ইজাজুল হক

নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন সৌদি আরবের নারীরা। দ্রুতগতির রেল হারামাইন এক্সপ্রেসের চালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির ৩২ নারী। সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, সৌদি রেলওয়ে পলিটেকনিকে বছরব্যাপী প্রশিক্ষণের পর গত ২৩ জানুয়ারি তাঁরা চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
মূলত ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলা বুলেট ট্রেন ‘হারামাইন এক্সপ্রেস’ সৌদি আরবের পবিত্র দুই শহর মক্কা ও মদিনার ৪৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে নিয়মিত চলাচল করছে। দুই শহরে পবিত্র হজ-ওমরাহ ও জিয়ারত করতে আসা যাত্রীদের জন্য ২০২১ সালে বিশেষায়িত এই রেলসেবা চালু করা হয়েছিল।
সৌদি রেল কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালের শুরুতে ৩২টি নারী চালকের পদের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করেছিল। রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত সৌদি নারীরা এতে অবিশ্বাস্য রকমের সাড়া দেন। রেলওয়ের আবেদন বাক্সে জমা পড়ে ২৮ হাজার আবেদন। সেখান থেকে দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচিতদের নিয়ে ১২ মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপর চূড়ান্ত পরীক্ষায় ৩২ জনকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়।
চলতি বছরের শুরুতে এ বিষয়ে সৌদি রেল কর্তৃপক্ষ একটি ভিডিও প্রকাশ করে। তাতে চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কয়েকজন নারীকে কথা বলতে দেখা যায়। এই উদ্যোগের গর্বিত অংশীদার হতে পেরে তাঁদের বেশ উচ্ছ্বসিত হতে দেখা যায়।
উত্তীর্ণদের একজন ২৫ বছর বয়সী ইংরেজির শিক্ষক সারা আলি। বুলেট ট্রেনের চালকের আসনে বসার আগে তাঁর ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা জন্মস্থান জেদ্দার আশপাশেই সীমাবদ্ধ ছিল। অনেকের সঙ্গে তিনিও রেলচালকের পদে আবেদন করেছিলেন এবং চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিজেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। গত মাসেই তিনি সফলভাবে প্রথম যাত্রা সম্পন্ন করেছেন।
সারা আলি বলেন, ‘এখানে এসে চালকের কক্ষে প্রবেশের প্রথম দিনটি স্বপ্নের মতোই কেটেছে। চালকের আসনে যখন বসি, তখন দেখি আমার সামনের সবকিছু আমার দিকে দ্রুতগতিতে ধেয়ে আসছে। প্রথমে একটু ভয় পেয়েছিলাম। তবে আল্লাহকে ধন্যবাদ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিবিড় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পেরেছি।’
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সৌদি আরবে কর্মজীবী নারীর অনুপাত এখন ২০১৬ সালের চেয়ে দ্বিগুণ; ১৭ শতাংশ থেকে ৩৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে এবং তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের ঘোষিত ভিশন-৩০-এ নারীর অধিকার সম্প্রসারণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো হচ্ছে।
হারামাইন এক্সপ্রেসের চালক পদে বিপুলসংখ্যক নারীর আবেদন করার ঘটনা সৌদি কর্তৃপক্ষের সামনে নারীদের জন্য বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টির চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। সৌদি অর্থনীতিবিদ মেশাল আলখোয়াইতার বলেছেন, ‘আমাদের চ্যালেঞ্জ বদলেছে। এখন আমাদের নারীদের কাজে যোগ দিতে উৎসাহ দিতে হবে এবং তিন মাস পরপর তাদের নতুন কর্মসংস্থানের জন্য ভাবতে হবে।’
এত দিন সৌদি নারীরা শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে অবদান রাখলেও সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বিধিনিষেধ শিথিল করার কারণে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলেছে। নারীরা বৈচিত্র্যময় পেশায় যোগ দিচ্ছেন। তবে এমন পরিবর্তন সমাজ সহজেই মেনে নিতে চায় না। রেলচালকের পদে উত্তীর্ণ নারীরাও এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন।
উত্তীর্ণ নারী চালকদের একজন রানিম আজুজ। কিছুদিন আগে মদিনায় একটি যাত্রা শেষ করার পরে তাঁকে এক নারী যাত্রী জানিয়েছেন, নিজের চোখে না দেখলে তিনি কখনোই বিশ্বাস করতেন না যে নারীরাও এমন কাজ করতে পারেন। রানিম বলছিলেন, ‘সত্যি বলতে, আমিও চাকরির বিজ্ঞাপনটি দেখে বিশ্বাস করিনি। আমি তখন বলেছিলাম, আমার মেয়েও যদি আমাকে নিয়ে রেল চালায়, আমি তাতে চড়ব না।’
রানিম আজুজ আরও জানান, ওই যাত্রী তাঁকে বলেছেন, ‘আপনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। আমি কোনো পার্থক্য অনুভব করিনি।’
সৌদি রেলওয়ের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান আল-হারবি বলেন, ‘নারী চালকেরা অত্যন্ত যোগ্য। প্রশিক্ষণের সময় তাঁরা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন।’
রানিম আজুজ জানান, অনেক যাত্রীই তাঁকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তবে অসন্তোষ প্রকাশ করতেও দেখেছি কিছু মানুষকে। আমিরাতের সরকারি কর্মচারী মুহাম্মদ ইসা বলেছেন, ‘নারীরা বাড়িতে থাকলেই পরিবার সফল হবে। তাঁরা বাইরে কাজ করলে ঘর সামলাবে কে?’
কিং ফয়সাল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজের সহযোগী গবেষক নাজাহ আলওতাইবি বলেন, ‘দেশের সব মানুষই প্রতিটি পরিবর্তন সমর্থন করবেন, তা আমরা আশা করি না। তবে অধিকাংশ মানুষই পরিবর্তনের পক্ষে।’
সূত্র: আরব নিউজ, দ্য আরব উইকলি

নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন সৌদি আরবের নারীরা। দ্রুতগতির রেল হারামাইন এক্সপ্রেসের চালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির ৩২ নারী। সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, সৌদি রেলওয়ে পলিটেকনিকে বছরব্যাপী প্রশিক্ষণের পর গত ২৩ জানুয়ারি তাঁরা চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
মূলত ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলা বুলেট ট্রেন ‘হারামাইন এক্সপ্রেস’ সৌদি আরবের পবিত্র দুই শহর মক্কা ও মদিনার ৪৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে নিয়মিত চলাচল করছে। দুই শহরে পবিত্র হজ-ওমরাহ ও জিয়ারত করতে আসা যাত্রীদের জন্য ২০২১ সালে বিশেষায়িত এই রেলসেবা চালু করা হয়েছিল।
সৌদি রেল কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালের শুরুতে ৩২টি নারী চালকের পদের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করেছিল। রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত সৌদি নারীরা এতে অবিশ্বাস্য রকমের সাড়া দেন। রেলওয়ের আবেদন বাক্সে জমা পড়ে ২৮ হাজার আবেদন। সেখান থেকে দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচিতদের নিয়ে ১২ মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপর চূড়ান্ত পরীক্ষায় ৩২ জনকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়।
চলতি বছরের শুরুতে এ বিষয়ে সৌদি রেল কর্তৃপক্ষ একটি ভিডিও প্রকাশ করে। তাতে চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কয়েকজন নারীকে কথা বলতে দেখা যায়। এই উদ্যোগের গর্বিত অংশীদার হতে পেরে তাঁদের বেশ উচ্ছ্বসিত হতে দেখা যায়।
উত্তীর্ণদের একজন ২৫ বছর বয়সী ইংরেজির শিক্ষক সারা আলি। বুলেট ট্রেনের চালকের আসনে বসার আগে তাঁর ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা জন্মস্থান জেদ্দার আশপাশেই সীমাবদ্ধ ছিল। অনেকের সঙ্গে তিনিও রেলচালকের পদে আবেদন করেছিলেন এবং চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিজেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। গত মাসেই তিনি সফলভাবে প্রথম যাত্রা সম্পন্ন করেছেন।
সারা আলি বলেন, ‘এখানে এসে চালকের কক্ষে প্রবেশের প্রথম দিনটি স্বপ্নের মতোই কেটেছে। চালকের আসনে যখন বসি, তখন দেখি আমার সামনের সবকিছু আমার দিকে দ্রুতগতিতে ধেয়ে আসছে। প্রথমে একটু ভয় পেয়েছিলাম। তবে আল্লাহকে ধন্যবাদ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিবিড় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পেরেছি।’
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সৌদি আরবে কর্মজীবী নারীর অনুপাত এখন ২০১৬ সালের চেয়ে দ্বিগুণ; ১৭ শতাংশ থেকে ৩৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে এবং তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের ঘোষিত ভিশন-৩০-এ নারীর অধিকার সম্প্রসারণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো হচ্ছে।
হারামাইন এক্সপ্রেসের চালক পদে বিপুলসংখ্যক নারীর আবেদন করার ঘটনা সৌদি কর্তৃপক্ষের সামনে নারীদের জন্য বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টির চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। সৌদি অর্থনীতিবিদ মেশাল আলখোয়াইতার বলেছেন, ‘আমাদের চ্যালেঞ্জ বদলেছে। এখন আমাদের নারীদের কাজে যোগ দিতে উৎসাহ দিতে হবে এবং তিন মাস পরপর তাদের নতুন কর্মসংস্থানের জন্য ভাবতে হবে।’
এত দিন সৌদি নারীরা শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে অবদান রাখলেও সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বিধিনিষেধ শিথিল করার কারণে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলেছে। নারীরা বৈচিত্র্যময় পেশায় যোগ দিচ্ছেন। তবে এমন পরিবর্তন সমাজ সহজেই মেনে নিতে চায় না। রেলচালকের পদে উত্তীর্ণ নারীরাও এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন।
উত্তীর্ণ নারী চালকদের একজন রানিম আজুজ। কিছুদিন আগে মদিনায় একটি যাত্রা শেষ করার পরে তাঁকে এক নারী যাত্রী জানিয়েছেন, নিজের চোখে না দেখলে তিনি কখনোই বিশ্বাস করতেন না যে নারীরাও এমন কাজ করতে পারেন। রানিম বলছিলেন, ‘সত্যি বলতে, আমিও চাকরির বিজ্ঞাপনটি দেখে বিশ্বাস করিনি। আমি তখন বলেছিলাম, আমার মেয়েও যদি আমাকে নিয়ে রেল চালায়, আমি তাতে চড়ব না।’
রানিম আজুজ আরও জানান, ওই যাত্রী তাঁকে বলেছেন, ‘আপনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। আমি কোনো পার্থক্য অনুভব করিনি।’
সৌদি রেলওয়ের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান আল-হারবি বলেন, ‘নারী চালকেরা অত্যন্ত যোগ্য। প্রশিক্ষণের সময় তাঁরা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন।’
রানিম আজুজ জানান, অনেক যাত্রীই তাঁকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তবে অসন্তোষ প্রকাশ করতেও দেখেছি কিছু মানুষকে। আমিরাতের সরকারি কর্মচারী মুহাম্মদ ইসা বলেছেন, ‘নারীরা বাড়িতে থাকলেই পরিবার সফল হবে। তাঁরা বাইরে কাজ করলে ঘর সামলাবে কে?’
কিং ফয়সাল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজের সহযোগী গবেষক নাজাহ আলওতাইবি বলেন, ‘দেশের সব মানুষই প্রতিটি পরিবর্তন সমর্থন করবেন, তা আমরা আশা করি না। তবে অধিকাংশ মানুষই পরিবর্তনের পক্ষে।’
সূত্র: আরব নিউজ, দ্য আরব উইকলি
ইজাজুল হক

নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন সৌদি আরবের নারীরা। দ্রুতগতির রেল হারামাইন এক্সপ্রেসের চালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির ৩২ নারী। সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, সৌদি রেলওয়ে পলিটেকনিকে বছরব্যাপী প্রশিক্ষণের পর গত ২৩ জানুয়ারি তাঁরা চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
মূলত ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলা বুলেট ট্রেন ‘হারামাইন এক্সপ্রেস’ সৌদি আরবের পবিত্র দুই শহর মক্কা ও মদিনার ৪৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে নিয়মিত চলাচল করছে। দুই শহরে পবিত্র হজ-ওমরাহ ও জিয়ারত করতে আসা যাত্রীদের জন্য ২০২১ সালে বিশেষায়িত এই রেলসেবা চালু করা হয়েছিল।
সৌদি রেল কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালের শুরুতে ৩২টি নারী চালকের পদের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করেছিল। রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত সৌদি নারীরা এতে অবিশ্বাস্য রকমের সাড়া দেন। রেলওয়ের আবেদন বাক্সে জমা পড়ে ২৮ হাজার আবেদন। সেখান থেকে দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচিতদের নিয়ে ১২ মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপর চূড়ান্ত পরীক্ষায় ৩২ জনকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়।
চলতি বছরের শুরুতে এ বিষয়ে সৌদি রেল কর্তৃপক্ষ একটি ভিডিও প্রকাশ করে। তাতে চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কয়েকজন নারীকে কথা বলতে দেখা যায়। এই উদ্যোগের গর্বিত অংশীদার হতে পেরে তাঁদের বেশ উচ্ছ্বসিত হতে দেখা যায়।
উত্তীর্ণদের একজন ২৫ বছর বয়সী ইংরেজির শিক্ষক সারা আলি। বুলেট ট্রেনের চালকের আসনে বসার আগে তাঁর ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা জন্মস্থান জেদ্দার আশপাশেই সীমাবদ্ধ ছিল। অনেকের সঙ্গে তিনিও রেলচালকের পদে আবেদন করেছিলেন এবং চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিজেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। গত মাসেই তিনি সফলভাবে প্রথম যাত্রা সম্পন্ন করেছেন।
সারা আলি বলেন, ‘এখানে এসে চালকের কক্ষে প্রবেশের প্রথম দিনটি স্বপ্নের মতোই কেটেছে। চালকের আসনে যখন বসি, তখন দেখি আমার সামনের সবকিছু আমার দিকে দ্রুতগতিতে ধেয়ে আসছে। প্রথমে একটু ভয় পেয়েছিলাম। তবে আল্লাহকে ধন্যবাদ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিবিড় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পেরেছি।’
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সৌদি আরবে কর্মজীবী নারীর অনুপাত এখন ২০১৬ সালের চেয়ে দ্বিগুণ; ১৭ শতাংশ থেকে ৩৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে এবং তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের ঘোষিত ভিশন-৩০-এ নারীর অধিকার সম্প্রসারণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো হচ্ছে।
হারামাইন এক্সপ্রেসের চালক পদে বিপুলসংখ্যক নারীর আবেদন করার ঘটনা সৌদি কর্তৃপক্ষের সামনে নারীদের জন্য বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টির চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। সৌদি অর্থনীতিবিদ মেশাল আলখোয়াইতার বলেছেন, ‘আমাদের চ্যালেঞ্জ বদলেছে। এখন আমাদের নারীদের কাজে যোগ দিতে উৎসাহ দিতে হবে এবং তিন মাস পরপর তাদের নতুন কর্মসংস্থানের জন্য ভাবতে হবে।’
এত দিন সৌদি নারীরা শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে অবদান রাখলেও সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বিধিনিষেধ শিথিল করার কারণে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলেছে। নারীরা বৈচিত্র্যময় পেশায় যোগ দিচ্ছেন। তবে এমন পরিবর্তন সমাজ সহজেই মেনে নিতে চায় না। রেলচালকের পদে উত্তীর্ণ নারীরাও এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন।
উত্তীর্ণ নারী চালকদের একজন রানিম আজুজ। কিছুদিন আগে মদিনায় একটি যাত্রা শেষ করার পরে তাঁকে এক নারী যাত্রী জানিয়েছেন, নিজের চোখে না দেখলে তিনি কখনোই বিশ্বাস করতেন না যে নারীরাও এমন কাজ করতে পারেন। রানিম বলছিলেন, ‘সত্যি বলতে, আমিও চাকরির বিজ্ঞাপনটি দেখে বিশ্বাস করিনি। আমি তখন বলেছিলাম, আমার মেয়েও যদি আমাকে নিয়ে রেল চালায়, আমি তাতে চড়ব না।’
রানিম আজুজ আরও জানান, ওই যাত্রী তাঁকে বলেছেন, ‘আপনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। আমি কোনো পার্থক্য অনুভব করিনি।’
সৌদি রেলওয়ের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান আল-হারবি বলেন, ‘নারী চালকেরা অত্যন্ত যোগ্য। প্রশিক্ষণের সময় তাঁরা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন।’
রানিম আজুজ জানান, অনেক যাত্রীই তাঁকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তবে অসন্তোষ প্রকাশ করতেও দেখেছি কিছু মানুষকে। আমিরাতের সরকারি কর্মচারী মুহাম্মদ ইসা বলেছেন, ‘নারীরা বাড়িতে থাকলেই পরিবার সফল হবে। তাঁরা বাইরে কাজ করলে ঘর সামলাবে কে?’
কিং ফয়সাল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজের সহযোগী গবেষক নাজাহ আলওতাইবি বলেন, ‘দেশের সব মানুষই প্রতিটি পরিবর্তন সমর্থন করবেন, তা আমরা আশা করি না। তবে অধিকাংশ মানুষই পরিবর্তনের পক্ষে।’
সূত্র: আরব নিউজ, দ্য আরব উইকলি

নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন সৌদি আরবের নারীরা। দ্রুতগতির রেল হারামাইন এক্সপ্রেসের চালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির ৩২ নারী। সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, সৌদি রেলওয়ে পলিটেকনিকে বছরব্যাপী প্রশিক্ষণের পর গত ২৩ জানুয়ারি তাঁরা চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
মূলত ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলা বুলেট ট্রেন ‘হারামাইন এক্সপ্রেস’ সৌদি আরবের পবিত্র দুই শহর মক্কা ও মদিনার ৪৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে নিয়মিত চলাচল করছে। দুই শহরে পবিত্র হজ-ওমরাহ ও জিয়ারত করতে আসা যাত্রীদের জন্য ২০২১ সালে বিশেষায়িত এই রেলসেবা চালু করা হয়েছিল।
সৌদি রেল কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালের শুরুতে ৩২টি নারী চালকের পদের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করেছিল। রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত সৌদি নারীরা এতে অবিশ্বাস্য রকমের সাড়া দেন। রেলওয়ের আবেদন বাক্সে জমা পড়ে ২৮ হাজার আবেদন। সেখান থেকে দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচিতদের নিয়ে ১২ মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপর চূড়ান্ত পরীক্ষায় ৩২ জনকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়।
চলতি বছরের শুরুতে এ বিষয়ে সৌদি রেল কর্তৃপক্ষ একটি ভিডিও প্রকাশ করে। তাতে চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কয়েকজন নারীকে কথা বলতে দেখা যায়। এই উদ্যোগের গর্বিত অংশীদার হতে পেরে তাঁদের বেশ উচ্ছ্বসিত হতে দেখা যায়।
উত্তীর্ণদের একজন ২৫ বছর বয়সী ইংরেজির শিক্ষক সারা আলি। বুলেট ট্রেনের চালকের আসনে বসার আগে তাঁর ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা জন্মস্থান জেদ্দার আশপাশেই সীমাবদ্ধ ছিল। অনেকের সঙ্গে তিনিও রেলচালকের পদে আবেদন করেছিলেন এবং চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিজেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। গত মাসেই তিনি সফলভাবে প্রথম যাত্রা সম্পন্ন করেছেন।
সারা আলি বলেন, ‘এখানে এসে চালকের কক্ষে প্রবেশের প্রথম দিনটি স্বপ্নের মতোই কেটেছে। চালকের আসনে যখন বসি, তখন দেখি আমার সামনের সবকিছু আমার দিকে দ্রুতগতিতে ধেয়ে আসছে। প্রথমে একটু ভয় পেয়েছিলাম। তবে আল্লাহকে ধন্যবাদ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিবিড় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পেরেছি।’
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সৌদি আরবে কর্মজীবী নারীর অনুপাত এখন ২০১৬ সালের চেয়ে দ্বিগুণ; ১৭ শতাংশ থেকে ৩৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে এবং তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের ঘোষিত ভিশন-৩০-এ নারীর অধিকার সম্প্রসারণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো হচ্ছে।
হারামাইন এক্সপ্রেসের চালক পদে বিপুলসংখ্যক নারীর আবেদন করার ঘটনা সৌদি কর্তৃপক্ষের সামনে নারীদের জন্য বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টির চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। সৌদি অর্থনীতিবিদ মেশাল আলখোয়াইতার বলেছেন, ‘আমাদের চ্যালেঞ্জ বদলেছে। এখন আমাদের নারীদের কাজে যোগ দিতে উৎসাহ দিতে হবে এবং তিন মাস পরপর তাদের নতুন কর্মসংস্থানের জন্য ভাবতে হবে।’
এত দিন সৌদি নারীরা শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে অবদান রাখলেও সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বিধিনিষেধ শিথিল করার কারণে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলেছে। নারীরা বৈচিত্র্যময় পেশায় যোগ দিচ্ছেন। তবে এমন পরিবর্তন সমাজ সহজেই মেনে নিতে চায় না। রেলচালকের পদে উত্তীর্ণ নারীরাও এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন।
উত্তীর্ণ নারী চালকদের একজন রানিম আজুজ। কিছুদিন আগে মদিনায় একটি যাত্রা শেষ করার পরে তাঁকে এক নারী যাত্রী জানিয়েছেন, নিজের চোখে না দেখলে তিনি কখনোই বিশ্বাস করতেন না যে নারীরাও এমন কাজ করতে পারেন। রানিম বলছিলেন, ‘সত্যি বলতে, আমিও চাকরির বিজ্ঞাপনটি দেখে বিশ্বাস করিনি। আমি তখন বলেছিলাম, আমার মেয়েও যদি আমাকে নিয়ে রেল চালায়, আমি তাতে চড়ব না।’
রানিম আজুজ আরও জানান, ওই যাত্রী তাঁকে বলেছেন, ‘আপনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। আমি কোনো পার্থক্য অনুভব করিনি।’
সৌদি রেলওয়ের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান আল-হারবি বলেন, ‘নারী চালকেরা অত্যন্ত যোগ্য। প্রশিক্ষণের সময় তাঁরা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন।’
রানিম আজুজ জানান, অনেক যাত্রীই তাঁকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তবে অসন্তোষ প্রকাশ করতেও দেখেছি কিছু মানুষকে। আমিরাতের সরকারি কর্মচারী মুহাম্মদ ইসা বলেছেন, ‘নারীরা বাড়িতে থাকলেই পরিবার সফল হবে। তাঁরা বাইরে কাজ করলে ঘর সামলাবে কে?’
কিং ফয়সাল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজের সহযোগী গবেষক নাজাহ আলওতাইবি বলেন, ‘দেশের সব মানুষই প্রতিটি পরিবর্তন সমর্থন করবেন, তা আমরা আশা করি না। তবে অধিকাংশ মানুষই পরিবর্তনের পক্ষে।’
সূত্র: আরব নিউজ, দ্য আরব উইকলি

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
২১ ঘণ্টা আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার নামাজের। যদি তার নামাজের হিসাব সঠিক হয় তাহলে সে সফলকাম হবে এবং নাজাত পাবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরজ নামাজে কিছু কমতি হয়, তাহলে আল্লাহ বলবেন, দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল ইবাদত রয়েছে কি না? তখন নফল দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। এরপর এভাবে অন্য সব ফরজ আমলের ত্রুটি নফলের মাধ্যমে দূর করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৮৬৪)
নফল নামাজের মধ্য চাশতের নামাজ খুব ফজিলত পূর্ণ। এই নফল নামাজ দ্বিপ্রহরের আগপর্যন্ত আদায় করা যায়। চাশতের নামাজ সাধারণত ৪ রাকাত। তবে বেশিও আদায় করা যায়। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) চাশতের নামাজ ৪ রাকাত আদায় করতেন। আল্লাহ চাইলে কখনো কখনো বেশিও পড়তেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৯৬)
আবু জর গিফারী (রা.)-কে নবী (সা.) একবার বলেন, ‘যদি তুমি চাশতের নামাজ ২ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না। যদি ৪ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে নেককারদের মধ্যে গণ্য করা হবে। যদি তুমি ৬ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি তুমি ৮ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে সফলকাম ব্যক্তিদের তালিকায় লেখা হবে। যদি ১০ রাকাত পড়, তাহলে সেদিন তোমার আমলনামায় কোনো গুনাহ লেখা হবে না। আর যদি ১২ রাকাত পড়, তাহলে জান্নাতে তোমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।’ (সুনানুল কুবরা বায়হাকি: ৪৯০৬)

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার নামাজের। যদি তার নামাজের হিসাব সঠিক হয় তাহলে সে সফলকাম হবে এবং নাজাত পাবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরজ নামাজে কিছু কমতি হয়, তাহলে আল্লাহ বলবেন, দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল ইবাদত রয়েছে কি না? তখন নফল দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। এরপর এভাবে অন্য সব ফরজ আমলের ত্রুটি নফলের মাধ্যমে দূর করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৮৬৪)
নফল নামাজের মধ্য চাশতের নামাজ খুব ফজিলত পূর্ণ। এই নফল নামাজ দ্বিপ্রহরের আগপর্যন্ত আদায় করা যায়। চাশতের নামাজ সাধারণত ৪ রাকাত। তবে বেশিও আদায় করা যায়। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) চাশতের নামাজ ৪ রাকাত আদায় করতেন। আল্লাহ চাইলে কখনো কখনো বেশিও পড়তেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৯৬)
আবু জর গিফারী (রা.)-কে নবী (সা.) একবার বলেন, ‘যদি তুমি চাশতের নামাজ ২ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না। যদি ৪ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে নেককারদের মধ্যে গণ্য করা হবে। যদি তুমি ৬ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি তুমি ৮ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে সফলকাম ব্যক্তিদের তালিকায় লেখা হবে। যদি ১০ রাকাত পড়, তাহলে সেদিন তোমার আমলনামায় কোনো গুনাহ লেখা হবে না। আর যদি ১২ রাকাত পড়, তাহলে জান্নাতে তোমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।’ (সুনানুল কুবরা বায়হাকি: ৪৯০৬)

নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন সৌদি আরবের নারীরা। দ্রুতগতির রেল হারামাইন এক্সপ্রেসের চালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির ৩২ নারী। সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, সৌদি রেলওয়ে পলিটেকনিকে বছরব্যাপী প্রশিক্ষণের পর গত
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
২১ ঘণ্টা আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন সৌদি আরবের নারীরা। দ্রুতগতির রেল হারামাইন এক্সপ্রেসের চালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির ৩২ নারী। সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, সৌদি রেলওয়ে পলিটেকনিকে বছরব্যাপী প্রশিক্ষণের পর গত
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
৬ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
২১ ঘণ্টা আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য আহ্বান করে।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তখনকার যুগে বিজ্ঞান, দর্শন, রাজনীতি কিংবা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিল না, অথচ কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে, সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকরাও তা অনুকরণ করে তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্যই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং আল্লাহর বাণী।
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শেখায়। এতে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা, নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার, সৃষ্টির অধিকারসহ এমন কোনো বিষয় নেই যে এতে বাদ আছে।
এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআনে শত শত বছর আগেই সেসব বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মাথা খাটিয়ে গবেষণা করে এগুলোর খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ, গভীর তত্ত্ব বের করতে হবে।
পবিত্র কোরআন এমন এক মুজিজা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয় বরং এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক—কোরআনের বাণী সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক ও চিরন্তন সত্যের প্রতীক।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরমাত্রও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য আহ্বান করে।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তখনকার যুগে বিজ্ঞান, দর্শন, রাজনীতি কিংবা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিল না, অথচ কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে, সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকরাও তা অনুকরণ করে তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্যই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং আল্লাহর বাণী।
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শেখায়। এতে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা, নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার, সৃষ্টির অধিকারসহ এমন কোনো বিষয় নেই যে এতে বাদ আছে।
এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআনে শত শত বছর আগেই সেসব বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মাথা খাটিয়ে গবেষণা করে এগুলোর খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ, গভীর তত্ত্ব বের করতে হবে।
পবিত্র কোরআন এমন এক মুজিজা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয় বরং এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক—কোরআনের বাণী সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক ও চিরন্তন সত্যের প্রতীক।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরমাত্রও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক

নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন সৌদি আরবের নারীরা। দ্রুতগতির রেল হারামাইন এক্সপ্রেসের চালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির ৩২ নারী। সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, সৌদি রেলওয়ে পলিটেকনিকে বছরব্যাপী প্রশিক্ষণের পর গত
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের প্রতি করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪১)
মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে। তবে সমাজের সবাই সমান ভাগ্যবান নয়—কেউ কেউ আর্থিক, শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে অসহায় অবস্থায় দিন কাটান। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এ ছাড়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অসহায়ের সাহায্যে এগিয়ে আসা অত্যন্ত মহৎ কাজ। ইসলামে এ বিষয়টিতে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোটাই সৎকর্ম নয়, বরং প্রকৃত সৎকর্মশীল ওই ব্যক্তি, যে বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা, আল্লাহর কিতাব ও নবীদের ওপর এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, প্রার্থী ও দাস মুক্তির জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে, প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে; তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অন্যের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৬৬)

আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের প্রতি করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪১)
মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে। তবে সমাজের সবাই সমান ভাগ্যবান নয়—কেউ কেউ আর্থিক, শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে অসহায় অবস্থায় দিন কাটান। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এ ছাড়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অসহায়ের সাহায্যে এগিয়ে আসা অত্যন্ত মহৎ কাজ। ইসলামে এ বিষয়টিতে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোটাই সৎকর্ম নয়, বরং প্রকৃত সৎকর্মশীল ওই ব্যক্তি, যে বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা, আল্লাহর কিতাব ও নবীদের ওপর এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, প্রার্থী ও দাস মুক্তির জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে, প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে; তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অন্যের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৬৬)

নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন সৌদি আরবের নারীরা। দ্রুতগতির রেল হারামাইন এক্সপ্রেসের চালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির ৩২ নারী। সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, সৌদি রেলওয়ে পলিটেকনিকে বছরব্যাপী প্রশিক্ষণের পর গত
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
২১ ঘণ্টা আগে