আবরার নাঈম
পিতা ইবরাহিম (আ.) আপন প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর পক্ষ থেকে স্বপ্নযোগে কোরবানি করতে আদিষ্ট হলেন। ইবরাহিম (আ.) ছিলেন সত্য নবী। তার স্বপ্নও ছিল ওহি। তাই সরাসরি পুত্রের মতামত জানতে চাইলে পুত্রও সম্মতি দিলেন। বিনা প্রশ্নে ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর এ নির্দেশ পালন করলেন।
যখন নিজ সন্তানকে শুয়ে গলায় ছুরি চালাবেন—ঠিক তখনই আল্লাহ তাআলা হজরত জিবরাইলকে জান্নাত থেকে দুম্বা দিয়ে পাঠালেন। পুত্র ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে জবাই হলো দুম্বা। ইবরাহিম (আ.) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন।
এ দৃশ্য চির স্মরণীয় করে রাখতে তিনি মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতকে কোরবানির নির্দেশ দিলেন। কোরআনে এসেছে, ‘অতএব, তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামাজ পড় এবং কোরবানি কর। (সুরা কাউসার: ২)
সাহাবিগণ নবী (সা.)-কে প্রশ্ন করলেন, কোরবানি কী জিনিস, কেনই বা করতে হবে? উত্তরে নবী (সা.) বললেন, এটা তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত। এরপর কোরবানির গুরুত্ব সম্পর্কে হাদিস বর্ণনা করলেন।
হজরত মিখনাফ বিন সুলাইম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আরাফাহর ময়দানে মহানবী (সা.)-এর নিকট অবস্থানরত ছিলাম। তখন তিনি বলেন, ‘হে উপস্থিত সকল, প্রতিটি পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতি বছর একটি কোরবানি ও একটি ‘আতিরা’ রয়েছে। তোমরা কি জানো ‘আতিরা’ কি? তা হলো—যাকে তোমরা ‘রাজাবিয়া’ বলো। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৫)
কোরবানির জবাইকৃত পশুর রক্ত গোশত কোনোটাই আল্লাহর নিকট পৌঁছে না।। তিনি কেবল দেখেন তোমাদের অন্তরের অবস্থা। অর্থাৎ একনিষ্ঠতা ও খোদাভীতি। যেমনটা ছিল হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, আল্লাহর নিকট সেগুলোর গোশত ও রক্ত পৌঁছে না। কিন্তু তার নিকট পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া। (সুরা হাজ: ৩৭)
এখানে আমাদের শিক্ষা হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে বিনা প্রশ্নে যেকোনো নির্দেশ পালনে প্রস্তুত থাকা, প্রয়োজনে সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি বিসর্জন দিতে পারা। আল্লাহ তাআলা আমাদের কোরবানির সঠিক চেতনা অন্তরে লালন করার তৌফিক দান করুন।
পিতা ইবরাহিম (আ.) আপন প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর পক্ষ থেকে স্বপ্নযোগে কোরবানি করতে আদিষ্ট হলেন। ইবরাহিম (আ.) ছিলেন সত্য নবী। তার স্বপ্নও ছিল ওহি। তাই সরাসরি পুত্রের মতামত জানতে চাইলে পুত্রও সম্মতি দিলেন। বিনা প্রশ্নে ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর এ নির্দেশ পালন করলেন।
যখন নিজ সন্তানকে শুয়ে গলায় ছুরি চালাবেন—ঠিক তখনই আল্লাহ তাআলা হজরত জিবরাইলকে জান্নাত থেকে দুম্বা দিয়ে পাঠালেন। পুত্র ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে জবাই হলো দুম্বা। ইবরাহিম (আ.) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন।
এ দৃশ্য চির স্মরণীয় করে রাখতে তিনি মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতকে কোরবানির নির্দেশ দিলেন। কোরআনে এসেছে, ‘অতএব, তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামাজ পড় এবং কোরবানি কর। (সুরা কাউসার: ২)
সাহাবিগণ নবী (সা.)-কে প্রশ্ন করলেন, কোরবানি কী জিনিস, কেনই বা করতে হবে? উত্তরে নবী (সা.) বললেন, এটা তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত। এরপর কোরবানির গুরুত্ব সম্পর্কে হাদিস বর্ণনা করলেন।
হজরত মিখনাফ বিন সুলাইম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আরাফাহর ময়দানে মহানবী (সা.)-এর নিকট অবস্থানরত ছিলাম। তখন তিনি বলেন, ‘হে উপস্থিত সকল, প্রতিটি পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতি বছর একটি কোরবানি ও একটি ‘আতিরা’ রয়েছে। তোমরা কি জানো ‘আতিরা’ কি? তা হলো—যাকে তোমরা ‘রাজাবিয়া’ বলো। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৫)
কোরবানির জবাইকৃত পশুর রক্ত গোশত কোনোটাই আল্লাহর নিকট পৌঁছে না।। তিনি কেবল দেখেন তোমাদের অন্তরের অবস্থা। অর্থাৎ একনিষ্ঠতা ও খোদাভীতি। যেমনটা ছিল হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, আল্লাহর নিকট সেগুলোর গোশত ও রক্ত পৌঁছে না। কিন্তু তার নিকট পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া। (সুরা হাজ: ৩৭)
এখানে আমাদের শিক্ষা হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে বিনা প্রশ্নে যেকোনো নির্দেশ পালনে প্রস্তুত থাকা, প্রয়োজনে সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি বিসর্জন দিতে পারা। আল্লাহ তাআলা আমাদের কোরবানির সঠিক চেতনা অন্তরে লালন করার তৌফিক দান করুন।
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৩ ঘণ্টা আগেন্যায়পরায়ণতার গুরুত্ব অপরিসীম। শাসকের মৌলিক দায়িত্ব কর্তব্য হলো ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে জনগণের অধিকার আদায় এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। মহান রব পবিত্র কোরআনে ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন।
২১ ঘণ্টা আগেআমাদের জীবনে গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ এবং সঠিক উপায় হলো ইস্তিগফার—আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। প্রতিটি মুসলমানের উচিত, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ইস্তিগফারের আমল করাটা যেন এক প্রাকৃতিক অভ্যাস হয়ে ওঠে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও নিয়মিত এই আমলটি পালন করতেন।
১ দিন আগেঅজু দৈনন্দিন জীবনে একাধিকবার ফিরে আসা এক পবিত্র চর্চা। যাঁরা অজুকে গুরুত্ব দেন, নিয়মিত অজু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করেন, তাঁদের জন্য রয়েছে দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে মুক্তির প্রতিশ্রুতি। অজু নামাজের পূর্বশর্ত।
১ দিন আগে