Ajker Patrika

অনিয়মের অভিযোগে মার্কিন কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার জর্জ স্যান্টোস

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১: ১০
Thumbnail image

অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও কয়েক ডজন ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন জর্জ স্যান্টোস। গতকাল শুক্রবার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের প্রতিনিধি পরিষদের ভোটে কংগ্রেসের সদস্যপদ হারিয়েছেন তিনি।

ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান পার্টির এই নেতা হলেন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ থেকে বহিষ্কার হওয়া ইতিহাসের ষষ্ঠ আইনপ্রণেতা, আর ২০০২ সালের পর প্রথম। জর্জ স্যান্টোসকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাবের পক্ষে ৩১১ এবং বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১১৪ জন।

হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে জর্জ স্যান্টোসের পুরো সময়কাল জুড়েই ছিল অনেকগুলো মিথ্যা তথ্য ও জালিয়াতির অভিযোগ। তাকে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ থেকে অপসারণের জন্য শুক্রবারের ভোটের আগেও দুবার চেষ্টা করা হয়েছিল। ডেমোক্রেটিক পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়ায় সেগুলো সফল হয়নি।

২০২২ সালে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের সদস্য নির্বাচিত হন জর্জ স্যান্টোস। এরপর থেকেই বিভিন্ন অভিযোগে রিপাবলিক ও ডেমোক্র্যাট-উভয় শিবির থেকেই তার সদস্যপদ বাতিলের আহ্বান জানান হয়। ২০২২ সালের নভেম্বরে কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরই নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে ওয়াল স্ট্রিট ক্যারিয়ার, তার কলেজ ডিগ্রি এবং ইহুদি পরিচয় সম্পর্কে মিথ্যা তথ্যের অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগের স্তূপ এরপর কেবল বাড়তেই থাকে। পেনসিলভেনিয়ায় অ্যামিশ কুকুরের প্রজননকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করা থেকে শুরু করে ৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলায় নিজের মা মারা যাওয়ার দাবি করা পর্যন্ত নানা ধরনের বানোয়াট অভিযোগ আনা হয়েছে। গত মে মাসে তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, মানি লন্ডারিং এবং সরকারি তহবিল চুরি সহ ২৩টি অভিযোগ আনা হয়। তিনি সেসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানান।

তবে চূড়ান্ত আঘাতটি আসে গত নভেম্বরে। নিম্নকক্ষের নৈতিকতা কমিটি দেখতে পায় যে, জর্জ সান্তোস নিজের ব্যক্তিগত আর্থিক লাভের জন্য তার সদস্যপদকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছেন। এতসব অভিযোগের মধ্যে জর্জ স্যান্টোসের বিরুদ্ধে চিকিৎসা, ক্রেডিট কার্ডের ঋণ পরিশোধ, ‘অনলি ফ্যানস’ নামক একটি প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ এবং নিউইয়র্কের হ্যাম্পটন সমুদ্রতীরে ভ্রমণের জন্য নির্বাচনী প্রচারণার অর্থ খরচের অভিযোগ তোলা হয়।

মূলত, নৈতিকতা কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের পরই স্যান্টোসের সংকট বাড়ে। চাপের মুখে তিনি আর পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না বলে ঘোষণা দেন। সব অভিযোগে আগামী বছর তার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত