
নাৎসিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যে আচরণ করেছিল, ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসন তার চেয়েও খারাপ আচরণ করেছে। গতকাল সোমবার মার্কিন আপিল আদালতের একজন বিচারক এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসিরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত হওয়ার সময় যেসব আইনি সুযোগ পেয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বিতাড়িত ভেনেজুয়েলা অভিবাসীরা তাও পাননি।
আদালতে এ নিয়ে সরকারপক্ষের আইনজীবী ড্রিউ এনসাইনের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় প্যাট্রিসিয়া মিলেট নামের ওই বিচারকের। ড্রিউ এনসাইনকে মিলেট জিজ্ঞেস করেন, ট্রাম্প প্রশাসন যেসব ভেনেজুয়েলানকে বিতাড়িত করেছে, তাঁরা কি আদৌ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেয়েছিলেন? তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযোগ ছিল যে, তাঁরা ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ নামে কুখ্যাত একটি গ্যাংয়ের সদস্য। কিন্তু সেই অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই তাঁদের বিমানে তুলে এল সালভাদরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মিলেট বলেন, ‘এমনকি নাৎসিরাও “এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট” বা বহিঃশত্রূ আইন–এর অধীনে এর চেয়ে ভালো আচরণ পেয়েছিল।’ এনসাইন এই তুলনা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘নাৎসিদের সঙ্গে এই তুলনা স্পষ্টতই বিতর্কিত।’
চলতি মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের ১৭৯৮ সালে প্রবর্তিত যুদ্ধকালীন আইন ‘এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট’ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা হবে। ভেনেজুয়েলানদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের অভিযোগ—তাঁরা সবাই কুখ্যাত ত্রেন দে আরাগুয়ার সদস্য। গ্যাংটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘গোপন তৎপরতা’ চালাচ্ছে বলে দাবি করছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষ্য, গ্যাংটি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। ট্রাম্পের দাবি, এই গ্যাং যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ, চাঁদাবাজি, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও ভাড়াটে খুনের মতো কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের কার্যকলাপ মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। আর সে কারণেই যুদ্ধকালীন বিশেষ আইন প্রয়োগ করে তাঁদের বিতাড়িত করতে হবে।
তবে সেই পদক্ষেপে স্থগিতাদেশ দেন মার্কিন ফেডারেল আদালতের বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ। বিচারকের ভাষ্য ছিল—আইনটি শত্রু দেশের দ্বারা সংঘটিত আক্রমণ মোকাবিলার জন্য তৈরি করা হয়েছিল, যা শুধু যুদ্ধের সময় প্রয়োগযোগ্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই আইনের ব্যবহার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আইন অনুযায়ী, স্থগিতাদেশ দেওয়ার দিন থেকে পরবর্তী ১৪ দিন ওই আদেশ বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না ট্রাম্প।
কিন্তু স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করেই ১৫ মার্চ ২০০–এর বেশি ভেনেজুয়েলান অভিবাসীকে এল সালভাদরে পাঠিয়ে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। সেখানে তাঁদের একটি সন্ত্রাসবিরোধী কারাগারে রাখা হয়েছে। আর সে জন্য এল সালভাদর সরকারকে ৬০ লাখ ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এল সালভাদরে পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে ভেনেজুয়েলার আটজন নারী এবং নিকারাগুয়ার একজন পুরুষ ছিলেন, যাদের এল সালভাদর যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিতাড়িত অভিবাসীদের পরিবারের সদস্যরা। বিতাড়িতদের একজন ছিলেন পেশাদার ফুটবলার এবং কোচ। তাঁর শরীরে জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের লোগোর অনুরূপ একটি মুকুটের উলকি ছিল—যেটিকে ত্রেন দে আরাগুয়ার ‘গোপন সংকেত’ দাবি করে ট্রাম্প প্রশাসন। আর শুধু এ কারণেই তাঁকে বিতাড়িত করা হয়।
ওই ফুটবলারের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে থাকা একটি মুকুটের উলকিকে প্রশাসন ভুলভাবে গ্যাংয়ের সংকেত হিসেবে চিহ্নিত করেছে, প্রকৃতপক্ষে সেটি তাঁর প্রিয় দল রিয়াল মাদ্রিদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন।
মিলেট ও অন্য দুই বিচারকের সমন্বয়ে তিন সদস্যের প্যানেল বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। বিচারকদের মধ্যে একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মনোনীত, অন্যজন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং তৃতীয়জন সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের মনোনীত।
বিতাড়িতরা ত্রেন দে আরাগুয়ার সদস্য কিনা তা প্রমাণিত হওয়ার আগেই মার্কিন প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত অমানবিক বলছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোও। এই অভিবাসন আদেশ বেআইনি ছিল প্রমাণিত হলে নির্বাসিতদের ভেনেজুয়েলানদের যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনতে এরই মধ্যে আদালতে আবেদন করেছে আমেরিকান সিভিল লিবার্টি ইউনিয়ন।
১৭৯৮ সালের ‘এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট’ মূলত যুদ্ধের সময় বিদেশি শত্রুদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসনের আগে এটি মাত্র তিনবার প্রয়োগ করা হয়—সর্বশেষ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত জাপানি, জার্মান এবং ইতালীয় অভিবাসীদের আটক ও বহিষ্কার করা হয়েছিল।

নাৎসিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যে আচরণ করেছিল, ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসন তার চেয়েও খারাপ আচরণ করেছে। গতকাল সোমবার মার্কিন আপিল আদালতের একজন বিচারক এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসিরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত হওয়ার সময় যেসব আইনি সুযোগ পেয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বিতাড়িত ভেনেজুয়েলা অভিবাসীরা তাও পাননি।
আদালতে এ নিয়ে সরকারপক্ষের আইনজীবী ড্রিউ এনসাইনের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় প্যাট্রিসিয়া মিলেট নামের ওই বিচারকের। ড্রিউ এনসাইনকে মিলেট জিজ্ঞেস করেন, ট্রাম্প প্রশাসন যেসব ভেনেজুয়েলানকে বিতাড়িত করেছে, তাঁরা কি আদৌ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেয়েছিলেন? তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযোগ ছিল যে, তাঁরা ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ নামে কুখ্যাত একটি গ্যাংয়ের সদস্য। কিন্তু সেই অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই তাঁদের বিমানে তুলে এল সালভাদরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মিলেট বলেন, ‘এমনকি নাৎসিরাও “এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট” বা বহিঃশত্রূ আইন–এর অধীনে এর চেয়ে ভালো আচরণ পেয়েছিল।’ এনসাইন এই তুলনা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘নাৎসিদের সঙ্গে এই তুলনা স্পষ্টতই বিতর্কিত।’
চলতি মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের ১৭৯৮ সালে প্রবর্তিত যুদ্ধকালীন আইন ‘এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট’ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা হবে। ভেনেজুয়েলানদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের অভিযোগ—তাঁরা সবাই কুখ্যাত ত্রেন দে আরাগুয়ার সদস্য। গ্যাংটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘গোপন তৎপরতা’ চালাচ্ছে বলে দাবি করছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষ্য, গ্যাংটি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। ট্রাম্পের দাবি, এই গ্যাং যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ, চাঁদাবাজি, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও ভাড়াটে খুনের মতো কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের কার্যকলাপ মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। আর সে কারণেই যুদ্ধকালীন বিশেষ আইন প্রয়োগ করে তাঁদের বিতাড়িত করতে হবে।
তবে সেই পদক্ষেপে স্থগিতাদেশ দেন মার্কিন ফেডারেল আদালতের বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ। বিচারকের ভাষ্য ছিল—আইনটি শত্রু দেশের দ্বারা সংঘটিত আক্রমণ মোকাবিলার জন্য তৈরি করা হয়েছিল, যা শুধু যুদ্ধের সময় প্রয়োগযোগ্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই আইনের ব্যবহার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আইন অনুযায়ী, স্থগিতাদেশ দেওয়ার দিন থেকে পরবর্তী ১৪ দিন ওই আদেশ বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না ট্রাম্প।
কিন্তু স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করেই ১৫ মার্চ ২০০–এর বেশি ভেনেজুয়েলান অভিবাসীকে এল সালভাদরে পাঠিয়ে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। সেখানে তাঁদের একটি সন্ত্রাসবিরোধী কারাগারে রাখা হয়েছে। আর সে জন্য এল সালভাদর সরকারকে ৬০ লাখ ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এল সালভাদরে পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে ভেনেজুয়েলার আটজন নারী এবং নিকারাগুয়ার একজন পুরুষ ছিলেন, যাদের এল সালভাদর যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিতাড়িত অভিবাসীদের পরিবারের সদস্যরা। বিতাড়িতদের একজন ছিলেন পেশাদার ফুটবলার এবং কোচ। তাঁর শরীরে জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের লোগোর অনুরূপ একটি মুকুটের উলকি ছিল—যেটিকে ত্রেন দে আরাগুয়ার ‘গোপন সংকেত’ দাবি করে ট্রাম্প প্রশাসন। আর শুধু এ কারণেই তাঁকে বিতাড়িত করা হয়।
ওই ফুটবলারের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে থাকা একটি মুকুটের উলকিকে প্রশাসন ভুলভাবে গ্যাংয়ের সংকেত হিসেবে চিহ্নিত করেছে, প্রকৃতপক্ষে সেটি তাঁর প্রিয় দল রিয়াল মাদ্রিদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন।
মিলেট ও অন্য দুই বিচারকের সমন্বয়ে তিন সদস্যের প্যানেল বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। বিচারকদের মধ্যে একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মনোনীত, অন্যজন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং তৃতীয়জন সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের মনোনীত।
বিতাড়িতরা ত্রেন দে আরাগুয়ার সদস্য কিনা তা প্রমাণিত হওয়ার আগেই মার্কিন প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত অমানবিক বলছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোও। এই অভিবাসন আদেশ বেআইনি ছিল প্রমাণিত হলে নির্বাসিতদের ভেনেজুয়েলানদের যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনতে এরই মধ্যে আদালতে আবেদন করেছে আমেরিকান সিভিল লিবার্টি ইউনিয়ন।
১৭৯৮ সালের ‘এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট’ মূলত যুদ্ধের সময় বিদেশি শত্রুদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসনের আগে এটি মাত্র তিনবার প্রয়োগ করা হয়—সর্বশেষ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত জাপানি, জার্মান এবং ইতালীয় অভিবাসীদের আটক ও বহিষ্কার করা হয়েছিল।

নাৎসিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যে আচরণ করেছিল, ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসন তার চেয়েও খারাপ আচরণ করেছে। গতকাল সোমবার মার্কিন আপিল আদালতের একজন বিচারক এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসিরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত হওয়ার সময় যেসব আইনি সুযোগ পেয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বিতাড়িত ভেনেজুয়েলা অভিবাসীরা তাও পাননি।
আদালতে এ নিয়ে সরকারপক্ষের আইনজীবী ড্রিউ এনসাইনের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় প্যাট্রিসিয়া মিলেট নামের ওই বিচারকের। ড্রিউ এনসাইনকে মিলেট জিজ্ঞেস করেন, ট্রাম্প প্রশাসন যেসব ভেনেজুয়েলানকে বিতাড়িত করেছে, তাঁরা কি আদৌ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেয়েছিলেন? তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযোগ ছিল যে, তাঁরা ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ নামে কুখ্যাত একটি গ্যাংয়ের সদস্য। কিন্তু সেই অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই তাঁদের বিমানে তুলে এল সালভাদরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মিলেট বলেন, ‘এমনকি নাৎসিরাও “এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট” বা বহিঃশত্রূ আইন–এর অধীনে এর চেয়ে ভালো আচরণ পেয়েছিল।’ এনসাইন এই তুলনা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘নাৎসিদের সঙ্গে এই তুলনা স্পষ্টতই বিতর্কিত।’
চলতি মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের ১৭৯৮ সালে প্রবর্তিত যুদ্ধকালীন আইন ‘এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট’ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা হবে। ভেনেজুয়েলানদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের অভিযোগ—তাঁরা সবাই কুখ্যাত ত্রেন দে আরাগুয়ার সদস্য। গ্যাংটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘গোপন তৎপরতা’ চালাচ্ছে বলে দাবি করছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষ্য, গ্যাংটি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। ট্রাম্পের দাবি, এই গ্যাং যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ, চাঁদাবাজি, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও ভাড়াটে খুনের মতো কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের কার্যকলাপ মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। আর সে কারণেই যুদ্ধকালীন বিশেষ আইন প্রয়োগ করে তাঁদের বিতাড়িত করতে হবে।
তবে সেই পদক্ষেপে স্থগিতাদেশ দেন মার্কিন ফেডারেল আদালতের বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ। বিচারকের ভাষ্য ছিল—আইনটি শত্রু দেশের দ্বারা সংঘটিত আক্রমণ মোকাবিলার জন্য তৈরি করা হয়েছিল, যা শুধু যুদ্ধের সময় প্রয়োগযোগ্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই আইনের ব্যবহার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আইন অনুযায়ী, স্থগিতাদেশ দেওয়ার দিন থেকে পরবর্তী ১৪ দিন ওই আদেশ বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না ট্রাম্প।
কিন্তু স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করেই ১৫ মার্চ ২০০–এর বেশি ভেনেজুয়েলান অভিবাসীকে এল সালভাদরে পাঠিয়ে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। সেখানে তাঁদের একটি সন্ত্রাসবিরোধী কারাগারে রাখা হয়েছে। আর সে জন্য এল সালভাদর সরকারকে ৬০ লাখ ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এল সালভাদরে পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে ভেনেজুয়েলার আটজন নারী এবং নিকারাগুয়ার একজন পুরুষ ছিলেন, যাদের এল সালভাদর যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিতাড়িত অভিবাসীদের পরিবারের সদস্যরা। বিতাড়িতদের একজন ছিলেন পেশাদার ফুটবলার এবং কোচ। তাঁর শরীরে জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের লোগোর অনুরূপ একটি মুকুটের উলকি ছিল—যেটিকে ত্রেন দে আরাগুয়ার ‘গোপন সংকেত’ দাবি করে ট্রাম্প প্রশাসন। আর শুধু এ কারণেই তাঁকে বিতাড়িত করা হয়।
ওই ফুটবলারের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে থাকা একটি মুকুটের উলকিকে প্রশাসন ভুলভাবে গ্যাংয়ের সংকেত হিসেবে চিহ্নিত করেছে, প্রকৃতপক্ষে সেটি তাঁর প্রিয় দল রিয়াল মাদ্রিদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন।
মিলেট ও অন্য দুই বিচারকের সমন্বয়ে তিন সদস্যের প্যানেল বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। বিচারকদের মধ্যে একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মনোনীত, অন্যজন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং তৃতীয়জন সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের মনোনীত।
বিতাড়িতরা ত্রেন দে আরাগুয়ার সদস্য কিনা তা প্রমাণিত হওয়ার আগেই মার্কিন প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত অমানবিক বলছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোও। এই অভিবাসন আদেশ বেআইনি ছিল প্রমাণিত হলে নির্বাসিতদের ভেনেজুয়েলানদের যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনতে এরই মধ্যে আদালতে আবেদন করেছে আমেরিকান সিভিল লিবার্টি ইউনিয়ন।
১৭৯৮ সালের ‘এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট’ মূলত যুদ্ধের সময় বিদেশি শত্রুদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসনের আগে এটি মাত্র তিনবার প্রয়োগ করা হয়—সর্বশেষ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত জাপানি, জার্মান এবং ইতালীয় অভিবাসীদের আটক ও বহিষ্কার করা হয়েছিল।

নাৎসিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যে আচরণ করেছিল, ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসন তার চেয়েও খারাপ আচরণ করেছে। গতকাল সোমবার মার্কিন আপিল আদালতের একজন বিচারক এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসিরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত হওয়ার সময় যেসব আইনি সুযোগ পেয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বিতাড়িত ভেনেজুয়েলা অভিবাসীরা তাও পাননি।
আদালতে এ নিয়ে সরকারপক্ষের আইনজীবী ড্রিউ এনসাইনের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় প্যাট্রিসিয়া মিলেট নামের ওই বিচারকের। ড্রিউ এনসাইনকে মিলেট জিজ্ঞেস করেন, ট্রাম্প প্রশাসন যেসব ভেনেজুয়েলানকে বিতাড়িত করেছে, তাঁরা কি আদৌ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেয়েছিলেন? তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযোগ ছিল যে, তাঁরা ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ নামে কুখ্যাত একটি গ্যাংয়ের সদস্য। কিন্তু সেই অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই তাঁদের বিমানে তুলে এল সালভাদরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মিলেট বলেন, ‘এমনকি নাৎসিরাও “এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট” বা বহিঃশত্রূ আইন–এর অধীনে এর চেয়ে ভালো আচরণ পেয়েছিল।’ এনসাইন এই তুলনা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘নাৎসিদের সঙ্গে এই তুলনা স্পষ্টতই বিতর্কিত।’
চলতি মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের ১৭৯৮ সালে প্রবর্তিত যুদ্ধকালীন আইন ‘এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট’ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা হবে। ভেনেজুয়েলানদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের অভিযোগ—তাঁরা সবাই কুখ্যাত ত্রেন দে আরাগুয়ার সদস্য। গ্যাংটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘গোপন তৎপরতা’ চালাচ্ছে বলে দাবি করছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষ্য, গ্যাংটি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। ট্রাম্পের দাবি, এই গ্যাং যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ, চাঁদাবাজি, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও ভাড়াটে খুনের মতো কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের কার্যকলাপ মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। আর সে কারণেই যুদ্ধকালীন বিশেষ আইন প্রয়োগ করে তাঁদের বিতাড়িত করতে হবে।
তবে সেই পদক্ষেপে স্থগিতাদেশ দেন মার্কিন ফেডারেল আদালতের বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ। বিচারকের ভাষ্য ছিল—আইনটি শত্রু দেশের দ্বারা সংঘটিত আক্রমণ মোকাবিলার জন্য তৈরি করা হয়েছিল, যা শুধু যুদ্ধের সময় প্রয়োগযোগ্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই আইনের ব্যবহার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আইন অনুযায়ী, স্থগিতাদেশ দেওয়ার দিন থেকে পরবর্তী ১৪ দিন ওই আদেশ বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না ট্রাম্প।
কিন্তু স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করেই ১৫ মার্চ ২০০–এর বেশি ভেনেজুয়েলান অভিবাসীকে এল সালভাদরে পাঠিয়ে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। সেখানে তাঁদের একটি সন্ত্রাসবিরোধী কারাগারে রাখা হয়েছে। আর সে জন্য এল সালভাদর সরকারকে ৬০ লাখ ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এল সালভাদরে পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে ভেনেজুয়েলার আটজন নারী এবং নিকারাগুয়ার একজন পুরুষ ছিলেন, যাদের এল সালভাদর যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিতাড়িত অভিবাসীদের পরিবারের সদস্যরা। বিতাড়িতদের একজন ছিলেন পেশাদার ফুটবলার এবং কোচ। তাঁর শরীরে জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের লোগোর অনুরূপ একটি মুকুটের উলকি ছিল—যেটিকে ত্রেন দে আরাগুয়ার ‘গোপন সংকেত’ দাবি করে ট্রাম্প প্রশাসন। আর শুধু এ কারণেই তাঁকে বিতাড়িত করা হয়।
ওই ফুটবলারের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে থাকা একটি মুকুটের উলকিকে প্রশাসন ভুলভাবে গ্যাংয়ের সংকেত হিসেবে চিহ্নিত করেছে, প্রকৃতপক্ষে সেটি তাঁর প্রিয় দল রিয়াল মাদ্রিদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন।
মিলেট ও অন্য দুই বিচারকের সমন্বয়ে তিন সদস্যের প্যানেল বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। বিচারকদের মধ্যে একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মনোনীত, অন্যজন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং তৃতীয়জন সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের মনোনীত।
বিতাড়িতরা ত্রেন দে আরাগুয়ার সদস্য কিনা তা প্রমাণিত হওয়ার আগেই মার্কিন প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত অমানবিক বলছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোও। এই অভিবাসন আদেশ বেআইনি ছিল প্রমাণিত হলে নির্বাসিতদের ভেনেজুয়েলানদের যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনতে এরই মধ্যে আদালতে আবেদন করেছে আমেরিকান সিভিল লিবার্টি ইউনিয়ন।
১৭৯৮ সালের ‘এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট’ মূলত যুদ্ধের সময় বিদেশি শত্রুদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসনের আগে এটি মাত্র তিনবার প্রয়োগ করা হয়—সর্বশেষ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত জাপানি, জার্মান এবং ইতালীয় অভিবাসীদের আটক ও বহিষ্কার করা হয়েছিল।

রাশিয়া সফলভাবে ‘পসাইডন’ নামের একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই অস্ত্র বিশাল তেজস্ক্রিয় সমুদ্রঢেউ তৈরি করে উপকূলীয় অঞ্চলকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।
৩ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে ‘সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন’ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ইস্তাম্বুলে চলমান শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আজ বুধবার এই হুমকি দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, যা প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনাকে আরও চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
সাহিত্যে আফ্রিকার প্রথম নোবেলজয়ী নাইজেরিয়ার লেখক ওলে সোয়িঙ্কার মার্কিন ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে তিনি কার্যত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নাইজেরিয়ার লাগোসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৯১ বছর বয়সী এই লেখক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবে শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে এক অনন্য ভ্রমণযাত্রা। দেশটিতে মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম পাঁচ তারকা চলমান হোটেল হিসেবে ইতিহাস গড়বে ‘ড্রিম অব দ্য ডেজার্ট’ নামে বিলাসবহুল একটি ট্রেন। ইতালীয় প্রতিষ্ঠান আর্সেনালে গ্রুপ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়া সফলভাবে ‘পসাইডন’ নামের একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই অস্ত্র বিশাল তেজস্ক্রিয় সমুদ্রঢেউ তৈরি করে উপকূলীয় অঞ্চলকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন রাশিয়ার প্রতি তাঁর কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেছেন, ঠিক তখনই পুতিন প্রকাশ্যে এমন পারমাণবিক শক্তির প্রদর্শন করলেন।
প্রাচীন গ্রিক পুরাণের সমুদ্র দেবতা পসাইডনের নামে নামকরণ করা এই টর্পেডো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। তবে এটি মূলত একটি পারমাণবিক সক্ষমতাসম্পন্ন টর্পেডো এবং ড্রোনের সংমিশ্রণ।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) মস্কোর একটি হাসপাতালে ইউক্রেন যুদ্ধে আহত রুশ সৈন্যদের দেখতে গিয়েছিলেন পুতিন। এ সময় তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) পারমাণবিক শক্তিচালিত এই সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালানো হয়।
পুতিন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা এটিকে সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়েছি। পাশাপাশি এর পারমাণবিক শক্তি ইউনিটটিও চালু করেছি, যার ওপর নির্ভর করে এই ডিভাইস নির্দিষ্ট সময় ধরে কাজ করেছে।’ তিনি আরও বলেন, এটিকে বাধা দেওয়ার কোনো উপায় নেই।
সামরিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এই টর্পেডোর পাল্লা ১০ হাজার কিলোমিটার (৬ হাজার ২০০ মাইল) এবং এটি ঘণ্টায় প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। রুশ সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, ন্যাটোতে ‘ক্যানিয়ন’ নামে পরিচিত পসাইডন ২০ মিটার লম্বা, ১ দশমিক ৮ মিটার ব্যাস এবং এর ওজন ১০০ টন।
অনেকে বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বুরেভেস্তনিক ও পসাইডনের পরীক্ষা পশ্চিমাদের একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। পুতিনের কথায়, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমাদের চাপের কাছে রাশিয়া কখনোই মাথা নত করবে না।
এর আগে ২১ অক্টোবর বুরেভেস্তনিক নামে নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। রাশিয়ার বর্ণনা অনুযায়ী, ৯এম-৭৩০ বুরেভেস্তনিক (ন্যাটো নাম এসএসসি-এক্স-৯ স্কাইফল) হলো এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র, যাকে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের কোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থাই আটকাতে পারবে না।
২০১৮ সালে পসাইডন ও বুরেভেস্তনিকের প্রথম ঘোষণা দিয়েছিলেন পুতিন। তিনি একে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রতিরোধ হিসেবে বর্ণনা করেন। কারণ, ওয়াশিংটন ২০০১ সালে একতরফাভাবে ১৯৭২ সালের অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় এবং পরে ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণ শুরু করে।
এদিকে রাশিয়ার বুরেভেস্তনিক পরীক্ষার পর ট্রাম্প বলেছেন, পুতিনের উচিত পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না করে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা।

রাশিয়া সফলভাবে ‘পসাইডন’ নামের একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই অস্ত্র বিশাল তেজস্ক্রিয় সমুদ্রঢেউ তৈরি করে উপকূলীয় অঞ্চলকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন রাশিয়ার প্রতি তাঁর কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেছেন, ঠিক তখনই পুতিন প্রকাশ্যে এমন পারমাণবিক শক্তির প্রদর্শন করলেন।
প্রাচীন গ্রিক পুরাণের সমুদ্র দেবতা পসাইডনের নামে নামকরণ করা এই টর্পেডো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। তবে এটি মূলত একটি পারমাণবিক সক্ষমতাসম্পন্ন টর্পেডো এবং ড্রোনের সংমিশ্রণ।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) মস্কোর একটি হাসপাতালে ইউক্রেন যুদ্ধে আহত রুশ সৈন্যদের দেখতে গিয়েছিলেন পুতিন। এ সময় তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) পারমাণবিক শক্তিচালিত এই সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালানো হয়।
পুতিন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা এটিকে সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়েছি। পাশাপাশি এর পারমাণবিক শক্তি ইউনিটটিও চালু করেছি, যার ওপর নির্ভর করে এই ডিভাইস নির্দিষ্ট সময় ধরে কাজ করেছে।’ তিনি আরও বলেন, এটিকে বাধা দেওয়ার কোনো উপায় নেই।
সামরিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এই টর্পেডোর পাল্লা ১০ হাজার কিলোমিটার (৬ হাজার ২০০ মাইল) এবং এটি ঘণ্টায় প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। রুশ সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, ন্যাটোতে ‘ক্যানিয়ন’ নামে পরিচিত পসাইডন ২০ মিটার লম্বা, ১ দশমিক ৮ মিটার ব্যাস এবং এর ওজন ১০০ টন।
অনেকে বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বুরেভেস্তনিক ও পসাইডনের পরীক্ষা পশ্চিমাদের একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। পুতিনের কথায়, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমাদের চাপের কাছে রাশিয়া কখনোই মাথা নত করবে না।
এর আগে ২১ অক্টোবর বুরেভেস্তনিক নামে নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় রাশিয়া। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। রাশিয়ার বর্ণনা অনুযায়ী, ৯এম-৭৩০ বুরেভেস্তনিক (ন্যাটো নাম এসএসসি-এক্স-৯ স্কাইফল) হলো এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র, যাকে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের কোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থাই আটকাতে পারবে না।
২০১৮ সালে পসাইডন ও বুরেভেস্তনিকের প্রথম ঘোষণা দিয়েছিলেন পুতিন। তিনি একে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রতিরোধ হিসেবে বর্ণনা করেন। কারণ, ওয়াশিংটন ২০০১ সালে একতরফাভাবে ১৯৭২ সালের অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় এবং পরে ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণ শুরু করে।
এদিকে রাশিয়ার বুরেভেস্তনিক পরীক্ষার পর ট্রাম্প বলেছেন, পুতিনের উচিত পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না করে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা।

বিতাড়িতরা ত্রেন দে আরাগুয়ার সদস্য কিনা তা প্রমাণিত হওয়ার আগেই মার্কিন প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত অমানবিক বলছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোও। এই অভিবাসন আদেশ বেআইনি ছিল প্রমাণিত হলে নির্বাসিতদের ভেনেজুয়েলানদের যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনতে এরই মধ্যে আদালতে আবেদন করেছে আমেরিকান সিভিল লিবার্টি ইউনিয়ন।
২৫ মার্চ ২০২৫
আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে ‘সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন’ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ইস্তাম্বুলে চলমান শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আজ বুধবার এই হুমকি দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, যা প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনাকে আরও চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
সাহিত্যে আফ্রিকার প্রথম নোবেলজয়ী নাইজেরিয়ার লেখক ওলে সোয়িঙ্কার মার্কিন ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে তিনি কার্যত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নাইজেরিয়ার লাগোসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৯১ বছর বয়সী এই লেখক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবে শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে এক অনন্য ভ্রমণযাত্রা। দেশটিতে মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম পাঁচ তারকা চলমান হোটেল হিসেবে ইতিহাস গড়বে ‘ড্রিম অব দ্য ডেজার্ট’ নামে বিলাসবহুল একটি ট্রেন। ইতালীয় প্রতিষ্ঠান আর্সেনালে গ্রুপ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে ‘নিশ্চিহ্ন’ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ইস্তাম্বুলে চলমান শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আজ বুধবার এই হুমকি দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, যা প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনাকে আরও চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
এর আগে আজ বুধবার সকালে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী জানান, ইস্তাম্বুলে হওয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনা কোনো ‘কার্যকর সমাধান’ ছাড়াই শেষ হয়েছে। অনেকে বলছেন, চলতি মাসের প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর এটি আঞ্চলিক শান্তির জন্য একটি বড় ধাক্কা।
এদিকে, আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। এই আলোচনা-সংশ্লিষ্ট একটি কূটনৈতিক সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে মতবিরোধের জেরেই আলোচনা ভেস্তে যায়।
খাজা আসিফ এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, তালেবানি শাসন ‘সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন’ করতে আমাদের অতি সামান্য সামরিক শক্তিই যথেষ্ট। আমরা তাদের আবারও গুহায় ফিরে যেতে বাধ্য করব।
তবে পাকিস্তানের এই মন্তব্যের বিষয়ে তালেবান ও আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
২০২১ সালে তালেবান কাবুলের ক্ষমতা দখলের পর গত শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। উভয় দেশই দাবি করে, তারা একে অপরের সীমান্তচৌকি দখল ও ধ্বংস করেছে। তালেবান সরকারের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) কাবুল ও পাকটিকা প্রদেশে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে শনিবার পাল্টা আক্রমণ করে আফগানিস্তান। এতে অন্তত ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয় বলে দাবি করে কাবুল।
অন্যদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করে, তাদের ২৩ জন সেনা শহীদ হয়েছে। তবে পাল্টা হামলায় ২০০ জন তালেবান ও সহযোগী যোদ্ধা নিহত হয়। প্রায় চার দিনের সংঘর্ষের পর গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) ৪৮ ঘণ্টার একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় পাকিস্তান ও তালেবান সরকার। এরপর উভয় দেশ গত রোববার (১৯ অক্টোবর) দোহায় কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় সর্বসম্মতভাবে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় দুই দেশ।
পরবর্তী সময়ে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) দ্বিতীয় দফায় তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে যৌথ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বৈঠক শুরু করে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। কিন্তু তিন দিনের বৈঠক শেষেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশ। আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার জন্য উভয় দেশ একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়েছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার আজ বুধবার অভিযোগ করে বলেন, ‘যে কারণে আলোচনা শুরু হয়েছিল, আফগানিস্তান সেই মূল বিষয় থেকে ক্রমাগত সরে যাচ্ছিল।’ তিনি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বৈঠকে মূল বিষয় এড়িয়ে যাওয়া, সূক্ষ্ম কৌশল অবলম্বন করা এবং ‘দোষারোপের খেলায়’ লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে আলোচনা করলে কোনো কার্যকর সমাধান সম্ভব হয়।’
পাকিস্তানের একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলের বৈঠকে তালেবান প্রতিনিধিদল তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে অনিচ্ছুক ছিল। বিশেষত পাকিস্তানবিরোধী কর্মকাণ্ডে টিটিপিকে সমর্থন বন্ধে নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রশ্নে তালেবান প্রতিনিধিদল ছিল নিরুত্তর। আলোচনা সম্পর্কে অবগত আফগান একটি সূত্র জানায়, বিষয়টি নিয়ে ‘উত্তেজনাপূর্ণ বাক্য বিনিময়ের’ পরপরই আলোচনা শেষ হয়ে যায়।
সীমান্তে নিরাপত্তা ইস্যুই দুই দেশের সম্পর্কের মূল টানাপোড়েনের কারণ। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, আফগানিস্তান তাদের মাটিতে পাকিস্তান তালেবান (টিটিপি) সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে। কিন্তু কাবুল বারবার বিষয়টি অস্বীকার করে এসেছে।

আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে ‘নিশ্চিহ্ন’ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ইস্তাম্বুলে চলমান শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আজ বুধবার এই হুমকি দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, যা প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনাকে আরও চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
এর আগে আজ বুধবার সকালে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী জানান, ইস্তাম্বুলে হওয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনা কোনো ‘কার্যকর সমাধান’ ছাড়াই শেষ হয়েছে। অনেকে বলছেন, চলতি মাসের প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর এটি আঞ্চলিক শান্তির জন্য একটি বড় ধাক্কা।
এদিকে, আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। এই আলোচনা-সংশ্লিষ্ট একটি কূটনৈতিক সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে মতবিরোধের জেরেই আলোচনা ভেস্তে যায়।
খাজা আসিফ এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, তালেবানি শাসন ‘সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন’ করতে আমাদের অতি সামান্য সামরিক শক্তিই যথেষ্ট। আমরা তাদের আবারও গুহায় ফিরে যেতে বাধ্য করব।
তবে পাকিস্তানের এই মন্তব্যের বিষয়ে তালেবান ও আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
২০২১ সালে তালেবান কাবুলের ক্ষমতা দখলের পর গত শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। উভয় দেশই দাবি করে, তারা একে অপরের সীমান্তচৌকি দখল ও ধ্বংস করেছে। তালেবান সরকারের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) কাবুল ও পাকটিকা প্রদেশে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে শনিবার পাল্টা আক্রমণ করে আফগানিস্তান। এতে অন্তত ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয় বলে দাবি করে কাবুল।
অন্যদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করে, তাদের ২৩ জন সেনা শহীদ হয়েছে। তবে পাল্টা হামলায় ২০০ জন তালেবান ও সহযোগী যোদ্ধা নিহত হয়। প্রায় চার দিনের সংঘর্ষের পর গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) ৪৮ ঘণ্টার একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় পাকিস্তান ও তালেবান সরকার। এরপর উভয় দেশ গত রোববার (১৯ অক্টোবর) দোহায় কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় সর্বসম্মতভাবে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় দুই দেশ।
পরবর্তী সময়ে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) দ্বিতীয় দফায় তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে যৌথ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বৈঠক শুরু করে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। কিন্তু তিন দিনের বৈঠক শেষেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশ। আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার জন্য উভয় দেশ একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়েছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার আজ বুধবার অভিযোগ করে বলেন, ‘যে কারণে আলোচনা শুরু হয়েছিল, আফগানিস্তান সেই মূল বিষয় থেকে ক্রমাগত সরে যাচ্ছিল।’ তিনি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বৈঠকে মূল বিষয় এড়িয়ে যাওয়া, সূক্ষ্ম কৌশল অবলম্বন করা এবং ‘দোষারোপের খেলায়’ লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে আলোচনা করলে কোনো কার্যকর সমাধান সম্ভব হয়।’
পাকিস্তানের একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলের বৈঠকে তালেবান প্রতিনিধিদল তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে অনিচ্ছুক ছিল। বিশেষত পাকিস্তানবিরোধী কর্মকাণ্ডে টিটিপিকে সমর্থন বন্ধে নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রশ্নে তালেবান প্রতিনিধিদল ছিল নিরুত্তর। আলোচনা সম্পর্কে অবগত আফগান একটি সূত্র জানায়, বিষয়টি নিয়ে ‘উত্তেজনাপূর্ণ বাক্য বিনিময়ের’ পরপরই আলোচনা শেষ হয়ে যায়।
সীমান্তে নিরাপত্তা ইস্যুই দুই দেশের সম্পর্কের মূল টানাপোড়েনের কারণ। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, আফগানিস্তান তাদের মাটিতে পাকিস্তান তালেবান (টিটিপি) সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে। কিন্তু কাবুল বারবার বিষয়টি অস্বীকার করে এসেছে।

বিতাড়িতরা ত্রেন দে আরাগুয়ার সদস্য কিনা তা প্রমাণিত হওয়ার আগেই মার্কিন প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত অমানবিক বলছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোও। এই অভিবাসন আদেশ বেআইনি ছিল প্রমাণিত হলে নির্বাসিতদের ভেনেজুয়েলানদের যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনতে এরই মধ্যে আদালতে আবেদন করেছে আমেরিকান সিভিল লিবার্টি ইউনিয়ন।
২৫ মার্চ ২০২৫
রাশিয়া সফলভাবে ‘পসাইডন’ নামের একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই অস্ত্র বিশাল তেজস্ক্রিয় সমুদ্রঢেউ তৈরি করে উপকূলীয় অঞ্চলকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাহিত্যে আফ্রিকার প্রথম নোবেলজয়ী নাইজেরিয়ার লেখক ওলে সোয়িঙ্কার মার্কিন ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে তিনি কার্যত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নাইজেরিয়ার লাগোসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৯১ বছর বয়সী এই লেখক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবে শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে এক অনন্য ভ্রমণযাত্রা। দেশটিতে মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম পাঁচ তারকা চলমান হোটেল হিসেবে ইতিহাস গড়বে ‘ড্রিম অব দ্য ডেজার্ট’ নামে বিলাসবহুল একটি ট্রেন। ইতালীয় প্রতিষ্ঠান আর্সেনালে গ্রুপ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাহিত্যে আফ্রিকার প্রথম নোবেলজয়ী নাইজেরিয়ার লেখক ওলে সোয়িঙ্কার মার্কিন ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে তিনি কার্যত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নাইজেরিয়ার লাগোসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৯১ বছর বয়সী এই লেখক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সোয়িঙ্কা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নাইজেরিয়া কনস্যুলেট থেকে ২৩ অক্টোবর এক চিঠিতে তাঁকে ভিসা বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়। চিঠিটিকে তিনি হাস্যরসের সঙ্গে ‘একটি কৌতূহলপূর্ণ প্রেমপত্র’ বলে বর্ণনা করেছেন। কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভিসা প্রদানের পর ‘অতিরিক্ত কিছু তথ্য’ পাওয়ার পর তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোয়িঙ্কা দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির সমালোচক হিসেবে পরিচিত। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফেরার পর দেশটির অভিবাসন নীতিতে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর নাইজেরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের ভিসার মেয়াদ কমিয়ে দেয় এবং প্রবেশের শর্ত কঠোর করে।
সাহিত্যিক ও নাট্যকার ওলে সোয়িঙ্কা ১৯৮৬ সালে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি হার্ভার্ড, ইয়েলসহ যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর বিখ্যাত বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘ক্রনিকলস ফ্রম দ্য ল্যান্ড অব হ্যাপিয়েস্ট পিপল অন আর্থ’ এবং ‘দ্য ম্যান ডাইড’। দ্বিতীয় বইটি তিনি নাইজেরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় কারাবন্দী অবস্থায় লেখেন।
২০১৬ সালে ট্রাম্পের নির্বাচনের পর প্রতিবাদ হিসেবে সোয়িঙ্কা নিজের গ্রিন কার্ড ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি ট্রাম্পকে ‘সাদা চামড়ার ইদি আমিন’ বলে আখ্যা দেন, যা তাঁর ভিসা বাতিলের কারণ হতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।

সাহিত্যে আফ্রিকার প্রথম নোবেলজয়ী নাইজেরিয়ার লেখক ওলে সোয়িঙ্কার মার্কিন ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে তিনি কার্যত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নাইজেরিয়ার লাগোসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৯১ বছর বয়সী এই লেখক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সোয়িঙ্কা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নাইজেরিয়া কনস্যুলেট থেকে ২৩ অক্টোবর এক চিঠিতে তাঁকে ভিসা বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়। চিঠিটিকে তিনি হাস্যরসের সঙ্গে ‘একটি কৌতূহলপূর্ণ প্রেমপত্র’ বলে বর্ণনা করেছেন। কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভিসা প্রদানের পর ‘অতিরিক্ত কিছু তথ্য’ পাওয়ার পর তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোয়িঙ্কা দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির সমালোচক হিসেবে পরিচিত। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফেরার পর দেশটির অভিবাসন নীতিতে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর নাইজেরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের ভিসার মেয়াদ কমিয়ে দেয় এবং প্রবেশের শর্ত কঠোর করে।
সাহিত্যিক ও নাট্যকার ওলে সোয়িঙ্কা ১৯৮৬ সালে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি হার্ভার্ড, ইয়েলসহ যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর বিখ্যাত বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘ক্রনিকলস ফ্রম দ্য ল্যান্ড অব হ্যাপিয়েস্ট পিপল অন আর্থ’ এবং ‘দ্য ম্যান ডাইড’। দ্বিতীয় বইটি তিনি নাইজেরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় কারাবন্দী অবস্থায় লেখেন।
২০১৬ সালে ট্রাম্পের নির্বাচনের পর প্রতিবাদ হিসেবে সোয়িঙ্কা নিজের গ্রিন কার্ড ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি ট্রাম্পকে ‘সাদা চামড়ার ইদি আমিন’ বলে আখ্যা দেন, যা তাঁর ভিসা বাতিলের কারণ হতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।

বিতাড়িতরা ত্রেন দে আরাগুয়ার সদস্য কিনা তা প্রমাণিত হওয়ার আগেই মার্কিন প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত অমানবিক বলছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোও। এই অভিবাসন আদেশ বেআইনি ছিল প্রমাণিত হলে নির্বাসিতদের ভেনেজুয়েলানদের যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনতে এরই মধ্যে আদালতে আবেদন করেছে আমেরিকান সিভিল লিবার্টি ইউনিয়ন।
২৫ মার্চ ২০২৫
রাশিয়া সফলভাবে ‘পসাইডন’ নামের একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই অস্ত্র বিশাল তেজস্ক্রিয় সমুদ্রঢেউ তৈরি করে উপকূলীয় অঞ্চলকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।
৩ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে ‘সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন’ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ইস্তাম্বুলে চলমান শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আজ বুধবার এই হুমকি দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, যা প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনাকে আরও চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবে শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে এক অনন্য ভ্রমণযাত্রা। দেশটিতে মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম পাঁচ তারকা চলমান হোটেল হিসেবে ইতিহাস গড়বে ‘ড্রিম অব দ্য ডেজার্ট’ নামে বিলাসবহুল একটি ট্রেন। ইতালীয় প্রতিষ্ঠান আর্সেনালে গ্রুপ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সৌদি আরবে শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে এক অনন্য ভ্রমণযাত্রা। দেশটিতে মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম পাঁচ তারকা চলমান হোটেল হিসেবে ইতিহাস গড়বে ‘ড্রিম অব দ্য ডেজার্ট’ নামে বিলাসবহুল একটি ট্রেন। ইতালীয় প্রতিষ্ঠান আর্সেনালে গ্রুপ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত ‘ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ’ সম্মেলনে ট্রেনটির নকশা ও পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) আমিরাত-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ন্যাশনাল’ জানিয়েছে, ‘ডিম অব দ্য ডেজার্ট’ ট্রেনে থাকবে ৩৩টি ব্যক্তিগত স্যুইট। এর মধ্যে ৩১টি সাধারণ প্রাইভেট স্যুইট এবং দুটি প্রেসিডেনশিয়াল স্যুইট। সর্বোচ্চ ৬৬ জন অতিথি একসঙ্গে এই বিলাসবহুল ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। যাত্রীদের জন্য থাকবে দুটি রেস্তোরাঁ বগি এবং একটি ঐতিহ্যবাহী ‘মজলিশ লাউঞ্জ’, যেখানে মরুভূমির অনুপ্রেরণায় কাঠের খোদাই, সোনালি অলংকরণ এবং উষ্ণ রঙের মিশ্রণে সৌদি ঐতিহ্যের আভিজাত্য ফুটে উঠবে।
রেস্তোরাঁর বগিগুলোতে পরিবেশন করা হবে স্থানীয় সৌদি খাবার, সঙ্গে আন্তর্জাতিক মেনু ও ইতালীয় ফিউশন কুইজিন। বিশ্বখ্যাত শেফরা এসব খাবার তৈরি করবেন।
আর্সেনালে গ্রুপের প্রধান নির্বাহী পাওলো বারলেত্তা বলেছেন, ‘ড্রিম অব দ্য ডেজার্ট একটি চলমান শিল্পকর্ম, যা ইতালীয় কারিগরির সূক্ষ্মতা ও সৌদি দর্শনের সমন্বয়ে গঠিত। এটি অতুলনীয় বিলাসবহুল ভ্রমণের এক নতুন সংজ্ঞা তৈরি করবে।’

এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে সৌদি আরব রেলওয়ে, পরিবহন ও রসদ সেবা মন্ত্রণালয়, পরিবহন কর্তৃপক্ষ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং সৌদি টুরিজম কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায়।
২০২৬ সালের শেষ দিকে ট্রেনটির প্রথমবারের মতো রিয়াদ থেকে যাত্রা শুরু করবে। পাড়ি দেবে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ। পথে এটি সৌদি আরবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় কিছু প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থানে থামবে। এসব স্থানের মধ্যে রয়েছে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত স্থানগুলো। এ ছাড়া আরও একটি গোপন কিন্তু অসাধারণ গন্তব্যের কথা বলা হলেও তা প্রকাশ করা হয়নি। তবে শিগগিরই সেই স্থানের নাম ঘোষণা করা হবে।
যাত্রীরা এক রাত বা দুই রাতের ভ্রমণ প্যাকেজ বেছে নিতে পারবেন এবং ট্রেনের ভেতরে ও বাইরে নানা অভিজ্ঞতা ও সেবা গ্রহণ করবেন।
ট্রেনটির অভ্যন্তরীণ নকশা তৈরি করেছেন লেবাননে জন্ম নেওয়া স্থপতি ও ডিজাইনার আলিন আসমার দ’আম্মান। তিনি ‘কালচার ইন আর্কিটেকচার স্টুডিও’ এর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর নকশায় খোদাই করা কাঠ, বস্ত্রের ঐতিহ্যবাহী বুনন এবং সূক্ষ্ম টেক্সচার দিয়ে সাজানো ওই ট্রেনে সৌদি ও ইতালীয় ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ ঘটেছে।

সৌদি আরবে শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে এক অনন্য ভ্রমণযাত্রা। দেশটিতে মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম পাঁচ তারকা চলমান হোটেল হিসেবে ইতিহাস গড়বে ‘ড্রিম অব দ্য ডেজার্ট’ নামে বিলাসবহুল একটি ট্রেন। ইতালীয় প্রতিষ্ঠান আর্সেনালে গ্রুপ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত ‘ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ’ সম্মেলনে ট্রেনটির নকশা ও পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) আমিরাত-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ন্যাশনাল’ জানিয়েছে, ‘ডিম অব দ্য ডেজার্ট’ ট্রেনে থাকবে ৩৩টি ব্যক্তিগত স্যুইট। এর মধ্যে ৩১টি সাধারণ প্রাইভেট স্যুইট এবং দুটি প্রেসিডেনশিয়াল স্যুইট। সর্বোচ্চ ৬৬ জন অতিথি একসঙ্গে এই বিলাসবহুল ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। যাত্রীদের জন্য থাকবে দুটি রেস্তোরাঁ বগি এবং একটি ঐতিহ্যবাহী ‘মজলিশ লাউঞ্জ’, যেখানে মরুভূমির অনুপ্রেরণায় কাঠের খোদাই, সোনালি অলংকরণ এবং উষ্ণ রঙের মিশ্রণে সৌদি ঐতিহ্যের আভিজাত্য ফুটে উঠবে।
রেস্তোরাঁর বগিগুলোতে পরিবেশন করা হবে স্থানীয় সৌদি খাবার, সঙ্গে আন্তর্জাতিক মেনু ও ইতালীয় ফিউশন কুইজিন। বিশ্বখ্যাত শেফরা এসব খাবার তৈরি করবেন।
আর্সেনালে গ্রুপের প্রধান নির্বাহী পাওলো বারলেত্তা বলেছেন, ‘ড্রিম অব দ্য ডেজার্ট একটি চলমান শিল্পকর্ম, যা ইতালীয় কারিগরির সূক্ষ্মতা ও সৌদি দর্শনের সমন্বয়ে গঠিত। এটি অতুলনীয় বিলাসবহুল ভ্রমণের এক নতুন সংজ্ঞা তৈরি করবে।’

এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে সৌদি আরব রেলওয়ে, পরিবহন ও রসদ সেবা মন্ত্রণালয়, পরিবহন কর্তৃপক্ষ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং সৌদি টুরিজম কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায়।
২০২৬ সালের শেষ দিকে ট্রেনটির প্রথমবারের মতো রিয়াদ থেকে যাত্রা শুরু করবে। পাড়ি দেবে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ। পথে এটি সৌদি আরবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় কিছু প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থানে থামবে। এসব স্থানের মধ্যে রয়েছে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত স্থানগুলো। এ ছাড়া আরও একটি গোপন কিন্তু অসাধারণ গন্তব্যের কথা বলা হলেও তা প্রকাশ করা হয়নি। তবে শিগগিরই সেই স্থানের নাম ঘোষণা করা হবে।
যাত্রীরা এক রাত বা দুই রাতের ভ্রমণ প্যাকেজ বেছে নিতে পারবেন এবং ট্রেনের ভেতরে ও বাইরে নানা অভিজ্ঞতা ও সেবা গ্রহণ করবেন।
ট্রেনটির অভ্যন্তরীণ নকশা তৈরি করেছেন লেবাননে জন্ম নেওয়া স্থপতি ও ডিজাইনার আলিন আসমার দ’আম্মান। তিনি ‘কালচার ইন আর্কিটেকচার স্টুডিও’ এর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর নকশায় খোদাই করা কাঠ, বস্ত্রের ঐতিহ্যবাহী বুনন এবং সূক্ষ্ম টেক্সচার দিয়ে সাজানো ওই ট্রেনে সৌদি ও ইতালীয় ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ ঘটেছে।

বিতাড়িতরা ত্রেন দে আরাগুয়ার সদস্য কিনা তা প্রমাণিত হওয়ার আগেই মার্কিন প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত অমানবিক বলছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোও। এই অভিবাসন আদেশ বেআইনি ছিল প্রমাণিত হলে নির্বাসিতদের ভেনেজুয়েলানদের যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনতে এরই মধ্যে আদালতে আবেদন করেছে আমেরিকান সিভিল লিবার্টি ইউনিয়ন।
২৫ মার্চ ২০২৫
রাশিয়া সফলভাবে ‘পসাইডন’ নামের একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই অস্ত্র বিশাল তেজস্ক্রিয় সমুদ্রঢেউ তৈরি করে উপকূলীয় অঞ্চলকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।
৩ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে ‘সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন’ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ইস্তাম্বুলে চলমান শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আজ বুধবার এই হুমকি দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, যা প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনাকে আরও চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
সাহিত্যে আফ্রিকার প্রথম নোবেলজয়ী নাইজেরিয়ার লেখক ওলে সোয়িঙ্কার মার্কিন ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে তিনি কার্যত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নাইজেরিয়ার লাগোসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৯১ বছর বয়সী এই লেখক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
৬ ঘণ্টা আগে