ইসলাম ডেস্ক

‘(হে নবী) আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের প্রতি কোমল হয়েছেন। আপনি যদি রূঢ় ও কঠোর হতেন, তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে সরে যেত।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)
মানুষের স্বভাবজাত দুইটি বৈশিষ্ট্য হলো কোমলতা ও কঠোরতা। তবে মানবিক সম্পর্ক, সামাজিক সংহতি, এমনকি আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগেও প্রয়োজন হয় হৃদয়ের কোমলতা ও নম্রতার। কারণ সম্পর্ক গড়ে উঠে ভালোবাসা, সহানুভূতি ও মানবিক আচরণের মধ্যে দিয়ে। আর রূঢ় ও কঠোরতায় সম্পর্কের বিনাশ ঘটে।
কোরআনের আলোকে আমরা জানতে পারি, কোমলতা নবীজি (সা.)-এর অন্যতম মহৎ গুণ, যা আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ রহমতের বহিঃপ্রকাশ। রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সমগ্র মানবতার জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর সহনশীল আচরণ, কোমল ভাষা ও সদয় ব্যবহারই মানুষকে তাঁর দিকে আকৃষ্ট করত।
কোমলতার প্রয়োজনীয়তা
কোমলতা এমন এক গুণ, যার মাধ্যমে মানুষের মাঝে সহানুভূতি, পরার্থপরতা এবং ক্ষমাশীলতা জন্ম নেয়। কারণ মানুষের ভেতরে স্বভাবতই অহংকার, জুলুম ও কঠোরতার প্রবণতা বিদ্যমান থাকে। তাই ইসলামে এই গুণ অর্জনের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোমলতা থেকে বঞ্চিত, সে সকল কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮০৯)
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘নম্রতা যেই বস্তুর মাঝে থাকে, সেটিকে সৌন্দর্যময় করে তোলে। আর তা উঠিয়ে নেওয়া হলে জিনিসটি ত্রুটিপূর্ণ হয়ে যায়।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৬৪১৬)
নবীজি (সা.)-এর জীবনে কোমলতা
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়েই কোমলতার নিদর্শন পাওয়া যায়। হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, একবার এক বেদুইন ব্যক্তি মসজিদে নববীতে প্রস্রাব শুরু করলে সাহাবায়ে কেরাম তাঁকে বাধা দিতে উদ্যত হন। কিন্তু রাসুল (সা.) তাদের থামিয়ে দেন এবং বলেন—‘তাকে শেষ করতে দাও, এরপর সেখানে পানি ঢেলে দাও।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০২৫)
এই ঘটনা প্রমাণ করে, রাসুল (সা.) কেবল কথা ও আচরণেই নয়, পরিস্থিতি বিবেচনায়ও ছিলেন পরম সহনশীল ও কোমল হৃদয়ের অধিকারী।
সমাজে কোমলতার প্রভাব
কঠোরতা মানুষকে বিমুখ করে, সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং বিদ্বেষ ও বিরোধ সৃষ্টি করে। পক্ষান্তরে নম্রতা, ভদ্রতা ও কোমলতা মানুষকে একত্র করে, হৃদয়ের দূরত্ব কমায় এবং ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য সৃষ্টি করে। একজন কোমল হৃদয়ের মানুষ নিজের জন্য যেমন কল্যাণ বয়ে আনে, তেমনি সমাজকেও শান্তির পথে পরিচালিত করে।
আধুনিক জীবনের চিত্র
আজকের সমাজে কোমলতা ও নম্রতার স্থানে রূঢ় ও অহংকার স্থান গেড়ে বসেছে। এর ফলে সামাজিক সম্পর্কে টানাপোড়েন, পারিবারিক জীবনে অস্থিরতা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিরূপতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হৃদয়ের কঠোরতা আমাদের আচরণে প্রতিফলিত হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আমাদের কর্তব্য—
মোটকথা, বিনয় ও কোমলতা শুধু চারিত্রিক সৌন্দর্যের নিদর্শন নয়; বরং তা ইহকাল ও পরকালের সফলতার পাথেয় এই গুণগুলো মানুষকে শ্রদ্ধার পাত্র করে তোলে, সমাজে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায় এবং আত্মিক প্রশান্তি এনে দেয়। তাই আসুন, আমরা নিজেদের মধ্যে নম্রতা ও কোমলতা সৃষ্টি করি। অহংকার, রূঢ় ও তাচ্ছিল্য থেকে বেঁচে থাকি। এতে আমাদের ব্যক্তি জীবন যেমন হবে সুন্দর ও সফল, তেমনি গড়ে উঠবে শান্তিময় একটি দেশ ও সমাজ।
লেখক: মুফতি আহমাদুল্লাহ মাসউদ, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

‘(হে নবী) আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের প্রতি কোমল হয়েছেন। আপনি যদি রূঢ় ও কঠোর হতেন, তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে সরে যেত।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)
মানুষের স্বভাবজাত দুইটি বৈশিষ্ট্য হলো কোমলতা ও কঠোরতা। তবে মানবিক সম্পর্ক, সামাজিক সংহতি, এমনকি আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগেও প্রয়োজন হয় হৃদয়ের কোমলতা ও নম্রতার। কারণ সম্পর্ক গড়ে উঠে ভালোবাসা, সহানুভূতি ও মানবিক আচরণের মধ্যে দিয়ে। আর রূঢ় ও কঠোরতায় সম্পর্কের বিনাশ ঘটে।
কোরআনের আলোকে আমরা জানতে পারি, কোমলতা নবীজি (সা.)-এর অন্যতম মহৎ গুণ, যা আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ রহমতের বহিঃপ্রকাশ। রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সমগ্র মানবতার জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর সহনশীল আচরণ, কোমল ভাষা ও সদয় ব্যবহারই মানুষকে তাঁর দিকে আকৃষ্ট করত।
কোমলতার প্রয়োজনীয়তা
কোমলতা এমন এক গুণ, যার মাধ্যমে মানুষের মাঝে সহানুভূতি, পরার্থপরতা এবং ক্ষমাশীলতা জন্ম নেয়। কারণ মানুষের ভেতরে স্বভাবতই অহংকার, জুলুম ও কঠোরতার প্রবণতা বিদ্যমান থাকে। তাই ইসলামে এই গুণ অর্জনের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোমলতা থেকে বঞ্চিত, সে সকল কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮০৯)
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘নম্রতা যেই বস্তুর মাঝে থাকে, সেটিকে সৌন্দর্যময় করে তোলে। আর তা উঠিয়ে নেওয়া হলে জিনিসটি ত্রুটিপূর্ণ হয়ে যায়।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৬৪১৬)
নবীজি (সা.)-এর জীবনে কোমলতা
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়েই কোমলতার নিদর্শন পাওয়া যায়। হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, একবার এক বেদুইন ব্যক্তি মসজিদে নববীতে প্রস্রাব শুরু করলে সাহাবায়ে কেরাম তাঁকে বাধা দিতে উদ্যত হন। কিন্তু রাসুল (সা.) তাদের থামিয়ে দেন এবং বলেন—‘তাকে শেষ করতে দাও, এরপর সেখানে পানি ঢেলে দাও।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০২৫)
এই ঘটনা প্রমাণ করে, রাসুল (সা.) কেবল কথা ও আচরণেই নয়, পরিস্থিতি বিবেচনায়ও ছিলেন পরম সহনশীল ও কোমল হৃদয়ের অধিকারী।
সমাজে কোমলতার প্রভাব
কঠোরতা মানুষকে বিমুখ করে, সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং বিদ্বেষ ও বিরোধ সৃষ্টি করে। পক্ষান্তরে নম্রতা, ভদ্রতা ও কোমলতা মানুষকে একত্র করে, হৃদয়ের দূরত্ব কমায় এবং ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য সৃষ্টি করে। একজন কোমল হৃদয়ের মানুষ নিজের জন্য যেমন কল্যাণ বয়ে আনে, তেমনি সমাজকেও শান্তির পথে পরিচালিত করে।
আধুনিক জীবনের চিত্র
আজকের সমাজে কোমলতা ও নম্রতার স্থানে রূঢ় ও অহংকার স্থান গেড়ে বসেছে। এর ফলে সামাজিক সম্পর্কে টানাপোড়েন, পারিবারিক জীবনে অস্থিরতা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিরূপতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হৃদয়ের কঠোরতা আমাদের আচরণে প্রতিফলিত হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আমাদের কর্তব্য—
মোটকথা, বিনয় ও কোমলতা শুধু চারিত্রিক সৌন্দর্যের নিদর্শন নয়; বরং তা ইহকাল ও পরকালের সফলতার পাথেয় এই গুণগুলো মানুষকে শ্রদ্ধার পাত্র করে তোলে, সমাজে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায় এবং আত্মিক প্রশান্তি এনে দেয়। তাই আসুন, আমরা নিজেদের মধ্যে নম্রতা ও কোমলতা সৃষ্টি করি। অহংকার, রূঢ় ও তাচ্ছিল্য থেকে বেঁচে থাকি। এতে আমাদের ব্যক্তি জীবন যেমন হবে সুন্দর ও সফল, তেমনি গড়ে উঠবে শান্তিময় একটি দেশ ও সমাজ।
লেখক: মুফতি আহমাদুল্লাহ মাসউদ, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম ডেস্ক

‘(হে নবী) আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের প্রতি কোমল হয়েছেন। আপনি যদি রূঢ় ও কঠোর হতেন, তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে সরে যেত।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)
মানুষের স্বভাবজাত দুইটি বৈশিষ্ট্য হলো কোমলতা ও কঠোরতা। তবে মানবিক সম্পর্ক, সামাজিক সংহতি, এমনকি আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগেও প্রয়োজন হয় হৃদয়ের কোমলতা ও নম্রতার। কারণ সম্পর্ক গড়ে উঠে ভালোবাসা, সহানুভূতি ও মানবিক আচরণের মধ্যে দিয়ে। আর রূঢ় ও কঠোরতায় সম্পর্কের বিনাশ ঘটে।
কোরআনের আলোকে আমরা জানতে পারি, কোমলতা নবীজি (সা.)-এর অন্যতম মহৎ গুণ, যা আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ রহমতের বহিঃপ্রকাশ। রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সমগ্র মানবতার জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর সহনশীল আচরণ, কোমল ভাষা ও সদয় ব্যবহারই মানুষকে তাঁর দিকে আকৃষ্ট করত।
কোমলতার প্রয়োজনীয়তা
কোমলতা এমন এক গুণ, যার মাধ্যমে মানুষের মাঝে সহানুভূতি, পরার্থপরতা এবং ক্ষমাশীলতা জন্ম নেয়। কারণ মানুষের ভেতরে স্বভাবতই অহংকার, জুলুম ও কঠোরতার প্রবণতা বিদ্যমান থাকে। তাই ইসলামে এই গুণ অর্জনের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোমলতা থেকে বঞ্চিত, সে সকল কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮০৯)
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘নম্রতা যেই বস্তুর মাঝে থাকে, সেটিকে সৌন্দর্যময় করে তোলে। আর তা উঠিয়ে নেওয়া হলে জিনিসটি ত্রুটিপূর্ণ হয়ে যায়।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৬৪১৬)
নবীজি (সা.)-এর জীবনে কোমলতা
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়েই কোমলতার নিদর্শন পাওয়া যায়। হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, একবার এক বেদুইন ব্যক্তি মসজিদে নববীতে প্রস্রাব শুরু করলে সাহাবায়ে কেরাম তাঁকে বাধা দিতে উদ্যত হন। কিন্তু রাসুল (সা.) তাদের থামিয়ে দেন এবং বলেন—‘তাকে শেষ করতে দাও, এরপর সেখানে পানি ঢেলে দাও।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০২৫)
এই ঘটনা প্রমাণ করে, রাসুল (সা.) কেবল কথা ও আচরণেই নয়, পরিস্থিতি বিবেচনায়ও ছিলেন পরম সহনশীল ও কোমল হৃদয়ের অধিকারী।
সমাজে কোমলতার প্রভাব
কঠোরতা মানুষকে বিমুখ করে, সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং বিদ্বেষ ও বিরোধ সৃষ্টি করে। পক্ষান্তরে নম্রতা, ভদ্রতা ও কোমলতা মানুষকে একত্র করে, হৃদয়ের দূরত্ব কমায় এবং ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য সৃষ্টি করে। একজন কোমল হৃদয়ের মানুষ নিজের জন্য যেমন কল্যাণ বয়ে আনে, তেমনি সমাজকেও শান্তির পথে পরিচালিত করে।
আধুনিক জীবনের চিত্র
আজকের সমাজে কোমলতা ও নম্রতার স্থানে রূঢ় ও অহংকার স্থান গেড়ে বসেছে। এর ফলে সামাজিক সম্পর্কে টানাপোড়েন, পারিবারিক জীবনে অস্থিরতা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিরূপতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হৃদয়ের কঠোরতা আমাদের আচরণে প্রতিফলিত হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আমাদের কর্তব্য—
মোটকথা, বিনয় ও কোমলতা শুধু চারিত্রিক সৌন্দর্যের নিদর্শন নয়; বরং তা ইহকাল ও পরকালের সফলতার পাথেয় এই গুণগুলো মানুষকে শ্রদ্ধার পাত্র করে তোলে, সমাজে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায় এবং আত্মিক প্রশান্তি এনে দেয়। তাই আসুন, আমরা নিজেদের মধ্যে নম্রতা ও কোমলতা সৃষ্টি করি। অহংকার, রূঢ় ও তাচ্ছিল্য থেকে বেঁচে থাকি। এতে আমাদের ব্যক্তি জীবন যেমন হবে সুন্দর ও সফল, তেমনি গড়ে উঠবে শান্তিময় একটি দেশ ও সমাজ।
লেখক: মুফতি আহমাদুল্লাহ মাসউদ, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

‘(হে নবী) আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের প্রতি কোমল হয়েছেন। আপনি যদি রূঢ় ও কঠোর হতেন, তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে সরে যেত।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)
মানুষের স্বভাবজাত দুইটি বৈশিষ্ট্য হলো কোমলতা ও কঠোরতা। তবে মানবিক সম্পর্ক, সামাজিক সংহতি, এমনকি আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগেও প্রয়োজন হয় হৃদয়ের কোমলতা ও নম্রতার। কারণ সম্পর্ক গড়ে উঠে ভালোবাসা, সহানুভূতি ও মানবিক আচরণের মধ্যে দিয়ে। আর রূঢ় ও কঠোরতায় সম্পর্কের বিনাশ ঘটে।
কোরআনের আলোকে আমরা জানতে পারি, কোমলতা নবীজি (সা.)-এর অন্যতম মহৎ গুণ, যা আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ রহমতের বহিঃপ্রকাশ। রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সমগ্র মানবতার জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর সহনশীল আচরণ, কোমল ভাষা ও সদয় ব্যবহারই মানুষকে তাঁর দিকে আকৃষ্ট করত।
কোমলতার প্রয়োজনীয়তা
কোমলতা এমন এক গুণ, যার মাধ্যমে মানুষের মাঝে সহানুভূতি, পরার্থপরতা এবং ক্ষমাশীলতা জন্ম নেয়। কারণ মানুষের ভেতরে স্বভাবতই অহংকার, জুলুম ও কঠোরতার প্রবণতা বিদ্যমান থাকে। তাই ইসলামে এই গুণ অর্জনের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোমলতা থেকে বঞ্চিত, সে সকল কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮০৯)
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘নম্রতা যেই বস্তুর মাঝে থাকে, সেটিকে সৌন্দর্যময় করে তোলে। আর তা উঠিয়ে নেওয়া হলে জিনিসটি ত্রুটিপূর্ণ হয়ে যায়।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৬৪১৬)
নবীজি (সা.)-এর জীবনে কোমলতা
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়েই কোমলতার নিদর্শন পাওয়া যায়। হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, একবার এক বেদুইন ব্যক্তি মসজিদে নববীতে প্রস্রাব শুরু করলে সাহাবায়ে কেরাম তাঁকে বাধা দিতে উদ্যত হন। কিন্তু রাসুল (সা.) তাদের থামিয়ে দেন এবং বলেন—‘তাকে শেষ করতে দাও, এরপর সেখানে পানি ঢেলে দাও।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০২৫)
এই ঘটনা প্রমাণ করে, রাসুল (সা.) কেবল কথা ও আচরণেই নয়, পরিস্থিতি বিবেচনায়ও ছিলেন পরম সহনশীল ও কোমল হৃদয়ের অধিকারী।
সমাজে কোমলতার প্রভাব
কঠোরতা মানুষকে বিমুখ করে, সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং বিদ্বেষ ও বিরোধ সৃষ্টি করে। পক্ষান্তরে নম্রতা, ভদ্রতা ও কোমলতা মানুষকে একত্র করে, হৃদয়ের দূরত্ব কমায় এবং ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য সৃষ্টি করে। একজন কোমল হৃদয়ের মানুষ নিজের জন্য যেমন কল্যাণ বয়ে আনে, তেমনি সমাজকেও শান্তির পথে পরিচালিত করে।
আধুনিক জীবনের চিত্র
আজকের সমাজে কোমলতা ও নম্রতার স্থানে রূঢ় ও অহংকার স্থান গেড়ে বসেছে। এর ফলে সামাজিক সম্পর্কে টানাপোড়েন, পারিবারিক জীবনে অস্থিরতা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিরূপতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হৃদয়ের কঠোরতা আমাদের আচরণে প্রতিফলিত হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আমাদের কর্তব্য—
মোটকথা, বিনয় ও কোমলতা শুধু চারিত্রিক সৌন্দর্যের নিদর্শন নয়; বরং তা ইহকাল ও পরকালের সফলতার পাথেয় এই গুণগুলো মানুষকে শ্রদ্ধার পাত্র করে তোলে, সমাজে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায় এবং আত্মিক প্রশান্তি এনে দেয়। তাই আসুন, আমরা নিজেদের মধ্যে নম্রতা ও কোমলতা সৃষ্টি করি। অহংকার, রূঢ় ও তাচ্ছিল্য থেকে বেঁচে থাকি। এতে আমাদের ব্যক্তি জীবন যেমন হবে সুন্দর ও সফল, তেমনি গড়ে উঠবে শান্তিময় একটি দেশ ও সমাজ।
লেখক: মুফতি আহমাদুল্লাহ মাসউদ, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
১৯ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইমানদার পুরুষদের কেবল ভরণপোষণের দায়িত্ব দেননি, বরং নারীদের সঙ্গে হৃদ্যতা, স্নেহ ও সম্মানের আচরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। মহানবী (সা.) নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহারকে উত্তম চরিত্রের নিদর্শন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার পরিবারের কাছে উত্তম। আর আমি আমার পরিবারের কাছে তোমাদের সবার চেয়ে উত্তম।’ (জামে তিরমিজি)
ইসলাম আগমনের পূর্বে নারীদের কোনো মর্যাদা ছিল না। আরব সমাজে কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়ার কুপ্রথা ছিল। সেই অন্ধকার যুগে ইসলাম নারীদের দিয়েছে সম্মান, অধিকার ও নিরাপত্তা। শিক্ষা, উত্তরাধিকার, বিয়ে ও মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রেও ইসলাম নারীর যথাযোগ্য অধিকার নিশ্চিত করেছে।
হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) নারীদের কাচের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কাচ যেমন ভঙ্গুর, তেমনি নারীর মনও কোমল; ভালোবাসা ও যত্নেই তারা টিকে থাকে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘নারীকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তুমি যদি তা সোজা করতে চাও, তা ভেঙে যাবে; আর যদি ছেড়ে দাও, বাঁকাই থাকবে। তাই তাদের সদুপদেশ দাও।’ (সহিহ বুখারি)
একজন পুরুষের উচিত নারীর সঙ্গে কথা বলার সময় কোমল ভাষা ব্যবহার করা, পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া এবং তাকে মানসিক প্রশান্তি দেওয়া। কারণ পরিবারে ভালোবাসা ও স্থিতি আসে পারস্পরিক সম্মান ও উত্তম আচরণের মাধ্যমে। স্ত্রীকে জীবনের সহযাত্রী হিসেবে দেখা এবং তার সঙ্গে উত্তম আচরণ করাই ইমানদারের বৈশিষ্ট্য।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইমানদার পুরুষদের কেবল ভরণপোষণের দায়িত্ব দেননি, বরং নারীদের সঙ্গে হৃদ্যতা, স্নেহ ও সম্মানের আচরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। মহানবী (সা.) নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহারকে উত্তম চরিত্রের নিদর্শন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার পরিবারের কাছে উত্তম। আর আমি আমার পরিবারের কাছে তোমাদের সবার চেয়ে উত্তম।’ (জামে তিরমিজি)
ইসলাম আগমনের পূর্বে নারীদের কোনো মর্যাদা ছিল না। আরব সমাজে কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়ার কুপ্রথা ছিল। সেই অন্ধকার যুগে ইসলাম নারীদের দিয়েছে সম্মান, অধিকার ও নিরাপত্তা। শিক্ষা, উত্তরাধিকার, বিয়ে ও মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রেও ইসলাম নারীর যথাযোগ্য অধিকার নিশ্চিত করেছে।
হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) নারীদের কাচের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কাচ যেমন ভঙ্গুর, তেমনি নারীর মনও কোমল; ভালোবাসা ও যত্নেই তারা টিকে থাকে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘নারীকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তুমি যদি তা সোজা করতে চাও, তা ভেঙে যাবে; আর যদি ছেড়ে দাও, বাঁকাই থাকবে। তাই তাদের সদুপদেশ দাও।’ (সহিহ বুখারি)
একজন পুরুষের উচিত নারীর সঙ্গে কথা বলার সময় কোমল ভাষা ব্যবহার করা, পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া এবং তাকে মানসিক প্রশান্তি দেওয়া। কারণ পরিবারে ভালোবাসা ও স্থিতি আসে পারস্পরিক সম্মান ও উত্তম আচরণের মাধ্যমে। স্ত্রীকে জীবনের সহযাত্রী হিসেবে দেখা এবং তার সঙ্গে উত্তম আচরণ করাই ইমানদারের বৈশিষ্ট্য।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

মানুষের স্বভাবজাত দুইটি বৈশিষ্ট্য হলো কোমলতা ও কঠোরতা। তবে মানবিক সম্পর্ক, সামাজিক সংহতি, এমনকি আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগেও প্রয়োজন হয় হৃদয়ের কোমলতা ও নম্রতার। কারণ সম্পর্ক গড়ে উঠে ভালোবাসা, সহানুভূতি ও মানবিক আচরণের মধ্যে দিয়ে। আর রূঢ় ও কঠোরতায় সম্পর্কের বিনাশ ঘটে।
১৭ আগস্ট ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৯ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৯ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মানুষের স্বভাবজাত দুইটি বৈশিষ্ট্য হলো কোমলতা ও কঠোরতা। তবে মানবিক সম্পর্ক, সামাজিক সংহতি, এমনকি আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগেও প্রয়োজন হয় হৃদয়ের কোমলতা ও নম্রতার। কারণ সম্পর্ক গড়ে উঠে ভালোবাসা, সহানুভূতি ও মানবিক আচরণের মধ্যে দিয়ে। আর রূঢ় ও কঠোরতায় সম্পর্কের বিনাশ ঘটে।
১৭ আগস্ট ২০২৫
মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
১৯ মিনিট আগে
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেশাব্বির আহমদ

একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।

একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।

মানুষের স্বভাবজাত দুইটি বৈশিষ্ট্য হলো কোমলতা ও কঠোরতা। তবে মানবিক সম্পর্ক, সামাজিক সংহতি, এমনকি আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগেও প্রয়োজন হয় হৃদয়ের কোমলতা ও নম্রতার। কারণ সম্পর্ক গড়ে উঠে ভালোবাসা, সহানুভূতি ও মানবিক আচরণের মধ্যে দিয়ে। আর রূঢ় ও কঠোরতায় সম্পর্কের বিনাশ ঘটে।
১৭ আগস্ট ২০২৫
মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
১৯ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মানুষের স্বভাবজাত দুইটি বৈশিষ্ট্য হলো কোমলতা ও কঠোরতা। তবে মানবিক সম্পর্ক, সামাজিক সংহতি, এমনকি আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগেও প্রয়োজন হয় হৃদয়ের কোমলতা ও নম্রতার। কারণ সম্পর্ক গড়ে উঠে ভালোবাসা, সহানুভূতি ও মানবিক আচরণের মধ্যে দিয়ে। আর রূঢ় ও কঠোরতায় সম্পর্কের বিনাশ ঘটে।
১৭ আগস্ট ২০২৫
মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
১৯ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১ দিন আগে