Ajker Patrika

পিটিআইয়ের ‘ক্রিকেট ব্যাট’ ফেরত দিলেন আদালত 

আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩: ০২
পিটিআইয়ের ‘ক্রিকেট ব্যাট’ ফেরত দিলেন আদালত 

দলীয় প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট নিয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। গতকাল রোববার খাইবার পাখতুন খাওয়ার রাজধানী পেশোয়ারে হাইকোর্ট এক রায়ে এই আদেশ দিয়েছেন। আদালতের এই রায় পিটিআই ও দলটির কারাবন্দী প্রধান ইমরান খানের আরেকটি আইনি বিজয়। 

গত সপ্তাহে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এক আদেশে বলেছিল, পিটিআই নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ক্রিকেট ব্যাট ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু মঙ্গলবারের রায়ে পেশোয়ার হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের সেই আদেশ রদ করে দিয়েছেন। 

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় পিটিআইয়ের আইনজীবী সৈয়দ আলী জাফর বলেছেন, ‘পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন অবৈধ আদেশ দিয়ে অন্যায়ভাবে দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘ক্রিকেট ব্যাটকে’ বাতিল করেছিল। নির্বাচন কমিশনের সেই রায় রদ করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতীক পুনর্বহাল করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।’ 

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে, পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যেখানে প্রাপ্তবয়স্কের সাক্ষরতার হার মাত্র ৫৮ শতাংশ। ফলে নির্বাচনের সময় ব্যালট পেপারে বিভিন্ন দলের নির্দিষ্ট দলীয় প্রতীক দেখেই প্রার্থীদের পার্থক্য করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন ভোটাররা।

নির্বাচন কমিশনের দাবি, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া পিটিআই প্রতীক নির্ধারণে ব্যর্থ হওয়ায় তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু পিটিআইয়ের অভিযোগ, এই পদক্ষেপ মূলত ইমরান খানকে আটকাতেই নেওয়া হয়েছিল, যাতে তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন। 

ইমরান খান পাকিস্তানে ব্যাপক জনপ্রিয়। কিন্তু ২০২২ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর আনুকূল্য থেকে বাদ পড়ায় তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ২০০ মামলা দায়ের করা হয়। তারই একটি মামলায় বর্তমানে তিনি কারাগারে বন্দী। চলতি বছরের শুরুর দিকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তান সরকার পিটিআইয়ের ওপর প্রবল দমন-পীড়ন শুরু করে। দলের অনেক নেতাকে জেলে পাঠানো হয়েছে কিংবা সেনাবাহিনীর চাপের মুখে দল ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার পিটিআই জানিয়েছিল, আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ইমরান খান। সেই লক্ষ্যে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তাঁর মনোনয়ন চ্যালেঞ্জ করা হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

শেখ মুজিবের ছবি টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব নেই জুলাই সনদে, ক্ষোভ বিএনপির

বদলি-পদায়ন নিয়ে জটিলতার পর জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আরও এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে রাজি পাকিস্তান–আফগানিস্তান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আফগানিস্তান–পাকিস্তান সীমান্তের একটি চেক পয়েন্টের কাছে টহলরত তালেবান এক সেনা। ছবি: এএফপি
আফগানিস্তান–পাকিস্তান সীমান্তের একটি চেক পয়েন্টের কাছে টহলরত তালেবান এক সেনা। ছবি: এএফপি

পাকিস্তান ও আফগানিস্তান অন্তত আরও এক সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়াতে সম্মত হয়েছে। তুরস্কে অনুষ্ঠিত আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ৬ নভেম্বর ইস্তাম্বুলে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আবার বসবে দুই দেশ। সেখানে যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করা হবে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তি বজায় রাখতে এবং যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের ঘটনায় দায়ী পক্ষকে শাস্তি দিতে একটি নজরদারি ও যাচাই ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে আফগানিস্তানে বিস্ফোরণের পর দুই দেশের সীমান্তে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। আফগান সরকার ওই বিস্ফোরণের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে। এরপর দুই দেশের সেনারা পাল্টাপাল্টি হামলায় নামে। পাকিস্তানের দাবি, তাদের অভিযানে ২০০ জনের বেশি আফগান যোদ্ধা নিহত হয়। আফগানিস্তান বলে, তারা ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেছে।

২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর এটিই ছিল দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ। পরে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ১৯ অক্টোবর দোহায় দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা যুদ্ধবিরতিতে সই করেন।

দুই দেশের মধ্যে ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত আছে। গত শনিবার ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয় দফা আলোচনা শুরু হয়। বুধবার আলোচনা ভেঙে যায়। কারণ, পাকিস্তান কাবুলকে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে চাপ দিতে থাকে। পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, টিটিপি তাদের দেশে হামলা চালায়। আফগান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বৃহস্পতিবার আলোচনা আবার শুরু হয়। এরপরই ৬ নভেম্বর পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার বিষয়ে দুই দেশ রাজি হয়। আফগান সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেন, আলোচনা শেষ হয়েছে এবং দুই পক্ষ ভবিষ্যতেও আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। পাকিস্তান এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।

যুদ্ধবিরতি বজায় থাকলেও দুই দেশের সীমান্ত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্ধ। এতে সীমান্ত এলাকার ব্যবসায়ীরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আফগানিস্তানের কান্দাহারে কাপড় ব্যবসায়ী নাজির আহমেদ এএফপিকে বলেন, ‘দুই দেশই ক্ষতির মুখে। আমাদের জাতি ক্লান্ত, ওদের জাতিও ক্লান্ত।’ অন্যদিকে পাকিস্তানের চামান সীমান্ত শহরের গাড়ির যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার বলেন, ‘বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দুই দেশই ক্ষতিগ্রস্ত—দুই দেশই মুসলিম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

শেখ মুজিবের ছবি টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব নেই জুলাই সনদে, ক্ষোভ বিএনপির

বদলি-পদায়ন নিয়ে জটিলতার পর জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আরও দুই জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস, যুদ্ধবিরতি ভেঙেই চলেছে ইসরায়েল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইসরায়েল ত্রাণ প্রবাহে বাধা দেওয়ায় গাজায় ক্ষুধা এখনো ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েল ত্রাণ প্রবাহে বাধা দেওয়ায় গাজায় ক্ষুধা এখনো ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস আরও দুই ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। এর একদিন আগেই গাজায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি ভেঙে একের পর এক ইসরায়েলি হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রেডক্রসের মাধ্যমে ওই দুই মরদেহ গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে পৌঁছেছে। পরে এগুলো শনাক্তের জন্য ইসরায়েলে নেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দেয়। বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। ইসরায়েলি সেনারাও গাজার শহরাঞ্চল থেকে আংশিকভাবে সরে গেছে। তবে ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি হামলায় গাজায় বহু মানুষ নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ১০৪ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৬ শিশু ও ২০ নারী।

চুক্তি অনুযায়ী হামাস ২৮ জন ইসরায়েলি বন্দীর মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বিনিময়ে তারা ইসরায়েলে নিহত ফিলিস্তিনিদের মরদেহ ফেরত চায়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হামাস ১৫ জনের মরদেহ হস্তান্তর করেছে। তাদের দাবি, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা আরও অনেক মরদেহ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও সহায়তা তারা এখনো পায়নি।

ইসরায়েল দাবি করছে, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহ হস্তান্তরে দেরি করছে। গাজার মধ্যাঞ্চল আজ-জুয়ায়দা থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজযুম জানান, ধ্বংসস্তূপে মরদেহ উদ্ধারে হামাস লজিস্টিক ও প্রযুক্তিগত সমস্যায় পড়েছে। হামাস ভারী যন্ত্রপাতি ও বুলডোজার প্রবেশের অনুমতি চেয়েছে, কিন্তু ইসরায়েল এখনো তা অনুমোদন দেয়নি।

এই মরদেহ ফেরত ইস্যুই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনাকে জটিল করে তুলেছে। গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসন এবং হামাসকে নিরস্ত্র করার দাবি—এ দুটি বিষয়ও এখন বড় বাধা হিসেবে রয়ে গেছে।

এদিকে, গত বুধবার রাতে ইসরায়েলি বিমান দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বে ১০ দফা হামলা চালায়। একই সময়ে উত্তর গাজা সিটিতেও ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা ‘নির্দিষ্ট’ হামলা চালিয়েছে সেসব এলাকায় যেখানে ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার টনের বেশি জাতিসংঘের ত্রাণ গাজায় পৌঁছেছে। তিনি আরও বলেন, ত্রাণ বিতরণে এনজিওগুলোর অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে হবে। যুদ্ধবিরতির আগে তুলনায় এখন ত্রাণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। তবুও তহবিল সংকট এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতা বড় বাধা হয়ে আছে। সীমান্ত পারাপারও প্রায় বন্ধ।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মধ্যপ্রাচ্য পরিচালক সামের আবদেল জাবের বলেন, যুদ্ধবিরতির পর ২০ দিনে তারা গাজায় প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য সংগ্রহ করেছেন। জাতিসংঘের সমন্বয় কর্মকর্তা আলাকবারভ জানান, যুদ্ধবিরতির ২০ দফা পরিকল্পনা পূর্ণ বাস্তবায়ন না হলে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পূর্ণমাত্রায় সম্ভব নয়।

তিনি ইসরায়েলকে আরও এনজিওকে গাজায় কাজের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানান। কারণ ইসরায়েল অনেক সংস্থাকে নিষিদ্ধ করেছে। তাঁর ভাষায়, ‘এনজিও নিবন্ধনের জটিলতা বড় বাধা হয়ে আছে। আমরা বারবার বলছি, মানবিক কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় এনজিওর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ইসরায়েলি হামলায় গাজার ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অনেকে একাধিকবার স্থান বদল করতে বাধ্য হয়েছে। অধিকাংশ মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপে ফেরা সাহস পাচ্ছে না। কারণ তারা আশঙ্কা করছে, ফেরার পর আবারও হামলা হতে পারে।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটির পূর্বে তুফাহ ও শুজাইয়া এলাকায় ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়েছে। এ মাসের শুরু থেকে সেখানে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। স্থানীয়রা বলছে, এটি একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা—পুরো পাড়া-মহল্লা ধ্বংস করে বসবাসের অনুপযোগী করে ফেলার। বুলডোজারে রাস্তা, বাড়িঘর, অবকাঠামো—সবকিছু মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যতক্ষণ না গাজা সিটির পূর্বাঞ্চল পুরোপুরি দখলে আসে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

শেখ মুজিবের ছবি টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব নেই জুলাই সনদে, ক্ষোভ বিএনপির

বদলি-পদায়ন নিয়ে জটিলতার পর জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গত ১২ মে ভার্জিনিয়ার ডালস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ শরণার্থীরা। ছবি: এপির সৌজন্যে
গত ১২ মে ভার্জিনিয়ার ডালস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ শরণার্থীরা। ছবি: এপির সৌজন্যে

আগামী অর্থবছরে (২০২৬-২৭) যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ৭ হাজার ৫০০ জনে নামিয়ে আনছে ট্রাম্প প্রশাসন। এটি পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের নির্ধারিত ১ লাখ ২৫ হাজারের তুলনায় প্রায় ৯৪ শতাংশ কম।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মার্কিন ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘মানবিক উদ্বেগ ও জাতীয় স্বার্থে’ শরণার্থী প্রবেশের নতুন সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বিজ্ঞপ্তিতে নতুন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত ৭ হাজার ৫০০ জনের বেশির ভাগই হবেন দক্ষিণ আফ্রিকার বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ।

এর আগে জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব নিয়েই এক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশ কর্মসূচি (ইউএসআরএপি) স্থগিত করার ঘোষণা দেন। তিনি দাবি করেন, এই পদক্ষেপ ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে’ সহায়ক হবে।

গত মে মাসে হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, দেশটিতে শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের হত্যা ও নির্যাতন করা হচ্ছে।

বৈঠকে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও দেখানো হয়। সেখানে আফ্রিকায় ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের কবরস্থান’ দেখানো হয়েছিল। তবে ট্রাম্প স্বীকার করেন, তিনি জানেন না ভিডিওটি দক্ষিণ আফ্রিকার কোন স্থানে ধারণ করা হয়েছে।

এ বৈঠকের কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র ৬০ জন শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান নাগরিককে আশ্রয় দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

শেখ মুজিবের ছবি টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব নেই জুলাই সনদে, ক্ষোভ বিএনপির

বদলি-পদায়ন নিয়ে জটিলতার পর জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে ‘লাভ জিহাদে’ মত্ত শিক্ষার্থীরা—অভিযোগ ভারতীয় কর্মকর্তার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: দ্য প্রিন্টের সৌজন্যে
ছবি: দ্য প্রিন্টের সৌজন্যে

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিইও) একটি চিঠি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। রাজ্যের ফরিদাবাদ জেলার ওই শিক্ষা কর্মকর্তার অভিযোগ, শিক্ষার্থীরা ‘ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে গিয়ে লাভ জিহাদে জড়াচ্ছে’।

গতকাল বুধবার ওই চিঠি প্রকাশের পরপরই তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। পরে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অংশু গর্গ বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে নতুন এক নির্দেশনায় আগের চিঠি ‘বাতিল’ ঘোষণা করেন।

ডিইও অংশু গর্গ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টকে বলেন, নাগরিকদের উদ্বেগ প্রকাশের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ পোর্টালে (সিএম উইন্ডো) একটি অভিযোগ পাওয়া যায়, যেখানে বলা হয়, ফরিদাবাদের কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে গিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ও লাভ জিহাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্যই ওই চিঠি জারি করা হয়েছিল।

চিঠিতে বলা হয়েছিল, সরকারি ও বেসরকারি সব বিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং অভিভাবকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, বিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়ানো ঠেকাতে কঠোর তদারকি করতে হবে।

চিঠির মূল শিরোনামে বলা হয়েছিল, শিক্ষার্থীরা ‘বিভিন্ন পার্কে অসামাজিক কার্যকলাপ ও লাভ জিহাদে জড়িয়ে সমাজের বন্ধন নষ্ট করছে ও পরিবেশ দূষিত করছে’।

চিঠিতে সতর্ক করা হয়—যেকোনো বিদ্যালয়ে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা বা জরিমানা আরোপ করা হতে পারে। তবে এক দিন পর আজ নতুন চিঠিতে ডিইও স্পষ্টভাবে জানান, শিক্ষা বিভাগে এমন কোনো অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে পাওয়া যায়নি। তাই আগের চিঠিটি বাতিল করা হলো।

কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মহাবীর জাগলান এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে একজন শিক্ষা কর্মকর্তার জন্য অত্যন্ত ‘অশোভন’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলায় রাখা এক বিষয়, কিন্তু এতে ‘লাভ জিহাদ’ শব্দটি আনার মানে কী? এ ধরনের ভাষা কোনো সরকারি শিক্ষা কর্মকর্তার মুখে শোভা পায় না।

জাগলান অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক নেতারা যেভাবে ‘লাভ জিহাদ’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন, এখন কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তাও তা অনুসরণ করছেন রাজনৈতিক কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।

‘লাভ জিহাদ’ শব্দটি ভারতের উগ্র ডানপন্থী রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রচলিত একটি শব্দ। তারা ভিন্ন ধর্মের তরুণ-তরুণীর প্রেম বা বিবাহকে ধর্মান্তরের কৌশল হিসেবে উপস্থাপন করে। তবে এর কোনো বাস্তব প্রমাণ নেই এবং বহু বিশ্লেষক একে রাজনৈতিক প্রচারণা ও বিভাজনের হাতিয়ার হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

শেখ মুজিবের ছবি টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব নেই জুলাই সনদে, ক্ষোভ বিএনপির

বদলি-পদায়ন নিয়ে জটিলতার পর জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত