
দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া কানাডীয়দের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কানাডার সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ সালেই প্রায় ৪০ লাখ নাগরিক দেশে ছেড়েছেন, যা দেশটি মোট জনসংখ্যার ১১ শতংশ।
গত সোমবার প্রকাশিত ম্যাকগিল ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব কানাডার গবেষণায় দেখা গেছে, কানাডীয়দের দেশ ছাড়ার অন্যতম কারণ গুরুত্বপূর্ণ কিছু চাহিদা সামর্থ্যের বাইরে চলে যাওয়া।
স্ট্যাটিসটিকস কানাডা অনুসারে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে কানাডীয়দের ৩১ শতাংশ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
ম্যাকগিলের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডা নতুন নাগরিকদের ধরে রাখতে পারছে না। কানাডায় আগমনের চার থেকে সাত বছরের মধ্যে তাঁরা দেশ ত্যাগ করছেন। এর অন্যতম একটি কারণ এখানে অনেক কিছুই তাঁদের সামর্থ্যের মধ্যে নেই।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, বিদেশি ডিগ্রিকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে কানাডার অনমনীয় এবং অবাস্তব দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই অভিবাসীরা কানাডায় এসে পছন্দসই চাকরি খুঁজে পান না এবং ক্যারিয়ার গড়তে হিমশিম খান।
কানাডার প্রায় অর্ধেক অধিবাসী তাঁদের কানাডীয় মা-বাবার মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন। আর এক-তৃতীয়াংশ জন্মসূত্রে কানাডীয়। অবশিষ্ট ১৫ শতাংশ কানাডীয় অন্য দেশে জন্ম গ্রহণ করেছেন, পরে তাঁরা কানাডার নাগরিকত্ব পেয়েছেন। এই নাগরিকদের দেশ ছাড়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—ভ্রমণ, চাকরি ও পড়াশোনার সুযোগ।
স্ট্যাটিসটিকস কানাডার তথ্য অনুসারে, বিদেশে বসবাসকারী কানাডীয়দের গড় বয়স ৪৬ দশমিক ২—যা জাতীয় গড়ের চেয়ে সামান্য বেশি। কানাডীয়দের মধ্যে বৃহত্তম গোষ্ঠীর বয়স ৪৫ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে।
এশিয়া-প্যাসিফিক ফাউন্ডেশন অব কানাডার তথ্য অনুযায়ী, বিদেশে বসবাসকারী কানাডীয়দের অধিকাংশ থাকেন যুক্তরাষ্ট্র, হংকং ও যুক্তরাজ্যে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, জনসংখ্যার তুলনায় বিদেশে বসবাসকারী কানাডীয়দের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় পাঁচ গুণ এবং যুক্তরাজ্যের প্রায় সমান।
প্রতিবেদনটি অনুমোদন করেছে বি সি সেন ইউয়েন পাউ উয়ের কার্যালয়। পাউ উ বলেছেন, দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া নাগরিকদের সমর্থনের জন্য কানাডা আরও বেশি কিছু করতে পারে। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, প্রবাসী কানাডীয়রা বিশ্বজুড়ে কানাডার কূটনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান আরও প্রসারিত করতে পারেন।
এক সাক্ষাৎকারে পাউ উ বলেন, ‘আমরা একটি সংকীর্ণমনা দেশ। আন্তর্জাতিকতাবাদী এবং বৈশ্বিক হওয়ার দাবি করলেও আমাদের প্রবণতা কেবল দেশের ভেতর তাকানোতেই সীমাবদ্ধ।’
ম্যাকগিলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের সমর্থনের ক্ষেত্রে কানাডা অন্য দেশের চেয়ে পিছিয়ে। প্রবাসী কানাডীয়রা কর দেওয়া সত্ত্বেও প্রাদেশিক নির্বাচনে ভোট দেওয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার নেই।
পাউ উ বলেন, ‘কানাডীয়রা কেন বিদেশে গেছেন, কানাডা সম্পর্কে তাঁদের উপলব্ধি এবং দেশে ফেরার পরিকল্পনার মতো কিছু মূল বিষয়ে আমরা এখনো খুব কম জানি। ভালো ডেটা থেকেই ভালো নীতি প্রণয়ন সম্ভব। তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।’

দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া কানাডীয়দের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কানাডার সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ সালেই প্রায় ৪০ লাখ নাগরিক দেশে ছেড়েছেন, যা দেশটি মোট জনসংখ্যার ১১ শতংশ।
গত সোমবার প্রকাশিত ম্যাকগিল ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব কানাডার গবেষণায় দেখা গেছে, কানাডীয়দের দেশ ছাড়ার অন্যতম কারণ গুরুত্বপূর্ণ কিছু চাহিদা সামর্থ্যের বাইরে চলে যাওয়া।
স্ট্যাটিসটিকস কানাডা অনুসারে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে কানাডীয়দের ৩১ শতাংশ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
ম্যাকগিলের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডা নতুন নাগরিকদের ধরে রাখতে পারছে না। কানাডায় আগমনের চার থেকে সাত বছরের মধ্যে তাঁরা দেশ ত্যাগ করছেন। এর অন্যতম একটি কারণ এখানে অনেক কিছুই তাঁদের সামর্থ্যের মধ্যে নেই।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, বিদেশি ডিগ্রিকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে কানাডার অনমনীয় এবং অবাস্তব দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই অভিবাসীরা কানাডায় এসে পছন্দসই চাকরি খুঁজে পান না এবং ক্যারিয়ার গড়তে হিমশিম খান।
কানাডার প্রায় অর্ধেক অধিবাসী তাঁদের কানাডীয় মা-বাবার মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন। আর এক-তৃতীয়াংশ জন্মসূত্রে কানাডীয়। অবশিষ্ট ১৫ শতাংশ কানাডীয় অন্য দেশে জন্ম গ্রহণ করেছেন, পরে তাঁরা কানাডার নাগরিকত্ব পেয়েছেন। এই নাগরিকদের দেশ ছাড়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—ভ্রমণ, চাকরি ও পড়াশোনার সুযোগ।
স্ট্যাটিসটিকস কানাডার তথ্য অনুসারে, বিদেশে বসবাসকারী কানাডীয়দের গড় বয়স ৪৬ দশমিক ২—যা জাতীয় গড়ের চেয়ে সামান্য বেশি। কানাডীয়দের মধ্যে বৃহত্তম গোষ্ঠীর বয়স ৪৫ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে।
এশিয়া-প্যাসিফিক ফাউন্ডেশন অব কানাডার তথ্য অনুযায়ী, বিদেশে বসবাসকারী কানাডীয়দের অধিকাংশ থাকেন যুক্তরাষ্ট্র, হংকং ও যুক্তরাজ্যে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, জনসংখ্যার তুলনায় বিদেশে বসবাসকারী কানাডীয়দের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় পাঁচ গুণ এবং যুক্তরাজ্যের প্রায় সমান।
প্রতিবেদনটি অনুমোদন করেছে বি সি সেন ইউয়েন পাউ উয়ের কার্যালয়। পাউ উ বলেছেন, দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া নাগরিকদের সমর্থনের জন্য কানাডা আরও বেশি কিছু করতে পারে। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, প্রবাসী কানাডীয়রা বিশ্বজুড়ে কানাডার কূটনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান আরও প্রসারিত করতে পারেন।
এক সাক্ষাৎকারে পাউ উ বলেন, ‘আমরা একটি সংকীর্ণমনা দেশ। আন্তর্জাতিকতাবাদী এবং বৈশ্বিক হওয়ার দাবি করলেও আমাদের প্রবণতা কেবল দেশের ভেতর তাকানোতেই সীমাবদ্ধ।’
ম্যাকগিলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের সমর্থনের ক্ষেত্রে কানাডা অন্য দেশের চেয়ে পিছিয়ে। প্রবাসী কানাডীয়রা কর দেওয়া সত্ত্বেও প্রাদেশিক নির্বাচনে ভোট দেওয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার নেই।
পাউ উ বলেন, ‘কানাডীয়রা কেন বিদেশে গেছেন, কানাডা সম্পর্কে তাঁদের উপলব্ধি এবং দেশে ফেরার পরিকল্পনার মতো কিছু মূল বিষয়ে আমরা এখনো খুব কম জানি। ভালো ডেটা থেকেই ভালো নীতি প্রণয়ন সম্ভব। তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।’

রাইট জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো এমন পর্যাপ্ত সুপার কম্পিউটার তৈরি করা, যা ক্রমবর্ধমান জটিল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনায় সক্ষম হবে। এসব মেশিন বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করে নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের গতি বহু গুণে বাড়িয়ে তুলবে।
২০ মিনিট আগে
ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে চলা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের বিধ্বংসী প্রভাব ইতিমধ্যেই জ্যামাইকায় অনুভূত হতে শুরু করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রণালয় স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতির সময়ই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এটিকে চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
হারিকেন মেলিসা স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৮২ কিলোমিটার বেগে স্থায়ী বাতাস নিয়ে জ্যামাইকার দিকে ধেয়ে যাচ্ছিল। ধীর গতিতে অগ্রসরমাণ এই ক্যাটাগরি–৫ ঘূর্ণিঝড়টি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঝড় হিসেবে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
তিন দিনের বৈঠক শেষেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। জানা গেছে, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আলোচনা শেষ হলেও সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে দুই দেশের। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেসের (এএমডি) সঙ্গে এক বিলিয়ন ডলারের অংশীদারত্বে দুটি সুপার কম্পিউটার নির্মাণ করছে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়। এই সুপার কম্পিউটারগুলো ব্যবহৃত হবে পারমাণবিক শক্তি, ক্যানসার চিকিৎসা ও জাতীয় নিরাপত্তাসহ জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণায়।
এই নতুন অংশীদারত্বের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানিমন্ত্রী ক্রিস রাইট ও এএমডির প্রধান নির্বাহী লিসা সু নিশ্চিত করেছেন বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়।
রাইট জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো এমন পর্যাপ্ত সুপার কম্পিউটার তৈরি করা, যা ক্রমবর্ধমান জটিল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনায় সক্ষম হবে। এসব মেশিন বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করে নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের গতি বহু গুণে বাড়িয়ে তুলবে।
তাঁর ভাষ্য, এই সিস্টেমগুলো পারমাণবিক শক্তি ও ফিউশন এনার্জি, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি এবং নতুন ওষুধ উদ্ভাবনে ‘অভূতপূর্ব গতি’ আনবে।
বিজ্ঞানীরা এখন সূর্যের জ্বালানি উৎপাদন প্রক্রিয়া অর্থাৎ ফিউশন বিক্রিয়া পৃথিবীতে পুনরুৎপাদনের চেষ্টা করছেন। এর জন্য তাঁরা তীব্র তাপ ও চাপে হালকা পরমাণুগুলোকে একত্র করে বিপুল শক্তি উৎপাদনের চেষ্টা করছেন।
রাইট বলেন, ‘আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি, কিন্তু প্লাজমা অত্যন্ত অস্থিতিশীল। আমাদের সূর্যের কেন্দ্রের মতো পরিবেশ পৃথিবীতে তৈরি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই এআই-চালিত সুপার কম্পিউটারগুলোর মাধ্যমে আমাদের অগ্রগতি অনেক দ্রুত হবে। আমি বিশ্বাস করি, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ফিউশন শক্তি ব্যবহারযোগ্য করে তোলার বাস্তব পথ আমরা খুঁজে পাব।’
রাইট জানান, সুপার কম্পিউটারগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করবে এবং ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন ওষুধ উদ্ভাবনের গতি বাড়াবে; অণুস্তরে রোগ নিরাময়ের সম্ভাব্য উপায়গুলো সিমুলেশন করে।
তাঁর আশা, ‘আগামী পাঁচ থেকে আট বছরের মধ্যে আমরা এমন একপর্যায়ে পৌঁছাব, যেখানে আজ যেসব ক্যানসার মৃত্যুদণ্ডের সমান মনে করা হয়, সেগুলোর অনেকগুলোই নিয়ন্ত্রণযোগ্য দীর্ঘস্থায়ী রোগে পরিণত হবে।’
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেসের (এএমডি) সঙ্গে এক বিলিয়ন ডলারের অংশীদারত্বে দুটি সুপার কম্পিউটার নির্মাণ করছে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়। এই সুপার কম্পিউটারগুলো ব্যবহৃত হবে পারমাণবিক শক্তি, ক্যানসার চিকিৎসা ও জাতীয় নিরাপত্তাসহ জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণায়।
এই নতুন অংশীদারত্বের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানিমন্ত্রী ক্রিস রাইট ও এএমডির প্রধান নির্বাহী লিসা সু নিশ্চিত করেছেন বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়।
রাইট জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো এমন পর্যাপ্ত সুপার কম্পিউটার তৈরি করা, যা ক্রমবর্ধমান জটিল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনায় সক্ষম হবে। এসব মেশিন বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করে নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের গতি বহু গুণে বাড়িয়ে তুলবে।
তাঁর ভাষ্য, এই সিস্টেমগুলো পারমাণবিক শক্তি ও ফিউশন এনার্জি, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি এবং নতুন ওষুধ উদ্ভাবনে ‘অভূতপূর্ব গতি’ আনবে।
বিজ্ঞানীরা এখন সূর্যের জ্বালানি উৎপাদন প্রক্রিয়া অর্থাৎ ফিউশন বিক্রিয়া পৃথিবীতে পুনরুৎপাদনের চেষ্টা করছেন। এর জন্য তাঁরা তীব্র তাপ ও চাপে হালকা পরমাণুগুলোকে একত্র করে বিপুল শক্তি উৎপাদনের চেষ্টা করছেন।
রাইট বলেন, ‘আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি, কিন্তু প্লাজমা অত্যন্ত অস্থিতিশীল। আমাদের সূর্যের কেন্দ্রের মতো পরিবেশ পৃথিবীতে তৈরি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই এআই-চালিত সুপার কম্পিউটারগুলোর মাধ্যমে আমাদের অগ্রগতি অনেক দ্রুত হবে। আমি বিশ্বাস করি, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ফিউশন শক্তি ব্যবহারযোগ্য করে তোলার বাস্তব পথ আমরা খুঁজে পাব।’
রাইট জানান, সুপার কম্পিউটারগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করবে এবং ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন ওষুধ উদ্ভাবনের গতি বাড়াবে; অণুস্তরে রোগ নিরাময়ের সম্ভাব্য উপায়গুলো সিমুলেশন করে।
তাঁর আশা, ‘আগামী পাঁচ থেকে আট বছরের মধ্যে আমরা এমন একপর্যায়ে পৌঁছাব, যেখানে আজ যেসব ক্যানসার মৃত্যুদণ্ডের সমান মনে করা হয়, সেগুলোর অনেকগুলোই নিয়ন্ত্রণযোগ্য দীর্ঘস্থায়ী রোগে পরিণত হবে।’
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া কানাডীয়দের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের দেশ ছাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ক্রয়ক্ষমতার অভাব। গত সোমবার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে ম্যাকগিল ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব কানাডা।
০৩ মে ২০২৪
ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে চলা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের বিধ্বংসী প্রভাব ইতিমধ্যেই জ্যামাইকায় অনুভূত হতে শুরু করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রণালয় স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতির সময়ই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এটিকে চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
হারিকেন মেলিসা স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৮২ কিলোমিটার বেগে স্থায়ী বাতাস নিয়ে জ্যামাইকার দিকে ধেয়ে যাচ্ছিল। ধীর গতিতে অগ্রসরমাণ এই ক্যাটাগরি–৫ ঘূর্ণিঝড়টি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঝড় হিসেবে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
তিন দিনের বৈঠক শেষেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। জানা গেছে, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আলোচনা শেষ হলেও সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে দুই দেশের। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে চলা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের বিধ্বংসী প্রভাব ইতিমধ্যেই জ্যামাইকায় অনুভূত হতে শুরু করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রণালয় স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতির সময়ই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এটিকে চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে জনগণকে চরম সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে যে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ছাদের ওপর ওঠা, বালুর বস্তা জড়ো করা বা গাছ কাটার মতো কাজগুলো আপাতদৃষ্টিতে সহজ মনে হলেও, সামান্য ভুলও মারাত্মক আঘাত বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, জলমগ্ন রাস্তা বা আবর্জনাপূর্ণ এলাকায় গাড়ি চালানো অত্যন্ত বিপজ্জনক। যদিও বর্তমানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে, তবে হাসপাতালগুলো খোলা আছে এবং ঘূর্ণিঝড়-সম্পর্কিত আঘাতের চিকিৎসা দিচ্ছে।
জ্যামাইকার পানি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ম্যাথিউ সামুদা বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের ‘নিউজডে’ অনুষ্ঠানে দেশের পরিস্থিতিকে ‘ভীতিকর’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, জ্যামাইকার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ সমুদ্র থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে বসবাস করে। এই ঘূর্ণিঝড় রাজধানী কিংস্টন, ওল্ড হারবার বে, রকি পয়েন্ট এবং সেন্ট এলিজাবেথের মতো বেশ কয়েকটি নিচু উপকূলীয় অঞ্চলে সরাসরি প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সামুদা জানান, কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহ ধরে দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করেছে এবং বন্যার হাত থেকে নিজেদের ঘরবাড়ি বাঁচাতে বালুর বস্তা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে।
তবে, তিনি স্বীকার করেছেন যে জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। বহু মানুষ তাদের ‘জীবন রক্ষার চেয়ে সম্পত্তি রক্ষা করাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন’, এটি কর্তৃপক্ষের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ।
মন্ত্রী সামুদা এই পরিস্থিতিতে বিদেশে বসবাসরত জ্যামাইকান প্রবাসীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন: ‘সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই’ যেন তাঁরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ফোনকল করে খোঁজ নেন এবং তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে উৎসাহিত করেন।

ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে চলা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের বিধ্বংসী প্রভাব ইতিমধ্যেই জ্যামাইকায় অনুভূত হতে শুরু করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রণালয় স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতির সময়ই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এটিকে চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে জনগণকে চরম সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে যে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ছাদের ওপর ওঠা, বালুর বস্তা জড়ো করা বা গাছ কাটার মতো কাজগুলো আপাতদৃষ্টিতে সহজ মনে হলেও, সামান্য ভুলও মারাত্মক আঘাত বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, জলমগ্ন রাস্তা বা আবর্জনাপূর্ণ এলাকায় গাড়ি চালানো অত্যন্ত বিপজ্জনক। যদিও বর্তমানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে, তবে হাসপাতালগুলো খোলা আছে এবং ঘূর্ণিঝড়-সম্পর্কিত আঘাতের চিকিৎসা দিচ্ছে।
জ্যামাইকার পানি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ম্যাথিউ সামুদা বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের ‘নিউজডে’ অনুষ্ঠানে দেশের পরিস্থিতিকে ‘ভীতিকর’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, জ্যামাইকার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ সমুদ্র থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে বসবাস করে। এই ঘূর্ণিঝড় রাজধানী কিংস্টন, ওল্ড হারবার বে, রকি পয়েন্ট এবং সেন্ট এলিজাবেথের মতো বেশ কয়েকটি নিচু উপকূলীয় অঞ্চলে সরাসরি প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সামুদা জানান, কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহ ধরে দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করেছে এবং বন্যার হাত থেকে নিজেদের ঘরবাড়ি বাঁচাতে বালুর বস্তা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে।
তবে, তিনি স্বীকার করেছেন যে জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। বহু মানুষ তাদের ‘জীবন রক্ষার চেয়ে সম্পত্তি রক্ষা করাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন’, এটি কর্তৃপক্ষের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ।
মন্ত্রী সামুদা এই পরিস্থিতিতে বিদেশে বসবাসরত জ্যামাইকান প্রবাসীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন: ‘সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই’ যেন তাঁরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ফোনকল করে খোঁজ নেন এবং তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে উৎসাহিত করেন।

দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া কানাডীয়দের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের দেশ ছাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ক্রয়ক্ষমতার অভাব। গত সোমবার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে ম্যাকগিল ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব কানাডা।
০৩ মে ২০২৪
রাইট জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো এমন পর্যাপ্ত সুপার কম্পিউটার তৈরি করা, যা ক্রমবর্ধমান জটিল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনায় সক্ষম হবে। এসব মেশিন বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করে নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের গতি বহু গুণে বাড়িয়ে তুলবে।
২০ মিনিট আগে
হারিকেন মেলিসা স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৮২ কিলোমিটার বেগে স্থায়ী বাতাস নিয়ে জ্যামাইকার দিকে ধেয়ে যাচ্ছিল। ধীর গতিতে অগ্রসরমাণ এই ক্যাটাগরি–৫ ঘূর্ণিঝড়টি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঝড় হিসেবে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
তিন দিনের বৈঠক শেষেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। জানা গেছে, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আলোচনা শেষ হলেও সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে দুই দেশের। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হারিকেন মেলিসা স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৮২ কিলোমিটার বেগে স্থায়ী বাতাস নিয়ে জ্যামাইকার দিকে ধেয়ে যাচ্ছিল। ধীর গতিতে অগ্রসরমাণ এই ক্যাটাগরি–৫ ঘূর্ণিঝড়টি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঝড় হিসেবে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) তথ্য অনুযায়ী, গ্রিনিচ মান সময় বিকেল ৬টা (বাংলাদেশ সময় মধ্যরাত ১২ টা) পর্যন্ত মেলিসাকে ‘বিপর্যয়কর’ ঝড় হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি স্যাফির-সিম্পসন স্কেলের সর্বোচ্চ স্তর, অর্থাৎ ক্যাটাগরি–৫ হারিকেন।
এনএইচসি জানায়, মেলিসা সোমবার গভীর রাতে বা মঙ্গলবার ভোরে জ্যামাইকার ওপর দিয়ে বয়ে যাবে। মঙ্গলবার রাতে পূর্ব কিউবা অতিক্রম করে বুধবারের মধ্যে বাহামা ও টার্কস অ্যান্ড কাইকোস দ্বীপপুঞ্জের দিকে অগ্রসর হবে। ক্যারিবীয় সাগরের অস্বাভাবিক উষ্ণ জলে ধীর গতিতে অগ্রসর হওয়ায় মেলিসার আকার ও শক্তি বেড়ে গেছে বলে এনএইচসি–এর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। এর ফলে জ্যামাইকা একাধিক দিনের নজিরবিহীন ঝোড়ো বাতাস ও প্রায় তিন ফুট বৃষ্টিপাতের মুখে পড়তে পারে।
বর্তমানে মেলিসার বাতাসের পরিধি জ্যামাইকার দৈর্ঘ্যের চেয়েও বেশি। কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের সমান আকারের এই দ্বীপটির প্রধান বিমানবন্দরগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি অবস্থিত—যা বিপদের আশঙ্কা আরও বাড়িয়েছে। দক্ষিণ জ্যামাইকার কিছু অংশে, বিশেষ করে ঐতিহাসিক বন্দরনগর পোর্ট রয়্যালে বাধ্যতামূলক সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ জারি করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়ে আবেদন জানান। তিনি সতর্ক করেন, ঘূর্ণিঝড়টি কৃষিজমি, ঘরবাড়ি, সেতু, সড়ক, বন্দর ও বিমানবন্দরের মতো অবকাঠামোর ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে।
সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও অনেক স্থানীয় বাসিন্দা রয়টার্সকে জানান, লুটপাটের আশঙ্কায় তারা ঘর ছাড়তে চান না। কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রায় ২৮ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হোলনেস বলেন, ‘এই অঞ্চলের কোনো অবকাঠামোই ক্যাটাগরি–৫ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত সহ্য করতে পারবে না।’
স্যাফির–সিম্পসন স্কেল অনুযায়ী, ক্যাটাগরি–৫ হলো সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের ধাপ। এই স্কেল ঘূর্ণিঝড়ের স্থায়ী বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগের ওপর নির্ভর করে এবং সম্ভাব্য সম্পত্তি ক্ষতির মাত্রা অনুমান করতে ব্যবহৃত হয়। ক্যাটাগরি–৩ বা তদূর্ধ্ব ঘূর্ণিঝড়কে ‘মেজর হারিকেন’ বা বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ধরা হয়।
ক্যাটাগরি–৫ বলতে ঘণ্টায় ২৫২ কিলোমিটার বা তার বেশি বেগের ঝড়কে বোঝানো হয়। এমন ঝড়ে অধিকাংশ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, ছাদ উড়ে যেতে পারে, দেয়াল ধসে পড়তে পারে, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়তে পারে। এই স্কেলে ঝড়ের সঙ্গে আসা জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, ভূমিধস বা টর্নেডোর মতো অন্যান্য প্রাণঘাতী ঝুঁকি বিবেচনা করা হয় না।
এনএইচসি ১৯৭৩ সাল থেকে এই স্কেল ব্যবহার করছে। এটি প্রণয়ন করেন প্রকৌশলী হারবার্ট স্যাফির ও আবহাওয়াবিদ রবার্ট সিম্পসন। হোলনেস জানান, তাঁর সরকার যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নিয়েছে। ৩৩ মিলিয়ন ডলারের জরুরি বাজেট রাখা হয়েছে, পাশাপাশি গত বছরের ভয়াবহ হারিকেন বেরিলের ক্ষতির চেয়েও বেশি পরিমাণে বিমা ও ঋণ সহায়তা প্রস্তুত রয়েছে।
বেরিল ছিল আটলান্টিক মহাসাগরে রেকর্ড করা সবচেয়ে দ্রুতগতির ক্যাটাগরি–৫ পর্যায়ে পৌঁছানো হারিকেন। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘূর্ণিঝড়গুলো আগের চেয়ে অনেক দ্রুত শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
অ্যাকুওয়েদার–এর প্রধান আবহাওয়াবিদ জোনাথন পোর্টার বলেন, ‘দশ হাজারেরও বেশি পরিবার ঘণ্টায় ১০০ মাইলের বেশি গতির প্রবল দমকা হাওয়ার মুখে পড়বে এবং কয়েক দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ তিনি আরও বলেন, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলে ত্রাণ পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়বে।
পশ্চিম ক্যারিবীয় অঞ্চলের উষ্ণ জলবায়ুর কারণে জ্যামাইকা প্রতি বছরই উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড় ও হারিকেনের মুখোমুখি হয়। জ্যামাইকার হারিকেন মৌসুম জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়, যার চূড়ান্ত সময় অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধে। সাধারণত প্রতি বছর দ্বীপটি দুই থেকে তিনটি ট্রপিক্যাল ঝড় বা হারিকেনের প্রভাব অনুভব করে, তবে সরাসরি আঘাতের ঘটনা বিরল। ১৯৮৮ সালের পর থেকে জ্যামাইকাকে সরাসরি আঘাত করেছে মাত্র তিনটি বড় হারিকেন।

হারিকেন মেলিসা স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৮২ কিলোমিটার বেগে স্থায়ী বাতাস নিয়ে জ্যামাইকার দিকে ধেয়ে যাচ্ছিল। ধীর গতিতে অগ্রসরমাণ এই ক্যাটাগরি–৫ ঘূর্ণিঝড়টি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঝড় হিসেবে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) তথ্য অনুযায়ী, গ্রিনিচ মান সময় বিকেল ৬টা (বাংলাদেশ সময় মধ্যরাত ১২ টা) পর্যন্ত মেলিসাকে ‘বিপর্যয়কর’ ঝড় হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি স্যাফির-সিম্পসন স্কেলের সর্বোচ্চ স্তর, অর্থাৎ ক্যাটাগরি–৫ হারিকেন।
এনএইচসি জানায়, মেলিসা সোমবার গভীর রাতে বা মঙ্গলবার ভোরে জ্যামাইকার ওপর দিয়ে বয়ে যাবে। মঙ্গলবার রাতে পূর্ব কিউবা অতিক্রম করে বুধবারের মধ্যে বাহামা ও টার্কস অ্যান্ড কাইকোস দ্বীপপুঞ্জের দিকে অগ্রসর হবে। ক্যারিবীয় সাগরের অস্বাভাবিক উষ্ণ জলে ধীর গতিতে অগ্রসর হওয়ায় মেলিসার আকার ও শক্তি বেড়ে গেছে বলে এনএইচসি–এর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। এর ফলে জ্যামাইকা একাধিক দিনের নজিরবিহীন ঝোড়ো বাতাস ও প্রায় তিন ফুট বৃষ্টিপাতের মুখে পড়তে পারে।
বর্তমানে মেলিসার বাতাসের পরিধি জ্যামাইকার দৈর্ঘ্যের চেয়েও বেশি। কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের সমান আকারের এই দ্বীপটির প্রধান বিমানবন্দরগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি অবস্থিত—যা বিপদের আশঙ্কা আরও বাড়িয়েছে। দক্ষিণ জ্যামাইকার কিছু অংশে, বিশেষ করে ঐতিহাসিক বন্দরনগর পোর্ট রয়্যালে বাধ্যতামূলক সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ জারি করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়ে আবেদন জানান। তিনি সতর্ক করেন, ঘূর্ণিঝড়টি কৃষিজমি, ঘরবাড়ি, সেতু, সড়ক, বন্দর ও বিমানবন্দরের মতো অবকাঠামোর ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে।
সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও অনেক স্থানীয় বাসিন্দা রয়টার্সকে জানান, লুটপাটের আশঙ্কায় তারা ঘর ছাড়তে চান না। কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রায় ২৮ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হোলনেস বলেন, ‘এই অঞ্চলের কোনো অবকাঠামোই ক্যাটাগরি–৫ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত সহ্য করতে পারবে না।’
স্যাফির–সিম্পসন স্কেল অনুযায়ী, ক্যাটাগরি–৫ হলো সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের ধাপ। এই স্কেল ঘূর্ণিঝড়ের স্থায়ী বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগের ওপর নির্ভর করে এবং সম্ভাব্য সম্পত্তি ক্ষতির মাত্রা অনুমান করতে ব্যবহৃত হয়। ক্যাটাগরি–৩ বা তদূর্ধ্ব ঘূর্ণিঝড়কে ‘মেজর হারিকেন’ বা বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ধরা হয়।
ক্যাটাগরি–৫ বলতে ঘণ্টায় ২৫২ কিলোমিটার বা তার বেশি বেগের ঝড়কে বোঝানো হয়। এমন ঝড়ে অধিকাংশ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, ছাদ উড়ে যেতে পারে, দেয়াল ধসে পড়তে পারে, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়তে পারে। এই স্কেলে ঝড়ের সঙ্গে আসা জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, ভূমিধস বা টর্নেডোর মতো অন্যান্য প্রাণঘাতী ঝুঁকি বিবেচনা করা হয় না।
এনএইচসি ১৯৭৩ সাল থেকে এই স্কেল ব্যবহার করছে। এটি প্রণয়ন করেন প্রকৌশলী হারবার্ট স্যাফির ও আবহাওয়াবিদ রবার্ট সিম্পসন। হোলনেস জানান, তাঁর সরকার যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নিয়েছে। ৩৩ মিলিয়ন ডলারের জরুরি বাজেট রাখা হয়েছে, পাশাপাশি গত বছরের ভয়াবহ হারিকেন বেরিলের ক্ষতির চেয়েও বেশি পরিমাণে বিমা ও ঋণ সহায়তা প্রস্তুত রয়েছে।
বেরিল ছিল আটলান্টিক মহাসাগরে রেকর্ড করা সবচেয়ে দ্রুতগতির ক্যাটাগরি–৫ পর্যায়ে পৌঁছানো হারিকেন। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘূর্ণিঝড়গুলো আগের চেয়ে অনেক দ্রুত শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
অ্যাকুওয়েদার–এর প্রধান আবহাওয়াবিদ জোনাথন পোর্টার বলেন, ‘দশ হাজারেরও বেশি পরিবার ঘণ্টায় ১০০ মাইলের বেশি গতির প্রবল দমকা হাওয়ার মুখে পড়বে এবং কয়েক দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ তিনি আরও বলেন, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলে ত্রাণ পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়বে।
পশ্চিম ক্যারিবীয় অঞ্চলের উষ্ণ জলবায়ুর কারণে জ্যামাইকা প্রতি বছরই উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড় ও হারিকেনের মুখোমুখি হয়। জ্যামাইকার হারিকেন মৌসুম জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়, যার চূড়ান্ত সময় অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধে। সাধারণত প্রতি বছর দ্বীপটি দুই থেকে তিনটি ট্রপিক্যাল ঝড় বা হারিকেনের প্রভাব অনুভব করে, তবে সরাসরি আঘাতের ঘটনা বিরল। ১৯৮৮ সালের পর থেকে জ্যামাইকাকে সরাসরি আঘাত করেছে মাত্র তিনটি বড় হারিকেন।

দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া কানাডীয়দের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের দেশ ছাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ক্রয়ক্ষমতার অভাব। গত সোমবার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে ম্যাকগিল ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব কানাডা।
০৩ মে ২০২৪
রাইট জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো এমন পর্যাপ্ত সুপার কম্পিউটার তৈরি করা, যা ক্রমবর্ধমান জটিল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনায় সক্ষম হবে। এসব মেশিন বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করে নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের গতি বহু গুণে বাড়িয়ে তুলবে।
২০ মিনিট আগে
ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে চলা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের বিধ্বংসী প্রভাব ইতিমধ্যেই জ্যামাইকায় অনুভূত হতে শুরু করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রণালয় স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতির সময়ই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এটিকে চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
তিন দিনের বৈঠক শেষেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। জানা গেছে, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আলোচনা শেষ হলেও সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে দুই দেশের। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তিন দিনের বৈঠক শেষেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। জানা গেছে, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আলোচনা শেষ হলেও সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে দুই দেশের। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠকের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, অধিকাংশ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হলেও আফগান ভূখণ্ড থেকে সক্রিয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ গ্রহণের প্রক্রিয়াই প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাকিস্তানের এক কূটনৈতিক বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম শিগগির আফগানিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারব। এরপর যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে। কিন্তু সেটি এখনো আমাদের নাগালের বাইরে।’
বৈঠকের প্রথম ভাগে পরিবেশ ছিল বেশ ইতিবাচক। অংশগ্রহণকারীরা তখন আলোচনা সম্পর্কে বেশ অগ্রগতির কথা বলেছিলেন। তবে দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশা কমতে থাকে। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী এক কূটনীতিক স্বীকার করেন, ‘এখন পরিস্থিতি কঠিন হচ্ছে। সন্ধ্যার দিকে বৈঠক স্থবির হয়ে পড়ে এবং রাতেও আলোচনায় নতুন কোনো গতি দেখা যায়নি।’
কূটনৈতিক সূত্রটি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, আফগান তালেবান প্রতিনিধিদল এখনো কোনো লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে অনিচ্ছুক। বিশেষত পাকিস্তানবিরোধী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) সমর্থন বন্ধের বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রশ্নে তালেবান প্রতিনিধিদল কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না। একজন পাকিস্তানি কূটনীতিক বলেন, ‘তুর্কি আয়োজকেরা আমাদের উদ্বেগ বুঝতে পারছেন, কিন্তু কাবুল ও কান্দাহার কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে চাইছে না।’
পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেন, ‘আমাদের অবস্থান শুরু থেকেই পরিষ্কার—টিটিপির সমর্থন বন্ধ করতে হবে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না।’
সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকেরা জানান, ‘বহিরাগত প্রভাব’ (ভারতের দিকে ইঙ্গিত) সত্ত্বেও পাকিস্তান ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো ‘সততা ও গুরুত্বের সঙ্গে’ আলোচনাকে ইতিবাচক দিকে নিতে চেষ্টা করছে। তাই রোববারের বৈঠকের পর যে হতাশা তৈরি হয়েছিল, সোমবার পরিবেশ কিছুটা ইতিবাচক ছিল। রোববার পাকিস্তানি কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ইসলামাবাদ তাদের অবস্থান তুলে ধরেছে। আফগান প্রতিনিধিদলও তখন আশাবাদী ছিল। তারা জানিয়েছিল, ইস্তাম্বুলের আলোচনায় অগ্রগতি সম্ভব এবং বাকি মতপার্থক্যগুলো সীমিত কিন্তু সমাধানযোগ্য।
এ সময় তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরাও একই মনোভাব প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, আলোচনার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া জরুরি এবং সেটি যেন ভেঙে না পড়ে। কিন্তু শত চেষ্টা সত্ত্বেও সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে দুই দেশের সমঝোতার বিষয়টি অধরা রয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈঠক আরও এক দিন বাড়ানো হতে পারে।

তিন দিনের বৈঠক শেষেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। জানা গেছে, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আলোচনা শেষ হলেও সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে দুই দেশের। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠকের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, অধিকাংশ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হলেও আফগান ভূখণ্ড থেকে সক্রিয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ গ্রহণের প্রক্রিয়াই প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাকিস্তানের এক কূটনৈতিক বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম শিগগির আফগানিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারব। এরপর যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে। কিন্তু সেটি এখনো আমাদের নাগালের বাইরে।’
বৈঠকের প্রথম ভাগে পরিবেশ ছিল বেশ ইতিবাচক। অংশগ্রহণকারীরা তখন আলোচনা সম্পর্কে বেশ অগ্রগতির কথা বলেছিলেন। তবে দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশা কমতে থাকে। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী এক কূটনীতিক স্বীকার করেন, ‘এখন পরিস্থিতি কঠিন হচ্ছে। সন্ধ্যার দিকে বৈঠক স্থবির হয়ে পড়ে এবং রাতেও আলোচনায় নতুন কোনো গতি দেখা যায়নি।’
কূটনৈতিক সূত্রটি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, আফগান তালেবান প্রতিনিধিদল এখনো কোনো লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে অনিচ্ছুক। বিশেষত পাকিস্তানবিরোধী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) সমর্থন বন্ধের বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রশ্নে তালেবান প্রতিনিধিদল কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না। একজন পাকিস্তানি কূটনীতিক বলেন, ‘তুর্কি আয়োজকেরা আমাদের উদ্বেগ বুঝতে পারছেন, কিন্তু কাবুল ও কান্দাহার কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে চাইছে না।’
পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেন, ‘আমাদের অবস্থান শুরু থেকেই পরিষ্কার—টিটিপির সমর্থন বন্ধ করতে হবে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না।’
সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকেরা জানান, ‘বহিরাগত প্রভাব’ (ভারতের দিকে ইঙ্গিত) সত্ত্বেও পাকিস্তান ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো ‘সততা ও গুরুত্বের সঙ্গে’ আলোচনাকে ইতিবাচক দিকে নিতে চেষ্টা করছে। তাই রোববারের বৈঠকের পর যে হতাশা তৈরি হয়েছিল, সোমবার পরিবেশ কিছুটা ইতিবাচক ছিল। রোববার পাকিস্তানি কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ইসলামাবাদ তাদের অবস্থান তুলে ধরেছে। আফগান প্রতিনিধিদলও তখন আশাবাদী ছিল। তারা জানিয়েছিল, ইস্তাম্বুলের আলোচনায় অগ্রগতি সম্ভব এবং বাকি মতপার্থক্যগুলো সীমিত কিন্তু সমাধানযোগ্য।
এ সময় তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরাও একই মনোভাব প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, আলোচনার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া জরুরি এবং সেটি যেন ভেঙে না পড়ে। কিন্তু শত চেষ্টা সত্ত্বেও সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে দুই দেশের সমঝোতার বিষয়টি অধরা রয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈঠক আরও এক দিন বাড়ানো হতে পারে।

দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া কানাডীয়দের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের দেশ ছাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ক্রয়ক্ষমতার অভাব। গত সোমবার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে ম্যাকগিল ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব কানাডা।
০৩ মে ২০২৪
রাইট জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো এমন পর্যাপ্ত সুপার কম্পিউটার তৈরি করা, যা ক্রমবর্ধমান জটিল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনায় সক্ষম হবে। এসব মেশিন বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করে নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের গতি বহু গুণে বাড়িয়ে তুলবে।
২০ মিনিট আগে
ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে চলা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের বিধ্বংসী প্রভাব ইতিমধ্যেই জ্যামাইকায় অনুভূত হতে শুরু করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রণালয় স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতির সময়ই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এটিকে চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
হারিকেন মেলিসা স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৮২ কিলোমিটার বেগে স্থায়ী বাতাস নিয়ে জ্যামাইকার দিকে ধেয়ে যাচ্ছিল। ধীর গতিতে অগ্রসরমাণ এই ক্যাটাগরি–৫ ঘূর্ণিঝড়টি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঝড় হিসেবে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে