Ajker Patrika

তাইওয়ান প্রণালিতে ‘আকাশ ও নৌপরিবহন’ পরিচালনা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২২, ১৭: ৪১
তাইওয়ান প্রণালিতে ‘আকাশ ও নৌপরিবহন’ পরিচালনা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র

তাইওয়ান প্রণালিতে ‘বিমান ও নৌপরিবহন’ পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় চীনের চালানো সামরিক মহড়ার জবাবেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। 

হোয়াইট হাউসের এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের সমন্বয়ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা কার্ট ক্যাম্পবেল বলেছেন, ‘ওই অঞ্চলে উত্তেজনা থাকার পরও যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ওই এলাকায় আকাশ ও সমুদ্র পথে পরিবহন পরিচালনা করে যাবে। যা আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় নৌযান পরিচালনার স্বাধীনতার প্রতি আমাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’ 

কার্ট ক্যাম্পবেল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাইওয়ান প্রণালি দিয়ে নিয়মিত বিমান এবং সামুদ্রিক পরিবহন পরিচালনা করা।’ তবে কার্ট ক্যাম্পবেল উল্লেখ করেননি, যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত ‘বিমান ও সামুদ্রিক পরিবহন’ পরিচালনার আওতায় কোন ধরনের আকাশ এবং নৌযান পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেন, ‘এখনই তাইওয়ান প্রণালিতে কোন ধরনের যান পরিচালনা করা হবে সে বিষয়ে মন্তব্য করা হবে না।’ 

কার্ট ক্যাম্পবেল আরও জানান, এরই মধ্যে ওয়াশিংটন তাইপের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বেশ কিছু ‘উচ্চাভিলাষী রোডম্যাপ’ ঘোষণা করবে বলে মনস্থ করেছে। 

এর আগে, গত বুধবার, তাইওয়ানকে চাপে রাখার উদ্দ্যেশ্যে চীন যে ‘নিউ নরমাল’ প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে তা যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেন ন্যান্সি পেলোসি। চীনের সামরিক মহড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা চীনের ব্যাপারে যা দেখেছি তা হলো—তাঁরা একটি নিউ নরমাল পরিস্থিতি প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে এবং আমরা এটা হতে দিতে পারি না।’ তবে পেলোসির সর্বশেষ এই ঘোষণা চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। 

পেলোসি আরও বলেন, ‘আমরা সেখানে (তাইওয়ানে) চীন নিয়ে কথা বলতে যাইনি। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম তাইওয়ানের প্রশংসা করতে এবং আমরা সেখানে গিয়েছিলাম আমাদের বন্ধুত্ব দেখানোর জন্য। চীন তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই সফরটি একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছে যে—মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি আমেরিকার প্রতিশ্রুতি অটুট।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত