Ajker Patrika

পাকিস্তানে শতাধিক আসনের ফলে এগিয়ে ইমরান খানের সমর্থকেরা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫: ৫৮
Thumbnail image

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ২৬৫ আসনের মধ্যে শতাধিক আসনের ফলাফলে এগিয়ে আছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। স্থানীয় গণমাধ্যম জিও নিউজ বলেছে, এ পর্যন্ত ১০৬টি আসনের মধ্যে ৪৭টিতে জয়লাভ করেছেন পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল সর্বশেষ ফলাফলে কিছুটা পিছিয়ে আছে।

স্থানীয় সময় বেলা ১টায় পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ৭০টি আসনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেছিল। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ২৪টি আসনে জয় পান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টিও (পিপিপি) পেয়েছে ২৪টি আসন। নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ১৮টি আসনে জিতেছে।

বাকিগুলো জিতেছেন ছোট দল বা দল-নিরপেক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, এই নির্বাচনে কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-ও পেতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ বন্ধ হওয়ার ১৮ ঘণ্টা পর শুরু হয় ফল ঘোষণা। পাকিস্তানের যেকোনো নির্বাচনের জন্যও এই বিলম্বের পরিমাণ অনেকটাই অস্বাভাবিক।

রয়টার্স বলছে, ইন্টারনেট সমস্যার কারণে ফল প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে বলে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) বিশেষ সচিব জাফর ইকবাল দাবি করেছেন। অন্যদিকে সরকার বলছে, নিরাপত্তাব্যবস্থা সুরক্ষিত রাখার অংশ হিসেবে নির্বাচনের দিন সারা দেশে মোবাইল ফোন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছিল। এখন সেগুলো আংশিকভাবে চালু করা হচ্ছে।

এদিকে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচনী এলাকা এনএ-১৫ মানসেহরা থেকে পাওয়া অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা গাস্তাসাপের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানেই হেরেছেন নওয়াজ শরিফ। ৭৪ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন শাহজাদা গাস্তাসাপ। অন্যদিকে, নওয়াজ শরিফ পেয়েছেন ৬৩ হাজার ৫৪ ভোট।তবে নির্বাচনী এলাকা এনএ-১৩০ লাহোরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসমিন রশিদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছেন পাকিস্তানের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) জিতবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। বিশ্লেষকদের মতে, ৭৪ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ওপর সামরিক বাহিনীর সমর্থন রয়েছে।

অন্যদিকে, জেলবন্দী ইমরান খানের দল পিটিআই নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হয়েছিল। পিটিআইকে মার্কাও বরাদ্দ দেয়নি ইসিপি। এ ছাড়া, নির্বাচনের দিন মোবাইল পরিষেবা ও ইন্টারনেট বন্ধের ঘোষণায় সমালোচিত হয়েছে নির্বাচন কমিশন। ব্যাপক ভোট কারচুপির আশঙ্কাও করেছেন বিশ্লেষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত