মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

মুহাম্মদ বিন কাসিম (৬৯৫-৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক বীর সেনানায়ক, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর অসাধারণ সমর কৌশল, প্রজাস্বত্ব আচরণ ও ইসলামের প্রসার ঘটানোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি শুধু একজন বিজয়ী সেনাপতিই ছিলেন না, বরং একজন বিচক্ষণ প্রশাসক, সুবিচারক ও সহনশীল শাসক ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন
মুহাম্মদ বিন কাসিম ৬৯৫ খ্রিষ্টাব্দে (৭৫ হিজরি) আরবের তায়েফ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বনি সাকিফ গোত্রের সন্তান। তাঁর পিতা কাসিম বিন ইউসুফ ছিলেন সম্মানিত ব্যক্তি। শৈশবে তিনি বীরত্ব, নেতৃত্বগুণ ও সামরিক কৌশলে দক্ষ হয়ে ওঠেন। খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান এবং পরবর্তীতে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের শাসনামলে তিনি দক্ষ সেনানায়কে পরিণত হন।
সিন্ধু বিজয়ের পটভূমি
সিন্ধু অঞ্চলে তখন রাজা দাহিরের শাসন চলছিল। যিনি অত্যাচারী ও অসহিষ্ণু শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মুসলিম ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা ও লুটপাটের কারণে উমাইয়া খলিফার অধীনস্থ ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ সিন্ধু আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে বেশ কয়েকটি ছোট অভিযান ব্যর্থ হলে ৭১২ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মদ বিন কাসিমের নেতৃত্বে একটি সুসজ্জিত বাহিনী পাঠানো হয়।
সিন্ধু বিজয় অভিযান
মুহাম্মদ বিন কাসিম মাত্র ১৭ বছর বয়সে এক বিশাল বাহিনী নিয়ে সিন্ধু অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তাঁর বাহিনীতে ৬ হাজার ঘোড়সওয়ার, ৬ হাজার উটসওয়ার এবং অসংখ্য পদাতিক সেনা ছিল। তিনি যুদ্ধের কৌশল ও প্রযুক্তিতে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। তাঁর সৈন্যরা যুদ্ধের সময় তেল মিশ্রিত আগুনের গোলক ব্যবহার করত, যা শত্রু বাহিনীর দুর্গ ভেঙে ফেলতে সাহায্য করত।
রাজা দাহিরের সঙ্গে যুদ্ধ সিন্ধুর অর্নার (বর্তমানে হায়দ্রাবাদ, পাকিস্তান) নামক স্থানে সংঘটিত হয়। মুহাম্মদ বিন কাসিমের দক্ষ নেতৃত্ব ও কৌশলগত চালের ফলে রাজা দাহির পরাজিত হন ও নিহত হন। এরপর মুহাম্মদ বিন কাসিম ক্রমান্বয়ে সমগ্র সিন্ধু অঞ্চল দখল করেন এবং ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
সিন্ধু বিজয়ের তাৎপর্য
ইসলামের প্রসার: মুহাম্মদ বিন কাসিমের বিজয়ের মাধ্যমে সিন্ধু অঞ্চলে ইসলামের আলো ছড়িয়ে পড়ে। তিনি স্থানীয় জনগণকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করতে সহনশীলতা ও ন্যায়বিচারের নীতি অনুসরণ করেন।
সুশৃঙ্খল প্রশাসন প্রতিষ্ঠা: তিনি বিজিত অঞ্চলে সুবিচার ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শাসনামলে স্থানীয় হিন্দু ও বৌদ্ধদের ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়া হয় এবং কর ব্যবস্থা সহজ করা হয়।
মুসলিম শাসনের পথ তৈরি: মুহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয় পরবর্তীতে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে, যা পরবর্তীকালে সুলতানাত ও মোগল সাম্রাজ্যের উত্থানে সহায়ক হয়।
মুহাম্মদ বিন কাসিমের নীতি
মুহাম্মদ বিন কাসিমের জীবন থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। যথা—
নৈতিকতা ও সুবিচার: তিনি মুসলিম ও অমুসলিম সবার প্রতি সুবিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
সামরিক দক্ষতা ও নেতৃত্ব: তিনি প্রমাণ করেন যে কৌশলগত নেতৃত্বই যুদ্ধে বিজয়ের মূল চাবিকাঠি।
ধর্মীয় সহনশীলতা: বিজিত জনগোষ্ঠীর প্রতি তাঁর ন্যায়বিচার ও সহনশীল মনোভাব মুসলিম শাসনের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।
নির্মম পরিণতি
মুহাম্মদ বিন কাসিমের বিজয়ের পর তিনি কিছু সময় সিন্ধুতে শান্তিপূর্ণ শাসন চালান। কিন্তু উমাইয়া খলিফা ও হাজ্জাজের মৃত্যুর পর নতুন শাসকেরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। এক ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগে ৭১৫ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে ইরাকে ডেকে পাঠানো হয় এবং সেখানে তিনি নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মুহাম্মদ বিন কাসিম ইতিহাসে এক মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি তাঁর অসাধারণ সামরিক প্রতিভা, সুবিচার ও ধর্মীয় সহনশীলতার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর সিন্ধু বিজয় শুধু ইসলামি ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায় নয়, বরং এটি ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোতেও গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি আজও এক মহান নেতা ও বিজয়ী হিসেবে স্মরণীয়।
সূত্র:
১. ইবনুল আসীর, আল-কামিল ফিত তারিখ
২. ইবনে খালদুন, মুকাদ্দিমা
৩. আবুল ফজল, আকবরনামা
৪. আল-বালাদুরি, ফুতুহুল বুলদান

মুহাম্মদ বিন কাসিম (৬৯৫-৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক বীর সেনানায়ক, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর অসাধারণ সমর কৌশল, প্রজাস্বত্ব আচরণ ও ইসলামের প্রসার ঘটানোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি শুধু একজন বিজয়ী সেনাপতিই ছিলেন না, বরং একজন বিচক্ষণ প্রশাসক, সুবিচারক ও সহনশীল শাসক ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন
মুহাম্মদ বিন কাসিম ৬৯৫ খ্রিষ্টাব্দে (৭৫ হিজরি) আরবের তায়েফ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বনি সাকিফ গোত্রের সন্তান। তাঁর পিতা কাসিম বিন ইউসুফ ছিলেন সম্মানিত ব্যক্তি। শৈশবে তিনি বীরত্ব, নেতৃত্বগুণ ও সামরিক কৌশলে দক্ষ হয়ে ওঠেন। খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান এবং পরবর্তীতে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের শাসনামলে তিনি দক্ষ সেনানায়কে পরিণত হন।
সিন্ধু বিজয়ের পটভূমি
সিন্ধু অঞ্চলে তখন রাজা দাহিরের শাসন চলছিল। যিনি অত্যাচারী ও অসহিষ্ণু শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মুসলিম ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা ও লুটপাটের কারণে উমাইয়া খলিফার অধীনস্থ ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ সিন্ধু আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে বেশ কয়েকটি ছোট অভিযান ব্যর্থ হলে ৭১২ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মদ বিন কাসিমের নেতৃত্বে একটি সুসজ্জিত বাহিনী পাঠানো হয়।
সিন্ধু বিজয় অভিযান
মুহাম্মদ বিন কাসিম মাত্র ১৭ বছর বয়সে এক বিশাল বাহিনী নিয়ে সিন্ধু অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তাঁর বাহিনীতে ৬ হাজার ঘোড়সওয়ার, ৬ হাজার উটসওয়ার এবং অসংখ্য পদাতিক সেনা ছিল। তিনি যুদ্ধের কৌশল ও প্রযুক্তিতে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। তাঁর সৈন্যরা যুদ্ধের সময় তেল মিশ্রিত আগুনের গোলক ব্যবহার করত, যা শত্রু বাহিনীর দুর্গ ভেঙে ফেলতে সাহায্য করত।
রাজা দাহিরের সঙ্গে যুদ্ধ সিন্ধুর অর্নার (বর্তমানে হায়দ্রাবাদ, পাকিস্তান) নামক স্থানে সংঘটিত হয়। মুহাম্মদ বিন কাসিমের দক্ষ নেতৃত্ব ও কৌশলগত চালের ফলে রাজা দাহির পরাজিত হন ও নিহত হন। এরপর মুহাম্মদ বিন কাসিম ক্রমান্বয়ে সমগ্র সিন্ধু অঞ্চল দখল করেন এবং ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
সিন্ধু বিজয়ের তাৎপর্য
ইসলামের প্রসার: মুহাম্মদ বিন কাসিমের বিজয়ের মাধ্যমে সিন্ধু অঞ্চলে ইসলামের আলো ছড়িয়ে পড়ে। তিনি স্থানীয় জনগণকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করতে সহনশীলতা ও ন্যায়বিচারের নীতি অনুসরণ করেন।
সুশৃঙ্খল প্রশাসন প্রতিষ্ঠা: তিনি বিজিত অঞ্চলে সুবিচার ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শাসনামলে স্থানীয় হিন্দু ও বৌদ্ধদের ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়া হয় এবং কর ব্যবস্থা সহজ করা হয়।
মুসলিম শাসনের পথ তৈরি: মুহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয় পরবর্তীতে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে, যা পরবর্তীকালে সুলতানাত ও মোগল সাম্রাজ্যের উত্থানে সহায়ক হয়।
মুহাম্মদ বিন কাসিমের নীতি
মুহাম্মদ বিন কাসিমের জীবন থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। যথা—
নৈতিকতা ও সুবিচার: তিনি মুসলিম ও অমুসলিম সবার প্রতি সুবিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
সামরিক দক্ষতা ও নেতৃত্ব: তিনি প্রমাণ করেন যে কৌশলগত নেতৃত্বই যুদ্ধে বিজয়ের মূল চাবিকাঠি।
ধর্মীয় সহনশীলতা: বিজিত জনগোষ্ঠীর প্রতি তাঁর ন্যায়বিচার ও সহনশীল মনোভাব মুসলিম শাসনের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।
নির্মম পরিণতি
মুহাম্মদ বিন কাসিমের বিজয়ের পর তিনি কিছু সময় সিন্ধুতে শান্তিপূর্ণ শাসন চালান। কিন্তু উমাইয়া খলিফা ও হাজ্জাজের মৃত্যুর পর নতুন শাসকেরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। এক ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগে ৭১৫ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে ইরাকে ডেকে পাঠানো হয় এবং সেখানে তিনি নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মুহাম্মদ বিন কাসিম ইতিহাসে এক মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি তাঁর অসাধারণ সামরিক প্রতিভা, সুবিচার ও ধর্মীয় সহনশীলতার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর সিন্ধু বিজয় শুধু ইসলামি ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায় নয়, বরং এটি ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোতেও গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি আজও এক মহান নেতা ও বিজয়ী হিসেবে স্মরণীয়।
সূত্র:
১. ইবনুল আসীর, আল-কামিল ফিত তারিখ
২. ইবনে খালদুন, মুকাদ্দিমা
৩. আবুল ফজল, আকবরনামা
৪. আল-বালাদুরি, ফুতুহুল বুলদান
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

মুহাম্মদ বিন কাসিম (৬৯৫-৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক বীর সেনানায়ক, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর অসাধারণ সমর কৌশল, প্রজাস্বত্ব আচরণ ও ইসলামের প্রসার ঘটানোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি শুধু একজন বিজয়ী সেনাপতিই ছিলেন না, বরং একজন বিচক্ষণ প্রশাসক, সুবিচারক ও সহনশীল শাসক ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন
মুহাম্মদ বিন কাসিম ৬৯৫ খ্রিষ্টাব্দে (৭৫ হিজরি) আরবের তায়েফ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বনি সাকিফ গোত্রের সন্তান। তাঁর পিতা কাসিম বিন ইউসুফ ছিলেন সম্মানিত ব্যক্তি। শৈশবে তিনি বীরত্ব, নেতৃত্বগুণ ও সামরিক কৌশলে দক্ষ হয়ে ওঠেন। খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান এবং পরবর্তীতে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের শাসনামলে তিনি দক্ষ সেনানায়কে পরিণত হন।
সিন্ধু বিজয়ের পটভূমি
সিন্ধু অঞ্চলে তখন রাজা দাহিরের শাসন চলছিল। যিনি অত্যাচারী ও অসহিষ্ণু শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মুসলিম ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা ও লুটপাটের কারণে উমাইয়া খলিফার অধীনস্থ ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ সিন্ধু আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে বেশ কয়েকটি ছোট অভিযান ব্যর্থ হলে ৭১২ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মদ বিন কাসিমের নেতৃত্বে একটি সুসজ্জিত বাহিনী পাঠানো হয়।
সিন্ধু বিজয় অভিযান
মুহাম্মদ বিন কাসিম মাত্র ১৭ বছর বয়সে এক বিশাল বাহিনী নিয়ে সিন্ধু অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তাঁর বাহিনীতে ৬ হাজার ঘোড়সওয়ার, ৬ হাজার উটসওয়ার এবং অসংখ্য পদাতিক সেনা ছিল। তিনি যুদ্ধের কৌশল ও প্রযুক্তিতে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। তাঁর সৈন্যরা যুদ্ধের সময় তেল মিশ্রিত আগুনের গোলক ব্যবহার করত, যা শত্রু বাহিনীর দুর্গ ভেঙে ফেলতে সাহায্য করত।
রাজা দাহিরের সঙ্গে যুদ্ধ সিন্ধুর অর্নার (বর্তমানে হায়দ্রাবাদ, পাকিস্তান) নামক স্থানে সংঘটিত হয়। মুহাম্মদ বিন কাসিমের দক্ষ নেতৃত্ব ও কৌশলগত চালের ফলে রাজা দাহির পরাজিত হন ও নিহত হন। এরপর মুহাম্মদ বিন কাসিম ক্রমান্বয়ে সমগ্র সিন্ধু অঞ্চল দখল করেন এবং ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
সিন্ধু বিজয়ের তাৎপর্য
ইসলামের প্রসার: মুহাম্মদ বিন কাসিমের বিজয়ের মাধ্যমে সিন্ধু অঞ্চলে ইসলামের আলো ছড়িয়ে পড়ে। তিনি স্থানীয় জনগণকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করতে সহনশীলতা ও ন্যায়বিচারের নীতি অনুসরণ করেন।
সুশৃঙ্খল প্রশাসন প্রতিষ্ঠা: তিনি বিজিত অঞ্চলে সুবিচার ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শাসনামলে স্থানীয় হিন্দু ও বৌদ্ধদের ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়া হয় এবং কর ব্যবস্থা সহজ করা হয়।
মুসলিম শাসনের পথ তৈরি: মুহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয় পরবর্তীতে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে, যা পরবর্তীকালে সুলতানাত ও মোগল সাম্রাজ্যের উত্থানে সহায়ক হয়।
মুহাম্মদ বিন কাসিমের নীতি
মুহাম্মদ বিন কাসিমের জীবন থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। যথা—
নৈতিকতা ও সুবিচার: তিনি মুসলিম ও অমুসলিম সবার প্রতি সুবিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
সামরিক দক্ষতা ও নেতৃত্ব: তিনি প্রমাণ করেন যে কৌশলগত নেতৃত্বই যুদ্ধে বিজয়ের মূল চাবিকাঠি।
ধর্মীয় সহনশীলতা: বিজিত জনগোষ্ঠীর প্রতি তাঁর ন্যায়বিচার ও সহনশীল মনোভাব মুসলিম শাসনের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।
নির্মম পরিণতি
মুহাম্মদ বিন কাসিমের বিজয়ের পর তিনি কিছু সময় সিন্ধুতে শান্তিপূর্ণ শাসন চালান। কিন্তু উমাইয়া খলিফা ও হাজ্জাজের মৃত্যুর পর নতুন শাসকেরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। এক ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগে ৭১৫ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে ইরাকে ডেকে পাঠানো হয় এবং সেখানে তিনি নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মুহাম্মদ বিন কাসিম ইতিহাসে এক মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি তাঁর অসাধারণ সামরিক প্রতিভা, সুবিচার ও ধর্মীয় সহনশীলতার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর সিন্ধু বিজয় শুধু ইসলামি ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায় নয়, বরং এটি ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোতেও গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি আজও এক মহান নেতা ও বিজয়ী হিসেবে স্মরণীয়।
সূত্র:
১. ইবনুল আসীর, আল-কামিল ফিত তারিখ
২. ইবনে খালদুন, মুকাদ্দিমা
৩. আবুল ফজল, আকবরনামা
৪. আল-বালাদুরি, ফুতুহুল বুলদান

মুহাম্মদ বিন কাসিম (৬৯৫-৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক বীর সেনানায়ক, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর অসাধারণ সমর কৌশল, প্রজাস্বত্ব আচরণ ও ইসলামের প্রসার ঘটানোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি শুধু একজন বিজয়ী সেনাপতিই ছিলেন না, বরং একজন বিচক্ষণ প্রশাসক, সুবিচারক ও সহনশীল শাসক ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন
মুহাম্মদ বিন কাসিম ৬৯৫ খ্রিষ্টাব্দে (৭৫ হিজরি) আরবের তায়েফ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বনি সাকিফ গোত্রের সন্তান। তাঁর পিতা কাসিম বিন ইউসুফ ছিলেন সম্মানিত ব্যক্তি। শৈশবে তিনি বীরত্ব, নেতৃত্বগুণ ও সামরিক কৌশলে দক্ষ হয়ে ওঠেন। খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান এবং পরবর্তীতে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের শাসনামলে তিনি দক্ষ সেনানায়কে পরিণত হন।
সিন্ধু বিজয়ের পটভূমি
সিন্ধু অঞ্চলে তখন রাজা দাহিরের শাসন চলছিল। যিনি অত্যাচারী ও অসহিষ্ণু শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মুসলিম ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা ও লুটপাটের কারণে উমাইয়া খলিফার অধীনস্থ ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ সিন্ধু আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে বেশ কয়েকটি ছোট অভিযান ব্যর্থ হলে ৭১২ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মদ বিন কাসিমের নেতৃত্বে একটি সুসজ্জিত বাহিনী পাঠানো হয়।
সিন্ধু বিজয় অভিযান
মুহাম্মদ বিন কাসিম মাত্র ১৭ বছর বয়সে এক বিশাল বাহিনী নিয়ে সিন্ধু অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তাঁর বাহিনীতে ৬ হাজার ঘোড়সওয়ার, ৬ হাজার উটসওয়ার এবং অসংখ্য পদাতিক সেনা ছিল। তিনি যুদ্ধের কৌশল ও প্রযুক্তিতে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। তাঁর সৈন্যরা যুদ্ধের সময় তেল মিশ্রিত আগুনের গোলক ব্যবহার করত, যা শত্রু বাহিনীর দুর্গ ভেঙে ফেলতে সাহায্য করত।
রাজা দাহিরের সঙ্গে যুদ্ধ সিন্ধুর অর্নার (বর্তমানে হায়দ্রাবাদ, পাকিস্তান) নামক স্থানে সংঘটিত হয়। মুহাম্মদ বিন কাসিমের দক্ষ নেতৃত্ব ও কৌশলগত চালের ফলে রাজা দাহির পরাজিত হন ও নিহত হন। এরপর মুহাম্মদ বিন কাসিম ক্রমান্বয়ে সমগ্র সিন্ধু অঞ্চল দখল করেন এবং ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
সিন্ধু বিজয়ের তাৎপর্য
ইসলামের প্রসার: মুহাম্মদ বিন কাসিমের বিজয়ের মাধ্যমে সিন্ধু অঞ্চলে ইসলামের আলো ছড়িয়ে পড়ে। তিনি স্থানীয় জনগণকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করতে সহনশীলতা ও ন্যায়বিচারের নীতি অনুসরণ করেন।
সুশৃঙ্খল প্রশাসন প্রতিষ্ঠা: তিনি বিজিত অঞ্চলে সুবিচার ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শাসনামলে স্থানীয় হিন্দু ও বৌদ্ধদের ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়া হয় এবং কর ব্যবস্থা সহজ করা হয়।
মুসলিম শাসনের পথ তৈরি: মুহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয় পরবর্তীতে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে, যা পরবর্তীকালে সুলতানাত ও মোগল সাম্রাজ্যের উত্থানে সহায়ক হয়।
মুহাম্মদ বিন কাসিমের নীতি
মুহাম্মদ বিন কাসিমের জীবন থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। যথা—
নৈতিকতা ও সুবিচার: তিনি মুসলিম ও অমুসলিম সবার প্রতি সুবিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
সামরিক দক্ষতা ও নেতৃত্ব: তিনি প্রমাণ করেন যে কৌশলগত নেতৃত্বই যুদ্ধে বিজয়ের মূল চাবিকাঠি।
ধর্মীয় সহনশীলতা: বিজিত জনগোষ্ঠীর প্রতি তাঁর ন্যায়বিচার ও সহনশীল মনোভাব মুসলিম শাসনের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।
নির্মম পরিণতি
মুহাম্মদ বিন কাসিমের বিজয়ের পর তিনি কিছু সময় সিন্ধুতে শান্তিপূর্ণ শাসন চালান। কিন্তু উমাইয়া খলিফা ও হাজ্জাজের মৃত্যুর পর নতুন শাসকেরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। এক ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগে ৭১৫ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে ইরাকে ডেকে পাঠানো হয় এবং সেখানে তিনি নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মুহাম্মদ বিন কাসিম ইতিহাসে এক মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি তাঁর অসাধারণ সামরিক প্রতিভা, সুবিচার ও ধর্মীয় সহনশীলতার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর সিন্ধু বিজয় শুধু ইসলামি ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায় নয়, বরং এটি ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোতেও গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি আজও এক মহান নেতা ও বিজয়ী হিসেবে স্মরণীয়।
সূত্র:
১. ইবনুল আসীর, আল-কামিল ফিত তারিখ
২. ইবনে খালদুন, মুকাদ্দিমা
৩. আবুল ফজল, আকবরনামা
৪. আল-বালাদুরি, ফুতুহুল বুলদান

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

মুহাম্মদ বিন কাসিম (৬৯৫-৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক বীর সেনানায়ক, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর অসাধারণ সমর কৌশল, প্রজাস্বত্ব আচরণ ও ইসলামের প্রসার ঘটানোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি শুধু একজন বিজয়ী সেনাপতিই ছিলেন না, বরং একজন বিচক্ষণ প্রশাসক, সুবিচারক
২২ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মুহাম্মদ বিন কাসিম (৬৯৫-৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক বীর সেনানায়ক, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর অসাধারণ সমর কৌশল, প্রজাস্বত্ব আচরণ ও ইসলামের প্রসার ঘটানোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি শুধু একজন বিজয়ী সেনাপতিই ছিলেন না, বরং একজন বিচক্ষণ প্রশাসক, সুবিচারক
২২ মার্চ ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

মুহাম্মদ বিন কাসিম (৬৯৫-৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক বীর সেনানায়ক, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর অসাধারণ সমর কৌশল, প্রজাস্বত্ব আচরণ ও ইসলামের প্রসার ঘটানোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি শুধু একজন বিজয়ী সেনাপতিই ছিলেন না, বরং একজন বিচক্ষণ প্রশাসক, সুবিচারক
২২ মার্চ ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মুহাম্মদ বিন কাসিম (৬৯৫-৭১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক বীর সেনানায়ক, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর অসাধারণ সমর কৌশল, প্রজাস্বত্ব আচরণ ও ইসলামের প্রসার ঘটানোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি শুধু একজন বিজয়ী সেনাপতিই ছিলেন না, বরং একজন বিচক্ষণ প্রশাসক, সুবিচারক
২২ মার্চ ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে