
জর্ডানে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন সেনা নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩৪ জন। সিরিয়া সীমান্তবর্তী জর্ডানের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হওয়া এই হামলায় ইরান জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
আর এরই জেরে ইরানে হামলা চালাতে বাইডেনের ওপর বাড়ছে রাজনৈতিক চাপ। যদিও ইরান বলছে, জর্ডানে ড্রোন হামলা এবং মার্কিন সেনাদের হত্যার সঙ্গে তাদের কোনো যোগসূত্র নেই। আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত এবং আরও কয়েক ডজন আহত হওয়ার ঘটনাটি ইরানে সরাসরি হামলা করার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর রাজনৈতিক চাপ তৈরি করছে। যদিও বৃহত্তর যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট এত দিন এই ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিতে অনিচ্ছুক ছিলেন।
অবশ্য ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পর প্রতিশোধের হুংকার দিয়েছেন বাইডেন। মার্কিন ডেমোক্রেটিক এই প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, আমরা একসময়ে এবং আমাদের পছন্দের পদ্ধতিতে (হামলার জন্য) দায়ী সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনব।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাণঘাতী এই হামলার জবাবে বাইডেন ইরানের বাইরে এমনকি ইরানের অভ্যন্তরেও ইরানি বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাতে পারেন। আবার সেই পথে না হেঁটে শুধু ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে আরও সতর্ক প্রতিশোধমূলক আক্রমণও বেছে নিতে পারেন তিনি।
রয়টার্স বলছে, গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান বাহিনীকে ইরাক, সিরিয়া, জর্ডান ও ইয়েমেনের উপকূল থেকে ইরান-সমর্থিত বাহিনী ১৫০ বারেরও বেশি আক্রমণ করেছে।
তবে সিরিয়ার সঙ্গে জর্ডানের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের কাছে টাওয়ার ২২ নামে পরিচিত একটি দূরবর্তী চৌকিতে গতকালের হামলার আগ পর্যন্ত আগের কোনো হামলায় মার্কিন সৈন্য নিহত বা এত বেশিসংখ্যক সেনা আহত হয়নি।
গতকালের হামলার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার প্রতিক্রিয়া জানাবে। তবে এ বিষয়ে আর বিশদ কোনো বিবরণ তিনি দেননি।
বিরোধী রিপাবলিকানরা আমেরিকান বাহিনীকে ‘কুঁড়ে বানানোর জন্য’ বাইডেনকে অভিযুক্ত করেছেন। রিপাবলিকানদের দাবি, মার্কিন বাহিনী সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করেছে, যখন একটি ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র এসে সামরিক ঘাঁটির প্রতিরক্ষা ছিন্নভিন্ন করে দেবে।
তাঁরা বলছে, গতকাল সেই দিনটি এসে গেছে। এদিনই রাতের আঁধারে জর্ডানে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা হয়। আর এর জবাবে তারা (রিপাবলিকানরা) বলছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে এবার ইরানে অবশ্যই হামলা করতে হবে।
রিপাবলিকান সিনেটর টম কটন বলেন, ‘তিনি (বাইডেন) আমাদের সৈন্যদের বসা হাঁসের মতো বসিয়ে রেখেছিলেন। এই হামলার একমাত্র উত্তর হতে হবে ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক সামরিক প্রতিশোধ।’
রিপাবলিকান নেতা এবং মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক তদারকি কমিটির নেতৃত্বে থাকা প্রতিনিধি মাইক রজার্সও তেহরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী ইরানি সরকার এবং তাদের চরমপন্থী প্রক্সিদের যারা এই হামলা চালিয়েছে, তাদের জবাবদিহি আরও আগেই করা উচিত ছিল বাইডেনের।’
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই আক্রমণটিকে ‘জো বাইডেনের দুর্বলতা এবং আত্মসমর্পণের পরিণতি’ হিসেবে চিত্রিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘জর্ডানে ইউএস মিলিটারি ইনস্টলেশন ড্রোন হামলা এবং তিনজন আমেরিকান সৈন্যের নিহত ও আরও অনেকের আহত হওয়ার এ ঘটনা আমেরিকার জন্য একটি ভয়ংকর দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে... যুক্তরাষ্ট্রের ওপর এই নির্লজ্জ হামলা জো বাইডেনের দুর্বলতা এবং আত্মসমর্পণের আরেকটি ভয়ংকর ও দুঃখজনক পরিণতি।’
বাইডেন প্রশাসন বলেছে, বিশ্বজুড়ে মার্কিন সৈন্যদের রক্ষা করার জন্য তারা অনেক বেশি পরিশ্রম করে। তবে গাজায় ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ন্ত্রণে বাইডেনের কৌশল যে ব্যর্থ হচ্ছে, সে বিষয়ে খোলাখুলিভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন একজন ডেমোক্র্যাট।
ডেমোক্রেটিক প্রতিনিধি বারবারা লি বলেন, ‘যেমন আমরা এখন দেখছি, এটি (গাজা সংঘাত) নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এটি কার্যত আঞ্চলিক যুদ্ধ হিসেবে আবির্ভূত হতে শুরু করেছে এবং দুর্ভাগ্যবশত যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের সৈন্যরা ক্ষতির পথে রয়েছে।’
এ সময় ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার এই সংঘাতে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানান তিনি।
এত সরল নয়
ডেমোক্রেটিক প্রতিনিধি শেঠ মল্টন ইরাকে মেরিন হিসেবে চারবার সফর করেছেন। রোববারের এই হামলার পর রিপাবলিকানদের যুদ্ধের আহ্বানের বিরোধিতা করে তিনি বলেছেন, ‘প্রতিরোধ করা কঠিন; যুদ্ধ আরও খারাপ।’
মল্টন বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন যারা, আপনারা শত্রুর হাতে খেলছেন এবং আমি দেখতে চাই, আপনারা আপনাদের ছেলে-মেয়েদের যুদ্ধে পাঠাবেন। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমাদের সামনে অবশ্যই একটি কার্যকর, কৌশলগত প্রতিক্রিয়া থাকতে হবে।’
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ইরানের অভ্যন্তরে ইরানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যেকোনো হামলা তেহরানকে জোরপূর্বক প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য করতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে উত্তেজনা এমনভাবে বেড়ে যেতে পারে যা যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্যের একটি বড় যুদ্ধে টেনে নিয়ে যেতে পারে।
সেন্টার ফর অ্যা নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির মধ্যপ্রাচ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিচালক জোনাথন লর্ড বলেছেন, সরাসরি ইরানের অভ্যন্তরে হামলা তেহরানের জন্য শাসনব্যবস্থার টিকে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করবে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের চার্লস লিস্টার বলেছেন, ইরাক বা সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন লক্ষ্য বা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পাল্টা হামলা হতে পারে।
লিস্টার বলেন, ‘আজ যা ঘটেছে, তা গত দুই থেকে তিন মাসে এই প্রক্সিরা যা করেছে তার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল... (কিন্তু) ইরানে কিছু করার সব আহ্বান সত্ত্বেও আমি এই প্রশাসনকে তেমন পরামর্শ গ্রহণ করতে দেখছি না।’
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বাইরে ইরান-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছিল, তারা কেবল ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীই নয়, ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পস বাহিনীর ব্যবহৃত একটি স্থাপনাতেও হামলা করেছে।
অবশ্য মার্কিন এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত না হয়, তাহলে ইরানে আক্রমণ থেকে আমরা কী পেতে পারি।’

জর্ডানে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন সেনা নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩৪ জন। সিরিয়া সীমান্তবর্তী জর্ডানের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হওয়া এই হামলায় ইরান জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
আর এরই জেরে ইরানে হামলা চালাতে বাইডেনের ওপর বাড়ছে রাজনৈতিক চাপ। যদিও ইরান বলছে, জর্ডানে ড্রোন হামলা এবং মার্কিন সেনাদের হত্যার সঙ্গে তাদের কোনো যোগসূত্র নেই। আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত এবং আরও কয়েক ডজন আহত হওয়ার ঘটনাটি ইরানে সরাসরি হামলা করার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর রাজনৈতিক চাপ তৈরি করছে। যদিও বৃহত্তর যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট এত দিন এই ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিতে অনিচ্ছুক ছিলেন।
অবশ্য ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পর প্রতিশোধের হুংকার দিয়েছেন বাইডেন। মার্কিন ডেমোক্রেটিক এই প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, আমরা একসময়ে এবং আমাদের পছন্দের পদ্ধতিতে (হামলার জন্য) দায়ী সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনব।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাণঘাতী এই হামলার জবাবে বাইডেন ইরানের বাইরে এমনকি ইরানের অভ্যন্তরেও ইরানি বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাতে পারেন। আবার সেই পথে না হেঁটে শুধু ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে আরও সতর্ক প্রতিশোধমূলক আক্রমণও বেছে নিতে পারেন তিনি।
রয়টার্স বলছে, গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান বাহিনীকে ইরাক, সিরিয়া, জর্ডান ও ইয়েমেনের উপকূল থেকে ইরান-সমর্থিত বাহিনী ১৫০ বারেরও বেশি আক্রমণ করেছে।
তবে সিরিয়ার সঙ্গে জর্ডানের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের কাছে টাওয়ার ২২ নামে পরিচিত একটি দূরবর্তী চৌকিতে গতকালের হামলার আগ পর্যন্ত আগের কোনো হামলায় মার্কিন সৈন্য নিহত বা এত বেশিসংখ্যক সেনা আহত হয়নি।
গতকালের হামলার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার প্রতিক্রিয়া জানাবে। তবে এ বিষয়ে আর বিশদ কোনো বিবরণ তিনি দেননি।
বিরোধী রিপাবলিকানরা আমেরিকান বাহিনীকে ‘কুঁড়ে বানানোর জন্য’ বাইডেনকে অভিযুক্ত করেছেন। রিপাবলিকানদের দাবি, মার্কিন বাহিনী সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করেছে, যখন একটি ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র এসে সামরিক ঘাঁটির প্রতিরক্ষা ছিন্নভিন্ন করে দেবে।
তাঁরা বলছে, গতকাল সেই দিনটি এসে গেছে। এদিনই রাতের আঁধারে জর্ডানে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা হয়। আর এর জবাবে তারা (রিপাবলিকানরা) বলছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে এবার ইরানে অবশ্যই হামলা করতে হবে।
রিপাবলিকান সিনেটর টম কটন বলেন, ‘তিনি (বাইডেন) আমাদের সৈন্যদের বসা হাঁসের মতো বসিয়ে রেখেছিলেন। এই হামলার একমাত্র উত্তর হতে হবে ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক সামরিক প্রতিশোধ।’
রিপাবলিকান নেতা এবং মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক তদারকি কমিটির নেতৃত্বে থাকা প্রতিনিধি মাইক রজার্সও তেহরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী ইরানি সরকার এবং তাদের চরমপন্থী প্রক্সিদের যারা এই হামলা চালিয়েছে, তাদের জবাবদিহি আরও আগেই করা উচিত ছিল বাইডেনের।’
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই আক্রমণটিকে ‘জো বাইডেনের দুর্বলতা এবং আত্মসমর্পণের পরিণতি’ হিসেবে চিত্রিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘জর্ডানে ইউএস মিলিটারি ইনস্টলেশন ড্রোন হামলা এবং তিনজন আমেরিকান সৈন্যের নিহত ও আরও অনেকের আহত হওয়ার এ ঘটনা আমেরিকার জন্য একটি ভয়ংকর দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে... যুক্তরাষ্ট্রের ওপর এই নির্লজ্জ হামলা জো বাইডেনের দুর্বলতা এবং আত্মসমর্পণের আরেকটি ভয়ংকর ও দুঃখজনক পরিণতি।’
বাইডেন প্রশাসন বলেছে, বিশ্বজুড়ে মার্কিন সৈন্যদের রক্ষা করার জন্য তারা অনেক বেশি পরিশ্রম করে। তবে গাজায় ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ন্ত্রণে বাইডেনের কৌশল যে ব্যর্থ হচ্ছে, সে বিষয়ে খোলাখুলিভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন একজন ডেমোক্র্যাট।
ডেমোক্রেটিক প্রতিনিধি বারবারা লি বলেন, ‘যেমন আমরা এখন দেখছি, এটি (গাজা সংঘাত) নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এটি কার্যত আঞ্চলিক যুদ্ধ হিসেবে আবির্ভূত হতে শুরু করেছে এবং দুর্ভাগ্যবশত যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের সৈন্যরা ক্ষতির পথে রয়েছে।’
এ সময় ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার এই সংঘাতে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানান তিনি।
এত সরল নয়
ডেমোক্রেটিক প্রতিনিধি শেঠ মল্টন ইরাকে মেরিন হিসেবে চারবার সফর করেছেন। রোববারের এই হামলার পর রিপাবলিকানদের যুদ্ধের আহ্বানের বিরোধিতা করে তিনি বলেছেন, ‘প্রতিরোধ করা কঠিন; যুদ্ধ আরও খারাপ।’
মল্টন বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন যারা, আপনারা শত্রুর হাতে খেলছেন এবং আমি দেখতে চাই, আপনারা আপনাদের ছেলে-মেয়েদের যুদ্ধে পাঠাবেন। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমাদের সামনে অবশ্যই একটি কার্যকর, কৌশলগত প্রতিক্রিয়া থাকতে হবে।’
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ইরানের অভ্যন্তরে ইরানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যেকোনো হামলা তেহরানকে জোরপূর্বক প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য করতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে উত্তেজনা এমনভাবে বেড়ে যেতে পারে যা যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্যের একটি বড় যুদ্ধে টেনে নিয়ে যেতে পারে।
সেন্টার ফর অ্যা নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির মধ্যপ্রাচ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিচালক জোনাথন লর্ড বলেছেন, সরাসরি ইরানের অভ্যন্তরে হামলা তেহরানের জন্য শাসনব্যবস্থার টিকে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করবে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের চার্লস লিস্টার বলেছেন, ইরাক বা সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন লক্ষ্য বা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পাল্টা হামলা হতে পারে।
লিস্টার বলেন, ‘আজ যা ঘটেছে, তা গত দুই থেকে তিন মাসে এই প্রক্সিরা যা করেছে তার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল... (কিন্তু) ইরানে কিছু করার সব আহ্বান সত্ত্বেও আমি এই প্রশাসনকে তেমন পরামর্শ গ্রহণ করতে দেখছি না।’
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বাইরে ইরান-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছিল, তারা কেবল ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীই নয়, ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পস বাহিনীর ব্যবহৃত একটি স্থাপনাতেও হামলা করেছে।
অবশ্য মার্কিন এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত না হয়, তাহলে ইরানে আক্রমণ থেকে আমরা কী পেতে পারি।’

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
১ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
১ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
২ ঘণ্টা আগে
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

আর এরই জেরে ইরানে হামলা চালাতে বাইডেনের ওপর বাড়ছে রাজনৈতিক চাপ। যদিও ইরান বলছে, জর্ডানে ড্রোন হামলা এবং মার্কিন সেনাদের হত্যার সঙ্গে তাদের কোনো যোগসূত্র নেই। আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
১ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
২ ঘণ্টা আগে
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

আর এরই জেরে ইরানে হামলা চালাতে বাইডেনের ওপর বাড়ছে রাজনৈতিক চাপ। যদিও ইরান বলছে, জর্ডানে ড্রোন হামলা এবং মার্কিন সেনাদের হত্যার সঙ্গে তাদের কোনো যোগসূত্র নেই। আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
১ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
২ ঘণ্টা আগে
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

আর এরই জেরে ইরানে হামলা চালাতে বাইডেনের ওপর বাড়ছে রাজনৈতিক চাপ। যদিও ইরান বলছে, জর্ডানে ড্রোন হামলা এবং মার্কিন সেনাদের হত্যার সঙ্গে তাদের কোনো যোগসূত্র নেই। আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
১ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
১ ঘণ্টা আগে
বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘নতুন করে একটি যুদ্ধ বাধানোর পাঁয়তারা করছে’। সম্প্রতি ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে উন্নত রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড মোতায়েন করেছে। পেন্টাগনের এ পদক্ষেপের পরই এমন মন্তব্য করেন মাদুরো।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা। গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে অন্তত ১০টি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে মাদুরো বলেছেন, এটি আসলে ‘এক চিরস্থায়ী যুদ্ধের প্রস্তুতি’। ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হচ্ছে, যা তাঁর সরকার উৎখাতের উদ্দেশ্যে করা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে মাদুরোকে ‘একটি আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী চক্রের নেতা’ বলে অভিযুক্ত করে আসছেন। তবে মাদুরো বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশই ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে মাদুরোকে ভেনেজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিরোধী প্রার্থীরা ব্যাপক ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পরেও জালিয়াতির মাধ্যমে মাদুরো জয়লাভ করেন।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ড অঞ্চলে মোতায়েন করা হচ্ছে। এর আওতায় মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চল পড়ে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শন পারনেল বলেন, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের লক্ষ্য হলো ‘মাদক পাচার প্রতিরোধ ও আন্তদেশীয় অপরাধী সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করা।’
তবে মাদুরোর ভাষায়, ‘ওরা বলেছিল, আর কোনো যুদ্ধে যাবে না, অথচ এখন মাদক পাচার রোধের নামে নিজেরাই যুদ্ধ শুরু করছে।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেন, ‘সমুদ্রে আমরা মাদক আসা বন্ধ করতে পেরেছি, এবার স্থলপথেও তা বন্ধ করব। খুব শিগগির তা দেখতে পাবেন।’ তিনি ইঙ্গিত দেন, ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল অভিযান শুরু করার কথাও ভাবা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর উপস্থিতিও অঞ্চলটিতে জোরদার করা হয়েছে।
বিবিসি ভেরিফাই জানিয়েছে, পুয়ের্তো রিকোতে বেশ কয়েকটি মার্কিন সামরিক বিমান মোতায়েন রয়েছে। এদিকে সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলায় কোকেন উৎপাদন কেন্দ্র ও পাচার রুটে হামলার পরিকল্পনা বিবেচনা করছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানান, ক্যারিবীয় সাগরে সাম্প্রতিক এক অভিযানে ‘ছয়জন মাদকসন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তাদের নৌকাটি ভেনেজুয়েলাভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন ট্রেন দে আরাগুয়ার বলে দাবি করেন তিনি।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযানে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে অনেকে এই অভিযানের বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ২৫ জন ডেমোক্র্যাট সিনেটর হোয়াইট হাউসে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন, কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র একটি নৌযানে হামলা চালায়। অথচ এই নৌযানের যাত্রী বা পণ্য—কোনোটাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি ছিল না। এর কোনো প্রমাণও নেই। রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পলও বলেন, এ ধরনের সামরিক হামলার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।
ট্রাম্প অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর এ ধরনের হামলা চালানোর আইনি ক্ষমতা রয়েছে। তবে তিনি বলেন, ‘যদি স্থল অভিযান চালানো হয়, তখন হয়তো কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলব।’
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপে কর্মরত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক আইনজীবী ব্রায়ান ফিনুকেন বিবিসিকে বলেন, ‘এটি একধরনের সাংবিধানিক সংকট। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, সামরিক শক্তি ব্যবহারের ওপর প্রধান নিয়ন্ত্রণ কংগ্রেসের হাতে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউস সেই ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে, আর কংগ্রেসও কোনো প্রতিরোধ করছে না।’
তবে অনেকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক পদক্ষেপ সরাসরি আক্রমণ নয়, বরং মাদুরো প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর ওপর ভয় ও চাপ সৃষ্টি করার কৌশল।
চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটা মূলত ‘রেজিম চেঞ্জ’-এর বার্তা। ওরা সরাসরি আক্রমণ না করলেও এই শক্তি প্রদর্শন ভেনেজুয়েলার সেনাদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার কৌশল।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘নতুন করে একটি যুদ্ধ বাধানোর পাঁয়তারা করছে’। সম্প্রতি ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে উন্নত রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড মোতায়েন করেছে। পেন্টাগনের এ পদক্ষেপের পরই এমন মন্তব্য করেন মাদুরো।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহৎ এই জাহাজ ৯০টি যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। এর মোতায়েনকে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতিতে এক বিশাল শক্তি বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মাদক পাচারবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করা। গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে অন্তত ১০টি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে মাদুরো বলেছেন, এটি আসলে ‘এক চিরস্থায়ী যুদ্ধের প্রস্তুতি’। ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হচ্ছে, যা তাঁর সরকার উৎখাতের উদ্দেশ্যে করা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে মাদুরোকে ‘একটি আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী চক্রের নেতা’ বলে অভিযুক্ত করে আসছেন। তবে মাদুরো বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশই ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে মাদুরোকে ভেনেজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিরোধী প্রার্থীরা ব্যাপক ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পরেও জালিয়াতির মাধ্যমে মাদুরো জয়লাভ করেন।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ড অঞ্চলে মোতায়েন করা হচ্ছে। এর আওতায় মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চল পড়ে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শন পারনেল বলেন, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের লক্ষ্য হলো ‘মাদক পাচার প্রতিরোধ ও আন্তদেশীয় অপরাধী সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করা।’
তবে মাদুরোর ভাষায়, ‘ওরা বলেছিল, আর কোনো যুদ্ধে যাবে না, অথচ এখন মাদক পাচার রোধের নামে নিজেরাই যুদ্ধ শুরু করছে।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেন, ‘সমুদ্রে আমরা মাদক আসা বন্ধ করতে পেরেছি, এবার স্থলপথেও তা বন্ধ করব। খুব শিগগির তা দেখতে পাবেন।’ তিনি ইঙ্গিত দেন, ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল অভিযান শুরু করার কথাও ভাবা হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর উপস্থিতিও অঞ্চলটিতে জোরদার করা হয়েছে।
বিবিসি ভেরিফাই জানিয়েছে, পুয়ের্তো রিকোতে বেশ কয়েকটি মার্কিন সামরিক বিমান মোতায়েন রয়েছে। এদিকে সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলায় কোকেন উৎপাদন কেন্দ্র ও পাচার রুটে হামলার পরিকল্পনা বিবেচনা করছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানান, ক্যারিবীয় সাগরে সাম্প্রতিক এক অভিযানে ‘ছয়জন মাদকসন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তাদের নৌকাটি ভেনেজুয়েলাভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন ট্রেন দে আরাগুয়ার বলে দাবি করেন তিনি।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযানে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে অনেকে এই অভিযানের বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ২৫ জন ডেমোক্র্যাট সিনেটর হোয়াইট হাউসে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন, কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র একটি নৌযানে হামলা চালায়। অথচ এই নৌযানের যাত্রী বা পণ্য—কোনোটাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি ছিল না। এর কোনো প্রমাণও নেই। রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পলও বলেন, এ ধরনের সামরিক হামলার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।
ট্রাম্প অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর এ ধরনের হামলা চালানোর আইনি ক্ষমতা রয়েছে। তবে তিনি বলেন, ‘যদি স্থল অভিযান চালানো হয়, তখন হয়তো কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলব।’
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপে কর্মরত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক আইনজীবী ব্রায়ান ফিনুকেন বিবিসিকে বলেন, ‘এটি একধরনের সাংবিধানিক সংকট। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, সামরিক শক্তি ব্যবহারের ওপর প্রধান নিয়ন্ত্রণ কংগ্রেসের হাতে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউস সেই ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে, আর কংগ্রেসও কোনো প্রতিরোধ করছে না।’
তবে অনেকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক পদক্ষেপ সরাসরি আক্রমণ নয়, বরং মাদুরো প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর ওপর ভয় ও চাপ সৃষ্টি করার কৌশল।
চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটা মূলত ‘রেজিম চেঞ্জ’-এর বার্তা। ওরা সরাসরি আক্রমণ না করলেও এই শক্তি প্রদর্শন ভেনেজুয়েলার সেনাদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার কৌশল।

আর এরই জেরে ইরানে হামলা চালাতে বাইডেনের ওপর বাড়ছে রাজনৈতিক চাপ। যদিও ইরান বলছে, জর্ডানে ড্রোন হামলা এবং মার্কিন সেনাদের হত্যার সঙ্গে তাদের কোনো যোগসূত্র নেই। আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
১ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
১ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
২ ঘণ্টা আগে