
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে জিমি কার্টার মার্কিন জনগণকে ওয়াদা করেছিলেন, তিনি কখনোই তাদের সঙ্গে মিথ্যা বলবেন না। সেই জিমি কার্টার ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার সংস্থা কার্টার সেন্টার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি পরবর্তী অস্থির সময়ে জর্জিয়ার সাবেক এই চিনাবাদাম চাষি প্রেসিডেন্ট ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশগ্রহণ এড়িয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ক্ষমা করেছিলেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া প্রথম মার্কিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, জিমি মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে ঐতিহাসিক ক্যাম্প ডেভিড শান্তি চুক্তি সম্পাদনে সহায়তা করেছিলেন। কিন্তু ইরানের জিম্মি সংকট এবং আফগানিস্তানে সোভিয়েত আক্রমণের মোকাবিলায় খাবি খেয়েছেন। প্রথম মেয়াদ পূর্ণ করার পর ১৯৮০ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী রোনাল্ড রিগ্যানের কাছে পরাজিত হন তিনি।
হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর কার্টার বিশ্বজুড়ে শান্তি, পরিবেশ এবং মানবাধিকার নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তাঁর এই পরিশ্রমের ফলস্বরূপ তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘজীবী প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবরে তাঁর ১০০ তম জন্মদিন উদ্যাপন করেন। তিনি দীর্ঘ সময় ক্যানসারের চিকিৎসাও নিয়েছিলেন এবং জীবনের শেষ ১৯ মাস হসপিস কেয়ারে কাটিয়েছেন।
জেমস আর্ল কার্টার জুনিয়র ১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর জর্জিয়ার শহর প্লেইনসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চার ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে বড়। তাঁর বাবা পারিবারিক চিনাবাদামের ব্যবসা শুরু করেছিলেন এবং মা লিলিয়ান ছিলেন নিবন্ধিত নার্স। ১৯৩০—এর দশকে মহামন্দার অভিজ্ঞতা এবং দৃঢ় ধর্মবিশ্বাস তাঁর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করেছিল।
উচ্চ বিদ্যালয়ে তারকা বাস্কেটবল খেলোয়াড় ছিলেন কার্টার। এরপর তিনি মার্কিন নৌবাহিনীতে সাত বছর কাজ করেন। সেসময়ই তিনি তাঁর বোনের বন্ধু রোজালিনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং সাবমেরিন অফিসার হন। তবে ১৯৫৩ সালে বাবার মৃত্যুর পর কার্টার বাদাম চাষে নামেন। প্রথম বছরের ফসল খরার কারণে নষ্ট হয়েছিল। তবে তারপরও কার্টার ব্যবসা চাঙা করেন এবং ক্রমেই সম্পদশালী হয়ে ওঠেন। তিনি স্থানীয় স্কুল ও গ্রন্থাগারের পরিচালনা পরিষদে নির্বাচিত হয়ে রাজনীতিতে পা রাখেন। এর কয়েক বছর পর জর্জিয়া সিনেটে সিনেটর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট স্কুলে বর্ণবৈষম্য বিলুপ্ত করার রায় দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য থেকে ওঠে আসা কৃষক হিসেবে কার্টারের এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করার কথা ছিল—কিন্তু তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ভিন্ন। জর্জিয়া সিনেটে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গ এড়িয়ে চলেছিলেন, যদিও তাঁর বাবা বিচ্ছিন্নতার পক্ষে ছিলেন। এমনকি তাঁর দল ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যেও অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী ছিল।
এরপর ১৯৭০ সালে জর্জিয়ার গভর্নর হন জিমি। এর পর তিনি নাগরিকদের আরও অধিকারের পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন জানাতে শুরু করেন। গভর্নর হিসেবে শপথ নেওয়ার দিনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সৎভাবে বলছি। বর্ণবৈষম্যের সময় শেষ।’ তাঁর মেয়াদে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে মার্টিন লুথার কিংয়ের ছবি আঁকিয়েছিলেন।
গভর্নর হিসেবে তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে, আফ্রিকান-আমেরিকানদের সরকারি কাজে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তবে, গর্ভপাত আইন নিয়ে তাঁর উদার মনোভাব এবং তাঁর দৃঢ় খ্রিষ্টান বিশ্বাসের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন ছিল। তিনি নারীদের গর্ভপাতের অধিকার সমর্থন করলেও তিনি এটির জন্য তহবিল বাড়াতে অস্বীকৃতি জানান।
জিমি কার্টার ১৯৭৪ সালে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতার জন্য প্রচারণা শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্র তখনো ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি। প্রচারণায় তিনি নিজেকে এক চিনাবাদাম চাষি হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। তিনি ক্যাপিটল হিলের পেশাদার রাজনীতিবিদদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তাঁর সময়োপযোগী প্রচারণা কাজ করে। আমেরিকানরা একজন নবাগত নেতা চেয়েছিল এবং কার্টার সেই চাহিদা পূরণ করেছিলেন। নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর প্রথমদিকে, জনমত জরিপে দেখা গিয়েছিল যে, তিনি মাত্র ৪ শতাংশ ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন পাবেন। কিন্তু ৯ মাস পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডকে পরাজিত করেন।

ক্ষমতায় প্রথম দিনেই তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে সেনাবাহিনীতে যোগদানের নির্দেশ এড়িয়ে যাওয়া কয়েক লাখ পুরুষকে ক্ষমা করেন। সে সময়কার রিপাবলিকান সিনেটর ব্যারি গোল্ডওয়াটার এই সিদ্ধান্তকে ‘কোনো প্রেসিডেন্টের নেওয়া সবচেয়ে লজ্জাজনক কাজ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কার্টার স্বীকার করেছিলেন, এটি তাঁর দায়িত্ব পালনকালে নেওয়া সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল।
কার্টার তাঁর প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের নিয়োগ দেন এবং রোজালিনকে ফার্স্ট লেডি হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালনে উৎসাহিত করেন। তিনি মার্কিন সংবিধানে একটি সমান অধিকার সংশোধনী আনার চেষ্টা করেছিলেন। যেটি লিঙ্গের ভিত্তিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আইনি সুরক্ষা প্রতিশ্রুতি দিত।
জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া প্রথম আন্তর্জাতিক নেতাদের একজন হিসেবে কার্টার হোয়াইট হাউসে জিন্স ও সোয়েটার পরতেন এবং শক্তি সংরক্ষণের জন্য হিটার বন্ধ রাখতেন। তিনি হোয়াইট হাউস ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করেন—যা পরে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান সরিয়ে ফেলেন—এবং আলাস্কার অনাবাদি জমি রক্ষার জন্য আইন পাশ করেন।
আমেরিকার অর্থনীতি মন্দার দিকে যেতে থাকলে কার্টারের জনপ্রিয়তা পড়তে শুরু করে। জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ—যার মধ্যে গ্যাসোলিন রেশনিংও ছিল—গ্রহণ করতে দেশকে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি, কিন্তু কংগ্রেসে তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হন। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনাও পার্লামেন্টে ব্যর্থ হয়। বেকারত্ব ও সুদের হার দুটোই আকাশচুম্বী হয়ে যায়।
মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে তাঁর শুরুটা ছিল বিজয়ের মধ্য দিয়ে। ১৯৭৮ সালে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদত এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষর করেন। কিন্তু বিদেশে সাফল্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ইরানে বিপ্লব এবং আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন ছিল কঠিন পরীক্ষা।
কার্টার তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তেহরানে জিম্মি মার্কিনিদের উদ্ধারে বলপ্রয়োগের চেষ্টা বিপর্যয়ে পরিণত হয়। এতে আট মার্কিন সেনা নিহত হন। এই ঘটনা নিশ্চিতভাবেই তাঁর পুনর্নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাকে শেষ করে দেয়। এরপর ১৯৮০ সালের নির্বাচনের আগে ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন বাগিয়ে নেওয়ার লড়াইয়ে সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডিকে পরাস্ত করেন কার্টার এবং পরবর্তী নির্বাচনে ৪১ শতাংশ পপুলার ভোট পান। কিন্তু এটি রোনাল্ড রিগ্যানকে পরাজিত করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। সাবেক এই অভিনেতা ইলেকটোরাল কলেজে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেন।
প্রেসিডেন্সির শেষ দিনে কার্টার ইরান থেকে জিম্মিদের মুক্তির জন্য সফল আলোচনার ঘোষণা দেন। তবে তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে জিম্মি মুক্তি দেখে যেতে পারেননি। দায়িত্ব ছাড়ার সময় কার্টারের জনপ্রিয়তা ছিল আমেরিকার যেকোনো প্রেসিডেন্টের মধ্যে সবচেয়ে কম। কিন্তু পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি তাঁর সুনাম পুনরুদ্ধারের জন্য অনেক প্রচেষ্টা চালান।
মার্কিন সরকারের পক্ষে তিনি উত্তর কোরিয়ায় শান্তি মিশনে অংশগ্রহণ করেন—যা শেষ পর্যন্ত পরমাণু অস্ত্র ভেঙে ফেলার জন্য একটি প্রাথমিক চুক্তি ‘অ্যাগ্রিড ফ্রেমওয়ার্কের’ দিকে নিয়ে যায়। তাঁর প্রতিষ্ঠিত লাইব্রেরি ‘কার্টার প্রেসিডেনশিয়াল সেন্টার’ আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধান এবং সংকট মোকাবিলায় ধারণা ও প্রোগ্রামগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
জিমি কার্টার ২০০২ সালে তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে—থিয়োডর রুজভেল্ট এবং উড্রো উইলসনের পর—নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তবে তিনিই একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি তাঁর প্রেসিডেন্সির পরের কাজের জন্য এই সম্মান পান। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে একত্রে ‘দ্য এল্ডারস’ নামে একটি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা বিশ্বব্যাপী শান্তি এবং মানবাধিকারের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ২০০২ সালে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করার সময়—তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি এটি পান—তিনি বলেছিলেন, ‘সবচেয়ে গুরুতর এবং সর্বজনীন সমস্যা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী এবং দরিদ্র মানুষের মধ্যে বাড়তে থাকা ফারাক।’
দায়িত্ব থেকে অবসরের পর কার্টার একটি সাধারণ জীবনধারা বেছে নেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের আসন তিনি সচেতনভাবে এড়িয়ে চলেছেন এবং জর্জিয়ার প্লেইনসে স্ত্রী রোজালিনের সঙ্গে সাধারণ জীবনযাপন করেছেন। জিমি কার্টার ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এতে কিছু ভুল দেখি না; যারা এটি করে তাদের দোষারোপ করি না। কিন্তু কখনই আমার ধনবান হওয়ার ইচ্ছা ছিল না।’
জিমি কার্টারই ছিলেন একমাত্র আধুনিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি রাজনীতিতে প্রবেশের আগে যে বাড়িতে বাস করতেন দায়িত্ব ছাড়ার পর সেখানেই ফিরে যান। তাঁর এই বাড়িটি ছিল একটি একতলা ও দুই শয়নকক্ষের বাড়ি। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, কার্টারদের বাড়ির মূল্য ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ডলার। যা তাদের রক্ষা করার জন্য বাইরে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের গাড়ির মূল্যের চেয়েও কম।
জিমি কার্টার ২০১৫ সালে জানান, তিনি ক্যানসারের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই রোগেই তাঁর বাবা-মা এবং তিন বোন মারা গিয়েছিলেন। সে বছরই কোমর ভাঙার অপারেশনের কয়েক মাস পর তিনি আবার হ্যাবিট্যাট ফর হিউম্যানিটির স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজে ফেরেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রী ১৯৮৪ সালে দাতব্য সংস্থাটির সঙ্গে কাজ শুরু করেন এবং বছরের পর বছর ৪ হাজারের বেশি বাড়ি মেরামত করতে সাহায্য করেন।
তিনি প্লেইনসের মারানাথা ব্যাপটিস্ট চার্চের একটি সানডে স্কুলে পড়াতেও থাকেন। কখনো কখনো তিনি ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের তাঁর ক্লাসে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে রোজালিন কার্টার মারা যাওয়ার পর স্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘৭৭ বছরের বিবাহিত জীবনের আমার স্ত্রী আমার করা প্রতিটি কাজের সমান অংশীদার ছিলেন।’
চলতি বছর নিজের জন্ম শতবর্ষ উদ্যাপনকালে কার্টার প্রমাণ করেন যে, তাঁর রাজনৈতিক সচেতনতা এখনো প্রখর। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি শুধু নভেম্বরের নির্বাচনে কামলা হ্যারিসের জন্য ভোট দিতে চাই।’ তিনি সত্যিই ভোট দিতে পেরেছিলেন। তবে তাঁর রাজ্য জর্জিয়া শেষ পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দেয়।
কার্টারের আজীবন জনসেবার চালিকাশক্তি ছিল, তাঁর গভীর ধর্মবিশ্বাস। তিনি বলেছিলেন, ‘আপনি ধর্মীয় বিশ্বাস এবং জনসেবাকে আলাদা করতে পারবেন না। আমি কখনোই ঈশ্বরের ইচ্ছা এবং আমার রাজনৈতিক কর্তব্যের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব অনুভব করিনি। যদি আপনি একটিকে লঙ্ঘন করেন, তবে অন্যটিকেও লঙ্ঘন করবেন।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে জিমি কার্টার মার্কিন জনগণকে ওয়াদা করেছিলেন, তিনি কখনোই তাদের সঙ্গে মিথ্যা বলবেন না। সেই জিমি কার্টার ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার সংস্থা কার্টার সেন্টার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি পরবর্তী অস্থির সময়ে জর্জিয়ার সাবেক এই চিনাবাদাম চাষি প্রেসিডেন্ট ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশগ্রহণ এড়িয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ক্ষমা করেছিলেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া প্রথম মার্কিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, জিমি মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে ঐতিহাসিক ক্যাম্প ডেভিড শান্তি চুক্তি সম্পাদনে সহায়তা করেছিলেন। কিন্তু ইরানের জিম্মি সংকট এবং আফগানিস্তানে সোভিয়েত আক্রমণের মোকাবিলায় খাবি খেয়েছেন। প্রথম মেয়াদ পূর্ণ করার পর ১৯৮০ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী রোনাল্ড রিগ্যানের কাছে পরাজিত হন তিনি।
হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর কার্টার বিশ্বজুড়ে শান্তি, পরিবেশ এবং মানবাধিকার নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তাঁর এই পরিশ্রমের ফলস্বরূপ তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘজীবী প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবরে তাঁর ১০০ তম জন্মদিন উদ্যাপন করেন। তিনি দীর্ঘ সময় ক্যানসারের চিকিৎসাও নিয়েছিলেন এবং জীবনের শেষ ১৯ মাস হসপিস কেয়ারে কাটিয়েছেন।
জেমস আর্ল কার্টার জুনিয়র ১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর জর্জিয়ার শহর প্লেইনসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চার ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে বড়। তাঁর বাবা পারিবারিক চিনাবাদামের ব্যবসা শুরু করেছিলেন এবং মা লিলিয়ান ছিলেন নিবন্ধিত নার্স। ১৯৩০—এর দশকে মহামন্দার অভিজ্ঞতা এবং দৃঢ় ধর্মবিশ্বাস তাঁর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করেছিল।
উচ্চ বিদ্যালয়ে তারকা বাস্কেটবল খেলোয়াড় ছিলেন কার্টার। এরপর তিনি মার্কিন নৌবাহিনীতে সাত বছর কাজ করেন। সেসময়ই তিনি তাঁর বোনের বন্ধু রোজালিনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং সাবমেরিন অফিসার হন। তবে ১৯৫৩ সালে বাবার মৃত্যুর পর কার্টার বাদাম চাষে নামেন। প্রথম বছরের ফসল খরার কারণে নষ্ট হয়েছিল। তবে তারপরও কার্টার ব্যবসা চাঙা করেন এবং ক্রমেই সম্পদশালী হয়ে ওঠেন। তিনি স্থানীয় স্কুল ও গ্রন্থাগারের পরিচালনা পরিষদে নির্বাচিত হয়ে রাজনীতিতে পা রাখেন। এর কয়েক বছর পর জর্জিয়া সিনেটে সিনেটর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট স্কুলে বর্ণবৈষম্য বিলুপ্ত করার রায় দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য থেকে ওঠে আসা কৃষক হিসেবে কার্টারের এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করার কথা ছিল—কিন্তু তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ভিন্ন। জর্জিয়া সিনেটে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গ এড়িয়ে চলেছিলেন, যদিও তাঁর বাবা বিচ্ছিন্নতার পক্ষে ছিলেন। এমনকি তাঁর দল ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যেও অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী ছিল।
এরপর ১৯৭০ সালে জর্জিয়ার গভর্নর হন জিমি। এর পর তিনি নাগরিকদের আরও অধিকারের পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন জানাতে শুরু করেন। গভর্নর হিসেবে শপথ নেওয়ার দিনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সৎভাবে বলছি। বর্ণবৈষম্যের সময় শেষ।’ তাঁর মেয়াদে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে মার্টিন লুথার কিংয়ের ছবি আঁকিয়েছিলেন।
গভর্নর হিসেবে তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে, আফ্রিকান-আমেরিকানদের সরকারি কাজে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তবে, গর্ভপাত আইন নিয়ে তাঁর উদার মনোভাব এবং তাঁর দৃঢ় খ্রিষ্টান বিশ্বাসের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন ছিল। তিনি নারীদের গর্ভপাতের অধিকার সমর্থন করলেও তিনি এটির জন্য তহবিল বাড়াতে অস্বীকৃতি জানান।
জিমি কার্টার ১৯৭৪ সালে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতার জন্য প্রচারণা শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্র তখনো ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি। প্রচারণায় তিনি নিজেকে এক চিনাবাদাম চাষি হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। তিনি ক্যাপিটল হিলের পেশাদার রাজনীতিবিদদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তাঁর সময়োপযোগী প্রচারণা কাজ করে। আমেরিকানরা একজন নবাগত নেতা চেয়েছিল এবং কার্টার সেই চাহিদা পূরণ করেছিলেন। নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর প্রথমদিকে, জনমত জরিপে দেখা গিয়েছিল যে, তিনি মাত্র ৪ শতাংশ ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন পাবেন। কিন্তু ৯ মাস পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডকে পরাজিত করেন।

ক্ষমতায় প্রথম দিনেই তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে সেনাবাহিনীতে যোগদানের নির্দেশ এড়িয়ে যাওয়া কয়েক লাখ পুরুষকে ক্ষমা করেন। সে সময়কার রিপাবলিকান সিনেটর ব্যারি গোল্ডওয়াটার এই সিদ্ধান্তকে ‘কোনো প্রেসিডেন্টের নেওয়া সবচেয়ে লজ্জাজনক কাজ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কার্টার স্বীকার করেছিলেন, এটি তাঁর দায়িত্ব পালনকালে নেওয়া সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল।
কার্টার তাঁর প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের নিয়োগ দেন এবং রোজালিনকে ফার্স্ট লেডি হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালনে উৎসাহিত করেন। তিনি মার্কিন সংবিধানে একটি সমান অধিকার সংশোধনী আনার চেষ্টা করেছিলেন। যেটি লিঙ্গের ভিত্তিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আইনি সুরক্ষা প্রতিশ্রুতি দিত।
জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া প্রথম আন্তর্জাতিক নেতাদের একজন হিসেবে কার্টার হোয়াইট হাউসে জিন্স ও সোয়েটার পরতেন এবং শক্তি সংরক্ষণের জন্য হিটার বন্ধ রাখতেন। তিনি হোয়াইট হাউস ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করেন—যা পরে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান সরিয়ে ফেলেন—এবং আলাস্কার অনাবাদি জমি রক্ষার জন্য আইন পাশ করেন।
আমেরিকার অর্থনীতি মন্দার দিকে যেতে থাকলে কার্টারের জনপ্রিয়তা পড়তে শুরু করে। জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ—যার মধ্যে গ্যাসোলিন রেশনিংও ছিল—গ্রহণ করতে দেশকে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি, কিন্তু কংগ্রেসে তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হন। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনাও পার্লামেন্টে ব্যর্থ হয়। বেকারত্ব ও সুদের হার দুটোই আকাশচুম্বী হয়ে যায়।
মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে তাঁর শুরুটা ছিল বিজয়ের মধ্য দিয়ে। ১৯৭৮ সালে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদত এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষর করেন। কিন্তু বিদেশে সাফল্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ইরানে বিপ্লব এবং আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন ছিল কঠিন পরীক্ষা।
কার্টার তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তেহরানে জিম্মি মার্কিনিদের উদ্ধারে বলপ্রয়োগের চেষ্টা বিপর্যয়ে পরিণত হয়। এতে আট মার্কিন সেনা নিহত হন। এই ঘটনা নিশ্চিতভাবেই তাঁর পুনর্নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাকে শেষ করে দেয়। এরপর ১৯৮০ সালের নির্বাচনের আগে ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন বাগিয়ে নেওয়ার লড়াইয়ে সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডিকে পরাস্ত করেন কার্টার এবং পরবর্তী নির্বাচনে ৪১ শতাংশ পপুলার ভোট পান। কিন্তু এটি রোনাল্ড রিগ্যানকে পরাজিত করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। সাবেক এই অভিনেতা ইলেকটোরাল কলেজে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেন।
প্রেসিডেন্সির শেষ দিনে কার্টার ইরান থেকে জিম্মিদের মুক্তির জন্য সফল আলোচনার ঘোষণা দেন। তবে তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে জিম্মি মুক্তি দেখে যেতে পারেননি। দায়িত্ব ছাড়ার সময় কার্টারের জনপ্রিয়তা ছিল আমেরিকার যেকোনো প্রেসিডেন্টের মধ্যে সবচেয়ে কম। কিন্তু পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি তাঁর সুনাম পুনরুদ্ধারের জন্য অনেক প্রচেষ্টা চালান।
মার্কিন সরকারের পক্ষে তিনি উত্তর কোরিয়ায় শান্তি মিশনে অংশগ্রহণ করেন—যা শেষ পর্যন্ত পরমাণু অস্ত্র ভেঙে ফেলার জন্য একটি প্রাথমিক চুক্তি ‘অ্যাগ্রিড ফ্রেমওয়ার্কের’ দিকে নিয়ে যায়। তাঁর প্রতিষ্ঠিত লাইব্রেরি ‘কার্টার প্রেসিডেনশিয়াল সেন্টার’ আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধান এবং সংকট মোকাবিলায় ধারণা ও প্রোগ্রামগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
জিমি কার্টার ২০০২ সালে তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে—থিয়োডর রুজভেল্ট এবং উড্রো উইলসনের পর—নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তবে তিনিই একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি তাঁর প্রেসিডেন্সির পরের কাজের জন্য এই সম্মান পান। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে একত্রে ‘দ্য এল্ডারস’ নামে একটি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা বিশ্বব্যাপী শান্তি এবং মানবাধিকারের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ২০০২ সালে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করার সময়—তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি এটি পান—তিনি বলেছিলেন, ‘সবচেয়ে গুরুতর এবং সর্বজনীন সমস্যা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী এবং দরিদ্র মানুষের মধ্যে বাড়তে থাকা ফারাক।’
দায়িত্ব থেকে অবসরের পর কার্টার একটি সাধারণ জীবনধারা বেছে নেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের আসন তিনি সচেতনভাবে এড়িয়ে চলেছেন এবং জর্জিয়ার প্লেইনসে স্ত্রী রোজালিনের সঙ্গে সাধারণ জীবনযাপন করেছেন। জিমি কার্টার ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এতে কিছু ভুল দেখি না; যারা এটি করে তাদের দোষারোপ করি না। কিন্তু কখনই আমার ধনবান হওয়ার ইচ্ছা ছিল না।’
জিমি কার্টারই ছিলেন একমাত্র আধুনিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি রাজনীতিতে প্রবেশের আগে যে বাড়িতে বাস করতেন দায়িত্ব ছাড়ার পর সেখানেই ফিরে যান। তাঁর এই বাড়িটি ছিল একটি একতলা ও দুই শয়নকক্ষের বাড়ি। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, কার্টারদের বাড়ির মূল্য ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ডলার। যা তাদের রক্ষা করার জন্য বাইরে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের গাড়ির মূল্যের চেয়েও কম।
জিমি কার্টার ২০১৫ সালে জানান, তিনি ক্যানসারের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই রোগেই তাঁর বাবা-মা এবং তিন বোন মারা গিয়েছিলেন। সে বছরই কোমর ভাঙার অপারেশনের কয়েক মাস পর তিনি আবার হ্যাবিট্যাট ফর হিউম্যানিটির স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজে ফেরেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রী ১৯৮৪ সালে দাতব্য সংস্থাটির সঙ্গে কাজ শুরু করেন এবং বছরের পর বছর ৪ হাজারের বেশি বাড়ি মেরামত করতে সাহায্য করেন।
তিনি প্লেইনসের মারানাথা ব্যাপটিস্ট চার্চের একটি সানডে স্কুলে পড়াতেও থাকেন। কখনো কখনো তিনি ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের তাঁর ক্লাসে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে রোজালিন কার্টার মারা যাওয়ার পর স্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘৭৭ বছরের বিবাহিত জীবনের আমার স্ত্রী আমার করা প্রতিটি কাজের সমান অংশীদার ছিলেন।’
চলতি বছর নিজের জন্ম শতবর্ষ উদ্যাপনকালে কার্টার প্রমাণ করেন যে, তাঁর রাজনৈতিক সচেতনতা এখনো প্রখর। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি শুধু নভেম্বরের নির্বাচনে কামলা হ্যারিসের জন্য ভোট দিতে চাই।’ তিনি সত্যিই ভোট দিতে পেরেছিলেন। তবে তাঁর রাজ্য জর্জিয়া শেষ পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দেয়।
কার্টারের আজীবন জনসেবার চালিকাশক্তি ছিল, তাঁর গভীর ধর্মবিশ্বাস। তিনি বলেছিলেন, ‘আপনি ধর্মীয় বিশ্বাস এবং জনসেবাকে আলাদা করতে পারবেন না। আমি কখনোই ঈশ্বরের ইচ্ছা এবং আমার রাজনৈতিক কর্তব্যের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব অনুভব করিনি। যদি আপনি একটিকে লঙ্ঘন করেন, তবে অন্যটিকেও লঙ্ঘন করবেন।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৩৫ মিনিট আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
১ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার।
চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটিকে ট্র্যাকে নামানো হয়। এটি বর্তমানে চীনের সর্বোচ্চ গতির চলমান সিআর–৪০০ ফুজিং ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত। ফুজিং ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে।

ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর–৪৫০ উচ্চগতির ট্রেন প্রযুক্তিতে এক বিশাল অগ্রগতি এনেছে। তত্ত্ব, প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, মানদণ্ড ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে এই ট্রেন।
৪০০ কিলোমিটার গতির নজিরবিহীন গতি অর্জনের জন্য প্রকৌশলীরা ট্রেনটির ট্র্যাকশন পাওয়ার (ট্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা), ডাইনামিক পারফরম্যান্স বা গতিশীল অবস্থায় ট্রেনটিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিমাপ এবং প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম বা বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যে ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ট্রেনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা উন্নত করেছেন।
ওয়াংয়ের ভাষায়, ট্রেনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াটার-কুলড পারমানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীলতা বগি এবং একাধিক উদ্ভাবনী সিস্টেম। যার ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতিতে চলাচলেও এটি স্থিতিশীল থাকে। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সিআর–৪৫০ এক ধাপ এগিয়ে। এতে রয়েছে মাল্টিলেয়ার ইমারজেন্সি ব্রেক নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি এবং ৪ হাজারেরও বেশি অনবোর্ড মনিটরিং সেন্সর, যা চলমান অবস্থায় ট্রেনের গিয়ার, পুরো ট্রেন, হাই–ভোল্টেজ প্যান্টোগ্রাফ, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা—সবকিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এ ছাড়া, ওভার-দ্য-হরাইজন শনাক্তকরণ ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে এতে। এই ব্যবস্থা ট্রেনের সামনে ট্র্যাকের জরুরি পরিস্থিতি আগেভাগে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে বিপ্লব। বগির ‘স্ট্রিমলাইনড কাওলিং’ ধাঁচের নকশা বাতাসের ঘর্ষণ ও প্রতিরোধ কমিয়েছে, আর নতুন হালকা উপকরণ ও প্রযুক্তি ট্রেনের মোট ওজন ১০ শতাংশ কমিয়েছে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে ট্র্যাকের সঙ্গে চাকার এবং সামগ্রিক ঘর্ষণ প্রতিরোধ ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।
ট্রেনের শব্দ নিয়ন্ত্রণেও এসেছে অগ্রগতি। সাতটি নতুন প্রযুক্তি—যেমন সাউন্ড-অ্যাবসর্বিং উপকরণ ও উন্নত অ্যারোডাইনামিক নকশা ট্রেনের অভ্যন্তরীণ শব্দ ২ ডেসিবল কমিয়েছে। ফলে যাত্রীরা পাচ্ছেন আরও নিঃশব্দ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
তা ছাড়া, সিআর–৪৫০ এ যুক্ত হয়েছে একাধিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফিচার, যা ট্রেনের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চালকের সঙ্গে যোগাযোগ, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং যাত্রীসেবা—সব দিক থেকেই একে আগের সব মডেলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বলে জানান ওয়াং।

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার।
চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটিকে ট্র্যাকে নামানো হয়। এটি বর্তমানে চীনের সর্বোচ্চ গতির চলমান সিআর–৪০০ ফুজিং ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত। ফুজিং ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে।

ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর–৪৫০ উচ্চগতির ট্রেন প্রযুক্তিতে এক বিশাল অগ্রগতি এনেছে। তত্ত্ব, প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, মানদণ্ড ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে এই ট্রেন।
৪০০ কিলোমিটার গতির নজিরবিহীন গতি অর্জনের জন্য প্রকৌশলীরা ট্রেনটির ট্র্যাকশন পাওয়ার (ট্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা), ডাইনামিক পারফরম্যান্স বা গতিশীল অবস্থায় ট্রেনটিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিমাপ এবং প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম বা বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যে ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ট্রেনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা উন্নত করেছেন।
ওয়াংয়ের ভাষায়, ট্রেনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াটার-কুলড পারমানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীলতা বগি এবং একাধিক উদ্ভাবনী সিস্টেম। যার ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতিতে চলাচলেও এটি স্থিতিশীল থাকে। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সিআর–৪৫০ এক ধাপ এগিয়ে। এতে রয়েছে মাল্টিলেয়ার ইমারজেন্সি ব্রেক নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি এবং ৪ হাজারেরও বেশি অনবোর্ড মনিটরিং সেন্সর, যা চলমান অবস্থায় ট্রেনের গিয়ার, পুরো ট্রেন, হাই–ভোল্টেজ প্যান্টোগ্রাফ, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা—সবকিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এ ছাড়া, ওভার-দ্য-হরাইজন শনাক্তকরণ ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে এতে। এই ব্যবস্থা ট্রেনের সামনে ট্র্যাকের জরুরি পরিস্থিতি আগেভাগে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে বিপ্লব। বগির ‘স্ট্রিমলাইনড কাওলিং’ ধাঁচের নকশা বাতাসের ঘর্ষণ ও প্রতিরোধ কমিয়েছে, আর নতুন হালকা উপকরণ ও প্রযুক্তি ট্রেনের মোট ওজন ১০ শতাংশ কমিয়েছে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে ট্র্যাকের সঙ্গে চাকার এবং সামগ্রিক ঘর্ষণ প্রতিরোধ ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।
ট্রেনের শব্দ নিয়ন্ত্রণেও এসেছে অগ্রগতি। সাতটি নতুন প্রযুক্তি—যেমন সাউন্ড-অ্যাবসর্বিং উপকরণ ও উন্নত অ্যারোডাইনামিক নকশা ট্রেনের অভ্যন্তরীণ শব্দ ২ ডেসিবল কমিয়েছে। ফলে যাত্রীরা পাচ্ছেন আরও নিঃশব্দ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
তা ছাড়া, সিআর–৪৫০ এ যুক্ত হয়েছে একাধিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফিচার, যা ট্রেনের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চালকের সঙ্গে যোগাযোগ, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং যাত্রীসেবা—সব দিক থেকেই একে আগের সব মডেলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বলে জানান ওয়াং।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে জিমি কার্টার মার্কিন জনগণকে ওয়াদা করেছিলেন, তিনি কখনোই তাদের সঙ্গে মিথ্যা বলবেন না। সেই জিমি কার্টার ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার সংস্থা কার্টার সেন্টার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি পরবর্তী অস্থির সময়ে জর্জিয়ার সাবেক...
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
১ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনএইচপিসি লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম সীমান্তে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটের ‘ওয়েট কমিশনিং’ গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ‘ওয়েট কমিশনিং মূলত টারবাইনের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। পানির প্রবাহের ভিত্তি করে এই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত চলতে পারে।’
২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পে রয়েছে আটটি ইউনিট, প্রতিটির ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট।
মুখপাত্র জানান, এই আটটির মধ্যে চারটি ইউনিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী ধাপে অন্তত দুটি ইউনিট সমন্বয় করা হবে, যাতে প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যায়।
অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের সীমানার গেরুকামুখে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে আসামে বাঁধবিরোধী আন্দোলন ও ভাটিতে পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়।
এরপর, ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে পুনরায় কাজ শুরু হয়। সেই সময় এনএইচপিসি প্রকল্পটিতে বাড়তি নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণমূলক পরিবেশ–সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুক্ত করে। এনএইচপিসি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূপেন্দর গুপ্তা পরীক্ষামূলক এই কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই অর্জন এনএইচপিসির প্রকৌশল দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি প্রকল্প–মাইলফলক নয়, বরং ভারতের পরিবেশবান্ধব ও স্বনির্ভর জ্বালানি ভবিষ্যতের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক।’

ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনএইচপিসি লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম সীমান্তে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটের ‘ওয়েট কমিশনিং’ গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ‘ওয়েট কমিশনিং মূলত টারবাইনের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। পানির প্রবাহের ভিত্তি করে এই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত চলতে পারে।’
২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পে রয়েছে আটটি ইউনিট, প্রতিটির ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট।
মুখপাত্র জানান, এই আটটির মধ্যে চারটি ইউনিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী ধাপে অন্তত দুটি ইউনিট সমন্বয় করা হবে, যাতে প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যায়।
অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের সীমানার গেরুকামুখে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে আসামে বাঁধবিরোধী আন্দোলন ও ভাটিতে পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়।
এরপর, ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে পুনরায় কাজ শুরু হয়। সেই সময় এনএইচপিসি প্রকল্পটিতে বাড়তি নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণমূলক পরিবেশ–সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুক্ত করে। এনএইচপিসি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূপেন্দর গুপ্তা পরীক্ষামূলক এই কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই অর্জন এনএইচপিসির প্রকৌশল দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি প্রকল্প–মাইলফলক নয়, বরং ভারতের পরিবেশবান্ধব ও স্বনির্ভর জ্বালানি ভবিষ্যতের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক।’

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে জিমি কার্টার মার্কিন জনগণকে ওয়াদা করেছিলেন, তিনি কখনোই তাদের সঙ্গে মিথ্যা বলবেন না। সেই জিমি কার্টার ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার সংস্থা কার্টার সেন্টার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি পরবর্তী অস্থির সময়ে জর্জিয়ার সাবেক...
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৩৫ মিনিট আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
িহত ব্যক্তির নাম যোগেশ কুমার। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেডিওথেরাপিস্ট হিসাবে কাজ করতেন। ৯ বছর আগে নেহা রাওয়াত নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে এ দম্পতির।
যোগেশের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর চাচা প্রকাশ সিং। তিনি বলেন, যোগেশকে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হয়রানি করছিলেন। তারা চাইতেন না যোগেশের মা তাদের সঙ্গে থাকুক।
প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন, যোগেশ ও নেহা আগে নয়ডাতে থাকতেন। নেহা সেখানে চাকরি করতেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কর্মরত থাকায় সন্তানের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না বলে যোগেশ তাঁর মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। নেহা এতে রাজি হননি।
ছয় মাস আগে যোগেশ সন্তানকে নিয়ে ফরিদাবাদের সেক্টর ৮৭-এর পার্ল সোসাইটিতে চলে আসেন। নেহা নয়ডাতে থেকে যান। এ সময় যোগেশ সন্তানের দেখভাল করতে তাঁর মাকে নিয়ে আসেন।
যোগেশের চাচা অভিযোগে আরও বলেন, এক মাস আগে ওই বাসায় এসে যোগেশের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন নেহা। সে সময় যোগেশের মায়ের সেখানে থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন তিনি।
পরে নেহার দুই ভাই আশীষ রাওয়াত ও অমিত রাওয়াত এসে যোগেশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে যোগেশ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে তাঁর চাচা প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন।
চাচার অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার যোগেশ নেহাকে নিয়ে গোয়ালিয়রে যান। ফেরার পথে নেহাকে নয়ডায় নামিয়ে দিয়ে একাই পার্ল সোসাইটির ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। পরদিন শুক্রবার রাতে পার্ল সোসাইটির ১৫ তলা থেকে লাফ দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এ ঘটনায় ভুপানি থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে যোগেশের স্ত্রী নেহা রাওয়াত, তাঁর বাবা-মা বীর সিং রাওয়াত ও শান্তি রাওয়াত এবং দুই ভাই আশীষ ও অমিত রাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ভুপানি থানার এসএইচও ইন্সপেক্টর সংগ্রাম দাহিয়া বলেন, ‘আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছি।’

শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
িহত ব্যক্তির নাম যোগেশ কুমার। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেডিওথেরাপিস্ট হিসাবে কাজ করতেন। ৯ বছর আগে নেহা রাওয়াত নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে এ দম্পতির।
যোগেশের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর চাচা প্রকাশ সিং। তিনি বলেন, যোগেশকে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হয়রানি করছিলেন। তারা চাইতেন না যোগেশের মা তাদের সঙ্গে থাকুক।
প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন, যোগেশ ও নেহা আগে নয়ডাতে থাকতেন। নেহা সেখানে চাকরি করতেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কর্মরত থাকায় সন্তানের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না বলে যোগেশ তাঁর মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। নেহা এতে রাজি হননি।
ছয় মাস আগে যোগেশ সন্তানকে নিয়ে ফরিদাবাদের সেক্টর ৮৭-এর পার্ল সোসাইটিতে চলে আসেন। নেহা নয়ডাতে থেকে যান। এ সময় যোগেশ সন্তানের দেখভাল করতে তাঁর মাকে নিয়ে আসেন।
যোগেশের চাচা অভিযোগে আরও বলেন, এক মাস আগে ওই বাসায় এসে যোগেশের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন নেহা। সে সময় যোগেশের মায়ের সেখানে থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন তিনি।
পরে নেহার দুই ভাই আশীষ রাওয়াত ও অমিত রাওয়াত এসে যোগেশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে যোগেশ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে তাঁর চাচা প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন।
চাচার অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার যোগেশ নেহাকে নিয়ে গোয়ালিয়রে যান। ফেরার পথে নেহাকে নয়ডায় নামিয়ে দিয়ে একাই পার্ল সোসাইটির ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। পরদিন শুক্রবার রাতে পার্ল সোসাইটির ১৫ তলা থেকে লাফ দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এ ঘটনায় ভুপানি থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে যোগেশের স্ত্রী নেহা রাওয়াত, তাঁর বাবা-মা বীর সিং রাওয়াত ও শান্তি রাওয়াত এবং দুই ভাই আশীষ ও অমিত রাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ভুপানি থানার এসএইচও ইন্সপেক্টর সংগ্রাম দাহিয়া বলেন, ‘আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছি।’

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে জিমি কার্টার মার্কিন জনগণকে ওয়াদা করেছিলেন, তিনি কখনোই তাদের সঙ্গে মিথ্যা বলবেন না। সেই জিমি কার্টার ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার সংস্থা কার্টার সেন্টার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি পরবর্তী অস্থির সময়ে জর্জিয়ার সাবেক...
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৩৫ মিনিট আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্থ দিয়েছেন তাঁর পরিচয় প্রকাশিত হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবর বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা দানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই অর্থ ১৩ লাখ ২০ হাজার সেনাসদস্যের বেতন প্রদানে ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে। তবে প্রতিরক্ষা দপ্তর দাতার পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে এ নিয়ে উঠেছে নৈতিকতার প্রশ্ন।
শনিবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ওই দাতা ‘আমার বড় সমর্থক’ এবং ‘মার্কিন নাগরিক।’ তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে, কারণ কংগ্রেস এখনো বাজেট অনুমোদনে ব্যর্থ। গত সপ্তাহে প্রশাসন সাময়িকভাবে সেনাদের বেতন দিয়েছে, সামরিক গবেষণার বাজেট থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার সরিয়ে এনে। তবে মাসের শেষের বেতন দিবসে কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
রোববার অচলাবস্থার ২৫ তম দিন পার হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম অচলাবস্থাগুলোর একটি হতে যাচ্ছে। প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র শন পারনেল শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই দান এমন শর্তে দেওয়া হয়েছে যে তা সেনাসদস্যদের বেতন ও ভাতার খরচ মেটাতে ব্যবহার করা হবে।’ তিনি জানান, দপ্তরের ‘সাধারণ উপহার গ্রহণের নীতিমালা’ অনুযায়ী এই অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে।
ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবারই দানের বিষয়টি আভাস দিয়েছিলেন, তবে তখনো দাতার নাম গোপন রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘তিনি স্বীকৃতি চান না।’ শনিবার এশিয়া সফরে রওনা হওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি এক অসাধারণ ভদ্রলোক, এক দেশপ্রেমিক, এক মহান পৃষ্ঠপোষক। তিনি প্রচারবিমুখ।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি চান না তাঁর নাম বলা হোক—যা আমার পরিচিত রাজনীতির জগতে বেশ অস্বাভাবিক। সেখানে তো সবাই চায় তাদের নাম উচ্চারিত হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন যেন সেনারা বেতন পায়। এটা বিশাল অঙ্কের অর্থ। তিনি আমার বড় সমর্থকও বটে।’
এই অর্থ সেনাপ্রতি প্রায় ১০০ ডলারের সমান। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস প্রতিরক্ষা বাজেট পুনর্বিন্যাস করে বেতন দিতে পেরেছিল, কিন্তু ৩১ অক্টোবরের পরবর্তী বেতন দিবসে কী হবে, তা অনিশ্চিত রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কংগ্রেস এমন কোনো বিল পাস করতে পারেনি যা সেনাদের বেতন নিশ্চিত রাখবে।
অচলাবস্থার কারণে অধিকাংশ সরকারি কর্মী ছুটিতে আছেন বা বেতন ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিরক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, ১০ হাজার ডলারের বেশি দান নৈতিকতা পর্যালোচনার আওতায় আসে, যাতে নিশ্চিত করা যায় দাতার কোনো ব্যবসায়িক দাবি, মামলা, বা প্রতিরক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কোনো স্বার্থ সংঘাত নেই।
বিদেশি নাগরিকের দান হলে তা আরও কঠোর যাচাইয়ের প্রয়োজন হয়। যদিও পেন্টাগন মাঝে মাঝে দান গ্রহণ করে, সাধারণত সেই অর্থ স্কুল, হাসপাতাল, লাইব্রেরি, জাদুঘর বা সমাধিক্ষেত্রের মতো নির্দিষ্ট প্রকল্পে ব্যয় হয়। তবে এবার সেনাবাহিনীকে বেতন দিতে নাম-গোপন দান গ্রহণে সমালোচনা উঠেছে।
সিনেটের প্রতিরক্ষা বরাদ্দ উপকমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য, ডেলাওয়্যারের সিনেটর ক্রিস কুনস বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীকে নাম-গোপন দানের অর্থে চালানো এক ভয়াবহ নজির। এতে আশঙ্কা তৈরি হয় যে আমাদের সৈন্যরা বিদেশি শক্তির হাতে ‘কেনা সৈন্যে’ পরিণত হচ্ছে কি না।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্থ দিয়েছেন তাঁর পরিচয় প্রকাশিত হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবর বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা দানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই অর্থ ১৩ লাখ ২০ হাজার সেনাসদস্যের বেতন প্রদানে ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে। তবে প্রতিরক্ষা দপ্তর দাতার পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে এ নিয়ে উঠেছে নৈতিকতার প্রশ্ন।
শনিবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ওই দাতা ‘আমার বড় সমর্থক’ এবং ‘মার্কিন নাগরিক।’ তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে, কারণ কংগ্রেস এখনো বাজেট অনুমোদনে ব্যর্থ। গত সপ্তাহে প্রশাসন সাময়িকভাবে সেনাদের বেতন দিয়েছে, সামরিক গবেষণার বাজেট থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার সরিয়ে এনে। তবে মাসের শেষের বেতন দিবসে কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
রোববার অচলাবস্থার ২৫ তম দিন পার হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম অচলাবস্থাগুলোর একটি হতে যাচ্ছে। প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র শন পারনেল শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই দান এমন শর্তে দেওয়া হয়েছে যে তা সেনাসদস্যদের বেতন ও ভাতার খরচ মেটাতে ব্যবহার করা হবে।’ তিনি জানান, দপ্তরের ‘সাধারণ উপহার গ্রহণের নীতিমালা’ অনুযায়ী এই অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে।
ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবারই দানের বিষয়টি আভাস দিয়েছিলেন, তবে তখনো দাতার নাম গোপন রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘তিনি স্বীকৃতি চান না।’ শনিবার এশিয়া সফরে রওনা হওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি এক অসাধারণ ভদ্রলোক, এক দেশপ্রেমিক, এক মহান পৃষ্ঠপোষক। তিনি প্রচারবিমুখ।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি চান না তাঁর নাম বলা হোক—যা আমার পরিচিত রাজনীতির জগতে বেশ অস্বাভাবিক। সেখানে তো সবাই চায় তাদের নাম উচ্চারিত হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন যেন সেনারা বেতন পায়। এটা বিশাল অঙ্কের অর্থ। তিনি আমার বড় সমর্থকও বটে।’
এই অর্থ সেনাপ্রতি প্রায় ১০০ ডলারের সমান। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস প্রতিরক্ষা বাজেট পুনর্বিন্যাস করে বেতন দিতে পেরেছিল, কিন্তু ৩১ অক্টোবরের পরবর্তী বেতন দিবসে কী হবে, তা অনিশ্চিত রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কংগ্রেস এমন কোনো বিল পাস করতে পারেনি যা সেনাদের বেতন নিশ্চিত রাখবে।
অচলাবস্থার কারণে অধিকাংশ সরকারি কর্মী ছুটিতে আছেন বা বেতন ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিরক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, ১০ হাজার ডলারের বেশি দান নৈতিকতা পর্যালোচনার আওতায় আসে, যাতে নিশ্চিত করা যায় দাতার কোনো ব্যবসায়িক দাবি, মামলা, বা প্রতিরক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কোনো স্বার্থ সংঘাত নেই।
বিদেশি নাগরিকের দান হলে তা আরও কঠোর যাচাইয়ের প্রয়োজন হয়। যদিও পেন্টাগন মাঝে মাঝে দান গ্রহণ করে, সাধারণত সেই অর্থ স্কুল, হাসপাতাল, লাইব্রেরি, জাদুঘর বা সমাধিক্ষেত্রের মতো নির্দিষ্ট প্রকল্পে ব্যয় হয়। তবে এবার সেনাবাহিনীকে বেতন দিতে নাম-গোপন দান গ্রহণে সমালোচনা উঠেছে।
সিনেটের প্রতিরক্ষা বরাদ্দ উপকমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য, ডেলাওয়্যারের সিনেটর ক্রিস কুনস বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীকে নাম-গোপন দানের অর্থে চালানো এক ভয়াবহ নজির। এতে আশঙ্কা তৈরি হয় যে আমাদের সৈন্যরা বিদেশি শক্তির হাতে ‘কেনা সৈন্যে’ পরিণত হচ্ছে কি না।’

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে জিমি কার্টার মার্কিন জনগণকে ওয়াদা করেছিলেন, তিনি কখনোই তাদের সঙ্গে মিথ্যা বলবেন না। সেই জিমি কার্টার ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার সংস্থা কার্টার সেন্টার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি পরবর্তী অস্থির সময়ে জর্জিয়ার সাবেক...
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৩৫ মিনিট আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
১ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে