অনলাইন ডেস্ক
ভারতের ১২টি ড্রোনকে ‘অকার্যকর’ করার দাবি করেছে পাকিস্তান। দেশটির সশস্ত্রবাহিনী বিষয়টি দাবি করেছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ড্রোনগুলোকে অকার্যকর করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশজুড়ে সতর্ক অবস্থানে আছে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীগুলো। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, বিভিন্ন স্থানে ১২টি ভারতীয় ড্রোন ‘অকার্যকর’ করা হয়েছে। এগুলোর বিরুদ্ধে, সারা দেশে অভিযান চলছে বলেও জানানো হয়। ড্রোন হামলায় এক বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং চার পাকিস্তানি সেনা আহত হয়েছেন—বলেও জানিয়েছে সশস্ত্রবাহিনী।
দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতের একদিন পর এই ঘটনা ঘটল। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, ‘গত (বুধবার) রাতে ভারত বিভিন্ন স্থানে ড্রোন পাঠিয়ে আরও একটি আগ্রাসন দেখিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই কার্যকলাপের কারণে মিয়ানোতে একজন বেসামরিক নাগরিক শহীদ হয়েছেন।’
আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, ‘অভিযান অব্যাহত এবং সেনাবাহিনী যখন বলছে তখনো বেশ কয়েকটিকে অকার্যকর করা হয়েছে।’
এর আগে, পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে দুটি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করে পাকিস্তান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কিছু সময়ের ব্যবধানে এই দুটি ড্রোনকে ভূপাতিত করা হয়। তবে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় বা পাঞ্জাব সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা পাকিস্তানের সম্প্রচারমাধ্যম সামা টিভির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—লাহোরের ওয়ালটন রোডের কাছে একটি ‘ভারতীয় ড্রোন’ গুলি করে নামানো হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই দ্বিতীয় ড্রোনটি ভূপাতিত করার খবর আসে।
এর আগে, লাহোরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এর একদিন আগেই ভারতীয় বিমান পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালায়। দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে যখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, তখনই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।
অপরদিকে, ভারত গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হামলা চালানোর সময় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নীলাম-ঝিলাম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। মুজাফফারাবাদের ডেপুটি কমিশনার মুদাসসর ফারুক নিশ্চিত করেছেন, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ‘ইনটেক স্ট্রাকচার’ বা পানি প্রবেশ অবকাঠামোর মুখে হামলা হয়েছে। এতে প্রকল্পের ইনটেক গেটস বা পানি প্রবেশপথ এবং হাইড্রোলিক প্রোটেকশন ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ভারতের দাবি, তারা পাকিস্তানের ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে’ হামলা চালিয়েছে। কাশ্মীরে হামলার জবাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় ভারত। তবে পাকিস্তান হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে এর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। পাকিস্তান আরও জানিয়েছে, তারা ভারতের পাঁচটি বিমান ভূপাতিত করেছে, যদিও ভারত এই দাবিকে ‘ভুল তথ্য’ বলেছে।
হামলা ও পরবর্তী সময়ে সীমান্ত গোলাগুলিতে পাকিস্তানের ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে ইসলামাবাদ জানিয়েছে। ভারতের দাবি অনুযায়ী, তাদের ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪৩ জন আহত হয়েছেন। সীমান্তে গোলাগুলি রাতের পর কিছুটা কমে আসে বলে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান। ভারত সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি অঞ্চলগুলোতে ব্ল্যাকআউট মহড়া চালায়। এর মধ্যে শিখদের পবিত্র স্থান অমৃতসর শহরও ছিল। পাকিস্তানেও অনেক শহরে স্বাভাবিক জীবন ফিরলেও, পাঞ্জাব প্রদেশের সীমান্ত এলাকার হাসপাতাল ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, পাকিস্তান উত্তেজনা কমাতে প্রস্তুত। তবে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের হামলার জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। ভারত বলেছে, পাকিস্তান জবাব দিলে তারাও পাল্টা জবাব দেবে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আশা করেন দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করবে এবং প্রয়োজন হলে তিনি সাহায্য করতে প্রস্তুত।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক বৈরী। দুই দেশ তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে, যার মধ্যে দুবারই কাশ্মীর নিয়ে। বর্তমান উত্তেজনা পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্যও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ দেশটি সম্প্রতি একটি বড় অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।
ভারতের ১২টি ড্রোনকে ‘অকার্যকর’ করার দাবি করেছে পাকিস্তান। দেশটির সশস্ত্রবাহিনী বিষয়টি দাবি করেছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ড্রোনগুলোকে অকার্যকর করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশজুড়ে সতর্ক অবস্থানে আছে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীগুলো। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, বিভিন্ন স্থানে ১২টি ভারতীয় ড্রোন ‘অকার্যকর’ করা হয়েছে। এগুলোর বিরুদ্ধে, সারা দেশে অভিযান চলছে বলেও জানানো হয়। ড্রোন হামলায় এক বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং চার পাকিস্তানি সেনা আহত হয়েছেন—বলেও জানিয়েছে সশস্ত্রবাহিনী।
দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতের একদিন পর এই ঘটনা ঘটল। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, ‘গত (বুধবার) রাতে ভারত বিভিন্ন স্থানে ড্রোন পাঠিয়ে আরও একটি আগ্রাসন দেখিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই কার্যকলাপের কারণে মিয়ানোতে একজন বেসামরিক নাগরিক শহীদ হয়েছেন।’
আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, ‘অভিযান অব্যাহত এবং সেনাবাহিনী যখন বলছে তখনো বেশ কয়েকটিকে অকার্যকর করা হয়েছে।’
এর আগে, পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে দুটি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করে পাকিস্তান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কিছু সময়ের ব্যবধানে এই দুটি ড্রোনকে ভূপাতিত করা হয়। তবে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় বা পাঞ্জাব সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা পাকিস্তানের সম্প্রচারমাধ্যম সামা টিভির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—লাহোরের ওয়ালটন রোডের কাছে একটি ‘ভারতীয় ড্রোন’ গুলি করে নামানো হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই দ্বিতীয় ড্রোনটি ভূপাতিত করার খবর আসে।
এর আগে, লাহোরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এর একদিন আগেই ভারতীয় বিমান পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালায়। দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে যখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, তখনই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।
অপরদিকে, ভারত গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হামলা চালানোর সময় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নীলাম-ঝিলাম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। মুজাফফারাবাদের ডেপুটি কমিশনার মুদাসসর ফারুক নিশ্চিত করেছেন, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ‘ইনটেক স্ট্রাকচার’ বা পানি প্রবেশ অবকাঠামোর মুখে হামলা হয়েছে। এতে প্রকল্পের ইনটেক গেটস বা পানি প্রবেশপথ এবং হাইড্রোলিক প্রোটেকশন ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ভারতের দাবি, তারা পাকিস্তানের ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে’ হামলা চালিয়েছে। কাশ্মীরে হামলার জবাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় ভারত। তবে পাকিস্তান হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে এর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। পাকিস্তান আরও জানিয়েছে, তারা ভারতের পাঁচটি বিমান ভূপাতিত করেছে, যদিও ভারত এই দাবিকে ‘ভুল তথ্য’ বলেছে।
হামলা ও পরবর্তী সময়ে সীমান্ত গোলাগুলিতে পাকিস্তানের ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে ইসলামাবাদ জানিয়েছে। ভারতের দাবি অনুযায়ী, তাদের ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪৩ জন আহত হয়েছেন। সীমান্তে গোলাগুলি রাতের পর কিছুটা কমে আসে বলে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান। ভারত সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি অঞ্চলগুলোতে ব্ল্যাকআউট মহড়া চালায়। এর মধ্যে শিখদের পবিত্র স্থান অমৃতসর শহরও ছিল। পাকিস্তানেও অনেক শহরে স্বাভাবিক জীবন ফিরলেও, পাঞ্জাব প্রদেশের সীমান্ত এলাকার হাসপাতাল ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, পাকিস্তান উত্তেজনা কমাতে প্রস্তুত। তবে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের হামলার জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। ভারত বলেছে, পাকিস্তান জবাব দিলে তারাও পাল্টা জবাব দেবে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আশা করেন দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করবে এবং প্রয়োজন হলে তিনি সাহায্য করতে প্রস্তুত।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক বৈরী। দুই দেশ তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে, যার মধ্যে দুবারই কাশ্মীর নিয়ে। বর্তমান উত্তেজনা পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্যও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ দেশটি সম্প্রতি একটি বড় অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।
নতুন পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, নিউজিল্যান্ডে এখন মানুষের চেয়ে অনেক বেশি ভেড়া রয়েছে। বলা যায়, একজন মানুষের বিপরীতে দেশটিতে চারটির বেশি (জনপ্রতি ৪.৫ টি) ভেড়া রয়েছে। তবে এই ব্যবধান দ্রুত কমছে বলেও জানিয়েছে দেশটির সরকার।
২১ মিনিট আগেকাশ্মীর সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে তারা ৪০ থেকে ৫০ জন ভারতীয় সেনাকে হত্যা করেছে এবং ভারতের সামরিক স্থাপনাগুলোতে গোলাবর্ষণ চালিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট এই খবর জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপোল্যান্ডের ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক নারীর ওপর কুড়াল দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এতে তিনি নিহত হন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহত নারী একজন কর্মী ছিলেন এবং গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবনে তিনি হামলার শিকার হন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন এক নিরাপত্তা
২ ঘণ্টা আগেট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের জানান দিতেই হয়তো মার্কিন শিক্ষাসচিব লিন্ডা ম্যাকমাহন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে এক কড়া চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, এই চিঠির কারণে পুরো দেশের কাছেই তিনি হাস্যরসের পাত্র হয়ে উঠেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চিঠিটি ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় বিদ্রূপ করে অনেকেই তাঁকে ব্
২ ঘণ্টা আগে