আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের এক বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস হওয়াকে। ব্যাপক বিতর্কের শেষে বিলটি পাস হয়েছে। তাও আবার মাত্র চার ভোটের ব্যবধানে। আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ট্রাম্প এই বিলটিকে আইনে পরিণত করবেন বলে গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।
‘বিগ বিউটিফুল বিল’
গতকাল বৃহস্পতিবার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ২১৮-২১৪ ভোটের ব্যবধানে পাস হয় বিলটি। এর আগে গত মঙ্গলবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে বিলটি কোনো রকমে উতরে যায়। সিনেটে মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে পাস হয় বিলটি। পক্ষে ভোট পড়ে ৫১টি আর বিপক্ষে ৫০টি। বিলটির পক্ষে ৫১ তম ভোটটি দেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স।
এই বিলে একই সঙ্গে কর হ্রাস, বড় অঙ্কের ব্যয় হ্রাস, প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো এবং অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা আনা হয়েছে। যদিও ডেমোক্র্যাটরা এই বিলের পুরোপুরি বিরোধিতা করেছে তবে রিপাবলিকানরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত একত্র থেকে এটি পাস করিয়ে নেয়।
কী আছে বিলটিতে?
১. কর হ্রাস
এই বিলের মাধ্যমে ধনী ব্যক্তি ও বড় কর্পোরেটদের জন্য আয়কর কমানো হয়েছে। ২০১৭ সালে ট্রাম্পের আমলে যে কর ছাড় আইন পাস হয়েছিল, এটি সে আইনের স্থায়ী রূপ দিচ্ছে। টিপস, ওভারটাইম ও ব্যবসা খাতের গবেষণা ও উন্নয়নের (আরঅ্যান্ডডি)-এ ২০২৮ সাল পর্যন্ত কিছু অস্থায়ী কর ছাড় আনা হয়েছে। স্টেট ও লোকাল ট্যাক্স ডিডাকশনের সীমা অস্থায়ীভাবে ৪০ হাজার ডলার করা হয়েছে। এতে উচ্চ করের রাজ্যগুলোতে বসবাসকারী ধনীরা উপকৃত হবে। চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিট আরও ২০০ ডলার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
২. অভিবাসন ও সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ছে কঠোরতা
প্রস্তাবিত বিলটিতে সীমান্ত অবকাঠামো সম্প্রসারণের জন্য ৪৬.৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই বিলের আওতায় ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে ১ লাখ অতিরিক্ত শয্যা যুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি আরও ১০ হাজার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) অফিসার নিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়াও সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টাকারী বা আশ্রয় সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের জন্য নতুন জরিমানা ও শাস্তির বিধান করা হয়েছে।
৩. কমছে ক্লিন এনার্জি ও বৈদ্যুতিক গাড়ির বরাদ্দ
বাইডেন প্রশাসনের ‘ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট’ থেকে ক্লিন এনার্জি প্রণোদনা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ ছাড়া, বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) জন্য ৭ হাজার ৫০০ ডলারের কর ছাড় ২০২৫ সালের পর ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করা হবে। ২০২৮ সালের আগে নির্মিত না হলে নতুন উইন্ড ও সোলার প্রকল্পে কোনো কর ছাড় দেওয়া হবে না। এর বদলে, কয়লা উৎপাদনে নতুন কর ছাড় চালু করা হয়েছে।
৪. সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে করাঘাত
মেডিকেইড ও এসএনএপি (ফুড স্ট্যাম্প) কর্মসূচির অর্থায়নে বড় ধরনের ছাঁটাই করা হয়েছে। ৬৫ বছরের নিচের কর্মক্ষম, কিন্তু সন্তানহীন ব্যক্তিদের জন্য কঠোর কর্মসংস্থান শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য বীমা হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গ্রাম এলাকার হাসপাতালগুলোর সহায়তায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের একটি ফান্ড তৈরি করা হয়েছে। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এই তহবিল সামগ্রিক ক্ষতির সিকিভাগও নয়।
৫. নারীস্বাস্থ্য
পরিকল্পিত সন্তান ধারণের সহায়তায় যে ‘প্ল্যানড প্যারেন্টহুড ফেডারেল তহবিল’ ছিল তা এক বছরের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ এই কার্যক্রমের মাধ্যমে গর্ভপাতকে অনুপ্রাণিত করা হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের আগে থেকেই এই ধারণা নিয়ে রেখেছিল।
৬. প্রতিরক্ষা, মহাকাশ ও অন্যান্য খাতে ব্যয়
এই বিলে প্রতিরক্ষা খাতে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, যার মধ্যে ‘গোল্ডেন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য বরাদ্দ ২৫ বিলিয়ন ডলার। আর মহাকাশ গবেষণায় ১০ বিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) কার্যকারিতা শেষ হলে একে ৩২৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এছাড়াও, বিলটিতে নবজাতকদের জন্য ‘ট্রাম্প অ্যাকাউন্টস’ নামে একটি নতুন ১ হাজার ডলারের সঞ্চয় কর্মসূচি চালু করার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এনডোউমেন্টের (স্থায়ী তহবিল) ওপর নতুন করে কর দিতে হবে।
৭. ঋণসীমা বৃদ্ধি
এই বাড়তি ব্যয়ের খরচ মেটাতে জাতীয় ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৫ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এটি আর্থিকভাবে রক্ষণশীল রাজনীতিবিদদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে, কারণ এতে জাতীয় ঋণের বোঝা আরও বেড়ে যাবে।
ট্রাম্পের এই বিগ বিউটিফুল বিল থেকে সামগ্রিকভাবে লাভবান হবে উচ্চ আয়ের ব্যক্তিরা ও বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। আর অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে থাকা রাজনৈতিক গোষ্ঠীর মনরক্ষা করবে এই বিল। অন্যদিকে নিম্ন আয়ের পরিবার, সামাজিক নিরাপত্তা থেকে পাওয়া প্রণোদনার ওপর নির্ভরশীল নাগরিকেরা পড়বেন বেকায়দায়। আর অভিবাসন প্রার্থীরা ও সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীরা এরইমধ্যে ট্রাম্পের কঠোর সীমান্ত নীতির মুখোমুখি হয়ে পড়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের এক বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস হওয়াকে। ব্যাপক বিতর্কের শেষে বিলটি পাস হয়েছে। তাও আবার মাত্র চার ভোটের ব্যবধানে। আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ট্রাম্প এই বিলটিকে আইনে পরিণত করবেন বলে গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।
‘বিগ বিউটিফুল বিল’
গতকাল বৃহস্পতিবার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ২১৮-২১৪ ভোটের ব্যবধানে পাস হয় বিলটি। এর আগে গত মঙ্গলবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে বিলটি কোনো রকমে উতরে যায়। সিনেটে মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে পাস হয় বিলটি। পক্ষে ভোট পড়ে ৫১টি আর বিপক্ষে ৫০টি। বিলটির পক্ষে ৫১ তম ভোটটি দেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স।
এই বিলে একই সঙ্গে কর হ্রাস, বড় অঙ্কের ব্যয় হ্রাস, প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো এবং অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা আনা হয়েছে। যদিও ডেমোক্র্যাটরা এই বিলের পুরোপুরি বিরোধিতা করেছে তবে রিপাবলিকানরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত একত্র থেকে এটি পাস করিয়ে নেয়।
কী আছে বিলটিতে?
১. কর হ্রাস
এই বিলের মাধ্যমে ধনী ব্যক্তি ও বড় কর্পোরেটদের জন্য আয়কর কমানো হয়েছে। ২০১৭ সালে ট্রাম্পের আমলে যে কর ছাড় আইন পাস হয়েছিল, এটি সে আইনের স্থায়ী রূপ দিচ্ছে। টিপস, ওভারটাইম ও ব্যবসা খাতের গবেষণা ও উন্নয়নের (আরঅ্যান্ডডি)-এ ২০২৮ সাল পর্যন্ত কিছু অস্থায়ী কর ছাড় আনা হয়েছে। স্টেট ও লোকাল ট্যাক্স ডিডাকশনের সীমা অস্থায়ীভাবে ৪০ হাজার ডলার করা হয়েছে। এতে উচ্চ করের রাজ্যগুলোতে বসবাসকারী ধনীরা উপকৃত হবে। চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিট আরও ২০০ ডলার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
২. অভিবাসন ও সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ছে কঠোরতা
প্রস্তাবিত বিলটিতে সীমান্ত অবকাঠামো সম্প্রসারণের জন্য ৪৬.৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই বিলের আওতায় ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে ১ লাখ অতিরিক্ত শয্যা যুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি আরও ১০ হাজার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) অফিসার নিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়াও সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টাকারী বা আশ্রয় সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের জন্য নতুন জরিমানা ও শাস্তির বিধান করা হয়েছে।
৩. কমছে ক্লিন এনার্জি ও বৈদ্যুতিক গাড়ির বরাদ্দ
বাইডেন প্রশাসনের ‘ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট’ থেকে ক্লিন এনার্জি প্রণোদনা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ ছাড়া, বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) জন্য ৭ হাজার ৫০০ ডলারের কর ছাড় ২০২৫ সালের পর ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করা হবে। ২০২৮ সালের আগে নির্মিত না হলে নতুন উইন্ড ও সোলার প্রকল্পে কোনো কর ছাড় দেওয়া হবে না। এর বদলে, কয়লা উৎপাদনে নতুন কর ছাড় চালু করা হয়েছে।
৪. সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে করাঘাত
মেডিকেইড ও এসএনএপি (ফুড স্ট্যাম্প) কর্মসূচির অর্থায়নে বড় ধরনের ছাঁটাই করা হয়েছে। ৬৫ বছরের নিচের কর্মক্ষম, কিন্তু সন্তানহীন ব্যক্তিদের জন্য কঠোর কর্মসংস্থান শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য বীমা হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গ্রাম এলাকার হাসপাতালগুলোর সহায়তায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের একটি ফান্ড তৈরি করা হয়েছে। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এই তহবিল সামগ্রিক ক্ষতির সিকিভাগও নয়।
৫. নারীস্বাস্থ্য
পরিকল্পিত সন্তান ধারণের সহায়তায় যে ‘প্ল্যানড প্যারেন্টহুড ফেডারেল তহবিল’ ছিল তা এক বছরের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ এই কার্যক্রমের মাধ্যমে গর্ভপাতকে অনুপ্রাণিত করা হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের আগে থেকেই এই ধারণা নিয়ে রেখেছিল।
৬. প্রতিরক্ষা, মহাকাশ ও অন্যান্য খাতে ব্যয়
এই বিলে প্রতিরক্ষা খাতে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, যার মধ্যে ‘গোল্ডেন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য বরাদ্দ ২৫ বিলিয়ন ডলার। আর মহাকাশ গবেষণায় ১০ বিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) কার্যকারিতা শেষ হলে একে ৩২৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এছাড়াও, বিলটিতে নবজাতকদের জন্য ‘ট্রাম্প অ্যাকাউন্টস’ নামে একটি নতুন ১ হাজার ডলারের সঞ্চয় কর্মসূচি চালু করার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এনডোউমেন্টের (স্থায়ী তহবিল) ওপর নতুন করে কর দিতে হবে।
৭. ঋণসীমা বৃদ্ধি
এই বাড়তি ব্যয়ের খরচ মেটাতে জাতীয় ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৫ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এটি আর্থিকভাবে রক্ষণশীল রাজনীতিবিদদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে, কারণ এতে জাতীয় ঋণের বোঝা আরও বেড়ে যাবে।
ট্রাম্পের এই বিগ বিউটিফুল বিল থেকে সামগ্রিকভাবে লাভবান হবে উচ্চ আয়ের ব্যক্তিরা ও বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। আর অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে থাকা রাজনৈতিক গোষ্ঠীর মনরক্ষা করবে এই বিল। অন্যদিকে নিম্ন আয়ের পরিবার, সামাজিক নিরাপত্তা থেকে পাওয়া প্রণোদনার ওপর নির্ভরশীল নাগরিকেরা পড়বেন বেকায়দায়। আর অভিবাসন প্রার্থীরা ও সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীরা এরইমধ্যে ট্রাম্পের কঠোর সীমান্ত নীতির মুখোমুখি হয়ে পড়েছেন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের এক বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস হওয়াকে। ব্যাপক বিতর্কের শেষে বিলটি পাস হয়েছে। তাও আবার মাত্র চার ভোটের ব্যবধানে। আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ট্রাম্প এই বিলটিকে আইনে পরিণত করবেন বলে গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।
‘বিগ বিউটিফুল বিল’
গতকাল বৃহস্পতিবার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ২১৮-২১৪ ভোটের ব্যবধানে পাস হয় বিলটি। এর আগে গত মঙ্গলবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে বিলটি কোনো রকমে উতরে যায়। সিনেটে মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে পাস হয় বিলটি। পক্ষে ভোট পড়ে ৫১টি আর বিপক্ষে ৫০টি। বিলটির পক্ষে ৫১ তম ভোটটি দেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স।
এই বিলে একই সঙ্গে কর হ্রাস, বড় অঙ্কের ব্যয় হ্রাস, প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো এবং অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা আনা হয়েছে। যদিও ডেমোক্র্যাটরা এই বিলের পুরোপুরি বিরোধিতা করেছে তবে রিপাবলিকানরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত একত্র থেকে এটি পাস করিয়ে নেয়।
কী আছে বিলটিতে?
১. কর হ্রাস
এই বিলের মাধ্যমে ধনী ব্যক্তি ও বড় কর্পোরেটদের জন্য আয়কর কমানো হয়েছে। ২০১৭ সালে ট্রাম্পের আমলে যে কর ছাড় আইন পাস হয়েছিল, এটি সে আইনের স্থায়ী রূপ দিচ্ছে। টিপস, ওভারটাইম ও ব্যবসা খাতের গবেষণা ও উন্নয়নের (আরঅ্যান্ডডি)-এ ২০২৮ সাল পর্যন্ত কিছু অস্থায়ী কর ছাড় আনা হয়েছে। স্টেট ও লোকাল ট্যাক্স ডিডাকশনের সীমা অস্থায়ীভাবে ৪০ হাজার ডলার করা হয়েছে। এতে উচ্চ করের রাজ্যগুলোতে বসবাসকারী ধনীরা উপকৃত হবে। চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিট আরও ২০০ ডলার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
২. অভিবাসন ও সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ছে কঠোরতা
প্রস্তাবিত বিলটিতে সীমান্ত অবকাঠামো সম্প্রসারণের জন্য ৪৬.৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই বিলের আওতায় ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে ১ লাখ অতিরিক্ত শয্যা যুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি আরও ১০ হাজার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) অফিসার নিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়াও সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টাকারী বা আশ্রয় সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের জন্য নতুন জরিমানা ও শাস্তির বিধান করা হয়েছে।
৩. কমছে ক্লিন এনার্জি ও বৈদ্যুতিক গাড়ির বরাদ্দ
বাইডেন প্রশাসনের ‘ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট’ থেকে ক্লিন এনার্জি প্রণোদনা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ ছাড়া, বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) জন্য ৭ হাজার ৫০০ ডলারের কর ছাড় ২০২৫ সালের পর ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করা হবে। ২০২৮ সালের আগে নির্মিত না হলে নতুন উইন্ড ও সোলার প্রকল্পে কোনো কর ছাড় দেওয়া হবে না। এর বদলে, কয়লা উৎপাদনে নতুন কর ছাড় চালু করা হয়েছে।
৪. সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে করাঘাত
মেডিকেইড ও এসএনএপি (ফুড স্ট্যাম্প) কর্মসূচির অর্থায়নে বড় ধরনের ছাঁটাই করা হয়েছে। ৬৫ বছরের নিচের কর্মক্ষম, কিন্তু সন্তানহীন ব্যক্তিদের জন্য কঠোর কর্মসংস্থান শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য বীমা হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গ্রাম এলাকার হাসপাতালগুলোর সহায়তায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের একটি ফান্ড তৈরি করা হয়েছে। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এই তহবিল সামগ্রিক ক্ষতির সিকিভাগও নয়।
৫. নারীস্বাস্থ্য
পরিকল্পিত সন্তান ধারণের সহায়তায় যে ‘প্ল্যানড প্যারেন্টহুড ফেডারেল তহবিল’ ছিল তা এক বছরের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ এই কার্যক্রমের মাধ্যমে গর্ভপাতকে অনুপ্রাণিত করা হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের আগে থেকেই এই ধারণা নিয়ে রেখেছিল।
৬. প্রতিরক্ষা, মহাকাশ ও অন্যান্য খাতে ব্যয়
এই বিলে প্রতিরক্ষা খাতে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, যার মধ্যে ‘গোল্ডেন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য বরাদ্দ ২৫ বিলিয়ন ডলার। আর মহাকাশ গবেষণায় ১০ বিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) কার্যকারিতা শেষ হলে একে ৩২৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এছাড়াও, বিলটিতে নবজাতকদের জন্য ‘ট্রাম্প অ্যাকাউন্টস’ নামে একটি নতুন ১ হাজার ডলারের সঞ্চয় কর্মসূচি চালু করার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এনডোউমেন্টের (স্থায়ী তহবিল) ওপর নতুন করে কর দিতে হবে।
৭. ঋণসীমা বৃদ্ধি
এই বাড়তি ব্যয়ের খরচ মেটাতে জাতীয় ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৫ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এটি আর্থিকভাবে রক্ষণশীল রাজনীতিবিদদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে, কারণ এতে জাতীয় ঋণের বোঝা আরও বেড়ে যাবে।
ট্রাম্পের এই বিগ বিউটিফুল বিল থেকে সামগ্রিকভাবে লাভবান হবে উচ্চ আয়ের ব্যক্তিরা ও বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। আর অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে থাকা রাজনৈতিক গোষ্ঠীর মনরক্ষা করবে এই বিল। অন্যদিকে নিম্ন আয়ের পরিবার, সামাজিক নিরাপত্তা থেকে পাওয়া প্রণোদনার ওপর নির্ভরশীল নাগরিকেরা পড়বেন বেকায়দায়। আর অভিবাসন প্রার্থীরা ও সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীরা এরইমধ্যে ট্রাম্পের কঠোর সীমান্ত নীতির মুখোমুখি হয়ে পড়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের এক বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস হওয়াকে। ব্যাপক বিতর্কের শেষে বিলটি পাস হয়েছে। তাও আবার মাত্র চার ভোটের ব্যবধানে। আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ট্রাম্প এই বিলটিকে আইনে পরিণত করবেন বলে গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।
‘বিগ বিউটিফুল বিল’
গতকাল বৃহস্পতিবার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ২১৮-২১৪ ভোটের ব্যবধানে পাস হয় বিলটি। এর আগে গত মঙ্গলবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে বিলটি কোনো রকমে উতরে যায়। সিনেটে মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে পাস হয় বিলটি। পক্ষে ভোট পড়ে ৫১টি আর বিপক্ষে ৫০টি। বিলটির পক্ষে ৫১ তম ভোটটি দেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স।
এই বিলে একই সঙ্গে কর হ্রাস, বড় অঙ্কের ব্যয় হ্রাস, প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো এবং অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা আনা হয়েছে। যদিও ডেমোক্র্যাটরা এই বিলের পুরোপুরি বিরোধিতা করেছে তবে রিপাবলিকানরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত একত্র থেকে এটি পাস করিয়ে নেয়।
কী আছে বিলটিতে?
১. কর হ্রাস
এই বিলের মাধ্যমে ধনী ব্যক্তি ও বড় কর্পোরেটদের জন্য আয়কর কমানো হয়েছে। ২০১৭ সালে ট্রাম্পের আমলে যে কর ছাড় আইন পাস হয়েছিল, এটি সে আইনের স্থায়ী রূপ দিচ্ছে। টিপস, ওভারটাইম ও ব্যবসা খাতের গবেষণা ও উন্নয়নের (আরঅ্যান্ডডি)-এ ২০২৮ সাল পর্যন্ত কিছু অস্থায়ী কর ছাড় আনা হয়েছে। স্টেট ও লোকাল ট্যাক্স ডিডাকশনের সীমা অস্থায়ীভাবে ৪০ হাজার ডলার করা হয়েছে। এতে উচ্চ করের রাজ্যগুলোতে বসবাসকারী ধনীরা উপকৃত হবে। চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিট আরও ২০০ ডলার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
২. অভিবাসন ও সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ছে কঠোরতা
প্রস্তাবিত বিলটিতে সীমান্ত অবকাঠামো সম্প্রসারণের জন্য ৪৬.৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই বিলের আওতায় ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে ১ লাখ অতিরিক্ত শয্যা যুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি আরও ১০ হাজার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) অফিসার নিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়াও সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টাকারী বা আশ্রয় সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের জন্য নতুন জরিমানা ও শাস্তির বিধান করা হয়েছে।
৩. কমছে ক্লিন এনার্জি ও বৈদ্যুতিক গাড়ির বরাদ্দ
বাইডেন প্রশাসনের ‘ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট’ থেকে ক্লিন এনার্জি প্রণোদনা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ ছাড়া, বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) জন্য ৭ হাজার ৫০০ ডলারের কর ছাড় ২০২৫ সালের পর ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করা হবে। ২০২৮ সালের আগে নির্মিত না হলে নতুন উইন্ড ও সোলার প্রকল্পে কোনো কর ছাড় দেওয়া হবে না। এর বদলে, কয়লা উৎপাদনে নতুন কর ছাড় চালু করা হয়েছে।
৪. সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে করাঘাত
মেডিকেইড ও এসএনএপি (ফুড স্ট্যাম্প) কর্মসূচির অর্থায়নে বড় ধরনের ছাঁটাই করা হয়েছে। ৬৫ বছরের নিচের কর্মক্ষম, কিন্তু সন্তানহীন ব্যক্তিদের জন্য কঠোর কর্মসংস্থান শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য বীমা হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গ্রাম এলাকার হাসপাতালগুলোর সহায়তায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের একটি ফান্ড তৈরি করা হয়েছে। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এই তহবিল সামগ্রিক ক্ষতির সিকিভাগও নয়।
৫. নারীস্বাস্থ্য
পরিকল্পিত সন্তান ধারণের সহায়তায় যে ‘প্ল্যানড প্যারেন্টহুড ফেডারেল তহবিল’ ছিল তা এক বছরের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ এই কার্যক্রমের মাধ্যমে গর্ভপাতকে অনুপ্রাণিত করা হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের আগে থেকেই এই ধারণা নিয়ে রেখেছিল।
৬. প্রতিরক্ষা, মহাকাশ ও অন্যান্য খাতে ব্যয়
এই বিলে প্রতিরক্ষা খাতে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, যার মধ্যে ‘গোল্ডেন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য বরাদ্দ ২৫ বিলিয়ন ডলার। আর মহাকাশ গবেষণায় ১০ বিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) কার্যকারিতা শেষ হলে একে ৩২৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এছাড়াও, বিলটিতে নবজাতকদের জন্য ‘ট্রাম্প অ্যাকাউন্টস’ নামে একটি নতুন ১ হাজার ডলারের সঞ্চয় কর্মসূচি চালু করার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এনডোউমেন্টের (স্থায়ী তহবিল) ওপর নতুন করে কর দিতে হবে।
৭. ঋণসীমা বৃদ্ধি
এই বাড়তি ব্যয়ের খরচ মেটাতে জাতীয় ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৫ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এটি আর্থিকভাবে রক্ষণশীল রাজনীতিবিদদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে, কারণ এতে জাতীয় ঋণের বোঝা আরও বেড়ে যাবে।
ট্রাম্পের এই বিগ বিউটিফুল বিল থেকে সামগ্রিকভাবে লাভবান হবে উচ্চ আয়ের ব্যক্তিরা ও বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। আর অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে থাকা রাজনৈতিক গোষ্ঠীর মনরক্ষা করবে এই বিল। অন্যদিকে নিম্ন আয়ের পরিবার, সামাজিক নিরাপত্তা থেকে পাওয়া প্রণোদনার ওপর নির্ভরশীল নাগরিকেরা পড়বেন বেকায়দায়। আর অভিবাসন প্রার্থীরা ও সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীরা এরইমধ্যে ট্রাম্পের কঠোর সীমান্ত নীতির মুখোমুখি হয়ে পড়েছেন।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে একটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। ট্রাম্প এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবতরণ করেন আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে এবং এর পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য বৈঠকও তত্ত্বাবধান কর
২৩ মিনিট আগে
এশিয়ার সবচেয়ে নবীন রাষ্ট্র পূর্ব তিমুর আজ রোববার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের ১১ তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যুক্ত হয়েছে। পর্তুগিজ শাসনের সময় প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট অর্থনৈতিক মুক্তি ও আঞ্চলিক জোটভুক্ত হওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার পূর্ণতা মিলল।
১ ঘণ্টা আগে
দুই বছরের যুদ্ধ শেষে গাজা এক ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, অঞ্চলটি এখন ৬ কোটি ১০ লাখ টনের বেশি ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েছে। অঞ্চলটির মোট ভবনের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে এটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের এমন একটি অঞ্চল আছে, যেখানে গেলে মনে হবে দেশে কোনো অশান্তি নেই, কোনো গৃহযুদ্ধ চলছে না। সে জায়গাটি হলো জেবেল মারা পর্বতমালা। দারফুর অঞ্চলের পশ্চিমে অবস্থিত এই সবুজ ভূখণ্ডটি দেশের বাকি অংশের সঙ্গে এক মর্মান্তিক বৈপরীত্য তুলে ধরে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে একটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। ট্রাম্প এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবতরণ করেন আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে এবং এর পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য বৈঠকও তত্ত্বাবধান করবেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ‘Delivering Peace’—লেখা একটি ব্যানারের সামনে শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এটি তিন মাস আগে হওয়া এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে নতুন এক সমঝোতা। এ সময় সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পও উপস্থিত ছিলেন।
হুন মানেত বলেন, ‘এই ঘোষণা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে এটি স্থায়ী শান্তির ভিত্তি তৈরি করবে। কিন্তু আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো—এটি দুই দেশের সম্পর্ক মেরামতের প্রক্রিয়া শুরু করবে। আমাদের সীমান্তের মানুষগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংঘাতে বিভক্ত, আর নিরীহ বেসামরিক নাগরিকেরা ভীষণ ক্ষতির মুখে পড়েছে।’
গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই দেশের তৎকালীন নেতাদের ফোন করে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং সতর্ক করেন—যুদ্ধ চলতে থাকলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত হতে পারে। ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও সহযোগিতা চালাবে, যতক্ষণ তারা শান্তিতে থাকে।’
দুই পক্ষই একে অপরকে অভিযুক্ত করছে রকেট ও ভারী গোলা বিনিময়ের দায়ে। এই সংঘাতে অন্তত ৪৮ জন নিহত ও প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন আরেকটু হলেই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত হতে যাচ্ছিলেন। কারণ, গত শুক্রবার দেশটির সাবেক রানি মা সিরিকিতের মৃত্যু হয়। তবে পরে তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অনুতিন বলেন, ‘দুই দেশই সীমান্ত এলাকা থেকে ভারী অস্ত্র সরিয়ে নেবে, যাতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’ একই সঙ্গে থাইল্যান্ড ১৮ জন আটক কম্বোডিয়ার সেনাকে মুক্তি দেবে বলেও ঘোষণা দেন অনুতিন।
মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর ট্রাম্পকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঐতিহ্যবাহী নৃত্যশিল্পীরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। ট্রাম্প লালগালিচায় তাঁদের সঙ্গে নাচেন, এক হাতে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা এবং অন্য হাতে মালয়েশিয়ার পতাকা তুলে ধরেন। এরপর আনোয়ারের সঙ্গে তিনি লিমুজিনে করে শহরে প্রবেশ করেন।
ট্রাম্প যখন অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য প্রতিনিধিরা সমান্তরাল বৈঠকে বসেন চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমনে। গতকাল শনিবার শুরু হওয়া বৈঠকে ‘রেয়ার আর্থ’ খনিজের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্য আলোচক জেমিসন গ্রিয়ার বলেন, আলোচনায় বিস্তৃত বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার মধ্যে বাণিজ্য শুল্কে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রসঙ্গও ছিল। গ্রিয়ার বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে নেতাদের বৈঠকটি খুব ফলপ্রসূ হতে যাচ্ছে।’
বিশ্বজুড়ে ‘রেয়ার আর্থ’ খনিজের ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ওয়াশিংটন সরবরাহ শৃঙ্খল বৈচিত্র্যময় করতে চায়। যুদ্ধবিরতি অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র খুব শিগগিরই থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদ বিষয়ে চুক্তি করবে। পাশাপাশি কম্বোডিয়ার সঙ্গে একটি বৃহত্তর বাণিজ্য চুক্তির কথাও চলছে।
রোববার পরে তিনি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে। লুলা যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ককে ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ বলে আখ্যা দিয়ে তা কমানোর অনুরোধ জানাবেন। তাঁর দাবি, গত ১৫ বছরে ব্রাজিলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ৪১০ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকটি বাতিল হয়েছে। ট্রাম্প শনিবার ঘোষণা দেন, কানাডার পণ্যের ওপর বিদ্যমান শুল্কের অতিরিক্ত আরও ১০ শতাংশ বাড়ানো হবে।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে একটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। ট্রাম্প এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবতরণ করেন আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে এবং এর পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য বৈঠকও তত্ত্বাবধান করবেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ‘Delivering Peace’—লেখা একটি ব্যানারের সামনে শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এটি তিন মাস আগে হওয়া এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে নতুন এক সমঝোতা। এ সময় সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পও উপস্থিত ছিলেন।
হুন মানেত বলেন, ‘এই ঘোষণা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে এটি স্থায়ী শান্তির ভিত্তি তৈরি করবে। কিন্তু আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো—এটি দুই দেশের সম্পর্ক মেরামতের প্রক্রিয়া শুরু করবে। আমাদের সীমান্তের মানুষগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংঘাতে বিভক্ত, আর নিরীহ বেসামরিক নাগরিকেরা ভীষণ ক্ষতির মুখে পড়েছে।’
গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই দেশের তৎকালীন নেতাদের ফোন করে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং সতর্ক করেন—যুদ্ধ চলতে থাকলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত হতে পারে। ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও সহযোগিতা চালাবে, যতক্ষণ তারা শান্তিতে থাকে।’
দুই পক্ষই একে অপরকে অভিযুক্ত করছে রকেট ও ভারী গোলা বিনিময়ের দায়ে। এই সংঘাতে অন্তত ৪৮ জন নিহত ও প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন আরেকটু হলেই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত হতে যাচ্ছিলেন। কারণ, গত শুক্রবার দেশটির সাবেক রানি মা সিরিকিতের মৃত্যু হয়। তবে পরে তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অনুতিন বলেন, ‘দুই দেশই সীমান্ত এলাকা থেকে ভারী অস্ত্র সরিয়ে নেবে, যাতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’ একই সঙ্গে থাইল্যান্ড ১৮ জন আটক কম্বোডিয়ার সেনাকে মুক্তি দেবে বলেও ঘোষণা দেন অনুতিন।
মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর ট্রাম্পকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঐতিহ্যবাহী নৃত্যশিল্পীরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। ট্রাম্প লালগালিচায় তাঁদের সঙ্গে নাচেন, এক হাতে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা এবং অন্য হাতে মালয়েশিয়ার পতাকা তুলে ধরেন। এরপর আনোয়ারের সঙ্গে তিনি লিমুজিনে করে শহরে প্রবেশ করেন।
ট্রাম্প যখন অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য প্রতিনিধিরা সমান্তরাল বৈঠকে বসেন চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমনে। গতকাল শনিবার শুরু হওয়া বৈঠকে ‘রেয়ার আর্থ’ খনিজের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্য আলোচক জেমিসন গ্রিয়ার বলেন, আলোচনায় বিস্তৃত বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার মধ্যে বাণিজ্য শুল্কে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রসঙ্গও ছিল। গ্রিয়ার বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে নেতাদের বৈঠকটি খুব ফলপ্রসূ হতে যাচ্ছে।’
বিশ্বজুড়ে ‘রেয়ার আর্থ’ খনিজের ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ওয়াশিংটন সরবরাহ শৃঙ্খল বৈচিত্র্যময় করতে চায়। যুদ্ধবিরতি অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র খুব শিগগিরই থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদ বিষয়ে চুক্তি করবে। পাশাপাশি কম্বোডিয়ার সঙ্গে একটি বৃহত্তর বাণিজ্য চুক্তির কথাও চলছে।
রোববার পরে তিনি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে। লুলা যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ককে ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ বলে আখ্যা দিয়ে তা কমানোর অনুরোধ জানাবেন। তাঁর দাবি, গত ১৫ বছরে ব্রাজিলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ৪১০ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকটি বাতিল হয়েছে। ট্রাম্প শনিবার ঘোষণা দেন, কানাডার পণ্যের ওপর বিদ্যমান শুল্কের অতিরিক্ত আরও ১০ শতাংশ বাড়ানো হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের এক বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস হওয়াকে। ব্যাপক বিতর্কের শেষে বিলটি পাস হয়েছে। তাও আবার মাত্র চার ভোটের ব্যবধানে। আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ট্রাম্প এই বিলটিকে আইনে পরিণত করবেন বলে গালফ নিউজের...
০৪ জুলাই ২০২৫
এশিয়ার সবচেয়ে নবীন রাষ্ট্র পূর্ব তিমুর আজ রোববার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের ১১ তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যুক্ত হয়েছে। পর্তুগিজ শাসনের সময় প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট অর্থনৈতিক মুক্তি ও আঞ্চলিক জোটভুক্ত হওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার পূর্ণতা মিলল।
১ ঘণ্টা আগে
দুই বছরের যুদ্ধ শেষে গাজা এক ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, অঞ্চলটি এখন ৬ কোটি ১০ লাখ টনের বেশি ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েছে। অঞ্চলটির মোট ভবনের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে এটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের এমন একটি অঞ্চল আছে, যেখানে গেলে মনে হবে দেশে কোনো অশান্তি নেই, কোনো গৃহযুদ্ধ চলছে না। সে জায়গাটি হলো জেবেল মারা পর্বতমালা। দারফুর অঞ্চলের পশ্চিমে অবস্থিত এই সবুজ ভূখণ্ডটি দেশের বাকি অংশের সঙ্গে এক মর্মান্তিক বৈপরীত্য তুলে ধরে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এশিয়ার সবচেয়ে নবীন রাষ্ট্র পূর্ব তিমুর আজ রোববার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের ১১ তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যুক্ত হয়েছে। পর্তুগিজ শাসনের সময় প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট অর্থনৈতিক মুক্তি ও আঞ্চলিক জোটভুক্ত হওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার পূর্ণতা মিলল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ১৪ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর পূর্ব তিমুরের আসিয়ানে অন্তর্ভুক্তি বাস্তবায়িত হলো। যদিও এই সদস্যপদকে কোনো বড় পরিবর্তনের সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না, তবুও এটি দেশটির প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা এবং প্রধানমন্ত্রী জানানা গুসমাওয়ের জন্য এক প্রতীকী বিজয়। এই দুজনই যারা দেশটির স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক।
আজ রোববার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে আয়োজিত আসিয়ানের বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে পূর্ব তিমুরের পতাকা মঞ্চে স্থাপন করা হলে করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো হল। এভাবেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় তাদের নতুন অধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রী জানান গুসমাও এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে দেশের জন্য এক নতুন সূচনা হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই নতুন সূচনা দেশটিকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ‘অসীম সুযোগ’ এনে দেবে।
তিমুর-লেস্তে নামেও পরিচিত এই দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। এটি এশিয়ার দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি। প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষুদ্র অর্থনীতির দেশটি এখন আশা করছে, আসিয়ানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অন্তর্ভুক্ত অর্থনৈতিক কাঠামোর সুবিধা পাবে—যার মোট আকার ৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলার।
গুসমাও বলেন, ‘তিমুর-লেস্তের জনগণের জন্য এটি শুধু একটি স্বপ্নপূরণ নয়, বরং আমাদের দীর্ঘ যাত্রার এক শক্তিশালী স্বীকৃতি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যোগদান আমাদের জাতির মানসিকতার প্রমাণ—একটি নবীন গণতন্ত্র, যা জন্ম নিয়েছে সংগ্রামের ভেতর থেকে। এটি কোনো যাত্রার সমাপ্তি নয়।’
তিন শতাব্দী ধরে পর্তুগালের শাসনে থাকা পূর্ব তিমুর ১৯৭৫ সালে হঠাৎ করে স্বাধীন হয়, তবে পরে দেশটি প্রতিবেশী ইন্দোনেশিয়ার দখলে চলে যায়। দীর্ঘ ও রক্তাক্ত সংগ্রামের পর ২০০২ সালে দেশটি পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৯৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী ৭৫ বছর বয়সী রামোস-হোর্তা ১৯৭০-এর দশকেই পূর্ব তিমুরকে আসিয়ানে যুক্ত করার ধারণা তোলেন, যেন আঞ্চলিক সংহতির মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা যায়।
গত সেপ্টেম্বর চ্যানেল নিউজ এশিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রামোস-হোর্তা বলেন, পূর্ব তিমুরকে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে এবং আসিয়ানের ওপর কোনো বোঝা হয়ে ওঠা চলবে না। বরং সীমান্তবিরোধ বা দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিরোধের মতো বিষয়গুলোয় নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে জোটকে সহায়তা করতে পারে দেশটি।
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা যদি আসিয়ানের সংঘাত-নিরসন প্রক্রিয়াগুলোকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখতে পারি, সেটাই হবে মূল বিষয়। আসিয়ানের প্রতিটি দেশেই আমরা আলোচনার সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিতে পারি।’

এশিয়ার সবচেয়ে নবীন রাষ্ট্র পূর্ব তিমুর আজ রোববার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের ১১ তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যুক্ত হয়েছে। পর্তুগিজ শাসনের সময় প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট অর্থনৈতিক মুক্তি ও আঞ্চলিক জোটভুক্ত হওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার পূর্ণতা মিলল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ১৪ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর পূর্ব তিমুরের আসিয়ানে অন্তর্ভুক্তি বাস্তবায়িত হলো। যদিও এই সদস্যপদকে কোনো বড় পরিবর্তনের সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না, তবুও এটি দেশটির প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা এবং প্রধানমন্ত্রী জানানা গুসমাওয়ের জন্য এক প্রতীকী বিজয়। এই দুজনই যারা দেশটির স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক।
আজ রোববার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে আয়োজিত আসিয়ানের বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে পূর্ব তিমুরের পতাকা মঞ্চে স্থাপন করা হলে করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো হল। এভাবেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় তাদের নতুন অধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রী জানান গুসমাও এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে দেশের জন্য এক নতুন সূচনা হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই নতুন সূচনা দেশটিকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ‘অসীম সুযোগ’ এনে দেবে।
তিমুর-লেস্তে নামেও পরিচিত এই দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। এটি এশিয়ার দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি। প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষুদ্র অর্থনীতির দেশটি এখন আশা করছে, আসিয়ানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অন্তর্ভুক্ত অর্থনৈতিক কাঠামোর সুবিধা পাবে—যার মোট আকার ৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলার।
গুসমাও বলেন, ‘তিমুর-লেস্তের জনগণের জন্য এটি শুধু একটি স্বপ্নপূরণ নয়, বরং আমাদের দীর্ঘ যাত্রার এক শক্তিশালী স্বীকৃতি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যোগদান আমাদের জাতির মানসিকতার প্রমাণ—একটি নবীন গণতন্ত্র, যা জন্ম নিয়েছে সংগ্রামের ভেতর থেকে। এটি কোনো যাত্রার সমাপ্তি নয়।’
তিন শতাব্দী ধরে পর্তুগালের শাসনে থাকা পূর্ব তিমুর ১৯৭৫ সালে হঠাৎ করে স্বাধীন হয়, তবে পরে দেশটি প্রতিবেশী ইন্দোনেশিয়ার দখলে চলে যায়। দীর্ঘ ও রক্তাক্ত সংগ্রামের পর ২০০২ সালে দেশটি পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৯৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী ৭৫ বছর বয়সী রামোস-হোর্তা ১৯৭০-এর দশকেই পূর্ব তিমুরকে আসিয়ানে যুক্ত করার ধারণা তোলেন, যেন আঞ্চলিক সংহতির মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা যায়।
গত সেপ্টেম্বর চ্যানেল নিউজ এশিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রামোস-হোর্তা বলেন, পূর্ব তিমুরকে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে এবং আসিয়ানের ওপর কোনো বোঝা হয়ে ওঠা চলবে না। বরং সীমান্তবিরোধ বা দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিরোধের মতো বিষয়গুলোয় নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে জোটকে সহায়তা করতে পারে দেশটি।
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা যদি আসিয়ানের সংঘাত-নিরসন প্রক্রিয়াগুলোকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখতে পারি, সেটাই হবে মূল বিষয়। আসিয়ানের প্রতিটি দেশেই আমরা আলোচনার সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিতে পারি।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের এক বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস হওয়াকে। ব্যাপক বিতর্কের শেষে বিলটি পাস হয়েছে। তাও আবার মাত্র চার ভোটের ব্যবধানে। আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ট্রাম্প এই বিলটিকে আইনে পরিণত করবেন বলে গালফ নিউজের...
০৪ জুলাই ২০২৫
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে একটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। ট্রাম্প এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবতরণ করেন আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে এবং এর পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য বৈঠকও তত্ত্বাবধান কর
২৩ মিনিট আগে
দুই বছরের যুদ্ধ শেষে গাজা এক ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, অঞ্চলটি এখন ৬ কোটি ১০ লাখ টনের বেশি ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েছে। অঞ্চলটির মোট ভবনের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে এটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের এমন একটি অঞ্চল আছে, যেখানে গেলে মনে হবে দেশে কোনো অশান্তি নেই, কোনো গৃহযুদ্ধ চলছে না। সে জায়গাটি হলো জেবেল মারা পর্বতমালা। দারফুর অঞ্চলের পশ্চিমে অবস্থিত এই সবুজ ভূখণ্ডটি দেশের বাকি অংশের সঙ্গে এক মর্মান্তিক বৈপরীত্য তুলে ধরে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুই বছরের যুদ্ধ শেষে গাজা এক ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, অঞ্চলটি এখন ৬ কোটি ১০ লাখ টনের বেশি ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েছে। অঞ্চলটির মোট ভবনের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে এটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মুখে ১০ অক্টোবর ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এটি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ভয়াবহ সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে গাজা পুনর্গঠনের পথ খুলে দিয়েছে। কিন্তু এই পুনর্গঠনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা—এই বিপুল ধ্বংসাবশেষ সরানো।
২০২৫ সালের ৮ জুলাই পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রায় ১ লাখ ৯৩ হাজার ভবন আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে। জাতিসংঘের স্যাটেলাইট ডেটা বিশ্লেষণ সংস্থা ইউএনওস্যাটের তথ্যমতে, এটি গাজার মোট স্থাপনার প্রায় ৭৮ শতাংশ। ২০২৫ সালের ২২-২৩ সেপ্টেম্বর তোলা গাজা সিটির ছবির বিশ্লেষণ করে জাতিসংঘ জানায়, শহরটির আরও ভয়াবহ অবস্থা। সেখানে ৮৩ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।
গাজার এই ধ্বংসস্তূপের পরিমাণ ৬ কোটি ১৫ লাখ টন। তুলনা করলে এটি নিউইয়র্কের এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের ওজনের প্রায় ১৭০ গুণ এবং গাজার প্রতি বর্গমিটারে প্রায় ১৬৯ কেজি ধ্বংসাবশেষ জমে আছে।
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) তথ্যমতে, এই ধ্বংসাবশেষের দুই-তৃতীয়াংশই তৈরি হয়েছে যুদ্ধের প্রথম পাঁচ মাসে। যুদ্ধবিরতির আগের কয়েক মাসে ধ্বংসযজ্ঞ আরও বেড়েছে। ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে শুধু রাফাহ ও খান ইউনিসের মধ্যবর্তী দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ৮০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ সৃষ্টি হয়েছে।
২০২৫ সালের আগস্টে প্রকাশিত ইউএনইপির প্রাথমিক এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এই ধ্বংসাবশেষ গাজার জনগণের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। সংস্থাটি সতর্ক করেছে, অন্তত ৪৯ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ পুরোনো ভবনের অ্যাসবেস্টস দ্বারা দূষিত হতে পারে, বিশেষ করে শরণার্থীশিবিরগুলোর আশপাশে—উত্তরের জাবালিয়া, মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত ও আল-মাঘাজি, এবং দক্ষিণের রাফাহ ও খান ইউনিসে।
এ ছাড়া অন্তত ২৯ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ শিল্পাঞ্চল থেকে আসা ‘বিপজ্জনক বর্জ্যে’ দূষিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইসরায়েল যে তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু করে, তাতে গাজায় অন্তত ৬৮ হাজার ২৮০ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক মানুষ। এই সংখ্যা হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া, যা জাতিসংঘ নির্ভরযোগ্য হিসেবে গণ্য করে।

দুই বছরের যুদ্ধ শেষে গাজা এক ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, অঞ্চলটি এখন ৬ কোটি ১০ লাখ টনের বেশি ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েছে। অঞ্চলটির মোট ভবনের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে এটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মুখে ১০ অক্টোবর ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এটি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ভয়াবহ সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে গাজা পুনর্গঠনের পথ খুলে দিয়েছে। কিন্তু এই পুনর্গঠনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা—এই বিপুল ধ্বংসাবশেষ সরানো।
২০২৫ সালের ৮ জুলাই পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রায় ১ লাখ ৯৩ হাজার ভবন আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে। জাতিসংঘের স্যাটেলাইট ডেটা বিশ্লেষণ সংস্থা ইউএনওস্যাটের তথ্যমতে, এটি গাজার মোট স্থাপনার প্রায় ৭৮ শতাংশ। ২০২৫ সালের ২২-২৩ সেপ্টেম্বর তোলা গাজা সিটির ছবির বিশ্লেষণ করে জাতিসংঘ জানায়, শহরটির আরও ভয়াবহ অবস্থা। সেখানে ৮৩ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।
গাজার এই ধ্বংসস্তূপের পরিমাণ ৬ কোটি ১৫ লাখ টন। তুলনা করলে এটি নিউইয়র্কের এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের ওজনের প্রায় ১৭০ গুণ এবং গাজার প্রতি বর্গমিটারে প্রায় ১৬৯ কেজি ধ্বংসাবশেষ জমে আছে।
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) তথ্যমতে, এই ধ্বংসাবশেষের দুই-তৃতীয়াংশই তৈরি হয়েছে যুদ্ধের প্রথম পাঁচ মাসে। যুদ্ধবিরতির আগের কয়েক মাসে ধ্বংসযজ্ঞ আরও বেড়েছে। ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে শুধু রাফাহ ও খান ইউনিসের মধ্যবর্তী দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ৮০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ সৃষ্টি হয়েছে।
২০২৫ সালের আগস্টে প্রকাশিত ইউএনইপির প্রাথমিক এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এই ধ্বংসাবশেষ গাজার জনগণের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। সংস্থাটি সতর্ক করেছে, অন্তত ৪৯ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ পুরোনো ভবনের অ্যাসবেস্টস দ্বারা দূষিত হতে পারে, বিশেষ করে শরণার্থীশিবিরগুলোর আশপাশে—উত্তরের জাবালিয়া, মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত ও আল-মাঘাজি, এবং দক্ষিণের রাফাহ ও খান ইউনিসে।
এ ছাড়া অন্তত ২৯ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ শিল্পাঞ্চল থেকে আসা ‘বিপজ্জনক বর্জ্যে’ দূষিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইসরায়েল যে তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু করে, তাতে গাজায় অন্তত ৬৮ হাজার ২৮০ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক মানুষ। এই সংখ্যা হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া, যা জাতিসংঘ নির্ভরযোগ্য হিসেবে গণ্য করে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের এক বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস হওয়াকে। ব্যাপক বিতর্কের শেষে বিলটি পাস হয়েছে। তাও আবার মাত্র চার ভোটের ব্যবধানে। আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ট্রাম্প এই বিলটিকে আইনে পরিণত করবেন বলে গালফ নিউজের...
০৪ জুলাই ২০২৫
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে একটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। ট্রাম্প এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবতরণ করেন আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে এবং এর পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য বৈঠকও তত্ত্বাবধান কর
২৩ মিনিট আগে
এশিয়ার সবচেয়ে নবীন রাষ্ট্র পূর্ব তিমুর আজ রোববার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের ১১ তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যুক্ত হয়েছে। পর্তুগিজ শাসনের সময় প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট অর্থনৈতিক মুক্তি ও আঞ্চলিক জোটভুক্ত হওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার পূর্ণতা মিলল।
১ ঘণ্টা আগে
সুদানের এমন একটি অঞ্চল আছে, যেখানে গেলে মনে হবে দেশে কোনো অশান্তি নেই, কোনো গৃহযুদ্ধ চলছে না। সে জায়গাটি হলো জেবেল মারা পর্বতমালা। দারফুর অঞ্চলের পশ্চিমে অবস্থিত এই সবুজ ভূখণ্ডটি দেশের বাকি অংশের সঙ্গে এক মর্মান্তিক বৈপরীত্য তুলে ধরে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সুদানের এমন একটি অঞ্চল আছে, যেখানে গেলে মনে হবে দেশে কোনো অশান্তি নেই, কোনো গৃহযুদ্ধ চলছে না। সে জায়গাটি হলো জেবেল মারা পর্বতমালা। দারফুর অঞ্চলের পশ্চিমে অবস্থিত এই সবুজ ভূখণ্ড দেশের বাকি অংশের সঙ্গে এক মর্মান্তিক বৈপরীত্য তুলে ধরে।
আড়াই বছরের সংঘাতে জর্জরিত সুদানের ২৫ মিলিয়ন মানুষ (জনসংখ্যার অর্ধেক) তীব্র খাদ্যের সংকটে ভুগছে। জাতিসংঘের মতে, ৬ লাখের বেশি মানুষ সরাসরি দুর্ভিক্ষকবলিত। তখন জেবেল মারার কৃষকেরা অতিরিক্ত ফলন নিয়ে বিপাকে।
ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মতো অনুকূল জলবায়ু এবং অতি-উর্বর মাটির কারণে জেবেল মারা হলো ফলের স্বর্গ। প্রতিদিন সকালে নারীরা উজ্জ্বল পোশাকে, শিশুদের সঙ্গে নিয়ে গাধার পিঠে চড়ে ফসলের খেতে যান। সেখানে জন্মায় দেশের দুর্লভ ফসল—বাদাম, কমলা, আপেল ও স্ট্রবেরি। এই অঞ্চলের অরগানিক কমলা স্বাদের জন্য একসময় গোটা সুদানে প্রশংসিত ছিল।
কিন্তু এই প্রাচুর্যই এখন অভিশাপ। গলো শহরের একজন কমলা বিক্রেতা হাফিজ আলী হতাশা নিয়ে বলেন, ‘আমরা প্রায় বিনা মূল্যে কমলা বিক্রি করি, এমনকি কখনো কখনো পচে যাওয়ার ভয়ে বাজারে যাওয়ার পথেই ফেলে দিতে হয়।’
এ পার্বত্য অঞ্চলটি হলো সুদান লিবারেশন আর্মি—আবদুলওয়াহিদ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা শেষ ভূখণ্ড। এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বর্তমান যুদ্ধে নিরপেক্ষ অবস্থান নিলেও ২০০৩ সালে দারফুর সংঘাতের সময় থেকেই তারা খার্তুম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো শান্তিচুক্তি সই করেনি। দুই দশকের বেশি সময় ধরে তারা এখানকার ‘মুক্ত এলাকা’ নিয়ন্ত্রণ করছে।

বর্তমানে চারদিকে যুদ্ধ চলায় জেবেল মারা ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। পশ্চিম ও উত্তরে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এবং তাদের সহযোগী আরব মিলিশিয়ারা প্রধান রাস্তাগুলো অবরোধ করে রেখেছে। দক্ষিণে সুদান সেনাবাহিনী প্রায় প্রতি সপ্তাহে আরএসএফের অবস্থানে বোমা হামলা চালাচ্ছে, যার ফলে বেসামরিক লোকেরাও প্রাণ হারাচ্ছে। আগে আরএসএফের নিয়ন্ত্রণ এখনো অক্ষত।
এর ফলে স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা এল-ফাশের (১৩০ কিলোমিটার দূরে) বা চাদ সীমান্তের তিনের (২৭৫ কিলোমিটার দূরে) মতো জাতীয় বাজারগুলোতে পণ্য পৌঁছাতে পারছেন না।
পণ্য পরিবহনের এই দুঃস্বপ্ন নতুন নয়। তাভিলাতে ফল বিক্রেতা ইউসুফ তার অভিজ্ঞতা জানান: ‘মাত্র ১২ কিলোমিটার পথ পেরোতেও পাহাড় এবং কাদামাটির কারণে সারা দিন গাড়ি চালাতে হতো।’ এখন অনিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
সুদান লিবারেশন আর্মি—আবদুলওয়াহিদ গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের ঠিক প্রান্তে অবস্থিত তাভিলা এখন একটি অস্থায়ী বাজারে পরিণত হয়েছে। আরএসএফের অবরোধ থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার মানুষ এখানে আশ্রয় নিয়েছে। এখানে অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে ফলের দাম কম। কিছু সাহসী ব্যবসায়ী এই বাজার থেকে পণ্য কিনে চরম বিপজ্জনক পথে অবরুদ্ধ এল-ফাশের শহরে পাচারের চেষ্টা করেন।
মধ্য দারফুরে, প্রধান ফুর জাতিগোষ্ঠী এবং আরব যাযাবর নেতাদের মধ্যে সম্প্রতি একটি ভঙ্গুর অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ায় কিছু এলাকায় সীমিত ব্যবসা শুরু হয়েছে। সুদান লিবারেশন আর্মি নিয়ন্ত্রিত নেরতিতি শহরে বাজার আবার চালু হয়েছে, সেখানে আরব নারীরা টক দই এবং ফুর কৃষকেরা ফল ও সবজি আনছেন।
তবে বাজারের একজন ব্যবসায়ী সতর্ক করে বলেন, ‘বাজার সপ্তাহে মাত্র একবার খোলে। চুক্তি হওয়ার পরেও রাস্তায় এখনো সশস্ত্র ডাকাতি হয়, ভ্রমণ এখনো বিপজ্জনক।’
প্রতি বৃহস্পতিবার, বাজার দিনে, নেরতিতি এবং আরএসএফ-নিয়ন্ত্রিত জালিঙ্গেইয়ের মধ্যে চেকপয়েন্টের সংখ্যা বেড়ে দুই ডজনের বেশি হয়। এই চেকপয়েন্টগুলো আরএসএফ যোদ্ধা, আরব মিলিশিয়া বা কখনো কখনো একজন সাদা পোশাকের সশস্ত্র ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়। যারা জোর করে চাঁদা দাবি করে। যাত্রীরা নীরব দর্শকের মতো তাকিয়ে থাকলেও চালকেরা দর-কষাকষি করার চেষ্টা করেন।
জেবেল মারা অঞ্চলে ফেরার পথে পাহাড়ের প্রতিটি রাস্তায় সুদান লিবারেশন আর্মির নিজস্ব চেকপয়েন্ট রয়েছে। সেখানেও সশস্ত্র লোকেরা চাঁদা দাবি করে এবং ব্যাগ তল্লাশি করে। সুদানের অন্যান্য অঞ্চলে বহুল ব্যবহৃত ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমের মতো ‘নিষিদ্ধ’ জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।
জেবেল মারা অঞ্চলে আপেক্ষিক শান্তি থাকলেও অন্য এলাকার সংঘাতের স্পষ্ট ছাপ এখানে বিদ্যমান। প্রতিদিন এল-ফাশেরসহ অন্যান্য যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এলাকা থেকে মানুষ বোঝাই লরি গলোর দিকে আসছে। মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো এতগুলো চেকপয়েন্ট পেরিয়ে আসতে না পারায় এই শরণার্থীরা স্কুল, ক্লিনিক এবং অন্যান্য পাবলিক স্পেসে আশ্রয় নিলেও খুব সামান্য বা কোনো সাহায্যই পাচ্ছে না।
সুদান লিবারেশন আর্মির নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের কার্যত রাজধানী গলো শহরে, এল-ফাশের থেকে পালিয়ে আসা এক নারী তাঁর ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন। তিনি এখন ২৫টি সদ্য আগত পরিবারের সঙ্গে একটি শ্রেণিকক্ষে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো আয়রোজগার নেই, কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। আমি নার্স ছিলাম, আমি চাষাবাদও করতে পারি, কিন্তু এখানকার জমি সব ব্যক্তিগত। আমরা জানি না কী করব।’
যখন তিনি কথা বলছিলেন, তখন অসুস্থ, বয়স্করা মেঝেতে শুয়ে ছিলেন, শিশুরা ক্ষুধার যন্ত্রণায় চিৎকার করছিল। তবে কিছুটা স্বস্তি এই যে, গলো থেকে যে খাবার বের করা যায়নি, অর্থাৎ নিরাপত্তার কারণে খাদ্যপণ্য দূরবর্তী বাজারে না নিতে পারার কারণে যে বাড়তি সরবরাহ, তা অন্তত এই শরণার্থীদের কাজে আসবে।
এই হলো জেবেল মারা অঞ্চলের বাস্তবতা—এক সবুজ পাহাড়ের অদ্ভুত জগৎ! ঝরনার নদী, রসালো ফলের প্রাচুর্য, কিন্তু চারদিকে যুদ্ধ এবং আতঙ্কিত শরণার্থীদের ভিড়। এক ফল ব্যবসায়ী হতাশ হয়ে বলেন, ‘আমরা এই দুই যুদ্ধরত পক্ষের ওপর থেকে সব আশা হারিয়ে ফেলেছি। আমরা শুধু আমাদের কমলাগুলো বেচতে চাই।’

সুদানের এমন একটি অঞ্চল আছে, যেখানে গেলে মনে হবে দেশে কোনো অশান্তি নেই, কোনো গৃহযুদ্ধ চলছে না। সে জায়গাটি হলো জেবেল মারা পর্বতমালা। দারফুর অঞ্চলের পশ্চিমে অবস্থিত এই সবুজ ভূখণ্ড দেশের বাকি অংশের সঙ্গে এক মর্মান্তিক বৈপরীত্য তুলে ধরে।
আড়াই বছরের সংঘাতে জর্জরিত সুদানের ২৫ মিলিয়ন মানুষ (জনসংখ্যার অর্ধেক) তীব্র খাদ্যের সংকটে ভুগছে। জাতিসংঘের মতে, ৬ লাখের বেশি মানুষ সরাসরি দুর্ভিক্ষকবলিত। তখন জেবেল মারার কৃষকেরা অতিরিক্ত ফলন নিয়ে বিপাকে।
ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মতো অনুকূল জলবায়ু এবং অতি-উর্বর মাটির কারণে জেবেল মারা হলো ফলের স্বর্গ। প্রতিদিন সকালে নারীরা উজ্জ্বল পোশাকে, শিশুদের সঙ্গে নিয়ে গাধার পিঠে চড়ে ফসলের খেতে যান। সেখানে জন্মায় দেশের দুর্লভ ফসল—বাদাম, কমলা, আপেল ও স্ট্রবেরি। এই অঞ্চলের অরগানিক কমলা স্বাদের জন্য একসময় গোটা সুদানে প্রশংসিত ছিল।
কিন্তু এই প্রাচুর্যই এখন অভিশাপ। গলো শহরের একজন কমলা বিক্রেতা হাফিজ আলী হতাশা নিয়ে বলেন, ‘আমরা প্রায় বিনা মূল্যে কমলা বিক্রি করি, এমনকি কখনো কখনো পচে যাওয়ার ভয়ে বাজারে যাওয়ার পথেই ফেলে দিতে হয়।’
এ পার্বত্য অঞ্চলটি হলো সুদান লিবারেশন আর্মি—আবদুলওয়াহিদ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা শেষ ভূখণ্ড। এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বর্তমান যুদ্ধে নিরপেক্ষ অবস্থান নিলেও ২০০৩ সালে দারফুর সংঘাতের সময় থেকেই তারা খার্তুম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো শান্তিচুক্তি সই করেনি। দুই দশকের বেশি সময় ধরে তারা এখানকার ‘মুক্ত এলাকা’ নিয়ন্ত্রণ করছে।

বর্তমানে চারদিকে যুদ্ধ চলায় জেবেল মারা ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। পশ্চিম ও উত্তরে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এবং তাদের সহযোগী আরব মিলিশিয়ারা প্রধান রাস্তাগুলো অবরোধ করে রেখেছে। দক্ষিণে সুদান সেনাবাহিনী প্রায় প্রতি সপ্তাহে আরএসএফের অবস্থানে বোমা হামলা চালাচ্ছে, যার ফলে বেসামরিক লোকেরাও প্রাণ হারাচ্ছে। আগে আরএসএফের নিয়ন্ত্রণ এখনো অক্ষত।
এর ফলে স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা এল-ফাশের (১৩০ কিলোমিটার দূরে) বা চাদ সীমান্তের তিনের (২৭৫ কিলোমিটার দূরে) মতো জাতীয় বাজারগুলোতে পণ্য পৌঁছাতে পারছেন না।
পণ্য পরিবহনের এই দুঃস্বপ্ন নতুন নয়। তাভিলাতে ফল বিক্রেতা ইউসুফ তার অভিজ্ঞতা জানান: ‘মাত্র ১২ কিলোমিটার পথ পেরোতেও পাহাড় এবং কাদামাটির কারণে সারা দিন গাড়ি চালাতে হতো।’ এখন অনিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
সুদান লিবারেশন আর্মি—আবদুলওয়াহিদ গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের ঠিক প্রান্তে অবস্থিত তাভিলা এখন একটি অস্থায়ী বাজারে পরিণত হয়েছে। আরএসএফের অবরোধ থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার মানুষ এখানে আশ্রয় নিয়েছে। এখানে অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে ফলের দাম কম। কিছু সাহসী ব্যবসায়ী এই বাজার থেকে পণ্য কিনে চরম বিপজ্জনক পথে অবরুদ্ধ এল-ফাশের শহরে পাচারের চেষ্টা করেন।
মধ্য দারফুরে, প্রধান ফুর জাতিগোষ্ঠী এবং আরব যাযাবর নেতাদের মধ্যে সম্প্রতি একটি ভঙ্গুর অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ায় কিছু এলাকায় সীমিত ব্যবসা শুরু হয়েছে। সুদান লিবারেশন আর্মি নিয়ন্ত্রিত নেরতিতি শহরে বাজার আবার চালু হয়েছে, সেখানে আরব নারীরা টক দই এবং ফুর কৃষকেরা ফল ও সবজি আনছেন।
তবে বাজারের একজন ব্যবসায়ী সতর্ক করে বলেন, ‘বাজার সপ্তাহে মাত্র একবার খোলে। চুক্তি হওয়ার পরেও রাস্তায় এখনো সশস্ত্র ডাকাতি হয়, ভ্রমণ এখনো বিপজ্জনক।’
প্রতি বৃহস্পতিবার, বাজার দিনে, নেরতিতি এবং আরএসএফ-নিয়ন্ত্রিত জালিঙ্গেইয়ের মধ্যে চেকপয়েন্টের সংখ্যা বেড়ে দুই ডজনের বেশি হয়। এই চেকপয়েন্টগুলো আরএসএফ যোদ্ধা, আরব মিলিশিয়া বা কখনো কখনো একজন সাদা পোশাকের সশস্ত্র ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়। যারা জোর করে চাঁদা দাবি করে। যাত্রীরা নীরব দর্শকের মতো তাকিয়ে থাকলেও চালকেরা দর-কষাকষি করার চেষ্টা করেন।
জেবেল মারা অঞ্চলে ফেরার পথে পাহাড়ের প্রতিটি রাস্তায় সুদান লিবারেশন আর্মির নিজস্ব চেকপয়েন্ট রয়েছে। সেখানেও সশস্ত্র লোকেরা চাঁদা দাবি করে এবং ব্যাগ তল্লাশি করে। সুদানের অন্যান্য অঞ্চলে বহুল ব্যবহৃত ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমের মতো ‘নিষিদ্ধ’ জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।
জেবেল মারা অঞ্চলে আপেক্ষিক শান্তি থাকলেও অন্য এলাকার সংঘাতের স্পষ্ট ছাপ এখানে বিদ্যমান। প্রতিদিন এল-ফাশেরসহ অন্যান্য যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এলাকা থেকে মানুষ বোঝাই লরি গলোর দিকে আসছে। মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো এতগুলো চেকপয়েন্ট পেরিয়ে আসতে না পারায় এই শরণার্থীরা স্কুল, ক্লিনিক এবং অন্যান্য পাবলিক স্পেসে আশ্রয় নিলেও খুব সামান্য বা কোনো সাহায্যই পাচ্ছে না।
সুদান লিবারেশন আর্মির নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের কার্যত রাজধানী গলো শহরে, এল-ফাশের থেকে পালিয়ে আসা এক নারী তাঁর ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন। তিনি এখন ২৫টি সদ্য আগত পরিবারের সঙ্গে একটি শ্রেণিকক্ষে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো আয়রোজগার নেই, কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। আমি নার্স ছিলাম, আমি চাষাবাদও করতে পারি, কিন্তু এখানকার জমি সব ব্যক্তিগত। আমরা জানি না কী করব।’
যখন তিনি কথা বলছিলেন, তখন অসুস্থ, বয়স্করা মেঝেতে শুয়ে ছিলেন, শিশুরা ক্ষুধার যন্ত্রণায় চিৎকার করছিল। তবে কিছুটা স্বস্তি এই যে, গলো থেকে যে খাবার বের করা যায়নি, অর্থাৎ নিরাপত্তার কারণে খাদ্যপণ্য দূরবর্তী বাজারে না নিতে পারার কারণে যে বাড়তি সরবরাহ, তা অন্তত এই শরণার্থীদের কাজে আসবে।
এই হলো জেবেল মারা অঞ্চলের বাস্তবতা—এক সবুজ পাহাড়ের অদ্ভুত জগৎ! ঝরনার নদী, রসালো ফলের প্রাচুর্য, কিন্তু চারদিকে যুদ্ধ এবং আতঙ্কিত শরণার্থীদের ভিড়। এক ফল ব্যবসায়ী হতাশ হয়ে বলেন, ‘আমরা এই দুই যুদ্ধরত পক্ষের ওপর থেকে সব আশা হারিয়ে ফেলেছি। আমরা শুধু আমাদের কমলাগুলো বেচতে চাই।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের এক বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস হওয়াকে। ব্যাপক বিতর্কের শেষে বিলটি পাস হয়েছে। তাও আবার মাত্র চার ভোটের ব্যবধানে। আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ট্রাম্প এই বিলটিকে আইনে পরিণত করবেন বলে গালফ নিউজের...
০৪ জুলাই ২০২৫
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে একটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। ট্রাম্প এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবতরণ করেন আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে এবং এর পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য বৈঠকও তত্ত্বাবধান কর
২৩ মিনিট আগে
এশিয়ার সবচেয়ে নবীন রাষ্ট্র পূর্ব তিমুর আজ রোববার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের ১১ তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যুক্ত হয়েছে। পর্তুগিজ শাসনের সময় প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট অর্থনৈতিক মুক্তি ও আঞ্চলিক জোটভুক্ত হওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার পূর্ণতা মিলল।
১ ঘণ্টা আগে
দুই বছরের যুদ্ধ শেষে গাজা এক ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, অঞ্চলটি এখন ৬ কোটি ১০ লাখ টনের বেশি ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েছে। অঞ্চলটির মোট ভবনের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে এটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
২ ঘণ্টা আগে