গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিয়মিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা ঘটছে। বাফেলো সুপার মার্কেটে হামলা থেকে শুরু করে টেক্সাসের স্কুলে, টুলসার হাসপাতালে, আইওয়ার গির্জায় হামলাসহ একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এসব হামলায় প্রাণহানি হয়েছে শিশুসহ অনেক মানুষের। নড়েচড়ে বসেছে হোয়াইট হাউস। গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন পাস করার জন্য আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে বার্তা সংস্থা এএফপি আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গরমের সময় খুন বেড়ে যায় কি না, তা নিয়ে গবেষণা করেছেন একজন মার্কিন অধ্যাপক। তিনি হার্ভার্ড টিএইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের হেলথ পলিসির অধ্যাপক ডেভিড হেমেনওয়ে। এই গবেষক বলেছেন, ‘খারাপ আবহাওয়ায় বন্দুকের ব্যবহার কম হয়। কারণ আশপাশে কেউ না থাকলে কাউকে গুলি করা কঠিন।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়াকে খুন-খারাবি বাড়ার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ বলে মনে করেন তিনি।
হেমেনওয়ে বলেন, আবহাওয়ার উষ্ণতার সঙ্গে অপরাধের কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা জানার ব্যাপারে তিনি দীর্ঘদিন ধরে আগ্রহী ছিলেন। সেই আগ্রহ থেকে ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের শিকাগো শহরের তথ্য নিয়ে তাঁর একজন তৎকালীন স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী পল রিপিংয়ের নেতৃত্বে ২০২০ সালে একটি গবেষণাপত্র লেখেন।
গবেষণাপত্রটিতে শিকাগো ট্রিবিউনে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বন্দুক সহিংসতার সংখ্যা ব্যবহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই শহরের দৈনিক তাপমাত্রা, বাতাসের গতি, গড় তাপমাত্রার পার্থক্য এবং বৃষ্টির ধরন ও পরিমাণের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গবেষণায় তাঁরা দেখতে পেয়েছেন, ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রার দিনগুলোতে ৩৪ শতাংশ বেশি গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ছুটির দিনগুলোতে ৪২ শতাংশ বেশি গুলির ঘটনা ঘটেছে। গড় তাপমাত্রার চেয়ে ১০ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রার সঙ্গে ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি গুলির ঘটনার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে।
হেমেনওয়ে বলেছেন, ‘শীতকালেও যে দিনগুলো তুলনামূলক বেশি উষ্ণ ছিল, সেই দিনগুলোতে গুলির ঘটনা বেশি ঘটেছে।’
২০১৭ সাল থেকে এ ধরনের আরেকটি গবেষণা করছিলেন ড্রেক্সেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লেয়া শিনাসি। তিনি ফিলাডেলফিয়ার সহিংস অপরাধ নিয়ে গবেষণা করেছিলেন এবং গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি জার্নাল অব আরবান হেলথে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর সহলেখক ছিলেন গবেষক ঘাসান হামরা।
লেয়া শিনাসি এএফপিকে বলেন, ‘আমি ফিলাডেলফিয়ায় থাকি। আমার মনে আছে, খুব গরমের দিনে অফিস থেকে বাসায় বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় দেখতাম, প্রতিটি মানুষ কেমন যেন খামখেয়ালি আচরণ করছে। আমার তখন খুব জানতে ইচ্ছে করল, গরমের দিনে অপরাধের হার বাড়ে কি না।’
গবেষণায় এই দুই গবেষক দেখেছেন, মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বছরের উষ্ণতম সময় থাকে এবং এই সময়ে প্রায়ই অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেছে। বিপরীতে শীতের সময়, অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত অপরাধ কম ঘটেছে।
লেয়া শিনাসি বলেন, ওই সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা যখন ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল তখন যে পরিমাণ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার চেয়ে অন্তত ১৬ শতাংশ বেশি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে যখন তাপমাত্র ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল।
২০১৯ সালে ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ইকোনমিক রিসার্চে একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। ওই প্রবন্ধে কেনিয়া ও ক্যালিফোর্নিয়ার দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গরম ও ঠান্ডা ঘরে রাখার ফলে কী ধরনের আচরণগত পরিবর্তন হয়, তা তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে গবেষকেরা দেখেছেন, তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে অপরাধ প্রবণতার সম্পর্ক রয়েছে।
বিশ্বের নানা প্রান্তের খবর পড়ুন:
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিয়মিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা ঘটছে। বাফেলো সুপার মার্কেটে হামলা থেকে শুরু করে টেক্সাসের স্কুলে, টুলসার হাসপাতালে, আইওয়ার গির্জায় হামলাসহ একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এসব হামলায় প্রাণহানি হয়েছে শিশুসহ অনেক মানুষের। নড়েচড়ে বসেছে হোয়াইট হাউস। গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন পাস করার জন্য আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে বার্তা সংস্থা এএফপি আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গরমের সময় খুন বেড়ে যায় কি না, তা নিয়ে গবেষণা করেছেন একজন মার্কিন অধ্যাপক। তিনি হার্ভার্ড টিএইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের হেলথ পলিসির অধ্যাপক ডেভিড হেমেনওয়ে। এই গবেষক বলেছেন, ‘খারাপ আবহাওয়ায় বন্দুকের ব্যবহার কম হয়। কারণ আশপাশে কেউ না থাকলে কাউকে গুলি করা কঠিন।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়াকে খুন-খারাবি বাড়ার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ বলে মনে করেন তিনি।
হেমেনওয়ে বলেন, আবহাওয়ার উষ্ণতার সঙ্গে অপরাধের কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা জানার ব্যাপারে তিনি দীর্ঘদিন ধরে আগ্রহী ছিলেন। সেই আগ্রহ থেকে ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের শিকাগো শহরের তথ্য নিয়ে তাঁর একজন তৎকালীন স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী পল রিপিংয়ের নেতৃত্বে ২০২০ সালে একটি গবেষণাপত্র লেখেন।
গবেষণাপত্রটিতে শিকাগো ট্রিবিউনে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বন্দুক সহিংসতার সংখ্যা ব্যবহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই শহরের দৈনিক তাপমাত্রা, বাতাসের গতি, গড় তাপমাত্রার পার্থক্য এবং বৃষ্টির ধরন ও পরিমাণের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গবেষণায় তাঁরা দেখতে পেয়েছেন, ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রার দিনগুলোতে ৩৪ শতাংশ বেশি গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ছুটির দিনগুলোতে ৪২ শতাংশ বেশি গুলির ঘটনা ঘটেছে। গড় তাপমাত্রার চেয়ে ১০ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রার সঙ্গে ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি গুলির ঘটনার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে।
হেমেনওয়ে বলেছেন, ‘শীতকালেও যে দিনগুলো তুলনামূলক বেশি উষ্ণ ছিল, সেই দিনগুলোতে গুলির ঘটনা বেশি ঘটেছে।’
২০১৭ সাল থেকে এ ধরনের আরেকটি গবেষণা করছিলেন ড্রেক্সেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লেয়া শিনাসি। তিনি ফিলাডেলফিয়ার সহিংস অপরাধ নিয়ে গবেষণা করেছিলেন এবং গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি জার্নাল অব আরবান হেলথে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর সহলেখক ছিলেন গবেষক ঘাসান হামরা।
লেয়া শিনাসি এএফপিকে বলেন, ‘আমি ফিলাডেলফিয়ায় থাকি। আমার মনে আছে, খুব গরমের দিনে অফিস থেকে বাসায় বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় দেখতাম, প্রতিটি মানুষ কেমন যেন খামখেয়ালি আচরণ করছে। আমার তখন খুব জানতে ইচ্ছে করল, গরমের দিনে অপরাধের হার বাড়ে কি না।’
গবেষণায় এই দুই গবেষক দেখেছেন, মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বছরের উষ্ণতম সময় থাকে এবং এই সময়ে প্রায়ই অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেছে। বিপরীতে শীতের সময়, অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত অপরাধ কম ঘটেছে।
লেয়া শিনাসি বলেন, ওই সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা যখন ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল তখন যে পরিমাণ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার চেয়ে অন্তত ১৬ শতাংশ বেশি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে যখন তাপমাত্র ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল।
২০১৯ সালে ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ইকোনমিক রিসার্চে একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। ওই প্রবন্ধে কেনিয়া ও ক্যালিফোর্নিয়ার দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গরম ও ঠান্ডা ঘরে রাখার ফলে কী ধরনের আচরণগত পরিবর্তন হয়, তা তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে গবেষকেরা দেখেছেন, তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে অপরাধ প্রবণতার সম্পর্ক রয়েছে।
বিশ্বের নানা প্রান্তের খবর পড়ুন:
চকলেটপ্রেমীদের জন্য ২০২৫ সাল নিয়ে এসেছে এক দুঃসংবাদ। চকলেটের প্রধান উপাদান কোকো’র ঘাটতি ও দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এবার চকলেট বার, ইস্টার এগ, এমনকি কোকো পাউডারের দামও আকাশছোঁয়া। গত এক বছরে কোকোর দাম প্রায় ৩০০ শতাংশ বেড়েছে।
১৪ মিনিট আগেপোপ ফ্রান্সিসের পোপ হিসেবে পথচলা ছিল অনন্য। দুর্নীতি দমন, শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ এবং চার্চের আইন আধুনিকীকরণের যে চেষ্টা তিনি করেছিলেন, তা সব সময় সফল না হলেও কোটি কোটি ক্যাথলিকের হৃদয় জিতে নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন কয়েক দিনের মধ্যেই যুদ্ধ বন্ধে একটি শান্তিচুক্তিতে পৌঁছাতে পারে। এমনকি এই সপ্তাহের মধ্যেই এই চুক্তি হতে পারে। ট্রাম্প মনে করেন, এরপর দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে মনযোগ দিতে পারবে।
১ ঘণ্টা আগেইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতিদের ওপর গত মার্চে চালানো মার্কিন সামরিক হামলার তথ্য একটি সিগন্যাল চ্যাট গ্রুপে শেয়ার করে নতুন বিতর্কের মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। যে চ্যাট গ্রুপে তিনি এই গোপনীয় তথ্য শেয়ার করেছেন...
১ ঘণ্টা আগে