যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে নেওয়া কিছু পদক্ষেপের জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রেহাই দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। তবে তাঁর এমন দায়মুক্তিকে ‘বিপজ্জনক নজির’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত সোমবার তিনি বলেন, এই আংশিক দায়মুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জো বাইডেন বলেন, ‘যে মূলনীতির ওপর এই জাতি প্রতিষ্ঠিত, তা হলো—যুক্তরাষ্ট্রে কোনো রাজা থাকবে না। আইনের সামনে দেশের প্রত্যেক নাগরিক সমান। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন; এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও নন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তা শুধু বিচারব্যবস্থার জন্য একটি বিপজ্জনক নজিরই নয়, বরং এটি আমাদের জনগণের জন্যও ক্ষতিকর। কেননা জনগণ দেখছে, একজন ব্যক্তি, যিনি ক্যাপিটল হিলে হামলার জন্য নিজের অনুসারীদের পাঠিয়েছিলেন, তিনি দায়মুক্তি ভোগ করছেন। সুপ্রিম কোর্টের উচিত এই রায়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের কাছে জবাবদিহি করা।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২০ সালের নির্বাচনেও তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, তবে সে সময় ট্রাম্প ছিলেন প্রেসিডেন্ট।
২০২০ সালের নির্বাচনে ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা, যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলায় উসকানি, পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুষ দেওয়া, কর ফাঁকি এবং রাষ্ট্রের গোপন নথি সরানোর অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টসহ বিভিন্ন আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা চলছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া কর ফাঁকি, সম্পদের তথ্য গোপন এবং ২০১৫ সালের নির্বাচনের আগে স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ প্রদানের ঘটনায় নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের জেলা আদালতে ইতিমধ্যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। সেসব অভিযোগের বিচারকাজও চলছে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির বেঞ্চ যে রায় ঘোষণা করেছেন—তাতে বলা হয়েছে, দেশের প্রেসিডেন্টের পদে থাকা অবস্থায় যেসব দাপ্তরিক অপরাধমূলক পদক্ষেপ ট্রাম্প নিয়েছেন, সেসবের ক্ষেত্রে দায়মুক্তি ভোগ করবেন তিনি। তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে যেসব অপতৎপরতার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে, সেসবের জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে হবে তাঁকে। এক্ষেত্রে কোনো সুবিধা তিনি পাবেন না।
এই রায়ের ফলে ২০২০ সালের নির্বাচনে ফলাফল পাল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে সংশ্লিষ্টতা, ক্যাপিটল হিলে হামলার উসকানি দেওয়া এবং রাষ্ট্রের গোপন তথ্য সরানোর অভিযোগ-সংক্রান্ত যেসব মামলার বিচারকাজ বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে চলমান রয়েছে, সেগুলো এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফের নিম্ন আদালতে চলে যাবে।
এতে এসব মামলার বিচারপ্রক্রিয়া একটি দীর্ঘসূত্রতার মধ্যে পড়বে এবং আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে তা রাজনৈতিকভাবে ট্রাম্পের জন্য সুবিধাজনক হবে। যদি নির্বাচনের আগেই এসব মামলার রায় ঘোষণা করা হতো, তাহলে তা নির্বাচনে ট্রাম্পের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করত।
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে ট্রাম্পের কাছে ধরাশায়ী হয়ে এমনিতেই বিপাকে রয়েছেন বাইডেন। এমন পরিস্থিতিতে গত শনিবার একাধিক অনুষ্ঠানে তহবিলদাতাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন বাইডেন। এর মধ্যেই সোমবার সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক ট্রাম্পের দায়মুক্তির প্রতিক্রিয়ায় বাইডেন বলেন, এই রায় আইনের শাসনকে ক্ষুণ্ন করেছে এবং এটি আমেরিকানদের জন্য এক ভয়ানক ক্ষতি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে নেওয়া কিছু পদক্ষেপের জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রেহাই দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। তবে তাঁর এমন দায়মুক্তিকে ‘বিপজ্জনক নজির’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত সোমবার তিনি বলেন, এই আংশিক দায়মুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জো বাইডেন বলেন, ‘যে মূলনীতির ওপর এই জাতি প্রতিষ্ঠিত, তা হলো—যুক্তরাষ্ট্রে কোনো রাজা থাকবে না। আইনের সামনে দেশের প্রত্যেক নাগরিক সমান। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন; এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও নন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তা শুধু বিচারব্যবস্থার জন্য একটি বিপজ্জনক নজিরই নয়, বরং এটি আমাদের জনগণের জন্যও ক্ষতিকর। কেননা জনগণ দেখছে, একজন ব্যক্তি, যিনি ক্যাপিটল হিলে হামলার জন্য নিজের অনুসারীদের পাঠিয়েছিলেন, তিনি দায়মুক্তি ভোগ করছেন। সুপ্রিম কোর্টের উচিত এই রায়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের কাছে জবাবদিহি করা।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২০ সালের নির্বাচনেও তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, তবে সে সময় ট্রাম্প ছিলেন প্রেসিডেন্ট।
২০২০ সালের নির্বাচনে ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা, যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলায় উসকানি, পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুষ দেওয়া, কর ফাঁকি এবং রাষ্ট্রের গোপন নথি সরানোর অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টসহ বিভিন্ন আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা চলছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া কর ফাঁকি, সম্পদের তথ্য গোপন এবং ২০১৫ সালের নির্বাচনের আগে স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ প্রদানের ঘটনায় নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের জেলা আদালতে ইতিমধ্যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। সেসব অভিযোগের বিচারকাজও চলছে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির বেঞ্চ যে রায় ঘোষণা করেছেন—তাতে বলা হয়েছে, দেশের প্রেসিডেন্টের পদে থাকা অবস্থায় যেসব দাপ্তরিক অপরাধমূলক পদক্ষেপ ট্রাম্প নিয়েছেন, সেসবের ক্ষেত্রে দায়মুক্তি ভোগ করবেন তিনি। তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে যেসব অপতৎপরতার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে, সেসবের জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে হবে তাঁকে। এক্ষেত্রে কোনো সুবিধা তিনি পাবেন না।
এই রায়ের ফলে ২০২০ সালের নির্বাচনে ফলাফল পাল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে সংশ্লিষ্টতা, ক্যাপিটল হিলে হামলার উসকানি দেওয়া এবং রাষ্ট্রের গোপন তথ্য সরানোর অভিযোগ-সংক্রান্ত যেসব মামলার বিচারকাজ বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে চলমান রয়েছে, সেগুলো এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফের নিম্ন আদালতে চলে যাবে।
এতে এসব মামলার বিচারপ্রক্রিয়া একটি দীর্ঘসূত্রতার মধ্যে পড়বে এবং আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে তা রাজনৈতিকভাবে ট্রাম্পের জন্য সুবিধাজনক হবে। যদি নির্বাচনের আগেই এসব মামলার রায় ঘোষণা করা হতো, তাহলে তা নির্বাচনে ট্রাম্পের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করত।
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে ট্রাম্পের কাছে ধরাশায়ী হয়ে এমনিতেই বিপাকে রয়েছেন বাইডেন। এমন পরিস্থিতিতে গত শনিবার একাধিক অনুষ্ঠানে তহবিলদাতাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন বাইডেন। এর মধ্যেই সোমবার সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক ট্রাম্পের দায়মুক্তির প্রতিক্রিয়ায় বাইডেন বলেন, এই রায় আইনের শাসনকে ক্ষুণ্ন করেছে এবং এটি আমেরিকানদের জন্য এক ভয়ানক ক্ষতি।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু করলেন প্রাক্তন বিজেডি নেতা পিনাকী মিশ্রকে বিয়ে করে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের উপস্থিতিতে জার্মানির বার্লিনে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। অনেকেই জানতে চাইছেন—কে এই পিনাকী মিশ্র, যিনি মহুয়ার সঙ্গী হলেন জীবনের পথে?
৪ মিনিট আগেশনিবার সান বার্নার্ডিনো কাউন্টি থেকে ন্যাশনাল গার্ডের প্রথম দলটি ক্যালিফোর্নিয়ায় পৌঁছায়। বর্তমানে তারা শহরের সবচেয়ে বড় আটক কেন্দ্রের (মেট্রোপলিটন ডিটেনশন ক্যাম্প এলএ) বাইরে জড়ো হচ্ছে। অবৈধ অভিবাসীদের আটকের পর এখানেই রাখা হয় বলে জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেবলিউডের ক্ল্যাসিক ‘রাত কে হামসফর’ গানের সঙ্গে নেচেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি মহুয়া মৈত্র ও বিজু জনতা দল (বিজেডি) নেতা পিনাকী মিশ্র। জার্মানির বার্লিনে এই দম্পতির বিয়ের অনুষ্ঠানে তাঁরা এই নৃত্য করেন।
১ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারে ইয়াংগুনের ইউনিভার্সিটি অ্যাভিনিউ সড়কের ঐতিহাসিক ৫৪ নম্বর প্লটটি মূলত দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির বাড়ি হিসেবেই বিশ্বজুড়ে পরিচিত। কিন্তু উত্তরাধিকার সূত্রের এই বাড়িটির একটি অংশ বিক্রির জন্য অনুমতি চেয়ে সম্প্রতি আবেদন করেছেন সুচির বড় ভাই অং সান ও।
১ ঘণ্টা আগে