অনলাইন ডেস্ক
র্যাগেডি অ্যান নামে পরিচিত কাপড়ের তৈরি সাধারণ এক পুতুল। কিন্তু এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে এমন এক ভয়াবহ ইতিহাস, যা এটিকে হরর দুনিয়ার প্রতীক করে তুলেছে। সম্প্রতি একটি পুরোনো রিসোর্টে আগুন লাগার ঘটনার সঙ্গে এই ‘অভিশপ্ত’ পুতুলের নিখোঁজ হওয়ার গুজব মিলে যাওয়ায় আবারও আলোচনায় এসেছে ‘অ্যানাবেল’। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবশ্য নিশ্চিত করেছে, পুতুলটি সম্পূর্ণ নিরাপদেই আছে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে অবস্থিত ওয়্যারেন অকাল্ট মিউজিয়ামে। তবে এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, ‘অ্যানাবেল’ নামটি আতঙ্ক ছড়াতে এখনো যথেষ্ট।
সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, গত সপ্তাহে হঠাৎ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, ‘অ্যানাবেল’ পুতুলটি হারিয়ে গেছে। গুজব ছড়ায়, যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার ঐতিহাসিক নটওয়ে রিসোর্টে আগুন লাগার সময় নাকি পুতুলটি সেখানে দেখা গেছে। অনেকে বিশ্বাস করেন, এই অস্বাভাবিক আগুনের সঙ্গে অ্যানাবেল পুতুলের সম্পর্ক রয়েছে।
এই খবরে টিকটক ও এক্স প্ল্যাটফর্মে শুরু হয় তুমুল আলোচনা—কেউ কেউ প্রার্থনা শুরু করেন, কেউ আবার ঠাট্টায় ভূত তাড়ানোর অভিনয় করতে থাকেন। মিম আর ষড়যন্ত্রতত্ত্বে ভরে যায় ইন্টারনেট।
আসল অ্যানাবেলের গল্প
অ্যানাবেল আসলে কোনো সাধারণ খেলনা নয়। ১৯৭০ সালে নার্সিং পড়তে আসা এক ছাত্রীকে উপহার দেওয়া র্যাগেডি অ্যান পুতুলকে ঘিরেই জন্ম নেয় এই কিংবদন্তি। পুতুলটিকে ঘিরে পরে ওই ছাত্রী ও তাঁর রুমমেটদের মধ্যে নানা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিখ্যাত অতিপ্রাকৃত গবেষক অ্যাড ও লোরেইন ওয়্যারেন দম্পতি জানান, পুতুলটি নিজে থেকেই অদ্ভুত আচরণ শুরু করেছিল বলে দাবি করেন ছাত্রীরা। তাই তাঁরা ধারণা করেছিলেন, এটি ‘অভিশপ্ত’ বা এর আত্মা আছে।
শুধু তা-ই নয়, এক মনোবিজ্ঞানীও ওই ছাত্রীর কাছে দাবি করেছিলেন, অ্যানাবেল নামে একটি মৃত বাচ্চা মেয়ের আত্মা এই পুতুলে বাস করছে। তবে ওয়্যারেন দম্পতির মতে, এটি ছিল কোনো ভয়ংকর আত্মিক সত্তা।
এ কারণে তাঁরা পুতুলটি সংগ্রহ করে তাঁদের নিজস্ব অতিপ্রাকৃত জাদুঘরের কাচের বাক্সে তালাবদ্ধ করে রাখেন। সেই থেকে আজ অবধি পুতুলটি সেখানেই আছে, যদিও জাদুঘরটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
এই পুতুল পরে বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়ে ওঠে ‘দ্য কনজুরিং’ সিনেমা সিরিজে অ্যানাবেলের উপস্থিতির মাধ্যমে। যদিও সিনেমার ‘অ্যানাবেল’ দেখতে অনেক বেশি ভয়ংকর ও চীনামাটির তৈরি পুতুল। বাস্তবের র্যাগেডি অ্যান পুতুলটি অনেকটাই নিরীহ। তারপরও এর ইতিহাস এবং কাহিনি এমন এক রহস্যময়তায় মোড়া যে তা সত্য-মিথ্যার সীমা পেরিয়ে গেছে।
তাহলে পুতুলটি এখন কোথায়
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজবের জবাব দিতে ‘নিউ ইংল্যান্ড সোসাইটি ফর সাইকিক রিসার্চ’-এর ড্যান রিভেরা একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। এতে দেখা যায়, কানেকটিকাটের ওয়্যারেন অকাল্ট মিউজিয়ামে পুতুলটি সুরক্ষিত অবস্থায় কাচের বাক্সে রাখা আছে।
এই ভিডিও একজন পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আজ সকাল থেকে ইন্টারনেট জুড়ে পাগলামি চলছে—অ্যানাবেল নাকি হারিয়ে গেছে! না, সে হারায়নি। ড্যান রিভেরা প্রমাণ করেছেন, সে এখনো কানেকটিকাটেই আছে...আপাতত।’
গুজব মিথ্যা হলেও ‘অ্যানাবেল’ নামটি যেভাবে আতঙ্ক ও লোককাহিনির প্রতীক হয়ে উঠেছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। হয়তো এই পুতুল কেবল একটি খেলনা, তবে মানুষের কল্পনা ও ভয় যখন মিলে যায়, তখন তা বাস্তবতাকেও ছাড়িয়ে যায়। আর সে জন্যই ‘অ্যানাবেল’ আজও ভয়াবহতার জীবন্ত কিংবদন্তি।
র্যাগেডি অ্যান নামে পরিচিত কাপড়ের তৈরি সাধারণ এক পুতুল। কিন্তু এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে এমন এক ভয়াবহ ইতিহাস, যা এটিকে হরর দুনিয়ার প্রতীক করে তুলেছে। সম্প্রতি একটি পুরোনো রিসোর্টে আগুন লাগার ঘটনার সঙ্গে এই ‘অভিশপ্ত’ পুতুলের নিখোঁজ হওয়ার গুজব মিলে যাওয়ায় আবারও আলোচনায় এসেছে ‘অ্যানাবেল’। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবশ্য নিশ্চিত করেছে, পুতুলটি সম্পূর্ণ নিরাপদেই আছে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে অবস্থিত ওয়্যারেন অকাল্ট মিউজিয়ামে। তবে এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, ‘অ্যানাবেল’ নামটি আতঙ্ক ছড়াতে এখনো যথেষ্ট।
সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, গত সপ্তাহে হঠাৎ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, ‘অ্যানাবেল’ পুতুলটি হারিয়ে গেছে। গুজব ছড়ায়, যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার ঐতিহাসিক নটওয়ে রিসোর্টে আগুন লাগার সময় নাকি পুতুলটি সেখানে দেখা গেছে। অনেকে বিশ্বাস করেন, এই অস্বাভাবিক আগুনের সঙ্গে অ্যানাবেল পুতুলের সম্পর্ক রয়েছে।
এই খবরে টিকটক ও এক্স প্ল্যাটফর্মে শুরু হয় তুমুল আলোচনা—কেউ কেউ প্রার্থনা শুরু করেন, কেউ আবার ঠাট্টায় ভূত তাড়ানোর অভিনয় করতে থাকেন। মিম আর ষড়যন্ত্রতত্ত্বে ভরে যায় ইন্টারনেট।
আসল অ্যানাবেলের গল্প
অ্যানাবেল আসলে কোনো সাধারণ খেলনা নয়। ১৯৭০ সালে নার্সিং পড়তে আসা এক ছাত্রীকে উপহার দেওয়া র্যাগেডি অ্যান পুতুলকে ঘিরেই জন্ম নেয় এই কিংবদন্তি। পুতুলটিকে ঘিরে পরে ওই ছাত্রী ও তাঁর রুমমেটদের মধ্যে নানা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিখ্যাত অতিপ্রাকৃত গবেষক অ্যাড ও লোরেইন ওয়্যারেন দম্পতি জানান, পুতুলটি নিজে থেকেই অদ্ভুত আচরণ শুরু করেছিল বলে দাবি করেন ছাত্রীরা। তাই তাঁরা ধারণা করেছিলেন, এটি ‘অভিশপ্ত’ বা এর আত্মা আছে।
শুধু তা-ই নয়, এক মনোবিজ্ঞানীও ওই ছাত্রীর কাছে দাবি করেছিলেন, অ্যানাবেল নামে একটি মৃত বাচ্চা মেয়ের আত্মা এই পুতুলে বাস করছে। তবে ওয়্যারেন দম্পতির মতে, এটি ছিল কোনো ভয়ংকর আত্মিক সত্তা।
এ কারণে তাঁরা পুতুলটি সংগ্রহ করে তাঁদের নিজস্ব অতিপ্রাকৃত জাদুঘরের কাচের বাক্সে তালাবদ্ধ করে রাখেন। সেই থেকে আজ অবধি পুতুলটি সেখানেই আছে, যদিও জাদুঘরটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
এই পুতুল পরে বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়ে ওঠে ‘দ্য কনজুরিং’ সিনেমা সিরিজে অ্যানাবেলের উপস্থিতির মাধ্যমে। যদিও সিনেমার ‘অ্যানাবেল’ দেখতে অনেক বেশি ভয়ংকর ও চীনামাটির তৈরি পুতুল। বাস্তবের র্যাগেডি অ্যান পুতুলটি অনেকটাই নিরীহ। তারপরও এর ইতিহাস এবং কাহিনি এমন এক রহস্যময়তায় মোড়া যে তা সত্য-মিথ্যার সীমা পেরিয়ে গেছে।
তাহলে পুতুলটি এখন কোথায়
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজবের জবাব দিতে ‘নিউ ইংল্যান্ড সোসাইটি ফর সাইকিক রিসার্চ’-এর ড্যান রিভেরা একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। এতে দেখা যায়, কানেকটিকাটের ওয়্যারেন অকাল্ট মিউজিয়ামে পুতুলটি সুরক্ষিত অবস্থায় কাচের বাক্সে রাখা আছে।
এই ভিডিও একজন পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আজ সকাল থেকে ইন্টারনেট জুড়ে পাগলামি চলছে—অ্যানাবেল নাকি হারিয়ে গেছে! না, সে হারায়নি। ড্যান রিভেরা প্রমাণ করেছেন, সে এখনো কানেকটিকাটেই আছে...আপাতত।’
গুজব মিথ্যা হলেও ‘অ্যানাবেল’ নামটি যেভাবে আতঙ্ক ও লোককাহিনির প্রতীক হয়ে উঠেছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। হয়তো এই পুতুল কেবল একটি খেলনা, তবে মানুষের কল্পনা ও ভয় যখন মিলে যায়, তখন তা বাস্তবতাকেও ছাড়িয়ে যায়। আর সে জন্যই ‘অ্যানাবেল’ আজও ভয়াবহতার জীবন্ত কিংবদন্তি।
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, গাজায় প্রবেশের পর তাদের ২৫টি ত্রাণের গাড়ি ঘিরে ফেলে ‘ক্ষুধার্ত গাজাবাসী’। এরপরেই সেখানে গুলি ছোড়া হয়। ডব্লিউএফপির বিবৃতিতে বলা হয়, সহায়তা চাওয়া বেসামরিকদের ওপর হামলা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
৮ ঘণ্টা আগেনেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৭৫ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী গত রাতে অসুস্থতা বোধ করেন। পরীক্ষায় দেখা গেছে, তিনি অন্ত্রের প্রদাহ এবং পানিশূন্যতায় ভুগছেন। এর জন্য তাঁকে শিরায় ফ্লুইড দেওয়া হচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগেপানির গাড়ি আসার শব্দ শুনলে প্রতিদিন ৪২ বছর বয়সী রাহিলা বালতি আর কনটেইনার নিয়ে ছুটে যান রাস্তায়। কারণ, দেরি করলে কিছুই জুটবে না। তিনি বলেন, ‘পানি পাওয়ার কোনো জায়গা নেই। এটা এখন আমাদের জীবন-মরণের প্রশ্ন।’
৮ ঘণ্টা আগেভারতের শীর্ষস্থানীয় ক্রিপটোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ কয়েন-ডিসিএক্স একটি বড়সড় সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থ ৫৩৩ কোটি টাকার বেশি।
৯ ঘণ্টা আগে