তাওহীদ আদনান ইয়াকুব

কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিট। ভ্রমণকারীদের চিরচেনা জনপদ। পর্যটকদের পদচারণে মুখর এক ব্যস্ত নগর। সুবিশাল ও প্রশস্ত পথঘাট পেরিয়ে এখানে এলেই মনে হয় যেন একরাশ নীরবতা ভেদ করে প্রবেশ করা হয়েছে কোনো কোলাহলময় জনপদে। রাস্তার দুই পাশে ঝোলানো দোকানের বাহারি সাইনবোর্ড, হরেক রকম খাবারের দোকান, উড়তে থাকা কাবাবের ধোঁয়া আর মসলার সুগন্ধে ভারী হয়ে ওঠা বাতাস, হকারদের হাঁকডাক, মানুষের ব্যস্ত পায়চারি—সব মিলিয়ে যেন অবিরাম এক গুঞ্জন। এই গুঞ্জন ভেদ করে সামনে এগোলেই নজরে পড়ে সুবিশাল এক স্থাপনা—নাখোদা মসজিদ। আঙিনায় ঢুকতেই অনুভব হয় এ যেন কোলাহলের শহরে এক শান্তির নিবাস।
প্রথম দেখাতেই মসজিদের গাম্ভীর্য মনকে স্তব্ধ করে দেয়। লাল বেলেপাথরের দেয়াল, উঁচু উঁচু মিনার আর সুবিশাল ফটক দেখে মনে হবে এটি নিছক কোনো মসজিদই নয়, ইতিহাসেরও জীবন্ত সাক্ষী। ফটকের দিকে তাকালে মনে হবে আগ্রার ফতেহপুর সিক্রির ‘বুলন্দ দরওয়াজা’। নিমেষেই মনে পড়ে যাবে সেই স্মৃতি। ভেতরে ঢুকলে শ্বেতপাথরের সৌন্দর্য মনে করিয়ে দেবে তাজমহলের কথা। জনারণ্য আর ভিড় পেরিয়ে মসজিদের ভেতরে ঢুকলেই মনে হবে, সব কোলাহল যেন হঠাৎ থমকে গেছে অজানা কোথাও। অসাধারণ এই স্থাপত্য দেখতে মানুষ দলে দলে ছুটে আসে দূর-দূরান্ত থেকে। নিঃশব্দে তাকিয়ে থাকে মসজিদের গাম্ভীর্যে; মুগ্ধ নয়নে হারিয়ে যায় সেই অপার সৌন্দর্যে।
নাখোদা মসজিদের ভেতরে ঢুকলেই অনুভূত হয় চারপাশে ছড়িয়ে থাকা মনোমুগ্ধকর শান্তি ও স্নিগ্ধ প্রশান্তি, যা মনকে ছুঁয়ে যায় নিমেষেই। এখানে নামাজ আদায় করতে গেলে মনে হয়, এ যেন এক সুবিশাল মিলনমেলা। জুমা আদায়ের সময় তো কথাই নেই। হাজারো মানুষের ভিড়ে মসজিদের প্রাঙ্গণ তৈরি হয় এক বিস্তীর্ণ মিলনায়তনে। ঈদের নামাজে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় আরও বহু গুণ। মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে তিল ধারণেরও জায়গা থাকে না তখন।
মসজিদের বাইরেও যেন দেখা মেলে এক ভিন্ন জগতের। প্রবেশদ্বারের পাশে সারি সারি রেস্তোরাঁ, মিষ্টির দোকান। এক পাশে কিছু চায়ের স্টল, আরেক পাশে কাবাবের ধোঁয়ার ওড়াউড়ি। নামাজ শেষে কিংবা ঘোরাঘুরির ফাঁকে অনেকেই থেমে যায় সেখানে। কেউ গরম চায়ের কাপে চুমুক দেয়, কেউবা উদাস ভঙ্গিতে কাবাবের ধোঁয়ায় হারিয়ে যায়। সেই প্রাণচঞ্চল পরিবেশেও অনেকের মনে ভেসে ওঠে একটি প্রশ্ন—মসজিদ তো খোদার ঘর, তবে এই মসজিদের নাম কেন ‘নাখোদা!’

উত্তর খুঁজতে গেলে হারিয়ে যেতে হবে ইতিহাসের পাতায়। প্রায় এক শতাব্দী আগে গুজরাটের এক ধনবান নাবিক আবদুর রহিম উসমান নিজের অর্থে নির্মাণ করেছিলেন এই মসজিদ। নাবিকের ফারসি হলো ‘নাখোদা’। তাঁর পেশার প্রতি সম্মান জানাতেই স্থানীয়রা মসজিদের নাম রাখেন ‘নাখোদা’। তখন ছিল ব্রিটিশ শাসনামল। ইংরেজির পাশাপাশি ফারসিও ছিল প্রশাসনিক ভাষা। সমাজের সংস্কৃতিতে ফারসির ছিল গভীর প্রভাব। সেই সময়ের ঐতিহ্যের প্রতিফলনে নাবিকের নামে স্থায়ী হয়ে যায় এই নাম—‘নাখোদা মসজিদ’।
মসজিদটির স্থাপত্যে যেমন ফুটে উঠেছে ইতিহাসের গাম্ভীর্য, তেমনি মিশে আছে স্থানীয় সংস্কৃতির রং ও গন্ধও। গম্বুজ, খিলান আর অলংকরণে শুধু অতীতের ছোঁয়া নয়, দেখা মেলে সেই সময়ের স্থানীয়দের জীবনযাত্রা, শিল্পবোধ ও নান্দনিকতার প্রতিফলন। তাই নাখোদা মসজিদে প্রবেশ করলে মনে হয় যেন ইতিহাস কথা বলছে, আর তার সঙ্গে মিশে আছে স্থানীয় সংস্কৃতি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া ইসলামিয়া কওমিয়া (নশাসন মাদরাসা), শরীয়তপুর

কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিট। ভ্রমণকারীদের চিরচেনা জনপদ। পর্যটকদের পদচারণে মুখর এক ব্যস্ত নগর। সুবিশাল ও প্রশস্ত পথঘাট পেরিয়ে এখানে এলেই মনে হয় যেন একরাশ নীরবতা ভেদ করে প্রবেশ করা হয়েছে কোনো কোলাহলময় জনপদে। রাস্তার দুই পাশে ঝোলানো দোকানের বাহারি সাইনবোর্ড, হরেক রকম খাবারের দোকান, উড়তে থাকা কাবাবের ধোঁয়া আর মসলার সুগন্ধে ভারী হয়ে ওঠা বাতাস, হকারদের হাঁকডাক, মানুষের ব্যস্ত পায়চারি—সব মিলিয়ে যেন অবিরাম এক গুঞ্জন। এই গুঞ্জন ভেদ করে সামনে এগোলেই নজরে পড়ে সুবিশাল এক স্থাপনা—নাখোদা মসজিদ। আঙিনায় ঢুকতেই অনুভব হয় এ যেন কোলাহলের শহরে এক শান্তির নিবাস।
প্রথম দেখাতেই মসজিদের গাম্ভীর্য মনকে স্তব্ধ করে দেয়। লাল বেলেপাথরের দেয়াল, উঁচু উঁচু মিনার আর সুবিশাল ফটক দেখে মনে হবে এটি নিছক কোনো মসজিদই নয়, ইতিহাসেরও জীবন্ত সাক্ষী। ফটকের দিকে তাকালে মনে হবে আগ্রার ফতেহপুর সিক্রির ‘বুলন্দ দরওয়াজা’। নিমেষেই মনে পড়ে যাবে সেই স্মৃতি। ভেতরে ঢুকলে শ্বেতপাথরের সৌন্দর্য মনে করিয়ে দেবে তাজমহলের কথা। জনারণ্য আর ভিড় পেরিয়ে মসজিদের ভেতরে ঢুকলেই মনে হবে, সব কোলাহল যেন হঠাৎ থমকে গেছে অজানা কোথাও। অসাধারণ এই স্থাপত্য দেখতে মানুষ দলে দলে ছুটে আসে দূর-দূরান্ত থেকে। নিঃশব্দে তাকিয়ে থাকে মসজিদের গাম্ভীর্যে; মুগ্ধ নয়নে হারিয়ে যায় সেই অপার সৌন্দর্যে।
নাখোদা মসজিদের ভেতরে ঢুকলেই অনুভূত হয় চারপাশে ছড়িয়ে থাকা মনোমুগ্ধকর শান্তি ও স্নিগ্ধ প্রশান্তি, যা মনকে ছুঁয়ে যায় নিমেষেই। এখানে নামাজ আদায় করতে গেলে মনে হয়, এ যেন এক সুবিশাল মিলনমেলা। জুমা আদায়ের সময় তো কথাই নেই। হাজারো মানুষের ভিড়ে মসজিদের প্রাঙ্গণ তৈরি হয় এক বিস্তীর্ণ মিলনায়তনে। ঈদের নামাজে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় আরও বহু গুণ। মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে তিল ধারণেরও জায়গা থাকে না তখন।
মসজিদের বাইরেও যেন দেখা মেলে এক ভিন্ন জগতের। প্রবেশদ্বারের পাশে সারি সারি রেস্তোরাঁ, মিষ্টির দোকান। এক পাশে কিছু চায়ের স্টল, আরেক পাশে কাবাবের ধোঁয়ার ওড়াউড়ি। নামাজ শেষে কিংবা ঘোরাঘুরির ফাঁকে অনেকেই থেমে যায় সেখানে। কেউ গরম চায়ের কাপে চুমুক দেয়, কেউবা উদাস ভঙ্গিতে কাবাবের ধোঁয়ায় হারিয়ে যায়। সেই প্রাণচঞ্চল পরিবেশেও অনেকের মনে ভেসে ওঠে একটি প্রশ্ন—মসজিদ তো খোদার ঘর, তবে এই মসজিদের নাম কেন ‘নাখোদা!’

উত্তর খুঁজতে গেলে হারিয়ে যেতে হবে ইতিহাসের পাতায়। প্রায় এক শতাব্দী আগে গুজরাটের এক ধনবান নাবিক আবদুর রহিম উসমান নিজের অর্থে নির্মাণ করেছিলেন এই মসজিদ। নাবিকের ফারসি হলো ‘নাখোদা’। তাঁর পেশার প্রতি সম্মান জানাতেই স্থানীয়রা মসজিদের নাম রাখেন ‘নাখোদা’। তখন ছিল ব্রিটিশ শাসনামল। ইংরেজির পাশাপাশি ফারসিও ছিল প্রশাসনিক ভাষা। সমাজের সংস্কৃতিতে ফারসির ছিল গভীর প্রভাব। সেই সময়ের ঐতিহ্যের প্রতিফলনে নাবিকের নামে স্থায়ী হয়ে যায় এই নাম—‘নাখোদা মসজিদ’।
মসজিদটির স্থাপত্যে যেমন ফুটে উঠেছে ইতিহাসের গাম্ভীর্য, তেমনি মিশে আছে স্থানীয় সংস্কৃতির রং ও গন্ধও। গম্বুজ, খিলান আর অলংকরণে শুধু অতীতের ছোঁয়া নয়, দেখা মেলে সেই সময়ের স্থানীয়দের জীবনযাত্রা, শিল্পবোধ ও নান্দনিকতার প্রতিফলন। তাই নাখোদা মসজিদে প্রবেশ করলে মনে হয় যেন ইতিহাস কথা বলছে, আর তার সঙ্গে মিশে আছে স্থানীয় সংস্কৃতি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া ইসলামিয়া কওমিয়া (নশাসন মাদরাসা), শরীয়তপুর

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
২৬ মিনিট আগে
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
এ বিষয়ে কোনো সৌদি আরবের সরকারি নীতি পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানায় এই সংবাদমাধ্যম।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সংবাদমাধ্যমটির ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের মিথ্যা দাবি মাঝেমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হজ বা ওমরাহর মৌসুমে এমন গুজব বেশি বিস্তার লাভ করে। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়াই কাম্য।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
এ বিষয়ে কোনো সৌদি আরবের সরকারি নীতি পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানায় এই সংবাদমাধ্যম।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সংবাদমাধ্যমটির ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের মিথ্যা দাবি মাঝেমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হজ বা ওমরাহর মৌসুমে এমন গুজব বেশি বিস্তার লাভ করে। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়াই কাম্য।

কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিট। ভ্রমণকারীদের চিরচেনা জনপদ। পর্যটকদের পদচারণে মুখর এক ব্যস্ত নগর। সুবিশাল ও প্রশস্ত পথঘাট পেরিয়ে এখানে এলেই মনে হয় যেন একরাশ নীরবতা ভেদ করে প্রবেশ করা হয়েছে কোনো কোলাহলময় জনপদে। রাস্তার দুই পাশে ঝোলানো দোকানের বাহারি সাইনবোর্ড, হরেক রকম খাবারের দোকান, উড়তে থাকা কাবাবের....
২৪ অক্টোবর ২০২৫
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
১৯ ঘণ্টা আগেতাসনিফ আবীদ

মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
কেবল সম্পর্ক নয়, বরং বন্ধুত্ব হতে হবে পরিশুদ্ধ, নীতিনির্ভর ও পরকালমুখী। চলার পথে আমরা সবাই বন্ধুত্ব করি—কখনো প্রয়োজনে, কখনো স্বার্থে, কখনো পরিস্থিতিতে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু কে? যে আমাদের চিন্তা, কর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ইসলাম তাই কেবল বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বানই দেয়নি, দিয়েছে সচেতনতার দিকনির্দেশনাও।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ মান্য করে চলে। তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।’ (সুরা তাওবা: ৭১)
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই বিরাগ—এটাই মুসলমানের সম্পর্কের মূলনীতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কাউকে ভালোবাসে আল্লাহর জন্য, কাউকে কিছু দেয় আল্লাহর জন্য, কারও সঙ্গে রাগ করে আল্লাহর জন্য—সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্)। এমন বন্ধুত্ব টিকে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতে। অন্যদিকে স্বার্থ, দম্ভ, আভিজাত্য বা জৌলুশের ওপর নির্মিত বন্ধুত্ব টেকে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর কিছু গুণাবলি হলো—সে সৎ পরামর্শদাতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত। নিজে সৎ জীবনযাপন করে এবং অন্যকেও অনৈতিকতা থেকে দূরে রাখে। গোপন কথা গোপন রাখে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। বিপদে-আপদে পাশে থাকে, অসুস্থতায় খোঁজ নেয়, দাওয়াতে সাড়া দেয়। এক কথায়, ভালো বন্ধু আপনার আখিরাতকেও সুন্দর করে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কই পরকালের পাথেয়।

মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
কেবল সম্পর্ক নয়, বরং বন্ধুত্ব হতে হবে পরিশুদ্ধ, নীতিনির্ভর ও পরকালমুখী। চলার পথে আমরা সবাই বন্ধুত্ব করি—কখনো প্রয়োজনে, কখনো স্বার্থে, কখনো পরিস্থিতিতে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু কে? যে আমাদের চিন্তা, কর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ইসলাম তাই কেবল বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বানই দেয়নি, দিয়েছে সচেতনতার দিকনির্দেশনাও।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ মান্য করে চলে। তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।’ (সুরা তাওবা: ৭১)
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই বিরাগ—এটাই মুসলমানের সম্পর্কের মূলনীতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কাউকে ভালোবাসে আল্লাহর জন্য, কাউকে কিছু দেয় আল্লাহর জন্য, কারও সঙ্গে রাগ করে আল্লাহর জন্য—সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্)। এমন বন্ধুত্ব টিকে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতে। অন্যদিকে স্বার্থ, দম্ভ, আভিজাত্য বা জৌলুশের ওপর নির্মিত বন্ধুত্ব টেকে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর কিছু গুণাবলি হলো—সে সৎ পরামর্শদাতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত। নিজে সৎ জীবনযাপন করে এবং অন্যকেও অনৈতিকতা থেকে দূরে রাখে। গোপন কথা গোপন রাখে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। বিপদে-আপদে পাশে থাকে, অসুস্থতায় খোঁজ নেয়, দাওয়াতে সাড়া দেয়। এক কথায়, ভালো বন্ধু আপনার আখিরাতকেও সুন্দর করে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কই পরকালের পাথেয়।

কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিট। ভ্রমণকারীদের চিরচেনা জনপদ। পর্যটকদের পদচারণে মুখর এক ব্যস্ত নগর। সুবিশাল ও প্রশস্ত পথঘাট পেরিয়ে এখানে এলেই মনে হয় যেন একরাশ নীরবতা ভেদ করে প্রবেশ করা হয়েছে কোনো কোলাহলময় জনপদে। রাস্তার দুই পাশে ঝোলানো দোকানের বাহারি সাইনবোর্ড, হরেক রকম খাবারের দোকান, উড়তে থাকা কাবাবের....
২৪ অক্টোবর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
২৬ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৩ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৩ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিট। ভ্রমণকারীদের চিরচেনা জনপদ। পর্যটকদের পদচারণে মুখর এক ব্যস্ত নগর। সুবিশাল ও প্রশস্ত পথঘাট পেরিয়ে এখানে এলেই মনে হয় যেন একরাশ নীরবতা ভেদ করে প্রবেশ করা হয়েছে কোনো কোলাহলময় জনপদে। রাস্তার দুই পাশে ঝোলানো দোকানের বাহারি সাইনবোর্ড, হরেক রকম খাবারের দোকান, উড়তে থাকা কাবাবের....
২৪ অক্টোবর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
২৬ মিনিট আগে
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৬ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
এ বিষয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য এক হাদিসে বলেছেন, ‘কেউ তার ভাইকে কাফের বলে সম্বোধন করলে উভয়ের মধ্যে যেকোনো একজনের ওপর তা ফিরে আসবে। যাকে কাফের বলা হয়েছে, সে কাফের হলে তো হলোই; নতুবা কথাটি বক্তার ওপর ফিরে আসবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪০৪)
ইসলামের বিধান হলো, কারও থেকে কুফরি কোনো কাজ বা কথা প্রকাশ পেলেও তাকে সরাসরি তাকফির করা বা কাফের ঘোষণা দেওয়া সাধারণ মানুষের কাজ নয়। ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা ওই ব্যক্তির সার্বিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করে ইসলামের মূলনীতি সামনে রেখে ফতোয়া দেবেন।
তবে সতর্কতার বিষয় হলো, শরিয়তের দৃষ্টিতে অমুসলিমরা স্পষ্টতই কাফের। তাদের কুফরকে কেউ কুফর না মানা অথবা তাদের কুফরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া যাবে না। (আশ শিফা: ২/২৮১)
ইমাম আবুল মাআলি (রহ.) বলেন, ‘কোনো কাফেরকে মুসলমান বলে চালিয়ে দেওয়া এবং কোনো মুসলমানকে দ্বীন থেকে বের করে দেওয়া, দুটোই জঘন্য।’ (ইকফারুল মুলহিদিন: ২৭)
মোটকথা হলো, কাউকে তাকফির করা তথা কাফের ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। একইভাবে অতিমাত্রায় ছাড়াছাড়ি করে কাফের বা মুরতাদকে মুসলিম আখ্যা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মূলনীতির অনুসরণ করতে হবে। (শরহে আকিদাতুত তাহাবি: পৃষ্ঠা-৯১)
নবী করিম (সা.) উম্মতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো মুমিনকে কুফরের অপবাদ দেওয়া তাকে হত্যা করার মতোই।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১০৫)। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
এ বিষয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য এক হাদিসে বলেছেন, ‘কেউ তার ভাইকে কাফের বলে সম্বোধন করলে উভয়ের মধ্যে যেকোনো একজনের ওপর তা ফিরে আসবে। যাকে কাফের বলা হয়েছে, সে কাফের হলে তো হলোই; নতুবা কথাটি বক্তার ওপর ফিরে আসবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪০৪)
ইসলামের বিধান হলো, কারও থেকে কুফরি কোনো কাজ বা কথা প্রকাশ পেলেও তাকে সরাসরি তাকফির করা বা কাফের ঘোষণা দেওয়া সাধারণ মানুষের কাজ নয়। ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা ওই ব্যক্তির সার্বিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করে ইসলামের মূলনীতি সামনে রেখে ফতোয়া দেবেন।
তবে সতর্কতার বিষয় হলো, শরিয়তের দৃষ্টিতে অমুসলিমরা স্পষ্টতই কাফের। তাদের কুফরকে কেউ কুফর না মানা অথবা তাদের কুফরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া যাবে না। (আশ শিফা: ২/২৮১)
ইমাম আবুল মাআলি (রহ.) বলেন, ‘কোনো কাফেরকে মুসলমান বলে চালিয়ে দেওয়া এবং কোনো মুসলমানকে দ্বীন থেকে বের করে দেওয়া, দুটোই জঘন্য।’ (ইকফারুল মুলহিদিন: ২৭)
মোটকথা হলো, কাউকে তাকফির করা তথা কাফের ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। একইভাবে অতিমাত্রায় ছাড়াছাড়ি করে কাফের বা মুরতাদকে মুসলিম আখ্যা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মূলনীতির অনুসরণ করতে হবে। (শরহে আকিদাতুত তাহাবি: পৃষ্ঠা-৯১)
নবী করিম (সা.) উম্মতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো মুমিনকে কুফরের অপবাদ দেওয়া তাকে হত্যা করার মতোই।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১০৫)। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিট। ভ্রমণকারীদের চিরচেনা জনপদ। পর্যটকদের পদচারণে মুখর এক ব্যস্ত নগর। সুবিশাল ও প্রশস্ত পথঘাট পেরিয়ে এখানে এলেই মনে হয় যেন একরাশ নীরবতা ভেদ করে প্রবেশ করা হয়েছে কোনো কোলাহলময় জনপদে। রাস্তার দুই পাশে ঝোলানো দোকানের বাহারি সাইনবোর্ড, হরেক রকম খাবারের দোকান, উড়তে থাকা কাবাবের....
২৪ অক্টোবর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
২৬ মিনিট আগে
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে