Ajker Patrika

গাজায় হামলা: নেতানিয়াহুকে প্রতিনিধিদল পাঠাতে বলেছেন বাইডেন

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬: ০৫
গাজায় হামলা: নেতানিয়াহুকে প্রতিনিধিদল পাঠাতে বলেছেন বাইডেন

গাজার দক্ষিণের শহর রাফাহে সর্বাত্মক হামলা এড়াতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ওয়াশিংটনে প্রতিনিধি দল পাঠাতে বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল সোমবার তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই বার্তা পাঠান।  

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্রের লাগাম টানতে এখন পর্যন্ত এটিই বাইডেনের সবচেয়ে স্পষ্ট প্রচেষ্টা। পূর্ণ অভিযান শুরু হলে রাফাহে এরই মধ্যে ব্যাপক প্রাণহানি এবং মানবিক সংকট ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যেতে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বাইডেন। 

পৃথক এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, গাজা হামলায় হামাসের এক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। 

এক মাসেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলার পর বাইডেন এক্স প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে বলেন, ‘আমি (ইসরায়েলের) প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, রাফাহে বড় কোনো স্থল অভিযান ছাড়াই হামাসকে নির্মূল করার উপায়গুলো আলোচনা করতে একটি দল ওয়াশিংটনে পাঠাতে।’

বাইডেন জিম্মি মুক্তি চুক্তির অংশ হিসেবে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি জরুরি, যেন আমরা জিম্মিদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে পারি এবং গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ত্রাণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারি।’

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, এই মুহূর্তে রাফাহে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। এদের বেশির ভাগই ইসরায়েলের অবিরত হামলায় গাজার অন্যান্য অংশ থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষ। 

এর আগেও এক ফোনালাপে নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে বাইডেন বলেছিল, রাফাহে কোনো ধরনের অভিযান চালানো হবে ভুল। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানও সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাফাহে বড় কোনো অভিযান চালানো ভুল হবে। অভিযানের কারণে নিরপরাধ বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে, ইতিমধ্যে ভয়াবহ মানবিক সংকট আরও খারাপ হবে, গাজায় নৈরাজ্য আরও বাড়বে এবং ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিকভাবে আরও বিচ্ছিন্ন করবে।’

সুলিভান বলেন, নেতানিয়াহু ‘হামাসের মূল কাঠামোগুলো লক্ষ্যবস্তু করে বিকল্প পন্থা’ নিয়ে আলোচনা করতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের একটি দল পাঠাতে সম্মত হয়েছেন।

পৃথকভাবে হামাসের তৃতীয় জ্যেষ্ঠ নেতা মারওয়ান ইসার মৃত্যু নিশ্চিত করে সুলিভান বলেন, গত সপ্তাহে এক অভিযানে তাঁকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর আগে ইসরায়েল বলেছিল, গাজায় বিমান হামলায় তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করেনি ইসরায়েল। 

গত ৭ অক্টোবর থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়ে আসছেন বাইডেন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলকে কয়েক শ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু রোধে নেতানিয়াহুর ব্যর্থতা ও ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ক্রমেই বিরক্ত হয়ে উঠেছেন বাইডেন। 

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রেও রাজনৈতিক চাপে পড়েছেন বাইডেন। আরব-আমেরিকান এবং তরুণ ভোটারদের মধ্যে বিরোধিতা আগামী নভেম্বরে তাঁর পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। 

বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপের পর নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি ‘যুদ্ধের সব উদ্দেশ্য অর্জনে ইসরায়েলের প্রতিশ্রুতি’ পুনর্ব্যক্ত করেছেন। উদ্দেশ্য হিসেবে তিনি হামাস নির্মূল, জিম্মি মুক্তি এবং গাজা যেন কখনো ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে না পারে—এর নিশ্চয়তার কথা উল্লেখ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিয়েকে ঐচ্ছিক বিষয় ভাবছে ৩৯ শতাংশ বিবাহযোগ্য ভারতীয়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ভালোবাসা, রোমান্স ও অঙ্গীকার—এ তিন বিষয় নিয়ে আধুনিক ধারণাগুলোর ভেতর সূক্ষ্ম পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে; যা ভবিষ্যতের সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠতার ধরনকে নতুনভাবে গড়ছে।

সম্প্রতি ভারতের ডেটিং অ্যাপ কোয়াককোয়াকের এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতি তিনজন মিলেনিয়াল প্রজন্মের (১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী) একজন মনে করেন, আগামী দশকে বিয়ে ও সম্পর্কের ধারণা একেবারে বদলে যাবে।

ডেটিং অ্যাপটি ভারতের শহর, উপশহর ও গ্রামীণ এলাকার ২২ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ১০ হাজার ৩৪০ জন সক্রিয় ব্যবহারকারীর ওপর এই জরিপ চালায়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আইটি বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্যকর্মী, ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কর্মী, বিক্রয় ও বিপণন কর্মকর্তা, শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কনটেন্ট নির্মাতাসহ নানা পেশার মানুষ রয়েছেন।

জরিপের উদ্দেশ্য—ডিজিটাল যুগে মানুষ কীভাবে আবেগ, সংযোগ ও ঘনিষ্ঠতাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে, তা বোঝা।

অ্যাপটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রবি মিত্তাল বলেন, সম্পর্ক গড়তে ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের প্রতি পাঁচজনের চারজনই এখন নিজেদের সম্পর্কে গভীরভাবে সচেতন। তাঁদের অগ্রাধিকার বদলে যাচ্ছে। তাঁরা বিয়ে বা অঙ্গীকারের বিরুদ্ধে নন; বরং তাঁরা শুধু নিজের জন্য যেটি সবচেয়ে ভালো, সেটি বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা চান—সমাজের নির্ধারিত সময়সূচি বা প্রত্যাশা মেনে নয়।

ব্যক্তিগত পছন্দে পরিণত হচ্ছে বিয়ে

যে বিয়ে একসময় ছিল জীবনের বাধ্যতামূলক বা প্রত্যাশিত পরিণতি, সেটিই এখন পরিণত হচ্ছে ব্যক্তিগত পছন্দে।

জরিপ অনুযায়ী, শহর ও উপশহরের ২৮ বছরের বেশি বয়সী ডেটিং অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৩৯ শতাংশের বেশি মনে করে, বিয়ে আর জীবনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক নয়; এটি এখন ঐচ্ছিক।

ভার্চুয়াল ডেটিংয়ের প্রসারই প্রমাণ করে—মানুষ এখন যেকোনো পরিস্থিতিতেই ভালোবাসতে ও সম্পর্ক গড়তে সক্ষম।

শহরের প্রতি চারজন নারী ব্যবহারকারীর মধ্যে দুজন জানান, এটি আসলে পরিবর্তিত সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা এবং আধুনিক জীবনধারারই প্রতিফলন। এখন আর সম্পর্কের জন্য শারীরিক উপস্থিতি বা আইনি কাগজের প্রয়োজন হয় না।

উদাহরণ হিসেবে অবিনাশের কথা বলা যায়। ২৯ বছর বয়সী এই ব্যক্তি চাকরি করেন। তিনিও এই অ্যাপ ব্যবহার করেন।

অবিনাশ বলেন, ‘আমার কাছে বিয়ে শেষ লক্ষ্য নয়। আমার প্রোফাইলেই এটা স্পষ্ট করে দিয়েছি। আমি খুঁজি আসল সংযোগ আর আন্তরিক অঙ্গীকার। কারণ, সবাই যেমন ভাবে, বিয়ে মানেই নিশ্চয়তা, তা কিন্তু নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন ওমরাহ ভিসা নীতি ঘোষণা করল সৌদি আরব, কার্যকর আগামী সপ্তাহে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৩৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দেশ থেকে ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তির সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও সুশৃঙ্খল করতে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রক ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে। নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, ওমরাহ ভিসার প্রবেশপত্রের বৈধতার সময়কাল তিন মাস থেকে কমিয়ে ইস্যু করার তারিখ থেকে মাত্র এক মাস (৩০ দিন) নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে, এই পরিবর্তনের ফলে ওমরাহ যাত্রীদের সৌদি আরবে অবস্থানের মেয়াদের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। সূত্রের বরাত দিয়ে সৌদি সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া জানিয়েছে, ওমরাহ যাত্রীরা রাজ্যে পৌঁছানোর পর তাঁদের অবস্থানের মেয়াদ আগের মতোই তিন মাস অপরিবর্তিত থাকবে। এই নতুন নীতি আগামী সপ্তাহ থেকে কার্যকর হবে।

নতুন সংশোধিত নিয়মানুযায়ী, ভিসা ইস্যু হওয়ার তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে যদি কোনো ওমরাহ যাত্রী সৌদি আরবে প্রবেশের জন্য নিবন্ধিত না হন বা প্রবেশ না করেন, তবে সেই ভিসাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। এই পদক্ষেপের প্রধান উদ্দেশ্য হলো, ভিসা ব্যবস্থাপনাকে আরও সুগম করা, অপ্রত্যাশিত ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা এবং কেবল প্রস্তুত তীর্থযাত্রীরাই যেন ভিসার সুযোগ নেন, তা নিশ্চিত করা।

ন্যাশনাল কমিটি ফর ওমরাহ অ্যান্ড ভিজিট-এর উপদেষ্টা আহমেদ বাজাইফার আল-আরাবিয়াকে জানিয়েছেন, গ্রীষ্মের সমাপ্তি এবং মক্কা ও মদিনায় আবহাওয়া শীতল হওয়ায় ওমরাহ যাত্রীদের বিশাল ঢেউ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ভিড়কে সুচারুভাবে সামলানো এবং দুই পবিত্র শহরে অতিরিক্ত জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি বৃহত্তর প্রস্তুতির অংশ।

সৌদি গেজেটের তথ্যমতে, চলতি নতুন ওমরাহ মৌসুমের শুরুতে অর্থাৎ গত জুনের প্রথম দিক থেকে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ওমরাহ যাত্রীদের জন্য ৪০ লাখের বেশি ওমরাহ ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে এই রেকর্ড সংখ্যক ভিসা প্রদান পূর্ববর্তী মৌসুমগুলোর পরিসংখ্যানকে উল্লেখযোগ্যভাবে ছাড়িয়ে গেছে।

এর আগে পর্যটন সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে গত মাসে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় একটি ঘোষণা দেয়। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানায়, এখন থেকে সকল প্রকার ভিসাধারী—যার মধ্যে ব্যক্তিগত, ফ্যামিলি ভিজিট, ইলেকট্রনিক ট্যুরিস্ট, ট্রানজিট এবং ওয়ার্ক ভিসাও অন্তর্ভুক্ত—সবাই সৌদি আরবে ওমরাহ পালনের জন্য অনুমতি পাবেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্য অনুযায়ী ওমরাহ যাত্রীদের জন্য প্রক্রিয়া সহজ করা এবং ওমরাহ পরিষেবাগুলোতে প্রবেশাধিকার ব্যাপকভাবে প্রসারিত করার চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয় ওমরাহ যাত্রীদের জন্য ‘নুসুক ওমরাহ প্ল্যাটফর্ম’ ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেছে। এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী ওমরাহ প্যাকেজ বুকিং দিতে, ইলেকট্রনিকভাবে (অনলাইনে) ওমরাহ পালনের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে এবং নিজেদের সুবিধামতো সময় বেছে নিতে পারেন। এই সমন্বিত ডিজিটাল ব্যবস্থা বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের জন্য ওমরাহ পালনকে আরও সহজ, প্রবেশগম্য এবং আধুনিক করবে বলে আশা করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৫৮
কুয়ালালামপুরে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। ছবি: এক্স
কুয়ালালামপুরে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। ছবি: এক্স

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র ১০ বছর মেয়াদি একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে এই কাঠামোগত চুক্তি সই হয়েছে বলে উভয় দেশের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কুয়ালালামপুরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ও ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বৈঠকের পর এই চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। হেগসেথ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেছেন, এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে ‘সমন্বয়, তথ্য আদান-প্রদান ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা’ আরও জোরদার করবে। পাশাপাশি এটি ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও ডিটারেন্স বা উত্তেজনা প্রশমন সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও’ ভূমিকা রাখবে।

চুক্তিটি এমন একসময়ে হলো, যখন দুই দেশ বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। রাশিয়ার জ্বালানি তেল ও অস্ত্র কেনার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সব মিলিয়ে এখন ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক দিয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন।

চুক্তিটি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সম্পর্কের পুরো কাঠামোর জন্য নীতি নির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এক্সে লিখেছেন, ‘কুয়ালালামপুরে হেগসেথের সঙ্গে আমরা বৈঠক হয়েছে। আমরা একটি ১০ বছর মেয়াদি বড় আকারের ভারত-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এটি আমাদের বিদ্যমান প্রতিরক্ষা অংশীদারত্বে নতুন যুগের সূচনা। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে থাকবে। স্বাধীন, উন্মুক্ত ও সুশৃঙ্খল ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের অংশীদারত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

এই চুক্তির বিষয়ে থিঙ্কট্যাংক ইউরেশিয়া গ্রুপের বিশ্লেষক প্রমিত পাল চৌধুরী জানান, চুক্তিটি আসলে জুলাই-আগস্ট মাসেই সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের পাকিস্তান নিয়ে দেওয়া কিছু মন্তব্যে ভারতের অসন্তোষের কারণে বিষয়টি বিলম্বিত হয়। তাঁর মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছে, যা ‘দুই সেনাবাহিনীর সমন্বিত কাজের সক্ষমতা বাড়িয়েছে, প্রযুক্তি বিনিময় সহজ করেছে এবং প্রতিরক্ষা খাতে যৌথ উদ্যোগের সুযোগ সৃষ্টি করেছে’। তিনি আরও বলেন, ‘এই নতুন চুক্তি তিন ক্ষেত্রেই আরও সম্ভাবনার দরজা খুলে দিচ্ছে।’

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় প্রতিরক্ষা বিষয়টি ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে আরও কয়েক বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করবে, যার মধ্যে এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান দেওয়ার সম্ভাবনাও অন্তর্ভুক্ত।

তবে এর পর থেকে ভারতের রুশ জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরতা এবং মস্কোর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনে তাদের অস্বস্তির কথা জানায়। রাশিয়া এখনো ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই নির্ভরতা ধীরে ধীরে কমছে। ভারত এখন নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প বাড়াতে এবং সরবরাহের উৎস বৈচিত্র্যময় করতে চায়।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারত ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা পণ্য কেনা বৃদ্ধি করতে প্রস্তুত। বর্তমানে দুই দেশ উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য আলোচনা চালাচ্ছে। লক্ষ্য, নভেম্বরের মধ্যেই বহু প্রতীক্ষিত একটি বাণিজ্যচুক্তি সম্পন্ন করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিহারে এক কোটি চাকরি, লাখপতি দিদি তৈরি করবে মোদির জোট

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিহারে এনডিএ জোটের ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে নেতারা। ছবি: সংগৃহীত
বিহারে এনডিএ জোটের ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

বিহার বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির এনডিএ জোট তাদের ইশতেহার প্রকাশ করেছে। ভোটের প্রথম ধাপের এক সপ্তাহও বাকি নেই। ঠিক এই সময়ে এসে এই ইশতেহারে এক কোটি সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ভারতের যে রাজ্য থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ কাজের খোঁজে অন্যান্য রাজ্যে যায়, সেখানে এই ঘোষণা বিশাল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ইশতেহারে নারীর ক্ষমতায়নকেও দেওয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। এক কোটি নারীকে ‘লক্ষ্মী দিদি’ বা বছরে এক লাখ টাকা আয়ের উপযুক্ত করে তোলার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। পাশাপাশি চারটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সাতটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।

এনডিএ জোট আরও জানিয়েছে, ৫০ লাখ নতুন পাকা ঘর তৈরি, বিনা মূল্যে রেশন, ১২৫ ইউনিট ফ্রি বিদ্যুৎ, ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনা মূল্যে চিকিৎসা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় সামাজিক নিরাপত্তা পেনশন দেওয়া হবে।

বিহারের রাজধানী পাটনায় আজ শুক্রবার সকালে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ও মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার যৌথভাবে এনডিএ–এর ‘সংকল্প পত্র’ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে বিজেপি, জেডিইউ, চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি ও অন্যান্য দলীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

ইশতেহারে প্রধান প্রতিশ্রুতি—চাকরি। এনডিএ বলেছে, আবার ক্ষমতায় এলে রাজ্যের প্রতিটি যুবককে দক্ষতা অনুযায়ী কাজ দিতে ‘স্কিল সেনসাস’ চালু করা হবে। প্রতিটি জেলায় স্থাপিত হবে ‘মেগা স্কিল সেন্টার।’ এ ছাড়া, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তৈরি হবে ‘স্পোর্টস সিটি’ ও ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’।

‘মুখ্যমন্ত্রীর নারী কর্মসংস্থান প্রকল্পে’ নারীদের দেওয়া হবে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা। এক কোটি নারীকে বছরে এক লাখ আয়ের উপযুক্ত করতে ‘লক্ষ্মী দিদি’ প্রকল্প চালু হবে। পাশাপাশি ‘মিশন কোটিপতি’ উদ্যোগের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের কোটি টাকার ব্যবসায় উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়েছে এনডিএ।

রাজ্যে সাতটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ও ৩ হাজার ৬০০ কিলোমিটার রেলপথ আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাটনা, দারভাঙ্গা, পূর্ণিয়া ও ভাগলপুরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং চারটি শহরে মেট্রো নেটওয়ার্ক স্থাপনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে জোট। এ ছাড়া, প্রতিটি জেলায় ১০টি করে নতুন শিল্পপার্ক ও অন্তত ১০০টি এমএসএমই পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ৫০ হাজার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প স্থাপনের কথাও বলা হয়েছে।

প্রতিরক্ষা করিডর, সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং পার্ক, বিশ্বমানের মেডিসিটি ও প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ গড়ার অঙ্গীকারও করেছে এনডিএ। পাশাপাশি বিহারকে দক্ষিণ এশিয়ার টেক্সটাইল ও সিল্ক হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

সব ফসলের জন্য এমএসপি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি নতুন ‘কারপুরি ঠাকুর কৃষক সম্মান নিধি’ প্রকল্প চালু হবে। এর আওতায় কৃষকেরা পাবেন অতিরিক্ত ৩ হাজার টাকা, অর্থাৎ বছরে মোট ৯ হাজার টাকা। জেলেদের সহায়তাও বাড়ানো হবে ৯ হাজার টাকায়। কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নে ১ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

রাজ্যে তৈরি হবে ‘এডুকেশন সিটি’। বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস খোলার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে এনডিএ। দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘কেজি থেকে পিজি’ পর্যন্ত বিনা মূল্যে ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। স্কুলে মধ্যাহ্নভোজের পাশাপাশি দেওয়া হবে পুষ্টিকর সকালের নাশতা।

তফসিলি জাতির (এসসি) শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি উপবিভাগে আবাসিক স্কুল খোলা হবে। উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত এসসি শিক্ষার্থীদের মাসে ২ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। অনগ্রসর শ্রেণির (ইবিসি) শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তা দেওয়া হবে।

সীতার জন্মস্থানকে ‘সীতাপুরম’ নামে বিশ্বমানের আধ্যাত্মিক শহরে রূপান্তর করা হবে। এ ছাড়া বিষ্ণুপদ ও মহাবোধি করিডর নির্মাণ, রামায়ণ, জৈন, বৌদ্ধ ও গঙ্গা সার্কিট উন্নয়নও এনডিএ–এর ইশতেহারের অন্তর্ভুক্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত