ইসলাম ডেস্ক

ইতিহাসে কিছু ঘটনা আছে, যা কেবল কোনো জাতির নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস। ইসলামের ইতিহাসে তেমনি এক অমর অধ্যায় কারবালার ঘটনা।
হিজরি ৬১ সালের ১০ মহররম, বর্তমান ইরাকের কারবালা প্রান্তরে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে জীবন উৎসর্গ করেন নবী মুহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় নাতি হজরত হুসাইন (রা.)। কারবালা কেবল একটি যুদ্ধ নয়—সত্য, ন্যায় ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার অনন্য উদাহরণ।
যে কারণে শহিদ হোন হুসাইন (রা.)
খলিফা হজরত মুআবিয়া (রা.) এর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র ইয়াজিদ ক্ষমতা গ্রহণ করে। ইয়াজিদের শাসনব্যবস্থা ইসলামের মূলনীতি ও নৈতিকতার পরিপন্থী হয়ে ওঠে। তাই হজরত হুসাইন (রা.) তার বায়াত (অনুগত্য) প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, ‘আমার মতো মানুষ অন্যায়ের বায়াত গ্রহণ করতে পারে না।’ (তারিখে তাবারি: ৪ / ৩০৪)
হজরত হুসাইন (রা.) মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে কারবালায় পৌঁছালে ইয়াজিদের বাহিনী তাঁকে অবরুদ্ধ করে। খাবার ও পানির সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় অনাহারে থাকার পর ১০ মহররম তাঁর পরিবারসহ ৭২ জন শহীদ হন। এদের মধ্যে শিশু আলী আসগর এবং যুবক আলী আকবরও ছিলেন। হুসাইন (রা.)-এর শাহাদত মানব ইতিহাসে ন্যায় ও সত্যের জন্য আত্মোৎসর্গের অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
কারবালার গুরুত্ব
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হাসান ও হুসাইন জান্নাতি যুবকদের নেতা।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩৭৪৩, সহিহ্ মুসলিম: ২৪১৭)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘হুসাইন আমার, আর আমি হুসাইনের। আল্লাহ ভালোবাসেন তাকে, যে হুসাইনকে ভালোবাসে।’ (জামে তিরমিজি: ৩৭৭৫)
নবিজি (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ‘এই সন্তান (হুসাইন)-কে হত্যা করা হবে। যে তাকে সাহায্য করবে না, সে ধ্বংস হবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৬৪৫, মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩ / ১৭৬)
কারবালার শিক্ষা
১. সত্যের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান: কারবালা শেখায়—অন্যায়ের কাছে মাথা নত নয়। ন্যায়ের পথে জীবন উৎসর্গ করা ইমানদারের কাজ।
২. জুলুমের বিরুদ্ধে আপসহীনতা: হজরত হুসাইন (রা.) বাতিল শক্তির কাছে আপস করেননি। তিনি প্রমাণ করেছেন, সৎ চরিত্র ও সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো মানবতার সর্বোচ্চ আদর্শ।
৩. আত্মত্যাগের মহত্ত্ব: কারবালা আত্মত্যাগের এমন এক নজির—যেখানে পরিবার, সন্তান ও নিজের জীবনও সত্যের জন্য কোরবানি দেওয়া হয়েছে।
৪. ইমান রক্ষার সংগ্রাম: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত। তবে তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারো না।’ (সুরা বাকারা: ১৫৪)
কারবালা আমাদের শিখিয়ে দেয়—কোনো অবস্থায় অন্যায়ের সামনে মাথা নত করা যাবে না। সত্য ও ন্যায়ের পথে দৃঢ় থাকা ইমানের দাবি। আজকের সমাজে, যখন অসত্য, জুলুম ও অনৈতিকতা বিস্তার লাভ করছে, তখন কারবালার এই শিক্ষা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। সত্যের পতাকা উঁচু রাখতে হজরত হুসাইন (রা.) এর আদর্শ আমাদের পথপ্রদর্শক হয়ে থাকুক।
লেখক: আনওয়ার হুসাইন, শিক্ষক, মা’হাদুল মাদীনাহ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
লেখক ও সম্পাদক, মাকতাবাতুত তাকওয়া, ঢাকা।

ইতিহাসে কিছু ঘটনা আছে, যা কেবল কোনো জাতির নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস। ইসলামের ইতিহাসে তেমনি এক অমর অধ্যায় কারবালার ঘটনা।
হিজরি ৬১ সালের ১০ মহররম, বর্তমান ইরাকের কারবালা প্রান্তরে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে জীবন উৎসর্গ করেন নবী মুহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় নাতি হজরত হুসাইন (রা.)। কারবালা কেবল একটি যুদ্ধ নয়—সত্য, ন্যায় ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার অনন্য উদাহরণ।
যে কারণে শহিদ হোন হুসাইন (রা.)
খলিফা হজরত মুআবিয়া (রা.) এর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র ইয়াজিদ ক্ষমতা গ্রহণ করে। ইয়াজিদের শাসনব্যবস্থা ইসলামের মূলনীতি ও নৈতিকতার পরিপন্থী হয়ে ওঠে। তাই হজরত হুসাইন (রা.) তার বায়াত (অনুগত্য) প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, ‘আমার মতো মানুষ অন্যায়ের বায়াত গ্রহণ করতে পারে না।’ (তারিখে তাবারি: ৪ / ৩০৪)
হজরত হুসাইন (রা.) মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে কারবালায় পৌঁছালে ইয়াজিদের বাহিনী তাঁকে অবরুদ্ধ করে। খাবার ও পানির সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় অনাহারে থাকার পর ১০ মহররম তাঁর পরিবারসহ ৭২ জন শহীদ হন। এদের মধ্যে শিশু আলী আসগর এবং যুবক আলী আকবরও ছিলেন। হুসাইন (রা.)-এর শাহাদত মানব ইতিহাসে ন্যায় ও সত্যের জন্য আত্মোৎসর্গের অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
কারবালার গুরুত্ব
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হাসান ও হুসাইন জান্নাতি যুবকদের নেতা।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩৭৪৩, সহিহ্ মুসলিম: ২৪১৭)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘হুসাইন আমার, আর আমি হুসাইনের। আল্লাহ ভালোবাসেন তাকে, যে হুসাইনকে ভালোবাসে।’ (জামে তিরমিজি: ৩৭৭৫)
নবিজি (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ‘এই সন্তান (হুসাইন)-কে হত্যা করা হবে। যে তাকে সাহায্য করবে না, সে ধ্বংস হবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৬৪৫, মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩ / ১৭৬)
কারবালার শিক্ষা
১. সত্যের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান: কারবালা শেখায়—অন্যায়ের কাছে মাথা নত নয়। ন্যায়ের পথে জীবন উৎসর্গ করা ইমানদারের কাজ।
২. জুলুমের বিরুদ্ধে আপসহীনতা: হজরত হুসাইন (রা.) বাতিল শক্তির কাছে আপস করেননি। তিনি প্রমাণ করেছেন, সৎ চরিত্র ও সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো মানবতার সর্বোচ্চ আদর্শ।
৩. আত্মত্যাগের মহত্ত্ব: কারবালা আত্মত্যাগের এমন এক নজির—যেখানে পরিবার, সন্তান ও নিজের জীবনও সত্যের জন্য কোরবানি দেওয়া হয়েছে।
৪. ইমান রক্ষার সংগ্রাম: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত। তবে তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারো না।’ (সুরা বাকারা: ১৫৪)
কারবালা আমাদের শিখিয়ে দেয়—কোনো অবস্থায় অন্যায়ের সামনে মাথা নত করা যাবে না। সত্য ও ন্যায়ের পথে দৃঢ় থাকা ইমানের দাবি। আজকের সমাজে, যখন অসত্য, জুলুম ও অনৈতিকতা বিস্তার লাভ করছে, তখন কারবালার এই শিক্ষা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। সত্যের পতাকা উঁচু রাখতে হজরত হুসাইন (রা.) এর আদর্শ আমাদের পথপ্রদর্শক হয়ে থাকুক।
লেখক: আনওয়ার হুসাইন, শিক্ষক, মা’হাদুল মাদীনাহ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
লেখক ও সম্পাদক, মাকতাবাতুত তাকওয়া, ঢাকা।
ইসলাম ডেস্ক

ইতিহাসে কিছু ঘটনা আছে, যা কেবল কোনো জাতির নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস। ইসলামের ইতিহাসে তেমনি এক অমর অধ্যায় কারবালার ঘটনা।
হিজরি ৬১ সালের ১০ মহররম, বর্তমান ইরাকের কারবালা প্রান্তরে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে জীবন উৎসর্গ করেন নবী মুহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় নাতি হজরত হুসাইন (রা.)। কারবালা কেবল একটি যুদ্ধ নয়—সত্য, ন্যায় ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার অনন্য উদাহরণ।
যে কারণে শহিদ হোন হুসাইন (রা.)
খলিফা হজরত মুআবিয়া (রা.) এর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র ইয়াজিদ ক্ষমতা গ্রহণ করে। ইয়াজিদের শাসনব্যবস্থা ইসলামের মূলনীতি ও নৈতিকতার পরিপন্থী হয়ে ওঠে। তাই হজরত হুসাইন (রা.) তার বায়াত (অনুগত্য) প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, ‘আমার মতো মানুষ অন্যায়ের বায়াত গ্রহণ করতে পারে না।’ (তারিখে তাবারি: ৪ / ৩০৪)
হজরত হুসাইন (রা.) মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে কারবালায় পৌঁছালে ইয়াজিদের বাহিনী তাঁকে অবরুদ্ধ করে। খাবার ও পানির সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় অনাহারে থাকার পর ১০ মহররম তাঁর পরিবারসহ ৭২ জন শহীদ হন। এদের মধ্যে শিশু আলী আসগর এবং যুবক আলী আকবরও ছিলেন। হুসাইন (রা.)-এর শাহাদত মানব ইতিহাসে ন্যায় ও সত্যের জন্য আত্মোৎসর্গের অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
কারবালার গুরুত্ব
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হাসান ও হুসাইন জান্নাতি যুবকদের নেতা।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩৭৪৩, সহিহ্ মুসলিম: ২৪১৭)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘হুসাইন আমার, আর আমি হুসাইনের। আল্লাহ ভালোবাসেন তাকে, যে হুসাইনকে ভালোবাসে।’ (জামে তিরমিজি: ৩৭৭৫)
নবিজি (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ‘এই সন্তান (হুসাইন)-কে হত্যা করা হবে। যে তাকে সাহায্য করবে না, সে ধ্বংস হবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৬৪৫, মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩ / ১৭৬)
কারবালার শিক্ষা
১. সত্যের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান: কারবালা শেখায়—অন্যায়ের কাছে মাথা নত নয়। ন্যায়ের পথে জীবন উৎসর্গ করা ইমানদারের কাজ।
২. জুলুমের বিরুদ্ধে আপসহীনতা: হজরত হুসাইন (রা.) বাতিল শক্তির কাছে আপস করেননি। তিনি প্রমাণ করেছেন, সৎ চরিত্র ও সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো মানবতার সর্বোচ্চ আদর্শ।
৩. আত্মত্যাগের মহত্ত্ব: কারবালা আত্মত্যাগের এমন এক নজির—যেখানে পরিবার, সন্তান ও নিজের জীবনও সত্যের জন্য কোরবানি দেওয়া হয়েছে।
৪. ইমান রক্ষার সংগ্রাম: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত। তবে তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারো না।’ (সুরা বাকারা: ১৫৪)
কারবালা আমাদের শিখিয়ে দেয়—কোনো অবস্থায় অন্যায়ের সামনে মাথা নত করা যাবে না। সত্য ও ন্যায়ের পথে দৃঢ় থাকা ইমানের দাবি। আজকের সমাজে, যখন অসত্য, জুলুম ও অনৈতিকতা বিস্তার লাভ করছে, তখন কারবালার এই শিক্ষা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। সত্যের পতাকা উঁচু রাখতে হজরত হুসাইন (রা.) এর আদর্শ আমাদের পথপ্রদর্শক হয়ে থাকুক।
লেখক: আনওয়ার হুসাইন, শিক্ষক, মা’হাদুল মাদীনাহ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
লেখক ও সম্পাদক, মাকতাবাতুত তাকওয়া, ঢাকা।

ইতিহাসে কিছু ঘটনা আছে, যা কেবল কোনো জাতির নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস। ইসলামের ইতিহাসে তেমনি এক অমর অধ্যায় কারবালার ঘটনা।
হিজরি ৬১ সালের ১০ মহররম, বর্তমান ইরাকের কারবালা প্রান্তরে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে জীবন উৎসর্গ করেন নবী মুহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় নাতি হজরত হুসাইন (রা.)। কারবালা কেবল একটি যুদ্ধ নয়—সত্য, ন্যায় ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার অনন্য উদাহরণ।
যে কারণে শহিদ হোন হুসাইন (রা.)
খলিফা হজরত মুআবিয়া (রা.) এর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র ইয়াজিদ ক্ষমতা গ্রহণ করে। ইয়াজিদের শাসনব্যবস্থা ইসলামের মূলনীতি ও নৈতিকতার পরিপন্থী হয়ে ওঠে। তাই হজরত হুসাইন (রা.) তার বায়াত (অনুগত্য) প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, ‘আমার মতো মানুষ অন্যায়ের বায়াত গ্রহণ করতে পারে না।’ (তারিখে তাবারি: ৪ / ৩০৪)
হজরত হুসাইন (রা.) মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে কারবালায় পৌঁছালে ইয়াজিদের বাহিনী তাঁকে অবরুদ্ধ করে। খাবার ও পানির সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় অনাহারে থাকার পর ১০ মহররম তাঁর পরিবারসহ ৭২ জন শহীদ হন। এদের মধ্যে শিশু আলী আসগর এবং যুবক আলী আকবরও ছিলেন। হুসাইন (রা.)-এর শাহাদত মানব ইতিহাসে ন্যায় ও সত্যের জন্য আত্মোৎসর্গের অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
কারবালার গুরুত্ব
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হাসান ও হুসাইন জান্নাতি যুবকদের নেতা।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩৭৪৩, সহিহ্ মুসলিম: ২৪১৭)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘হুসাইন আমার, আর আমি হুসাইনের। আল্লাহ ভালোবাসেন তাকে, যে হুসাইনকে ভালোবাসে।’ (জামে তিরমিজি: ৩৭৭৫)
নবিজি (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ‘এই সন্তান (হুসাইন)-কে হত্যা করা হবে। যে তাকে সাহায্য করবে না, সে ধ্বংস হবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৬৪৫, মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩ / ১৭৬)
কারবালার শিক্ষা
১. সত্যের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান: কারবালা শেখায়—অন্যায়ের কাছে মাথা নত নয়। ন্যায়ের পথে জীবন উৎসর্গ করা ইমানদারের কাজ।
২. জুলুমের বিরুদ্ধে আপসহীনতা: হজরত হুসাইন (রা.) বাতিল শক্তির কাছে আপস করেননি। তিনি প্রমাণ করেছেন, সৎ চরিত্র ও সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো মানবতার সর্বোচ্চ আদর্শ।
৩. আত্মত্যাগের মহত্ত্ব: কারবালা আত্মত্যাগের এমন এক নজির—যেখানে পরিবার, সন্তান ও নিজের জীবনও সত্যের জন্য কোরবানি দেওয়া হয়েছে।
৪. ইমান রক্ষার সংগ্রাম: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত। তবে তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারো না।’ (সুরা বাকারা: ১৫৪)
কারবালা আমাদের শিখিয়ে দেয়—কোনো অবস্থায় অন্যায়ের সামনে মাথা নত করা যাবে না। সত্য ও ন্যায়ের পথে দৃঢ় থাকা ইমানের দাবি। আজকের সমাজে, যখন অসত্য, জুলুম ও অনৈতিকতা বিস্তার লাভ করছে, তখন কারবালার এই শিক্ষা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। সত্যের পতাকা উঁচু রাখতে হজরত হুসাইন (রা.) এর আদর্শ আমাদের পথপ্রদর্শক হয়ে থাকুক।
লেখক: আনওয়ার হুসাইন, শিক্ষক, মা’হাদুল মাদীনাহ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
লেখক ও সম্পাদক, মাকতাবাতুত তাকওয়া, ঢাকা।

মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
১৮ মিনিট আগে
আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছে ‘জমাদিউল আউয়াল’—এটি আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস। আরবি এই মাসের বাংলা অর্থ নানাভাবে হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ এভাবে করা যায়, জুমাদা শব্দের অর্থ—স্থির, অবিচল, দৃঢ়, শীতল।
২৩ মিনিট আগে
নামাজের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেলে বাকি নামাজটুকু কি শেষ করা যাবে? কিছু মানুষ বলে—‘সিজদার জায়গাটি যদি হালকাভাবেও বোঝা যায়, তাহলেও বাকি নামাজ আদায় করা যাবে। তবে সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে গেলে আর নামাজ আদায় করা ঠিক হবে না।’ সঠিক উত্তর জানালে উপকৃত হব।
৩৬ মিনিট আগে
কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিট। ভ্রমণকারীদের চিরচেনা জনপদ। পর্যটকদের পদচারণে মুখর এক ব্যস্ত নগর। সুবিশাল ও প্রশস্ত পথঘাট পেরিয়ে এখানে এলেই মনে হয় যেন একরাশ নীরবতা ভেদ করে প্রবেশ করা হয়েছে কোনো কোলাহলময় জনপদে। রাস্তার দুই পাশে ঝোলানো দোকানের বাহারি সাইনবোর্ড, হরেক রকম খাবারের দোকান, উড়তে থাকা কাবাবের....
১ ঘণ্টা আগেকাউসার লাবীব

মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে সম্পূর্ণরূপে হারাম ঘোষণা করেছে। ধর্ষণকে ইসলামে ব্যভিচারের (জিনা) চেয়েও ভয়ংকর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধে ইসলাম ব্যক্তিগত আত্মশুদ্ধি থেকে শুরু করে সামাজিক প্রতিরোধ এবং অপরাধীর জন্য কঠোর শাস্তির সমন্বিত ব্যবস্থা দিয়েছে।
ধর্ষণ বা ব্যভিচার এক দিনে সংঘটিত হয় না; বরং এটি ধাপে ধাপে অশ্লীলতার পথ ধরে আসে। তাই ইসলাম অপরাধের উৎসমুখেই লাগাম টেনে ধরার জন্য নারী-পুরুষ উভয়কে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
কঠোরভাবে পর্দার বিধান ও অবাধ মেলামেশা বন্ধ: পর্দার বিধান নারী-পুরুষের মধ্যে দূরত্ব ও নিরাপদ সম্পর্ক বজায় রাখে। নারীদের তাদের রূপ-সৌন্দর্য স্বামী ও মাহরাম (যাদের সঙ্গে বিয়ে বৈধ নয়) ব্যতীত অন্য কারও সামনে প্রকাশ না করতে এবং বাইরে যাওয়ার সময় শালীন পোশাক পরিধান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, পরিবার ও শিক্ষাব্যবস্থায় তাকওয়াভিত্তিক (খোদাভীতি) নৈতিক শিক্ষা দেওয়া অপরিহার্য, যা আত্মশুদ্ধি ও অপরাধ থেকে দূরে থাকতে সহায়ক।
ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তির নিশ্চয়তা
ইসলামে ব্যভিচার, বলপ্রয়োগ এবং সম্ভ্রম লুণ্ঠনের সমন্বয়ে গঠিত একটি মারাত্মক অপরাধ হলো ধর্ষণ। তাই ধর্ষকের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর এবং তাতে কোনো প্রকার দয়া-মায়া প্রদর্শনের সুযোগ নেই।

মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে সম্পূর্ণরূপে হারাম ঘোষণা করেছে। ধর্ষণকে ইসলামে ব্যভিচারের (জিনা) চেয়েও ভয়ংকর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধে ইসলাম ব্যক্তিগত আত্মশুদ্ধি থেকে শুরু করে সামাজিক প্রতিরোধ এবং অপরাধীর জন্য কঠোর শাস্তির সমন্বিত ব্যবস্থা দিয়েছে।
ধর্ষণ বা ব্যভিচার এক দিনে সংঘটিত হয় না; বরং এটি ধাপে ধাপে অশ্লীলতার পথ ধরে আসে। তাই ইসলাম অপরাধের উৎসমুখেই লাগাম টেনে ধরার জন্য নারী-পুরুষ উভয়কে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
কঠোরভাবে পর্দার বিধান ও অবাধ মেলামেশা বন্ধ: পর্দার বিধান নারী-পুরুষের মধ্যে দূরত্ব ও নিরাপদ সম্পর্ক বজায় রাখে। নারীদের তাদের রূপ-সৌন্দর্য স্বামী ও মাহরাম (যাদের সঙ্গে বিয়ে বৈধ নয়) ব্যতীত অন্য কারও সামনে প্রকাশ না করতে এবং বাইরে যাওয়ার সময় শালীন পোশাক পরিধান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, পরিবার ও শিক্ষাব্যবস্থায় তাকওয়াভিত্তিক (খোদাভীতি) নৈতিক শিক্ষা দেওয়া অপরিহার্য, যা আত্মশুদ্ধি ও অপরাধ থেকে দূরে থাকতে সহায়ক।
ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তির নিশ্চয়তা
ইসলামে ব্যভিচার, বলপ্রয়োগ এবং সম্ভ্রম লুণ্ঠনের সমন্বয়ে গঠিত একটি মারাত্মক অপরাধ হলো ধর্ষণ। তাই ধর্ষকের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর এবং তাতে কোনো প্রকার দয়া-মায়া প্রদর্শনের সুযোগ নেই।

ইতিহাসে কিছু ঘটনা আছে, যা কেবল কোনো জাতির নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস। ইসলামের ইতিহাসে তেমনি এক অমর অধ্যায় কারবালার ঘটনা। হিজরি ৬১ সালের ১০ মহররম, বর্তমান ইরাকের কারবালা প্রান্তরে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে জীবন উৎসর্গ করেন নবী মুহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় নাতি হজরত হুসাইন...
০১ জুলাই ২০২৫
আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছে ‘জমাদিউল আউয়াল’—এটি আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস। আরবি এই মাসের বাংলা অর্থ নানাভাবে হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ এভাবে করা যায়, জুমাদা শব্দের অর্থ—স্থির, অবিচল, দৃঢ়, শীতল।
২৩ মিনিট আগে
নামাজের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেলে বাকি নামাজটুকু কি শেষ করা যাবে? কিছু মানুষ বলে—‘সিজদার জায়গাটি যদি হালকাভাবেও বোঝা যায়, তাহলেও বাকি নামাজ আদায় করা যাবে। তবে সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে গেলে আর নামাজ আদায় করা ঠিক হবে না।’ সঠিক উত্তর জানালে উপকৃত হব।
৩৬ মিনিট আগে
কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিট। ভ্রমণকারীদের চিরচেনা জনপদ। পর্যটকদের পদচারণে মুখর এক ব্যস্ত নগর। সুবিশাল ও প্রশস্ত পথঘাট পেরিয়ে এখানে এলেই মনে হয় যেন একরাশ নীরবতা ভেদ করে প্রবেশ করা হয়েছে কোনো কোলাহলময় জনপদে। রাস্তার দুই পাশে ঝোলানো দোকানের বাহারি সাইনবোর্ড, হরেক রকম খাবারের দোকান, উড়তে থাকা কাবাবের....
১ ঘণ্টা আগেমুফতি এনায়েতুল্লাহ ফাহাদ

আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছে ‘জমাদিউল আউয়াল’—এটি আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস। আরবি এই মাসের বাংলা অর্থ নানাভাবে হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ এভাবে করা যায়, জুমাদা শব্দের অর্থ—স্থির, অবিচল, দৃঢ়, শীতল। আর আউয়াল মানে প্রথম। তথা প্রথম জুমাদা বা প্রথম শীত। মূলত এই মাসটিতে আরবে ঠান্ডা নেমে আসত—প্রচণ্ড শীতে কিংবা প্রবল শৈত্যপ্রবাহে সবকিছু প্রায় জমে স্থির হয়ে যায়। তাই এ মাসের নাম জমাদিউল আউয়াল বা শীতকালের প্রথম মাস।
আসন্ন ‘শীতকাল’ বাংলা বছরের ছয়টি ঋতুর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋতু। এটি প্রকৃতির মাঝে এক শীতল ও মনোরম রূপ নিয়ে আসে, যা মানুষের ইবাদত-বন্দেগিতে এক বিশেষ প্রভাব ফেলে। আসলে শীত ও গ্রীষ্ম সবই আল্লাহপ্রদত্ত প্রকৃতির অবদান। এর প্রতিটিতে রয়েছে কুদরতের নিদর্শন ও নিগূঢ় রহস্য। কোরআন করিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যেহেতু কুরাইশদের অনুরাগ রয়েছে! তাদের আগ্রহ আছে শীত ও গ্রীষ্মে ভ্রমণের। অতএব তাদের ইবাদত করা উচিত এই (কাবা) গৃহের রবের। যিনি তাদের ক্ষুধায় অন্ন দান করেন এবং শঙ্কায় নিরাপত্তা দান করেন।’ (সুরা কুরাইশ: ১-৪)
জুমাদাল উলা মাস—নতুন ঋতু হিসেবেও মুমিনের কাছে এর গুরুত্ব অপরিসীম। মুসলিমরা নতুন বছর ও মাসের চাঁদ দেখে আনন্দিত হয়, পাশাপাশি নতুন ঋতু পেয়েও তাদের মন হয় পুলকিত। কারণ প্রত্যেক মানুষ দুনিয়ায় আগমন করেছে নির্দিষ্ট কিছু সময় নিয়ে। নির্দিষ্ট সময়ের পর কোনো প্রাণী বা সৃষ্টির বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। তাই তো প্রতিটি মুমিনের কাছে প্রতি মুহূর্তের দাম সোনার চেয়েও দামি। সময়-কাল-মুহূর্তের আগমন হলেই মুমিন দোয়া পড়বে। সাহাবি তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি (সা.) যখন নতুন চাঁদ বা আবহ পরিবর্তন লক্ষ করতেন, তখন এই দোয়া পড়তেন—‘আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ইমানি ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।’ (সুনানে দারিমি: ১৭২৫)
প্রসঙ্গত, রমজান ও মহররমের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিবস আর ফজিলতের কথা এই মাসে না থাকলেও রাসুল (সা.)-এর প্রতি মাসের নির্দিষ্ট একটি আমলের কথা হাদিসে এসেছে—তিনি প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজা রাখতেন। (সহিহ বুখারি: ১৯৭৫)। এ জন্যই আমাদের উচিত যেসব দিনের ও যেসব মাসের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সেসব দিনে ও মাসে ইবাদত করা। আর যেসব দিন ও মাসের বিশেষ ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য কোরআন ও হাদিসে উল্লেখ করা হয়নি, সেসব দিন ও মাসে বেশি করে নেক আমল করা। ফলে আখিরাতের ময়দানে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে যাওয়া যাবে ইনশা আল্লাহ।
আমরা পরিবেশ, পরিস্থিতি ও সময় বিবেচনা করলে দেখতে পাব জমাদিউল আউয়াল মাস ইবাদতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নফল রোজা, নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ শরিফ, জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, দোয়া-কালাম, দান-সদকাহ খয়রাত, ওমরাহ, হজ ইত্যাদির মাধ্যমে এই মাসকে সার্থক ও সাফল্যময় করা যায়। সুতরাং আমাদের উচিত এই মাস ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করা।
লেখক: মুহাদ্দিস ও খতিব

আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছে ‘জমাদিউল আউয়াল’—এটি আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস। আরবি এই মাসের বাংলা অর্থ নানাভাবে হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ এভাবে করা যায়, জুমাদা শব্দের অর্থ—স্থির, অবিচল, দৃঢ়, শীতল। আর আউয়াল মানে প্রথম। তথা প্রথম জুমাদা বা প্রথম শীত। মূলত এই মাসটিতে আরবে ঠান্ডা নেমে আসত—প্রচণ্ড শীতে কিংবা প্রবল শৈত্যপ্রবাহে সবকিছু প্রায় জমে স্থির হয়ে যায়। তাই এ মাসের নাম জমাদিউল আউয়াল বা শীতকালের প্রথম মাস।
আসন্ন ‘শীতকাল’ বাংলা বছরের ছয়টি ঋতুর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋতু। এটি প্রকৃতির মাঝে এক শীতল ও মনোরম রূপ নিয়ে আসে, যা মানুষের ইবাদত-বন্দেগিতে এক বিশেষ প্রভাব ফেলে। আসলে শীত ও গ্রীষ্ম সবই আল্লাহপ্রদত্ত প্রকৃতির অবদান। এর প্রতিটিতে রয়েছে কুদরতের নিদর্শন ও নিগূঢ় রহস্য। কোরআন করিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যেহেতু কুরাইশদের অনুরাগ রয়েছে! তাদের আগ্রহ আছে শীত ও গ্রীষ্মে ভ্রমণের। অতএব তাদের ইবাদত করা উচিত এই (কাবা) গৃহের রবের। যিনি তাদের ক্ষুধায় অন্ন দান করেন এবং শঙ্কায় নিরাপত্তা দান করেন।’ (সুরা কুরাইশ: ১-৪)
জুমাদাল উলা মাস—নতুন ঋতু হিসেবেও মুমিনের কাছে এর গুরুত্ব অপরিসীম। মুসলিমরা নতুন বছর ও মাসের চাঁদ দেখে আনন্দিত হয়, পাশাপাশি নতুন ঋতু পেয়েও তাদের মন হয় পুলকিত। কারণ প্রত্যেক মানুষ দুনিয়ায় আগমন করেছে নির্দিষ্ট কিছু সময় নিয়ে। নির্দিষ্ট সময়ের পর কোনো প্রাণী বা সৃষ্টির বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। তাই তো প্রতিটি মুমিনের কাছে প্রতি মুহূর্তের দাম সোনার চেয়েও দামি। সময়-কাল-মুহূর্তের আগমন হলেই মুমিন দোয়া পড়বে। সাহাবি তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি (সা.) যখন নতুন চাঁদ বা আবহ পরিবর্তন লক্ষ করতেন, তখন এই দোয়া পড়তেন—‘আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ইমানি ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।’ (সুনানে দারিমি: ১৭২৫)
প্রসঙ্গত, রমজান ও মহররমের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিবস আর ফজিলতের কথা এই মাসে না থাকলেও রাসুল (সা.)-এর প্রতি মাসের নির্দিষ্ট একটি আমলের কথা হাদিসে এসেছে—তিনি প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজা রাখতেন। (সহিহ বুখারি: ১৯৭৫)। এ জন্যই আমাদের উচিত যেসব দিনের ও যেসব মাসের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সেসব দিনে ও মাসে ইবাদত করা। আর যেসব দিন ও মাসের বিশেষ ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য কোরআন ও হাদিসে উল্লেখ করা হয়নি, সেসব দিন ও মাসে বেশি করে নেক আমল করা। ফলে আখিরাতের ময়দানে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে যাওয়া যাবে ইনশা আল্লাহ।
আমরা পরিবেশ, পরিস্থিতি ও সময় বিবেচনা করলে দেখতে পাব জমাদিউল আউয়াল মাস ইবাদতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নফল রোজা, নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ শরিফ, জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, দোয়া-কালাম, দান-সদকাহ খয়রাত, ওমরাহ, হজ ইত্যাদির মাধ্যমে এই মাসকে সার্থক ও সাফল্যময় করা যায়। সুতরাং আমাদের উচিত এই মাস ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করা।
লেখক: মুহাদ্দিস ও খতিব

ইতিহাসে কিছু ঘটনা আছে, যা কেবল কোনো জাতির নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস। ইসলামের ইতিহাসে তেমনি এক অমর অধ্যায় কারবালার ঘটনা। হিজরি ৬১ সালের ১০ মহররম, বর্তমান ইরাকের কারবালা প্রান্তরে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে জীবন উৎসর্গ করেন নবী মুহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় নাতি হজরত হুসাইন...
০১ জুলাই ২০২৫
মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
১৮ মিনিট আগে
নামাজের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেলে বাকি নামাজটুকু কি শেষ করা যাবে? কিছু মানুষ বলে—‘সিজদার জায়গাটি যদি হালকাভাবেও বোঝা যায়, তাহলেও বাকি নামাজ আদায় করা যাবে। তবে সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে গেলে আর নামাজ আদায় করা ঠিক হবে না।’ সঠিক উত্তর জানালে উপকৃত হব।
৩৬ মিনিট আগে
কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিট। ভ্রমণকারীদের চিরচেনা জনপদ। পর্যটকদের পদচারণে মুখর এক ব্যস্ত নগর। সুবিশাল ও প্রশস্ত পথঘাট পেরিয়ে এখানে এলেই মনে হয় যেন একরাশ নীরবতা ভেদ করে প্রবেশ করা হয়েছে কোনো কোলাহলময় জনপদে। রাস্তার দুই পাশে ঝোলানো দোকানের বাহারি সাইনবোর্ড, হরেক রকম খাবারের দোকান, উড়তে থাকা কাবাবের....
১ ঘণ্টা আগেআপনার জিজ্ঞাসা
ইসলাম ডেস্ক

প্রশ্ন: নামাজের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেলে বাকি নামাজটুকু কি শেষ করা যাবে? কিছু মানুষ বলে—‘সিজদার জায়গাটি যদি হালকাভাবেও বোঝা যায়, তাহলেও বাকি নামাজ আদায় করা যাবে। তবে সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে গেলে আর নামাজ আদায় করা ঠিক হবে না।’ সঠিক উত্তর জানালে উপকৃত হব।
আনাছ ইখতেখার, বাগিচাগাঁও, কুমিল্লা।
উত্তর: আপনার সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা জানার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ। নামাজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত এবং এর খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক। বিশেষ করে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে নামাজ আদায় নিয়ে যে সংশয় দেখা দেয়, তার একটি সঠিক ইসলামি সমাধান রয়েছে।
ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে এ বিষয়ে সঠিক মাসআলা এবং নির্দেশনা নিম্নরূপ:
নামাজ চলাকালীন যদি বিদ্যুৎ চলে যায় এবং স্থানটি সম্পূর্ণ অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে, তবু বাকি নামাজটুকু চালিয়ে যেতে কোনো অসুবিধা নেই এবং নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণভাবে বৈধ। সাধারণ মানুষের মধ্যে যে ধারণা প্রচলিত আছে যে সিজদার জায়গা হালকাভাবে না দেখা গেলে নামাজ হবে না, এটি সঠিক নয়।
সঠিক মাসআলা হলো—যদি আপনার কিবলা ঠিক থাকে এবং আপনি যদি সঠিকভাবে রুকু-সিজদা ইত্যাদি আদায় করতে পারেন, তবে অন্ধকারে নামাজ আদায় করতে কোনো সমস্যা নেই। এমনকি এটি মাকরুহও হবে না।
এর সপক্ষে একাধিক সহিহ হাদিস রয়েছে। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সামনে ঘুমাতাম, আমার পা দুখানা তাঁর কিবলার দিকে ছিল। তিনি সিজদায় গেলে আমার পায়ে মৃদু চাপ দিতেন, তখন আমি পা দুটি গুটিয়ে নিতাম। আর তিনি দাঁড়িয়ে গেলে আমি পা প্রসারিত করতাম। সে সময় ঘরগুলোতে বাতি ছিল না।’ (সহিহ বুখারি: ৩৮২)
অন্য এক হাদিসে হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘এক রাতে আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বিছানায় পাচ্ছিলাম না। তখন আমি আমার হাত দিয়ে তাঁকে খুঁজতে লাগলাম। তখন আমার হাত তাঁর পদযুগলের ওপর পড়ে। তাঁর পা খাড়া ছিল আর তিনি ছিলেন সিজদারত। (সুনান নাসায়ি: ১৬৯)। এই হাদিসগুলো প্রমাণ করে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) সম্পূর্ণরূপে অন্ধকার ঘরেও নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করেছেন।
মনে রাখার বিষয় হলো, নামাজে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় সিজদার জায়গার দিকে নজর রাখা সুন্নত, এটি নামাজের একটি আদব। কিন্তু এই সুন্নত পালনের জন্য সিজদার জায়গাটি দেখতে পাওয়া বা দেখতে থাকা অপরিহার্য নয় এবং এটি নামাজের শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্তও নয়। তাই বিদ্যুৎ চলে গিয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকার হলেও, যেহেতু নামাজের বাকি আরকান বা ফরজসমূহ যেমন দাঁড়ানো, রুকু, সিজদা ইত্যাদি আদায় করা সম্ভব, তাই নামাজ চালিয়ে যাওয়া যাবে।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি শাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক

প্রশ্ন: নামাজের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেলে বাকি নামাজটুকু কি শেষ করা যাবে? কিছু মানুষ বলে—‘সিজদার জায়গাটি যদি হালকাভাবেও বোঝা যায়, তাহলেও বাকি নামাজ আদায় করা যাবে। তবে সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে গেলে আর নামাজ আদায় করা ঠিক হবে না।’ সঠিক উত্তর জানালে উপকৃত হব।
আনাছ ইখতেখার, বাগিচাগাঁও, কুমিল্লা।
উত্তর: আপনার সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা জানার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ। নামাজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত এবং এর খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক। বিশেষ করে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে নামাজ আদায় নিয়ে যে সংশয় দেখা দেয়, তার একটি সঠিক ইসলামি সমাধান রয়েছে।
ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে এ বিষয়ে সঠিক মাসআলা এবং নির্দেশনা নিম্নরূপ:
নামাজ চলাকালীন যদি বিদ্যুৎ চলে যায় এবং স্থানটি সম্পূর্ণ অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে, তবু বাকি নামাজটুকু চালিয়ে যেতে কোনো অসুবিধা নেই এবং নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণভাবে বৈধ। সাধারণ মানুষের মধ্যে যে ধারণা প্রচলিত আছে যে সিজদার জায়গা হালকাভাবে না দেখা গেলে নামাজ হবে না, এটি সঠিক নয়।
সঠিক মাসআলা হলো—যদি আপনার কিবলা ঠিক থাকে এবং আপনি যদি সঠিকভাবে রুকু-সিজদা ইত্যাদি আদায় করতে পারেন, তবে অন্ধকারে নামাজ আদায় করতে কোনো সমস্যা নেই। এমনকি এটি মাকরুহও হবে না।
এর সপক্ষে একাধিক সহিহ হাদিস রয়েছে। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সামনে ঘুমাতাম, আমার পা দুখানা তাঁর কিবলার দিকে ছিল। তিনি সিজদায় গেলে আমার পায়ে মৃদু চাপ দিতেন, তখন আমি পা দুটি গুটিয়ে নিতাম। আর তিনি দাঁড়িয়ে গেলে আমি পা প্রসারিত করতাম। সে সময় ঘরগুলোতে বাতি ছিল না।’ (সহিহ বুখারি: ৩৮২)
অন্য এক হাদিসে হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘এক রাতে আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বিছানায় পাচ্ছিলাম না। তখন আমি আমার হাত দিয়ে তাঁকে খুঁজতে লাগলাম। তখন আমার হাত তাঁর পদযুগলের ওপর পড়ে। তাঁর পা খাড়া ছিল আর তিনি ছিলেন সিজদারত। (সুনান নাসায়ি: ১৬৯)। এই হাদিসগুলো প্রমাণ করে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) সম্পূর্ণরূপে অন্ধকার ঘরেও নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করেছেন।
মনে রাখার বিষয় হলো, নামাজে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় সিজদার জায়গার দিকে নজর রাখা সুন্নত, এটি নামাজের একটি আদব। কিন্তু এই সুন্নত পালনের জন্য সিজদার জায়গাটি দেখতে পাওয়া বা দেখতে থাকা অপরিহার্য নয় এবং এটি নামাজের শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্তও নয়। তাই বিদ্যুৎ চলে গিয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকার হলেও, যেহেতু নামাজের বাকি আরকান বা ফরজসমূহ যেমন দাঁড়ানো, রুকু, সিজদা ইত্যাদি আদায় করা সম্ভব, তাই নামাজ চালিয়ে যাওয়া যাবে।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি শাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক

ইতিহাসে কিছু ঘটনা আছে, যা কেবল কোনো জাতির নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস। ইসলামের ইতিহাসে তেমনি এক অমর অধ্যায় কারবালার ঘটনা। হিজরি ৬১ সালের ১০ মহররম, বর্তমান ইরাকের কারবালা প্রান্তরে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে জীবন উৎসর্গ করেন নবী মুহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় নাতি হজরত হুসাইন...
০১ জুলাই ২০২৫
মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
১৮ মিনিট আগে
আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছে ‘জমাদিউল আউয়াল’—এটি আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস। আরবি এই মাসের বাংলা অর্থ নানাভাবে হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ এভাবে করা যায়, জুমাদা শব্দের অর্থ—স্থির, অবিচল, দৃঢ়, শীতল।
২৩ মিনিট আগে
কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিট। ভ্রমণকারীদের চিরচেনা জনপদ। পর্যটকদের পদচারণে মুখর এক ব্যস্ত নগর। সুবিশাল ও প্রশস্ত পথঘাট পেরিয়ে এখানে এলেই মনে হয় যেন একরাশ নীরবতা ভেদ করে প্রবেশ করা হয়েছে কোনো কোলাহলময় জনপদে। রাস্তার দুই পাশে ঝোলানো দোকানের বাহারি সাইনবোর্ড, হরেক রকম খাবারের দোকান, উড়তে থাকা কাবাবের....
১ ঘণ্টা আগেতাওহীদ আদনান ইয়াকুব

কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিট। ভ্রমণকারীদের চিরচেনা জনপদ। পর্যটকদের পদচারণে মুখর এক ব্যস্ত নগর। সুবিশাল ও প্রশস্ত পথঘাট পেরিয়ে এখানে এলেই মনে হয় যেন একরাশ নীরবতা ভেদ করে প্রবেশ করা হয়েছে কোনো কোলাহলময় জনপদে। রাস্তার দুই পাশে ঝোলানো দোকানের বাহারি সাইনবোর্ড, হরেক রকম খাবারের দোকান, উড়তে থাকা কাবাবের ধোঁয়া আর মসলার সুগন্ধে ভারী হয়ে ওঠা বাতাস, হকারদের হাঁকডাক, মানুষের ব্যস্ত পায়চারি—সব মিলিয়ে যেন অবিরাম এক গুঞ্জন। এই গুঞ্জন ভেদ করে সামনে এগোলেই নজরে পড়ে সুবিশাল এক স্থাপনা—নাখোদা মসজিদ। আঙিনায় ঢুকতেই অনুভব হয় এ যেন কোলাহলের শহরে এক শান্তির নিবাস।
প্রথম দেখাতেই মসজিদের গাম্ভীর্য মনকে স্তব্ধ করে দেয়। লাল বেলেপাথরের দেয়াল, উঁচু উঁচু মিনার আর সুবিশাল ফটক দেখে মনে হবে এটি নিছক কোনো মসজিদই নয়, ইতিহাসেরও জীবন্ত সাক্ষী। ফটকের দিকে তাকালে মনে হবে আগ্রার ফতেহপুর সিক্রির ‘বুলন্দ দরওয়াজা’। নিমেষেই মনে পড়ে যাবে সেই স্মৃতি। ভেতরে ঢুকলে শ্বেতপাথরের সৌন্দর্য মনে করিয়ে দেবে তাজমহলের কথা। জনারণ্য আর ভিড় পেরিয়ে মসজিদের ভেতরে ঢুকলেই মনে হবে, সব কোলাহল যেন হঠাৎ থমকে গেছে অজানা কোথাও। অসাধারণ এই স্থাপত্য দেখতে মানুষ দলে দলে ছুটে আসে দূর-দূরান্ত থেকে। নিঃশব্দে তাকিয়ে থাকে মসজিদের গাম্ভীর্যে; মুগ্ধ নয়নে হারিয়ে যায় সেই অপার সৌন্দর্যে।
নাখোদা মসজিদের ভেতরে ঢুকলেই অনুভূত হয় চারপাশে ছড়িয়ে থাকা মনোমুগ্ধকর শান্তি ও স্নিগ্ধ প্রশান্তি, যা মনকে ছুঁয়ে যায় নিমেষেই। এখানে নামাজ আদায় করতে গেলে মনে হয়, এ যেন এক সুবিশাল মিলনমেলা। জুমা আদায়ের সময় তো কথাই নেই। হাজারো মানুষের ভিড়ে মসজিদের প্রাঙ্গণ তৈরি হয় এক বিস্তীর্ণ মিলনায়তনে। ঈদের নামাজে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় আরও বহু গুণ। মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে তিল ধারণেরও জায়গা থাকে না তখন।
মসজিদের বাইরেও যেন দেখা মেলে এক ভিন্ন জগতের। প্রবেশদ্বারের পাশে সারি সারি রেস্তোরাঁ, মিষ্টির দোকান। এক পাশে কিছু চায়ের স্টল, আরেক পাশে কাবাবের ধোঁয়ার ওড়াউড়ি। নামাজ শেষে কিংবা ঘোরাঘুরির ফাঁকে অনেকেই থেমে যায় সেখানে। কেউ গরম চায়ের কাপে চুমুক দেয়, কেউবা উদাস ভঙ্গিতে কাবাবের ধোঁয়ায় হারিয়ে যায়। সেই প্রাণচঞ্চল পরিবেশেও অনেকের মনে ভেসে ওঠে একটি প্রশ্ন—মসজিদ তো খোদার ঘর, তবে এই মসজিদের নাম কেন ‘নাখোদা!’

উত্তর খুঁজতে গেলে হারিয়ে যেতে হবে ইতিহাসের পাতায়। প্রায় এক শতাব্দী আগে গুজরাটের এক ধনবান নাবিক আবদুর রহিম উসমান নিজের অর্থে নির্মাণ করেছিলেন এই মসজিদ। নাবিকের ফারসি হলো ‘নাখোদা’। তাঁর পেশার প্রতি সম্মান জানাতেই স্থানীয়রা মসজিদের নাম রাখেন ‘নাখোদা’। তখন ছিল ব্রিটিশ শাসনামল। ইংরেজির পাশাপাশি ফারসিও ছিল প্রশাসনিক ভাষা। সমাজের সংস্কৃতিতে ফারসির ছিল গভীর প্রভাব। সেই সময়ের ঐতিহ্যের প্রতিফলনে নাবিকের নামে স্থায়ী হয়ে যায় এই নাম—‘নাখোদা মসজিদ’।
মসজিদটির স্থাপত্যে যেমন ফুটে উঠেছে ইতিহাসের গাম্ভীর্য, তেমনি মিশে আছে স্থানীয় সংস্কৃতির রং ও গন্ধও। গম্বুজ, খিলান আর অলংকরণে শুধু অতীতের ছোঁয়া নয়, দেখা মেলে সেই সময়ের স্থানীয়দের জীবনযাত্রা, শিল্পবোধ ও নান্দনিকতার প্রতিফলন। তাই নাখোদা মসজিদে প্রবেশ করলে মনে হয় যেন ইতিহাস কথা বলছে, আর তার সঙ্গে মিশে আছে স্থানীয় সংস্কৃতি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া ইসলামিয়া কওমিয়া (নশাসন মাদরাসা), শরীয়তপুর

কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিট। ভ্রমণকারীদের চিরচেনা জনপদ। পর্যটকদের পদচারণে মুখর এক ব্যস্ত নগর। সুবিশাল ও প্রশস্ত পথঘাট পেরিয়ে এখানে এলেই মনে হয় যেন একরাশ নীরবতা ভেদ করে প্রবেশ করা হয়েছে কোনো কোলাহলময় জনপদে। রাস্তার দুই পাশে ঝোলানো দোকানের বাহারি সাইনবোর্ড, হরেক রকম খাবারের দোকান, উড়তে থাকা কাবাবের ধোঁয়া আর মসলার সুগন্ধে ভারী হয়ে ওঠা বাতাস, হকারদের হাঁকডাক, মানুষের ব্যস্ত পায়চারি—সব মিলিয়ে যেন অবিরাম এক গুঞ্জন। এই গুঞ্জন ভেদ করে সামনে এগোলেই নজরে পড়ে সুবিশাল এক স্থাপনা—নাখোদা মসজিদ। আঙিনায় ঢুকতেই অনুভব হয় এ যেন কোলাহলের শহরে এক শান্তির নিবাস।
প্রথম দেখাতেই মসজিদের গাম্ভীর্য মনকে স্তব্ধ করে দেয়। লাল বেলেপাথরের দেয়াল, উঁচু উঁচু মিনার আর সুবিশাল ফটক দেখে মনে হবে এটি নিছক কোনো মসজিদই নয়, ইতিহাসেরও জীবন্ত সাক্ষী। ফটকের দিকে তাকালে মনে হবে আগ্রার ফতেহপুর সিক্রির ‘বুলন্দ দরওয়াজা’। নিমেষেই মনে পড়ে যাবে সেই স্মৃতি। ভেতরে ঢুকলে শ্বেতপাথরের সৌন্দর্য মনে করিয়ে দেবে তাজমহলের কথা। জনারণ্য আর ভিড় পেরিয়ে মসজিদের ভেতরে ঢুকলেই মনে হবে, সব কোলাহল যেন হঠাৎ থমকে গেছে অজানা কোথাও। অসাধারণ এই স্থাপত্য দেখতে মানুষ দলে দলে ছুটে আসে দূর-দূরান্ত থেকে। নিঃশব্দে তাকিয়ে থাকে মসজিদের গাম্ভীর্যে; মুগ্ধ নয়নে হারিয়ে যায় সেই অপার সৌন্দর্যে।
নাখোদা মসজিদের ভেতরে ঢুকলেই অনুভূত হয় চারপাশে ছড়িয়ে থাকা মনোমুগ্ধকর শান্তি ও স্নিগ্ধ প্রশান্তি, যা মনকে ছুঁয়ে যায় নিমেষেই। এখানে নামাজ আদায় করতে গেলে মনে হয়, এ যেন এক সুবিশাল মিলনমেলা। জুমা আদায়ের সময় তো কথাই নেই। হাজারো মানুষের ভিড়ে মসজিদের প্রাঙ্গণ তৈরি হয় এক বিস্তীর্ণ মিলনায়তনে। ঈদের নামাজে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় আরও বহু গুণ। মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে তিল ধারণেরও জায়গা থাকে না তখন।
মসজিদের বাইরেও যেন দেখা মেলে এক ভিন্ন জগতের। প্রবেশদ্বারের পাশে সারি সারি রেস্তোরাঁ, মিষ্টির দোকান। এক পাশে কিছু চায়ের স্টল, আরেক পাশে কাবাবের ধোঁয়ার ওড়াউড়ি। নামাজ শেষে কিংবা ঘোরাঘুরির ফাঁকে অনেকেই থেমে যায় সেখানে। কেউ গরম চায়ের কাপে চুমুক দেয়, কেউবা উদাস ভঙ্গিতে কাবাবের ধোঁয়ায় হারিয়ে যায়। সেই প্রাণচঞ্চল পরিবেশেও অনেকের মনে ভেসে ওঠে একটি প্রশ্ন—মসজিদ তো খোদার ঘর, তবে এই মসজিদের নাম কেন ‘নাখোদা!’

উত্তর খুঁজতে গেলে হারিয়ে যেতে হবে ইতিহাসের পাতায়। প্রায় এক শতাব্দী আগে গুজরাটের এক ধনবান নাবিক আবদুর রহিম উসমান নিজের অর্থে নির্মাণ করেছিলেন এই মসজিদ। নাবিকের ফারসি হলো ‘নাখোদা’। তাঁর পেশার প্রতি সম্মান জানাতেই স্থানীয়রা মসজিদের নাম রাখেন ‘নাখোদা’। তখন ছিল ব্রিটিশ শাসনামল। ইংরেজির পাশাপাশি ফারসিও ছিল প্রশাসনিক ভাষা। সমাজের সংস্কৃতিতে ফারসির ছিল গভীর প্রভাব। সেই সময়ের ঐতিহ্যের প্রতিফলনে নাবিকের নামে স্থায়ী হয়ে যায় এই নাম—‘নাখোদা মসজিদ’।
মসজিদটির স্থাপত্যে যেমন ফুটে উঠেছে ইতিহাসের গাম্ভীর্য, তেমনি মিশে আছে স্থানীয় সংস্কৃতির রং ও গন্ধও। গম্বুজ, খিলান আর অলংকরণে শুধু অতীতের ছোঁয়া নয়, দেখা মেলে সেই সময়ের স্থানীয়দের জীবনযাত্রা, শিল্পবোধ ও নান্দনিকতার প্রতিফলন। তাই নাখোদা মসজিদে প্রবেশ করলে মনে হয় যেন ইতিহাস কথা বলছে, আর তার সঙ্গে মিশে আছে স্থানীয় সংস্কৃতি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া ইসলামিয়া কওমিয়া (নশাসন মাদরাসা), শরীয়তপুর

ইতিহাসে কিছু ঘটনা আছে, যা কেবল কোনো জাতির নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস। ইসলামের ইতিহাসে তেমনি এক অমর অধ্যায় কারবালার ঘটনা। হিজরি ৬১ সালের ১০ মহররম, বর্তমান ইরাকের কারবালা প্রান্তরে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে জীবন উৎসর্গ করেন নবী মুহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় নাতি হজরত হুসাইন...
০১ জুলাই ২০২৫
মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
১৮ মিনিট আগে
আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছে ‘জমাদিউল আউয়াল’—এটি আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস। আরবি এই মাসের বাংলা অর্থ নানাভাবে হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ এভাবে করা যায়, জুমাদা শব্দের অর্থ—স্থির, অবিচল, দৃঢ়, শীতল।
২৩ মিনিট আগে
নামাজের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেলে বাকি নামাজটুকু কি শেষ করা যাবে? কিছু মানুষ বলে—‘সিজদার জায়গাটি যদি হালকাভাবেও বোঝা যায়, তাহলেও বাকি নামাজ আদায় করা যাবে। তবে সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে গেলে আর নামাজ আদায় করা ঠিক হবে না।’ সঠিক উত্তর জানালে উপকৃত হব।
৩৬ মিনিট আগে