যস্ততা বা কাজ যেন ইতিকাফে না হয়, সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, হাদিস অধ্যয়ন, ধর্মীয় বই পাঠ, দোয়া-ইস্তিগফার, জিকির ও তাসবিহে কাটাতে হবে পুরোটা সময়।
সর্বোপরি দুনিয়াবি চিন্তা, কাজ-কর্ম থেকে বিরত থেকে মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও লাইলাতুল কদর পেতে ইবাদাত-বন্দেগিতে মশগুল থাকাই ইতিকাফের মূল লক্ষ্য।
রমজানের প্রকৃত সফলতা অর্জনে যেসব ইবাদতকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়—ইতিকাফ তার মধ্যে অন্যতম। আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং দুনিয়ার মোহ থেকে দূরে থাকার এক অনন্য মাধ্যম ধরা হয় ইতিকাফকে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ইতিকাফের বিষয়গুলো জেনে-বুঝে যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২৩ মিনিট আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১০ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১২ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আরবি শব্দ ইতিকাফের অর্থ কোনো স্থানে অবস্থান করা বা নিজেকে সেখানে সীমাবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মসজিদে অবস্থান করা। দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকা।’
১৯ মার্চ ২০২৫
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১০ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১২ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

আরবি শব্দ ইতিকাফের অর্থ কোনো স্থানে অবস্থান করা বা নিজেকে সেখানে সীমাবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মসজিদে অবস্থান করা। দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকা।’
১৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২৩ মিনিট আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১২ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আরবি শব্দ ইতিকাফের অর্থ কোনো স্থানে অবস্থান করা বা নিজেকে সেখানে সীমাবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মসজিদে অবস্থান করা। দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকা।’
১৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২৩ মিনিট আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১০ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

আরবি শব্দ ইতিকাফের অর্থ কোনো স্থানে অবস্থান করা বা নিজেকে সেখানে সীমাবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মসজিদে অবস্থান করা। দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকা।’
১৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২৩ মিনিট আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১০ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১২ ঘণ্টা আগে