আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ট্রাম্প প্রশাসন আশা করছে, সিরিয়া খুব শিগগিরই আব্রাহাম অ্যাকর্ডে যোগ দেবে। গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের আরও দেশ যেন আব্রাহাম অ্যাকর্ডে যোগ দেয়, প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) অবশ্যই সেই আশা করছেন।’
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, লেভিট বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) যখন সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন, তখন তিনি সিরিয়ার কাছে অন্যতম যে অনুরোধটি রেখেছিলেন, সেটি ছিল আব্রাহাম অ্যাকর্ডে যোগ দেওয়ার জন্য।’
লেভিট আরও বলেন, ‘আমরা চাই, মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই শান্তি আসুক। এর জন্যই এটি সবচেয়ে কার্যকর উপায়।’ তিনি আরও জানান, ‘আমি নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বলতে পারছি না। তবে এই প্রশাসন এটা ঘটতে দেখতে চায়। আমাদের আঞ্চলিক মিত্রদের এটা জানা উচিত।’
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০২০ সালে মধ্যপ্রাচ্যে আলোচিত আব্রাহাম অ্যাকর্ডে স্বাক্ষরিত হয়। ওই সময় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো এবং সুদান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেয়। ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফও সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আভাস দিয়েছেন, শিগগিরই আরও কিছু দেশ আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আব্রাহাম চুক্তিতে নতুন দেশের যোগ দেওয়ার ব্যাপারে বড় ধরনের ঘোষণা আসছে।’ সিএনবিসিকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘আব্রাহাম চুক্তির পরিধি বাড়ানো প্রেসিডেন্টের অন্যতম মূল লক্ষ্য।’ তিনি জানান, ‘এমন কিছু দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী, যা কেউ কল্পনাও করেনি। এটা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি স্থিতিশীলতা বয়ে আনবে।’
এর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা নিজেও আভাস দিয়েছিলেন, সঠিক পরিস্থিতি তৈরি হলে তারা আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে। মার্কিন কংগ্রেসম্যান কোরি মিলসকে এপ্রিলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শারা জানিয়েছিলেন, অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে সিরিয়া আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দিতে প্রস্তুত।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর ইরানে চালানো সামরিক অভিযানে সিরিয়া হস্তক্ষেপ করেনি। এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন হাইফা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমাতজিয়া বারাম। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম মা’আরিভে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
বারামের ভাষ্য, টানা ১২ দিন ধরে ইসরায়েলি বিমান যখন সিরিয়ার আকাশপথ ব্যবহার করে ইরানের আকাশসীমা অতিক্রম করছিল, তখন তেহরানের পাশাপাশি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারার দপ্তরও গোটা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। তার মতে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারার নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো ভবিষ্যতে উত্তর সীমান্তের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বারাম বলেন, ‘আমি যদি শারার জায়গায় থাকতাম, আমার জনগণকে বুঝিয়ে দিতাম যে, চাইলে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীকে কিছুটা বাধা দেওয়া সম্ভব হলেও আমার সেই ইচ্ছা নেই। কারণ, ইসরায়েলের ইরানকে যত বেশি আঘাত করা সম্ভব, সেটি আমার স্বার্থের পক্ষে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা খুবই স্পষ্ট যে, ইরানের প্রতি যেকোনো আঘাত সিরিয়ার নতুন সরকারের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীকে দুর্বল করে দেয়। তাই ইরানকে দুর্বল করা মানে শারার সরকারের জন্য একরকম সুবিধা।’ বারামের ভাষ্য, ‘ইসরায়েলের অভিযানের ফলে শারা বুঝতে পেরেছেন, ইসরায়েল কেবল ইরান নয়, ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া এবং হিজবুল্লাহ—এই দুই শক্তিকেও কার্যকরভাবে ঠেকাতে পারে। আর এ দুজনই শারার জন্য প্রাকৃতিক শত্রু।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের কারণে শারা আমাদের প্রতি ভেতরে-ভেতরে কৃতজ্ঞ। কারণ, ইরান এখন তাকে উৎখাত করে আবারও সিরিয়াকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে। শারা সেটা ভালোভাবেই জানেন। এখন ইরানের জন্য সেটা আগের তুলনায় কঠিন হয়ে গেছে।’
ট্রাম্প প্রশাসন আশা করছে, সিরিয়া খুব শিগগিরই আব্রাহাম অ্যাকর্ডে যোগ দেবে। গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের আরও দেশ যেন আব্রাহাম অ্যাকর্ডে যোগ দেয়, প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) অবশ্যই সেই আশা করছেন।’
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, লেভিট বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) যখন সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন, তখন তিনি সিরিয়ার কাছে অন্যতম যে অনুরোধটি রেখেছিলেন, সেটি ছিল আব্রাহাম অ্যাকর্ডে যোগ দেওয়ার জন্য।’
লেভিট আরও বলেন, ‘আমরা চাই, মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই শান্তি আসুক। এর জন্যই এটি সবচেয়ে কার্যকর উপায়।’ তিনি আরও জানান, ‘আমি নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বলতে পারছি না। তবে এই প্রশাসন এটা ঘটতে দেখতে চায়। আমাদের আঞ্চলিক মিত্রদের এটা জানা উচিত।’
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০২০ সালে মধ্যপ্রাচ্যে আলোচিত আব্রাহাম অ্যাকর্ডে স্বাক্ষরিত হয়। ওই সময় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো এবং সুদান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেয়। ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফও সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আভাস দিয়েছেন, শিগগিরই আরও কিছু দেশ আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আব্রাহাম চুক্তিতে নতুন দেশের যোগ দেওয়ার ব্যাপারে বড় ধরনের ঘোষণা আসছে।’ সিএনবিসিকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘আব্রাহাম চুক্তির পরিধি বাড়ানো প্রেসিডেন্টের অন্যতম মূল লক্ষ্য।’ তিনি জানান, ‘এমন কিছু দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী, যা কেউ কল্পনাও করেনি। এটা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি স্থিতিশীলতা বয়ে আনবে।’
এর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা নিজেও আভাস দিয়েছিলেন, সঠিক পরিস্থিতি তৈরি হলে তারা আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে। মার্কিন কংগ্রেসম্যান কোরি মিলসকে এপ্রিলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শারা জানিয়েছিলেন, অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে সিরিয়া আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দিতে প্রস্তুত।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর ইরানে চালানো সামরিক অভিযানে সিরিয়া হস্তক্ষেপ করেনি। এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন হাইফা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমাতজিয়া বারাম। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম মা’আরিভে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
বারামের ভাষ্য, টানা ১২ দিন ধরে ইসরায়েলি বিমান যখন সিরিয়ার আকাশপথ ব্যবহার করে ইরানের আকাশসীমা অতিক্রম করছিল, তখন তেহরানের পাশাপাশি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারার দপ্তরও গোটা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। তার মতে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারার নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো ভবিষ্যতে উত্তর সীমান্তের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বারাম বলেন, ‘আমি যদি শারার জায়গায় থাকতাম, আমার জনগণকে বুঝিয়ে দিতাম যে, চাইলে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীকে কিছুটা বাধা দেওয়া সম্ভব হলেও আমার সেই ইচ্ছা নেই। কারণ, ইসরায়েলের ইরানকে যত বেশি আঘাত করা সম্ভব, সেটি আমার স্বার্থের পক্ষে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা খুবই স্পষ্ট যে, ইরানের প্রতি যেকোনো আঘাত সিরিয়ার নতুন সরকারের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীকে দুর্বল করে দেয়। তাই ইরানকে দুর্বল করা মানে শারার সরকারের জন্য একরকম সুবিধা।’ বারামের ভাষ্য, ‘ইসরায়েলের অভিযানের ফলে শারা বুঝতে পেরেছেন, ইসরায়েল কেবল ইরান নয়, ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া এবং হিজবুল্লাহ—এই দুই শক্তিকেও কার্যকরভাবে ঠেকাতে পারে। আর এ দুজনই শারার জন্য প্রাকৃতিক শত্রু।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের কারণে শারা আমাদের প্রতি ভেতরে-ভেতরে কৃতজ্ঞ। কারণ, ইরান এখন তাকে উৎখাত করে আবারও সিরিয়াকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে। শারা সেটা ভালোভাবেই জানেন। এখন ইরানের জন্য সেটা আগের তুলনায় কঠিন হয়ে গেছে।’
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির জানিয়েছেন, বেলুচিস্তানের রেকো ডিক খনি থেকে দেশের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি নির্ভর করছে। তিনি বিশ্বাস করেন, চীন যদি পাশে থাকে, তাহলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সোনা ও তামার খনিকে ঘিরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যেতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেগত সপ্তাহেই কেনিয়ার আদালতের এক ম্যাজিস্ট্রেট আশা প্রকাশ করেছেন, ব্রিটিশ সম্পদশালী ব্যবসায়ী হ্যারি রয় ভিভার্সের আত্মা এবার হয়তো শান্তি পাবে। কিন্তু মৃত্যুর ১২ বছর পরও তাঁর মরদেহ কোথায় শায়িত হবে, সে প্রশ্ন এখনো অনির্ধারিতই রয়ে গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেউপহারটি যখন দেওয়া হয়, তখন আফসারের দোকান বন্ধ ছিল। গত শুক্রবার তিনি দোকানে পৌঁছে উপহারটি খোলেন এবং দেখেন যে স্পিকারগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ভারী।
৪ ঘণ্টা আগেতানজানিয়ার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত নর্থ মারা সোনার খনি একদিকে যেমন দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করছে, অন্যদিকে স্থানীয় মানুষের জন্য নিয়ে এসেছে ভয়াবহ দুর্দশা, নির্যাতন আর মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম হু হু করে বাড়ায় এ খনিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন, পুলিশি সহিংসতা ও অপহরণের মতো ঘটনা বাড়ছে।
৫ ঘণ্টা আগে