অনলাইন ডেস্ক
দীর্ঘদিনের নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন নিয়ে প্রাথমিকভাবে একমত হতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন। দেশ দুটি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিভিদেনকো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, সমঝোতা স্মারকটি একটি অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির পথ প্রশস্ত করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে খনিজ সম্পদ উন্নয়নে কিয়েভ ও ওয়াশিংটন একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এটি চুক্তির প্রাথমিক পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই এই চুক্তি নিয়ে কথা বলে আসছেন।
এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে উভয় পক্ষ প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে সহযোগিতার একটি চুক্তি সইয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিল। কিন্তু ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে ওভাল অফিসে এক উত্তপ্ত বৈঠকের পর সেটি ভেস্তে হয়।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর ইউক্রেনের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিভিদেনকো সামাজিক মাধ্যমে বলেন, ‘আমরা আমাদের আমেরিকান অংশীদারদের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের ঘোষণা দিতে পেরে আনন্দিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত এই সমঝোতা স্মারক অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি এবং ইউক্রেনের পুনর্গঠনের জন্য একটি বিনিয়োগ তহবিল প্রতিষ্ঠার পথ খুলে দেবে।’
ওভাল অফিসের ঘটনার পর কিয়েভের কর্মকর্তারা সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করেন। তারা বুঝতে পারেন, ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন চালানোর পর দেশটির যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, খনিজ সম্পদ চুক্তিটি সেই প্রচেষ্টার অংশ।
সেই ঘটনার পর ট্রাম্প বলেছেন, চাইলে চুক্তিটি আগামী সপ্তাহেই সই হতে পারে। যদিও ইউক্রেনীয় পক্ষ কখন চূড়ান্ত চুক্তি হবে সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্র নতুন এবং আরও বিস্তৃত একটি চুক্তির প্রস্তাব দেওয়ার পর গত সপ্তাহের শেষে ইউক্রেনের একটি প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটন সফর করে। একটি প্রাথমিক কাঠামো চুক্তি নিয়ে উভয় পক্ষ একমত হয়েছিল, কিন্তু সেটি কখনো সই হয়নি।
হোয়াইট হাউসের কয়েক দিন আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের একটি খনিজ চুক্তি আছে, যা সম্ভবত বৃহস্পতিবার সই হতে চলেছে।’ সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে দেওয়া সামরিক সাহায্যের প্রতিদান হিসেবে তিনি এমন একটি চুক্তির পক্ষে জোর দেন, যা যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলোতে বিশেষ সুবিধা দেবে।
ট্রাম্পের পাশে বসে ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘আমরা এখনো বিস্তারিত বিষয় নিয়ে কাজ করছি।’ তিনি আরও বলেছিলেন, আগামী শুক্রবারের মধ্যে এটি সই হতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটি মূলত আগের চুক্তির মতোই। প্রেসিডেন্ট (জেলেনস্কি) যখন এখানে ছিলেন, তখন আমাদের একটি সমঝোতা স্মারক ছিল। আমরা সরাসরি বড় চুক্তিতে চলে গেছি। আমার মনে হয়, এটি ৮০ পৃষ্ঠার একটি চুক্তি এবং আমরা সেটিই সই করব।’
চুক্তির সময় ও বিষয়বস্তু নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে হোয়াইট হাউস কোনো জবাব দেয়নি। জেলেনস্কি বলেছিলেন, উভয় পক্ষ অনলাইনে সমঝোতা স্মারকটি সই করতে পারে। কিয়েভে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটি একটি সমঝোতা স্মারক। এবং আমাদের ইতিবাচক, গঠনমূলক উদ্দেশ্য আছে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিস্তৃত চুক্তির আগে সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। এই বিস্তৃত চুক্তির জন্য ইউক্রেনের পার্লামেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। এর আগে সিভিদেনকো বলেছিলেন, চুক্তি আলোচনার ক্ষেত্রে কিয়েভ ও ওয়াশিংটনের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রথম পর্যায় হলো এই সমঝোতা স্মারক।
দীর্ঘদিনের নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন নিয়ে প্রাথমিকভাবে একমত হতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন। দেশ দুটি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিভিদেনকো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, সমঝোতা স্মারকটি একটি অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির পথ প্রশস্ত করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে খনিজ সম্পদ উন্নয়নে কিয়েভ ও ওয়াশিংটন একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এটি চুক্তির প্রাথমিক পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই এই চুক্তি নিয়ে কথা বলে আসছেন।
এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে উভয় পক্ষ প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে সহযোগিতার একটি চুক্তি সইয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিল। কিন্তু ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে ওভাল অফিসে এক উত্তপ্ত বৈঠকের পর সেটি ভেস্তে হয়।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর ইউক্রেনের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিভিদেনকো সামাজিক মাধ্যমে বলেন, ‘আমরা আমাদের আমেরিকান অংশীদারদের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের ঘোষণা দিতে পেরে আনন্দিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত এই সমঝোতা স্মারক অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি এবং ইউক্রেনের পুনর্গঠনের জন্য একটি বিনিয়োগ তহবিল প্রতিষ্ঠার পথ খুলে দেবে।’
ওভাল অফিসের ঘটনার পর কিয়েভের কর্মকর্তারা সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করেন। তারা বুঝতে পারেন, ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন চালানোর পর দেশটির যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, খনিজ সম্পদ চুক্তিটি সেই প্রচেষ্টার অংশ।
সেই ঘটনার পর ট্রাম্প বলেছেন, চাইলে চুক্তিটি আগামী সপ্তাহেই সই হতে পারে। যদিও ইউক্রেনীয় পক্ষ কখন চূড়ান্ত চুক্তি হবে সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্র নতুন এবং আরও বিস্তৃত একটি চুক্তির প্রস্তাব দেওয়ার পর গত সপ্তাহের শেষে ইউক্রেনের একটি প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটন সফর করে। একটি প্রাথমিক কাঠামো চুক্তি নিয়ে উভয় পক্ষ একমত হয়েছিল, কিন্তু সেটি কখনো সই হয়নি।
হোয়াইট হাউসের কয়েক দিন আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের একটি খনিজ চুক্তি আছে, যা সম্ভবত বৃহস্পতিবার সই হতে চলেছে।’ সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে দেওয়া সামরিক সাহায্যের প্রতিদান হিসেবে তিনি এমন একটি চুক্তির পক্ষে জোর দেন, যা যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলোতে বিশেষ সুবিধা দেবে।
ট্রাম্পের পাশে বসে ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘আমরা এখনো বিস্তারিত বিষয় নিয়ে কাজ করছি।’ তিনি আরও বলেছিলেন, আগামী শুক্রবারের মধ্যে এটি সই হতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটি মূলত আগের চুক্তির মতোই। প্রেসিডেন্ট (জেলেনস্কি) যখন এখানে ছিলেন, তখন আমাদের একটি সমঝোতা স্মারক ছিল। আমরা সরাসরি বড় চুক্তিতে চলে গেছি। আমার মনে হয়, এটি ৮০ পৃষ্ঠার একটি চুক্তি এবং আমরা সেটিই সই করব।’
চুক্তির সময় ও বিষয়বস্তু নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে হোয়াইট হাউস কোনো জবাব দেয়নি। জেলেনস্কি বলেছিলেন, উভয় পক্ষ অনলাইনে সমঝোতা স্মারকটি সই করতে পারে। কিয়েভে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটি একটি সমঝোতা স্মারক। এবং আমাদের ইতিবাচক, গঠনমূলক উদ্দেশ্য আছে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিস্তৃত চুক্তির আগে সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। এই বিস্তৃত চুক্তির জন্য ইউক্রেনের পার্লামেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। এর আগে সিভিদেনকো বলেছিলেন, চুক্তি আলোচনার ক্ষেত্রে কিয়েভ ও ওয়াশিংটনের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রথম পর্যায় হলো এই সমঝোতা স্মারক।
পাকিস্তানে বসবাসরত অবৈধ বা অনথিভুক্ত আফগান নাগরিকদের দেশত্যাগে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পর বহু আফগান দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিলের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই চলতি মাসে ১৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি আফগানকে পাকিস্তান থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইস্টার সানডে উপলক্ষে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। রুশ টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত এক দশক ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনে এবার ইতালির রোমে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেহেরান। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন
১১ ঘণ্টা আগে