আজ থেকে এক যুগেরও আগে লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে ‘হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম’ নামে বিশ্বের প্রথম হজ-বিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন হয়। প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক যুগের হজযাত্রা, বরকতময় এ যাত্রার প্রস্তুতি, মক্কার প্রাণজুড়ানো প্রকৃতি, কাবার নয়নাভিরাম দৃশ্য, হৃদয় শীতল করা জমজম, হাজিদের স্মৃতিচারণাসহ নানা অনুষঙ্গে সাজে এই আয়োজন। ঐতিহাসিক এই প্রদর্শনী নিয়ে লিখেছেন কাউসার লাবীব।
কাউসার লাবীব
প্রদর্শনীর শুরুর কথা
পবিত্র মক্কা নগরীতে বছরে একবার অনুষ্ঠিত একটি ধর্মীয় ইবাদত হলো হজ। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে কালিমা, নামাজ, রোজা ও জাকাতের সঙ্গে ভিন্নধর্মাবলম্বীরা পরিচিত হলেও হজ বিষয়ে তাদের জানাশোনা কম। কারণ, মক্কা ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান। শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণ না করে এই নগরীতে কারও প্রবেশের অনুমতি নেই। তাই কোনো অমুসলিম সরাসরি গিয়ে হজের কার্যক্রমগুলো কোনোভাবেই দেখতে পারে না। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিশ্বজুড়ে মানুষের কাছে মুগ্ধতা ছড়ানো এই ইবাদতের বিষয়গুলো যেন অমুসলিম এবং হজে যেতে অক্ষম মুসলমানরা দেখে প্রাণ জুড়াতে পারে, সে জন্য এই আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন লন্ডনে বসবাসকারী ব্রিটিশ-ইরানি গবেষক নাসির দাউদ খলিলি। এ ছাড়া সহযোগী হিসেবে ছিল কিং আবদুল আজিজ লাইব্রেরি ও এইচএসবিসি আমানা।
যা ছিল এই আয়োজনে
২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে শুরু হওয়া এই আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হজযাত্রা, বিভিন্ন যুগের হজের পোশাক, পাণ্ডুলিপি, ঐতিহাসিক দলিল, আলোকচিত্র এবং শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়। এ জন্য প্রদর্শনীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪০টি বেসরকারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সংগৃহীত ২০০টির বেশি জিনিসপত্র উপস্থাপন করা হয়। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের জন্য প্রায় দুই বছর ধরে প্রস্তুতি গ্রহণ করে ব্রিটিশ মিউজিয়াম। প্রদর্শনী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ওয়েলসের রাজপুত্র (বর্তমান রাজা) তৃতীয় চার্লস। অনুষ্ঠানে খাদিমুল হারামাইন শরিফাইনের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আস-সৌদের চতুর্থ ছেলে প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ।
যেভাবে সাজে হজ প্রদর্শনী
বিশ্বের প্রথম এই হজ প্রদর্শনী ব্রিটিশ মিউজিয়ামের রিডিং রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রদর্শনীর পরিবেশে বাস্তবতার ছোঁয়া দিতে প্রবেশ পথটি করা হয়—দীর্ঘ ও সরু। দর্শনার্থীরা প্রবেশের সময় তাদের চারপাশে বেজে ওঠে আজানের ধ্বনি। আল্লাহ আকবরের অমিয় সুধা ছড়িয়ে পড়ে তাদের চারপাশে। প্রদর্শনী সামগ্রী বিন্যস্ত করা হয় বৃত্তাকারে। ধীরে ধীরে ভেতরে প্রবেশ করার পর বৃত্তে ঘুরে ঘুরে ঐতিহাসিক সামগ্রী দেখার সময় যেন তাওয়াফের কিছুটা উপলব্ধি আসে, সে জন্য এই বিন্যাস।
প্রদর্শনীকে কয়েক অংশে ভাগ করা হয়। প্রথম অংশে চিত্রিত করা হয় হজযাত্রার প্রস্তুতির নানা বিষয়। এতে ছিল ঋণ পরিশোধ, যাত্রায় প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সামগ্রী সংগ্রহসহ বেশ কিছু বিষয়। ছিল হজ সম্পন্নের সনদপত্র। পরের অংশে রাখা হয় হজযাত্রার নানা বিষয়। এতে ছিল ইহরাম বাঁধা। ট্রেন ও বিমান আবিষ্কারের আগে নদীপথ ও হেঁটে হজযাত্রা। যাত্রাপথে মৃত্যু, রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ, দস্যুদের হামলার ঝুঁকি। এ ক্ষেত্রে প্রাচীনকালে আরব দেশ, উত্তর আফ্রিকা, উসমানীয় সাম্রাজ্য এবং এশিয়া থেকে হজযাত্রার অধ্যায়গুলো আলাদা আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ব্রিটেন থেকে বিমানপথে হজে যাওয়ার বিষয়টিও যুক্ত করা হয়। এভাবে এই অংশে হজের দুর্গম পথ, জলজ পথ, মরুভূমির পথ এবং আধুনিক যুগের সহজ ভ্রমণের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। কাবার পথের যাত্রীরা সফরের সময় কিবলা নির্ধারণের জন্য কম্পাস এবং পথ নির্দেশনার জন্য মানচিত্রও ব্যবহার করত প্রাচীনকালে। সেই সময়ের ব্যবহৃত নানা রকম কম্পাস এবং মানচিত্রও ছিল এই প্রদর্শনীতে। পাশাপাশি হাজিদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ ডায়েরি, আত্মজীবনীমূলক ভ্রমণকাহিনি ছবি ও লেখার মাধ্যমে চিত্রিত করা হয়েছিল এতে। প্রদর্শনীতে ছিল পবিত্র কোরআনের ৮ম শতাব্দীর একটি পাণ্ডুলিপির কপি। ছিল কাবার গিলাফ, উটের হাওদা, প্রাচীন আমলের হজ-বিষয়ক চিত্রকর্ম।
প্রদর্শনীর আরেকটি অংশ ছিল মক্কা নিয়ে। এতে মক্কার অতীত ও বর্তমানের ছবি এবং চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়েছিল, যেখানে মক্কা ও হারামের আশপাশের অঞ্চলগুলো অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত কীভাবে বিকশিত হয়েছে, কীভাবে পুরোনো স্থাপনাগুলো ভেঙে নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে, তা উপস্থাপন করা হয়।
স্মৃতিবিজড়িত এসব চিত্রকর্ম এবং জিনিসপত্রের প্রদর্শনীর সঙ্গে সাত মিনিটের একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি স্ক্রিনে দেখানো হয়।
সাড়া জাগে বিশ্বজুড়ে
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ব্লুমসবারি এলাকায় অবস্থিত দ্য ব্রিটিশ মিউজিয়াম এমনিতেই বিশ্বদরবারে বেশ সমাদৃত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাদুঘরগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জাদুঘর। বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতির শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত, প্রায় ১৩ মিলিয়ন নিদর্শন এই জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। জাদুঘরের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত মানব সংস্কৃতির নথিপত্রও সংরক্ষিত আছে এখানে। এসবের সঙ্গে এই মিউজিয়ামে নতুন মাত্রা যুগ হয় ‘হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম’ আয়োজনের মাধ্যমে। বিশ্বের প্রথম এই হজ প্রদর্শনী মুসলিম-অমুসলিম উভয়ের মধ্যেই বেশ সাড়া ফেলে। আয়োজকেরা আশা করেছিলেন ৮০ হাজারের মতো দর্শনার্থী এই আয়োজনে আসতে পারেন। সেভাবেই তাঁরা প্রস্তুতি নেন। কিন্তু তাঁদের অবাক করে এতে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার দর্শনার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত হন। এর মধ্যে ৪৭ শতাংশ দর্শনার্থী ছিলেন মুসলমান, বাকিরা অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এই সংখ্যা শুধু প্রাপ্ত বয়স্কদের। শিশুদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, কারণ তাদের প্রবেশ ছিল বিনা মূল্যে।
এই আয়োজনের ব্যাপক সাফল্যের ফলে হজ প্রদর্শনী শুরু হয় বিভিন্ন দেশে। পবিত্রতম এই ইবাদতের নানা অনুষঙ্গ দেখে মুগ্ধ হন মানুষজন। তবে প্রথম আয়োজনের সেই অনুরণন এখনো অমলিন হয়ে আছে দ্য ব্রিটিশ মিউজিয়ামে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
প্রদর্শনীর শুরুর কথা
পবিত্র মক্কা নগরীতে বছরে একবার অনুষ্ঠিত একটি ধর্মীয় ইবাদত হলো হজ। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে কালিমা, নামাজ, রোজা ও জাকাতের সঙ্গে ভিন্নধর্মাবলম্বীরা পরিচিত হলেও হজ বিষয়ে তাদের জানাশোনা কম। কারণ, মক্কা ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান। শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণ না করে এই নগরীতে কারও প্রবেশের অনুমতি নেই। তাই কোনো অমুসলিম সরাসরি গিয়ে হজের কার্যক্রমগুলো কোনোভাবেই দেখতে পারে না। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিশ্বজুড়ে মানুষের কাছে মুগ্ধতা ছড়ানো এই ইবাদতের বিষয়গুলো যেন অমুসলিম এবং হজে যেতে অক্ষম মুসলমানরা দেখে প্রাণ জুড়াতে পারে, সে জন্য এই আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন লন্ডনে বসবাসকারী ব্রিটিশ-ইরানি গবেষক নাসির দাউদ খলিলি। এ ছাড়া সহযোগী হিসেবে ছিল কিং আবদুল আজিজ লাইব্রেরি ও এইচএসবিসি আমানা।
যা ছিল এই আয়োজনে
২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে শুরু হওয়া এই আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হজযাত্রা, বিভিন্ন যুগের হজের পোশাক, পাণ্ডুলিপি, ঐতিহাসিক দলিল, আলোকচিত্র এবং শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়। এ জন্য প্রদর্শনীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪০টি বেসরকারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সংগৃহীত ২০০টির বেশি জিনিসপত্র উপস্থাপন করা হয়। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের জন্য প্রায় দুই বছর ধরে প্রস্তুতি গ্রহণ করে ব্রিটিশ মিউজিয়াম। প্রদর্শনী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ওয়েলসের রাজপুত্র (বর্তমান রাজা) তৃতীয় চার্লস। অনুষ্ঠানে খাদিমুল হারামাইন শরিফাইনের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আস-সৌদের চতুর্থ ছেলে প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ।
যেভাবে সাজে হজ প্রদর্শনী
বিশ্বের প্রথম এই হজ প্রদর্শনী ব্রিটিশ মিউজিয়ামের রিডিং রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রদর্শনীর পরিবেশে বাস্তবতার ছোঁয়া দিতে প্রবেশ পথটি করা হয়—দীর্ঘ ও সরু। দর্শনার্থীরা প্রবেশের সময় তাদের চারপাশে বেজে ওঠে আজানের ধ্বনি। আল্লাহ আকবরের অমিয় সুধা ছড়িয়ে পড়ে তাদের চারপাশে। প্রদর্শনী সামগ্রী বিন্যস্ত করা হয় বৃত্তাকারে। ধীরে ধীরে ভেতরে প্রবেশ করার পর বৃত্তে ঘুরে ঘুরে ঐতিহাসিক সামগ্রী দেখার সময় যেন তাওয়াফের কিছুটা উপলব্ধি আসে, সে জন্য এই বিন্যাস।
প্রদর্শনীকে কয়েক অংশে ভাগ করা হয়। প্রথম অংশে চিত্রিত করা হয় হজযাত্রার প্রস্তুতির নানা বিষয়। এতে ছিল ঋণ পরিশোধ, যাত্রায় প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সামগ্রী সংগ্রহসহ বেশ কিছু বিষয়। ছিল হজ সম্পন্নের সনদপত্র। পরের অংশে রাখা হয় হজযাত্রার নানা বিষয়। এতে ছিল ইহরাম বাঁধা। ট্রেন ও বিমান আবিষ্কারের আগে নদীপথ ও হেঁটে হজযাত্রা। যাত্রাপথে মৃত্যু, রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ, দস্যুদের হামলার ঝুঁকি। এ ক্ষেত্রে প্রাচীনকালে আরব দেশ, উত্তর আফ্রিকা, উসমানীয় সাম্রাজ্য এবং এশিয়া থেকে হজযাত্রার অধ্যায়গুলো আলাদা আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ব্রিটেন থেকে বিমানপথে হজে যাওয়ার বিষয়টিও যুক্ত করা হয়। এভাবে এই অংশে হজের দুর্গম পথ, জলজ পথ, মরুভূমির পথ এবং আধুনিক যুগের সহজ ভ্রমণের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। কাবার পথের যাত্রীরা সফরের সময় কিবলা নির্ধারণের জন্য কম্পাস এবং পথ নির্দেশনার জন্য মানচিত্রও ব্যবহার করত প্রাচীনকালে। সেই সময়ের ব্যবহৃত নানা রকম কম্পাস এবং মানচিত্রও ছিল এই প্রদর্শনীতে। পাশাপাশি হাজিদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ ডায়েরি, আত্মজীবনীমূলক ভ্রমণকাহিনি ছবি ও লেখার মাধ্যমে চিত্রিত করা হয়েছিল এতে। প্রদর্শনীতে ছিল পবিত্র কোরআনের ৮ম শতাব্দীর একটি পাণ্ডুলিপির কপি। ছিল কাবার গিলাফ, উটের হাওদা, প্রাচীন আমলের হজ-বিষয়ক চিত্রকর্ম।
প্রদর্শনীর আরেকটি অংশ ছিল মক্কা নিয়ে। এতে মক্কার অতীত ও বর্তমানের ছবি এবং চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়েছিল, যেখানে মক্কা ও হারামের আশপাশের অঞ্চলগুলো অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত কীভাবে বিকশিত হয়েছে, কীভাবে পুরোনো স্থাপনাগুলো ভেঙে নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে, তা উপস্থাপন করা হয়।
স্মৃতিবিজড়িত এসব চিত্রকর্ম এবং জিনিসপত্রের প্রদর্শনীর সঙ্গে সাত মিনিটের একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি স্ক্রিনে দেখানো হয়।
সাড়া জাগে বিশ্বজুড়ে
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ব্লুমসবারি এলাকায় অবস্থিত দ্য ব্রিটিশ মিউজিয়াম এমনিতেই বিশ্বদরবারে বেশ সমাদৃত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাদুঘরগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জাদুঘর। বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতির শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত, প্রায় ১৩ মিলিয়ন নিদর্শন এই জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। জাদুঘরের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত মানব সংস্কৃতির নথিপত্রও সংরক্ষিত আছে এখানে। এসবের সঙ্গে এই মিউজিয়ামে নতুন মাত্রা যুগ হয় ‘হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম’ আয়োজনের মাধ্যমে। বিশ্বের প্রথম এই হজ প্রদর্শনী মুসলিম-অমুসলিম উভয়ের মধ্যেই বেশ সাড়া ফেলে। আয়োজকেরা আশা করেছিলেন ৮০ হাজারের মতো দর্শনার্থী এই আয়োজনে আসতে পারেন। সেভাবেই তাঁরা প্রস্তুতি নেন। কিন্তু তাঁদের অবাক করে এতে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার দর্শনার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত হন। এর মধ্যে ৪৭ শতাংশ দর্শনার্থী ছিলেন মুসলমান, বাকিরা অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এই সংখ্যা শুধু প্রাপ্ত বয়স্কদের। শিশুদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, কারণ তাদের প্রবেশ ছিল বিনা মূল্যে।
এই আয়োজনের ব্যাপক সাফল্যের ফলে হজ প্রদর্শনী শুরু হয় বিভিন্ন দেশে। পবিত্রতম এই ইবাদতের নানা অনুষঙ্গ দেখে মুগ্ধ হন মানুষজন। তবে প্রথম আয়োজনের সেই অনুরণন এখনো অমলিন হয়ে আছে দ্য ব্রিটিশ মিউজিয়ামে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ এবং মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শুধু একটি আনুষ্ঠানিক ইবাদত নয়; বরং মুমিনের আত্মিক প্রশান্তি, চারিত্রিক পরিশুদ্ধি ও জীবনের ভারসাম্য রক্ষার একটি মহান উপায়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।
৯ ঘণ্টা আগেআমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
১ দিন আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
২ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২ দিন আগে