অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সাংবাদিকের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে কমে গেছে। রিবিল্ড লোকাল নিউজ ও সাংবাদিকতার বাইলাইন সংগ্রাহক মাক র্যাকের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০২ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাথাপিছু স্থানীয় সাংবাদিকের সংখ্যা গড়ে ৭৫ শতাংশ কমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিসংখ্যানের মধ্যে ১ হাজারের বেশি কাউন্টি রয়েছে (যুক্তরাষ্ট্রের মোট কাউন্টির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ), যেখানে একজনও নিয়মিত সাংবাদিক নেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে আমেরিকান সংবাদপত্রগুলোতে স্থানীয় সংবাদের সংকটের ভয়াবহতা উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, স্থানীয় সাংবাদিকের সংখ্যা কমে যাওয়ায় স্কুল বোর্ড, স্থানীয় খেলাধুলা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শহর ও নগর সরকারের কার্যক্রম এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি কমে যাচ্ছে। এটিকে ‘গুরুতর ও বড়’ সমস্যা হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
সিএনএনের মিডিয়া রিপোর্টার ব্রায়ান স্টেলটার সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘স্থানীয় সংবাদের ক্ষতি যুক্তরাষ্ট্রের অন্য অনেক সমস্যাকে প্রভাবিত করছে। যেমন মেরুকরণ, মৌলবাদ, একাকিত্ব এবং সবকিছু ও সবার প্রতি আস্থার অভাব তৈরি করছে।’
এর আগের কিছু প্রতিবেদনে স্থানীয় সংবাদপত্রের বিলুপ্তি এবং আঞ্চলিক বা জাতীয় চেইন দ্বারা সংবাদমাধ্যম অধিগ্রহণের বিষয়গুলো উঠে আসে। তবে রিবিল্ড লোকাল নিউজ ও মাক র্যাকের এই প্রতিবেদনই সম্ভবত প্রথম, যেখানে সংবাদমাধ্যম বা আউটলেটের সংখ্যা না গুণে সরাসরি প্রতিবেদকদের সংখ্যা বের করার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি মাক র্যাকের অনলাইনে প্রকাশিত নিবন্ধের বাইলাইন ডেটা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। গবেষকেরা এসব ডেটা মূল্যায়ন করে স্থানীয় সাংবাদিকদের চিহ্নিত করেছেন। তারপর প্রকাশিত নিবন্ধের পরিমাণ, ফ্রিল্যান্স কাজ ও অন্য বিষয়গুলো সমন্বয় করেছেন। এই মূল্যায়নে দেখা গেছে, সারা দেশের কাউন্টিগুলোতে স্থানীয় সাংবাদিকের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে।
রিবিল্ড লোকাল নিউজের প্রেসিডেন্ট স্টিভেন ওয়াল্ডম্যান সিএনএনের মিডিয়া রিপোর্টার স্টেলটারকে বলেছেন, ‘স্থানীয় সাংবাদিকদের সংকটের কারণে গ্রাম ও শহরের হাজার হাজার মানুষ প্রয়োজনীয় মৌলিক তথ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সবচেয়ে বড় কথা, কেন্দ্রীয় সরকারও এসব অঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারছে না।’
লস অ্যাঞ্জেলেস, হিউস্টন, ফিনিক্স ও লাস ভেগাসের মতো অনেক বড় মেট্রোপলিটন এলাকাও এর অন্তর্ভুক্ত, যেখানে মাথাপিছু স্থানীয় সাংবাদিকের সংখ্যা জাতীয় গড়ের চেয়ে কম। এর অর্থ হলো, কিছু অঞ্চলে ‘গুরুত্বপূর্ণ কোনো অপরাধ ঘটলে হয়তো তা নিয়ে সংবাদ হবে, কিন্তু এর বাইরে তেমন কিছু নয়’।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির অনেক শহরে স্থানীয় প্রার্থীর সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য, আপনার এলাকার স্কুলগুলোর উন্নতি হচ্ছে কি না, কাছাকাছি হাসপাতালের মৃত্যুহার খারাপ কি না অথবা আপনার খেলার মাঠ মেরামত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন কতটা কাজ করছে, সে সম্পর্কে আপনি সামান্যই নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে পারেন।
তবে নিউইয়র্ক সিটি, সান ফ্রান্সিসকো ও ম্যাসাচুসেটসের সাফোক কাউন্টিতে (যেটি বোস্টনকে কভার করে) স্থানীয় সাংবাদিকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া আরও কিছু রাজ্য অন্যদের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভার্মন্টে প্রতি ১ লাখ মানুষের জন্য ২৭ দশমিক ৫ জন স্থানীয় সাংবাদিক রয়েছেন, যা নিউইয়র্ক সিটির ঘনত্বের মতোই।
যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সাংবাদিকের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে কমে গেছে। রিবিল্ড লোকাল নিউজ ও সাংবাদিকতার বাইলাইন সংগ্রাহক মাক র্যাকের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০২ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাথাপিছু স্থানীয় সাংবাদিকের সংখ্যা গড়ে ৭৫ শতাংশ কমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিসংখ্যানের মধ্যে ১ হাজারের বেশি কাউন্টি রয়েছে (যুক্তরাষ্ট্রের মোট কাউন্টির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ), যেখানে একজনও নিয়মিত সাংবাদিক নেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে আমেরিকান সংবাদপত্রগুলোতে স্থানীয় সংবাদের সংকটের ভয়াবহতা উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, স্থানীয় সাংবাদিকের সংখ্যা কমে যাওয়ায় স্কুল বোর্ড, স্থানীয় খেলাধুলা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শহর ও নগর সরকারের কার্যক্রম এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি কমে যাচ্ছে। এটিকে ‘গুরুতর ও বড়’ সমস্যা হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
সিএনএনের মিডিয়া রিপোর্টার ব্রায়ান স্টেলটার সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘স্থানীয় সংবাদের ক্ষতি যুক্তরাষ্ট্রের অন্য অনেক সমস্যাকে প্রভাবিত করছে। যেমন মেরুকরণ, মৌলবাদ, একাকিত্ব এবং সবকিছু ও সবার প্রতি আস্থার অভাব তৈরি করছে।’
এর আগের কিছু প্রতিবেদনে স্থানীয় সংবাদপত্রের বিলুপ্তি এবং আঞ্চলিক বা জাতীয় চেইন দ্বারা সংবাদমাধ্যম অধিগ্রহণের বিষয়গুলো উঠে আসে। তবে রিবিল্ড লোকাল নিউজ ও মাক র্যাকের এই প্রতিবেদনই সম্ভবত প্রথম, যেখানে সংবাদমাধ্যম বা আউটলেটের সংখ্যা না গুণে সরাসরি প্রতিবেদকদের সংখ্যা বের করার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি মাক র্যাকের অনলাইনে প্রকাশিত নিবন্ধের বাইলাইন ডেটা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। গবেষকেরা এসব ডেটা মূল্যায়ন করে স্থানীয় সাংবাদিকদের চিহ্নিত করেছেন। তারপর প্রকাশিত নিবন্ধের পরিমাণ, ফ্রিল্যান্স কাজ ও অন্য বিষয়গুলো সমন্বয় করেছেন। এই মূল্যায়নে দেখা গেছে, সারা দেশের কাউন্টিগুলোতে স্থানীয় সাংবাদিকের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে।
রিবিল্ড লোকাল নিউজের প্রেসিডেন্ট স্টিভেন ওয়াল্ডম্যান সিএনএনের মিডিয়া রিপোর্টার স্টেলটারকে বলেছেন, ‘স্থানীয় সাংবাদিকদের সংকটের কারণে গ্রাম ও শহরের হাজার হাজার মানুষ প্রয়োজনীয় মৌলিক তথ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সবচেয়ে বড় কথা, কেন্দ্রীয় সরকারও এসব অঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারছে না।’
লস অ্যাঞ্জেলেস, হিউস্টন, ফিনিক্স ও লাস ভেগাসের মতো অনেক বড় মেট্রোপলিটন এলাকাও এর অন্তর্ভুক্ত, যেখানে মাথাপিছু স্থানীয় সাংবাদিকের সংখ্যা জাতীয় গড়ের চেয়ে কম। এর অর্থ হলো, কিছু অঞ্চলে ‘গুরুত্বপূর্ণ কোনো অপরাধ ঘটলে হয়তো তা নিয়ে সংবাদ হবে, কিন্তু এর বাইরে তেমন কিছু নয়’।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির অনেক শহরে স্থানীয় প্রার্থীর সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য, আপনার এলাকার স্কুলগুলোর উন্নতি হচ্ছে কি না, কাছাকাছি হাসপাতালের মৃত্যুহার খারাপ কি না অথবা আপনার খেলার মাঠ মেরামত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন কতটা কাজ করছে, সে সম্পর্কে আপনি সামান্যই নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে পারেন।
তবে নিউইয়র্ক সিটি, সান ফ্রান্সিসকো ও ম্যাসাচুসেটসের সাফোক কাউন্টিতে (যেটি বোস্টনকে কভার করে) স্থানীয় সাংবাদিকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া আরও কিছু রাজ্য অন্যদের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভার্মন্টে প্রতি ১ লাখ মানুষের জন্য ২৭ দশমিক ৫ জন স্থানীয় সাংবাদিক রয়েছেন, যা নিউইয়র্ক সিটির ঘনত্বের মতোই।
১৯৮০-এর দশকের শেষ দিক থেকে নিয়মিত উড়োজাহাজে যাতায়াত করতেন ব্রুস গ্যাম্বল। গাড়ি বিক্রির একজন পরামর্শদাতা হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্যই আলাবামার বার্মিংহাম থেকে এই যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর। সুদীর্ঘ এই ভ্রমণ-জীবনে তাঁর পরিচয় গড়ে ওঠে বার্মিংহাম-শাটলসওয়ার্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডেলটা...
৯ ঘণ্টা আগেগতকাল রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, টরন্টোর রাস্তায় রথযাত্রা চলাকালে ডিম ছুড়ে মারেন কয়েকজন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী সঙ্গনা বাজাজ ভিডিওটি পোস্ট করে দাবি করেন, আশপাশের একটি ভবন থেকে রথযাত্রার ওপর ডিম ছোড়া হয়।
১০ ঘণ্টা আগেট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, ‘যদি যুদ্ধবিরতি চুক্তি না হয়, তাহলে আগামী ৫০ দিনের মধ্যে রাশিয়ার ওপর ১০০ শতাংশ সেকেন্ডারি ট্যারিফ আরোপ করা হবে। এই শুল্ক আরোপের জন্য কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ (হাউস) বা উচ্চকক্ষের (সিনেট) অনুমতির প্রয়োজন হবে না।’
১০ ঘণ্টা আগেদেশের এয়ারলাইনসগুলোকে তাদের বোয়িং-৭৮৭ বহরের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচের লকিং মেকানিজম পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ)। নির্দেশনায় আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে এই পরীক্ষা শেষ করতে বলা হয়েছে। গত ১২ জুন ভারতের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট উড
১১ ঘণ্টা আগে