ঢাকা: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চার বছরের শাসনামলে আটলান্টিকের দুপারের সম্পর্কে চির না ধরলেও একটা অস্বস্তির সূচনা হয়েছিল। সেই অস্বস্তি দূর করে এই সম্পর্ককে আরও উন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে জি–৭ সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য সফরে গেছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর এটি তাঁর প্রথম বিদেশ সফরও।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় আজ বুধবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে বসেছেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম এই বিদেশ সফর বাইডেনের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। জি–সেভেনভুক্ত পুরোনো মিত্র দেশগুলো তো বটেই রাশিয়ার সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কেমন হবে, এই সম্মেলনই তা বলে দেবে। অবশ্য এই সম্মেলনের পরপরই ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জেনেভায় বৈঠকে বসছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
বিশ্বের ধনী দেশগুলোর জোট জি–সেভেনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ছাড়াও রয়েছে কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি ও জাপান। আগে এই জোট গ্রুপ অব এইট নামে পরিচিত ছিল। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া ইস্যুতে রাশিয়াকে জোট থেকে বাদ দেওয়া হয়।
জি–সেভেন জোটের অঘোষিত নেতা যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, কানাডাসহ বিভিন্ন পরীক্ষিত মিত্র দেশ থেকে পণ্য আমদানিতে শুল্কারোপ করা হয়, যা দীর্ঘদিনের সম্পর্কে চির ধরায়। আগের প্রশাসনের তৈরি করা এই প্রেক্ষাপটের কারণেই এবারের জি–সেভেন সম্মেলনে জো বাইডেন কেমন পদক্ষেপ নেন, সেদিকে তাকিয়ে আছেন বিশ্বনেতারা।
এ ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পন্থার ওপরই আস্থা বাইডেনের। ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা নিজের নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, ‘গত শতকে আকার পাওয়া গণতান্ত্রিক জোট ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আজকের দিনের যে ঝুঁকি ও বিপদ মোকাবিলার সামর্থ্য আছে কি? আমার বিশ্বাস আছে। আর এই সপ্তাহে ইউরোপে এটি প্রমাণের সুযোগ আমাদের সমানে আসছে।’
এই একই লক্ষ্যের কথা বলেছেন যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে উড়োজাহাজে চড়ার আগেও। এই সম্মেলনে তিনি জোটকে ‘শক্তিশালী’ করা এবং রাশিয়া ও চীনকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ঐক্য সম্পর্কে জানান দেওয়াকেই লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জো বাইডেন আগামী ১৬ জুন বৈঠকে বসছেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে র্যানসমওয়্যার হামলা, ইউক্রেন ইস্যুসহ নানা ইস্যুতে রুশ প্রেসিডেন্টের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য সরাসরি তুলে ধরবেন বাইডেন।
এই ইউরোপ সফরে জো বাইডেন প্রথমে অংশ নেবেন জি–সেভেন সম্মেলনে। এতে গণতন্ত্র, টিকা কূটনীতি, বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের মতো বিষয়গুলো বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে। সারা বিশ্বে চীনর বেড়ে চলা প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যেই শেষ পদক্ষেপটি নেওয়া হচ্ছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এই আলোচনায় সারা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও টিকা সরবরাহের ব্যাপারে বাইডেনের ওপর অন্য নেতারা চাপ সৃষ্টি করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জি–সেভেন সম্মেলনের ফাঁকেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে কর্নওয়ালেই বৈঠকে বসবেন বাইডেন। তিন দিনের সম্মেলনের পর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের আতিথ্য গ্রহণ করবেন জো ও জিল বাইডেন। তারপর তাঁরা যাবেন ব্রাসেলসে। সেখানে ন্যাটো নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বাইডেন। এ বৈঠকের আলোচ্যসূচি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা না গেলেও এতে চীন ও রাশিয়া ইস্যু বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তারপর ১৬ জুন ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বাইডেনের অনুষ্ঠেয় বৈঠকের কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চার বছরের শাসনামলে আটলান্টিকের দুপারের সম্পর্কে চির না ধরলেও একটা অস্বস্তির সূচনা হয়েছিল। সেই অস্বস্তি দূর করে এই সম্পর্ককে আরও উন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে জি–৭ সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য সফরে গেছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর এটি তাঁর প্রথম বিদেশ সফরও।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় আজ বুধবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে বসেছেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম এই বিদেশ সফর বাইডেনের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। জি–সেভেনভুক্ত পুরোনো মিত্র দেশগুলো তো বটেই রাশিয়ার সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কেমন হবে, এই সম্মেলনই তা বলে দেবে। অবশ্য এই সম্মেলনের পরপরই ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জেনেভায় বৈঠকে বসছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
বিশ্বের ধনী দেশগুলোর জোট জি–সেভেনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ছাড়াও রয়েছে কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি ও জাপান। আগে এই জোট গ্রুপ অব এইট নামে পরিচিত ছিল। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া ইস্যুতে রাশিয়াকে জোট থেকে বাদ দেওয়া হয়।
জি–সেভেন জোটের অঘোষিত নেতা যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, কানাডাসহ বিভিন্ন পরীক্ষিত মিত্র দেশ থেকে পণ্য আমদানিতে শুল্কারোপ করা হয়, যা দীর্ঘদিনের সম্পর্কে চির ধরায়। আগের প্রশাসনের তৈরি করা এই প্রেক্ষাপটের কারণেই এবারের জি–সেভেন সম্মেলনে জো বাইডেন কেমন পদক্ষেপ নেন, সেদিকে তাকিয়ে আছেন বিশ্বনেতারা।
এ ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পন্থার ওপরই আস্থা বাইডেনের। ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা নিজের নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, ‘গত শতকে আকার পাওয়া গণতান্ত্রিক জোট ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আজকের দিনের যে ঝুঁকি ও বিপদ মোকাবিলার সামর্থ্য আছে কি? আমার বিশ্বাস আছে। আর এই সপ্তাহে ইউরোপে এটি প্রমাণের সুযোগ আমাদের সমানে আসছে।’
এই একই লক্ষ্যের কথা বলেছেন যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে উড়োজাহাজে চড়ার আগেও। এই সম্মেলনে তিনি জোটকে ‘শক্তিশালী’ করা এবং রাশিয়া ও চীনকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ঐক্য সম্পর্কে জানান দেওয়াকেই লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জো বাইডেন আগামী ১৬ জুন বৈঠকে বসছেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে র্যানসমওয়্যার হামলা, ইউক্রেন ইস্যুসহ নানা ইস্যুতে রুশ প্রেসিডেন্টের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য সরাসরি তুলে ধরবেন বাইডেন।
এই ইউরোপ সফরে জো বাইডেন প্রথমে অংশ নেবেন জি–সেভেন সম্মেলনে। এতে গণতন্ত্র, টিকা কূটনীতি, বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের মতো বিষয়গুলো বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে। সারা বিশ্বে চীনর বেড়ে চলা প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যেই শেষ পদক্ষেপটি নেওয়া হচ্ছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এই আলোচনায় সারা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও টিকা সরবরাহের ব্যাপারে বাইডেনের ওপর অন্য নেতারা চাপ সৃষ্টি করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জি–সেভেন সম্মেলনের ফাঁকেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে কর্নওয়ালেই বৈঠকে বসবেন বাইডেন। তিন দিনের সম্মেলনের পর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের আতিথ্য গ্রহণ করবেন জো ও জিল বাইডেন। তারপর তাঁরা যাবেন ব্রাসেলসে। সেখানে ন্যাটো নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বাইডেন। এ বৈঠকের আলোচ্যসূচি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা না গেলেও এতে চীন ও রাশিয়া ইস্যু বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তারপর ১৬ জুন ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বাইডেনের অনুষ্ঠেয় বৈঠকের কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে।
ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কেবল প্রচারের উদ্দেশ্যে’ এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম জারি করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২৩ এপ্রিল (২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মক্কায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই সরকারিভাবে ইস্যু করা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে...
৫ ঘণ্টা আগেগতকাল শনিবার, চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালারি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশেষ এই ‘ইস্টার ট্রুস’ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
৮ ঘণ্টা আগেঅস্ত্রসমর্পণ করছে না ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাশেম। ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও জানান তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে