ইসলাম ডেস্ক
‘আমলে সালেহ’ একটি বহুল ব্যবহৃত ইসলামি পরিভাষা, যার আভিধানিক অর্থ হলো উত্তম কাজ বা সৎকর্ম। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে, আমলে সালেহ বলতে সেসব সৎকর্মকে বোঝানো হয়—যা মহান আল্লাহ তাআলার দেখানো পথে, তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এবং বিশুদ্ধ নিয়তে সম্পন্ন করা হয়।
আমলে সালেহ কেবল ইবাদত-বন্দেগির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি মানবজীবনের প্রতিটি ভালো কাজকে অন্তর্ভুক্ত করে। এর মাধ্যমেই একজন মুমিন তার জীবনে পবিত্রতা আনে এবং পরকালীন মুক্তির পথ সুগম করে।
পবিত্র কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে মুহাম্মদের প্রতি অবতীর্ণ সত্যে বিশ্বাস করে, আল্লাহ তাদের মন্দ কর্মসমূহ মার্জনা করেন এবং তাদের অবস্থা ভালো করে দেন।’ (সুরা মুহাম্মদ: ২)
আমলে সালেহ কী কী?
‘আমলে সালেহ’-এর পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো:
আমলে সালেহের গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য
আমলে সালেহের গুরুত্ব সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘আর যারা ইমান আনে আর সৎকর্ম করে, অবশ্যই আমি তাদের থেকে তাদের পাপসমূহ দূর করে দেব এবং আমি অবশ্যই তাদের সেই উত্তম আমলের প্রতিদান দেব যা তারা করত।’ (সুরা আনকাবুত: ৭)
সুতরাং, আমলকে সালেহ বা উত্তম করতে হলে ইবাদতের পাশাপাশি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে। কারণ, এই সৎকর্মই আখিরাতে আমাদের মুক্তির একমাত্র পুঁজি।
লেখক: আলমগীর কবির, প্রাবন্ধিক।
‘আমলে সালেহ’ একটি বহুল ব্যবহৃত ইসলামি পরিভাষা, যার আভিধানিক অর্থ হলো উত্তম কাজ বা সৎকর্ম। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে, আমলে সালেহ বলতে সেসব সৎকর্মকে বোঝানো হয়—যা মহান আল্লাহ তাআলার দেখানো পথে, তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এবং বিশুদ্ধ নিয়তে সম্পন্ন করা হয়।
আমলে সালেহ কেবল ইবাদত-বন্দেগির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি মানবজীবনের প্রতিটি ভালো কাজকে অন্তর্ভুক্ত করে। এর মাধ্যমেই একজন মুমিন তার জীবনে পবিত্রতা আনে এবং পরকালীন মুক্তির পথ সুগম করে।
পবিত্র কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে মুহাম্মদের প্রতি অবতীর্ণ সত্যে বিশ্বাস করে, আল্লাহ তাদের মন্দ কর্মসমূহ মার্জনা করেন এবং তাদের অবস্থা ভালো করে দেন।’ (সুরা মুহাম্মদ: ২)
আমলে সালেহ কী কী?
‘আমলে সালেহ’-এর পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো:
আমলে সালেহের গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য
আমলে সালেহের গুরুত্ব সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘আর যারা ইমান আনে আর সৎকর্ম করে, অবশ্যই আমি তাদের থেকে তাদের পাপসমূহ দূর করে দেব এবং আমি অবশ্যই তাদের সেই উত্তম আমলের প্রতিদান দেব যা তারা করত।’ (সুরা আনকাবুত: ৭)
সুতরাং, আমলকে সালেহ বা উত্তম করতে হলে ইবাদতের পাশাপাশি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে। কারণ, এই সৎকর্মই আখিরাতে আমাদের মুক্তির একমাত্র পুঁজি।
লেখক: আলমগীর কবির, প্রাবন্ধিক।
অগ্নিকাণ্ড মানবজীবনে একটি অপ্রত্যাশিত ও ভয়ংকর দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই জান ও মালের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। এমন চরম বিপদের মুহূর্তে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আগুন নেভানোর পার্থিব চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা।
৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ছোট ও তাৎপর্যপূর্ণ সুরা হলো সুরা ইখলাস। মাত্র চার আয়াতবিশিষ্ট এই সুরাটির অন্তর্নিহিত ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলামি শিক্ষার আলোকে এই সুরার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার একত্ববাদ (তাওহিদ), অদ্বিতীয়তা ও অনন্য মহিমা সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
১ দিন আগেআল্লাহর পথে মানুষকে আহ্বানের পথ বড়ই বন্ধুর। এ পথে বিপদ-আপদের কমতি নেই। আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ না থাকলে এ পথে টিকে থাকা মুশকিল। আল্লাহর পথে আহ্বানকারী বা দায়ির কাজ হলো মানুষকে প্রবৃত্তির দাসত্ব, বর্ণবৈষম্য ও ঐতিহ্য-আভিজাত্য থেকে মুক্ত হওয়া এবং আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সঁপে দেওয়ার আহ্বান জানানো।
১ দিন আগে