মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল রাজনীতি বিশ্লেষক ও সাংবাদিক টাকার কার্লসন দাবি করেছেন, জো বাইডেনের প্রশাসন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। গত সোমবার তিনি বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজের সাবেক উপস্থাপক টাকার কার্লসন তাঁর পডকাস্ট ‘দ্য টাকার কার্লসন শো’—এর সর্বশেষ পর্বে এই দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘বাইডেন প্রশাসন তা করেছে, তারা পুতিনকে হত্যার চেষ্টা করেছে।’ তবে বাইডেন প্রশাসন সত্যিই পুতিনকে হত্যার চেষ্টা করেছিল কি না, সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি কার্লসন।
টাকার কার্লসন আরও বলেন, ‘যা একেবারেই পাগলামি। এটি বিকৃত মানসিকতা, যে কেউ এমন কিছু ভাবতেও পারে। তাহলে তারা কেন এটা করেছে? কারণ বিশৃঙ্খলা তাদের জন্য ঢাল হিসেবে কাজ করে।’ কার্লসন দাবি করেন, বাইডেন প্রশাসন ২০২১ সালের শুরু থেকে ২০২৫ সালের শুরু পর্যন্ত এই প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
কার্লসন ২০২৩ সালে ফক্স নিউজ থেকে বহিষ্কৃত হন। মূলত চ্যানেলটির বিরুদ্ধে ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতির ভিত্তিহীন দাবি প্রচারের কারণে আইনি জটিলতা দেখা দেওয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি প্রায়ই ক্রেমলিনের বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান। তিনি কিয়েভকে দেওয়া মার্কিন সামরিক সহায়তার সমালোচনা করেন এবং ইউক্রেনকে ‘অগণতান্ত্রিক’ বলে অভিহিত করেছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে টাকার কার্লসন মস্কোয় যান এবং পুতিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। অনেকের মতে, এই সাক্ষাৎকার ছিল একেবারে নমনীয় ও পক্ষপাতদুষ্ট। পরে গত ডিসেম্বরে তিনি আবার রাশিয়ায় গিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সাক্ষাৎকার নেন।
এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যেকোনো সম্ভাব্য হুমকি থেকে সুরক্ষিত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। গতকাল মঙ্গলবার কার্লসনের মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে পেসকভ বিষয়টি নিশ্চিত বা অস্বীকার—কোনোটিই করেননি, এমনকি ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা অতীতে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা করেছিলেন কি না, সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি।
পেসকভ বলেন, ‘রুশ নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সর্বদা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে জননিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতাধীন ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এ ক্ষেত্রে প্রধান অগ্রাধিকার রাষ্ট্রপ্রধানের নিরাপত্তা।’
মার্কিন কর্মকর্তারা কখনোই কোনো রুশ বা সোভিয়েত নেতাকে হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেননি। তবে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইক এক প্রতিবেদনে জানায়, যদি রাশিয়া ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে মার্কিন কর্মকর্তারা ‘ডিক্যাপিটেশন স্ট্রাইক’ বা ‘নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন করার হামলার’ পরিকল্পনা বিবেচনা করেছিলেন। যদিও মস্কো স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ২০০০-এর দশকের শুরু থেকে একাধিক হত্যাচেষ্টার লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন বলে জানা যায়। ২০১২ সালে রুশ ও ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ওদেসা শহর থেকে কয়েকজন চরমপন্থীকে গ্রেপ্তার করে, যারা পুতিনের ওপর বোমা হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে অভিযোগ আছে। তখন রাশিয়া ও ইউক্রেনের সম্পর্ক তুলনামূলকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। পরে অবশ্যই ২০১৪ সালের পশ্চিমা-সমর্থিত কিয়েভের অভ্যুত্থানের ফলে সম্পর্ক বদলে যায়।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের মে মাসে মস্কো অভিযোগ তোলে যে, কিয়েভ ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা চালিয়ে পুতিনকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। তবে রুশ কর্মকর্তাদের দাবি অনুযায়ী, হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন ক্রেমলিনে উপস্থিত ছিলেন না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল রাজনীতি বিশ্লেষক ও সাংবাদিক টাকার কার্লসন দাবি করেছেন, জো বাইডেনের প্রশাসন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। গত সোমবার তিনি বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজের সাবেক উপস্থাপক টাকার কার্লসন তাঁর পডকাস্ট ‘দ্য টাকার কার্লসন শো’—এর সর্বশেষ পর্বে এই দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘বাইডেন প্রশাসন তা করেছে, তারা পুতিনকে হত্যার চেষ্টা করেছে।’ তবে বাইডেন প্রশাসন সত্যিই পুতিনকে হত্যার চেষ্টা করেছিল কি না, সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি কার্লসন।
টাকার কার্লসন আরও বলেন, ‘যা একেবারেই পাগলামি। এটি বিকৃত মানসিকতা, যে কেউ এমন কিছু ভাবতেও পারে। তাহলে তারা কেন এটা করেছে? কারণ বিশৃঙ্খলা তাদের জন্য ঢাল হিসেবে কাজ করে।’ কার্লসন দাবি করেন, বাইডেন প্রশাসন ২০২১ সালের শুরু থেকে ২০২৫ সালের শুরু পর্যন্ত এই প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
কার্লসন ২০২৩ সালে ফক্স নিউজ থেকে বহিষ্কৃত হন। মূলত চ্যানেলটির বিরুদ্ধে ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতির ভিত্তিহীন দাবি প্রচারের কারণে আইনি জটিলতা দেখা দেওয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি প্রায়ই ক্রেমলিনের বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান। তিনি কিয়েভকে দেওয়া মার্কিন সামরিক সহায়তার সমালোচনা করেন এবং ইউক্রেনকে ‘অগণতান্ত্রিক’ বলে অভিহিত করেছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে টাকার কার্লসন মস্কোয় যান এবং পুতিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। অনেকের মতে, এই সাক্ষাৎকার ছিল একেবারে নমনীয় ও পক্ষপাতদুষ্ট। পরে গত ডিসেম্বরে তিনি আবার রাশিয়ায় গিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সাক্ষাৎকার নেন।
এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যেকোনো সম্ভাব্য হুমকি থেকে সুরক্ষিত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। গতকাল মঙ্গলবার কার্লসনের মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে পেসকভ বিষয়টি নিশ্চিত বা অস্বীকার—কোনোটিই করেননি, এমনকি ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা অতীতে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা করেছিলেন কি না, সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি।
পেসকভ বলেন, ‘রুশ নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সর্বদা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে জননিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতাধীন ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এ ক্ষেত্রে প্রধান অগ্রাধিকার রাষ্ট্রপ্রধানের নিরাপত্তা।’
মার্কিন কর্মকর্তারা কখনোই কোনো রুশ বা সোভিয়েত নেতাকে হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেননি। তবে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইক এক প্রতিবেদনে জানায়, যদি রাশিয়া ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে মার্কিন কর্মকর্তারা ‘ডিক্যাপিটেশন স্ট্রাইক’ বা ‘নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন করার হামলার’ পরিকল্পনা বিবেচনা করেছিলেন। যদিও মস্কো স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ২০০০-এর দশকের শুরু থেকে একাধিক হত্যাচেষ্টার লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন বলে জানা যায়। ২০১২ সালে রুশ ও ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ওদেসা শহর থেকে কয়েকজন চরমপন্থীকে গ্রেপ্তার করে, যারা পুতিনের ওপর বোমা হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে অভিযোগ আছে। তখন রাশিয়া ও ইউক্রেনের সম্পর্ক তুলনামূলকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। পরে অবশ্যই ২০১৪ সালের পশ্চিমা-সমর্থিত কিয়েভের অভ্যুত্থানের ফলে সম্পর্ক বদলে যায়।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের মে মাসে মস্কো অভিযোগ তোলে যে, কিয়েভ ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা চালিয়ে পুতিনকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। তবে রুশ কর্মকর্তাদের দাবি অনুযায়ী, হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন ক্রেমলিনে উপস্থিত ছিলেন না।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
৪ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি এক ভিডিওতে ভারতের দীর্ঘ পথের ট্রেনযাত্রাকে ‘মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার’ মতো অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেছেন ফরাসি ইউটিউবার ভিক্টর ব্লাহো। তিনি বিদেশি পর্যটকদের পরামর্শ দিয়েছেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বা ভালো বাজেট না থাকলে ভারতের দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেনভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত।
৬ ঘণ্টা আগেবিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নীতির কারণে চলতি বছরই বিশ্বজুড়ে পণ্যবাণিজ্য হ্রাস পাবে। এ ছাড়াও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন গভীর নেতিবাচক ঝুঁকি রয়েছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে আরও বড় ধরনের পতন ডেকে আনতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগেবর্তমানে ছোট ওষুধ (পিল বা ক্যাপসুল) বাজারে আসার ৯ বছর পর মেডিকেয়ার মূল্য আলোচনার জন্য যোগ্য হয়। ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে ১৩ বছর করতে চায়, যা বায়োটেক ওষুধের সমতুল্য। তবে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করেছিল, বর্তমান নিয়ম নতুন ওষুধ উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করে। আগে এই বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করতে
৮ ঘণ্টা আগে