Ajker Patrika

মাঝ আকাশে দরজা উড়ে যাওয়ার পর বোয়িংয়ের ১৭১টি উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড

আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬: ৩১
মাঝ আকাশে দরজা উড়ে যাওয়ার পর বোয়িংয়ের ১৭১টি উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড

মাঝ আকাশে দরজা উড়ে যাওয়ার ঘটনার পর বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ মডেলের ১৭১টি উড়োজাহাজের উড্ডয়ন গ্রাউন্ডেড করার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্য ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরটি দিয়েছে।

বোয়িং বলেছে, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত এবং আরও বেশি তথ্য সংগ্রহের জন্য কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আলাস্কা এয়ারলাইনস বলেছে, পরিদর্শন ও পরীক্ষা করে এখনো উদ্বেগজনক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। যুক্তরাজ্য সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে বলেছে, তারা এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

গত শুক্রবার আলাস্কা এয়ারলাইনসের একটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ মডেলের উড়োজাহাজ ১৭১ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু নিয়ে ওরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ড থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার অন্টারিওর উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। কয়েক মিনিট পর মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় বিমানটির কেবিনের একটি দরজা বিচ্ছিন্ন হয়ে উড়ে যায়। তারপর পোর্টল্যান্ডে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয় এই উড়োজাহাজ।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে উড়ে যাওয়া দরজার স্থানে ফাঁকা জায়গা দেখা গেছে। বিমানের ভেতর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল কিছু জিনিসপত্র। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ত্রুটির কোনো কারণও শনাক্ত করা যায়নি।

ইভান স্মিথ নামের এক যাত্রী বলেছেন, ‘বিমানটির বাঁ পাশের পেছনে আঘাত করার মতো প্রচণ্ড শব্দ হয়, তারপর বাতাসের শোঁ শোঁ আওয়াজ। সঙ্গে সঙ্গে সব মাস্ক নেমে আসে।’

মাত্র আট সপ্তাহ আগে ওই উড়োজাহাজটি আলাস্কা এয়ারলাইনসের বহরে যুক্ত হয়। গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে আলাস্কা এয়ারলাইনস বলেছে, এফএএ সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত উড়োজাহাজগুলো গ্রাউন্ডেড অর্থাৎ, এগুলোর উড্ডয়ন স্থগিত থাকবে।

এ ঘটনার পর ২০০ ফ্লাইট বাতিল করেছে আলাস্কা এয়ারলাইনস। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্য ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) নির্দেশের পর গতকাল ১৭০ এবং আজ সোমবার ৬০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

আলাস্কা এয়ারলাইনস বলেছে, চলতি সপ্তাহের প্রথমার্ধজুড়ে বাতিল করা হয়েছে এসব ফ্লাইট। গতকাল বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলোতে ছিল প্রায় ২৫ হাজার যাত্রী। গত শনিবার বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ মডেলের ১৭১টি উড়োজাহাজের ফ্লাইট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে এফএএ।

প্রায় পাঁচ বছর আগে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সের দুটি উড়োজাহাজ মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে দুর্ঘটনায় পড়ে প্রায় ৩৫০ মানুষ নিহত হয়। তখন বিশ্বজুড়ে বোয়িং ৭৩৭-এর উড়োজাহাজগুলোর উড্ডয়ন স্থগিত ছিল ১৮ মাস। এই নিরাপত্তা সমস্যাগুলোর কারণে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সকে পরিবহন ইতিহাসের ‘সবচেয়ে যাচাই-বাছাই করা উড়োজাহাজ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ক্রিপ্টো ব্যবসায়ী ঝাওকে ক্ষমা করেও ট্রাম্প বললেন, ‘আমি চিনি না, উনি কে’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৩
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চ্যাংপেং ঝাও। ছবি: সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চ্যাংপেং ঝাও। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।

এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, চ্যাংপেং ঝাও ২০২৩ সালে অর্থপাচারে সহযোগিতা করার অভিযোগে দোষ স্বীকার করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি চার মাস কারাভোগও করেন এবং নিজ প্রতিষ্ঠিত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ ‘বাইন্যান্স’ এর প্রধান নির্বাহী পদ থেকেও সরে দাঁড়ান।

সাম্প্রতিক সময়ে ঝাওয়ের কোম্পানিগুলো ট্রাম্প–সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে নতুন ডিজিটাল মুদ্রা প্রকল্পে কাজ করছে। এর মধ্যে ডোমিনারি হোল্ডিংস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব অ্যাডভাইজার্সে ট্রাম্পের দুই ছেলে রয়েছেন, যা ট্রাম্প টাওয়ারেই অবস্থিত।

সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক নোরা ও’ডনেল জানতে চান—সরকার যখন ঝাওয়ের কর্মকাণ্ডকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর বলেছে, তখন কেন ট্রাম্প তাঁকে ক্ষমা করলেন? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানিই না উনি কে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাঁর সঙ্গে কখনো দেখা করেছি বলে মনে পড়ে না। কেউ আমাকে বলেছিল, তিনি বাইডেন প্রশাসনের উইচ হান্টের শিকার।’

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পে নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্র যদি এই খাতে নেতৃত্ব না দেয়, তবে চীনসহ প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো এগিয়ে যাবে।

এদিকে ট্রাম্পের ক্ষমার মাধ্যমে ঝাওয়ের ওপর আর্থিক ব্যবসা পরিচালনায় থাকা নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও, বাইন্যান্সে তাঁর ভূমিকা কীভাবে প্রভাবিত হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, ক্রিপটোকারেন্সির বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে ঝাওয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বাইডেন প্রশাসন। তিনি বলেন, ‘এটি ছিল বাড়াবাড়ি রকমের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) এটি সাংবিধানিক ক্ষমতার প্রয়োগের মাধ্যমে সংশোধন করেছেন।’

উল্লেখ্য, বাইন্যান্স বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ। ট্রাম্প প্রশাসন অতীতেও ক্রিপটো উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে মামলা স্থগিত করেছে। এর মধ্যে বিটমেক্স প্রতিষ্ঠাতারা সহ ‘সিল্ক রোড’-এর প্রতিষ্ঠাতা রস উলব্রিক্টও তাঁর ক্ষমা পেয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতীয়কে অপহরণের পর সুদানের অপহরণকারীদের প্রশ্ন—তুমি কি শাহরুখ খানকে চেনো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
অপহরণকারীদের মাঝখানে অপহৃত ভারতীয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া (এনডিটিভি)
অপহরণকারীদের মাঝখানে অপহৃত ভারতীয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া (এনডিটিভি)

সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধে বিপদে পড়েছেন এক ভারতীয়। ওডিশার জগতসিংহপুর জেলার বাসিন্দা আদর্শ বেহেরা নামের ওই ব্যক্তিকে সুদানের ভয়ংকর মিলিশিয়া গোষ্ঠী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ৩৬ বছর বয়সী বেহেরা দুজন সশস্ত্র আরএসএফ যোদ্ধার মাঝে বসে আছেন। তাঁদের একজন তাঁকে প্রশ্ন করছেন, ‘তুমি কি শাহরুখ খানকে চেনো?’ অন্যজন তাঁকে নির্দেশ দেন, ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ‘দাগালো গুড’ বলার জন্য। এই শব্দযুগলের মাধ্যমে মূলত মিলিশিয়া নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে ‘হেমেতি’-এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা হয়।

সূত্র জানায়, বেহেরাকে উত্তর দারফুরের আল ফাশির শহর থেকে অপহরণ করা হয়েছে। রাজধানী খার্তুম থেকে ওই অঞ্চলটি প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে দক্ষিণ দারফুরের রাজধানী নিয়ালা শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যা আরএসএফের একটি ঘাঁটি।

বেহেরার পরিবার জানিয়েছে, তিনি ২০২২ সাল থেকে সুকারাতি প্লাস্টিক ফ্যাক্টরি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলেন। তাঁর স্ত্রী সুষ্মিতা বেহেরা এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমাদের দুই ছেলে, একজন আট বছর, আরেকজন তিন। আমরা শুধু চাই, ও যেন নিরাপদে ফিরে আসে।’

পরিবারের পাঠানো আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, আদর্শ বেহেরা হাত জোড় করে অনুরোধ করছেন, ‘আমি আল ফাশিরে আছি, এখানে পরিস্থিতি খুব খারাপ। আমি দুই বছর ধরে অনেক কষ্টে আছি। আমার পরিবার ও বাচ্চারা খুব চিন্তিত। আমি ওডিশা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, আমাকে সাহায্য করুন।’

গত ১৮ মাসের অবরোধের পর উট ও টয়োটা গাড়িতে চড়ে আরএসএফ যোদ্ধারা সম্প্রতি আল ফাশির শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) সতর্ক করেছে—ওই অঞ্চলে আরএসএফের গণহত্যা ও ধর্ষণের মতো কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।

ভারতে নিযুক্ত সুদানের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ আবদাল্লা আলি এলতোম এনডিটিভিকে বলেছেন, ‘আল ফাশির বর্তমানে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। আমরা আশা করছি, আদর্শ বেহেরাকে যেন কোনো ক্ষতি করা না হয়। পরিস্থিতি অনিশ্চিত হলেও আমরা তাঁর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের আশায় আছি।’

সুদানে ২০২৩ সাল থেকে সেনাবাহিনী (এসএএফ) ও আরএসএফের সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আদর্শ বেহেরার অপহরণ সেই ভয়াবহ সংঘাতেরই নতুন করুণ অধ্যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুপেয় পানির সংকটে ইরানের রাজধানী তেহরান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রাজধানী তেহরানের অন্যতম প্রধান পানির উৎস আমির কবির বাঁধে বর্তমানে ১ কোটি ৪০ লাখ ঘনমিটার পানি রয়েছে। ছবি: এএফপি
রাজধানী তেহরানের অন্যতম প্রধান পানির উৎস আমির কবির বাঁধে বর্তমানে ১ কোটি ৪০ লাখ ঘনমিটার পানি রয়েছে। ছবি: এএফপি

ইরানের রাজধানী তেহরানে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সুপেয় পানির উৎস শুকিয়ে যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। টানা খরার কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

গতকাল রোববার দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানায়, রাজধানীর অন্যতম প্রধান পাঁচটি পানির উৎসের মধ্যে আমির কবির বাঁধ একটি। বর্তমানে আমির কবির বাঁধে মাত্র ১ কোটি ৪০ লাখ ঘনমিটার পানি রয়েছে, যা বাঁধটির ধারণক্ষমতার মাত্র ৮ শতাংশ। তেহরান পানি সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বেহজাদ পারসা জানান, এই পরিমাণ পানি রাজধানীতে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সরবরাহ করা যাবে। এরপর আর কোনো পানির উৎস থাকবে না।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখোমুখি এখন তেহরান ও এর আশপাশের অঞ্চল। গত মাসে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, এ বছর প্রদেশটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ‘গত এক শতাব্দীর মধ্যে নজিরবিহীনভাবে’ কম।

১ কোটির বেশি মানুষের এই নগরী আলবুর্জ পর্বতমালার দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত। ৫ হাজার ৬০০ মিটার উঁচু এসব তুষারাচ্ছন্ন পর্বত থেকে গড়িয়ে আসা নদীগুলোই রাজধানীর পাঁচটি প্রধান জলাধারে পানি সরবরাহ করে।

এক বছর আগেও আমির কবির বাঁধে ৮ কোটি ৬০ লাখ ঘনমিটার পানি ছিল বলে জানান পারসা। কিন্তু এ বছর তেহরানে কোনো বৃষ্টিপাত নেই, ফলে পানির মজুত কমে গেছে। তবে তিনি অন্যান্য জলাধারের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

ইরানি গণমাধ্যমগুলো জানায়, তেহরানের মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার পানি ব্যবহার করে। পানি সাশ্রয়ের জন্য ইতিমধ্যে কয়েকটি এলাকার সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। এর আগেও কিছু শহরে সাময়িকভাবে পানির সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল।

গত জুলাই ও আগস্ট মাসে পানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকার দুই দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিল। ওই সময় তীব্র দাবদাহে তেহরানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে পৌঁছায় এবং কিছু এলাকায় ৫০ ডিগ্রির বেশি হয়।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সে সময় বলেছিলেন, ‘আমাদের পানির সংকট আসলে যতটা বলা হচ্ছে তারচেয়ে বেশি গুরুতর।’

ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের শুষ্ক প্রদেশগুলোতে পানির সংকট আরও প্রকট। খরা ছাড়াও ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এ সংকট বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও এর সঙ্গে যুক্ত।

এদিকে ইরানের প্রতিবেশী ইরাকও ১৯৯৩ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখে পড়েছে। দেশটির মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর পানির স্তর ২৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। এর কারণ কম বৃষ্টিপাত ও উজানে পানির প্রবাহে বাধা। এতে ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলে গুরুতর মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চিপ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে চীন: হোয়াইট হাউস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিং ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পর হোয়াইট হাউস এই চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করে। ছবি: এএফপি
দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিং ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পর হোয়াইট হাউস এই চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করে। ছবি: এএফপি

গাড়ি তৈরিতে অপরিহার্য কম্পিউটার চিপ রপ্তানিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা চীন ধীরে ধীরে শিথিল করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। এ সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে হওয়া বাণিজ্য চুক্তির অংশ বলে জানানো হয়েছে।

এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিং ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পর হোয়াইট হাউস এই চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করে।

চুক্তিতে গাড়ির চিপ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন রপ্তানি, বিরল খনিজ পদার্থের সরবরাহ ও ফেন্টানিল নামের মাদক তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামালের বাণিজ্য নিয়েও সমঝোতা হয়।

বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ প্রশমনে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর চীনের ওপর শুল্কারোপ করেছিলেন, যার জেরে পাল্টা শুল্ক ও বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।

ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে, সেসবের বিস্তারিত তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছে।

ওই মুখপাত্র আরও বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক মূলত পারস্পরিকভাবে লাভজনক। প্রেসিডেন্ট সি জিন পিং যেমন বলেছেন—দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক হওয়া উচিত তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের নোঙর ও চালিকাশক্তি; কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়।

গত শনিবার হোয়াইট হাউস প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও অন্য কর্মকর্তারা মূল চুক্তির বিষয়গুলো ঘোষণা করেন।

ওই বৈঠককে ‘অসাধারণ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে বেইজিং বলছে, এর মধ্য দিয়ে দেশ দুটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ইস্যু সমাধানে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত