Ajker Patrika

ভিসা আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে নজরদারির নির্দেশ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

মার্কো রুবিও। ছবি: সংগৃহীত
মার্কো রুবিও। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করা নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। মার্কিন ও ইসরায়েলি প্রশাসনের সমালোচকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে ওয়াশিংটন।

আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

প্রতিবেদন অনুসারে, গত ২৫ মার্চ এক চিঠিতে কূটনীতিকদের ওই নির্দেশনা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও। নির্দেশনা অনুযায়ী, কিছু শিক্ষার্থীর ভিসার আবেদন পাঠানো হয়েছে ফ্রড প্রিভেন্ট ইউনিট বা প্রতারণা প্রতিরোধ ইউনিটের কাছে। বিশেষ এই ইউনিট ওই শিক্ষার্থীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় তৎপরতা যাচাই করবে। যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ও ইহুদিবিরোধী মনোভাবের ইঙ্গিত মিললে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নির্দেশনার মূল লক্ষ্য, ফিলিস্তিনপন্থী আবেদনকারীদের ভিসা প্রত্যাখ্যান করা। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব আবেদনকারীর আচরণ বা অনলাইন কর্মকাণ্ড ‘যুক্তরাষ্ট্র বা এর সংস্কৃতির প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব’ প্রকাশ করে, তাঁদের ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্যে তিন শতাধিক ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন, যাদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। এই ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘আমরা তোমাদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছি, অ্যাকটিভিস্ট সেজে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য নয়।’

ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্কিত ইহুদিবিদ্বেষ (অ্যান্টি সেমিটিজম) বিরোধী ব্যবস্থার আওতায় নেওয়া হচ্ছে এসব সিদ্ধান্ত। এরই মধ্যে নতুন নীতির আওতায় বহু বিদেশি শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে, অনেক শিক্ষার্থীকে দেশে ফেরতও পাঠানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি তুর্কি শিক্ষার্থী রুমাইসাকে আটকের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তিনি বোস্টন টাফটস ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করছিলেন। একটি ইফতারের আয়োজনে যোগ দিতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। এমন সময় একদল মুখোশধারী তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। পরে জানা যায়, মুখোশধারীরা ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের কর্মকর্তা ছিলেন। রুমাইসার হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে তাঁকে নিয়ে যান তাঁরা।

রুমাইসার ‘অপরাধ’, তিনি ক্যাম্পাস ম্যাগাজিনে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন, যেখানে তিনি ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়কে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুদান প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানান। এরই ভিত্তিতে তাঁকে হামাসের সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

এরই জেরে ক্যানারি মিশন নামক একটি ইসরায়েলপন্থি ওয়েবসাইটের কালোতালিকাভুক্ত হন রুমাইসা। ওই ওয়েবসাইটে মূলত ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মাত্র তিনজনের জন্য লাখ লাখ মানুষ মরছে, কাদের কথা বললেন ট্রাম্প

জুয়ার বিজ্ঞাপনের প্রচার: আলোচিত টিকটকার জান্নাতের স্বামী তোহা কারাগারে

বৈশাখী মেলার নাগরদোলায় চড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা

ঈদের ছুটিতে কৃষি প্রকল্পে পাতানো দরপত্র

বরিশালে ঘরের ফ্যানে ঝুলছিল স্বামীর লাশ, খাটের ওপর নিথর দেহ স্ত্রীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত