জাহীদ রেজা নূর

আরও একটি ব্যাপার নিয়ে ব্যাপকভাবে মার্কিনিদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। প্রতিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ওয়াশিংটন পোস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীর প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে। কিন্তু এবার ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক জেফ বেজোস সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে তাঁর পত্রিকা কোনো দলকেই সমর্থন করবে না।
বেজোসের এই কথায় ভয়ানক চটেছে পত্রিকাটির গ্রাহকদের একটি অংশ। এরই মধ্যে দুই লাখ গ্রাহক পত্রিকাটি আর রাখবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বলে রাখা দরকার, ১৯৭০ সাল থেকে ওয়াশিংটন পোস্ট ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ নিয়ে থাকে। গতকাল শুক্রবার পত্রিকাটির এ রকম ঘোষণার কারণে গ্রাহকদের একটি অংশ খুবই অবাক হন এবং তারই প্রতিক্রিয়ায় তাঁরা আর পত্রিকাটির গ্রাহক থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত নেন।
ওয়াশংটন পোস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উইলিয়াম লুইস এ ব্যাপারে একটি ব্যাখ্যামূলক কলাম লিখেছেন। তাতে তিনি বলার চেষ্টা করেছেনে, পত্রিকাটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ভোটারদের পছন্দকে প্রভাবিত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর এই অবস্থানকে স্বাগত জানায়নি ওয়াশিংটন পোস্ট গিল্ড। এই গিল্ড কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব করে। গিল্ড জানিয়েছে, তারা এই পদক্ষেপ এবং সিইওর বিবৃতি উভয়ের ব্যাপারেই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
গিল্ড একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘উইলিয়াম লুইসের বার্তাটি আমাদের উদ্বিগ্ন করে তোলে এই কারণে যে ব্যবস্থাপনা পরিষদ মূলত সম্পাদকীয় কর্মীদের কাজে হস্তক্ষেপ করছে।’ অর্থাৎ যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা সাংবাদিকদের, সে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মালিক!
ব্রিটেনের নাগরিক উইলিয়াম লুইসকে সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক বেজোস সিইও হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। উইলিয়াম লুইসের ব্যাপারে তাঁর সমালোচকেরা বলছেন, অতীতেও এই ভদ্রলোক বারবার বড় বড় কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে তিনি যখন রুপার্ট মারডকের মালিকানাধীন মিডিয়াতে কাজ করতেন, তখনকার কেলেঙ্কারিগুলোর কথা ভোলা যাবে না।।
ওয়াশিংটন পোস্টেন সাবেক নির্বাহী সম্পাদক মার্টি ব্যারনও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের সমর্থনে অস্বীকৃতি জানানোর বিষয়টি এই সংবাদপত্রের বর্তমান নেতৃত্বের কাপুরুষতা এবং মেরুদণ্ডহীনতা বলে অভিহিত করতে হবে।
সোমবার সংবাদপত্রের মালিক জেফ বেজোস তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় একটি কলাম প্রকাশ করেছিলেন। তিনি তাতে বলেছেন, তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, প্রচলিত মিডিয়ার প্রতি মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। পাঠক এখন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খবর গ্রহণের দিয়ে ঝুঁকছে।
এই প্রবণতা পাঠকদের ভুল তথ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। বেজোস লিখেছেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ মনে করে মিডিয়া পক্ষপাতদুষ্ট। যাঁরা এটি দেখেন না, তাঁরা বাস্তবতার দিকে খুব কম মনোযোগ দেন এবং যাঁরা বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করেন, তাঁরা হেরে যান।’
সংক্ষেপে এই হলো বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি বেজোসের অবস্থান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞজনদের অনেকে মনে করেন, এবারকার নির্বাচনটা অনন্য। কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হোয়াইট হাউসের লড়াইটি আমেরিকান গণতন্ত্রের জন্য চাপের পরীক্ষা (স্ট্রেস টেস্ট) বলে অভিহিত করেছেন। তবে বেজোস নিশ্চিত যে মিডিয়ার কোনো অবস্থান নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারবে না।
বেজোস লিখেছেন, ‘পেনসিলভেনিয়ার কোনো দোদুল্যমান ভোটার বলবেন না যে আমি অমুক সংবাদপত্রের মতামতকে সমর্থন করি। প্রকৃতপক্ষে, প্রার্থীদের জন্য মিডিয়া সমর্থন পক্ষপাতিত্ব এবং স্বাধীনতার অভাবের ধারণা তৈরি করে দেয়। এই অবস্থা পরিবর্তন করা দরকার এবং এটিই সঠিক।’
বেজোস এই সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মনে করলেও পত্রিকার ২০ জন কলামিস্ট এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেনে, ওয়াশিংটন পোস্টের ব্যবস্থাপনা পরিষদের এই সিদ্ধান্তটি বহু বছর ধরে চলতে থাকা পত্রিকাটির মৌলিক নীতিকে প্রত্যাখান করে।
এই কলামিস্টদের মধ্যে রয়েছেন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার সিরিজ কলাম লেখার জন্য সাম্প্রতিক পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী ডেভিড হফম্যানও। তুমুলভাবে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। এক খোলা চিঠিতে বলেছেন, ‘কীভাবে কর্তৃত্ববাদী শাসন ভিন্নমতকে দমন করার জন্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, এটা তার নজির। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন ট্রাম্পের স্বৈরাচারের হুমকির সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।’
হফম্যান ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদকীয় বোর্ড থেকে পদত্যাগ করে বলেছেন, ‘এখানে থাকাকে আমি অনৈতিক ও অযৌক্তিক বলে মনে করি। এই বিপজ্জনক মুহূর্তে আমরা আমাদের কণ্ঠস্বর হারিয়ে ফেলেছি।’
বেজোসের সিদ্ধান্তের বিরোধীরা উল্লেখ করেছেনে, যেদিন সংবাদপত্রটি হ্যারিসকে সমর্থন করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেদিনই সংবাদপত্রের মালিক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
বেজোস অবশ্য তাঁর কলামে এ ঘটনা দুটোকে একসঙ্গে মেলাতে চাননি। তিনি একে নিতান্তই কাকতালীয় ব্যাপার বলে অভিহিত করেছেন। পাঠককে আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন এই বলে যে তাঁর সিদ্ধান্তের সঙ্গে কোনো ব্যবসায়িক বদ মতলব নেই। এটা ট্রাম্পের জন্য কোনো ছাড় নয়।
ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক ও সাংবাদিকেরা দুটো ভিন্ন পাটাতনে দাঁড়িয়েছে। এটাও এই নির্বাচনের জন্য এক চমকপ্রদ খবর।
কোনো প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে সমর্থন দেবে না, এমন সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত আরও দুটি পত্রিকা নিয়েছে। এর একটি হলো লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস, অন্যটি ডেইলি বিস্ট।

আরও একটি ব্যাপার নিয়ে ব্যাপকভাবে মার্কিনিদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। প্রতিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ওয়াশিংটন পোস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীর প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে। কিন্তু এবার ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক জেফ বেজোস সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে তাঁর পত্রিকা কোনো দলকেই সমর্থন করবে না।
বেজোসের এই কথায় ভয়ানক চটেছে পত্রিকাটির গ্রাহকদের একটি অংশ। এরই মধ্যে দুই লাখ গ্রাহক পত্রিকাটি আর রাখবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বলে রাখা দরকার, ১৯৭০ সাল থেকে ওয়াশিংটন পোস্ট ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ নিয়ে থাকে। গতকাল শুক্রবার পত্রিকাটির এ রকম ঘোষণার কারণে গ্রাহকদের একটি অংশ খুবই অবাক হন এবং তারই প্রতিক্রিয়ায় তাঁরা আর পত্রিকাটির গ্রাহক থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত নেন।
ওয়াশংটন পোস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উইলিয়াম লুইস এ ব্যাপারে একটি ব্যাখ্যামূলক কলাম লিখেছেন। তাতে তিনি বলার চেষ্টা করেছেনে, পত্রিকাটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ভোটারদের পছন্দকে প্রভাবিত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর এই অবস্থানকে স্বাগত জানায়নি ওয়াশিংটন পোস্ট গিল্ড। এই গিল্ড কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব করে। গিল্ড জানিয়েছে, তারা এই পদক্ষেপ এবং সিইওর বিবৃতি উভয়ের ব্যাপারেই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
গিল্ড একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘উইলিয়াম লুইসের বার্তাটি আমাদের উদ্বিগ্ন করে তোলে এই কারণে যে ব্যবস্থাপনা পরিষদ মূলত সম্পাদকীয় কর্মীদের কাজে হস্তক্ষেপ করছে।’ অর্থাৎ যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা সাংবাদিকদের, সে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মালিক!
ব্রিটেনের নাগরিক উইলিয়াম লুইসকে সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক বেজোস সিইও হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। উইলিয়াম লুইসের ব্যাপারে তাঁর সমালোচকেরা বলছেন, অতীতেও এই ভদ্রলোক বারবার বড় বড় কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে তিনি যখন রুপার্ট মারডকের মালিকানাধীন মিডিয়াতে কাজ করতেন, তখনকার কেলেঙ্কারিগুলোর কথা ভোলা যাবে না।।
ওয়াশিংটন পোস্টেন সাবেক নির্বাহী সম্পাদক মার্টি ব্যারনও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের সমর্থনে অস্বীকৃতি জানানোর বিষয়টি এই সংবাদপত্রের বর্তমান নেতৃত্বের কাপুরুষতা এবং মেরুদণ্ডহীনতা বলে অভিহিত করতে হবে।
সোমবার সংবাদপত্রের মালিক জেফ বেজোস তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় একটি কলাম প্রকাশ করেছিলেন। তিনি তাতে বলেছেন, তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, প্রচলিত মিডিয়ার প্রতি মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। পাঠক এখন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খবর গ্রহণের দিয়ে ঝুঁকছে।
এই প্রবণতা পাঠকদের ভুল তথ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। বেজোস লিখেছেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ মনে করে মিডিয়া পক্ষপাতদুষ্ট। যাঁরা এটি দেখেন না, তাঁরা বাস্তবতার দিকে খুব কম মনোযোগ দেন এবং যাঁরা বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করেন, তাঁরা হেরে যান।’
সংক্ষেপে এই হলো বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি বেজোসের অবস্থান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞজনদের অনেকে মনে করেন, এবারকার নির্বাচনটা অনন্য। কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হোয়াইট হাউসের লড়াইটি আমেরিকান গণতন্ত্রের জন্য চাপের পরীক্ষা (স্ট্রেস টেস্ট) বলে অভিহিত করেছেন। তবে বেজোস নিশ্চিত যে মিডিয়ার কোনো অবস্থান নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারবে না।
বেজোস লিখেছেন, ‘পেনসিলভেনিয়ার কোনো দোদুল্যমান ভোটার বলবেন না যে আমি অমুক সংবাদপত্রের মতামতকে সমর্থন করি। প্রকৃতপক্ষে, প্রার্থীদের জন্য মিডিয়া সমর্থন পক্ষপাতিত্ব এবং স্বাধীনতার অভাবের ধারণা তৈরি করে দেয়। এই অবস্থা পরিবর্তন করা দরকার এবং এটিই সঠিক।’
বেজোস এই সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মনে করলেও পত্রিকার ২০ জন কলামিস্ট এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেনে, ওয়াশিংটন পোস্টের ব্যবস্থাপনা পরিষদের এই সিদ্ধান্তটি বহু বছর ধরে চলতে থাকা পত্রিকাটির মৌলিক নীতিকে প্রত্যাখান করে।
এই কলামিস্টদের মধ্যে রয়েছেন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার সিরিজ কলাম লেখার জন্য সাম্প্রতিক পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী ডেভিড হফম্যানও। তুমুলভাবে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। এক খোলা চিঠিতে বলেছেন, ‘কীভাবে কর্তৃত্ববাদী শাসন ভিন্নমতকে দমন করার জন্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, এটা তার নজির। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন ট্রাম্পের স্বৈরাচারের হুমকির সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।’
হফম্যান ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদকীয় বোর্ড থেকে পদত্যাগ করে বলেছেন, ‘এখানে থাকাকে আমি অনৈতিক ও অযৌক্তিক বলে মনে করি। এই বিপজ্জনক মুহূর্তে আমরা আমাদের কণ্ঠস্বর হারিয়ে ফেলেছি।’
বেজোসের সিদ্ধান্তের বিরোধীরা উল্লেখ করেছেনে, যেদিন সংবাদপত্রটি হ্যারিসকে সমর্থন করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেদিনই সংবাদপত্রের মালিক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
বেজোস অবশ্য তাঁর কলামে এ ঘটনা দুটোকে একসঙ্গে মেলাতে চাননি। তিনি একে নিতান্তই কাকতালীয় ব্যাপার বলে অভিহিত করেছেন। পাঠককে আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন এই বলে যে তাঁর সিদ্ধান্তের সঙ্গে কোনো ব্যবসায়িক বদ মতলব নেই। এটা ট্রাম্পের জন্য কোনো ছাড় নয়।
ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক ও সাংবাদিকেরা দুটো ভিন্ন পাটাতনে দাঁড়িয়েছে। এটাও এই নির্বাচনের জন্য এক চমকপ্রদ খবর।
কোনো প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে সমর্থন দেবে না, এমন সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত আরও দুটি পত্রিকা নিয়েছে। এর একটি হলো লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস, অন্যটি ডেইলি বিস্ট।

পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
২ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৩ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত এক মহড়ায় এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। এর মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে রাশিয়া। আর তা হলো, ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চাপ সত্ত্বেও রাশিয়া কোনোভাবেই নতি স্বীকার করবে না। বিশেষত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, ঠিক সে সময় মস্কোর এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
রাশিয়ার সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ পুতিনকে জানান, গত মঙ্গলবার পরীক্ষার সময় ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার (৮,৭০০ মাইল) উড়ে প্রায় ১৫ ঘণ্টা আকাশে ছিল। তিনি বলেন, এটি পারমাণবিক শক্তি দ্বারা চালিত এবং এর উড্ডয়নের দূরত্ব কার্যত সীমাহীন।
রাশিয়ার বর্ণনা অনুযায়ী, ৯ এম-৭৩০ বুরেভেস্তনিক (ন্যাটো নাম এসএসসি-এক্স-৯ স্কাইফল) হলো এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র, যাকে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের কোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থাই আটকাতে পারবে না।
আজ রোববার সামরিক পোশাক পরিহিত অবস্থায় ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনাকারী সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন পুতিন। এ সময় পুতিন বলেন, এটি এক অনন্য অস্ত্র, যা আর কোনো দেশের কাছে নেই।
পুতিন ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা দেন। তিনি একে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রতিরোধ হিসেবে বর্ণনা করেন। কারণ, ওয়াশিংটন ২০০১ সালে একতরফাভাবে ১৯৭২ সালের অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় এবং পরে ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণ শুরু করে।
পুতিন বলেন, রুশ বিশেষজ্ঞরা একসময় বলেছিলেন, এই অস্ত্র তৈরি সম্ভব নয়। কিন্তু এখন এটার পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তিনি গেরাসিমভকে দ্রুত অস্ত্রটির শ্রেণিবিন্যাস ও মোতায়েনের অবকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।
পুতিনের এ ঘোষণার সময় ও প্রেক্ষাপটও তাৎপর্যপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনাকারী জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠকে সামরিক পোশাক পরে এ ঘোষণা দিয়ে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি সরাসরি বার্তা দিয়েছেন—বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্দেশে। তবে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সম্প্রতি ট্রাম্প রাশিয়াকে ‘কাগুজে বাঘ’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, মস্কো ইউক্রেনকে হারাতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু পুতিনের আজকের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রকে মনে করিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া এখনো বৈশ্বিক পারমাণবিক শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বী। একই সঙ্গে আরও ইঙ্গিত দিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে নতুন করে আলোচনায় বসা উচিত।
রুশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ গেরাসিমভ জানান, বুরেভেস্তনিকের এ পরীক্ষা বিশেষ ছিল। কারণ, এটি পারমাণবিক শক্তির মাধ্যমেই এত দীর্ঘ সময় আকাশে ছিল। তিনি দাবি করেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র যেকোনো অ্যান্টি মিসাইল প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে পরাস্ত করতে সক্ষম।

পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত এক মহড়ায় এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। এর মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে রাশিয়া। আর তা হলো, ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চাপ সত্ত্বেও রাশিয়া কোনোভাবেই নতি স্বীকার করবে না। বিশেষত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, ঠিক সে সময় মস্কোর এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
রাশিয়ার সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ পুতিনকে জানান, গত মঙ্গলবার পরীক্ষার সময় ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার (৮,৭০০ মাইল) উড়ে প্রায় ১৫ ঘণ্টা আকাশে ছিল। তিনি বলেন, এটি পারমাণবিক শক্তি দ্বারা চালিত এবং এর উড্ডয়নের দূরত্ব কার্যত সীমাহীন।
রাশিয়ার বর্ণনা অনুযায়ী, ৯ এম-৭৩০ বুরেভেস্তনিক (ন্যাটো নাম এসএসসি-এক্স-৯ স্কাইফল) হলো এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র, যাকে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের কোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থাই আটকাতে পারবে না।
আজ রোববার সামরিক পোশাক পরিহিত অবস্থায় ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনাকারী সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন পুতিন। এ সময় পুতিন বলেন, এটি এক অনন্য অস্ত্র, যা আর কোনো দেশের কাছে নেই।
পুতিন ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা দেন। তিনি একে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রতিরোধ হিসেবে বর্ণনা করেন। কারণ, ওয়াশিংটন ২০০১ সালে একতরফাভাবে ১৯৭২ সালের অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় এবং পরে ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণ শুরু করে।
পুতিন বলেন, রুশ বিশেষজ্ঞরা একসময় বলেছিলেন, এই অস্ত্র তৈরি সম্ভব নয়। কিন্তু এখন এটার পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তিনি গেরাসিমভকে দ্রুত অস্ত্রটির শ্রেণিবিন্যাস ও মোতায়েনের অবকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।
পুতিনের এ ঘোষণার সময় ও প্রেক্ষাপটও তাৎপর্যপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনাকারী জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠকে সামরিক পোশাক পরে এ ঘোষণা দিয়ে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি সরাসরি বার্তা দিয়েছেন—বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্দেশে। তবে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সম্প্রতি ট্রাম্প রাশিয়াকে ‘কাগুজে বাঘ’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, মস্কো ইউক্রেনকে হারাতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু পুতিনের আজকের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রকে মনে করিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া এখনো বৈশ্বিক পারমাণবিক শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বী। একই সঙ্গে আরও ইঙ্গিত দিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে নতুন করে আলোচনায় বসা উচিত।
রুশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ গেরাসিমভ জানান, বুরেভেস্তনিকের এ পরীক্ষা বিশেষ ছিল। কারণ, এটি পারমাণবিক শক্তির মাধ্যমেই এত দীর্ঘ সময় আকাশে ছিল। তিনি দাবি করেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র যেকোনো অ্যান্টি মিসাইল প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে পরাস্ত করতে সক্ষম।

আরও একটি ব্যাপার নিয়ে ব্যাপকভাবে মার্কিনিদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। প্রতিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ওয়াশিংটন পোস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীর প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে। কিন্তু এবার ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক জেফ বেজোস সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে তাঁর পত্রিকা কোনো দলকেই সমর্থন করবে
০১ নভেম্বর ২০২৪
চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
২ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৩ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোতে এই প্র্যাঙ্ক ভাইরাল হওয়ার পর তা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ট্রেন্ডে অংশ নিতে ব্যবহারকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে ছবি বা ভিডিও তৈরি করেন। এসব ছবি বা ভিডিওতে অপরিচ্ছন্ন বেশভূষার এক গৃহহীন ব্যক্তিকে ব্যবহারকারীর বাড়ি বা কর্মস্থলে অবস্থান করতে দেখা যায়।
এরপর সেই ছবি বা ভিডিও ওই নারীরা তাঁদের স্বামী বা প্রেমিককে পাঠান। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা সঙ্গীদের অনুভূতি ও দায়বদ্ধতা পরখ করে দেখেন।
এ ধরনের ছবি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে গুগলের জেমিনি বা মাইএডিটের ‘এআই রিপ্লেস’-এর মতো টুল।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক আইনজীবীর পরিবার এমন এক ভাইরাল প্র্যাঙ্কের ঘটনায় পুলিশ ডাকার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছিল।
আরেক ঘটনায় চীনের পূর্বাঞ্চলীয় আনহুই প্রদেশে এক নারী তাঁর স্বামীকে ঘরে একজন ‘গৃহহীন ব্যক্তি ঢুকে পড়েছে’—এমন এআই দিয়ে বানানো ছবি পাঠান। সে সময় তাঁর স্বামী বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খাচ্ছিলেন।
ছবি দেখে তিনি সেটিকে সত্যি ভেবে পুলিশে ফোন দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তারা বুঝতে পারে, ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাটিকে ‘জনসাধারণের সম্পদের অপচয়’ বলে মন্তব্য করেন এবং ওই নারীকে ‘ভয় ছড়ানোর অপরাধে’ অভিযুক্ত করেন।
চীনের জননিরাপত্তা প্রশাসন শাস্তি আইন অনুযায়ী, এমন কাজের জন্য সর্বোচ্চ ১০ দিনের আটকাদেশ এবং প্রায় ৭০ ডলার জরিমানার বিধান আছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক চীনা পুরুষ এ ধরনের প্র্যাঙ্ক বা দুষ্টুমির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
একজন লিখেছেন, ‘আপনারা কি সেই রাখাল ছেলের গল্প শোনেননি, যে নেকড়ে এসেছে বলে মিথ্যা চিৎকার দিত? যদি আপনারা বারবার মিথ্যা সতর্কতা দেন, তাহলে সত্যি সত্যি বিপদ হলেও কেউ আপনাদের বিশ্বাস করবে না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরেকজন লিখেছেন, ‘এআই আমাদের জীবনে সুবিধা এনেছে, কিন্তু একই সঙ্গে এটি আস্থার সংকটও তৈরি করেছে। প্ল্যাটফর্মের উচিত, এআই কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নেওয়া।’

চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোতে এই প্র্যাঙ্ক ভাইরাল হওয়ার পর তা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ট্রেন্ডে অংশ নিতে ব্যবহারকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে ছবি বা ভিডিও তৈরি করেন। এসব ছবি বা ভিডিওতে অপরিচ্ছন্ন বেশভূষার এক গৃহহীন ব্যক্তিকে ব্যবহারকারীর বাড়ি বা কর্মস্থলে অবস্থান করতে দেখা যায়।
এরপর সেই ছবি বা ভিডিও ওই নারীরা তাঁদের স্বামী বা প্রেমিককে পাঠান। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা সঙ্গীদের অনুভূতি ও দায়বদ্ধতা পরখ করে দেখেন।
এ ধরনের ছবি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে গুগলের জেমিনি বা মাইএডিটের ‘এআই রিপ্লেস’-এর মতো টুল।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক আইনজীবীর পরিবার এমন এক ভাইরাল প্র্যাঙ্কের ঘটনায় পুলিশ ডাকার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছিল।
আরেক ঘটনায় চীনের পূর্বাঞ্চলীয় আনহুই প্রদেশে এক নারী তাঁর স্বামীকে ঘরে একজন ‘গৃহহীন ব্যক্তি ঢুকে পড়েছে’—এমন এআই দিয়ে বানানো ছবি পাঠান। সে সময় তাঁর স্বামী বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খাচ্ছিলেন।
ছবি দেখে তিনি সেটিকে সত্যি ভেবে পুলিশে ফোন দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তারা বুঝতে পারে, ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাটিকে ‘জনসাধারণের সম্পদের অপচয়’ বলে মন্তব্য করেন এবং ওই নারীকে ‘ভয় ছড়ানোর অপরাধে’ অভিযুক্ত করেন।
চীনের জননিরাপত্তা প্রশাসন শাস্তি আইন অনুযায়ী, এমন কাজের জন্য সর্বোচ্চ ১০ দিনের আটকাদেশ এবং প্রায় ৭০ ডলার জরিমানার বিধান আছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক চীনা পুরুষ এ ধরনের প্র্যাঙ্ক বা দুষ্টুমির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
একজন লিখেছেন, ‘আপনারা কি সেই রাখাল ছেলের গল্প শোনেননি, যে নেকড়ে এসেছে বলে মিথ্যা চিৎকার দিত? যদি আপনারা বারবার মিথ্যা সতর্কতা দেন, তাহলে সত্যি সত্যি বিপদ হলেও কেউ আপনাদের বিশ্বাস করবে না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরেকজন লিখেছেন, ‘এআই আমাদের জীবনে সুবিধা এনেছে, কিন্তু একই সঙ্গে এটি আস্থার সংকটও তৈরি করেছে। প্ল্যাটফর্মের উচিত, এআই কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নেওয়া।’

আরও একটি ব্যাপার নিয়ে ব্যাপকভাবে মার্কিনিদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। প্রতিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ওয়াশিংটন পোস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীর প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে। কিন্তু এবার ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক জেফ বেজোস সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে তাঁর পত্রিকা কোনো দলকেই সমর্থন করবে
০১ নভেম্বর ২০২৪
পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৩ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার।
চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটিকে ট্র্যাকে নামানো হয়। এটি বর্তমানে চীনের সর্বোচ্চ গতির চলমান সিআর–৪০০ ফুজিং ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত। ফুজিং ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে।

ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর–৪৫০ উচ্চগতির ট্রেন প্রযুক্তিতে এক বিশাল অগ্রগতি এনেছে। তত্ত্ব, প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, মানদণ্ড ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে এই ট্রেন।
৪০০ কিলোমিটার গতির নজিরবিহীন গতি অর্জনের জন্য প্রকৌশলীরা ট্রেনটির ট্র্যাকশন পাওয়ার (ট্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা), ডাইনামিক পারফরম্যান্স বা গতিশীল অবস্থায় ট্রেনটিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিমাপ এবং প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম বা বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যে ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ট্রেনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা উন্নত করেছেন।
ওয়াংয়ের ভাষায়, ট্রেনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াটার-কুলড পারমানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীলতা বগি এবং একাধিক উদ্ভাবনী সিস্টেম। যার ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতিতে চলাচলেও এটি স্থিতিশীল থাকে। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সিআর–৪৫০ এক ধাপ এগিয়ে। এতে রয়েছে মাল্টিলেয়ার ইমারজেন্সি ব্রেক নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি এবং ৪ হাজারেরও বেশি অনবোর্ড মনিটরিং সেন্সর, যা চলমান অবস্থায় ট্রেনের গিয়ার, পুরো ট্রেন, হাই–ভোল্টেজ প্যান্টোগ্রাফ, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা—সবকিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এ ছাড়া, ওভার-দ্য-হরাইজন শনাক্তকরণ ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে এতে। এই ব্যবস্থা ট্রেনের সামনে ট্র্যাকের জরুরি পরিস্থিতি আগেভাগে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে বিপ্লব। বগির ‘স্ট্রিমলাইনড কাওলিং’ ধাঁচের নকশা বাতাসের ঘর্ষণ ও প্রতিরোধ কমিয়েছে, আর নতুন হালকা উপকরণ ও প্রযুক্তি ট্রেনের মোট ওজন ১০ শতাংশ কমিয়েছে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে ট্র্যাকের সঙ্গে চাকার এবং সামগ্রিক ঘর্ষণ প্রতিরোধ ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।
ট্রেনের শব্দ নিয়ন্ত্রণেও এসেছে অগ্রগতি। সাতটি নতুন প্রযুক্তি—যেমন সাউন্ড-অ্যাবসর্বিং উপকরণ ও উন্নত অ্যারোডাইনামিক নকশা ট্রেনের অভ্যন্তরীণ শব্দ ২ ডেসিবল কমিয়েছে। ফলে যাত্রীরা পাচ্ছেন আরও নিঃশব্দ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
তা ছাড়া, সিআর–৪৫০ এ যুক্ত হয়েছে একাধিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফিচার, যা ট্রেনের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চালকের সঙ্গে যোগাযোগ, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং যাত্রীসেবা—সব দিক থেকেই একে আগের সব মডেলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বলে জানান ওয়াং।

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার।
চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটিকে ট্র্যাকে নামানো হয়। এটি বর্তমানে চীনের সর্বোচ্চ গতির চলমান সিআর–৪০০ ফুজিং ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত। ফুজিং ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে।

ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর–৪৫০ উচ্চগতির ট্রেন প্রযুক্তিতে এক বিশাল অগ্রগতি এনেছে। তত্ত্ব, প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, মানদণ্ড ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে এই ট্রেন।
৪০০ কিলোমিটার গতির নজিরবিহীন গতি অর্জনের জন্য প্রকৌশলীরা ট্রেনটির ট্র্যাকশন পাওয়ার (ট্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা), ডাইনামিক পারফরম্যান্স বা গতিশীল অবস্থায় ট্রেনটিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিমাপ এবং প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম বা বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যে ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ট্রেনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা উন্নত করেছেন।
ওয়াংয়ের ভাষায়, ট্রেনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াটার-কুলড পারমানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীলতা বগি এবং একাধিক উদ্ভাবনী সিস্টেম। যার ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতিতে চলাচলেও এটি স্থিতিশীল থাকে। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সিআর–৪৫০ এক ধাপ এগিয়ে। এতে রয়েছে মাল্টিলেয়ার ইমারজেন্সি ব্রেক নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি এবং ৪ হাজারেরও বেশি অনবোর্ড মনিটরিং সেন্সর, যা চলমান অবস্থায় ট্রেনের গিয়ার, পুরো ট্রেন, হাই–ভোল্টেজ প্যান্টোগ্রাফ, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা—সবকিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এ ছাড়া, ওভার-দ্য-হরাইজন শনাক্তকরণ ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে এতে। এই ব্যবস্থা ট্রেনের সামনে ট্র্যাকের জরুরি পরিস্থিতি আগেভাগে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে বিপ্লব। বগির ‘স্ট্রিমলাইনড কাওলিং’ ধাঁচের নকশা বাতাসের ঘর্ষণ ও প্রতিরোধ কমিয়েছে, আর নতুন হালকা উপকরণ ও প্রযুক্তি ট্রেনের মোট ওজন ১০ শতাংশ কমিয়েছে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে ট্র্যাকের সঙ্গে চাকার এবং সামগ্রিক ঘর্ষণ প্রতিরোধ ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।
ট্রেনের শব্দ নিয়ন্ত্রণেও এসেছে অগ্রগতি। সাতটি নতুন প্রযুক্তি—যেমন সাউন্ড-অ্যাবসর্বিং উপকরণ ও উন্নত অ্যারোডাইনামিক নকশা ট্রেনের অভ্যন্তরীণ শব্দ ২ ডেসিবল কমিয়েছে। ফলে যাত্রীরা পাচ্ছেন আরও নিঃশব্দ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
তা ছাড়া, সিআর–৪৫০ এ যুক্ত হয়েছে একাধিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফিচার, যা ট্রেনের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চালকের সঙ্গে যোগাযোগ, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং যাত্রীসেবা—সব দিক থেকেই একে আগের সব মডেলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বলে জানান ওয়াং।

আরও একটি ব্যাপার নিয়ে ব্যাপকভাবে মার্কিনিদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। প্রতিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ওয়াশিংটন পোস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীর প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে। কিন্তু এবার ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক জেফ বেজোস সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে তাঁর পত্রিকা কোনো দলকেই সমর্থন করবে
০১ নভেম্বর ২০২৪
পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনএইচপিসি লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম সীমান্তে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটের ‘ওয়েট কমিশনিং’ গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ‘ওয়েট কমিশনিং মূলত টারবাইনের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। পানির প্রবাহের ভিত্তি করে এই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত চলতে পারে।’
২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পে রয়েছে আটটি ইউনিট, প্রতিটির ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট।
মুখপাত্র জানান, এই আটটির মধ্যে চারটি ইউনিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী ধাপে অন্তত দুটি ইউনিট সমন্বয় করা হবে, যাতে প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যায়।
অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের সীমানার গেরুকামুখে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে আসামে বাঁধবিরোধী আন্দোলন ও ভাটিতে পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়।
এরপর, ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে পুনরায় কাজ শুরু হয়। সেই সময় এনএইচপিসি প্রকল্পটিতে বাড়তি নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণমূলক পরিবেশ–সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুক্ত করে। এনএইচপিসি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূপেন্দর গুপ্তা পরীক্ষামূলক এই কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই অর্জন এনএইচপিসির প্রকৌশল দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি প্রকল্প–মাইলফলক নয়, বরং ভারতের পরিবেশবান্ধব ও স্বনির্ভর জ্বালানি ভবিষ্যতের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক।’

ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনএইচপিসি লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম সীমান্তে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটের ‘ওয়েট কমিশনিং’ গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ‘ওয়েট কমিশনিং মূলত টারবাইনের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। পানির প্রবাহের ভিত্তি করে এই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত চলতে পারে।’
২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পে রয়েছে আটটি ইউনিট, প্রতিটির ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট।
মুখপাত্র জানান, এই আটটির মধ্যে চারটি ইউনিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী ধাপে অন্তত দুটি ইউনিট সমন্বয় করা হবে, যাতে প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যায়।
অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের সীমানার গেরুকামুখে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে আসামে বাঁধবিরোধী আন্দোলন ও ভাটিতে পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়।
এরপর, ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে পুনরায় কাজ শুরু হয়। সেই সময় এনএইচপিসি প্রকল্পটিতে বাড়তি নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণমূলক পরিবেশ–সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুক্ত করে। এনএইচপিসি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূপেন্দর গুপ্তা পরীক্ষামূলক এই কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই অর্জন এনএইচপিসির প্রকৌশল দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি প্রকল্প–মাইলফলক নয়, বরং ভারতের পরিবেশবান্ধব ও স্বনির্ভর জ্বালানি ভবিষ্যতের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক।’

আরও একটি ব্যাপার নিয়ে ব্যাপকভাবে মার্কিনিদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। প্রতিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ওয়াশিংটন পোস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীর প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে। কিন্তু এবার ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক জেফ বেজোস সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে তাঁর পত্রিকা কোনো দলকেই সমর্থন করবে
০১ নভেম্বর ২০২৪
পারমাণবিক শক্তিচালিত অনির্দিষ্ট পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বুরেভেস্তনিক’-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, খুব শিগগির ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
চীনের নারীরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীদের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে এক নতুন ট্রেন্ড ‘এআই গৃহহীন ব্যক্তি প্র্যাঙ্ক’ ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
২ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৩ ঘণ্টা আগে