Ajker Patrika

সান ফ্রান্সিসকোর পুলিশকে ‘হত্যাকারী রোবট’ ব্যবহারের অনুমতি

আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫: ১৬
সান ফ্রান্সিসকোর পুলিশকে ‘হত্যাকারী রোবট’ ব্যবহারের অনুমতি

হত্যা করতে সক্ষম এমন রোবট ব্যবহার করতে পুলিশকে অনুমতি দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরের বোর্ড অব সুপারভাইজার। এর ফলে এখন থেকে শহরটির পুলিশ বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিস্ফোরকবাহী রোবট মোতায়েন করতে পারবে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

স্টপ কিলার রোবটস গ্রুপের কর্মকর্তা ক্যাথরিন কনোলি বলেছেন, এই পদক্ষেপ মানুষকে হত্যা থেকে দূরে রাখার সবচেয়ে খারাপ উপায়। সান ফ্রান্সিসকোর পুলিশ বিভাগ (এসএফপিডি) বিবিসিকে বলেছে, তারা বর্তমানে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত কোনো রোবট পরিচালনা করে না। তবে ভবিষ্যতে বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রাণঘাতী অস্ত্রসজ্জিত রোবট ব্যবহার করতে পারে। 

সান ফ্রান্সিসকো পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সহিংস, সশস্ত্র বা বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রোবটগুলোকে বিস্ফোরক দিয়ে সজ্জিত করা হতে পারে। রোবটগুলো সহিংস, সশস্ত্র, বিপজ্জনক ও জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে এমন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে। আইনজীবীরা বলছেন, এই রোবটগুলো শুধু চরম পরিস্থিতিতেই ব্যবহার করা হবে। 

তবে বিরোধীরা এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, এই পদক্ষেপ পুলিশ বাহিনীকে আরও সামরিকীকরণের দিকে নিয়ে যাবে। 

গত মঙ্গলবার নতুন এই ব্যবস্থা অনুমোদনের সময় একটি সংশোধনীও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কেবল অনন্যোপায় হলেই পুলিশ প্রাণঘাতী এসব রোবট ব্যবহার করতে পারবে। এ ছাড়া অল্প কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাই কেবল এ ধরনের রোবট ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবেন। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের প্রাণঘাতী রোবট ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরেও ব্যবহার করা হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে টেক্সাসের ডালাসে পুলিশ একজন স্নাইপারকে হত্যা করতে সি-ফোর বিস্ফোরক দিয়ে সজ্জিত একটি রোবট ব্যবহার করেছিল। 

পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, কোন পরিস্থিতি কখন কতটা চরম আকার ধারণ করতে পারে, তা কোনো নীতি দিয়েই অনুমান করা যায় না। এ জন্য পুলিশকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। 

ফেডারেল সরকার স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সামরিক সরঞ্জাম, ছদ্মবেশী ইউনিফর্ম, বেয়নেট ও সাঁজোয়া যান সরবরাহ করছে। তবে এ বছর ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসনের পাস করা আইনে বলা হয়েছে, নগর পুলিশকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করার কথা বলা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘এপস্টেইন কেলেঙ্কারির’ প্রথম অভিযুক্ত প্রিন্স অ্যান্ড্রু, পরেরজন কি ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
২০০০ সালে মার-এ-লাগোতে (বাঁ দিক থেকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প, মেলানিয়া নাউস (বর্তমানে মেলানিয়া ট্রাম্প), জেফরি এপস্টেইন ও তাঁর সঙ্গী ঘিসলেন ম্যাক্সওয়েল। ছবি: এএফপি
২০০০ সালে মার-এ-লাগোতে (বাঁ দিক থেকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প, মেলানিয়া নাউস (বর্তমানে মেলানিয়া ট্রাম্প), জেফরি এপস্টেইন ও তাঁর সঙ্গী ঘিসলেন ম্যাক্সওয়েল। ছবি: এএফপি

জেফরি এপস্টেইন কেলেঙ্কারির প্রথম শিকার হলেন ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স অ্যান্ড্রু। একসময় মনে করা হতো, অর্থ ও ক্ষমতার নৈকট্যে যাঁদের বাস, তাঁরা হাজার অপরাধ করেও পার পেয়ে যান। কিন্তু বিশ্বজুড়ে সেই সুরক্ষা ব্যবস্থা মনে হয় ভেঙে পড়ছে। এপস্টেইনের জঘন্য কেলেঙ্কারি সেই সত্যকেই তুলে ধরেছে। প্রিন্স অ্যান্ড্রুর পতন সেই সুরক্ষা ব্যবস্থায় প্রথম বড় ধাক্কা। এখন প্রশ্ন—পরেরজন কি ডোনাল্ড ট্রাম্প?

বছরের পর বছর প্রিন্স অ্যান্ড্রু ও এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে নানা গুঞ্জন চললেও অনেকে তা ‘দুর্ভাগ্যজনক বন্ধুত্ব’ বলে এড়িয়ে গেছেন। কিন্তু সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ই-মেইলে দেখা যায়, ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতেও প্রিন্স অ্যান্ড্রু এপস্টেইনকে লিখেছিলেন, ‘যোগাযোগ রাখো, আমরা আবার একসঙ্গে খেলব।’ অথচ প্রিন্স অ্যান্ড্রু সে সময় দাবি করেছিলেন, তিনি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।

তবে এবার সেই যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে থাকার অভিযোগে সাজা হয়েছে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য অ্যান্ড্রু হারিয়েছেন তাঁর ‘প্রিন্স’ উপাধি। রাজা তৃতীয় চার্লস এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। শুধু এখানেই শেষ নয়। অ্যান্ড্রুকে তাঁকে উইন্ডসরে বরাদ্দ দেওয়া রাজকীয় বাসভবনও ছাড়তে হবে। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই তীব্র সমালোচনার মধ্যে আছেন অ্যান্ড্রু। আর এ অবস্থায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

এপস্টেইনের জগৎ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং ক্ষমতা ও যৌন বিকৃতির এক নোংরা নেটওয়ার্ক। ব্যক্তিগত বিমান ‘ললিতা এক্সপ্রেসে’ রাজনীতিক, বিজ্ঞানী, ধনকুবের ও রাজপুত্রদের নিয়ে এপস্টেইন তাঁর ব্যক্তিগত দ্বীপে যেতেন। ওই দ্বীপ ছিল এক নিস্তব্ধ অপরাধের রাজ্য।

এপস্টেইনের কক্ষপথে যারা ছিলেন, তাদের মধ্যে বিল ক্লিনটন, অ্যালান ডারশোভিটস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো ব্যক্তিরা রয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে বিস্ফোরক সংযোগটি হলো ট্রাম্পের সঙ্গে। ২০০২ সালের এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি জেফকে ১৫ বছর ধরে চিনি। দারুণ লোক। তাঁর সঙ্গে থাকাটা খুব মজার। আমার মতো সেও কম বয়সী সুন্দরী মেয়েদের পছন্দ করে।’

এতে প্রমাণিত হয়, ট্রাম্পের সঙ্গেও এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এ ছাড়া এই সম্পর্ক প্রমাণের জন্য আরও যথেষ্ট প্রমাণ ও ছবি আছে। ফলে ২৩ বছর আগে ট্রাম্পের বক্তব্যটি এখন এপস্টেইনের অপরাধ জগৎ নিয়ে আলোচনার আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার মতো।

একসময় ধনসম্পদ ও পদমর্যাদা ছিল আইনের হাত থেকে রক্ষার ঢাল। এখন তাই হয়ে উঠছে সবচেয়ে বড় দায়। মার্কিন আইন বিশেষজ্ঞ মারসি হ্যামিলটন সম্প্রতি তাঁর এক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি আর গোপন রাখা সম্ভব নয়।’

সাংবাদিক ক্যারোল ক্যাডওয়ালাডার বলেন, ‘প্রিন্স অ্যান্ড্রু প্রথম, তবে শেষ নন। এপস্টেইনের বিশাল নেটওয়ার্কে আরও অনেকেই জড়িত।’

লেখক ও সাংবাদিক মাইকেল উলফ বলেন, ‘আমি চাই, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। এপস্টেইনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের সমস্ত বিবরণ জানতে চাই।’

যদিও এখন পর্যন্ত এপস্টেইন কেলেঙ্কারির কোনো মামলায় সরাসরি ট্রাম্পকে জড়ানো হয়নি। তবে এপস্টেইন-সম্পর্কিত নথি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ ধীরে ধীরে সেই আচ্ছাদন সরিয়ে দিচ্ছে। ক্ষমতার আভা যত ক্ষীণ হচ্ছে, তত বাড়ছে বিচারের চাপ।

এখন প্রশ্ন শুধু পরেরজন কে এটা জানাই নয়, মার্কিন বিচার বিভাগ কি একজন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তদন্ত করার সাহস দেখাবে? সংবাদমাধ্যম কি প্রিন্স অ্যান্ড্রুর মতো একইভাবে ট্রাম্পকেও প্রশ্ন করবে?

এপস্টেইন কেলেঙ্কারি এখনো শেষ হয়নি, বরং আরও ছড়িয়ে পড়ছে। নতুন করে প্রকাশিত প্রতিটি নথি, প্রতিটি নাম, সেই পুরোনো প্রভাবশালী শ্রেণির নৈতিক অবক্ষয়েরই উন্মোচন করছে। প্রিন্স অ্যান্ড্রুর পতন যেন তারই সতর্কবার্তা।

দ্য মিডল ইস্ট মনিটর থেকে অনূদিত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুতিন আনলেন নতুন পারমাণবিক অস্ত্র ‘পসাইডন’, ইইউর ঘুম হারাম

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

মস্কোর একটি হাসপাতালে গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) ইউক্রেন যুদ্ধে আহত রুশ সৈন্যদের দেখতে গিয়েছিলেন পুতিন। এ সময় তিনি জানান, রাশিয়া সফলভাবে ‘পসাইডন’ নামের একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালিয়েছে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই অস্ত্র বিশাল তেজস্ক্রিয় সমুদ্রঢেউ তৈরি করে উপকূলীয় অঞ্চলকে ধ্বংস করতে সক্ষম।

পুতিন বলেন, ‘এর মতো অস্ত্র বিশ্বের আর কোথাও নেই।’ প্রাচীন গ্রিক পুরাণের সমুদ্রদেবতা পসাইডনের নামে নামকরণ করা এই টর্পেডো সম্পর্কে খুব বেশি বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। তবে এটি মূলত একটি পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন টর্পেডো এবং ড্রোনের সংমিশ্রণ। রুশ পার্লামেন্টের এক জ্যেষ্ঠ সদস্যের ভাষায়, ‘পুরো একটি রাষ্ট্রকে অচল করে দিতে সক্ষম এই অস্ত্র।’

২০১৮ সালে প্রথমবার এই অস্ত্রের কথা প্রকাশ্যে আসে। সে সময় রুশ গণমাধ্যমের দাবি ছিল, পসাইডন প্রতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে এবং এটি এমনভাবে রুট পরিবর্তন করতে পারে যে তাকে আটকানো ‘অসম্ভব’।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর ‘বুরেভেস্তনিক’ নামের নতুন এক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। রাশিয়ার বর্ণনা অনুযায়ী, ৯এম-৭৩০ বুরেভেস্তনিক (ন্যাটো নাম এসএসসি-এক্স-৯ স্কাইফল) হলো এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র, যাকে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের কোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থাই আটকাতে পারবে না। পুতিনের ভাষায়, ‘এটি এক অনন্য অস্ত্র, যা আর কোনো দেশের কাছে নেই।’

তবে রাশিয়ার জন্য নতুন অস্ত্র পরীক্ষা করা বা সেগুলোকে প্রচার করা নতুন কিছু নয়। বিশ্লেষকদের মতে, প্রকৃতপক্ষে এসব অস্ত্রের সামরিক মূল্য নিয়ে প্রশ্ন আছে।

রাশিয়া-বিশেষজ্ঞ মার্ক গ্যালিওটি বিবিসিকে বলেন, এসব মূলত পৃথিবী ধ্বংসকারী ‘আর্মাগেডন অস্ত্র’। এসব অস্ত্র কেবল তখনই ব্যবহার করা যায়, যখন আপনি পুরো বিশ্বকে ধ্বংস করতে চাইবেন।’

প্রসঙ্গত, ‘আর্মাগেডন’ একটি হিব্রু শব্দ, যার অর্থ ‘পৃথিবীর শেষ সময়ে একটি ভয়ংকর যুদ্ধ’। অর্থাৎ ‘আর্মাগেডন অস্ত্র’ বলতে সেই অস্ত্রগুলোকে বোঝায়, যার ব্যবহারে পুরো পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

গ্যালিওটি জানান, পসাইডন ও বুরেভেস্তনিক দুটি এই ধরনের অস্ত্র। সেই সঙ্গে এগুলো ‘সেকেন্ড-স্ট্রাইক’ অস্ত্র, যা শুধু প্রতিশোধমূলক ব্যবহারের জন্য তৈরি।

তবে এই অস্ত্রগুলো আদৌ কার্যকর কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ২০১৯ সালে একটি রকেট ইঞ্জিন বিস্ফোরণে পাঁচজন রুশ পারমাণবিক প্রকৌশলী মারা গিয়েছিলেন। ধারণা করা হয়, এই রকেট ইঞ্জিন বুরেভেস্তনিকের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।

লন্ডনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস) তথ্যমতে, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পারমাণবিক প্রোপালশন ইউনিটের কর্মক্ষমতা নিয়ে নানান ধরনের ‘প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ’ আছে। আইআইএসএসের তথ্যমতে, এই জায়গায় রাশিয়ার এখনো ‘অনেক ঘাটতি’।

২০১৮ সালে পুতিন ‘অজেয়’ অস্ত্রের তালিকায় পসাইডন ও বুরেভেস্তনিকের নাম ঘোষণা করেছিলেন। প্রায় সাত বছর পর, আবারও এসব অস্ত্র নিয়ে নতুন করে আলোচনায় পুতিন। প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ কেন আবার এসব অস্ত্র নিয়ে আলোচনা হচ্ছে? এত দিন পর কি তবে রাশিয়া সফল হলো? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দুটি অস্ত্র নিয়ে পুতিনের ঘোষণা যতটা না নতুন, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক।

কয়েক মাস ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংলাপের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু এখন সেই কূটনৈতিক উদ্যোগ কার্যত ভেস্তে গেছে।

এরপর হাঙ্গেরিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠক হঠাৎ বাতিল করে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, মস্কো ও ওয়াশিংটনের অবস্থান এতটাই ভিন্ন যে এই বৈঠকে কোনো কার্যত কোনো ফল আসত না। এর পরপরই ট্রাম্প রাশিয়ার দুই বৃহৎ তেল কোম্পানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে পুতিন হয়তো ট্রাম্পের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই নতুন অস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছেন। রাশিয়া-বিশেষজ্ঞ মার্ক গ্যালিওটি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কখনো ইউক্রেনের প্রতি সহানুভূতিশীল, আবার কখনো রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। এমন দোলাচালে পুতিনের কাছে এই অস্ত্রগুলো দেখানো হলো শক্তির প্রদর্শন।’

এদিকে, ইউক্রেন আক্রমণের সাড়ে তিন বছরেও বড় কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি রুশ বাহিনী। বিপুল প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির মধ্যেও যুদ্ধ স্থবির।

ম্যাকেঞ্জি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসেসের গোয়েন্দা প্রধান ডেভিড হিথকোট বিবিসিকে বলেন, ‘গ্রীষ্মকালীন যুদ্ধ মৌসুমের শেষের দিকে এসে রাশিয়ার পরিস্থিতি ভালো নয়। তাই এই ধরনের অস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণাকে তাদের প্রচলিত সেনাশক্তির দুর্বলতার প্রতিফলন হিসেবেই দেখা উচিত।’

তাঁর মতে, ‘রাশিয়া যখনই সংকটে পড়ে, তখনই অপ্রয়োজনীয় ও অতিরঞ্জিত সামরিক হুমকি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়।’

অবশ্য পুতিনের এমন হুমকিতে কাজ হয়েছে। ৩৩ বছর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেনাবাহিনীকে আবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যেহেতু অন্যরাও পরীক্ষা চালাচ্ছে, আমাদেরও করা উচিত।’ তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের পরীক্ষা শুরু হতে কয়েক মাস সময় লাগবে। আবার ট্রাম্প কী ধরনের অস্ত্র পরীক্ষার কথা বলেছেন, সে বিষয়েও বিস্তারিত জানাননি।

ট্রাম্পের নির্দেশের পর ক্রেমলিন দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, রাশিয়ার এই পরীক্ষাগুলো ‘কোনোভাবেই পারমাণবিক পরীক্ষা হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায় না’, বরং এগুলো ছিল পারমাণবিক ওয়্যারহেড বহনে সক্ষম ডেলিভারি সিস্টেমের পরীক্ষা।

তবে আইআইএসএসের কৌশল ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান ড. আলেকজান্ডার বোলফ্রাস বলেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত সম্ভবত সরাসরি রাশিয়ার বুরেভেস্তনিক পরীক্ষার প্রতিক্রিয়া। যুক্তরাষ্ট্রও এখন একই ধরনের আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষার পরিকল্পনা করছে। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে, মস্কোর ঘোষণা ট্রাম্পকে উসকে দিয়েছে। এদিকে, পুতিনের হুমকিতে ঘুম হারাম হয়ে গেছে ইউরোপের। ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে তটস্থ ইউরোপ এখন এক নতুন সংকটে।

কিন্তু আসলেই কি পুতিনের রাশিয়া পসাইডন বা বুরভেস্তনিকের মতো বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে? নাকি পুতিন শুধু হুমকি দিয়েই পুরো বিশ্বকে জানান দিয়েছেন, ‘আমাদের এগুলো আছে, আমরা এটা করতে পারি’? সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও আন্তর্জাতিক দর-কষাকষির প্রেক্ষাপটে মস্কোর সামরিক সক্ষমতা দেখানো একটি রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া আর কিছু নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ল্যুভরের পর এবার ফ্রান্সের সোনার কারখানায় চুরি, ৬ জন আটক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
লিওঁ শহরে এক সোনার কারখানায় এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। ছবি: এএফপি
লিওঁ শহরে এক সোনার কারখানায় এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। ছবি: এএফপি

ল্যুভর মিউজিয়ামে দুঃসাহসী চুরির পর আবারও ফ্রান্সে ঘটল চুরির ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার দেশটির লিওঁ শহরে এক মূল্যবান ধাতুর কারখানায় এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার চোরেরা বিস্ফোরক ব্যবহার করে পুরকুয়ের ল্যাবরেটরিজ নামে ওই কারখানায় প্রবেশ করে। সেখান থেকে তারা ১২ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৭ কোটি টাকা) মূল্যের জিনিসপত্র চুরি করে।

লিওঁতে ডাকাতির ঘটনাটির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, ওই কারখানার কাছে দুটি লোক একটি সাদা ভ্যানের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। একজনকে কারখানাটির সীমানার ওপর একটি মই রাখতে এবং তা বেয়ে উঠতে দেখা যায়।

অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছে এবং ভ্যানটির পিছনের দরজা খুলছে। আরেকজন গাড়িতে কিছু ব্যাগ তুলে রাখছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা এএফপি সংবাদ সংস্থাকে জানান, তিনি বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এটি সত্যিই ভয়াবহ ছিল।’

কর্মকর্তারা এএফপিকে জানান, পুরকুয়ের ল্যাবরেটরিজ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের পাঁচ কর্মী বিস্ফোরণে সামান্য আহত হয়েছেন।

কর্তৃপক্ষের দাবি, ঘটনার পরপরই পুলিশ ধাওয়া করে চোরদের ধরে ফেলে এবং চুরি হওয়া মালামাল জব্দ করে।

পুলিশ জানিয়েছে, আটকদের একজন নারীও রয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে অ্যাসাল্ট রাইফেল এবং বিস্ফোরকও জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে, প্যারিসের ল্যুভরের ঘটনায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে দাঁড়িয়েছে।

গত ১৯ অক্টোবর, চারজন সন্দেহভাজন যান্ত্রিক লিফট ব্যবহার করে মিউজিয়ামের গ্যালারি অব অ্যাপোলোতে প্রবেশ করে। তারা ডিস্ক কাটার ব্যবহার করে রাজকীয় অলঙ্কার রাখা ডিসপ্লে কেসগুলো ভেঙে ৮৮ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৮৫৭ কোটি টাকা) মূল্যের জিনিস নিয়ে পালিয়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিরোধীদের রক্ত ঝরিয়ে তানজানিয়াতে ফের ক্ষমতায় সামিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ০৭
নির্বাচনে ৩২ মিলিয়ন ব্যালটের ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সামিয়া। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচনে ৩২ মিলিয়ন ব্যালটের ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সামিয়া। ছবি: সংগৃহীত

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় নির্বাচনপরবর্তী অস্থিরতার মধ্যেই খবর এলো ক্ষমতায় বহাল থাকছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান। নির্বাচন কমিশনের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বুধবারের নির্বাচনে ৩২ মিলিয়ন ব্যালটের ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সামিয়া। অর্থাৎ প্রায় সব ভোটই তাঁর পক্ষে গেছে।

এদিকে নির্বাচনের স্বচ্ছতার অভাব ও ব্যাপক সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা। তাদের দাবি, নির্বাচনপরবর্তী অস্থিরতায় শত শত মানুষ নিহত এবং আরও শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকার সহিংসতার মাত্রা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী কারফিউয়ের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে ফলাফল ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনের প্রধান জ্যাকবস মওয়ামবেগেলে বলেন, ‘চামা চা মাপিন্দুজি (সিসিএম) দলের প্রার্থী সামিয়া সুলুহু হাসান তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বলে ঘোষণা করছি।’

তানজানিয়ার আধা-স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপপুঞ্জ জাঞ্জিবারে নিজস্ব সরকার ও নেতা নির্বাচিত হয়। সেখানেও সিসিএম প্রার্থী এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট হুসেইন মউইনি প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।

জাঞ্জিবারে বিরোধীরা ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনেছে বলে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-এর প্রতিবেদনে জানা গেছে।

বুধবার নির্বাচন হলেও গতকাল শুক্রবারও বাণিজ্যিক রাজধানী দার এস সালামসহ তানজানিয়ার বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ অব্যাহত ছিল। সেনাবাহিনী প্রধানের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা সড়কে নেমে সামিয়া সুলুহু হাসানের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। পুলিশ ও ভোটকেন্দ্রে হামলা চালায়। এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয় তরুণ প্রতিবাদকারীরা, যারা নির্বাচনের ফলাফলকে অন্যায্য ও অগণতান্ত্রিক বলে নিন্দা করেন।

তাদের অভিযোগ, সরকার গণতন্ত্রকে খর্ব করছে। প্রধান বিরোধী নেতাদের একজন জেলে বন্দি এবং আরেকজনকে প্রযুক্তিগত কারণ দেখিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

শুক্রবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চাদেমা দলের মুখপাত্র জন কিতোকা বলেন, দার এস সালামে প্রায় ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং মওয়ানজায় নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে তানজানিয়ায় অবস্থানরত এক কূটনৈতিক সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, অন্তত ৫০০ জনের মৃত্যুর বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।

এই সহিংসতাকে ‘কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে চিহ্নিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ কম্বো থাবিত বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত দ্রুত ও দৃঢ়ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে।’

এই নির্বাচনে মূলত দুইজন প্রধান বিরোধী প্রার্থী ছিলেন তুনদু লিসু ও লুহাগা এমপিনা। এর মধ্যে লিসু রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আটক রয়েছেন যদিও তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে এসি-টি ওয়াজালেন্দো দলের এমপিনাকে আইনি জটিলতার কারণে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

এছাড়া আরও ১৬টি ছোট দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমতি পেয়েছিল, যাদের ঐতিহাসিকভাবে উল্লেখযোগ্য জনসমর্থন নেই।

সামিয়ার ক্ষমতাসীন দল সিসিএম শুরু থেকেই দেশের রাজনীতিতে আধিপত্য বজায় রেখেছে এবং স্বাধীনতার পর থেকে কখনোই কোনো নির্বাচনে হারেনি।

নির্বাচনের আগে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো সরকারের দমন-পীড়নের নিন্দা করে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিরোধী দলের নেতাদের জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ‘ভয়াবহতার ঢেউ’-এর কথা উল্লেখ করে।

সরকার এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে এবং কর্মকর্তারা নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে জানিয়েছিলেন।

২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির মৃত্যুর পরে তানজানিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন সামিয়া সুলুহু হাসান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে কড়াকড়ি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত