আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আর্কটিক এবং উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলে, বিশেষ করে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডেনমার্ক বিশাল প্রতিরক্ষা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। মোট ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের এই প্যাকেজে দুটি প্রধান খাত নির্ধারণ করা হয়েছে। এর একটি হলো—আর্কটিক নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ। অপরটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ১৬টি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়।
এই নতুন ১৬টি বিমান যোগ হলে ডেনমার্কের এফ-৩৫ বিমানের মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৩ টি। ডেনমার্কের এই উদ্যোগ ন্যাটোর উত্তর প্রান্তের বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে নতুন স্তরে নিয়ে যাবে।
গতকাল শুক্রবার ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রয়েলস লুন্ড পউলসেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই বিশাল সামরিক বিনিয়োগ চুক্তির মাধ্যমে আমরা এই অঞ্চলে ড্যানিশ সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে যাচ্ছি। উত্তর সীমান্ত সুরক্ষার ক্ষেত্রে এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও ন্যাটোর প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
আর্কটিক বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সংযোগস্থলে পরিণত হয়েছে। এই অঞ্চল উত্তর আমেরিকা, রাশিয়া এবং ইউরোপের মাঝখানে অবস্থিত। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বরফ গলে যাওয়ায় এই অঞ্চলে নতুন সমুদ্রপথ উন্মুক্ত হচ্ছে, ফলে সামরিক প্রতিযোগিতা তীব্রতর হচ্ছে।
ড্যানিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর মূল লক্ষ্য হলো ন্যাটোর নিরাপত্তা জোটের কাঠামোর মধ্যে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনে গ্রিনল্যান্ড, ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ ও মূল ডেনমার্ককে রক্ষা করা।
চিফ অব ডিফেন্স মাইকেল হিল্ডগার্ড ড্যানিশ পাবলিক ব্রডকাস্টার ডিআরকে বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর কাজ হলো পুরো রাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনে ন্যাটো কাঠামোর মধ্যে গ্রিনল্যান্ড, ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ এবং ডেনমার্ককে রক্ষা করা।’
সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত রাশিয়ার সামরিক পুনঃস্থাপন এবং চীনের ‘পোলার সিল্ক রোড’-এর মতো উদ্যোগে আর্কটিক অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের পাল্টা কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই প্রতিরক্ষা প্যাকেজটি গ্রিনল্যান্ড ও ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের সরকারগুলোর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে। এর অধীনে গ্রিনল্যান্ডের নিরাপত্তা জোরদার করতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুক-এ একটি নতুন আর্কটিক কমান্ড সদর দপ্তর স্থাপন করা হবে। এটি দূর থেকে প্রশাসন পরিচালনার বদলে স্থানীয়ভাবে দ্রুত অপারেশনাল কমান্ড নিশ্চিত করবে।
এ ছাড়া জয়েন্ট আর্কটিক কমান্ডের অধীনে গ্রিনল্যান্ডে একটি নতুন ডেডিকেটেড সামরিক ইউনিট গঠন করা হবে; আর্কটিকের কঠোর পরিবেশে টহল ও নজরদারি বাড়াতে দুটি নতুন আর্কটিক জাহাজ, সামুদ্রিক টহল বিমান, উন্নত ড্রোন প্রযুক্তি এবং আগাম সতর্কতা রাডার ব্যবস্থা কেনা হবে; কমান্ড সেন্টারগুলোর মধ্যে দ্রুত ও সুরক্ষিত ডেটা আদান-প্রদান নিশ্চিত করতে গ্রিনল্যান্ড এবং ডেনমার্কের মধ্যে একটি সমুদ্রের তলদেশের কেবল সংযোগ স্থাপনে অর্থায়ন করা হবে।
গ্রিনল্যান্ড ঐতিহাসিকভাবে উত্তর আমেরিকা এবং রাশিয়ার মাঝখানে এমন এক স্থানে রয়েছে, যা সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্নায়ুযুদ্ধের কাল থেকেই এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাডার ঘাঁটি এবং বৃহৎ আমেরিকান মহাকাশ অবকাঠামো রয়েছে।
গ্রিনল্যান্ডের ভূমি বিপুল পরিমাণ বিরল খনিজ, ইউরেনিয়াম এবং লোহার মতো মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। এই বিরল খনিজগুলো আধুনিক প্রযুক্তির (যেমন ব্যাটারি, ইলেকট্রনিকস এবং সামরিক সরঞ্জাম) জন্য অত্যাবশ্যক। এই সম্পদ গ্রিনল্যান্ডের বৈশ্বিক প্রযুক্তি সরবরাহ শৃঙ্খলে একটি দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত গুরুত্ব বাড়িয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি গ্রিনল্যান্ড কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। ওই সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘গ্রিনল্যান্ড গ্রিনল্যান্ডের জনগণের সম্পত্তি এবং এটি বিক্রির জন্য নয়।’
ট্রাম্পের এই আগ্রহ গ্রিনল্যান্ডের ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বকেই তুলে ধরে। ডেনমার্কের সাম্প্রতিক সামরিক খরচ বৃদ্ধি এবং রাজকীয় প্রতীক পরিবর্তনের মাধ্যমে গ্রিনল্যান্ডকে আরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রিনল্যান্ডের ইনুইট নেতৃত্বাধীন সরকার ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতার জন্য চাপ দিচ্ছে। গ্রিনল্যান্ড এখনো ডেনমার্কের বার্ষিক প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের অনুদানের ওপর নির্ভরশীল।

আর্কটিক এবং উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলে, বিশেষ করে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডেনমার্ক বিশাল প্রতিরক্ষা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। মোট ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের এই প্যাকেজে দুটি প্রধান খাত নির্ধারণ করা হয়েছে। এর একটি হলো—আর্কটিক নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ। অপরটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ১৬টি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়।
এই নতুন ১৬টি বিমান যোগ হলে ডেনমার্কের এফ-৩৫ বিমানের মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৩ টি। ডেনমার্কের এই উদ্যোগ ন্যাটোর উত্তর প্রান্তের বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে নতুন স্তরে নিয়ে যাবে।
গতকাল শুক্রবার ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রয়েলস লুন্ড পউলসেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই বিশাল সামরিক বিনিয়োগ চুক্তির মাধ্যমে আমরা এই অঞ্চলে ড্যানিশ সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে যাচ্ছি। উত্তর সীমান্ত সুরক্ষার ক্ষেত্রে এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও ন্যাটোর প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
আর্কটিক বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সংযোগস্থলে পরিণত হয়েছে। এই অঞ্চল উত্তর আমেরিকা, রাশিয়া এবং ইউরোপের মাঝখানে অবস্থিত। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বরফ গলে যাওয়ায় এই অঞ্চলে নতুন সমুদ্রপথ উন্মুক্ত হচ্ছে, ফলে সামরিক প্রতিযোগিতা তীব্রতর হচ্ছে।
ড্যানিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর মূল লক্ষ্য হলো ন্যাটোর নিরাপত্তা জোটের কাঠামোর মধ্যে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনে গ্রিনল্যান্ড, ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ ও মূল ডেনমার্ককে রক্ষা করা।
চিফ অব ডিফেন্স মাইকেল হিল্ডগার্ড ড্যানিশ পাবলিক ব্রডকাস্টার ডিআরকে বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর কাজ হলো পুরো রাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনে ন্যাটো কাঠামোর মধ্যে গ্রিনল্যান্ড, ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ এবং ডেনমার্ককে রক্ষা করা।’
সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত রাশিয়ার সামরিক পুনঃস্থাপন এবং চীনের ‘পোলার সিল্ক রোড’-এর মতো উদ্যোগে আর্কটিক অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের পাল্টা কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই প্রতিরক্ষা প্যাকেজটি গ্রিনল্যান্ড ও ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের সরকারগুলোর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে। এর অধীনে গ্রিনল্যান্ডের নিরাপত্তা জোরদার করতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুক-এ একটি নতুন আর্কটিক কমান্ড সদর দপ্তর স্থাপন করা হবে। এটি দূর থেকে প্রশাসন পরিচালনার বদলে স্থানীয়ভাবে দ্রুত অপারেশনাল কমান্ড নিশ্চিত করবে।
এ ছাড়া জয়েন্ট আর্কটিক কমান্ডের অধীনে গ্রিনল্যান্ডে একটি নতুন ডেডিকেটেড সামরিক ইউনিট গঠন করা হবে; আর্কটিকের কঠোর পরিবেশে টহল ও নজরদারি বাড়াতে দুটি নতুন আর্কটিক জাহাজ, সামুদ্রিক টহল বিমান, উন্নত ড্রোন প্রযুক্তি এবং আগাম সতর্কতা রাডার ব্যবস্থা কেনা হবে; কমান্ড সেন্টারগুলোর মধ্যে দ্রুত ও সুরক্ষিত ডেটা আদান-প্রদান নিশ্চিত করতে গ্রিনল্যান্ড এবং ডেনমার্কের মধ্যে একটি সমুদ্রের তলদেশের কেবল সংযোগ স্থাপনে অর্থায়ন করা হবে।
গ্রিনল্যান্ড ঐতিহাসিকভাবে উত্তর আমেরিকা এবং রাশিয়ার মাঝখানে এমন এক স্থানে রয়েছে, যা সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্নায়ুযুদ্ধের কাল থেকেই এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাডার ঘাঁটি এবং বৃহৎ আমেরিকান মহাকাশ অবকাঠামো রয়েছে।
গ্রিনল্যান্ডের ভূমি বিপুল পরিমাণ বিরল খনিজ, ইউরেনিয়াম এবং লোহার মতো মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। এই বিরল খনিজগুলো আধুনিক প্রযুক্তির (যেমন ব্যাটারি, ইলেকট্রনিকস এবং সামরিক সরঞ্জাম) জন্য অত্যাবশ্যক। এই সম্পদ গ্রিনল্যান্ডের বৈশ্বিক প্রযুক্তি সরবরাহ শৃঙ্খলে একটি দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত গুরুত্ব বাড়িয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি গ্রিনল্যান্ড কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। ওই সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘গ্রিনল্যান্ড গ্রিনল্যান্ডের জনগণের সম্পত্তি এবং এটি বিক্রির জন্য নয়।’
ট্রাম্পের এই আগ্রহ গ্রিনল্যান্ডের ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বকেই তুলে ধরে। ডেনমার্কের সাম্প্রতিক সামরিক খরচ বৃদ্ধি এবং রাজকীয় প্রতীক পরিবর্তনের মাধ্যমে গ্রিনল্যান্ডকে আরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রিনল্যান্ডের ইনুইট নেতৃত্বাধীন সরকার ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতার জন্য চাপ দিচ্ছে। গ্রিনল্যান্ড এখনো ডেনমার্কের বার্ষিক প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের অনুদানের ওপর নির্ভরশীল।

সামরিক পোশাকে আল-শারা উমাইয়া মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘কেউ আমাদের পথে বাধা দিতে পারবে না, সে যত বড় বা ক্ষমতাশালীই হোক না কেন। আমরা সব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম—আমরা এমন এক শক্তিশালী সিরিয়া আবার গড়ে তুলব
৩৯ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়েছেন, তিনি কৃষি আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারেন। বিশেষ করে ভারত থেকে চাল আমদানি এবং কানাডা থেকে সার আমদানির ওপর। কারণ, উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছাড়াই চলছে।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার জনগণ স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের অপসারণের প্রথম বার্ষিকী উদ্যাপন করতে রাস্তায় নেমে এসেছেন। দীর্ঘ প্রায় চৌদ্দ বছরের যুদ্ধের ধাক্কা সামলে উঠে দেশটি যত এগোচ্ছে, ততই যেন পরিস্থিতি আরও ভালো হয়ে ওঠার নতুন আশা দেখছেন নাগরিকেরা।
সোমবার গোটা দেশ জুড়ে শহরে শহরে আতশবাজি আর পতাকার ঝলকানি দেখা গেল। বাশার বিরোধীরা মাত্র এগারো দিনের ঝটিকা অভিযানের পর আসাদ রাজবংশের তিপ্পান্ন বছরের শাসনের অবসান ঘটায়। যার এক বছর পূর্তি হলো গতকাল। দামেস্কে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সাবেক শাসনকে উৎখাত করার জন্য সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন।
আল–শারা বললেন, ‘ইতিহাসের এই কেন্দ্রে আপনারা যাঁরা আজ উপস্থিত, তাঁরা সাহস আর বীরত্বের এক নতুন গল্প রচনা করছেন। আজ আমরা স্বৈরাচার আর একনায়কত্বের শৃঙ্খল থেকে সিরিয়াকে মুক্ত করার প্রথম বছর পূর্ণ করলাম, দেশকে আবারও তার মহত্ত্বের জায়গায় ফিরিয়ে এনেছি। মাথা উঁচু করে দাঁড়ান আপনারা। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে আমরা আমাদের স্বদেশ হারিয়েছিলাম, যখন এই চক্রটি তার সভ্যতা, ইতিহাস আর ঐতিহ্য কেড়ে নিতে চেয়েছিল।’
এর আগে, বার্ষিকী স্মরণে সামরিক পোশাকে আল-শারা উমাইয়া মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘কেউ আমাদের পথে বাধা দিতে পারবে না, সে যত বড় বা ক্ষমতাশালীই হোক না কেন। আমরা সব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম—আমরা এমন এক শক্তিশালী সিরিয়া আবার গড়ে তুলব যা তার বর্তমান আর অতীতের যোগ্য। এমন এক সিরিয়া যা নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়াবে এবং মানুষের মধ্যে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবে।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে দামেস্ক এবং হামা, হোমস ও দেইর আজ–জোরসহ বিভিন্ন প্রদেশে সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে, বাশার আল–আসাদের পতনের পর নতুন সরকার নাগরিকদের জন্য মৌলিক পরিষেবা প্রদানে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। গত জুনে এক প্রেসিডেনশিয়াল ডিক্রি অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের ন্যূনতম মাসিক বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। যার ফলে গত পনেরো বছরে প্রথমবারের মতো আলেপ্পো, হোমস এবং দামেস্কের মতো প্রধান শহরগুলো পরীক্ষামূলকভাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে শুরু করেছে।
সিরিয়ার জনগণের মনে অন্ধকার স্মৃতি রেখে যাওয়া সেদনায়া, মেজেহ সামরিক কারাগার, এবং খাতিবের মতো জেলখানাগুলোকেও পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে আল-জাজিরার প্রতিনিধি আসসেদ বেইগ আলেপ্পো থেকে জানালেন, গোটা জাতি আনন্দের মেজাজে রয়েছে, মানুষজন রাস্তায় নেমে উল্লাস করছে, গান গাইছে, পতাকা ওড়াচ্ছে, তবুও ‘অনেক কাজ বাকি।’
তিনি জানান, ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিরোধী যোদ্ধা আর আসাদসমর্থক বাহিনীর মধ্যে ভাগ হয়ে থাকা আলেপ্পো শহরটি ‘ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’ এবং ‘পুনর্গঠন ও মেরামতের জন্য কোটি কোটি ডলার খরচ হবে।’ বেইগ বলেন, ‘সে কারণেই সরকার আন্তর্জাতিক অংশীদারদের দিকে বিনিয়োগের আশায় তাকিয়ে আছে, এই দেশকে, বিশেষ করে আলেপ্পোকে পুনর্গঠনে সাহায্য করার জন্য। কারণ এখানে লড়াই ছিল খুবই ভয়ংকর।’
এদিকে, লাখ লাখ শরণার্থী এবং প্রবাসী এক বছর আগে রাশিয়া পালিয়ে যাওয়া আসাদের পতনের পর দেশে ফিরে জীবন নতুন করে গোড়ার সিদ্ধান্তটি নিয়ে দোটানায় আছেন। ২০১১ সালের মার্চে আসাদের বিরুদ্ধে প্রধানত নিরস্ত্র অভ্যুত্থান হিসেবে শুরু হওয়া যুদ্ধ দ্রুতই এক পূর্ণাঙ্গ সংঘাতে রূপ নেয়, যাতে প্রাণ হারান কয়েক লাখ মানুষ। এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অভিবাসন সংকটেরও জন্ম দেয়; যুদ্ধের চরম সময়ে, ২০২১ সালে, জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ, অর্থাৎ প্রায় আটষট্টি লাখ সিরিয়ান দেশ ছেড়ে যে যেখানে পেরেছেন আশ্রয় খুঁজেছিলেন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে সাত লাখ বিরাশি হাজারেরও বেশি সিরিয়ার অন্য দেশ থেকে ফিরেছেন। ফিরে আসার সংখ্যা বাড়লেও, সীমিত চাকরির সুযোগ আর জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনে বাধা দিচ্ছে। অনেকের জন্য আবাসন এখনো ক্রয়ক্ষমতার বাইরে, ফলে ফিরে আসা মানুষজন ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি কিংবা দামি ভাড়া বাড়িতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
সিরিয়ার তরুণ প্রজন্ম পরিবর্তনের ব্যাপারে বিশেষভাবে আশাবাদী, তবে আরও বেশি কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং অর্থনীতিকে চাঙা করে তোলার প্রয়োজনীয়তা জরুরি। মাহা খলিল নামে এক তরুণী শিক্ষার্থী আল-জাজিরাকে বলেন, ‘স্বপ্নের কেবল কিছুটা সত্যি হয়েছে। আমরা বিজয়ী হয়েছি, কিন্তু বছর, বাড়িঘর, আর সন্তানদের হারিয়েছি। আসল গল্পটা এখন শুরু। আমরা আশা করি পুনর্গঠন করতে পারব, কিন্তু যুবকেরা বিদেশে যাওয়ার কথা ভাবছে। আর যাঁরা বিদেশে আছেন, তাঁরা ফিরে আসতে ভয় পাচ্ছেন।’
বাশার আল–আসাদের পতনের বার্ষিকী উপলক্ষে সিরিয়া আন্তর্জাতিক সমর্থনও পেয়েছে। জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস সিরিয়ার রাজনৈতিক উত্তরণ নিশ্চিত করার জন্য সংস্থার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই বার্ষিকীতে, আমরা এক লক্ষ্য নিয়ে ঐক্যবদ্ধ—শান্তি ও সমৃদ্ধির ভিত্তি তৈরি করা এবং একটি স্বাধীন, সার্বভৌম, ঐক্যবদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সিরিয়ার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার নতুন করে জানানো।’
থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ইরাক, সিরিয়া ও লেবানন প্রকল্পের পরিচালক হেইকো উইমেন আল-জাজিরাকে বললেন, আল-শারার আন্তর্জাতিক বৈধতা পাওয়াটা ‘এক অভাবনীয় সাফল্য’ হলেও, সরকারকে এবার দেশের অভ্যন্তরের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। উইমেন বললেন, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর সরকারের উচিত হবে প্রধানত অর্থনীতি পুনর্গঠনের দিকে নজর দেওয়া, ‘যেটাতে সময় লাগবেই, কারণ মূলধন ও বিনিয়োগ সতর্ক থাকে, যা হওয়া উচিত।’ তিনি আরও যোগ করেন, সরকারের উচিত ‘রাজনৈতিক প্রাণচাঞ্চল্যকে পুনরুজ্জীবিত করা।’
বহু বছর ধরে সিরিয়ার নেতারা ক্ষমতা ‘একচেটিয়াভাবে’ নিজেদের হাতে রাখতে অভ্যস্ত ছিলেন, কিন্তু এখন যেহেতু তাঁরা সমস্ত নাগরিককে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছেন, তাই এই পদ্ধতি আর চলবে না। উইমেন বললেন, ‘সিরিয়ার প্রত্যেক মানুষকে নিশ্চিত হতে হবে যে, যে দেশটি গড়া হচ্ছে, সেখানে তাদেরও মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে—এবং তাদেরও একটা জায়গা থাকবে।’

সিরিয়ার জনগণ স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের অপসারণের প্রথম বার্ষিকী উদ্যাপন করতে রাস্তায় নেমে এসেছেন। দীর্ঘ প্রায় চৌদ্দ বছরের যুদ্ধের ধাক্কা সামলে উঠে দেশটি যত এগোচ্ছে, ততই যেন পরিস্থিতি আরও ভালো হয়ে ওঠার নতুন আশা দেখছেন নাগরিকেরা।
সোমবার গোটা দেশ জুড়ে শহরে শহরে আতশবাজি আর পতাকার ঝলকানি দেখা গেল। বাশার বিরোধীরা মাত্র এগারো দিনের ঝটিকা অভিযানের পর আসাদ রাজবংশের তিপ্পান্ন বছরের শাসনের অবসান ঘটায়। যার এক বছর পূর্তি হলো গতকাল। দামেস্কে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সাবেক শাসনকে উৎখাত করার জন্য সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন।
আল–শারা বললেন, ‘ইতিহাসের এই কেন্দ্রে আপনারা যাঁরা আজ উপস্থিত, তাঁরা সাহস আর বীরত্বের এক নতুন গল্প রচনা করছেন। আজ আমরা স্বৈরাচার আর একনায়কত্বের শৃঙ্খল থেকে সিরিয়াকে মুক্ত করার প্রথম বছর পূর্ণ করলাম, দেশকে আবারও তার মহত্ত্বের জায়গায় ফিরিয়ে এনেছি। মাথা উঁচু করে দাঁড়ান আপনারা। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে আমরা আমাদের স্বদেশ হারিয়েছিলাম, যখন এই চক্রটি তার সভ্যতা, ইতিহাস আর ঐতিহ্য কেড়ে নিতে চেয়েছিল।’
এর আগে, বার্ষিকী স্মরণে সামরিক পোশাকে আল-শারা উমাইয়া মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘কেউ আমাদের পথে বাধা দিতে পারবে না, সে যত বড় বা ক্ষমতাশালীই হোক না কেন। আমরা সব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম—আমরা এমন এক শক্তিশালী সিরিয়া আবার গড়ে তুলব যা তার বর্তমান আর অতীতের যোগ্য। এমন এক সিরিয়া যা নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়াবে এবং মানুষের মধ্যে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবে।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে দামেস্ক এবং হামা, হোমস ও দেইর আজ–জোরসহ বিভিন্ন প্রদেশে সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে, বাশার আল–আসাদের পতনের পর নতুন সরকার নাগরিকদের জন্য মৌলিক পরিষেবা প্রদানে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। গত জুনে এক প্রেসিডেনশিয়াল ডিক্রি অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের ন্যূনতম মাসিক বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। যার ফলে গত পনেরো বছরে প্রথমবারের মতো আলেপ্পো, হোমস এবং দামেস্কের মতো প্রধান শহরগুলো পরীক্ষামূলকভাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে শুরু করেছে।
সিরিয়ার জনগণের মনে অন্ধকার স্মৃতি রেখে যাওয়া সেদনায়া, মেজেহ সামরিক কারাগার, এবং খাতিবের মতো জেলখানাগুলোকেও পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে আল-জাজিরার প্রতিনিধি আসসেদ বেইগ আলেপ্পো থেকে জানালেন, গোটা জাতি আনন্দের মেজাজে রয়েছে, মানুষজন রাস্তায় নেমে উল্লাস করছে, গান গাইছে, পতাকা ওড়াচ্ছে, তবুও ‘অনেক কাজ বাকি।’
তিনি জানান, ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিরোধী যোদ্ধা আর আসাদসমর্থক বাহিনীর মধ্যে ভাগ হয়ে থাকা আলেপ্পো শহরটি ‘ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’ এবং ‘পুনর্গঠন ও মেরামতের জন্য কোটি কোটি ডলার খরচ হবে।’ বেইগ বলেন, ‘সে কারণেই সরকার আন্তর্জাতিক অংশীদারদের দিকে বিনিয়োগের আশায় তাকিয়ে আছে, এই দেশকে, বিশেষ করে আলেপ্পোকে পুনর্গঠনে সাহায্য করার জন্য। কারণ এখানে লড়াই ছিল খুবই ভয়ংকর।’
এদিকে, লাখ লাখ শরণার্থী এবং প্রবাসী এক বছর আগে রাশিয়া পালিয়ে যাওয়া আসাদের পতনের পর দেশে ফিরে জীবন নতুন করে গোড়ার সিদ্ধান্তটি নিয়ে দোটানায় আছেন। ২০১১ সালের মার্চে আসাদের বিরুদ্ধে প্রধানত নিরস্ত্র অভ্যুত্থান হিসেবে শুরু হওয়া যুদ্ধ দ্রুতই এক পূর্ণাঙ্গ সংঘাতে রূপ নেয়, যাতে প্রাণ হারান কয়েক লাখ মানুষ। এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অভিবাসন সংকটেরও জন্ম দেয়; যুদ্ধের চরম সময়ে, ২০২১ সালে, জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ, অর্থাৎ প্রায় আটষট্টি লাখ সিরিয়ান দেশ ছেড়ে যে যেখানে পেরেছেন আশ্রয় খুঁজেছিলেন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে সাত লাখ বিরাশি হাজারেরও বেশি সিরিয়ার অন্য দেশ থেকে ফিরেছেন। ফিরে আসার সংখ্যা বাড়লেও, সীমিত চাকরির সুযোগ আর জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনে বাধা দিচ্ছে। অনেকের জন্য আবাসন এখনো ক্রয়ক্ষমতার বাইরে, ফলে ফিরে আসা মানুষজন ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি কিংবা দামি ভাড়া বাড়িতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
সিরিয়ার তরুণ প্রজন্ম পরিবর্তনের ব্যাপারে বিশেষভাবে আশাবাদী, তবে আরও বেশি কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং অর্থনীতিকে চাঙা করে তোলার প্রয়োজনীয়তা জরুরি। মাহা খলিল নামে এক তরুণী শিক্ষার্থী আল-জাজিরাকে বলেন, ‘স্বপ্নের কেবল কিছুটা সত্যি হয়েছে। আমরা বিজয়ী হয়েছি, কিন্তু বছর, বাড়িঘর, আর সন্তানদের হারিয়েছি। আসল গল্পটা এখন শুরু। আমরা আশা করি পুনর্গঠন করতে পারব, কিন্তু যুবকেরা বিদেশে যাওয়ার কথা ভাবছে। আর যাঁরা বিদেশে আছেন, তাঁরা ফিরে আসতে ভয় পাচ্ছেন।’
বাশার আল–আসাদের পতনের বার্ষিকী উপলক্ষে সিরিয়া আন্তর্জাতিক সমর্থনও পেয়েছে। জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস সিরিয়ার রাজনৈতিক উত্তরণ নিশ্চিত করার জন্য সংস্থার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই বার্ষিকীতে, আমরা এক লক্ষ্য নিয়ে ঐক্যবদ্ধ—শান্তি ও সমৃদ্ধির ভিত্তি তৈরি করা এবং একটি স্বাধীন, সার্বভৌম, ঐক্যবদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সিরিয়ার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার নতুন করে জানানো।’
থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ইরাক, সিরিয়া ও লেবানন প্রকল্পের পরিচালক হেইকো উইমেন আল-জাজিরাকে বললেন, আল-শারার আন্তর্জাতিক বৈধতা পাওয়াটা ‘এক অভাবনীয় সাফল্য’ হলেও, সরকারকে এবার দেশের অভ্যন্তরের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। উইমেন বললেন, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর সরকারের উচিত হবে প্রধানত অর্থনীতি পুনর্গঠনের দিকে নজর দেওয়া, ‘যেটাতে সময় লাগবেই, কারণ মূলধন ও বিনিয়োগ সতর্ক থাকে, যা হওয়া উচিত।’ তিনি আরও যোগ করেন, সরকারের উচিত ‘রাজনৈতিক প্রাণচাঞ্চল্যকে পুনরুজ্জীবিত করা।’
বহু বছর ধরে সিরিয়ার নেতারা ক্ষমতা ‘একচেটিয়াভাবে’ নিজেদের হাতে রাখতে অভ্যস্ত ছিলেন, কিন্তু এখন যেহেতু তাঁরা সমস্ত নাগরিককে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছেন, তাই এই পদ্ধতি আর চলবে না। উইমেন বললেন, ‘সিরিয়ার প্রত্যেক মানুষকে নিশ্চিত হতে হবে যে, যে দেশটি গড়া হচ্ছে, সেখানে তাদেরও মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে—এবং তাদেরও একটা জায়গা থাকবে।’

আর্কটিক এবং উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলে, বিশেষ করে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডেনমার্ক বিশাল প্রতিরক্ষা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। মোট ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের এই প্যাকেজে দুটি প্রধান খাত নির্ধারণ করা হয়েছে। এর একটি হলো—আর্কটিক নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন...
১১ অক্টোবর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়েছেন, তিনি কৃষি আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারেন। বিশেষ করে ভারত থেকে চাল আমদানি এবং কানাডা থেকে সার আমদানির ওপর। কারণ, উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছাড়াই চলছে।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়েছেন, তিনি কৃষি আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারেন। বিশেষ করে ভারত থেকে চাল আমদানি এবং কানাডা থেকে সার আমদানির ওপর। কারণ, উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছাড়াই চলছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন। ওই বৈঠকে তিনি আমেরিকান কৃষকদের জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলারের একটি কৃষি ত্রাণ প্যাকেজ উন্মোচন করেন এবং একই সঙ্গে ভারত ও অন্যান্য এশীয় সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কৃষি আমদানির তীব্র সমালোচনা করেন।
রিপাবলিকান এই নেতা দাবি করেন, আমদানি দেশীয় উৎপাদকদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে এবং তিনি আমেরিকান উৎপাদকদের রক্ষা করার জন্য শুল্ককে আক্রমণাত্মকভাবে ব্যবহার করে এই সমস্যা সমাধানের তাঁর উদ্দেশ্যের পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, তাঁর প্রশাসন ‘আমেরিকান কৃষকদের জন্য ১২ বিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক সহায়তা’ বরাদ্দ করবে, যার অর্থায়ন হবে বাণিজ্য অংশীদারদের কাছ থেকে ইউএস যে শুল্ক রাজস্ব সংগ্রহ করছে তা থেকে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আসলে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার নিচ্ছি, যদি আপনি একটু ভেবে দেখেন’ এবং যোগ করেন, দেশগুলো ‘এমনভাবে আমাদের সুযোগ নিয়েছে, যা আগে কেউ দেখেনি।’
তিনি এই নতুন সাহায্যকে খামার অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য বলে অভিহিত করেন, যা তিনি বারবার উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া মুদ্রাস্ফীতি এবং হতাশাজনক পণ্যমূল্যের ফলে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘কৃষকেরা অপরিহার্য জাতীয় সম্পদ, আমেরিকার মেরুদণ্ডের অংশ।’ তিনি যুক্তি দেন, মার্কিন কৃষিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য শুল্কের সুবিধা কাজে লাগানো তাঁর কৌশলের কেন্দ্রবিন্দু।
চাল আমদানির ওপর এক দীর্ঘ আলোচনার সময় ভারত বিশেষভাবে একটি উদাহরণ হিসেবে উঠে আসে। এই বিষয়টিকে লুইজিয়ানার এক উৎপাদক দক্ষিণ অঞ্চলের চাষিদের জন্য ‘ধ্বংসাত্মক’ বলে বর্ণনা করেন।
যখন ট্রাম্পকে জানানো হয়, ভারতীয় সংস্থাগুলো মার্কিন খুচরা চালের বাজারে ‘সবচেয়ে বড় দুটি ব্র্যান্ডের’ মালিক, তখন ট্রাম্প বলেন, ‘ঠিক আছে, এবং আমরা এটির যত্ন নেব। এটা দারুণ। এটা খুবই সহজ... শুল্ক, আবারও, দুই মিনিটের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘তাদের ডাম্পিং করা উচিত নয়... মানে, আমি এটা শুনেছি, আমি অন্যদের কাছ থেকে এটা শুনেছি। আপনারা এটা করতে পারবেন না।’
তিনি স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য কানাডা থেকে আসা সারের ওপরও সম্ভাব্য শুল্ক ব্যবস্থার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘এর অনেকটাই কানাডা থেকে আসে, এবং তাই আমাদের যদি প্রয়োজন হয় তবে আমরা সেটির উপর খুব কঠোর শুল্ক আরোপ করব। কারণ, এটিই সেই উপায়, যার মাধ্যমে আপনি এখানে জোরদার করতে চান।’ তিনি যোগ করেন, ‘এবং আমরা এটি এখানে করতে পারি। আমরা সবাই এটি এখানে করতে পারি।’
ভারত-মার্কিন কৃষি বাণিজ্য গত দশকে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ভারত বাসমতি, অন্যান্য চাল পণ্য, মসলা এবং সামুদ্রিক পণ্য রপ্তানি করে এবং ইউএস থেকে বাদাম, তুলা এবং ডাল আমদানি করে। ভর্তুকি, বাজার প্রবেশাধিকার এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অভিযোগ বিশেষ করে চাল ও চিনি সংক্রান্ত বিরোধগুলো পর্যায়ক্রমে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় চাপ সৃষ্টি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়েছেন, তিনি কৃষি আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারেন। বিশেষ করে ভারত থেকে চাল আমদানি এবং কানাডা থেকে সার আমদানির ওপর। কারণ, উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছাড়াই চলছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন। ওই বৈঠকে তিনি আমেরিকান কৃষকদের জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলারের একটি কৃষি ত্রাণ প্যাকেজ উন্মোচন করেন এবং একই সঙ্গে ভারত ও অন্যান্য এশীয় সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কৃষি আমদানির তীব্র সমালোচনা করেন।
রিপাবলিকান এই নেতা দাবি করেন, আমদানি দেশীয় উৎপাদকদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে এবং তিনি আমেরিকান উৎপাদকদের রক্ষা করার জন্য শুল্ককে আক্রমণাত্মকভাবে ব্যবহার করে এই সমস্যা সমাধানের তাঁর উদ্দেশ্যের পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, তাঁর প্রশাসন ‘আমেরিকান কৃষকদের জন্য ১২ বিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক সহায়তা’ বরাদ্দ করবে, যার অর্থায়ন হবে বাণিজ্য অংশীদারদের কাছ থেকে ইউএস যে শুল্ক রাজস্ব সংগ্রহ করছে তা থেকে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আসলে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার নিচ্ছি, যদি আপনি একটু ভেবে দেখেন’ এবং যোগ করেন, দেশগুলো ‘এমনভাবে আমাদের সুযোগ নিয়েছে, যা আগে কেউ দেখেনি।’
তিনি এই নতুন সাহায্যকে খামার অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য বলে অভিহিত করেন, যা তিনি বারবার উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া মুদ্রাস্ফীতি এবং হতাশাজনক পণ্যমূল্যের ফলে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘কৃষকেরা অপরিহার্য জাতীয় সম্পদ, আমেরিকার মেরুদণ্ডের অংশ।’ তিনি যুক্তি দেন, মার্কিন কৃষিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য শুল্কের সুবিধা কাজে লাগানো তাঁর কৌশলের কেন্দ্রবিন্দু।
চাল আমদানির ওপর এক দীর্ঘ আলোচনার সময় ভারত বিশেষভাবে একটি উদাহরণ হিসেবে উঠে আসে। এই বিষয়টিকে লুইজিয়ানার এক উৎপাদক দক্ষিণ অঞ্চলের চাষিদের জন্য ‘ধ্বংসাত্মক’ বলে বর্ণনা করেন।
যখন ট্রাম্পকে জানানো হয়, ভারতীয় সংস্থাগুলো মার্কিন খুচরা চালের বাজারে ‘সবচেয়ে বড় দুটি ব্র্যান্ডের’ মালিক, তখন ট্রাম্প বলেন, ‘ঠিক আছে, এবং আমরা এটির যত্ন নেব। এটা দারুণ। এটা খুবই সহজ... শুল্ক, আবারও, দুই মিনিটের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘তাদের ডাম্পিং করা উচিত নয়... মানে, আমি এটা শুনেছি, আমি অন্যদের কাছ থেকে এটা শুনেছি। আপনারা এটা করতে পারবেন না।’
তিনি স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য কানাডা থেকে আসা সারের ওপরও সম্ভাব্য শুল্ক ব্যবস্থার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘এর অনেকটাই কানাডা থেকে আসে, এবং তাই আমাদের যদি প্রয়োজন হয় তবে আমরা সেটির উপর খুব কঠোর শুল্ক আরোপ করব। কারণ, এটিই সেই উপায়, যার মাধ্যমে আপনি এখানে জোরদার করতে চান।’ তিনি যোগ করেন, ‘এবং আমরা এটি এখানে করতে পারি। আমরা সবাই এটি এখানে করতে পারি।’
ভারত-মার্কিন কৃষি বাণিজ্য গত দশকে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ভারত বাসমতি, অন্যান্য চাল পণ্য, মসলা এবং সামুদ্রিক পণ্য রপ্তানি করে এবং ইউএস থেকে বাদাম, তুলা এবং ডাল আমদানি করে। ভর্তুকি, বাজার প্রবেশাধিকার এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অভিযোগ বিশেষ করে চাল ও চিনি সংক্রান্ত বিরোধগুলো পর্যায়ক্রমে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় চাপ সৃষ্টি করেছে।

আর্কটিক এবং উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলে, বিশেষ করে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডেনমার্ক বিশাল প্রতিরক্ষা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। মোট ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের এই প্যাকেজে দুটি প্রধান খাত নির্ধারণ করা হয়েছে। এর একটি হলো—আর্কটিক নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন...
১১ অক্টোবর ২০২৫
সামরিক পোশাকে আল-শারা উমাইয়া মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘কেউ আমাদের পথে বাধা দিতে পারবে না, সে যত বড় বা ক্ষমতাশালীই হোক না কেন। আমরা সব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম—আমরা এমন এক শক্তিশালী সিরিয়া আবার গড়ে তুলব
৩৯ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের প্রাথমিক ঘোষণা আসে। তবে আজ ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শশ বেদ্রোসিয়ান অনলাইন ব্রিফিংয়ে বৈঠকের প্রধান আলোচ্যসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।
বৈঠকে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প গাজার যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) মোতায়েনের বিষয়টি নিয়েও কথা হবে।
গতকাল রোববার নেতানিয়াহু বলেছিলেন, বৈঠকের মূল লক্ষ্য হবে গাজায় হামাসের শাসনের অবসান করা এবং হামাস যেন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় দেওয়া ‘প্রতিশ্রুতি’ (নিরস্ত্রীকরণ) পূরণ করে, তা নিশ্চিত করা। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ ‘আরও কঠিন’ হবে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে প্রধানত ইসরায়েলি বন্দী ও ইসরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনিদের বিনিময় এবং গাজার কিছু অংশ থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপের চুক্তিতে যুদ্ধপরবর্তী গাজা প্রশাসন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা, যা একটি অত্যন্ত জটিল ও বহুলাংশে অমীমাংসিত বিষয়। এই ধাপে নেতৃত্ব, ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং আইএসএফ বাহিনীর ভূমিকা নির্ধারণ করা বাকি রয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর থেকে মার্কিন মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী ৫৯০ বারের বেশি এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে জানা গেছে। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অন্তত ৩৬০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে, বৈঠকটি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে ইসরায়েলকে একটি নতুন নিরাপত্তা চুক্তি করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। গত সপ্তাহে তিনি সামাজিক মাধ্যমে ইসরায়েলকে সিরিয়ার সঙ্গে ‘শক্তিশালী ও ফলপ্রসূ সংলাপের’ আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে সিরিয়ায় ইসরায়েলের বারবার অনুপ্রবেশ এবং বিমান হামলা সেই আলোচনাকে বহুলাংশে ব্যাহত করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের প্রাথমিক ঘোষণা আসে। তবে আজ ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শশ বেদ্রোসিয়ান অনলাইন ব্রিফিংয়ে বৈঠকের প্রধান আলোচ্যসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।
বৈঠকে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প গাজার যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) মোতায়েনের বিষয়টি নিয়েও কথা হবে।
গতকাল রোববার নেতানিয়াহু বলেছিলেন, বৈঠকের মূল লক্ষ্য হবে গাজায় হামাসের শাসনের অবসান করা এবং হামাস যেন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় দেওয়া ‘প্রতিশ্রুতি’ (নিরস্ত্রীকরণ) পূরণ করে, তা নিশ্চিত করা। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ ‘আরও কঠিন’ হবে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে প্রধানত ইসরায়েলি বন্দী ও ইসরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনিদের বিনিময় এবং গাজার কিছু অংশ থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপের চুক্তিতে যুদ্ধপরবর্তী গাজা প্রশাসন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা, যা একটি অত্যন্ত জটিল ও বহুলাংশে অমীমাংসিত বিষয়। এই ধাপে নেতৃত্ব, ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং আইএসএফ বাহিনীর ভূমিকা নির্ধারণ করা বাকি রয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর থেকে মার্কিন মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী ৫৯০ বারের বেশি এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে জানা গেছে। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অন্তত ৩৬০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে, বৈঠকটি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে ইসরায়েলকে একটি নতুন নিরাপত্তা চুক্তি করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। গত সপ্তাহে তিনি সামাজিক মাধ্যমে ইসরায়েলকে সিরিয়ার সঙ্গে ‘শক্তিশালী ও ফলপ্রসূ সংলাপের’ আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে সিরিয়ায় ইসরায়েলের বারবার অনুপ্রবেশ এবং বিমান হামলা সেই আলোচনাকে বহুলাংশে ব্যাহত করেছে।

আর্কটিক এবং উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলে, বিশেষ করে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডেনমার্ক বিশাল প্রতিরক্ষা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। মোট ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের এই প্যাকেজে দুটি প্রধান খাত নির্ধারণ করা হয়েছে। এর একটি হলো—আর্কটিক নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন...
১১ অক্টোবর ২০২৫
সামরিক পোশাকে আল-শারা উমাইয়া মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘কেউ আমাদের পথে বাধা দিতে পারবে না, সে যত বড় বা ক্ষমতাশালীই হোক না কেন। আমরা সব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম—আমরা এমন এক শক্তিশালী সিরিয়া আবার গড়ে তুলব
৩৯ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়েছেন, তিনি কৃষি আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারেন। বিশেষ করে ভারত থেকে চাল আমদানি এবং কানাডা থেকে সার আমদানির ওপর। কারণ, উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছাড়াই চলছে।
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। সোমবার জুরি বোর্ডের সদস্যরা তাঁকে দোষী ঘোষণা করলে আদালতে উপস্থিত মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বিবিসি জানিয়েছে, টোইয়া কর্ডিঙ্গলিকে অন্তত ২৬ বার ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। সেদিন বিকেলে তিনি তাঁর কুকুর নিয়ে সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। পরদিন সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে অর্ধেক ঢেকে থাকা অবস্থায় মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেন তাঁর বাবা। কুইন্সল্যান্ডের কেয়ার্নস ও পোর্ট ডগলাস—এই দুই জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ওই সৈকতটি।
মামলার শুনানিতে আদালত জানান, কর্ডিঙ্গলিকে বারবার ছুরিকাঘাত করা হয় এবং তাঁর দেহ অগভীর বালুকাময় গর্তে ফেলে রাখা হয়—যেখানে তার বেঁচে থাকার কোনো আশাই ছিল না।
অভিযুক্ত রাজবিন্দর সেই সময়টিতে কুইন্সল্যান্ডের ইনিসফেইল এলাকায় বসবাস করতেন, যা হত্যার স্থান থেকে প্রায় দুই ঘণ্টার দূরত্বে। তদন্ত শুরু হওয়ার পরপরই পুলিশের সন্দেহ তাঁর ওপর গিয়ে পড়ে। তবে সেই সময়ই তিনি হঠাৎ অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। ফেলে রেখে যান তাঁর স্ত্রী, তিন সন্তান এবং বাবা-মাকে।
চার বছর ভারতে লুকিয়ে থাকার পর অবশেষে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ায়। গত মার্চে এই মামলাটির প্রথম বিচার প্রক্রিয়া জুরি বোর্ডের অমতজনিত কারণে স্থগিত হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার বিচার শেষে এবার তাঁকে দোষী ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসিকিউটররা মত দিয়েছেন, রাজবিন্দরের হঠাৎ দেশত্যাগই তাঁর অপরাধবোধের প্রমাণ। ফরেনসিক প্রমাণও তাঁকেই দোষী সাব্যস্ত করে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা একটি কাঠির ওপর পাওয়া ডিএনএ নমুনা অন্য কারও নয়, বরং রাজবিন্দরের হওয়ার সম্ভাবনা ছিল ৩.৮ বিলিয়ন গুণ বেশি। এ ছাড়া কর্ডিঙ্গলির মোবাইল ফোনের গতিবিধি এবং সিংয়ের গাড়ির অবস্থান হত্যাকাণ্ডের সময়ের সঙ্গে মিলে যায়।
টোইয়া কর্ডিঙ্গলি স্থানীয় স্বাস্থ্য পণ্যের দোকানে কাজ করতেন এবং পশু উদ্ধারকারী সংগঠনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর কুইন্সল্যান্ড জুড়ে ব্যাপক শোক দেখা দেয়।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রাজবিন্দর সিংকে আগামী মঙ্গলবার সাজা ঘোষণার জন্য আবার আদালতে হাজির করা হবে।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। সোমবার জুরি বোর্ডের সদস্যরা তাঁকে দোষী ঘোষণা করলে আদালতে উপস্থিত মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বিবিসি জানিয়েছে, টোইয়া কর্ডিঙ্গলিকে অন্তত ২৬ বার ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। সেদিন বিকেলে তিনি তাঁর কুকুর নিয়ে সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। পরদিন সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে অর্ধেক ঢেকে থাকা অবস্থায় মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেন তাঁর বাবা। কুইন্সল্যান্ডের কেয়ার্নস ও পোর্ট ডগলাস—এই দুই জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ওই সৈকতটি।
মামলার শুনানিতে আদালত জানান, কর্ডিঙ্গলিকে বারবার ছুরিকাঘাত করা হয় এবং তাঁর দেহ অগভীর বালুকাময় গর্তে ফেলে রাখা হয়—যেখানে তার বেঁচে থাকার কোনো আশাই ছিল না।
অভিযুক্ত রাজবিন্দর সেই সময়টিতে কুইন্সল্যান্ডের ইনিসফেইল এলাকায় বসবাস করতেন, যা হত্যার স্থান থেকে প্রায় দুই ঘণ্টার দূরত্বে। তদন্ত শুরু হওয়ার পরপরই পুলিশের সন্দেহ তাঁর ওপর গিয়ে পড়ে। তবে সেই সময়ই তিনি হঠাৎ অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। ফেলে রেখে যান তাঁর স্ত্রী, তিন সন্তান এবং বাবা-মাকে।
চার বছর ভারতে লুকিয়ে থাকার পর অবশেষে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ায়। গত মার্চে এই মামলাটির প্রথম বিচার প্রক্রিয়া জুরি বোর্ডের অমতজনিত কারণে স্থগিত হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার বিচার শেষে এবার তাঁকে দোষী ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসিকিউটররা মত দিয়েছেন, রাজবিন্দরের হঠাৎ দেশত্যাগই তাঁর অপরাধবোধের প্রমাণ। ফরেনসিক প্রমাণও তাঁকেই দোষী সাব্যস্ত করে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা একটি কাঠির ওপর পাওয়া ডিএনএ নমুনা অন্য কারও নয়, বরং রাজবিন্দরের হওয়ার সম্ভাবনা ছিল ৩.৮ বিলিয়ন গুণ বেশি। এ ছাড়া কর্ডিঙ্গলির মোবাইল ফোনের গতিবিধি এবং সিংয়ের গাড়ির অবস্থান হত্যাকাণ্ডের সময়ের সঙ্গে মিলে যায়।
টোইয়া কর্ডিঙ্গলি স্থানীয় স্বাস্থ্য পণ্যের দোকানে কাজ করতেন এবং পশু উদ্ধারকারী সংগঠনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর কুইন্সল্যান্ড জুড়ে ব্যাপক শোক দেখা দেয়।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রাজবিন্দর সিংকে আগামী মঙ্গলবার সাজা ঘোষণার জন্য আবার আদালতে হাজির করা হবে।

আর্কটিক এবং উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলে, বিশেষ করে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডেনমার্ক বিশাল প্রতিরক্ষা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। মোট ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের এই প্যাকেজে দুটি প্রধান খাত নির্ধারণ করা হয়েছে। এর একটি হলো—আর্কটিক নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন...
১১ অক্টোবর ২০২৫
সামরিক পোশাকে আল-শারা উমাইয়া মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘কেউ আমাদের পথে বাধা দিতে পারবে না, সে যত বড় বা ক্ষমতাশালীই হোক না কেন। আমরা সব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম—আমরা এমন এক শক্তিশালী সিরিয়া আবার গড়ে তুলব
৩৯ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়েছেন, তিনি কৃষি আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারেন। বিশেষ করে ভারত থেকে চাল আমদানি এবং কানাডা থেকে সার আমদানির ওপর। কারণ, উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছাড়াই চলছে।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।
১১ ঘণ্টা আগে