বিশ্ব এ মুহূর্তে পরিবর্তনের এমন এক সন্ধিক্ষণে রয়েছে যে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এক নতুন বিশ্বব্যবস্থা তৈরি হবে, যার স্থায়িত্ব হবে আগামী কয়েক প্রজন্ম। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্ব এবং চীনের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের এই সময়ে এমন মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিকের সঙ্গে বৈঠকের আগে তিনি এমন মন্তব্য করেন বলে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতি ছয় থেকে আট প্রজন্ম পরপর এমন একটা সময় আসে, যখন পৃথিবী খুব অল্প সময়ের মধ্যে বদলে যায়। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে কী হবে, তার ওপরই নির্ভর করবে আগামী পাঁচ বা ছয় দশকে বিশ্বব্যবস্থা কেমন হবে।’
বোরিকের সঙ্গে বাইডেনের বৈঠক প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ আরও নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
গত মাসেও বাইডেন নতুন বিশ্বব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের ব্যবস্থা কয়েক দশক ধরে কার্যকরভাবে বলবৎ থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে এটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
বাইডেন বলেন, ‘মার্কিনরা যদি সাহসী হয়ে থাকে এবং আমাদের ওপর যথেষ্ট আস্থাশীল থাকে, তাহলে তারা বিশ্বকে এমনভাবে ঐক্যবদ্ধ করবে, যা আগে কেউ দেখেনি।’
বাইডেনের এ বক্তব্যের ওপর মন্তব্য করে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘এটি অত্যন্ত বিরল এক মুহূর্ত, যেখানে মস্কো পুরোপুরি ওয়াশিংটনের সঙ্গে একমত পোষণ করে।’ তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ নতুন সব নীতির ভিত্তিতে বিশ্বে ক্ষমতার নতুন বিন্যাস প্রয়োজন।’
পেসকভ বলেন, ‘বাইডেন বোঝাতে চেয়েছেন এমন একটি বিশ্বের কথা, যেখানে সবকিছু যুক্তরাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হবে। তবে এমনটি আর হবার নয়। রাশিয়া বারবারই বহুপক্ষীয় বিশ্বব্যবস্থার কথা বলে এসেছে।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে ‘ঔপনিবেশিক পন্থা অবলম্বন’ এবং ‘আন্তর্জাতিক আইনগুলো নিজেদের মতো ব্যবহার’ করার অভিযোগ করে আসছেন।
গত মাসে পুতিন জোর দিয়ে বলেন, ‘অন্যের দোহাই দিয়ে বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার কারও নেই।’
ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ওয়াশিংটন ইউক্রেনে কয়েক শ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র সরবরাহ করেছে এবং রাশিয়ার ওপর বেশ কয়েকটি কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
চীনের সঙ্গেও উত্তেজনা বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের। এ উত্তেজনার কারণ সম্ভবত তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন। এ দুটি দেশের মধ্যে আবার অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বও চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। চীন তাদের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের (বিআরআই) এগিয়ে নিচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ১৪০টির বেশি দেশ এ প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে।
জি-৭ সদস্যদেশগুলোর সঙ্গে মিলে অর্থনৈতিকভাবে চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন জো বাইডেন। তাঁর দাবি, বিআরআই প্রকল্পটি সব সদস্যদেশের জন্য একটি ফাঁদ।
বিশ্ব এ মুহূর্তে পরিবর্তনের এমন এক সন্ধিক্ষণে রয়েছে যে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এক নতুন বিশ্বব্যবস্থা তৈরি হবে, যার স্থায়িত্ব হবে আগামী কয়েক প্রজন্ম। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্ব এবং চীনের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের এই সময়ে এমন মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিকের সঙ্গে বৈঠকের আগে তিনি এমন মন্তব্য করেন বলে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতি ছয় থেকে আট প্রজন্ম পরপর এমন একটা সময় আসে, যখন পৃথিবী খুব অল্প সময়ের মধ্যে বদলে যায়। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে কী হবে, তার ওপরই নির্ভর করবে আগামী পাঁচ বা ছয় দশকে বিশ্বব্যবস্থা কেমন হবে।’
বোরিকের সঙ্গে বাইডেনের বৈঠক প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ আরও নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
গত মাসেও বাইডেন নতুন বিশ্বব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের ব্যবস্থা কয়েক দশক ধরে কার্যকরভাবে বলবৎ থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে এটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
বাইডেন বলেন, ‘মার্কিনরা যদি সাহসী হয়ে থাকে এবং আমাদের ওপর যথেষ্ট আস্থাশীল থাকে, তাহলে তারা বিশ্বকে এমনভাবে ঐক্যবদ্ধ করবে, যা আগে কেউ দেখেনি।’
বাইডেনের এ বক্তব্যের ওপর মন্তব্য করে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘এটি অত্যন্ত বিরল এক মুহূর্ত, যেখানে মস্কো পুরোপুরি ওয়াশিংটনের সঙ্গে একমত পোষণ করে।’ তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ নতুন সব নীতির ভিত্তিতে বিশ্বে ক্ষমতার নতুন বিন্যাস প্রয়োজন।’
পেসকভ বলেন, ‘বাইডেন বোঝাতে চেয়েছেন এমন একটি বিশ্বের কথা, যেখানে সবকিছু যুক্তরাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হবে। তবে এমনটি আর হবার নয়। রাশিয়া বারবারই বহুপক্ষীয় বিশ্বব্যবস্থার কথা বলে এসেছে।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে ‘ঔপনিবেশিক পন্থা অবলম্বন’ এবং ‘আন্তর্জাতিক আইনগুলো নিজেদের মতো ব্যবহার’ করার অভিযোগ করে আসছেন।
গত মাসে পুতিন জোর দিয়ে বলেন, ‘অন্যের দোহাই দিয়ে বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার কারও নেই।’
ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ওয়াশিংটন ইউক্রেনে কয়েক শ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র সরবরাহ করেছে এবং রাশিয়ার ওপর বেশ কয়েকটি কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
চীনের সঙ্গেও উত্তেজনা বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের। এ উত্তেজনার কারণ সম্ভবত তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন। এ দুটি দেশের মধ্যে আবার অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বও চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। চীন তাদের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের (বিআরআই) এগিয়ে নিচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ১৪০টির বেশি দেশ এ প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে।
জি-৭ সদস্যদেশগুলোর সঙ্গে মিলে অর্থনৈতিকভাবে চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন জো বাইডেন। তাঁর দাবি, বিআরআই প্রকল্পটি সব সদস্যদেশের জন্য একটি ফাঁদ।
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করে তুলছে ইসরায়েল ও ইরানের পারস্পরিক হুমকি। একদিকে কূটনৈতিক আলোচনা থমকে আছে, অন্যদিকে সেনা মহড়া ও প্রক্সি লড়াই—সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে।
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের রিপাবলিকান প্রতিনিধি মেরি মিলার শুক্রবার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে এক অতিথি ধর্মীয় নেতার প্রার্থনা নিয়ে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তিনি ভুল করে শিখ ধর্মীয় ওই নেতাকে মুসলিম ভেবে এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘আজ সকালে হাউসে একজন মুসলমানকে প্রার্থনা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছ
৬ ঘণ্টা আগেমেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমা উদ্যাপনে গিয়েছিলেন নবদম্পতি মধ্যপ্রদেশের রাজা রাজবংশী ও সোনম রাজবংশী। কিন্তু তাঁদের মধুচন্দ্রিমা পরিণত হয়েছে এক মর্মান্তিক ঘটনায়। স্ত্রী সোনম নিখোঁজ আর স্বামী রাজা খুন হয়েছেন। রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে একাধিক নিরাপত্তা ও উদ্ধারকারী সংস্থা।
৬ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব রাশিয়ার ক্ষমতাসীন মহলে আলোচনা, ঠাট্টা ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কেউ শান্তি আলোচনা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন, আবার কেউ মাস্ককে রাশিয়ায় ব্যবসা স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে