Ajker Patrika

ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল দেওয়ার আহ্বান আসিম মুনিরের, জানালেন কারণও

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৫, ২১: ২১
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ এশিয়ায় সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধ এড়াতে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনির। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলির বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

কেলি জানান, গতকাল বুধবার এক ব্যক্তিগত মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প সেনাপ্রধান মুনিরকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান। তবে বৈঠকের আগেই ট্রাম্পকে নোবেল দেওয়ার আহ্বান জানান মুনির।

এ বিষয়ে পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডন লিখেছে, আসিম মুনিরই হলেন প্রথম বর্তমান কোনো সেনাপ্রধান, যিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করলেন। এর আগে রাজনৈতিক পদে না থাকলে বা সামরিক শাসনের অধীনে না হলে কোনো সেনাপ্রধানকেই এমন মর্যাদায় স্বাগত জানানো হয়নি।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি উনার (মুনিরের) সঙ্গে একমত। আমি তাঁকে এখানে ডেকেছিলাম, কারণ, আমি ধন্যবাদ জানাতে চেয়েছিলাম, তিনি যুদ্ধের পথে না গিয়ে যা করেছেন তার জন্য। আমি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই, যিনি কয়েক দিন আগে এখানেই ছিলেন। ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা একটি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাজ করছি। এই দুই বুদ্ধিমান নেতা পারমাণবিক যুদ্ধের পথে না গিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই বড় পারমাণবিক শক্তি।’

এই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন। তবে মোদি আবারও পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ না চাওয়ার ভারতের পুরোনো অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।

গত মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা শুরু হয়। ভারতের দাবি, পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে তারা বিমান হামলা চালায়। এই হামলা ছিল এপ্রিল মাসে ভারত শাসিত কাশ্মীরে একটি সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায়। পরে ১০ মে দুই দেশ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। এই যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্প বারবার নিজের কৃতিত্ব দাবি করে এসেছেন। তবে দিল্লি এই দাবি অস্বীকার করেছে।

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প-মুনির বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইরানের সঙ্গে পাকিস্তানের ৬০০ মাইলের বেশি সীমান্ত এবং দেশ দুটির মধ্যে ভালো কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘পাকিস্তান ইরান সম্পর্কে খুব ভালো বোঝে, সম্ভবত অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ভালো। তাদের ইসরায়েলের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক নয়, বরং তারা উভয়কেই চেনে—তবে ইরানকে আরও গভীরভাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বুশেহর পারমাণবিক কেন্দ্রে আছেন রুশ বিশেষজ্ঞরা, ইসরায়েলকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

ইরানকে ঘিরে ফেলছে একের পর এক মার্কিন রণতরি ও যুদ্ধবিমান

পর্যটনে সেরা ১০ মুসলিমবান্ধব অমুসলিম দেশ

ছেলের কাটা পা হাতে নিয়ে বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বাবা

পাকিস্তানি সেনাপ্রধানকে কেন যুক্তরাষ্ট্রে ডেকেছিলেন ট্রাম্প, ইরান-ইসরায়েল নিয়ে কী আলোচনা হলো

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত