অনলাইন ডেস্ক
পারমাণবিক প্রকল্পে অর্থায়নে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বিশ্বব্যাংককে নতুন করে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক কূটনীতিতে চীন ও রাশিয়াকে ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ, এই দুটি দেশ এরই মধ্যে আফ্রিকা ও এশিয়ার বেশ কিছু দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে। যেখানে পিছিয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাংকের সবচেয়ে বড় অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের হাউস ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস কমিটির চেয়ারম্যান ফ্রেঞ্চ হিল ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানান, নতুন মার্কিন প্রশাসন পারমাণবিক প্রকল্পে অর্থায়নের পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংক উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য পারমাণবিক শক্তিকে নতুনভাবে বিবেচনা করছে।’
বিশ্বব্যাংক ১৯৫০-এর দশক থেকে পারমাণবিক প্রকল্পে কোনো অর্থায়ন করেনি। সর্বশেষ ১৯৫৯ সালে পারমাণবিক প্রকল্পে প্রথম এবং শেষবারের মতো ঋণ অনুমোদন করেছিল বিশ্বব্যাংক; যা ইতালির প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করেছিল। তবে নতুন করে নীতিমালা পর্যালোচনার পর কয়েক মাসের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ ও আগ্রহের কারণ হলো, আফ্রিকা ও এশিয়ায় নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে বেইজিং ও মস্কো এগিয়ে যাচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলো গত এক দশকে জ্বালানি প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে অর্থায়নে বিশ্বব্যাংককে ছাড়িয়ে গেছে।
বর্তমানে বিশ্বের নির্মাণাধীন ৬০টি নতুন পারমাণবিক প্রকল্পের ৪০০টি চুল্লির বেশির ভাগই চীনে এবং অন্যান্য এশীয় দেশে অবস্থিত।
অন্যদিকে, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক প্রতিষ্ঠান রোসাটম এরই মধ্যে ভিয়েতনাম, মিসর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়ে চুক্তি করেছে।
ফ্রেঞ্চ হিল বলেন, ‘ইউরোপের অনেক দেশ পারমাণবিক শক্তির প্রসারে আগ্রহী। কিন্তু বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে তারা প্রয়োজনীয় সমর্থন পাচ্ছে না।’
মূলত, এ কারণেই বিশ্বব্যাংকের পারমাণবিক নীতি নিয়ে মার্কিন প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী আগস্টের মধ্যে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
ফ্রেঞ্চ হিল গত মাসে বিশ্বব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে মার্কিন লবিংয়ের জন্য একটি বিল উত্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না আমেরিকান পারমাণবিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বব্যাংকের পুরোনো নীতির কারণে পিছিয়ে পড়ুক।’
বিশ্বব্যাংকের নতুন শক্তি নীতিমালার পর্যালোচনা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শেষ হবে। এতে পারমাণবিক শক্তিকে বিশ্বাসযোগ্য ও টেকসই জ্বালানি উৎস হিসেবে বিবেচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিশ্বব্যাংক পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে অর্থায়নের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে এটি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য কৌশলগত সুবিধা এনে দেবে। এতে আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোর জন্য নতুন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে। তবে জার্মানি ও কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ এই নীতির বিরোধিতা করছে, যা বিশ্বব্যাংকের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে।
পারমাণবিক প্রকল্পে অর্থায়নে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বিশ্বব্যাংককে নতুন করে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক কূটনীতিতে চীন ও রাশিয়াকে ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ, এই দুটি দেশ এরই মধ্যে আফ্রিকা ও এশিয়ার বেশ কিছু দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে। যেখানে পিছিয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাংকের সবচেয়ে বড় অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের হাউস ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস কমিটির চেয়ারম্যান ফ্রেঞ্চ হিল ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানান, নতুন মার্কিন প্রশাসন পারমাণবিক প্রকল্পে অর্থায়নের পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংক উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য পারমাণবিক শক্তিকে নতুনভাবে বিবেচনা করছে।’
বিশ্বব্যাংক ১৯৫০-এর দশক থেকে পারমাণবিক প্রকল্পে কোনো অর্থায়ন করেনি। সর্বশেষ ১৯৫৯ সালে পারমাণবিক প্রকল্পে প্রথম এবং শেষবারের মতো ঋণ অনুমোদন করেছিল বিশ্বব্যাংক; যা ইতালির প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করেছিল। তবে নতুন করে নীতিমালা পর্যালোচনার পর কয়েক মাসের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ ও আগ্রহের কারণ হলো, আফ্রিকা ও এশিয়ায় নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে বেইজিং ও মস্কো এগিয়ে যাচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলো গত এক দশকে জ্বালানি প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে অর্থায়নে বিশ্বব্যাংককে ছাড়িয়ে গেছে।
বর্তমানে বিশ্বের নির্মাণাধীন ৬০টি নতুন পারমাণবিক প্রকল্পের ৪০০টি চুল্লির বেশির ভাগই চীনে এবং অন্যান্য এশীয় দেশে অবস্থিত।
অন্যদিকে, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক প্রতিষ্ঠান রোসাটম এরই মধ্যে ভিয়েতনাম, মিসর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়ে চুক্তি করেছে।
ফ্রেঞ্চ হিল বলেন, ‘ইউরোপের অনেক দেশ পারমাণবিক শক্তির প্রসারে আগ্রহী। কিন্তু বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে তারা প্রয়োজনীয় সমর্থন পাচ্ছে না।’
মূলত, এ কারণেই বিশ্বব্যাংকের পারমাণবিক নীতি নিয়ে মার্কিন প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী আগস্টের মধ্যে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
ফ্রেঞ্চ হিল গত মাসে বিশ্বব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে মার্কিন লবিংয়ের জন্য একটি বিল উত্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না আমেরিকান পারমাণবিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বব্যাংকের পুরোনো নীতির কারণে পিছিয়ে পড়ুক।’
বিশ্বব্যাংকের নতুন শক্তি নীতিমালার পর্যালোচনা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শেষ হবে। এতে পারমাণবিক শক্তিকে বিশ্বাসযোগ্য ও টেকসই জ্বালানি উৎস হিসেবে বিবেচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিশ্বব্যাংক পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে অর্থায়নের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে এটি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য কৌশলগত সুবিধা এনে দেবে। এতে আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোর জন্য নতুন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে। তবে জার্মানি ও কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ এই নীতির বিরোধিতা করছে, যা বিশ্বব্যাংকের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে।
দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যয়সংকোচনের নীতি নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর অংশ হিসেবে তাঁর প্রশাসনে সরকারি দক্ষতা বিভাগ নামে নতুন একটি বিভাগ খোলা হয়েছে। আর এর দায়িত্ব পেয়েছেন...
১ ঘণ্টা আগেজার্মানির চ্যান্সেলর হতে যাওয়া ফ্রেডরিখ মের্ৎস জানিয়েছেন, তিনি ইউরোপকে পরমাণু শক্তিধর করতে চান। এজন্য তিনি ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র ভাগাভাগি নিয়েও আলোচনা করতে চান বলে জানিয়েছেন। তবে এটি ইউরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক সুরক্ষার বিকল্প হিসেবে নয়, বরং সম্পূরক...
৪ ঘণ্টা আগেভারতের অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি করা উচিত বলে একটি ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁর এ ঘোষণার পরই টিডিপির বিজয়নগরমের সাংসদ কালীসেট্টি আপ্পালা নাইডু তৃতীয় সন্তান জন্ম দিলে নারীদের ৫০ হাজার রুপি নগদ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেসিদ্ধান্তটি এমন এক সময় নেওয়া হলো যখন গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তির জন্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। হামাস যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা দ্রুত শুরুর আহ্বান জানালেও ইসরায়েল এর বিরোধিতা করছে।
৫ ঘণ্টা আগে