কাউসার লাবীব
কোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে। আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে, নামাজ কায়েম করে এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে (সৎকাজে) ব্যয় করে গোপনে ও প্রকাশ্যে—তারা এমন ব্যবসার আশাবাদী; যা কখনো লোকসান হয় না, যাতে আল্লাহ তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিফল দেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশি দান করেন। নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল, অত্যন্ত গুণগ্রাহী। (সুরা ফাতির: ২৯-৩০)
প্রিয় নবী (সা.) বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করতেন। নামাজে, নামাজের বাইরে, রাতের আঁধারে, দিনের আলোতে তাঁর তিলাওয়াত চলত। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, নামাজে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আল্লাহর রাসুল এত দীর্ঘ সময় তিলাওয়াত করতেন—তাঁর পা মোবারক ফুলে যেত। (সহিহ্ মুসলিম)
মহানবী (সা.) শুধু নিজে তিলাওয়াত করতেন না—সাহাবিদের তিলাওয়াতও শুনতেন। কোরআন তিলাওয়াতের প্রতি তাঁদের উৎসাহ দিতেন। একবার নবীজি (সা.) আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-কে বললেন, ‘তুমি আমাকে একটু তিলাওয়াত করে শোনাও তো।’ তিনি বললেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা.), আমি আপনাকে তিলাওয়াত শোনাব, আপনার ওপরই তো কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে!’ নবীজি বললেন, ‘আমার মনে চাচ্ছে, কারও থেকে একটু তিলাওয়াত শুনি।’ এ শুনে ইবনে মাসউদ (রা.) সুরা নিসা তিলাওয়াত করতে শুরু করলেন। পড়তে পড়তে যখন ৪১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত এলেন, তখন নবীজি (সা.) বললেন, ‘ঠিক আছে।’ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) থামতে বলার পর আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখি, তাঁর চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে। (সহিহ্ বুখারি)
প্রাত্যহিক জীবনে আমাদের উচিত পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের অভ্যাস গড়ে তোলা। কেননা পরকালে পবিত্র কোরআন তার তিলাওয়াতকারীকে সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যাবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা কোরআন পাঠ করো। কেননা কিয়ামতের দিন কোরআন তার তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮০৪)
কোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে। আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে, নামাজ কায়েম করে এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে (সৎকাজে) ব্যয় করে গোপনে ও প্রকাশ্যে—তারা এমন ব্যবসার আশাবাদী; যা কখনো লোকসান হয় না, যাতে আল্লাহ তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিফল দেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশি দান করেন। নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল, অত্যন্ত গুণগ্রাহী। (সুরা ফাতির: ২৯-৩০)
প্রিয় নবী (সা.) বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করতেন। নামাজে, নামাজের বাইরে, রাতের আঁধারে, দিনের আলোতে তাঁর তিলাওয়াত চলত। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, নামাজে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আল্লাহর রাসুল এত দীর্ঘ সময় তিলাওয়াত করতেন—তাঁর পা মোবারক ফুলে যেত। (সহিহ্ মুসলিম)
মহানবী (সা.) শুধু নিজে তিলাওয়াত করতেন না—সাহাবিদের তিলাওয়াতও শুনতেন। কোরআন তিলাওয়াতের প্রতি তাঁদের উৎসাহ দিতেন। একবার নবীজি (সা.) আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-কে বললেন, ‘তুমি আমাকে একটু তিলাওয়াত করে শোনাও তো।’ তিনি বললেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা.), আমি আপনাকে তিলাওয়াত শোনাব, আপনার ওপরই তো কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে!’ নবীজি বললেন, ‘আমার মনে চাচ্ছে, কারও থেকে একটু তিলাওয়াত শুনি।’ এ শুনে ইবনে মাসউদ (রা.) সুরা নিসা তিলাওয়াত করতে শুরু করলেন। পড়তে পড়তে যখন ৪১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত এলেন, তখন নবীজি (সা.) বললেন, ‘ঠিক আছে।’ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) থামতে বলার পর আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখি, তাঁর চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে। (সহিহ্ বুখারি)
প্রাত্যহিক জীবনে আমাদের উচিত পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের অভ্যাস গড়ে তোলা। কেননা পরকালে পবিত্র কোরআন তার তিলাওয়াতকারীকে সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যাবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা কোরআন পাঠ করো। কেননা কিয়ামতের দিন কোরআন তার তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮০৪)
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
১৯ ঘণ্টা আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
২ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২ দিন আগেহিজরি সনের দ্বিতীয় মাস সফর। জাহিলি যুগে এই মাসকে অশুভ, বিপৎসংকুল ও অলক্ষুনে মাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মানুষ মনে করত, এ মাসে শুভ কিছু হয় না—বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, ব্যবসা করলে লোকসান হয়, রোগবালাই বাড়ে। এমনকি সফরকে বলা হতো ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ বিবর্ণ সফর মাস। কারণ তখন খরা ও খাদ্যসংকট দেখা...
২ দিন আগে