Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় যে পদ্ধতিতে

আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৫: ৪০
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময়কার ইলেক্টোরাল ম্যাপ। ছবি: এএফপি
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময়কার ইলেক্টোরাল ম্যাপ। ছবি: এএফপি

আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরাসরি ভোটগ্রহণ হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এই নির্বাচন সবচেয়ে বেশি ভোটপাওয়া প্রার্থীকে জয়ের নিশ্চয়তা দেয় না। কারণ, সরাসরি ভোটারদের দ্বারা নয়, ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ নামে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।

মার্কিন নাগরিকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট হয় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস না হয় রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পাবেন। কিন্তু কে জয়ী হবেন, সেটা এই ভোটে নির্ধারিত হবে না। একেকটি অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনি লড়াইয়ের মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের একটিতে জয়ী হওয়ার অর্থ একজন প্রার্থী সেই অঙ্গরাজ্যের সবকটি ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ভোট পেয়ে যাবেন। সব রাজ্য মিলে মোট ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ৫৩৮।

মাইন ও নেব্রাসকা অঙ্গরাজ্য বাদে বাকি সবগুলো রাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোট যোগ দিলে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। সেই প্রার্থীর রানিং মেট হবেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট।

যেভাবে কাজ করে ইলেক্টোরাল কলেজ?

প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের বেশ কয়েকটি করে ইলেক্টোরাল ভোট থাকে, যা ওই অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যার মোটামুটিভাবে সমানুপাতিক হয়।

ক্যালিফোর্নিয়ায় সর্বাধিক ৫৪টি ইলেক্টোরাল ভোট আছে। ভায়োমিং, আলাস্কা, নর্থ ডাকোটা ও ওয়াশিংটন ডিসির মতো যেসব অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যা খুবই কম, সেগুলোতে অন্তত তিনটি ইলেক্টোরাল ভোট আছে।

সাধারণত অঙ্গরাজ্যগুলির ইলেক্টোরাল ভোট সেই প্রার্থীই পান, যিনি ওই অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের সরাসরি ভোটে জয়ী হয়েছেন।

ধরা যাক, টেক্সাসে একজন প্রার্থী ভোটারদের সরাসরি ভোটের ৫০.১% পেয়েছেন, তাহলে ওই অঙ্গরাজ্যের ৪০টি ইলেক্টোরাল ভোটের সবগুলিই সেই প্রার্থী পেয়ে যাবেন। একটি অঙ্গরাজ্যে জয়ের ব্যবধান যদি বিরাট হয়ও, তাহলেও জয়ী প্রার্থী অতগুলি ইলেক্টোরাল ভোটই পাবেন।

সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েও কি কেউ হেরে যায়

কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী দেশজুড়ে মোট হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েও হেরে যেতে পারেন। একজন প্রার্থী সারা দেশে হয়ত কম ভোট পেয়েছেন, কিন্তু বেশ কতগুলি কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে প্রায় ৩০ লাখ কম ভোট পেয়েও হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করেছিলেন। আর ২০০০ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশ আল গোরকে পরাজিত করেছিলেন, যদিও পপুলার ভোট বা সরাসরি জনগণের ভোটে তার জয়ের ব্যবধান ছিল পাঁচ লাখেরও বেশি।

রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিস। ছবি: এএফপি
রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিস। ছবি: এএফপি

ওই দুজনের আগে আর মাত্র তিনজন সাধারণ ভোটে না জিতেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তবে সেগুলি উনবিংশ শতাব্দীর ঘটনা।

একেক রাজ্যের হাতে একেক সংখ্যক ভোট থাকার কারণে প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যাপারে এমনভাবে ছক তৈরি করেন যেখানে তারা বেশি ভোট আছে এমন রাজ্যগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।

‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ কী?

‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ হচ্ছে কর্মকর্তাদের একটি প্যানেল, যাদের ‘ইলেক্টরস্’ বা নির্বাচকমণ্ডলী বলা হয়। প্রতি চার বছর পর পর এটি গঠন করা হয় এবং এরাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাছাই করেন।

কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্বের অনুপাতে প্রতিটি রাজ্যের নির্বাচকমণ্ডলীর সংখ্যা নির্ধারিত হয়। প্রত্যেক রাজ্যে দুজন সিনেটর এবং জনসংখ্যার অনুপাতে নির্ধারিত প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য সংখ্যার যোগফল মিলে রাজ্যের নির্বাচকমণ্ডলীর সংখ্যা নির্ধারিত হয়।

যেসব রাজ্যে জনসংখ্যা বেশি, সেসব রাজ্যে ইলেক্টোরাল ভোটও বেশি। এই প্রথা শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্যই ব্যবহৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অন্য সব নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় সরাসরি মানুষের ভোটেই।

সাধারণত ভোটাররা যাকে পছন্দ করেছেন, তাদেরকেই ভোট দেন নির্বাচকমণ্ডলী। তবে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আইনগত স্বাধীনতা আছে নির্বাচকদের।

অঙ্গরাজ্য থেকে যাকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেছে নেওয়া হয়, তার বিরুদ্ধে কোনও নির্বাচক ভোট দিলে তাকে ‘ফেইথলেস’ বা অবিশ্বাসী বলা হয়। কোনো কোনো রাজ্যে ‘ফেইথলেস’ নির্বাচকদের জরিমানা করা বা মামলা দেওয়া হয়।

২০১৬ সালের নির্বাচনে এরক ‘ফেইথলেস’ সাতটি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পড়েছিল, তবে নির্বাচনের ফলাফলে তার প্রভাব পড়েনি।

রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারণা। ছবি: এএফপি
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারণা। ছবি: এএফপি

ইলেক্টোরাল ভোট সমান হলে কী হবে?

কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নিম্ন-কক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে। এমন ঘটনা কবারই ঘটেছে, ১৮২৪ সালে। তখন ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট চার প্রার্থীর মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ায় কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি।

তবে এখন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির যে আধিপত্য রয়েছে, তাতে তেমন ঘটার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতির শুরু

বিশালাকার যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবের কারণে জাতীয় স্তরে সাধারণ মানুষের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কার্যত অসম্ভব ছিল। সেই কারণে ১৭৮৭ সালে সংবিধান রচয়িতারা ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন।

তাঁরা কংগ্রেস ও জনগণের সরাসরি ভোটে (পপুলার ভোট) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ধারণাই বাতিল করে দেন। তাদের যুক্তি, ছিল পপুলার ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে লোকেরা তাদের স্থানীয় প্রার্থীকে ভোট দেবে এবং তার ফলে বড় রাজ্যগুলো আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করবে।

তখন ছোট ছোট রাজ্যগুলো ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতিকে সমর্থন করে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো এই পদ্ধতির পক্ষ নেয়। কারণ সেসময় এসব রাজ্যে দাসের সংখ্যা ছিল অনেক। দাসদের ভোটাধিকার না থাকার পরেও আদম শুমারিতে তাদের গণনা করা হতো।

সংবিধান রচয়িতারা চাননি যে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বসে শুধু আইন প্রণেতারা দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করুক।

ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিসের পক্ষে প্রচারণা। ছবি: এএফপি
ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিসের পক্ষে প্রচারণা। ছবি: এএফপি

‘সুইং স্টেট’ কী, নির্বাচনে এগুলির প্রভাব কী?

বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যই প্রতিটা নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে একই দলকে ভোট দিয়ে আসে। রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত এই রাজ্যগুলো ‘রেড স্টেট’ এবং ডেমোক্র্যাটপ্রধান রাজ্যগুলো ‘ব্লু স্টেট’ হিসেবে পরিচিত। এসব রাজ্য নিয়ে প্রার্থীদের চিন্তা করতে হয় না।

কিন্তু হাতেগোণা কিছু অঙ্গরাজ্য আছে, যে রাজ্যগুলোর ভোট যে কোনো শিবিরে যেতে পারে। এসব রাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। এজন্য এসব রাজ্যকে ‘সুইং স্টেট’ বা ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ বলা হয়।

এগুলোই হল আমেরিকার নির্বাচনী রণক্ষেত্র। এগুলো ‘পার্পল স্টেট’ হিসেবে চিহ্নিত। এসব রাজ্যে ভোট কোন পার্টির পক্ষে যাবে, তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যায় না। তাই প্রার্থীদের কাছে এসব অঙ্গরাজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এ রাজ্যগুলোর ভোটই শেষ পর্যন্ত জয়-পরাজয়ের চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়ায়।

২০১৬ সালে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ হয়ে উঠেছিল অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, পেনসিলভেনিয়া এবং উইসকনসিন অঙ্গরাজ্য।

যেসব রাজ্যের ভোট বেশি, প্রার্থীরা সেসব রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণার পেছনে অনেক বেশি সময় ও অর্থ ব্যয় করে থাকেন।

ইলেক্টোরাল কলেজের সুবিধা-অসুবিধা

সুবিধা:

  • ছোট অঙ্গরাজ্যগুলি প্রার্থীদের কাছে গুরুত্ব পায়। • প্রার্থীদের গোটা দেশ ঘোরার দরকার হয় না, গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলির প্রতি নজর দিলেই চলে। • কর্মকর্তারা একটি অঙ্গরাজ্যের সমস্যা সহজে চিহ্নিত করতে পারেন, ফলে পুনর্গণনা সহজ হয়।

অসুবিধা:

  • সাধারণ মানুষের ভোটে জয়ী প্রার্থীও নির্বাচনে হেরে জেতে পারেন। • ভোটারদের একাংশের মনে হয়, তাঁদের ব্যক্তিগত ভোটের কোনো মূল্য নেই। • কথিত ‘সুইং স্টেট’গুলির হাতে অত্যধিক ক্ষমতা
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেটি পেরি ও ট্রুডোর প্রেম আর গোপন নয়, হাত ধরাধরি করে এলেন প্রকাশ্যে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৩৩
থিয়েটার থেকে বের হওয়ার মুহূর্তে জাস্টিন ট্রুডো ও কেটি পেরি। ছবি: টিএমজেড
থিয়েটার থেকে বের হওয়ার মুহূর্তে জাস্টিন ট্রুডো ও কেটি পেরি। ছবি: টিএমজেড

প্যারিসের আলো ঝলমলে এক রাতে অবশেষে নিজেদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনলেন মার্কিন পপ তারকা কেটি পেরি ও কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মার্কিন ট্যাবলয়েড টিএমজেড জানিয়েছে, গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে কেটির ৪১তম জন্মদিন উপলক্ষে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেছে প্যারিসের বিখ্যাত ক্যাবারে থিয়েটার ‘ক্রেজি হর্স প্যারিস’-এ। এটাই ছিল তাঁদের প্রথম আনুষ্ঠানিক ডেট।

আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) টিএমজেডের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে শো শেষে দুজনকে হাত ধরাধরি করে থিয়েটার থেকে বের হতে দেখা যায়। বাইরে অপেক্ষমাণ ভক্তদের মধ্যে একজন কেটিকে একটি গোলাপ উপহার দেন এবং জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। মুহূর্তেই চারপাশে ফ্ল্যাশের ঝলকানি আর সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে তাঁদের উজ্জ্বল মুখ। এরপর তাঁরা একটি গাড়িতে উঠে স্থান ত্যাগ করেন।

এই রোমান্সের গুঞ্জন অবশ্য নতুন নয়। গত জুলাইয়ে কানাডার মন্ট্রিয়েলে একসঙ্গে রাতের খাবার খাওয়ার সময় তাঁদের প্রথম দেখা যায়। এরপর মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাঁটাহাঁটির ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। গত আগস্টে কেটির ‘লাইফটাইমস’ ট্যুরের মন্ট্রিয়েল কনসার্টেও উপস্থিত ছিলেন ট্রুডো।

সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে কেটির ব্যক্তিগত ইয়টে দুজনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায়। সেই ছবি প্রকাশের পর থেকে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে জোর আলোচনা চলছিল। টিএমজেডের সর্বশেষ ভিডিও প্রকাশের পর আর কোনো সন্দেহের অবকাশ রইল না। কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডো এখন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেমে আবদ্ধ।

কেটি পেরি ‘ফায়ারওয়ার্কস’ ও ‘রোয়ার’-এর মতো হিট গানের জন্য বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। সম্প্রতি তিনি নতুন অ্যালবামের কাজ শেষ করেছেন। অন্যদিকে ট্রুডো, যিনি ২০২৩ সালে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়েন। রাজনৈতিক জীবনের ব্যস্ততা থেকে অবসর নিয়ে এখন তিনি ব্যক্তিগত জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ল্যুভরে রত্ন চুরির ঘটনায় ২ সন্দেহভাজন আটক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৫১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘর থেকে হাজার কোটি টাকার রত্ন চুরির ঘটনায় অন্তত দুজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে ফরাসি পুলিশ। এ বিষয়ে প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তি দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

গত সপ্তাহে জাদুঘরের অ্যাপোলো গ্যালারিতে দিনের আলোয় ঘটে এই দুঃসাহসী চুরির ঘটনা। কয়েক মিনিটের মধ্যে চুরির কাজটি সম্পন্ন করে পালিয়ে যায় চোরেরা। তারা জাদুঘর থেকে ফরাসি রাজতন্ত্রের স্মারক হিসেবে থাকা এমন কিছু গয়না ও রত্ন নিয়ে যায়, যার মূল্য ১০ কোটি ডলারের বেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা হাজার কোটি ছাড়িয়ে যায়। ল্যুভরের পরিচালক লরেন্স দে কার এ ঘটনাকে ‘ভয়াবহ ব্যর্থতা’ বলে উল্লেখ করেছেন।

ফরাসি গণমাধ্যমের বরাতে আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পুলিশের হাতে দুই সন্দেহভাজন ধরা পড়েন। দুজনই ত্রিশের কোঠায় এবং পুলিশ তাঁদের আগেও চিনত। আরও অন্তত দুজন সন্দেহভাজন এখনো পলাতক রয়েছেন।

প্রসিকিউটর লর বেকুয়ো জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন প্যারিসের রোয়াসি বিমানবন্দর (চার্লস দ্য গল) থেকে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বা চুরি হওয়া রত্ন উদ্ধার হয়েছে কি না—সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।

এদিকে সন্দেহভাজন গ্রেপ্তারের ঘটনায় ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লরঁ ন্যুনেজ তদন্তকারীদের প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন, ‘তাঁরা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, যেমনটা আমি তাঁদের অনুরোধ করেছিলাম। আমি সব সময় তাঁদের ওপর আস্থা রেখেছি।’

ল্যুভরের অ্যাপোলো গ্যালারিটি ফরাসি রাজমুকুটের রত্নভান্ডার হিসেবে পরিচিত। চোরেরা একটি চেরি পিকার বা ট্রাকের ওপর বসানো মই ব্যবহার করে জানালা ভেঙে জাদুঘরের ওপরের তলায় প্রবেশ করেছিল। পরে মাত্র সাত মিনিটে তারা দুটি উচ্চ নিরাপত্তা কাচের কেস ভেঙে ৯টি অলংকার নিয়ে যায়।

ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানায়, চুরি হওয়া অলংকারের মধ্যে ছিল হিরা ও নীলা পাথরে তৈরি এক জোড়া টায়রা ও নেকলেস—যা একসময় রানি মেরি-অ্যামেলি ও রানি হর্তেন্স পরিধান করেছিলেন।

ঘটনার তদন্তে প্রায় ১০০ জন তদন্তকারী কাজ করছেন। ঘটনার পর এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলও অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

ফ্রান্সের বিচারমন্ত্রী জেরাল্ড দারমান স্বীকার করেছেন, ‘এ ঘটনার মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত জাদুঘরের নিরাপত্তাব্যবস্থার দুর্বলতা স্পষ্ট হয়েছে। জানালা সুরক্ষিত না থাকা এবং প্রকাশ্য রাস্তায় মই থাকা—এসবই আমাদের ব্যর্থতার প্রমাণ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শান্তির জন্য তুরস্ক থেকে সব যোদ্ধা সরিয়ে নিচ্ছে পিকেকে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গত মে মাসে অল্প কিছু পিকেকে সদস্য অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। ছবি: দ্য ন্যাশনাল
গত মে মাসে অল্প কিছু পিকেকে সদস্য অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। ছবি: দ্য ন্যাশনাল

কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ঘোষণা করেছে, তারা তুরস্কে অবস্থানরত সব বাহিনী প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এবং এসব বাহিনীকে ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে স্থানান্তর করা হচ্ছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) এক ঘোষণায় সংগঠনটি জানায়, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য আঙ্কারার সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করা।

আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল জানিয়েছে, পিকেকের কারাবন্দী নেতা আবদুল্লাহ ওজালানের গত মে মাসের আহ্বানের পর ধারাবাহিকতায় এই সিদ্ধান্তটি এসেছে। ওজালান পিকেকে-কে নিরস্ত্রীকরণ ও বিলুপ্তির পথে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

এ অবস্থায় গত জুলাইয়ে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে একটি প্রতীকী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অল্প কিছু পিকেকে যোদ্ধা অস্ত্র জমা দিয়ে তুর্কি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চার দশকের সশস্ত্র সংগ্রামের অবসান ঘোষণা করে। এই সংগঠনটি তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত।

রোববার (২৬ অক্টোবর) পিকেকের ফিরাত নিউজ এজেন্সি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তুরস্কে অবস্থানরত সব যোদ্ধাকে মেদিয়া প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই অঞ্চলটি মূলত উত্তর ইরাকের পাহাড়ি এলাকা। বিশেষ করে কান্দিল পর্বতমালা ও এর আশপাশের অঞ্চল, যেখানে পিকেকের ঘাঁটি ও প্রধান কার্যালয় অবস্থিত।

কান্দিল পর্বতের পাদদেশে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ২৫ জন যোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন, যারা তুরস্ক থেকে সেখানে পৌঁছান। তাঁরা বলেন, ‘আমরা আমাদের সব বাহিনী প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করছি।’

সংগঠনটি তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, শান্তি প্রক্রিয়া রক্ষার জন্য যেন দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ দ্রুত গ্রহণ করা হয় এবং সাবেক যোদ্ধাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা হয়।

সিনিয়র পিকেকে নেতা সাবরি ওক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই প্রক্রিয়াকে টেকসই করতে উল্লেখযোগ্য আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন। আমরা এমন আইন চাই যা এই প্রক্রিয়ার উপযোগী। আমরা আশা করি, কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব পালন করবে।’

এই বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়েব এরদোয়ানের দল একে পার্টির মুখপাত্র ওমর শেলিক একটি এক্স বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পিকেকের প্রত্যাহার তুরস্কে সন্ত্রাসমুক্ত অগ্রগতির বাস্তব প্রতিফলন।’ তিনি আরও জানান, সংসদে গঠিত ৫১ সদস্যের কমিশন এই প্রক্রিয়ার আইনি ও রাজনৈতিক কাঠামো তৈরির কাজ করছে।

তুরস্ক থেকে সরে আসা পিকেকে-এর এই সদস্যরা উত্তর ইরাকের কান্দিল পর্বতমালার পাদদেশে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ছবি: দ্য ন্যাশনাল
তুরস্ক থেকে সরে আসা পিকেকে-এর এই সদস্যরা উত্তর ইরাকের কান্দিল পর্বতমালার পাদদেশে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ছবি: দ্য ন্যাশনাল

১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে ওজালানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত পিকেকে ১৯৮৪ সালে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান শুরু করে। এই সংঘাতে গত চার দশকে ৪০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে ওজালানের আহ্বানে পিকেকে জানায়, তারা অস্ত্র নয় বরং গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মাধ্যমে কুর্দি জনগণের অধিকার রক্ষার পথে এগিয়ে যাবে।

তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ডিইএম এই শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তুর্কি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দলের একটি প্রতিনিধিদল শিগগিরই প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে এবং পরে ওজালানের সঙ্গে দেখা করতে ইমরালি দ্বীপের কারাগারে যাবে।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর ইরাকে ঘাঁটি গেড়েছে পিকেকে। এই অঞ্চলটিতে তাই তুরস্ক নিয়মিত সামরিক অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তবে সময়ের ব্যবধানে সংগঠনটির লক্ষ্যও পরিবর্তিত হয়েছে। স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন থেকে সরে এসে তারা এখন কুর্দিদের জন্য অধিক অধিকার ও সীমিত স্বায়ত্তশাসনের দাবি তুলছে।

তুরস্ক বলেছে, দেশটি কুর্দিদের সাংস্কৃতিক ও নাগরিক অধিকার রক্ষা করে, তবে কোনোভাবেই বিচ্ছিন্নতাবাদ মেনে নেবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পারমাণবিক শক্তিচালিত অপ্রতিরোধ্য ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল রাশিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ৫৩
রাশিয়ার দাবি, ক্ষেপণাস্ত্রটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
রাশিয়ার দাবি, ক্ষেপণাস্ত্রটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত এক মহড়ায় এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। এর মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে রাশিয়া। আর তা হলো, ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চাপ সত্ত্বেও রাশিয়া কোনোভাবেই নতি স্বীকার করবে না। বিশেষত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, ঠিক সে সময় মস্কোর এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

রাশিয়ার সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ পুতিনকে জানান, গত মঙ্গলবার পরীক্ষার সময় ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার (৮ হাজার ৭০০ মাইল) উড়ে প্রায় ১৫ ঘণ্টা আকাশে ছিল। তিনি বলেন, এটি পারমাণবিক শক্তি দ্বারা চালিত এবং এর উড্ডয়নের দূরত্ব কার্যত সীমাহীন।

রাশিয়ার বর্ণনা অনুযায়ী, ৯ এম-৭৩০ বুরেভেস্তনিক (ন্যাটো নাম এসএসসি-এক্স-৯ স্কাইফল) হলো এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র, যাকে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের কোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থাই আটকাতে পারবে না।

আজ রোববার সামরিক পোশাক পরিহিত অবস্থায় ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনাকারী সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন পুতিন। এ সময় পুতিন বলেন, এটি এক অনন্য অস্ত্র, যা আর কোনো দেশের কাছে নেই।

পুতিন ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা দেন। তিনি একে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রতিরোধ হিসেবে বর্ণনা করেন। কারণ, ওয়াশিংটন ২০০১ সালে একতরফাভাবে ১৯৭২ সালের অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় এবং পরে ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণ শুরু করে।

পুতিন বলেন, রুশ বিশেষজ্ঞরা একসময় বলেছিলেন, এই অস্ত্র তৈরি সম্ভব নয়। কিন্তু এখন এটার পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তিনি গেরাসিমভকে দ্রুত অস্ত্রটির শ্রেণিবিন্যাস ও মোতায়েনের অবকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।

পুতিনের এ ঘোষণার সময় ও প্রেক্ষাপটও তাৎপর্যপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনাকারী জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠকে সামরিক পোশাক পরে এ ঘোষণা দিয়ে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি সরাসরি বার্তা দিয়েছেন—বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্দেশে। তবে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সম্প্রতি ট্রাম্প রাশিয়াকে ‘কাগুজে বাঘ’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, মস্কো ইউক্রেনকে হারাতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু পুতিনের আজকের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রকে মনে করিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া এখনো বৈশ্বিক পারমাণবিক শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বী। একই সঙ্গে আরও ইঙ্গিত দিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে নতুন করে আলোচনায় বসা উচিত।

রুশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ গেরাসিমভ জানান, বুরেভেস্তনিকের এ পরীক্ষা বিশেষ ছিল। কারণ, এটি পারমাণবিক শক্তির মাধ্যমেই এত দীর্ঘ সময় আকাশে ছিল। তিনি দাবি করেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র যেকোনো অ্যান্টি মিসাইল প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে পরাস্ত করতে সক্ষম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত