আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, এখন পর্যন্ত জরিপের ফলাফল অন্তত তাই বলে। সর্বশেষ রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে মাত্র ১ শতাংশ এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস। হাতে গুনে ভোটের আর সাত দিন বাকি। এই পরিস্থিতিতে জমে উঠেছে কথার লড়াই। আটঘাট বেঁধে নেমেছে দুই পক্ষ।
আগামী ৫ নভেম্বর হবে যুক্তরাষ্ট্রের ভোট। এই নির্বাচনকে ঘিরে একে অপরকে বারবার আক্রমণ করছেন ট্রাম্প ও কমলা। এবারের নির্বাচনে প্রচার শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময় কমলাকে অযোগ্য বলে আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প। কমলাও কোনো ছাড় দেননি। সর্বশেষ ট্রাম্পের সাবেক কর্মকর্তার বক্তব্য টেনে তাঁকে ফ্যাসিস্ট বলেছেন কমলা। এর জবাবে উল্টো ফ্যাসিস্ট তকমা কমলার গায়ে জুড়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। আর কমলা বলছেন বিভক্তির রাজনীতিতে বিশ্বাসী ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকেই একের পর এক নয়া ঘটনা ঘটছে। ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টায় দুবার হামলা হয়েছে।
ডেমোক্র্যাটদের প্রথম প্রার্থী ছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বয়স, প্রচারে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে বিরক্তির কারণ হন তিনি। এরপর দলের ভেতর থেকেও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী না হওয়ার ব্যাপারে চাপ বাড়ে। অবশেষে সরে দাঁড়ান তিনি। জো বাইডেনের বিরুদ্ধে মোটামুটি আটঘাট বেঁধেই নেমেছিলেন ট্রাম্প। তখন ধারণাও করা হচ্ছিল, ট্রাম্পই হয়তো ২০২৪-এ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবে। তবে বাইডেন সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর কমলা এগিয়ে আসায় পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে।
নিউইয়র্ক টাইমসের জরিপে এর একটি সার্বিক চিত্র উঠে এসেছে। গণমাধ্যমটি বলছে, জুলাইয়ে যখন বাইডেন সড়ে দাঁড়ান এবং কমলা নির্বাচন করার ঘোষণা দেন তখন ট্রাম্পের চেয়ে জাতীয় জরিপে পিছিয়ে ছিলেন কমলা। ২১ জুলাইয়ের তথ্য অনুসারে, জরিপে অংশ নেওয়া ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পকে তখন সমর্থন করছিলেন ৪৮ শতাংশ ভোটার। আর কমলার প্রতি সমর্থ ছিল ৪৫ শতাংশের। এই পরিস্থিতি বদলে যায় ৪ আগস্ট। ওই দিন দুই প্রার্থীরই সমর্থন সমান সমান হয়ে যায়। এরপর থেকে কমলার প্রতি মানুষের সমর্থন বাড়তে থাকে। আর কমতে থাকে ট্রাম্পের সমর্থন। ১ সেপ্টেম্বর এসে দেখা যায়, ট্রাম্পের সমর্থন ৪৬ শতাংশ আর কমলার সমর্থন ৪৯ শতাংশ। সংখ্যা তাত্ত্বিক দিক থেকে বিবেচনা করলে এই ব্যবধান খুব বেশি নয়। তবে জো বাইডেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন তখন তাঁর সমর্থন ছিল ৪৪ শতাংশ। আর ট্রাম্পের ছিল ৪৭ শতাংশ। এ ছাড়া দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য মূলত যে রাজ্যগুলোর ফলাফলই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল নির্ধারণ করে দেয়—সবগুলোয় পিছিয়ে ছিলেন বাইডেনে। সেই ব্যবধানও ছিল বেশ বড়।
যা হোক, এই চিত্র বদলাতে সক্ষম হয়েছেন কমলা হ্যারিস। ১ অক্টোবরের জাতীয় জরিপের চিত্র থেকে দেখা যাচ্ছিল, কমলাকে সমর্থন করছেন ৫০ শতাংশ ভোটার। আর ট্রাম্পকে ৪৬ শতাংশ। এ ছাড়া দোদুল্যমান সাত অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া, মিশিগান, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, নেভাদায় এগিয়ে গেছেন কমলা। পিছিয়ে থেকে শুরু করে এসব অঙ্গরাজ্য এক সময় ট্রাম্পকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হন কমলা।
ডেমোক্র্যাটরা চাপে
যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এই ভোট নিয়ে নিয়মিত জরিপ প্রকাশ করছে। আর সাম্প্রতিক জরিপ খানিকটা ডেমোক্র্যাট শিবিরকে চিন্তাতেই ফেলেছে। জাতীয় জরিপে গত ১৩ অক্টোবরও ট্রাম্পের চেয়ে সমর্থনে ২ শতাংশ এগিয়েছিলেন কমলা। তবে ২১ অক্টোবরে এসে সেই ব্যবধান ১ শতাংশে নেমে আসে। আর সর্বশেষ গতকাল সোমবারের তথ্য অনুসারে, এখন দুই প্রার্থীর সমর্থনে ব্যবধান ১ শতাংশ (ট্রাম্প ৪৮ শতাংশ ও কমলা ৪৯ শতাংশ)।
ডেমোক্র্যাটদের জন্য চিন্তার কারণ এখন সারা দেশের ভোট নয়, দোদুল্যমান সাত অঙ্গরাজ্য। এক সময় সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত কমলা হ্যারিস এসব অঙ্গরাজ্যের অধিকাংশগুলোয় এগিয়ে থাকলেও আর ব্যবধান ধরে রাখতে পারেননি। পেনসিলভানিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, উইসকনসিন ও নেভাদায় কমলা ও ট্রাম্পের পয়েন্ট এখন সমান। আর মিশিগানে এগিয়ে রয়েছেন কমলা। আর বাকি দুই অঙ্গরাজ্য জর্জিয়া ও অ্যারিজোনায় এগিয়ে ট্রাম্প। তবে কমলার জন্য আশার বাণী আগাম ভোট। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তিন কোটির বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। সাধারণত ডেমোক্র্যাট সমর্থকেরা আগাম ভোট বেশি দিয়ে থাকেন। এবারও সেটা ঘটে থাকলে কমলার জয়ের সম্ভাবনা বেশি। নয়তো জরিপ তাঁর জন্য ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, এখন পর্যন্ত জরিপের ফলাফল অন্তত তাই বলে। সর্বশেষ রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে মাত্র ১ শতাংশ এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস। হাতে গুনে ভোটের আর সাত দিন বাকি। এই পরিস্থিতিতে জমে উঠেছে কথার লড়াই। আটঘাট বেঁধে নেমেছে দুই পক্ষ।
আগামী ৫ নভেম্বর হবে যুক্তরাষ্ট্রের ভোট। এই নির্বাচনকে ঘিরে একে অপরকে বারবার আক্রমণ করছেন ট্রাম্প ও কমলা। এবারের নির্বাচনে প্রচার শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময় কমলাকে অযোগ্য বলে আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প। কমলাও কোনো ছাড় দেননি। সর্বশেষ ট্রাম্পের সাবেক কর্মকর্তার বক্তব্য টেনে তাঁকে ফ্যাসিস্ট বলেছেন কমলা। এর জবাবে উল্টো ফ্যাসিস্ট তকমা কমলার গায়ে জুড়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। আর কমলা বলছেন বিভক্তির রাজনীতিতে বিশ্বাসী ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকেই একের পর এক নয়া ঘটনা ঘটছে। ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টায় দুবার হামলা হয়েছে।
ডেমোক্র্যাটদের প্রথম প্রার্থী ছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বয়স, প্রচারে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে বিরক্তির কারণ হন তিনি। এরপর দলের ভেতর থেকেও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী না হওয়ার ব্যাপারে চাপ বাড়ে। অবশেষে সরে দাঁড়ান তিনি। জো বাইডেনের বিরুদ্ধে মোটামুটি আটঘাট বেঁধেই নেমেছিলেন ট্রাম্প। তখন ধারণাও করা হচ্ছিল, ট্রাম্পই হয়তো ২০২৪-এ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবে। তবে বাইডেন সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর কমলা এগিয়ে আসায় পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে।
নিউইয়র্ক টাইমসের জরিপে এর একটি সার্বিক চিত্র উঠে এসেছে। গণমাধ্যমটি বলছে, জুলাইয়ে যখন বাইডেন সড়ে দাঁড়ান এবং কমলা নির্বাচন করার ঘোষণা দেন তখন ট্রাম্পের চেয়ে জাতীয় জরিপে পিছিয়ে ছিলেন কমলা। ২১ জুলাইয়ের তথ্য অনুসারে, জরিপে অংশ নেওয়া ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পকে তখন সমর্থন করছিলেন ৪৮ শতাংশ ভোটার। আর কমলার প্রতি সমর্থ ছিল ৪৫ শতাংশের। এই পরিস্থিতি বদলে যায় ৪ আগস্ট। ওই দিন দুই প্রার্থীরই সমর্থন সমান সমান হয়ে যায়। এরপর থেকে কমলার প্রতি মানুষের সমর্থন বাড়তে থাকে। আর কমতে থাকে ট্রাম্পের সমর্থন। ১ সেপ্টেম্বর এসে দেখা যায়, ট্রাম্পের সমর্থন ৪৬ শতাংশ আর কমলার সমর্থন ৪৯ শতাংশ। সংখ্যা তাত্ত্বিক দিক থেকে বিবেচনা করলে এই ব্যবধান খুব বেশি নয়। তবে জো বাইডেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন তখন তাঁর সমর্থন ছিল ৪৪ শতাংশ। আর ট্রাম্পের ছিল ৪৭ শতাংশ। এ ছাড়া দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য মূলত যে রাজ্যগুলোর ফলাফলই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল নির্ধারণ করে দেয়—সবগুলোয় পিছিয়ে ছিলেন বাইডেনে। সেই ব্যবধানও ছিল বেশ বড়।
যা হোক, এই চিত্র বদলাতে সক্ষম হয়েছেন কমলা হ্যারিস। ১ অক্টোবরের জাতীয় জরিপের চিত্র থেকে দেখা যাচ্ছিল, কমলাকে সমর্থন করছেন ৫০ শতাংশ ভোটার। আর ট্রাম্পকে ৪৬ শতাংশ। এ ছাড়া দোদুল্যমান সাত অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া, মিশিগান, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, নেভাদায় এগিয়ে গেছেন কমলা। পিছিয়ে থেকে শুরু করে এসব অঙ্গরাজ্য এক সময় ট্রাম্পকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হন কমলা।
ডেমোক্র্যাটরা চাপে
যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এই ভোট নিয়ে নিয়মিত জরিপ প্রকাশ করছে। আর সাম্প্রতিক জরিপ খানিকটা ডেমোক্র্যাট শিবিরকে চিন্তাতেই ফেলেছে। জাতীয় জরিপে গত ১৩ অক্টোবরও ট্রাম্পের চেয়ে সমর্থনে ২ শতাংশ এগিয়েছিলেন কমলা। তবে ২১ অক্টোবরে এসে সেই ব্যবধান ১ শতাংশে নেমে আসে। আর সর্বশেষ গতকাল সোমবারের তথ্য অনুসারে, এখন দুই প্রার্থীর সমর্থনে ব্যবধান ১ শতাংশ (ট্রাম্প ৪৮ শতাংশ ও কমলা ৪৯ শতাংশ)।
ডেমোক্র্যাটদের জন্য চিন্তার কারণ এখন সারা দেশের ভোট নয়, দোদুল্যমান সাত অঙ্গরাজ্য। এক সময় সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত কমলা হ্যারিস এসব অঙ্গরাজ্যের অধিকাংশগুলোয় এগিয়ে থাকলেও আর ব্যবধান ধরে রাখতে পারেননি। পেনসিলভানিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, উইসকনসিন ও নেভাদায় কমলা ও ট্রাম্পের পয়েন্ট এখন সমান। আর মিশিগানে এগিয়ে রয়েছেন কমলা। আর বাকি দুই অঙ্গরাজ্য জর্জিয়া ও অ্যারিজোনায় এগিয়ে ট্রাম্প। তবে কমলার জন্য আশার বাণী আগাম ভোট। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তিন কোটির বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। সাধারণত ডেমোক্র্যাট সমর্থকেরা আগাম ভোট বেশি দিয়ে থাকেন। এবারও সেটা ঘটে থাকলে কমলার জয়ের সম্ভাবনা বেশি। নয়তো জরিপ তাঁর জন্য ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে না।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ বিষয়ে নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে বলেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের পদ্ধতিগত নিপীড়নের অংশ। আগের ঘটনাগুলোর অপরাধীরা শাস্তি ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
৩ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের কর্মকর্তারা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে যেকোনো আলোচনায় তাদের ‘পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হবে।’ আর এ জন্য প্রয়োজনে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক সীমিত পরিসরে হামলাও চালাতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেনয় বছর বয়সী মাহমুদ আজ্জুর। ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখন্ড গাজার পুরোনো শহরের বাসিন্দা। একসময় বাজারে গিয়ে মায়ের জন্য সবজি কিনে আনত, খেলাধুলা করত, বন্ধুদের সঙ্গে হাসত। এখন সে হাত দুটো নেই। গত বছরের মার্চে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় মাহমুদের বাড়ি। বিস্ফোরণে মাহমুদ তার দুই হাত হারায়...
৪ ঘণ্টা আগেগাজার তরুণ ফটোসাংবাদিক ফাতেমা হাসসুনা জানতেন, মৃত্যু সব সময় তাঁর দরজায় ওত পেতে থাকে। গত ১৮ মাস ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলা, নিজের বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া, বিপুলসংখ্যক মানুষের বাস্তুচ্যুতি এবং পরিবারের ১১ জন সদস্যের মৃত্যু নিজ হাতে নথিভুক্ত করেছেন তিনি। এই ঘটনাগুলো ক্যামেরাবন্দী করতে গিয়ে...
৪ ঘণ্টা আগে