Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্রে মরে গিয়েও বেঁচে আছে ২ কোটি মানুষ!

অনলাইন ডেস্ক
ইলন মাস্ক। ছবি: এএফপি
ইলন মাস্ক। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রে মরে গিয়েও বেঁচে আছেন প্রায় ২ কোটি মানুষ। এমনটাই দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের প্রধান ইলন মাস্ক। তবে তাঁর দাবিকে, ঠিক আক্ষরিক অর্থে বিবেচনা করবেন না। কারণ, মাস্ক বলতে চেয়েছেন—এই লোকগুলো আসলেই মরে গেছেন, কিন্তু সামাজিক নিরাপত্তা ডেটাবেইসে তাঁরা এখনো জীবিত হিসেবেই নথিবদ্ধ।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইলন মাস্ক গতকাল সোমবার সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে এই বিতর্কিত দাবি করেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সুবিধাভোগী কর্মসূচিগুলোকে ব্যাপক জালিয়াতিতে ভরা বলে অভিহিত করেন। তিনি সরকারি ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে এসব কর্মসূচিতে কাটছাঁট করার কথা জানিয়েছেন।

টেসলা, স্পেসএক্স, স্টারলিংক এবং এক্সের মালিক এই বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা দাবি করেছেন, ৫০০ থেকে ৭০০ বিলিয়ন ডলার অপচয় বন্ধ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘ফেডারেল ব্যয়ের অধিকাংশই সামাজিক সুবিধা কর্মসূচির জন্য যায়। এটিই সবচেয়ে বড় খাত, যেটা বাদ দেওয়া উচিত।’

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিদর্শক সংস্থা ও অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের তথ্যের তুলনায় মাস্কের দাবি অনেক বেশি অতিরঞ্জিত। ফেডারেল পর্যবেক্ষক সংস্থার মতে, ২০১৫ থেকে ২০২২ অর্থবছরের মধ্যে অনিয়মিত অর্থ প্রদানের পরিমাণ ছিল ৭১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার, যা সেই সময়ের মোট প্রদত্ত সুবিধার ১ শতাংশেরও কম।

মাস্ক আরও দাবি করেছেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা ডেটাবেইস বা তথ্যভান্ডারে ২ কোটি মৃত ব্যক্তি জীবিত হিসেবে তালিকাভুক্ত আছেন।’ তবে সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার লি ডুডেক বলেছেন, ‘এই ব্যক্তিদের সবাই সুবিধাভোগী নয়।’

ফক্স বিজনেসে দেওয়া এই সাক্ষাৎকার মাস্কের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির প্রতি গভীর সংশয় এবং বৈরিতার পরিচায়ক। এই কর্মসূচির আওতায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং কিছু শিশুকে মাসিক ভাতা দেওয়া হয়। ট্রাম্প এই কর্মসূচিকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিলেও, মাস্ক এটিকে ‘এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় পনজি স্কিম’ বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং তাঁর প্রশাসন এরই মধ্যে সংস্থাটির কিছু অফিস বন্ধ করে দিয়েছে।

সোমবার মাস্ক বলেন, ‘ফেডারেল সামাজিক সুবিধা কর্মসূচিগুলো এমন একটি ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে ডেমোক্র্যাটরা অবৈধ অভিবাসীদের আকৃষ্ট ও ধরে রাখছে, মূলত তাদের এখানে আসার জন্য টাকা দিয়ে এবং পরে তাদের ভোটার বানিয়ে।’ তাঁর এই বক্তব্য তথাকথিত ‘গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ তত্ত্বেরই প্রতিধ্বনি। যেখানে দাবি করা হয় যে, রাজনীতিবিদরা দেশের জনতাত্ত্বিক কাঠামো পরিবর্তন করে নিজেদের ক্ষমতা সুসংহত করতে চান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত