Ajker Patrika

সোমবার হচ্ছে না, তবে রোজার আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতির আশা বাইডেনের

আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৪, ১২: ৪৪
সোমবার হচ্ছে না, তবে রোজার আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতির আশা বাইডেনের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সপ্তাহ খানেক আগেই জানিয়েছিলেন, চলতি সপ্তাহের সোমবারের মধ্যেই গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে এবার তিনি নিজের আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে না হলেও রোজা শুরুর আগেই অর্থাৎ আগামী ১০ মার্চের মধ্যেই এটি হয়ে যেতে পারে। 

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি জানান, তিনি আশাবাদী যে, রোজা শুরুর আগেই হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর সম্ভব হবে। তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে চুক্তির বিষয়টি সমাধা না-ও হতে পারে। 

সাংবাদিকেরা বাইডেনের কাছে জানতে চান, গত সপ্তাহে তিনি জানিয়েছিলেন যে, আগামী সোমবারের মধ্যেই গাজায় একটি যুদ্ধ বিরতি হতে পারে। তো সোমবার ঘনিয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা কতটা? এ সময় জবাবে বাইডেন জানান, বিষয়টি আপাতত ‘অসম্ভব’। 

বাইডেন বলেন, ‘এটা দেখে মনে হচ্ছে যে, আমরা (চুক্তির) কাছাকাছি পৌঁছেছি, তবে আমরা এখনো পৌঁছাইনি আসলে। আমি মনে করি, আমরা সেখানে পৌঁছাব, তবে আমরা এখনো সেখানে পৌঁছাতে পারিনি এবং এখনই এটির সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’ 

যুদ্ধবিরতি চুক্তি আদৌ হবে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে বাইডেন জানান, তিনি এখনো যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত বিষয়টি শেষ না হয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আশা হারাতে চাই না।’ 
 
একই দিনে বাইডেন বলেছেন, গাজায় বিমান থেকে ত্রাণসহায়তা ফেলবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। জর্ডান, ফ্রান্সসহ আরও কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে গাজায় বেশ কয়েক দফা বিমান থেকে ত্রাণসহায়তা ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে এই সাড়া একটু দেরিতেই এল। 

বাইডেন বলেছেন, ‘আমাদের আরও বেশি কিছু করতে হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও কিছু করবে।’ তিনি জানান, সাগরপথে গাজায় ত্রাণসহায়তা পৌঁছে দিতে একটি মেরিটাইম করিডর স্থাপনের বিষয়ে ভাবছে তাঁর দেশ। 

একই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, ‘গাজায় প্রবাহিত সহায়তা মোটেও যথেষ্ট নয়।’ এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা একটি টেকসই প্রচেষ্টা হয়ে উঠবে।’ তিনি জানান, মার্কিন সেনাবাহিনী সামরিক বাহিনীর জন্য প্রস্তুতকৃত খাবার ফেলতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত