ডা. আবু ইলিয়াস প্রধান

ঈদুল আজহা—একটি ধর্মীয় উৎসব যা আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই উৎসবের উদ্যাপনেও এসেছে নতুনত্ব। আধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় ঈদুল আজহার রীতিনীতিতে যুক্ত হয়েছে পরিবেশ সচেতনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নতুন মাত্রা। এই ফিচারে ঈদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, সামাজিক দিক, স্বাস্থ্যবিধি, পরিবেশ সুরক্ষা এবং আধুনিক জীবনের বাস্তবতায় কোরবানির ঈদ উদ্যাপনের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।
ঈদের নামাজ: আধ্যাত্মিক সংহতির সূচনা
ঈদের দিনটির সূচনা হয় ফজরের নামাজের মাধ্যমে। এরপর মুসল্লিরা ঈদগাহে বা মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এই নামাজ একদিকে যেমন ধর্মীয় দায়িত্ব, অন্যদিকে সামাজিক মিলনের মাধ্যম। অনেকে পুরো বছরে ঈদের দিনেই পরিবার-পরিজনসহ গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়তে যান। ঈদের নামাজের মূল বার্তাই হলো—ঐক্য, সংহতি, ও ধৈর্য।
ঈদের নামাজের পরে ইমামের খুতবা শ্রবণ একটি সুন্নত। অনেকেই খুতবার মধ্যে কোরবানির তাৎপর্য, সমাজে দরিদ্রের অধিকার, এবং নিজেকে কীভাবে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করা যায়—তা নিয়ে আলোচনা শোনেন। আধুনিক দিনে এই খুতবা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতার সেতুবন্ধন তৈরি করে।
কোরবানি: আত্মত্যাগ থেকে সহানুভূতির যাত্রা
হজরত ইবরাহিম (আ.) যখন স্বপ্নে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর আদেশে কোরবানি দিতে উদ্যত হয়েছিলেন, সেটি ছিল নিছক পশু জবাই নয়—বরং অন্তরের পরীক্ষা। এই কোরবানির মধ্য দিয়ে মানবজাতিকে শিক্ষা দেওয়া হয়—নিজের সব থেকে প্রিয় জিনিসটিও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আধুনিক জীবনের বাস্তবতায় কোরবানি এখন অনেক ক্ষেত্রেই আড়ম্বর ও প্রতিযোগিতার মাধ্যম হয়ে উঠছে। অনেকে বড় গরু, দামি পশু, অথবা বিরল জাতের পশু কিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। অথচ প্রকৃত কোরবানির শিক্ষা হলো নম্রতা, প্রচার বিমুখতা ও আত্মত্যাগ।
পশু নির্বাচন ও প্রস্তুতি: সচেতনতা ও করুণার অনুশীলন
সুন্নত অনুযায়ী কোরবানির পশু হতে হবে সুস্থ, সুন্দর এবং নির্দিষ্ট বয়স সম্পন্ন। আজকাল অনেকেই পশুর প্রতি মমত্ববোধ দেখাচ্ছেন—সঠিকভাবে খাবার দিচ্ছেন, পরিষ্কার রাখছেন এবং পশুকে ভয় না পাইয়ে আদর করছেন। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক পরিবর্তন। শিশুদের কাছেও এটি একটি শিক্ষণীয় অধ্যায়—তারা দেখছে কীভাবে পশুর সঙ্গে করুণা ও সহানুভূতির আচরণ করা উচিত।
তবে এখনো শহরের অনেক জায়গায় পশু হাটে অব্যবস্থা, পশুর ওপর অমানবিক আচরণ বা পরিবেশ বিপর্যয়ের দৃশ্য চোখে পড়ে। এসব জায়গায় প্রয়োজন প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতা।
কোরবানি ও স্বাস্থ্যবিধি: যত্নে থাকুক পরিবার
একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কোরবানির সময় পরিচ্ছন্নতা রক্ষা। পশু জবাইয়ের পর রক্ত পরিষ্কার না করা, বর্জ্য সঠিক স্থানে না ফেলা, কিংবা সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা না রাখা শহরগুলোতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
অনেকে এখন প্লাস্টিক প্যাকেট ব্যবহার না করে পেপার প্যাকিং করছেন, কিংবা কাপড়ে মুড়ে দিচ্ছেন মাংস। এটি স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশবান্ধব। ঢাকাসহ অনেক শহরে স্থানীয় প্রশাসন কোরবানি-পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করছে। আমাদের উচিত নির্ধারিত স্থানেই পশু জবাই করা এবং বর্জ্য নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্পটে ফেলা।
মাংস বণ্টন: আত্মীয়তা ও সহমর্মিতার সেতুবন্ধন
কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করা উত্তম। এর মধ্যে এক ভাগ নিজে, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের জন্য, এবং এক ভাগ গরিব-দুঃখীদের জন্য।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই নিয়মটিও আধুনিক রূপ নিচ্ছে। কেউ কেউ এখন কোরবানি করছেন গরিবদের জন্য একচেটিয়াভাবে, নিজেরা খান না। অনেকে মাংস পাঠাচ্ছেন এতিমখানা, হাফেজিয়া মাদ্রাসা, বৃদ্ধাশ্রম বা দুর্গম অঞ্চলের মানুষের কাছে। এমনকি কিছু উদ্যোগ এখন ‘মাংস ব্যাংক’-এর মাধ্যমে সারা বছর সংরক্ষিত মাংস গরিবদের মাঝে বিতরণ করছে।
এই ঈদে যদি আমাদের চারপাশে এমন কেউ থাকে, যিনি হয়তো কোরবানির মাংস পাচ্ছেন না—তবে তাকে সবার আগে মনে রাখা উচিত। কোরবানি তখনই পূর্ণ হয়, যখন তার সুফল সমাজের সবচেয়ে নিচু স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ঈদের সংবেদনশীলতা
ঈদের দিনে অনেকেই কোরবানির পশুর জবাইয়ের মুহূর্ত বা মাংসের স্তূপ ছবি শেয়ার করেন ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে। এটি একদিকে আনন্দ ভাগাভাগি, কিন্তু অপরদিকে সংবেদনশীলতাও জরুরি। কেউ কেউ হয়তো কোরবানি দিতে পারেননি, কেউ বা পশুপ্রেমী হয়ে এমন দৃশ্যকে কষ্টকর মনে করতে পারেন। শিশুদের মধ্যেও এই বিষয়গুলো নিয়ে দ্বিধা তৈরি হতে পারে। তাই যদি কেউ ছবি শেয়ার করেনও, তবে সেটি যেন সংযত হয়—এমন সচেতনতা কাম্য।
সংরক্ষণ: কোরবানির স্মৃতি টিকুক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায়
কোরবানির মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। ফ্রিজে রাখার পাশাপাশি অনেকেই মাংস সেদ্ধ করে সংরক্ষণ করছেন। কেউ কেউ ভাজা করে বাটিতে রেখে দিচ্ছেন, যাতে বিদ্যুৎ না থাকলেও নষ্ট না হয়।
গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায় এখনো ধোঁয়া দিয়ে মাংস সংরক্ষণ (smoked meat) করা হয়, যা ১০-১৫ দিন পর্যন্ত টিকে। শহরে এই পদ্ধতিটি আবার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটাও একটা পরিবেশবান্ধব উপায়।
তবে যেকোনো সংরক্ষণের আগে মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করা এবং ভাগ করে রাখা উচিত, যাতে প্রয়োজনে সহজে ব্যবহার করা যায় এবং অপচয় না হয়।
শেষ কথা: ঈদ হোক অন্তর্দৃষ্টি ও দায়িত্ববোধের মিলনস্থল
ঈদুল আজহা একটি উৎসব—কিন্তু এটি উৎসবের বাইরেও অনেক বড় কিছু। এটি আত্মসংযমের, আত্মত্যাগের, সহানুভূতির এবং সামাজিক সংহতির উৎসব।
আধুনিক জীবনে এই উৎসবকে ঘিরে যদি আমরা আরও সচেতন হই—পরিচ্ছন্নতা, সংবেদনশীলতা, মানবিকতা ও ধর্মীয় দায়িত্বের বিষয়ে—তবে কেবল ধর্মীয় নয়, সামাজিকভাবেও আমরা ঈদুল আজহাকে একটি পরিপূর্ণ উৎসবে পরিণত করতে পারি।
চলুন, এবার ঈদ হোক কেবল আনন্দ নয়—উৎসর্গ, ভালোবাসা, যত্ন আর মানবিকতার রঙে রঙিন।

ঈদুল আজহা—একটি ধর্মীয় উৎসব যা আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই উৎসবের উদ্যাপনেও এসেছে নতুনত্ব। আধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় ঈদুল আজহার রীতিনীতিতে যুক্ত হয়েছে পরিবেশ সচেতনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নতুন মাত্রা। এই ফিচারে ঈদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, সামাজিক দিক, স্বাস্থ্যবিধি, পরিবেশ সুরক্ষা এবং আধুনিক জীবনের বাস্তবতায় কোরবানির ঈদ উদ্যাপনের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।
ঈদের নামাজ: আধ্যাত্মিক সংহতির সূচনা
ঈদের দিনটির সূচনা হয় ফজরের নামাজের মাধ্যমে। এরপর মুসল্লিরা ঈদগাহে বা মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এই নামাজ একদিকে যেমন ধর্মীয় দায়িত্ব, অন্যদিকে সামাজিক মিলনের মাধ্যম। অনেকে পুরো বছরে ঈদের দিনেই পরিবার-পরিজনসহ গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়তে যান। ঈদের নামাজের মূল বার্তাই হলো—ঐক্য, সংহতি, ও ধৈর্য।
ঈদের নামাজের পরে ইমামের খুতবা শ্রবণ একটি সুন্নত। অনেকেই খুতবার মধ্যে কোরবানির তাৎপর্য, সমাজে দরিদ্রের অধিকার, এবং নিজেকে কীভাবে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করা যায়—তা নিয়ে আলোচনা শোনেন। আধুনিক দিনে এই খুতবা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতার সেতুবন্ধন তৈরি করে।
কোরবানি: আত্মত্যাগ থেকে সহানুভূতির যাত্রা
হজরত ইবরাহিম (আ.) যখন স্বপ্নে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর আদেশে কোরবানি দিতে উদ্যত হয়েছিলেন, সেটি ছিল নিছক পশু জবাই নয়—বরং অন্তরের পরীক্ষা। এই কোরবানির মধ্য দিয়ে মানবজাতিকে শিক্ষা দেওয়া হয়—নিজের সব থেকে প্রিয় জিনিসটিও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আধুনিক জীবনের বাস্তবতায় কোরবানি এখন অনেক ক্ষেত্রেই আড়ম্বর ও প্রতিযোগিতার মাধ্যম হয়ে উঠছে। অনেকে বড় গরু, দামি পশু, অথবা বিরল জাতের পশু কিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। অথচ প্রকৃত কোরবানির শিক্ষা হলো নম্রতা, প্রচার বিমুখতা ও আত্মত্যাগ।
পশু নির্বাচন ও প্রস্তুতি: সচেতনতা ও করুণার অনুশীলন
সুন্নত অনুযায়ী কোরবানির পশু হতে হবে সুস্থ, সুন্দর এবং নির্দিষ্ট বয়স সম্পন্ন। আজকাল অনেকেই পশুর প্রতি মমত্ববোধ দেখাচ্ছেন—সঠিকভাবে খাবার দিচ্ছেন, পরিষ্কার রাখছেন এবং পশুকে ভয় না পাইয়ে আদর করছেন। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক পরিবর্তন। শিশুদের কাছেও এটি একটি শিক্ষণীয় অধ্যায়—তারা দেখছে কীভাবে পশুর সঙ্গে করুণা ও সহানুভূতির আচরণ করা উচিত।
তবে এখনো শহরের অনেক জায়গায় পশু হাটে অব্যবস্থা, পশুর ওপর অমানবিক আচরণ বা পরিবেশ বিপর্যয়ের দৃশ্য চোখে পড়ে। এসব জায়গায় প্রয়োজন প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতা।
কোরবানি ও স্বাস্থ্যবিধি: যত্নে থাকুক পরিবার
একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কোরবানির সময় পরিচ্ছন্নতা রক্ষা। পশু জবাইয়ের পর রক্ত পরিষ্কার না করা, বর্জ্য সঠিক স্থানে না ফেলা, কিংবা সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা না রাখা শহরগুলোতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
অনেকে এখন প্লাস্টিক প্যাকেট ব্যবহার না করে পেপার প্যাকিং করছেন, কিংবা কাপড়ে মুড়ে দিচ্ছেন মাংস। এটি স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশবান্ধব। ঢাকাসহ অনেক শহরে স্থানীয় প্রশাসন কোরবানি-পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করছে। আমাদের উচিত নির্ধারিত স্থানেই পশু জবাই করা এবং বর্জ্য নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্পটে ফেলা।
মাংস বণ্টন: আত্মীয়তা ও সহমর্মিতার সেতুবন্ধন
কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করা উত্তম। এর মধ্যে এক ভাগ নিজে, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের জন্য, এবং এক ভাগ গরিব-দুঃখীদের জন্য।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই নিয়মটিও আধুনিক রূপ নিচ্ছে। কেউ কেউ এখন কোরবানি করছেন গরিবদের জন্য একচেটিয়াভাবে, নিজেরা খান না। অনেকে মাংস পাঠাচ্ছেন এতিমখানা, হাফেজিয়া মাদ্রাসা, বৃদ্ধাশ্রম বা দুর্গম অঞ্চলের মানুষের কাছে। এমনকি কিছু উদ্যোগ এখন ‘মাংস ব্যাংক’-এর মাধ্যমে সারা বছর সংরক্ষিত মাংস গরিবদের মাঝে বিতরণ করছে।
এই ঈদে যদি আমাদের চারপাশে এমন কেউ থাকে, যিনি হয়তো কোরবানির মাংস পাচ্ছেন না—তবে তাকে সবার আগে মনে রাখা উচিত। কোরবানি তখনই পূর্ণ হয়, যখন তার সুফল সমাজের সবচেয়ে নিচু স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ঈদের সংবেদনশীলতা
ঈদের দিনে অনেকেই কোরবানির পশুর জবাইয়ের মুহূর্ত বা মাংসের স্তূপ ছবি শেয়ার করেন ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে। এটি একদিকে আনন্দ ভাগাভাগি, কিন্তু অপরদিকে সংবেদনশীলতাও জরুরি। কেউ কেউ হয়তো কোরবানি দিতে পারেননি, কেউ বা পশুপ্রেমী হয়ে এমন দৃশ্যকে কষ্টকর মনে করতে পারেন। শিশুদের মধ্যেও এই বিষয়গুলো নিয়ে দ্বিধা তৈরি হতে পারে। তাই যদি কেউ ছবি শেয়ার করেনও, তবে সেটি যেন সংযত হয়—এমন সচেতনতা কাম্য।
সংরক্ষণ: কোরবানির স্মৃতি টিকুক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায়
কোরবানির মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। ফ্রিজে রাখার পাশাপাশি অনেকেই মাংস সেদ্ধ করে সংরক্ষণ করছেন। কেউ কেউ ভাজা করে বাটিতে রেখে দিচ্ছেন, যাতে বিদ্যুৎ না থাকলেও নষ্ট না হয়।
গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায় এখনো ধোঁয়া দিয়ে মাংস সংরক্ষণ (smoked meat) করা হয়, যা ১০-১৫ দিন পর্যন্ত টিকে। শহরে এই পদ্ধতিটি আবার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটাও একটা পরিবেশবান্ধব উপায়।
তবে যেকোনো সংরক্ষণের আগে মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করা এবং ভাগ করে রাখা উচিত, যাতে প্রয়োজনে সহজে ব্যবহার করা যায় এবং অপচয় না হয়।
শেষ কথা: ঈদ হোক অন্তর্দৃষ্টি ও দায়িত্ববোধের মিলনস্থল
ঈদুল আজহা একটি উৎসব—কিন্তু এটি উৎসবের বাইরেও অনেক বড় কিছু। এটি আত্মসংযমের, আত্মত্যাগের, সহানুভূতির এবং সামাজিক সংহতির উৎসব।
আধুনিক জীবনে এই উৎসবকে ঘিরে যদি আমরা আরও সচেতন হই—পরিচ্ছন্নতা, সংবেদনশীলতা, মানবিকতা ও ধর্মীয় দায়িত্বের বিষয়ে—তবে কেবল ধর্মীয় নয়, সামাজিকভাবেও আমরা ঈদুল আজহাকে একটি পরিপূর্ণ উৎসবে পরিণত করতে পারি।
চলুন, এবার ঈদ হোক কেবল আনন্দ নয়—উৎসর্গ, ভালোবাসা, যত্ন আর মানবিকতার রঙে রঙিন।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
৮ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ঈদুল আজহা—একটি ধর্মীয় উৎসব যা আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই উৎসবের উদ্যাপনেও এসেছে নতুনত্ব। আধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় ঈদুল আজহার রীতিনীতিতে যুক্ত হয়েছে পরিবেশ সচেতনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নতুন মাত্রা। এই ফিচারে ঈদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান...
০৪ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ঈদুল আজহা—একটি ধর্মীয় উৎসব যা আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই উৎসবের উদ্যাপনেও এসেছে নতুনত্ব। আধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় ঈদুল আজহার রীতিনীতিতে যুক্ত হয়েছে পরিবেশ সচেতনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নতুন মাত্রা। এই ফিচারে ঈদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান...
০৪ জুন ২০২৫
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
৮ মিনিট আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

ঈদুল আজহা—একটি ধর্মীয় উৎসব যা আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই উৎসবের উদ্যাপনেও এসেছে নতুনত্ব। আধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় ঈদুল আজহার রীতিনীতিতে যুক্ত হয়েছে পরিবেশ সচেতনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নতুন মাত্রা। এই ফিচারে ঈদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান...
০৪ জুন ২০২৫
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
৮ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
২১ ঘণ্টা আগেশরিফ আহমাদ

জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। জুমার নামাজ প্রসঙ্গে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ত্যাগ করো। এটিই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।’ (সুরা জুমুআ: ৯) তাই আল্লাহর আদেশ মেনে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে, জুমার নামাজ ত্যাগ করে, তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তাঁরা রাসুল (সা.)-কে মিম্বরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, ‘মানুষ যেন জুমার নামাজ ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে। অন্যথায় আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেবেন। এরপর তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৬৫)
মুনাফিক ব্যক্তি ছাড়া কোনো মুসলমান ফরজ নামাজ ত্যাগ করতে পারে না। নামাজ আদায়ে বিলম্ব হলে প্রকৃত মুমিনের হৃদয়ে অপরাধপ্রবণতা কাজ করে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশেষ অপারগতা ছাড়া জুমার নামাজ তরক করে, তার নামে মুনাফিক উপাধি লেখা হয় এমন কিতাবে, যার লেখা মোছা যায় না এবং পরিবর্তনও করা যায় না।’ (কিতাবুল উম্ম: ১/২৩৯)
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার সদকা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১০৫৩)

জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। জুমার নামাজ প্রসঙ্গে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ত্যাগ করো। এটিই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।’ (সুরা জুমুআ: ৯) তাই আল্লাহর আদেশ মেনে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে, জুমার নামাজ ত্যাগ করে, তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তাঁরা রাসুল (সা.)-কে মিম্বরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, ‘মানুষ যেন জুমার নামাজ ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে। অন্যথায় আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেবেন। এরপর তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৬৫)
মুনাফিক ব্যক্তি ছাড়া কোনো মুসলমান ফরজ নামাজ ত্যাগ করতে পারে না। নামাজ আদায়ে বিলম্ব হলে প্রকৃত মুমিনের হৃদয়ে অপরাধপ্রবণতা কাজ করে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশেষ অপারগতা ছাড়া জুমার নামাজ তরক করে, তার নামে মুনাফিক উপাধি লেখা হয় এমন কিতাবে, যার লেখা মোছা যায় না এবং পরিবর্তনও করা যায় না।’ (কিতাবুল উম্ম: ১/২৩৯)
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার সদকা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১০৫৩)

ঈদুল আজহা—একটি ধর্মীয় উৎসব যা আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই উৎসবের উদ্যাপনেও এসেছে নতুনত্ব। আধুনিক জীবনের ছোঁয়ায় ঈদুল আজহার রীতিনীতিতে যুক্ত হয়েছে পরিবেশ সচেতনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নতুন মাত্রা। এই ফিচারে ঈদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান...
০৪ জুন ২০২৫
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
৮ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১৮ ঘণ্টা আগে