Ajker Patrika

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার প্রসিকিউটর জ্যাক স্মিথের পদত্যাগ

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিচার বিভাগের বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথ। ছবি: সংগৃহীত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলা পরিচালনাকারী স্পেশাল প্রসিকিউটর জ্যাক স্মিথ পদত্যাগ করেছেন। গতকাল শনিবার আদালতে দাখিল করা নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জ্যাক স্মিথ শুক্রবার বিচার বিভাগ থেকে পদত্যাগ করেছেন।’

সিবিএস নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্মিথ গত নভেম্বরেই তাঁর পদত্যাগের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি জানান, তাঁর কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বিচার বিভাগ থেকে সরে দাঁড়াবেন। তবে জ্যাক স্মিথ এমন একসময়ে পদত্যাগ করলেন, যখন ট্রাম্পের গোপন নথি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক চলছে।

২০২২ সালে জ্যাক স্মিথকে বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাঁর তত্ত্বাবধানে দুটি মামলা পরিচালিত হয়—একটি ট্রাম্পের গোপন নথি সংরক্ষণ নিয়ে এবং অন্যটি ২০২০ সালের নির্বাচনী ফলাফলে হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে।

এই দুটি মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হলেও, তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং মামলাগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে আখ্যা দেন।

এদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর, গত বছর স্মিথের পরিচালিত মামলা দুটি বন্ধ হয়ে যায়। বিচারকেরা জানান, বিচার বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করা যায় না।

সিবিএস জানিয়েছে, স্মিথের পদত্যাগ প্রত্যাশিত ছিল। কারণ, এটি তাঁকে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বা তাঁর অ্যাটর্নি জেনারেলের দ্বারা অপসারণের আগেই সরে দাঁড়ানোর সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু তিনি এমন সময়ে পদত্যাগ করলেন, যখন তাঁর দায়ের করা মামলাগুলোর কোনোটি এখনো বিচারের মুখ দেখেনি।

এই সপ্তাহের শুরুতে, ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ আইলিন ক্যানন একটি আদেশে স্মিথ এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ডকে গোপন নথি মামলার রিপোর্ট প্রকাশ বা বিতরণ থেকে সাময়িকভাবে বিরত থাকতে বলেন।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, স্মিথের এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার আইনগত ক্ষমতা নেই এবং তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এসব মামলা পরিচালনা করেছেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে চিঠি দিয়েও তাঁরা এই রিপোর্ট প্রকাশ না করার আহ্বান জানান এবং ‘বিচারব্যবস্থার রাজনৈতিক ব্যবহার’ বন্ধ করার অনুরোধ করেন।

গত শুক্রবার পর্নো তারকাকে ঘুষ দেওয়ার তথ্য গোপনের মামলায় ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত একটি ব্যতিক্রমী দণ্ড দিয়েছেন। তাঁকে কারাদণ্ড বা জরিমানা নয়, দেওয়া হয়েছে ‘শর্তহীন মুক্তি’। তবে কারাদণ্ড বা জরিমানা থেকে রেহাই পেলেও তিনিই হবেন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত