সানা উল্লাহ মুহাম্মাদ কাউসার

ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররম। আরবিতে বলা হয় মুহাররমুল হারাম। হাদিসে একে শাহরুল্লাহ তথা আল্লাহর মাস বলে অভিহিত করা হয়েছে। এ মাসের অনন্য কিছু ফজিলত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আশুরার দিনের ফজিলত। এখানে আশুরার তাৎপর্য, ফজিলত ও আমল সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হলো।
আশুরা যে কারণে মর্যাদাপূর্ণ
আশুরা বলতে মহররম মাসের দশম দিনকে বোঝানো হয়। দিনটি বড়ই ফজিলতপূর্ণ। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘মহররম আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যেদিন আল্লাহ তাআলা অনেকের তওবা কবুল করেছেন। ভবিষ্যতেও অনেকের তওবা কবুল করবেন।’ (তিরমিজি) মুহাদ্দিসগণ একে আশুরার দিন বলেই মতামত দিয়েছেন। (লাতাইফুল মাআরিফ)
রাসুল (সা.) যখন হিজরত করে মদিনায় আসেন, সেখানকার আহলে কিতাব ইহুদিদের দিনটি রোজা রেখে উদ্যাপন করতে দেখলেন। নবীজি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এই দিনে তোমরা রোজা রাখছ কেন?’ জবাবে তারা বলল, ‘এটি একটি মর্যাদাপূর্ণ দিন। আল্লাহ তাআলা এই দিনে হজরত মুসা (আ.) ও তাঁর জাতিকে (ফেরাউনের কবল থেকে) মুক্তি দিয়েছিলেন এবং ফেরাউনকে তার দলবলসহ (সমুদ্রে) নিমজ্জিত করেছিলেন। এরপর হজরত মুসা (আ.) এই দিনে শুকরিয়া আদায় হিসেবে রোজা রাখতেন। তাই আমরাও রোজা রাখি।’ এ কথা শুনে নবীজি বললেন, ‘হজরত মুসা (আ.)-এর অনুসরণের ক্ষেত্রে তো আমরা তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার।’ এরপর নবীজি নিজেও রোজা রাখলেন এবং অন্যদেরও রোজা রাখতে বললেন।’ (মুসলিম)
ইহুদিদের কাছে দিনটি এতটাই মর্যাদাপূর্ণ ছিল যে তারা তা ঈদের মতো উদ্যাপন করত। হাদিসে এসেছে, আশুরা এমন একটি দিন, যে দিনকে ইহুদিরা সম্মান করত এবং ঈদ হিসেবে গ্রহণ করত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা এই দিনে রোজা রাখো।’ (মুসলিম)
হাদিসে আরও এসেছে, হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, জাহিলি যুগে কুরাইশরা আশুরার দিন রোজা রাখত। রাসুলুল্লাহ (সা.)ও হিজরতের আগে আশুরার রোজা রাখতেন। মদিনায় হিজরতের পরও তিনি আশুরার রোজা রেখেছেন এবং এই রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন। এরপর রমজানের রোজা ফরজ করা হলে আশুরার রোজা নফলে পরিণত হয়। সুতরাং যার ইচ্ছা সে তা রাখতে পারে, আবার যার ইচ্ছা ছেড়ে দিতে পারে। (মুয়াত্তা মালেক)
আশুরার রোজার ফজিলত
আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, ‘আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা রাখি, তিনি আগের এক বছরের (সগিরা) গুনাহ মাফ করে দেবেন।’ (মুসলিম)
আরেক হাদিসে এসেছে, ‘হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)কে আশুরার দিনের চেয়ে গুরুত্ব দিয়ে অন্য কোনো দিন রোজা রাখতে দেখিনি এবং রমজান মাসের চেয়ে অন্য কোনো মাসে এত গুরুত্ব দিয়ে রোজা রাখতে দেখিনি।’ (বুখারি)
আশুরার রোজা কয়টি
আশুরার দিনের রোজার সঙ্গে আগে বা পরে এক দিন রোজা রাখাও সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। ইহুদিদের সঙ্গে না মেলানোর জন্যই রাসুল (সা.) আশুরার আগের দিন বা পরের দিনও রোজা রাখার ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আশুরার রোজা রাখছিলেন এবং অন্যদের রোজা রাখতে বলছিলেন, তখন সাহাবিগণ বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এই দিনকে তো ইহুদি-নাসারারা সম্মান করে।’ তখন নবীজি বললেন, ‘তাহলে আগামী বছর আমরা ৯ তারিখেও রোজা রাখব ইনশা আল্লাহ।’ কিন্তু সেই আগামী বছর আসার আগেই নবীজির ইন্তেকাল হয়ে যায়। (মুসলিম)
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) ৯ ও ১০ তারিখে রোজা রাখার কথা বলতেন। ইমাম শাফেয়ি, আহমদ ও ইসহাক এই মত গ্রহণ করেন। (তিরমিজি) এ ছাড়া অনেকে ১০ তারিখসহ আগে এবং পরের এক দিন মিলিয়ে মোট দুটি বা আশুরার দিনসহ মোট তিনটি রোজা রাখা উত্তম মনে করেন। অবশ্যই কেউ যদি শুধু ১০ মহররম রোজা রাখে, তবে সেটিও আশুরার রোজা হিসেবেই গণ্য হবে। তবে হাদিসের নির্দেশনার ওপর আমল না করার কারণে মাকরুহ তথা অনুত্তম হবে। এ জন্য আলিমগণ বলেন, মহররমের ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ দুই দিন রোজা রাখাই উত্তম। (ফাতহুল বারি)
আশুরাকে ঘিরে ভিত্তিহীন কথা
আশুরাকে ঘিরে অনেক ভিত্তিহীন কথা সমাজে প্রচলিত আছে। বিভিন্ন ধর্মীয় বইপুস্তকেও এসবের বর্ণনা দেখা যায়। যেমন—এই দিনে আল্লাহ আসমান ও জমিন, পাহাড়-পর্বত, নদ-নদী, কলম, লওহে মাহফুজ আরশ, কুরসি, জান্নাত ইত্যাদি সৃষ্টি করেছেন। আদম (আ.)কে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছেন। ইদরিস (আ.)কে আসমানে উঠিয়ে নিয়েছেন। নুহ (আ.)কে নৌকা থেকে বের করেছেন। দাউদ (আ.)-এর তওবা কবুল করেছেন। সোলায়মান (আ.)কে রাজত্ব প্রদান করেছেন। আইউব (আ.)-এর মসিবত দূর করেছেন। তাওরাত নাজিল করেছেন। ইবরাহিম (আ.) জন্মগ্রহণ করেছেন। নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে রক্ষা পেয়েছেন। ইসমাইল (আ.)কে কোরবানি দিয়েছেন। ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ইউসুফ (আ.) জেলখানা থেকে বের হয়েছেন। ইয়াকুব (আ.) দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন। মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেছেন। কিয়ামত সংঘটিত হবে ইত্যাদি। এসবের কোনোটিই বিশুদ্ধ বর্ণনা থেকে যথাযথভাবে প্রমাণিত নয়। বিশুদ্ধ বর্ণনায় কেবল মুসা (আ.)কে ফেরাউনের কবল থেকে মুক্ত করার কথাটি পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ৬১ হিজরির ১০ মহররম কারবালার ময়দানে নবীজির দৌহিত্র হজরত হোসাইন ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে আশুরার দিনটির ফজিলতপূর্ণ হওয়ার সম্পর্ক নেই। অবশ্য এ ঘটনার কারণে দিনটি মুসলমানদের কাছে আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ও স্মরণীয় হয়ে উঠেছে। হজরত হোসাইনের আত্মত্যাগ ও আপসহীন মানস বিশ্বাসীর অনুপ্রেরণার বাতিঘর।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররম। আরবিতে বলা হয় মুহাররমুল হারাম। হাদিসে একে শাহরুল্লাহ তথা আল্লাহর মাস বলে অভিহিত করা হয়েছে। এ মাসের অনন্য কিছু ফজিলত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আশুরার দিনের ফজিলত। এখানে আশুরার তাৎপর্য, ফজিলত ও আমল সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হলো।
আশুরা যে কারণে মর্যাদাপূর্ণ
আশুরা বলতে মহররম মাসের দশম দিনকে বোঝানো হয়। দিনটি বড়ই ফজিলতপূর্ণ। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘মহররম আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যেদিন আল্লাহ তাআলা অনেকের তওবা কবুল করেছেন। ভবিষ্যতেও অনেকের তওবা কবুল করবেন।’ (তিরমিজি) মুহাদ্দিসগণ একে আশুরার দিন বলেই মতামত দিয়েছেন। (লাতাইফুল মাআরিফ)
রাসুল (সা.) যখন হিজরত করে মদিনায় আসেন, সেখানকার আহলে কিতাব ইহুদিদের দিনটি রোজা রেখে উদ্যাপন করতে দেখলেন। নবীজি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এই দিনে তোমরা রোজা রাখছ কেন?’ জবাবে তারা বলল, ‘এটি একটি মর্যাদাপূর্ণ দিন। আল্লাহ তাআলা এই দিনে হজরত মুসা (আ.) ও তাঁর জাতিকে (ফেরাউনের কবল থেকে) মুক্তি দিয়েছিলেন এবং ফেরাউনকে তার দলবলসহ (সমুদ্রে) নিমজ্জিত করেছিলেন। এরপর হজরত মুসা (আ.) এই দিনে শুকরিয়া আদায় হিসেবে রোজা রাখতেন। তাই আমরাও রোজা রাখি।’ এ কথা শুনে নবীজি বললেন, ‘হজরত মুসা (আ.)-এর অনুসরণের ক্ষেত্রে তো আমরা তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার।’ এরপর নবীজি নিজেও রোজা রাখলেন এবং অন্যদেরও রোজা রাখতে বললেন।’ (মুসলিম)
ইহুদিদের কাছে দিনটি এতটাই মর্যাদাপূর্ণ ছিল যে তারা তা ঈদের মতো উদ্যাপন করত। হাদিসে এসেছে, আশুরা এমন একটি দিন, যে দিনকে ইহুদিরা সম্মান করত এবং ঈদ হিসেবে গ্রহণ করত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা এই দিনে রোজা রাখো।’ (মুসলিম)
হাদিসে আরও এসেছে, হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, জাহিলি যুগে কুরাইশরা আশুরার দিন রোজা রাখত। রাসুলুল্লাহ (সা.)ও হিজরতের আগে আশুরার রোজা রাখতেন। মদিনায় হিজরতের পরও তিনি আশুরার রোজা রেখেছেন এবং এই রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন। এরপর রমজানের রোজা ফরজ করা হলে আশুরার রোজা নফলে পরিণত হয়। সুতরাং যার ইচ্ছা সে তা রাখতে পারে, আবার যার ইচ্ছা ছেড়ে দিতে পারে। (মুয়াত্তা মালেক)
আশুরার রোজার ফজিলত
আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, ‘আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা রাখি, তিনি আগের এক বছরের (সগিরা) গুনাহ মাফ করে দেবেন।’ (মুসলিম)
আরেক হাদিসে এসেছে, ‘হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)কে আশুরার দিনের চেয়ে গুরুত্ব দিয়ে অন্য কোনো দিন রোজা রাখতে দেখিনি এবং রমজান মাসের চেয়ে অন্য কোনো মাসে এত গুরুত্ব দিয়ে রোজা রাখতে দেখিনি।’ (বুখারি)
আশুরার রোজা কয়টি
আশুরার দিনের রোজার সঙ্গে আগে বা পরে এক দিন রোজা রাখাও সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। ইহুদিদের সঙ্গে না মেলানোর জন্যই রাসুল (সা.) আশুরার আগের দিন বা পরের দিনও রোজা রাখার ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আশুরার রোজা রাখছিলেন এবং অন্যদের রোজা রাখতে বলছিলেন, তখন সাহাবিগণ বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এই দিনকে তো ইহুদি-নাসারারা সম্মান করে।’ তখন নবীজি বললেন, ‘তাহলে আগামী বছর আমরা ৯ তারিখেও রোজা রাখব ইনশা আল্লাহ।’ কিন্তু সেই আগামী বছর আসার আগেই নবীজির ইন্তেকাল হয়ে যায়। (মুসলিম)
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) ৯ ও ১০ তারিখে রোজা রাখার কথা বলতেন। ইমাম শাফেয়ি, আহমদ ও ইসহাক এই মত গ্রহণ করেন। (তিরমিজি) এ ছাড়া অনেকে ১০ তারিখসহ আগে এবং পরের এক দিন মিলিয়ে মোট দুটি বা আশুরার দিনসহ মোট তিনটি রোজা রাখা উত্তম মনে করেন। অবশ্যই কেউ যদি শুধু ১০ মহররম রোজা রাখে, তবে সেটিও আশুরার রোজা হিসেবেই গণ্য হবে। তবে হাদিসের নির্দেশনার ওপর আমল না করার কারণে মাকরুহ তথা অনুত্তম হবে। এ জন্য আলিমগণ বলেন, মহররমের ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ দুই দিন রোজা রাখাই উত্তম। (ফাতহুল বারি)
আশুরাকে ঘিরে ভিত্তিহীন কথা
আশুরাকে ঘিরে অনেক ভিত্তিহীন কথা সমাজে প্রচলিত আছে। বিভিন্ন ধর্মীয় বইপুস্তকেও এসবের বর্ণনা দেখা যায়। যেমন—এই দিনে আল্লাহ আসমান ও জমিন, পাহাড়-পর্বত, নদ-নদী, কলম, লওহে মাহফুজ আরশ, কুরসি, জান্নাত ইত্যাদি সৃষ্টি করেছেন। আদম (আ.)কে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছেন। ইদরিস (আ.)কে আসমানে উঠিয়ে নিয়েছেন। নুহ (আ.)কে নৌকা থেকে বের করেছেন। দাউদ (আ.)-এর তওবা কবুল করেছেন। সোলায়মান (আ.)কে রাজত্ব প্রদান করেছেন। আইউব (আ.)-এর মসিবত দূর করেছেন। তাওরাত নাজিল করেছেন। ইবরাহিম (আ.) জন্মগ্রহণ করেছেন। নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে রক্ষা পেয়েছেন। ইসমাইল (আ.)কে কোরবানি দিয়েছেন। ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ইউসুফ (আ.) জেলখানা থেকে বের হয়েছেন। ইয়াকুব (আ.) দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন। মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেছেন। কিয়ামত সংঘটিত হবে ইত্যাদি। এসবের কোনোটিই বিশুদ্ধ বর্ণনা থেকে যথাযথভাবে প্রমাণিত নয়। বিশুদ্ধ বর্ণনায় কেবল মুসা (আ.)কে ফেরাউনের কবল থেকে মুক্ত করার কথাটি পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ৬১ হিজরির ১০ মহররম কারবালার ময়দানে নবীজির দৌহিত্র হজরত হোসাইন ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে আশুরার দিনটির ফজিলতপূর্ণ হওয়ার সম্পর্ক নেই। অবশ্য এ ঘটনার কারণে দিনটি মুসলমানদের কাছে আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ও স্মরণীয় হয়ে উঠেছে। হজরত হোসাইনের আত্মত্যাগ ও আপসহীন মানস বিশ্বাসীর অনুপ্রেরণার বাতিঘর।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
৩ ঘণ্টা আগে
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
এ বিষয়ে কোনো সৌদি আরবের সরকারি নীতি পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানায় এই সংবাদমাধ্যম।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সংবাদমাধ্যমটির ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের মিথ্যা দাবি মাঝেমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হজ বা ওমরাহর মৌসুমে এমন গুজব বেশি বিস্তার লাভ করে। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়াই কাম্য।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
এ বিষয়ে কোনো সৌদি আরবের সরকারি নীতি পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানায় এই সংবাদমাধ্যম।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সংবাদমাধ্যমটির ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের মিথ্যা দাবি মাঝেমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হজ বা ওমরাহর মৌসুমে এমন গুজব বেশি বিস্তার লাভ করে। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়াই কাম্য।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররম। আরবিতে বলা হয় মুহাররমুল হারাম। হাদিসে একে শাহরুল্লাহ তথা আল্লাহর মাস বলে অভিহিত করা হয়েছে। এ মাসের অনন্য কিছু ফজিলত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আশুরার দিনের ফজিলত। এখানে আশুরার তাৎপর্য, ফজিলত ও আমল সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হলো।
১২ জুলাই ২০২৪
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
২১ ঘণ্টা আগেতাসনিফ আবীদ

মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
কেবল সম্পর্ক নয়, বরং বন্ধুত্ব হতে হবে পরিশুদ্ধ, নীতিনির্ভর ও পরকালমুখী। চলার পথে আমরা সবাই বন্ধুত্ব করি—কখনো প্রয়োজনে, কখনো স্বার্থে, কখনো পরিস্থিতিতে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু কে? যে আমাদের চিন্তা, কর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ইসলাম তাই কেবল বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বানই দেয়নি, দিয়েছে সচেতনতার দিকনির্দেশনাও।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ মান্য করে চলে। তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।’ (সুরা তাওবা: ৭১)
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই বিরাগ—এটাই মুসলমানের সম্পর্কের মূলনীতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কাউকে ভালোবাসে আল্লাহর জন্য, কাউকে কিছু দেয় আল্লাহর জন্য, কারও সঙ্গে রাগ করে আল্লাহর জন্য—সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্)। এমন বন্ধুত্ব টিকে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতে। অন্যদিকে স্বার্থ, দম্ভ, আভিজাত্য বা জৌলুশের ওপর নির্মিত বন্ধুত্ব টেকে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর কিছু গুণাবলি হলো—সে সৎ পরামর্শদাতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত। নিজে সৎ জীবনযাপন করে এবং অন্যকেও অনৈতিকতা থেকে দূরে রাখে। গোপন কথা গোপন রাখে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। বিপদে-আপদে পাশে থাকে, অসুস্থতায় খোঁজ নেয়, দাওয়াতে সাড়া দেয়। এক কথায়, ভালো বন্ধু আপনার আখিরাতকেও সুন্দর করে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কই পরকালের পাথেয়।

মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
কেবল সম্পর্ক নয়, বরং বন্ধুত্ব হতে হবে পরিশুদ্ধ, নীতিনির্ভর ও পরকালমুখী। চলার পথে আমরা সবাই বন্ধুত্ব করি—কখনো প্রয়োজনে, কখনো স্বার্থে, কখনো পরিস্থিতিতে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু কে? যে আমাদের চিন্তা, কর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ইসলাম তাই কেবল বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বানই দেয়নি, দিয়েছে সচেতনতার দিকনির্দেশনাও।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ মান্য করে চলে। তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।’ (সুরা তাওবা: ৭১)
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই বিরাগ—এটাই মুসলমানের সম্পর্কের মূলনীতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কাউকে ভালোবাসে আল্লাহর জন্য, কাউকে কিছু দেয় আল্লাহর জন্য, কারও সঙ্গে রাগ করে আল্লাহর জন্য—সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্)। এমন বন্ধুত্ব টিকে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতে। অন্যদিকে স্বার্থ, দম্ভ, আভিজাত্য বা জৌলুশের ওপর নির্মিত বন্ধুত্ব টেকে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর কিছু গুণাবলি হলো—সে সৎ পরামর্শদাতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত। নিজে সৎ জীবনযাপন করে এবং অন্যকেও অনৈতিকতা থেকে দূরে রাখে। গোপন কথা গোপন রাখে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। বিপদে-আপদে পাশে থাকে, অসুস্থতায় খোঁজ নেয়, দাওয়াতে সাড়া দেয়। এক কথায়, ভালো বন্ধু আপনার আখিরাতকেও সুন্দর করে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কই পরকালের পাথেয়।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররম। আরবিতে বলা হয় মুহাররমুল হারাম। হাদিসে একে শাহরুল্লাহ তথা আল্লাহর মাস বলে অভিহিত করা হয়েছে। এ মাসের অনন্য কিছু ফজিলত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আশুরার দিনের ফজিলত। এখানে আশুরার তাৎপর্য, ফজিলত ও আমল সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হলো।
১২ জুলাই ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৩ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৩ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররম। আরবিতে বলা হয় মুহাররমুল হারাম। হাদিসে একে শাহরুল্লাহ তথা আল্লাহর মাস বলে অভিহিত করা হয়েছে। এ মাসের অনন্য কিছু ফজিলত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আশুরার দিনের ফজিলত। এখানে আশুরার তাৎপর্য, ফজিলত ও আমল সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হলো।
১২ জুলাই ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
৩ ঘণ্টা আগে
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৮ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
এ বিষয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য এক হাদিসে বলেছেন, ‘কেউ তার ভাইকে কাফের বলে সম্বোধন করলে উভয়ের মধ্যে যেকোনো একজনের ওপর তা ফিরে আসবে। যাকে কাফের বলা হয়েছে, সে কাফের হলে তো হলোই; নতুবা কথাটি বক্তার ওপর ফিরে আসবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪০৪)
ইসলামের বিধান হলো, কারও থেকে কুফরি কোনো কাজ বা কথা প্রকাশ পেলেও তাকে সরাসরি তাকফির করা বা কাফের ঘোষণা দেওয়া সাধারণ মানুষের কাজ নয়। ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা ওই ব্যক্তির সার্বিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করে ইসলামের মূলনীতি সামনে রেখে ফতোয়া দেবেন।
তবে সতর্কতার বিষয় হলো, শরিয়তের দৃষ্টিতে অমুসলিমরা স্পষ্টতই কাফের। তাদের কুফরকে কেউ কুফর না মানা অথবা তাদের কুফরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া যাবে না। (আশ শিফা: ২/২৮১)
ইমাম আবুল মাআলি (রহ.) বলেন, ‘কোনো কাফেরকে মুসলমান বলে চালিয়ে দেওয়া এবং কোনো মুসলমানকে দ্বীন থেকে বের করে দেওয়া, দুটোই জঘন্য।’ (ইকফারুল মুলহিদিন: ২৭)
মোটকথা হলো, কাউকে তাকফির করা তথা কাফের ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। একইভাবে অতিমাত্রায় ছাড়াছাড়ি করে কাফের বা মুরতাদকে মুসলিম আখ্যা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মূলনীতির অনুসরণ করতে হবে। (শরহে আকিদাতুত তাহাবি: পৃষ্ঠা-৯১)
নবী করিম (সা.) উম্মতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো মুমিনকে কুফরের অপবাদ দেওয়া তাকে হত্যা করার মতোই।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১০৫)। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
এ বিষয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য এক হাদিসে বলেছেন, ‘কেউ তার ভাইকে কাফের বলে সম্বোধন করলে উভয়ের মধ্যে যেকোনো একজনের ওপর তা ফিরে আসবে। যাকে কাফের বলা হয়েছে, সে কাফের হলে তো হলোই; নতুবা কথাটি বক্তার ওপর ফিরে আসবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪০৪)
ইসলামের বিধান হলো, কারও থেকে কুফরি কোনো কাজ বা কথা প্রকাশ পেলেও তাকে সরাসরি তাকফির করা বা কাফের ঘোষণা দেওয়া সাধারণ মানুষের কাজ নয়। ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা ওই ব্যক্তির সার্বিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করে ইসলামের মূলনীতি সামনে রেখে ফতোয়া দেবেন।
তবে সতর্কতার বিষয় হলো, শরিয়তের দৃষ্টিতে অমুসলিমরা স্পষ্টতই কাফের। তাদের কুফরকে কেউ কুফর না মানা অথবা তাদের কুফরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া যাবে না। (আশ শিফা: ২/২৮১)
ইমাম আবুল মাআলি (রহ.) বলেন, ‘কোনো কাফেরকে মুসলমান বলে চালিয়ে দেওয়া এবং কোনো মুসলমানকে দ্বীন থেকে বের করে দেওয়া, দুটোই জঘন্য।’ (ইকফারুল মুলহিদিন: ২৭)
মোটকথা হলো, কাউকে তাকফির করা তথা কাফের ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। একইভাবে অতিমাত্রায় ছাড়াছাড়ি করে কাফের বা মুরতাদকে মুসলিম আখ্যা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মূলনীতির অনুসরণ করতে হবে। (শরহে আকিদাতুত তাহাবি: পৃষ্ঠা-৯১)
নবী করিম (সা.) উম্মতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো মুমিনকে কুফরের অপবাদ দেওয়া তাকে হত্যা করার মতোই।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১০৫)। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররম। আরবিতে বলা হয় মুহাররমুল হারাম। হাদিসে একে শাহরুল্লাহ তথা আল্লাহর মাস বলে অভিহিত করা হয়েছে। এ মাসের অনন্য কিছু ফজিলত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আশুরার দিনের ফজিলত। এখানে আশুরার তাৎপর্য, ফজিলত ও আমল সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হলো।
১২ জুলাই ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
৩ ঘণ্টা আগে
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে