আপনার জিজ্ঞাসা
ইসলাম ডেস্ক
প্রশ্ন: আমাদের এলাকায় দেখা যায়, কোরবানির কয়েক দিন পর ফেরিওয়ালারা বাড়ি বাড়ি এসে কোরবানির মাংসের চর্বি কিনে নিয়ে যায়। মাংসের এই চর্বি তেমন কোনো কাজে না লাগায়, কোরবানিদাতা তা অল্প দামে বিক্রি করে দেন। কোরবানির মাংসের তেল-চর্বি বিক্রিতে কি কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে? এ বিষয়ে ইসলামের বিধান জানতে চাই।
আল আমিন ভূঁইয়া, নরসিংদী
প্রশ্ন: কোরবানি একমাত্র আল্লাহর জন্য দেওয়া হয়। কোরবানির পশুর মাংস আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিনের জন্য উপহার। কোরবানির মাংস নিজে খাওয়া যায়, আত্মীয়স্বজনকে দেওয়া যায়, গরিব-মিসকিনকে দান করা যায়। তবে কোরবানির মাংস, চর্বি, হাড়, খুর কোনো কিছুই কোরবানিদাতার জন্য বিক্রি করা উচিত নয়। এমনকি কোরবানির পশুর সঙ্গে যে দড়ি দেওয়া হয়, সেটাও বিক্রি করা যাবে না। নিজে ব্যবহার করা যাবে বা সদকা করা যাবে।
কোনো কোরবানিদাতা যদি কোরবানির মাংস, তেল, চর্বি, হাড়, খুর, দড়ি ইত্যাদি বিক্রি করেন, সে টাকা নিজের কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সম্পূর্ণ টাকা সদকা করে দেওয়া আবশ্যক। যেমনটি কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করার পর করা হয়।
মনে রাখার বিষয় হলো, কোরবানির মাংস যেভাবে নিজে খাওয়া যায়, কোরবানির পশুর চামড়াও নিজে খাওয়া যায় বা ব্যবহার করা যায়। তবে বিক্রি করলে সে টাকা সদকা করা আবশ্যক। আমাদের সমাজে কোরবানির চামড়া খাওয়া বা ব্যবহারের তেমন প্রচলন না থাকায় সদকার নিয়তে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এবং এর মূল্য সদকা করে দেওয়া হয়। কেননা কোরবানির চামড়া নিজে ব্যবহার না করে যদি কেউ বিক্রি করে, তাহলে বিক্রিলব্ধ মূল্য সদকা করা আবশ্যক।
কোরবানির পশুর চামড়া সদকার নিয়তে বিক্রি করা হয়, সে জন্য তা বিক্রি জায়েজ। কিন্তু কোরবানির পশুর তেল, চর্বি, হাড়, খুর ইত্যাদি যদি সদকা করার নিয়ত না থাকে, তাহলে তা বিক্রি করাই নাজায়েজ।
তথ্যসূত্র: ইলাউস সুনান: ১৭ / ২৫৯, বাদায়েউস সানায়ে: ৫ / ৮১ এবং ৪ / ২২৫, ফাতাওয়া কাজিখান: ৩ / ৩৫৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ৫ / ৩০১)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: আমাদের এলাকায় দেখা যায়, কোরবানির কয়েক দিন পর ফেরিওয়ালারা বাড়ি বাড়ি এসে কোরবানির মাংসের চর্বি কিনে নিয়ে যায়। মাংসের এই চর্বি তেমন কোনো কাজে না লাগায়, কোরবানিদাতা তা অল্প দামে বিক্রি করে দেন। কোরবানির মাংসের তেল-চর্বি বিক্রিতে কি কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে? এ বিষয়ে ইসলামের বিধান জানতে চাই।
আল আমিন ভূঁইয়া, নরসিংদী
প্রশ্ন: কোরবানি একমাত্র আল্লাহর জন্য দেওয়া হয়। কোরবানির পশুর মাংস আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিনের জন্য উপহার। কোরবানির মাংস নিজে খাওয়া যায়, আত্মীয়স্বজনকে দেওয়া যায়, গরিব-মিসকিনকে দান করা যায়। তবে কোরবানির মাংস, চর্বি, হাড়, খুর কোনো কিছুই কোরবানিদাতার জন্য বিক্রি করা উচিত নয়। এমনকি কোরবানির পশুর সঙ্গে যে দড়ি দেওয়া হয়, সেটাও বিক্রি করা যাবে না। নিজে ব্যবহার করা যাবে বা সদকা করা যাবে।
কোনো কোরবানিদাতা যদি কোরবানির মাংস, তেল, চর্বি, হাড়, খুর, দড়ি ইত্যাদি বিক্রি করেন, সে টাকা নিজের কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সম্পূর্ণ টাকা সদকা করে দেওয়া আবশ্যক। যেমনটি কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করার পর করা হয়।
মনে রাখার বিষয় হলো, কোরবানির মাংস যেভাবে নিজে খাওয়া যায়, কোরবানির পশুর চামড়াও নিজে খাওয়া যায় বা ব্যবহার করা যায়। তবে বিক্রি করলে সে টাকা সদকা করা আবশ্যক। আমাদের সমাজে কোরবানির চামড়া খাওয়া বা ব্যবহারের তেমন প্রচলন না থাকায় সদকার নিয়তে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এবং এর মূল্য সদকা করে দেওয়া হয়। কেননা কোরবানির চামড়া নিজে ব্যবহার না করে যদি কেউ বিক্রি করে, তাহলে বিক্রিলব্ধ মূল্য সদকা করা আবশ্যক।
কোরবানির পশুর চামড়া সদকার নিয়তে বিক্রি করা হয়, সে জন্য তা বিক্রি জায়েজ। কিন্তু কোরবানির পশুর তেল, চর্বি, হাড়, খুর ইত্যাদি যদি সদকা করার নিয়ত না থাকে, তাহলে তা বিক্রি করাই নাজায়েজ।
তথ্যসূত্র: ইলাউস সুনান: ১৭ / ২৫৯, বাদায়েউস সানায়ে: ৫ / ৮১ এবং ৪ / ২২৫, ফাতাওয়া কাজিখান: ৩ / ৩৫৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ৫ / ৩০১)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
বাবা একটি পরিবারের অভিভাবক, ছায়াস্বরূপ এবং শক্তির প্রতীক। সন্তানের জীবনে বাবার অবদান অপরিসীম ও তুলনাহীন। বাবা ভালোবাসার ছায়া। নির্ভরতার আশ্রয়স্থল। অনুশাসনের শৃঙ্খল।
৪৪ মিনিট আগেমাত্র ৯ মাসে মায়ের কাছে পড়ে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছে সাত বছরের এক শিশু। বিস্ময়কর এই বালকের নাম মুহাম্মদ। সে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামের মুফতি আবদুল্লাহ আমজাদের ছেলে।
১৭ ঘণ্টা আগেঅন্যতম ফজিলতপূর্ণ দিন জুমাবার। মোমিনের জীবনে দিনটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ফজিলতপূর্ণ এই দিন বিশেষ কিছু আমল ও সুন্নত রয়েছে। এর মধ্য থেকে ২০ টি সুন্নত তুলে ধরা যাক— ১. ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা। (সিলসিলাতুস সহিহা) ২. সুন্নত মোতাবেক গোসল করা ও গায়ে তেল মাখা। (সহিহ্ বুখারি: ৮৮৩)...
২০ ঘণ্টা আগেইতিহাসের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো স্থাপত্য নিদর্শন। স্থাপত্য নিদর্শন তার নির্মাণকালের ইতিহাসকে চলমান যুগের বিশ্ববাসীর সমীপে অবিকল তুলে ধরে। এই ঐতিহাসিক সাক্ষ্য মানবমনে নানাভাবে অনুভূত হয়।
১ দিন আগে