১৯৯৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাতে যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানায় বোজম্যান শহরের ঠিক বাইরেই গ্যালাটিন নদীর পাশে একটি জলাভূমি অঞ্চলে ১৫ বছর বয়সী ড্যানি হাউচিন্সের মৃতদেহ খুঁজে পায় অনুসন্ধানকারীরা। ড্যানির সঙ্গে আসলে কী ঘটেছিল, কীভাবে সে কাদার মধ্যে উপুড় হয়ে পড়ে ছিল—এই রহস্য তার পরিবার, বন্ধু এবং তদন্তকারীদের জন্য দশকের পর দশক অমীমাংসিত থেকে যায়।
ওই ঘটনারই রহস্য ও চমকপ্রদ সমাপ্তি নিয়েই শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ‘ইটস অ্যাবাউট ড্যানি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হতে যাচ্ছে সিবিএস নিউজে।
এ বিষয়ে একটি লিখিত প্রতিবেদনে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, ১৯৯৬ সালে ড্যানি ও তার বোন স্টেফানি দুজনকেই চিনতেন এখনকার শিকার ও মাছ ধরা বিষয়ক লেখিকা র্যাচেল শ্রুটে। তিনি বলেন, ‘তারা খুব আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল।’
সেদিন সকালে ড্যানির পরিবারের মধ্যে একটি তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল। এই ঘটনার জের ধরে ক্যামেরন ব্রিজ ফিশিং অ্যাক্সেস এলাকায় গাড়ি চালিয়ে চলে গিয়েছিল ড্যানি। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও তার বাড়ি ফেরার কোনো নাম-গন্ধ নেই। এ অবস্থায় তাঁর মা তাকে খুঁজতে বের হন। তিনি দেখতে পান, ড্যানির গাড়িটি পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ির চাবি ও পানির বোতলও কাছেই পড়ে ছিল। কিন্তু ড্যানির কোনো হদিস নেই।
অনুসন্ধান চালায় পুলিশও। রাতে ড্যানির স্থানীয় কয়েক বন্ধু, যারা ওই জলাভূমি এলাকা সম্পর্কে ভালো জানত, তারা ড্যানিকে খুঁজতে বের হয়। শেষ পর্যন্ত তারাই কর্দমাক্ত গাছগাছালির মধ্যে ড্যানির মৃতদেহ খুঁজে পায়।
ড্যানির মৃত্যু নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ ভাবতে থাকেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করে এবং সন্দেহভাজনদের খোঁজ শুরু করে। কিন্তু কিছুদিন পরই মামলাটি থমকে যায়। কয়েক দিনের মধ্যেই ময়নাতদন্তকারী ঘোষণা দেন—ড্যানি পানিতে ডুবে মারা গেছে। তবে এটি আত্মহত্যা, দুর্ঘটনা, নাকি হত্যাকাণ্ড, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়নি। পরিবারকে বলা হয়েছিল, এটি নিছকই দুর্ঘটনা হতে পারে।
ড্যানির বোন স্টেফানি বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল, সে হয়তো হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছে। আমরা কিছু জানি না।’ কিন্তু স্টেফানি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে, তাঁর পাহাড়ি পথে চলাফেরায় অভ্যস্ত বোন হঠাৎ করেই এমন দুর্ঘটনায় মারা যাবে।
এরপর কেটে যায় বহু বছর। ২০২০ সালে স্টেফানি নতুন তদন্তকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তদন্তকারীরা স্টেফানিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পড়ার সুযোগ দেন। এতে বলা হয়েছিল, ড্যানির ঘাড়ের পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এটি প্রমাণ করে যে, কেউ তার মাথা জোর করে চেপে ধরেছিল।
আরও জানা যায়, ড্যানির অন্তর্বাসে বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল এবং তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এতে স্পষ্ট হয়ে যায়, তাকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছিল।
নতুন তদন্তকারীরা মামলাটি পুনরায় খোলেন এবং গ্যালাটিন কাউন্টির নতুন শেরিফ এই মামলায় সাহায্যের জন্য অবসরপ্রাপ্ত গোয়েন্দা টম এলফমন্টকে দায়িত্ব দেন।
টম এলফমন্ট ডিএনএ প্রযুক্তির উন্নতির সুযোগ নিয়ে ড্যানির শরীরে পাওয়া একটি চুল থেকে সন্দেহভাজনের পুরো ডিএনএ প্রোফাইল বের করতে সক্ষম হন। এরপর এক জেনেটিক গবেষকের সাহায্যে অপরাধীর আত্মীয়দের খোঁজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের মে মাসে, তারা একটি নাম খুঁজে পান—পল হাচিনসন!
১৯৯৬ সালে পল হাচিনসন বোজম্যানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিসে কাজ করতেন। পরবর্তীতে তিনি সরকারি সংস্থার হয়ে মৎস্যবিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করেন। স্থানীয় শিকারি ও জেলে মহলে সুপরিচিত ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর কোনো অপরাধের রেকর্ড ছিল না।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে এলফমন্ট ও তাঁর দল হাচিনসনের অফিসে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। হাচিনসন তখন স্পষ্টতই বিচলিত হয়ে পড়েন। যদিও তদন্তকারীরা তখনো তাঁকে জিজ্ঞাসাই করেননি যে, তিনি ড্যানিকে হত্যা করেছিলেন কিনা।
এলফমন্টের ভাষায়, ‘এটার প্রয়োজনই হয়নি।’ তবে তদন্তকারীদের কাছে তখনো তাঁকে গ্রেপ্তারের মতো যথেষ্ট প্রমাণ ছিল না। কিন্তু সাক্ষাৎকারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পল হাচিনসন আত্মহত্যা করেন। পরে তাঁর ডিএনএ পরীক্ষা করে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন, তিনি ছিলেন ড্যানির হত্যাকারী।
প্রায় ৩০ বছর পর মামলাটি সমাধান হলে সবাই বিস্মিত হয়ে পড়ে। ড্যানি আর স্টেফানির শৈশবের বন্ধু ও লেখিকা র্যাচেল শ্রুটেই সবচেয়ে বেশি অবাক হন। কারণ তিনি বহু বছর ধরে খুনি পল হাচিনসনকে চিনতেন এবং বিশ্বাস করতেন। তাঁরা একসঙ্গে বহুবার শিকার ও মাছ ধরতে গেছেন। এমনকি একান্তে সময়ও কাটিয়েছেন!
১৯৯৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাতে যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানায় বোজম্যান শহরের ঠিক বাইরেই গ্যালাটিন নদীর পাশে একটি জলাভূমি অঞ্চলে ১৫ বছর বয়সী ড্যানি হাউচিন্সের মৃতদেহ খুঁজে পায় অনুসন্ধানকারীরা। ড্যানির সঙ্গে আসলে কী ঘটেছিল, কীভাবে সে কাদার মধ্যে উপুড় হয়ে পড়ে ছিল—এই রহস্য তার পরিবার, বন্ধু এবং তদন্তকারীদের জন্য দশকের পর দশক অমীমাংসিত থেকে যায়।
ওই ঘটনারই রহস্য ও চমকপ্রদ সমাপ্তি নিয়েই শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ‘ইটস অ্যাবাউট ড্যানি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হতে যাচ্ছে সিবিএস নিউজে।
এ বিষয়ে একটি লিখিত প্রতিবেদনে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, ১৯৯৬ সালে ড্যানি ও তার বোন স্টেফানি দুজনকেই চিনতেন এখনকার শিকার ও মাছ ধরা বিষয়ক লেখিকা র্যাচেল শ্রুটে। তিনি বলেন, ‘তারা খুব আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল।’
সেদিন সকালে ড্যানির পরিবারের মধ্যে একটি তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল। এই ঘটনার জের ধরে ক্যামেরন ব্রিজ ফিশিং অ্যাক্সেস এলাকায় গাড়ি চালিয়ে চলে গিয়েছিল ড্যানি। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও তার বাড়ি ফেরার কোনো নাম-গন্ধ নেই। এ অবস্থায় তাঁর মা তাকে খুঁজতে বের হন। তিনি দেখতে পান, ড্যানির গাড়িটি পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ির চাবি ও পানির বোতলও কাছেই পড়ে ছিল। কিন্তু ড্যানির কোনো হদিস নেই।
অনুসন্ধান চালায় পুলিশও। রাতে ড্যানির স্থানীয় কয়েক বন্ধু, যারা ওই জলাভূমি এলাকা সম্পর্কে ভালো জানত, তারা ড্যানিকে খুঁজতে বের হয়। শেষ পর্যন্ত তারাই কর্দমাক্ত গাছগাছালির মধ্যে ড্যানির মৃতদেহ খুঁজে পায়।
ড্যানির মৃত্যু নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ ভাবতে থাকেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করে এবং সন্দেহভাজনদের খোঁজ শুরু করে। কিন্তু কিছুদিন পরই মামলাটি থমকে যায়। কয়েক দিনের মধ্যেই ময়নাতদন্তকারী ঘোষণা দেন—ড্যানি পানিতে ডুবে মারা গেছে। তবে এটি আত্মহত্যা, দুর্ঘটনা, নাকি হত্যাকাণ্ড, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়নি। পরিবারকে বলা হয়েছিল, এটি নিছকই দুর্ঘটনা হতে পারে।
ড্যানির বোন স্টেফানি বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল, সে হয়তো হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছে। আমরা কিছু জানি না।’ কিন্তু স্টেফানি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে, তাঁর পাহাড়ি পথে চলাফেরায় অভ্যস্ত বোন হঠাৎ করেই এমন দুর্ঘটনায় মারা যাবে।
এরপর কেটে যায় বহু বছর। ২০২০ সালে স্টেফানি নতুন তদন্তকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তদন্তকারীরা স্টেফানিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পড়ার সুযোগ দেন। এতে বলা হয়েছিল, ড্যানির ঘাড়ের পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এটি প্রমাণ করে যে, কেউ তার মাথা জোর করে চেপে ধরেছিল।
আরও জানা যায়, ড্যানির অন্তর্বাসে বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল এবং তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এতে স্পষ্ট হয়ে যায়, তাকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছিল।
নতুন তদন্তকারীরা মামলাটি পুনরায় খোলেন এবং গ্যালাটিন কাউন্টির নতুন শেরিফ এই মামলায় সাহায্যের জন্য অবসরপ্রাপ্ত গোয়েন্দা টম এলফমন্টকে দায়িত্ব দেন।
টম এলফমন্ট ডিএনএ প্রযুক্তির উন্নতির সুযোগ নিয়ে ড্যানির শরীরে পাওয়া একটি চুল থেকে সন্দেহভাজনের পুরো ডিএনএ প্রোফাইল বের করতে সক্ষম হন। এরপর এক জেনেটিক গবেষকের সাহায্যে অপরাধীর আত্মীয়দের খোঁজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের মে মাসে, তারা একটি নাম খুঁজে পান—পল হাচিনসন!
১৯৯৬ সালে পল হাচিনসন বোজম্যানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিসে কাজ করতেন। পরবর্তীতে তিনি সরকারি সংস্থার হয়ে মৎস্যবিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করেন। স্থানীয় শিকারি ও জেলে মহলে সুপরিচিত ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর কোনো অপরাধের রেকর্ড ছিল না।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে এলফমন্ট ও তাঁর দল হাচিনসনের অফিসে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। হাচিনসন তখন স্পষ্টতই বিচলিত হয়ে পড়েন। যদিও তদন্তকারীরা তখনো তাঁকে জিজ্ঞাসাই করেননি যে, তিনি ড্যানিকে হত্যা করেছিলেন কিনা।
এলফমন্টের ভাষায়, ‘এটার প্রয়োজনই হয়নি।’ তবে তদন্তকারীদের কাছে তখনো তাঁকে গ্রেপ্তারের মতো যথেষ্ট প্রমাণ ছিল না। কিন্তু সাক্ষাৎকারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পল হাচিনসন আত্মহত্যা করেন। পরে তাঁর ডিএনএ পরীক্ষা করে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন, তিনি ছিলেন ড্যানির হত্যাকারী।
প্রায় ৩০ বছর পর মামলাটি সমাধান হলে সবাই বিস্মিত হয়ে পড়ে। ড্যানি আর স্টেফানির শৈশবের বন্ধু ও লেখিকা র্যাচেল শ্রুটেই সবচেয়ে বেশি অবাক হন। কারণ তিনি বহু বছর ধরে খুনি পল হাচিনসনকে চিনতেন এবং বিশ্বাস করতেন। তাঁরা একসঙ্গে বহুবার শিকার ও মাছ ধরতে গেছেন। এমনকি একান্তে সময়ও কাটিয়েছেন!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা পেয়েছে। এক্স মাধ্যমে মাস্কের একটি পোস্ট এই দ্বন্দ্বের গভীরতা সম্পর্কে কিছুটা অনুমান করা যেতে পারে। ওই পোস্টে মাস্ক লিখেছেন, ‘সবচেয়ে বড় বোমা ফেলার সময় এসেছে।’
৮ মিনিট আগেভারতজুড়ে লিঙ্গ বিদ্বেষের বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনের নীরবতা ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে ক্ষোভে ফুঁসছে প্রগতিশীল মহিলা সংগঠনগুলো। আজ কলকাতার ক্রিকরো থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতি (এআইপিডব্লিউএ) কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং বর্তমান চেয়ারপারসন বিজয়া কিশোর রাহাতকারের পদত্
২৭ মিনিট আগেআইফেল টাওয়ারের চেয়ে উঁচু একটি রেলসেতু তৈরি করেছে ভারত। জম্মু ও কাশ্মীরের চেনাব নদীর ওপর নির্মিত এই রেলসেতুর উচ্চতা ভূমি থেকে ৩৫৯ মিটার (আইফেল টাওয়ার ৩৩০ মিটার)। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার। আর এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি রুপি। আজ শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীর সফরে গিয়ে
১ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে জাতিসংঘের হয়ে কাজ করা বেশ কয়েকজন আফগান নারী কর্মী ভয়াবহ হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকির মুখে পড়েছেন। অজ্ঞাতনামা কিছু ব্যক্তি তাঁদের পিছু নিয়েছে, বাড়ি পর্যন্ত অনুসরণ করেছে এবং অফিসে না যাওয়ার হুমকি দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে