মুফতি আবু দারদা ইসলামবিষয়ক গবেষক
হজ ও কোরবানির ঈদের মতো দুটি মৌলিক ও অবশ্য পালনীয় ইবাদতের কারণে জিলহজ মাসের মর্যাদা অনন্য। এ ছাড়া এই মাসের বেশ কিছু নফল আমলও রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নফল আমল হলো জিলহজের প্রথম দশকে রোজা রাখা। এই মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা মুস্তাহাব ও অশেষ সওয়াবের কাজ। বিশেষ করে জিলহজের ৯ তারিখ রোজা রাখার প্রতি বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছে।
হাদিসে এসেছে, এক যুবকের অভ্যাস ছিল, সে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা দিলেই রোজা রাখত। মহানবী (সা.) তা জানতে পেরে যুবককে জিজ্ঞেস করেন, ‘হে যুবক, তুমি কেন এই দিনগুলোয় রোজা রাখো?’ জবাবে সে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা-বাবা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক। এই দিনগুলো পবিত্র হজের প্রতীক ও হজ আদায়ের বরকতময় সময়। হজ আদায়কারীর সঙ্গে আমিও নেক আমলের আশায় অংশীদার হই, তার সঙ্গে আমার দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেবেন।’ এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তোমার একেকটি রোজার বিনিময়ে ১০০ ক্রীতদাস মুক্ত করার, ১০০ উট দান করার এবং রণসাজে সজ্জিত একটি ঘোড়া আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য দান করার সওয়াব হবে। আরাফাতের দিন তথা জিলহজের রোজার বিনিময়ে ২ হাজার দাস মুক্ত করার, ২ হাজার উট দান করার, জিহাদে সজ্জিত ২ হাজার ঘোড়া দান করার পুণ্যপ্রাপ্ত হবে।’ (মুকাশাফাতুল কুলুব, ইমাম গাজ্জালি)
মহানবী (সা.) থেকে আরও বর্ণিত আছে, ‘যখন আরাফাতের দিন আসে তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর রহমত ছড়িয়ে দেন। এই দিনে যে পরিমাণ মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়, অন্য কোনো দিন তা দেওয়া হয় না। যে ব্যক্তি আরাফাতের দিনে রোজা রাখে, তার বিগত বছর ও আগামী বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (মুসলিম)
হজ ও কোরবানির ঈদের মতো দুটি মৌলিক ও অবশ্য পালনীয় ইবাদতের কারণে জিলহজ মাসের মর্যাদা অনন্য। এ ছাড়া এই মাসের বেশ কিছু নফল আমলও রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নফল আমল হলো জিলহজের প্রথম দশকে রোজা রাখা। এই মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা মুস্তাহাব ও অশেষ সওয়াবের কাজ। বিশেষ করে জিলহজের ৯ তারিখ রোজা রাখার প্রতি বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছে।
হাদিসে এসেছে, এক যুবকের অভ্যাস ছিল, সে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা দিলেই রোজা রাখত। মহানবী (সা.) তা জানতে পেরে যুবককে জিজ্ঞেস করেন, ‘হে যুবক, তুমি কেন এই দিনগুলোয় রোজা রাখো?’ জবাবে সে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা-বাবা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক। এই দিনগুলো পবিত্র হজের প্রতীক ও হজ আদায়ের বরকতময় সময়। হজ আদায়কারীর সঙ্গে আমিও নেক আমলের আশায় অংশীদার হই, তার সঙ্গে আমার দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেবেন।’ এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তোমার একেকটি রোজার বিনিময়ে ১০০ ক্রীতদাস মুক্ত করার, ১০০ উট দান করার এবং রণসাজে সজ্জিত একটি ঘোড়া আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য দান করার সওয়াব হবে। আরাফাতের দিন তথা জিলহজের রোজার বিনিময়ে ২ হাজার দাস মুক্ত করার, ২ হাজার উট দান করার, জিহাদে সজ্জিত ২ হাজার ঘোড়া দান করার পুণ্যপ্রাপ্ত হবে।’ (মুকাশাফাতুল কুলুব, ইমাম গাজ্জালি)
মহানবী (সা.) থেকে আরও বর্ণিত আছে, ‘যখন আরাফাতের দিন আসে তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর রহমত ছড়িয়ে দেন। এই দিনে যে পরিমাণ মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়, অন্য কোনো দিন তা দেওয়া হয় না। যে ব্যক্তি আরাফাতের দিনে রোজা রাখে, তার বিগত বছর ও আগামী বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (মুসলিম)
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনের চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়, যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৩ ঘণ্টা আগেএকটি সাধারণ দৃশ্য আমরা প্রায়শই দেখি—আজান দেওয়ার সময় মুয়াজ্জিন কানে আঙুল প্রবেশ করিয়ে উচ্চ আওয়াজে আজান দিচ্ছেন। অনেকেই এটি আবশ্যক মনে করেন, আবার কেউ কেউ এটিকে ঐচ্ছিক বা বর্জনযোগ্য বলে থাকেন। এই লেখায় আমরা কানে আঙুল দেওয়ার এ পদ্ধতির শরয়ি ভিত্তি, হাদিস, ওলামায়ে কেরামের ব্যাখ্যা এবং সমকালীন...
১৯ ঘণ্টা আগেইতিহাস কখনো নিছক কাহিনি নয়, কখনো কখনো তা হয়ে ওঠে অনুভূতির প্রতীক। মদিনার অদূরে অবস্থিত এক নিঃশব্দ পাহাড় তেমনই এক ইতিহাসের সাক্ষী। এটি শুধু মাটি-পাথরের সমষ্টি নয়; বরং এই পাহাড় ইসলামের প্রথম যুগের বীরত্ব, আত্মত্যাগ, কষ্ট ও ভালোবাসার জীবন্ত স্মারক। রাসুলুল্লাহ (সা.) যাকে বলেছিলেন, ‘উহুদ...
২১ ঘণ্টা আগেজীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১ দিন আগে