মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
পবিত্র কোরআনের অন্যতম ছোট ও তাৎপর্যপূর্ণ সুরা হলো সুরা ইখলাস। মাত্র চার আয়াতবিশিষ্ট এই সুরাটির অন্তর্নিহিত ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলামি শিক্ষার আলোকে এই সুরার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার একত্ববাদ (তাওহিদ), অদ্বিতীয়তা ও অনন্য মহিমা সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এটি মুমিনের ইমানের মূলভিত্তি এবং শিরকমুক্ত থাকার ঘোষণা।
সুরার পরিচিতি ও মৌলিক শিক্ষা
‘ইখলাস’ শব্দের অর্থ হলো বিশুদ্ধতা বা একনিষ্ঠতা। এই সুরাটি আল্লাহ তাআলার সত্তা ও গুণাবলির ক্ষেত্রে একনিষ্ঠভাবে তাওহিদকে সাব্যস্ত করে। এর আয়াতসমূহের সরল অর্থ হলো: ১. বলুন—আল্লাহ এক, একমাত্র (অদ্বিতীয়)। ২. আল্লাহ সর্বনিঃসঙ্গ (কারও মুখাপেক্ষী নন), সমস্ত সৃষ্টির জন্য নির্ভরযোগ্য। ৩. তিনি জন্ম দেননি, জন্মগ্রহণও করেননি। ৪. কেউ তাঁর সমকক্ষ বা সমতুল্য নয়।
এই চারটি আয়াতে আল্লাহর গুণাবলি ও তাঁর অনন্যতা নিখুঁতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
সুরা ইখলাসের অতুলনীয় ফজিলত
হাদিস শরিফে সুরা ইখলাস পাঠের একাধিক সুমহান ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যিনি সুরা ইখলাস পাঠ করেন, তিনি যেন এক-তৃতীয়াংশ কোরআন পাঠ করলেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০১৩, সহিহ্ মুসলিম: ৮১১)
এই হাদিস প্রমাণ করে, এই সুরায় তাওহিদের যে ব্যাখ্যা আছে, তা সমগ্র কোরআনের অন্যতম কেন্দ্রীয় বিষয়।
এক সাহাবি প্রতিবার নামাজে সুরা ইখলাস ঘন ঘন পাঠ করতেন। রাসুল (সা.)-এর কাছে এর কারণ জানতে চাওয়া হলে সাহাবি উত্তর দিলেন, ‘এটি আল্লাহর গুণাবলি বর্ণনা করে, আমি এটি ভালোবাসি।’ রাসুল (সা.) তখন বললেন, ‘তুমি এটি ভালোবাসো বলেই আল্লাহও তোমাকে ভালোবাসবেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৭৩৭৫, সহিহ্ মুসলিম: ৮১৩)
হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস তিনবার পাঠ করে শরীরের ওপর হাত বুলিয়ে নিতেন। এটি শয়তান ও অশুভ শক্তি থেকে সুরক্ষা দেয়। (সহিহ্ বুখারি: ৫০১৭)।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস নিয়মিত পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাত নিশ্চিত হবে।’ (জামে তিরমিজি: ২৮৯৭)
তাৎপর্য ও ইমানের ভিত্তি
সুরা ইখলাস ছোট হলেও এর শিক্ষা আমাদের অন্তরে আল্লাহর প্রতি অটল ইমান জাগিয়ে তোলে। এটি হৃদয়কে শিরক, কুসংস্কার ও ভ্রান্ত বিশ্বাস থেকে মুক্ত রাখে। এর নিয়মিত পাঠ মানসিক প্রশান্তি, আত্মার দৃঢ়তা ও আধ্যাত্মিক শক্তি লাভে সহায়তা করে। এটিই মুসলমানের ইমানের ভিত্তি—এই ঘোষণা যে আল্লাহ এক এবং তিনি সম্পূর্ণরূপে তাঁর সৃষ্টির ঊর্ধ্বে ও স্বতন্ত্র।
সুরা ইখলাসের গুরুত্ব মহাবিশ্বের মতোই বিশাল। এটি একত্ববাদের মূল ঘোষণা, যা মুসলমানের ইমানের ভিত্তি। তাই দৈনন্দিন জীবনে বারবার এ সুরা পাঠ করা, এর শিক্ষা হৃদয়ে ধারণ করা এবং অন্যদের কাছে পৌঁছে দেওয়া প্রত্যেক মুমিনের নৈতিক দায়িত্ব।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
পবিত্র কোরআনের অন্যতম ছোট ও তাৎপর্যপূর্ণ সুরা হলো সুরা ইখলাস। মাত্র চার আয়াতবিশিষ্ট এই সুরাটির অন্তর্নিহিত ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলামি শিক্ষার আলোকে এই সুরার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার একত্ববাদ (তাওহিদ), অদ্বিতীয়তা ও অনন্য মহিমা সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এটি মুমিনের ইমানের মূলভিত্তি এবং শিরকমুক্ত থাকার ঘোষণা।
সুরার পরিচিতি ও মৌলিক শিক্ষা
‘ইখলাস’ শব্দের অর্থ হলো বিশুদ্ধতা বা একনিষ্ঠতা। এই সুরাটি আল্লাহ তাআলার সত্তা ও গুণাবলির ক্ষেত্রে একনিষ্ঠভাবে তাওহিদকে সাব্যস্ত করে। এর আয়াতসমূহের সরল অর্থ হলো: ১. বলুন—আল্লাহ এক, একমাত্র (অদ্বিতীয়)। ২. আল্লাহ সর্বনিঃসঙ্গ (কারও মুখাপেক্ষী নন), সমস্ত সৃষ্টির জন্য নির্ভরযোগ্য। ৩. তিনি জন্ম দেননি, জন্মগ্রহণও করেননি। ৪. কেউ তাঁর সমকক্ষ বা সমতুল্য নয়।
এই চারটি আয়াতে আল্লাহর গুণাবলি ও তাঁর অনন্যতা নিখুঁতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
সুরা ইখলাসের অতুলনীয় ফজিলত
হাদিস শরিফে সুরা ইখলাস পাঠের একাধিক সুমহান ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যিনি সুরা ইখলাস পাঠ করেন, তিনি যেন এক-তৃতীয়াংশ কোরআন পাঠ করলেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০১৩, সহিহ্ মুসলিম: ৮১১)
এই হাদিস প্রমাণ করে, এই সুরায় তাওহিদের যে ব্যাখ্যা আছে, তা সমগ্র কোরআনের অন্যতম কেন্দ্রীয় বিষয়।
এক সাহাবি প্রতিবার নামাজে সুরা ইখলাস ঘন ঘন পাঠ করতেন। রাসুল (সা.)-এর কাছে এর কারণ জানতে চাওয়া হলে সাহাবি উত্তর দিলেন, ‘এটি আল্লাহর গুণাবলি বর্ণনা করে, আমি এটি ভালোবাসি।’ রাসুল (সা.) তখন বললেন, ‘তুমি এটি ভালোবাসো বলেই আল্লাহও তোমাকে ভালোবাসবেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৭৩৭৫, সহিহ্ মুসলিম: ৮১৩)
হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস তিনবার পাঠ করে শরীরের ওপর হাত বুলিয়ে নিতেন। এটি শয়তান ও অশুভ শক্তি থেকে সুরক্ষা দেয়। (সহিহ্ বুখারি: ৫০১৭)।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস নিয়মিত পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাত নিশ্চিত হবে।’ (জামে তিরমিজি: ২৮৯৭)
তাৎপর্য ও ইমানের ভিত্তি
সুরা ইখলাস ছোট হলেও এর শিক্ষা আমাদের অন্তরে আল্লাহর প্রতি অটল ইমান জাগিয়ে তোলে। এটি হৃদয়কে শিরক, কুসংস্কার ও ভ্রান্ত বিশ্বাস থেকে মুক্ত রাখে। এর নিয়মিত পাঠ মানসিক প্রশান্তি, আত্মার দৃঢ়তা ও আধ্যাত্মিক শক্তি লাভে সহায়তা করে। এটিই মুসলমানের ইমানের ভিত্তি—এই ঘোষণা যে আল্লাহ এক এবং তিনি সম্পূর্ণরূপে তাঁর সৃষ্টির ঊর্ধ্বে ও স্বতন্ত্র।
সুরা ইখলাসের গুরুত্ব মহাবিশ্বের মতোই বিশাল। এটি একত্ববাদের মূল ঘোষণা, যা মুসলমানের ইমানের ভিত্তি। তাই দৈনন্দিন জীবনে বারবার এ সুরা পাঠ করা, এর শিক্ষা হৃদয়ে ধারণ করা এবং অন্যদের কাছে পৌঁছে দেওয়া প্রত্যেক মুমিনের নৈতিক দায়িত্ব।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
আল্লাহর পথে মানুষকে আহ্বানের পথ বড়ই বন্ধুর। এ পথে বিপদ-আপদের কমতি নেই। আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ না থাকলে এ পথে টিকে থাকা মুশকিল। আল্লাহর পথে আহ্বানকারী বা দায়ির কাজ হলো মানুষকে প্রবৃত্তির দাসত্ব, বর্ণবৈষম্য ও ঐতিহ্য-আভিজাত্য থেকে মুক্ত হওয়া এবং আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সঁপে দেওয়ার আহ্বান জানানো।
১৬ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেজিহ্বা আল্লাহর নিয়ামত। জিহ্বার সঠিক ব্যবহার করে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া মুমিনের দায়িত্ব। দুই পাটি দাঁতের মাঝখানের এই মাংসখণ্ডের ভুল ব্যবহার দুনিয়া-আখিরাত ধ্বংসের কারণ হতে পারে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা তাঁর নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এরশাদ করেন, ‘আমি কি তার জন্য দুটি চোখ বানাইনি...
২ দিন আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগে